নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দধারা

ইমন কুমার দে

"আমি কী বলিব কার কথা, কোন সুখ কোন ব্যাথা......... আমার নাই কথা তবু সাধ শত কথা ক্ই । ওলো সই ওলো সই, আমার ইচ্ছা করে তোদের মতোন মনের কথা কই ।" [email protected]

ইমন কুমার দে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮

একুশে ফেব্রুয়ারির এই গানটি সকল দেশপ্রেমিক বাঙালীরই প্রিয়। প্রথম ছয় লাইনই আমরা জানি এবং গেয়ে থাকি। কিন্ত গানটির ইতিহাস জানি না আমরা অনেকেই। আমি ও জানতাম না। হঠাৎ সেদিন গুন গুন করতে মনে হলো আমি এর পুরোটা কখনো জানার চেস্টা করিনি। খারাপ লাগল নিজের মূ্র্খতায়। পরে নেটে সার্চ করে জানতে পারলাম। ভালো লাগলো।



তৎকালীন একটি খবরের কাগজের শেষের পাতায় "একুশের গান" শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়।গীতিকারের নাম ছাপা হয়নি সেই সময়। পরে ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।



গানটি রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং প্রথম সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ।



শুরুতে এটি কবিতা হিসেবে লেখা হয়েছিল। তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবিতাটি আব্দুল লতিফকে দিলে তিনি এতে সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে, লতিফ আতিকুল ইসলাম প্রথম গানটি গান। ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করার সময়ও গানটি গেয়েছিল। একারণে তাদেরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।



পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদ, যিনি সেসময়কার একজন নামকরা সুরকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, গানটিতে পুনরায় সুরারোপ করেন। বর্তমানে এটিই গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।





সম্পুর্ণ কবিতাটি



আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি।

ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি

আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি।।



জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা

শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,

দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী

দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?

না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই

একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।



সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে

রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;

পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,

এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।



সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,

তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা

ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে

ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে

ওরা এদেশের নয়,

দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়

ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি

একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।



তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি

আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী

আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে

জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে

দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি

একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।















জাতীয় সংগীতের মূল গানের কথা।






আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥

ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,

মরি হায়, হায় রে—

ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥

কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো—

কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।

মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,

মরি হায়, হায় রে—

মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥

তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলো রে,

তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।

তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,

মরি হায়, হায় রে—

তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥

ধেনু‐চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,

সারা দিন পাখি‐ডাকা ছায়ায়‐ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,

তোমার ধানে‐ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,

মরি হায়, হায় রে—

ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥

ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে—

দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।

ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,

মরি হায়, হায় রে—

আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥









আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল শিলাইদহের ডাক-পিয়ন গগন হরকরা রচিত "আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে" গানটির সুরের অনুষঙ্গে। সরলা দেবী চৌধুরানী এর আগে ১৩০৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে তাঁর শতগান সংকলনে গগন হরকরা রচিত গানটির স্বরলিপি প্রকাশ করেছিলেন।



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটি গোপালচন্দ্র সেনের কণ্ঠে রেকর্ড করা হয় রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায়।পরবর্তীতে এটির সুর অনেক সহজ করে ফেলা হয়। আর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এটি গৃহীত হবার পর সকলের গাইবার সুবিধার জন্য সুরটা আরো সরল হয়ে যায়।





মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ চরণ জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করে, এরমধ্যে প্রথম চার লাইন আবার শুধু যন্ত্র সংগীতের জন্য।

.

.







গোপালচন্দ্র সেনের গাওয়া মুল গান







মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

নস্টালজিক বলেছেন: দারুণ পোস্ট!

প্রিয় তে রাখলাম!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.