নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দধারা

ইমন কুমার দে

"আমি কী বলিব কার কথা, কোন সুখ কোন ব্যাথা......... আমার নাই কথা তবু সাধ শত কথা ক্ই । ওলো সই ওলো সই, আমার ইচ্ছা করে তোদের মতোন মনের কথা কই ।" [email protected]

ইমন কুমার দে › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে আমার প্রিয় কিছু শ্লোক।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০০

আমরা সীমিত জীব হওয়ায় মায়াধীন। তাই আমাদের মায়াবদ্ধ বলা হয়। মায়াবাদীদের মতে জীব ও ভগবান উভয়ই জড় জগতে এসে মায়ায় আবদ্ধ হন। জীবাত্নার ক্ষেত্রে তা সত্য,কিন্তু ভগবানের ক্ষেত্রে তা সত্য নয়,কেননা সকল ক্ষেত্রেই জড়া-প্রকৃতি ভগবানের নির্দেশে ক্রিয়া করে। সত্যের রক্ষা আর অসত্যের বিনাসের জন্য ভগবান যুগে যুগে আবির্ভূত হন এই পৃথিবীতে। এ প্রসংগে শ্রীমদ্ভগবত গীতায়(৯/১৯) উল্লেখ আছে.....



অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুসীং তনুমাশ্রিতম।

পরং ভাবজানন্তো মম ভুতমহেশ্বরম।


অর্থাৎ, "মূর্খেরা আমার মনুষ্যকারকে অবজ্ঞা করে; কারন তারা আমার পরম ভাব জানে না, এবং তারা জানে না আমি সকল কিছুর মহেশ্বর"।



গীতায় সর্বোচ্চ ধর্মতত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে....

সর্বধর্ম পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ:।।




অর্থাত্, "সবরকম ধর্ম ত্যাগ করে শুধু আমার শরণাগত হও। আমি তোমাকে সকল কর্মফল থেকে মুক্ত করবো, উদ্বিগ্ন হয়ো না।"

আপাতদৃস্টিতে উপদেশটি খুব সরল মনে হলেও, শ্লোকটির অর্থ হচ্ছে এই জড়জগতে আমরা মায়ার বাধনে আবদ্ধ। মায়া ও অবিদ্যা আমাদের সবসময় ভালো কাজ থেকে বিরত রাখতে চেস্টা করে। মায়ার দ্বারা আমরা প্রতিনিয়ত নিপীড়িত হচ্ছি ঠিক যেমন গর্দভ সঙ্গের জন্য গর্দভীর কাছে গিয়ে মুখে প্রতিনিয়ত পদাঘাত প্রাপ্ত হয়। অনুরূপভাবে কুকুর, বিড়ালরা মৈথুনের জন্য সবসময় সংগ্রাম করছে, হুংকার করছে। এইগুলি সবই প্রকৃতির কৌশল। জংগলে শিক্ষাপ্রাপ্ত হস্তিনীর দ্বারা হস্তীও পরিচালিত হয়ে গর্তি পতিত হয়, এবং এইভাবে ধৃত হয়। মায়ার কার্যাবলীও সেইরকম। আমাদের তাই মায়ার বাধন এবং অবিদ্যার ধর্ম পরিত্যাগ করে পরম ভগবানকে ই স্তব করতে বলা হয়েছে।

আমরা সবাই ঈশ্বরের দাস। তাই নিজেকে রাধারূপে কল্পনা করে পরম পূরুষের প্রেম ই শ্রেস্ট প্রেম। মায়া ভ্রান্ত।



পরম ঈশ্বরের আরাধনার বিভিন্ন পন্হা আছে। ঈশ্বরের রূপ অনন্ত। সব রূপকেই উপাসনার বিভিন্ন পন্থা আছে। কিন্তু স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবানের উপাসনাই হচ্ছে অন্তিম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ প্রসংগে যে শ্লোকটি আছে গীতায়...

অন্যে চ সংস্কৃতাত্নানো বিধিনাভিহিতেন তে।

যজন্তি তন্ময়াস্তাং বৈ বহুমুর্ত্যেকমূর্তিকম। ।




তাই পরমঈশ্বরকে পেতে হলে বহু রূপের পুজা উপাসনার চাইতে পরম ভগবানের উপাসনাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।



মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-৩

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১১

মানুষ বলেছেন: গাধা যদি গাধির মায়া ভুলিয়া পরম ঈশ্বরের প্রেমে মশগুল হয় তাইলে গাধার বাচ্চা হইবে কিরূপে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোই বলেছেন। মজা পাইলাম।
আমি ভাই অশিক্ষিত হিন্দু। ধর্ম সম্পর্কে খুবই কম জানি। যেগুলো লিখেছি বই পড়ে ভালোলেগেছিল তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাই আমার কাছ থেকে আপনাদের মনের মতো উত্তর আশা করবেন না।

তবে আমি যেটা মনে করি, গাধার বিচার বুদ্ধির ক্ষমতা নাই এইজন্য সে গাধা। কিন্তু আমরা তো মানুষ। পরম সৃস্টি কর্তা বলে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনি আমাদের এই জিনিসগুলো বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই আমাদের চি্ন্তা শক্তিকে উপযুক্ত কাজে না লাগিয়ে ঐ গাধার মতো সবসময় কুচিন্তা আর যৌন চিন্তায় ব্যায় করা কি উচিত? যদি সেটা হয় তাহলে তো ঐ গাধার মতোই আমাদেরকেও গর্দভীর কাছে গিয়ে পদাঘাতগ্রস্থ হতে হবে।
যৌনতার অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে সেটা সবসময় নয় এবং গাধা তথা কুকুর বিড়ালের মতো নয়।

জানি না উত্তরটি আপনার কেমন লাগবে। তবে আমি মনে করি ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তাকে ডাকার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রত্যেক ধর্মই ভালো পথে চলার নির্দেশ দেয়। সব ধর্মেরই কিছু কিছু পুরানো ঘুনে ধরা ধারনা আছে। আমাদের উচিত তাই ধর্ম থেকে ভালো জিনিস গুলা গ্রহন করা আর ঘুনে ধরা জিনিস গুলা বর্জন করা।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৮

আরিফুর রহমান বলেছেন: আপনার প্রিয় শ্লোক ঘরে গিয়া পাঠ করেন, নয়তো হিন্দু ধর্মীয় কোনো সাইটে গিয়া আওড়ান, দয়া করে আমাদের রেহাই দেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফুর রহমান।
আপনার পোস্ট গুলা আমি সবসময় পড়ি। সব কিছু ই যুক্তি দিয়ে বলার চেস্টা করেন। আমার ভালো লাগে।
আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না আর আমি করি,কিন্তু আমি অন্ধভাবে না। আপনি তো এইটা স্বীকার করবেন যে পৃথিবীতে ভালোটাই হওয়া উচিত আর খারাপটা না হওয়া উচিত। একটা ধর্ম যদি আমাদের এই শিক্ষা টা দিতে সক্ষম হয় তাহলে কেন আমরা ধর্ম তথা ঈশ্বরে বিশ্বাস করবো না?
অবশ্যই একটা ধর্মের কুসংস্কার, কুপ্রথা আর অবৈজ্ঞানিক জিনিস গুলা বর্জন করা উচিত।
ধন্যবাদ আবারও আপনাকে। আপনার পোস্ট গুলা সুন্দর এবং বেশীরভাগেরই যুক্তি আমার পছন্দ হয়। চালিয়ে যাবেন আশা করি। বুদ্ধির সুস্ঠ প্রয়োগ করবেন।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২০

শয়তান হন্তারক বলেছেন: "সবরকম ধর্ম ত্যাগ করে শুধু আমার শরণাগত হও। আমি তোমাকে সকল কর্মফল থেকে মুক্ত করবো, উদ্বিগ্ন হয়ো না।"

ভাল লাগল। গতানুগতিকতার বাইরে আপনার চিন্তাকে স্বাগত জানাই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪০

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২০

দুরের পাখি বলেছেন: ভগবান মানে হৈলো যোনীওয়ালা পুরুষ । ইয়াক থু । আমার ভগবতী দরকার । ভগবানের গুষ্টি কিলাই ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৩

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে দুরের পাখি। ভগবানের গুস্টি কিলান যত ইচ্ছা । কিন্তু কুচিন্তা আর অশুভ চিন্তা থেকে দুরে থাকবেন দয়া করে। তাহলে যতই ভগবানকে উস্টা-লাথ্থি মারেন ভগবান আপনার উপর কখনই রুস্ট হবেন না। আপনাকে ভালোবেসে যাবেন।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৪

আরিফুর রহমান বলেছেন: @দুরের পাখি...

গুগল ইমেজ সার্চে Buck Angel লেইখা সার্চ দেন... দেখেন কি আসে.... এইটা যদি ভগ-বান হয়.. তাইলে তো!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫১

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও আপনাকে। সবই ভগবানের সৃস্টি। তিনি সর্বশক্তিমান।
তারাও মানুষ। আপনার লিখা আমি পড়ি আমি আগেই বলেছি। আপনি মানবতাবাদী তাই ধর্মে বিশ্বাসী নন। কিন্তু ঐ সব দর্ভাগা লোকদের নিয়া মশকরা করা কিন্তু মানবতা র ই পরিপন্থী। ঈশ্বরকে যত খুশি গালি দেন।কিন্তু দয়া করে কুচিন্তা আর অমানবতা থেকে দুরে থাকবেন।
ধন্যবাদ আবারও।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৩

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: @@ পক্ষি........এন্ড আরিফুর... : বাছা, তোমরাযে কোন পথে পৃথিবীতে আসিয়াছে........তা নিয়া আমার যথেষ্ট কনফিউশন রহিয়াছে........।তুমরা নিজেরাই কি একেকজন এরুপ Buck Angel কিনা সেটা আমার জানিবার বড়ই ইচ্ছা.........।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এভাবে একটা ধর্মীয় পোষ্টে এমন ঘৃন্য তুলনা বা কথাবার্তা কোন কুক্ষনেও সম্ভবনা.....।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৩

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদী। আপনার সুস্থ চিন্তার আমি প্রশংসা করি।
লোকে যা খুশি বলুক। আমি আমার জায়গায় ঠিক থাকবো। তাহলে ই পৃথিবীটা সুন্দর হবে। আপনার মতো সুস্থ চিন্তার লোকেদের সবসময় জয় হবে। অসুরবৃত্তির পরাজয় সুনিশ্চিত।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৫

েরজা , বলেছেন: গীতা থেকে কিছু লেখা হলে যদি আপনার ভালো না লাগে, না পড়বেন , আপনারটা যেমন আপনার কাছে মহামুল্যবান , অন্যেরটা তেমনই তার কাছে .।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৫

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ রেজা ভাই। সবাই সুস্থ চিন্তা করুক, সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করুক সেটাই কাম্য।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৬

নষ্ট কবি বলেছেন: গীতা অনেক মধুর একটা গ্রন্থ যার মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত জ্বান.......যত পড়ি তত পড়তে মন চায়..........................................................আমার থিসিস সাবজেক্ট হিন্দুইজম..............তাই আরো বেশি বেশি পড়তে হচ্ছে////////////

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সব ধর্মগ্রন্থ ই মানুষের ভালোর জন্য রচিত। কিছু কিছু জায়গায় সব ধর্মগ্রন্থেই অবৈজ্ঞানিক জিনিস থাকতে পারে। কিন্তু সেগুলা নিয়ে হ্ট্টগোল না পাকিয়ে ভালো দিক গুলা মেনে চললেই পৃথিবীতে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৭

সিস্টেম বলেছেন: ভাল, ধর্ম তো মনের ব্যাপার। যার যার মনে আছে, আপনি কি মহাপুরুষ হয়ে ধর্ম প্রচারের মহান দায়িত্ত নিলেন নাকি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৩

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ সিস্টেম। আপনার কথা ভালো লেগেছে। "ধর্ম মনের ব্যাপার, যার মনে যা আছে"।

কিন্তু আমি ধর্ম প্রচারে নামিনি। আমি একজন অতি মুর্খ মানুষ। আমার ঐ শ্লোকগুলা জাস্ট ভালো লাগে এই জন্য শেয়ার করতে চাইছিলাম। আপনার খারাপ লাগলে সত্যি আমি দু:খিত।
ধর্ম আমাদের সৎ হতে শেখায়। তবে সবার আগে দরকার নিজস্ব সূস্থ সংস্কৃতির চর্চা।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০০

আরিফুর রহমান বলেছেন: লে হালুয়া...

বাঘে মহিষে দেখি এক ঘাটে জল খায়...

এমনই দৌড়াত্ম্য নাস্তিকদের!! ;)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১২

ইমন কুমার দে বলেছেন: দুনিয়াতে নাস্তিকরা আছে বলেই আস্তিক আছে। যেমন খারাপটা না থাকলে আমরা ভালোর সমুদ্রে থাকতে থাকতে আমরা ভুলে যেতাম ভালোর সংগা কি। তাই আস্তিকদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই নাস্তিকদের দরকার আছে।
দুস্টের দমন আর শিস্টের পালনের জন্য ভগবান যুগে যুগে আবির্ভুত হন। দুস্টই যদি না থাকে তাহলে তো আর ঈশ্বরের কনসেপ্ট টাই থাকে না।

ধন্যবাদ আরিফুর।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৫

বোবা ছেলে বলেছেন:
নিতাই দা,

নিজ ধর্মকে নিয়ে তুমি আজে বাজে বলো কেন....?? ভগবান সইবে না|

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৪

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ বোবা ছেলে।
ব্যাপারটা নিজ ধর্মের না। আসল ব্যপার হচ্ছে সৃস্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস। যেকোনো ধর্ম থেকে ই সেটা হতে পারে। কারন ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।

১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১২

সিস্টেম বলেছেন: "আপনার খারাপ লাগলে সত্যি আমি দু:খিত।"

না খারাপ লাগে নাই। মজা পাইসি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৪

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ সিস্টেম। :)

১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৫

সিস্টেম বলেছেন: নাস্তিক দুস্ট আপনাকে কে কইলো?
আমার তো মনে হয় যে কনসেপ্ট থেকে সকল ধর্মের উৎপত্তি, সেই কনসেপ্টে চিন্তা করলে নাস্তিকরাই অনেক বেশী ধার্মিক। একটু ভেবে বলেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২২

ইমন কুমার দে বলেছেন: নাস্তিক দু্স্ট সেকথাতো আমি বলি নাই।
নাস্তিকতা ভালো কিন্তু দুস্টতা ভালো না। একজন নাস্তিক মানুষ মানবতাবাদী হতে পারে কিন্তু একজন দুস্ট মানুষ সবদিক থেকেই দুস্ট। তাদেরই (দুস্টদের) দমন করার জন্য ঈশ্বর যুগে যুগে অবতীর্ন হন।

১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২০

সিস্টেম বলেছেন: নাস্তিকতাবাদির জন্ম হৈসে আস্তিকদের মারামারি, হানাহানি, কাদামাখামাখি, কুসংস্কার .....(অনেক অনেক) খারাপ ব্যাপারগুলার কারনে। এইটা বুঝেন?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৫

ইমন কুমার দে বলেছেন: হা অবশ্যই। আমি স্বীকার করি। আমি আমার আগের মন্তব্য গুলাতেই তাই বলেছি ধর্মের ভালো জিনিসগুলা গ্রহন করা উচিত খারাপ গুলা বর্জন করা উচিত। আমরা সেটা পারিনা বলেই, কুসংস্কার ত্যাগ করতে পারি না বলেই এখনো এতো মুর্খতা আমাদের।

১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২১

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: দাদা, কৃষ্ণ সাহেব কি ভগবান?? হিন্দী/বাংলা সিনেমায় অনেক সময় ভাল/উপকারী কোন লোককেও ওরা ভগবান বলে থাকে। এসব কি ভাই??

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩১

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার একদম শেষের শ্লোকটা দয়া করে একটু খেয়াল করবেন। ভগবানের কোটি কোটি রূপ। শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে এসেছিলেন তারই প্রতিনিধি হয়ে। তার মূল মন্ত্র ছিল প্রেম। অবশ্যই ভগবান প্রেম, মানব প্রেম। প্রেমের মাধ্যমে ভগবান লাভ। যেটাকে আমরা বলি নিস্কাম প্রেম। যেমন করেছিলেন রাধা। শত শত গোপিনীরা।
একজন যদি মনে করেন যে কৃষ্ণই আমার ভগবান তাহলে তাতে দোষের কিছু নয়। ঈশ্বর নিরাকার। তার সাকার রূপকে উপাসনা করে আমরা তৃপ্তি লাভ করতে পারি সৎ থাকতে পারি তাহলে তাতে দোষের কিছু নাই।

১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৯

সিস্টেম বলেছেন: সকল নাস্তিকই কোননা কোন আস্তিকের ঘরের সন্তান। এইটা যানেন? সো আস্তিকদের খারাপ ব্যাপার গুলা তারা খুব ভাল করে যানে না খবর রাখে। সেক্ষেত্রে আস্তিকরা নাস্তিকদের কিছুই যানে না। পথে না হাটলে কি পথের মর্ম বুঝা যায়? আপনে কিছুদিনের জন্য নাস্তিক হয়ে যান। তাহলে ব্যাপার টা ভুঝতে পারবেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের নাম শুনছেন! উনি কয়েকটি ধর্ম সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করে বলেছিলেন "যত মত তত পথ"। সো নাস্তিকদের একটা মত আছে, তাদের একটা পথে আসে। তারা কেন সদ্ধি লাভ করবে না? এইটা বুঝেন?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৭

ইমন কুমার দে বলেছেন: আবার ও ধন্যবাদ আপনাকে।
যত মত তত পথ। অবশ্যই। আমি একশ বার মানি। হাজার বার মানি। কিন্তু সেটা অবশ্যই হতে হবে সৎ পথ। আপনি নাস্তিকতাকে যদি সৎ পথ মনে করেন, কুচিন্তা, অন্ধবিশ্বাস থেকে দুরে থাকতে পারেন তাহলে অবশ্যই সিদ্ধি লাভ করবেন। যতই ভগবানকে অস্বীকার করেন না কেন, সৎ পথে থাকলে ভগবানই আপনাকে কাছে টেনে নিবেন, যতই আপনি দুরে সরে যেতে চান না কেন। কেননা সত্য পথে থাকা মানে ই হচ্ছে ভগবানের পথে থাকা।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৪

সিস্টেম বলেছেন: @স্বল্পজ্ঞানী: কৃষ্ণ সাহেব কি ভগবান কিনা যানতে হৈলে আপনাকে হিন্দু ঘরে জন্মাইতে হবে। রাজী আছেন? খিকক্স

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪০

ইমন কুমার দে বলেছেন: সিস্টেম সাহেব। ভগবানকে জানার ইচ্ছা থাকলে যেকোনো অবস্থা থেকেই জানা যায়।
আপনিই বলেছেন রামকৃষ্ণ দেবের কথা। "যত মত তত পথ"।

১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৭

সিস্টেম বলেছেন: @স্বল্পজ্ঞানী: ডক্তুর জাকির নায়েক নাকি কয়েক হাজার হিন্দু ধর্ম পুস্তক পরছে! উনি কি জানতে পারছিলো :|| হেরে জিগাইতে পারেন। B-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৪

ইমন কুমার দে বলেছেন: হা হা । আমিও জাকির নায়েকের কথা গুলা শুনি।ভালো লাগে। তিনি তার নিজের ধর্মকে খুব ভালোবাসেন। এইটা ভালো লক্ষন। কিন্তু অন্য ধর্ম সম্পর্কে তার ধারনার কিছু কিছু কথা আসলে আমাকে ব্যাথিত করে। নিজের ধর্মের শ্রেস্টত্ব প্রমানের জন্য অন্য ধর্মকে আঘাত করার কোনো দরকার নাই। কারন ঈশ্বর একজনই। ডাকার পথ আলাদা।

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৫

সিস্টেম বলেছেন: আপনে তো দেখি অনেককিছু যানেন! শুভকামনা রইলো, ভালো থাকবেন।

[আমি স্বল্পজ্ঞানীরে কেন বলছি আপনে বুঝেন নাই। আপনের টপিক চিন্তাধারা তার মাথায় ঢুকবে না। নাদানদের নাদানিয় কমেন্ট করতে ভাল লাগে ;) ]

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ আবার ও আপনাকে।
আমি ভাই কিছু ই জানি না। নিজের বিবেক দিয়ে বোঝার চেস্টা করি। :)

২০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০২

নাজিম উদদীন বলেছেন: আচ্ছা কলিযুগ কবে শুরু হবে? আমাদের কল্কিবতার কি দেখার সুযোগ হবে?

এ মুহুর্তে অবতার কারা? শচীন, অমিতাভ, সোনিয়া রাহুল, প্রিয়াংকা এদেরকে অনেকে দেবতা বলে গড় হয়ে প্রণাম করেন কেন?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৬

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম উদদীন।
আমি আগেই বলেছি আমি অশিক্ষিত হিন্দু। ধর্ম সম্পর্কে আমি কম জানি। তবে যতদুর জানি এখন কলিযুগ চলছে। এ যুগে অধিকাংশ মানুষ খারাপ। কল্কি অবতারের কথা জানি কিন্তু সেটা কবে হবে জানি না। তবে ভগবান যুগে যুগেই যখন পৃথিবী অন্যায়-অত্যাচার-ব্যভিচারে ভারাক্রান্ত হয়ে যায় তখন অবতীর্ন হন।

আপনি বলেছেন "শচীন, অমিতাভ, সোনিয়া রাহুল, প্রিয়াংকা এদেরকে অনেকে দেবতা বলে গড় হয়ে প্রণাম করেন".... এই তথ্যটা সম্পুর্ন আমার অজানা ছিল। সত্যি আমি আশ্চর্য হয়েছি আপনার কথা শুনে।

হিন্দু ধর্মে বড়দের প্রনাম করার রীতি আছে, কিন্তু সেটা দেবতা জ্ঞানে নয়। গুরুজন হিসাবে। আর কলাকারদের কলাকে সম্মান করার রীতি ও আছে। তারা গুনী শিল্পী হয়তো এ কারনেই অনেকে শ্রদ্ধা করে কিন্তু দেবতা জ্ঞানে নয়।
আপনার কথা শুনে আমি সত্যি আশ্চর্য হয়েছি। যারা এটা করে তারা অবশ্যই অজ্ঞানতা বশত: করে। এটা উচিত না।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩০

সন্যাসী বলেছেন: এতদিন ব্লগে দেখতাম কোরান হাদিসের মেলা। এবার গীতা রামায়ন মহাভারতও আসা শুরু করেছে। দেশে এত মসজিদ মন্দির থাকতে এখন ব্লগগুলো ধর্মশালায় পরিণত হচ্ছে। হালার ধর্মের জ্বালায় কোনদিকে দৌড় দেব বুঝতে পারছিনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২২

ইমন কুমার দে বলেছেন: হা হা
মজা পাইলাম আপনার কথা শুনে। হা, ব্লগে সবসময় এসব ধর্মের কথা ভালো লাগে না। ব্লগে সৃজনশীল লেখা ই বেশি মানায়। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যেতে পারি।
কিন্ত আপনি নিজে ই চিন্তা করেন একটু এই যে অনেক আলতু ফালতু পোস্ট যেমন কিছুদিন ধরেই চলছে আমাদের প্রভাকে নিয়ে আজে বাজে পোস্ট, সেগুলা থেকে কি ধর্মের ভালো কথা গুলা পোস্ট করলে ভালো না?

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৭

সিস্টেম বলেছেন: @সন্যাসী : খিকক্স =p~ =p~

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৬

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: সিস্টেম ওড়ফে পবন দাস, কেমন আছ মামু!!!

২৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৭

অন্তস্থ সায়ন্ত বলেছেন: View this link

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ অন্তস্থ সায়ন্ত।

২৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

সিস্টেম বলেছেন: @ স্বল্পজ্ঞানী ওরফে ভানু শীল। ভালা আছি মামু। তুমার চুল কাটা কেমুন চলতাছে? B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.