নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একমনে চুরি করে;আরেক মনে বিচার মানে,আমি কে? আমার মন জানে।

ইমন শাই

আত্মতত্ত্ব অর্জনের চেষ্টা করি

ইমন শাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

***নিষ্ঠুর সত্য ***

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৭

আনিকা তার অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া নানান সত্য ঘটনা গুলো তরঙ্গ কে বলছে আর বাদাম এর খোসা ছাড়াচ্ছে। তরঙ্গ নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে আনিকার দিকে চেয়ে আছে। শুদু শুনছে কিন্নরী কন্ঠে আনিকার অতীতের বর্ণনা।আর দেখছে কথার মাঝে মাঝে ভ্রুকুঞ্চনে পাপড়ির ওঠা নামা। তরঙ্গ কখনো আনিকা কে চোখে গারো কাজল ছাড়া দেখেনি। আজও তার বেতিক্রম নয়।কল্পনাতেও কখনো আকতে পারেনি আনিকার কাজল বিহীন চোখ।কত রকম সংজ্ঞা দিয়েছে ওই কাজল ঘেরা চোখের।আনিকা তরঙ্গের দিকে চেয়ে দেখে তরঙ্গ নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।বেশ ক্ষণ পর পর চোখর পলখ পরছে তরঙ্গের।
''আনিকা আহত দৃষ্টিতে বলল ,তুমি কি আমার কথা শুনছো ,না অন্য কিছু চিন্তা করছো ?
-কই !পূর্ণ মনোযোগে তোমার কথা শুনছি। মুখোস্ত বলতে পারব। তুমি মনে করেছো;আমি তোমার কথা শুনিনি,তাই কষ্ট পেয়েছো।চোখে মুখে তার ছাপ ফুটে উঠেছে।অযথা কষ্ট নিয়না।তুমি বলে যাও আমি শুনছি।
আনিকা যথারীতি ঘটনা বলা শুরু করলো। তরঙ্গ লক্ষ করল আনিকার বৃত্তের মত গোল মুখে অস্বাভাবিক অকাল মেঘ ছাপ ফুটে উঠেছে।তাই আনিকাকে থামিয়ে দিয়ে বলল একটা কথা বলি যদি অনুমতি দাও।
-অনুমতি দিলাম।
তরঙ্গ খুব নিষ্পাপ সূলভ করে বলল চুল খোলায় তোমাকে মনোহর লাগছে ,আর ঘটনা বলার উপস্থাপন আবৃতির মতো লাগছে।আনিকা এক রহস্যময়ী দৃষ্টি নিয়ে বলে একথা পূর্বেও শুনেছি আজ এতো তৈল মর্দন করছো তরঙ্গ!কি বেপার বলতো?এর পরেও শুনতে ভালোলাগে। তাইতো অধর আর ওষ্ঠ মিলিয়ে একগাল মৃদু হাসি ধরা পরলো আনিকার।
এরমাঝে কথা থামিয়ে গান ধরলো।" আনিকা চমত্কার গান করে। সুর তাল ল পরিপূর্ণ। ও কখনো গান শিখেনি।তবুও কণ্ঠে মন ছোঁয়ানো সুর আছে"।
যাহার লাগি পরান পোড়ে
সে হায় আছে অচিনপুরে
দ্বারেদ্বারে খুজি ফিরি
আহা পাই না তারে।
সে হায় আমার মনের মানুষ
অন্তরে বাস করে
আমার অন্তরে বসে
তার অন্তরে কারে পূজে?
থেমে গেলে কেন আনিকা ?গাও না...কার গান এটা?
আনিকা বলে আমার লেখা ও সুর।তরঙ্গ বলে আরেক টা তোমার সৃষ্টি গান গাও না?
পরে একদিন গাইবো আজ উঠতে হবে আকাশ মেঘলা হয়ে এসছে ,যে কোনো সময় বৃষ্টি নেমে পড়বে।
- বৃষ্টি আসলে আশুক ,চলো উচু কোনো রেস্টুরেন্টে বসে বৃষ্টি দেখি সাথে কফি। তা ছাড়াও তোমাকে তো বাড়ী পর্যন্ত দিয়ে আসবই। থাকবে আনিকা ?থাকবে যতক্ষণ ইচ্ছে।
আনিকা বদনে হৃদয় রাঙানো মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে বলে থাকব। নাও হাতটা ধরো।
পাচ তলা কফি বারের কাঁচের দেয়াল ঘেষা টেবিল থেকে ধোয়া উড়ছে। মুখোমুখি বসে আছে আনিকা তরঙ্গ।বৃষ্টি এসে কাঁচের উপর লাগছে। লন্ঠন জালানো মৃদু আলোর পরিবেশ। আনিকা অতি কোমল কন্ঠে বলল পূর্বে কিছু নির্মম সত্য নিষ্ঠুরতা হয়ে গিয়েছে আমার জীবনে।জানো তরঙ্গ,একটা চাপ বয়ে যাচ্ছি অনবরত।যা আমি কখনো বলতে পারিনি কাউকে। বলতে চাইলেও বলতে পারিনা।তরঙ্গ বোজালো কষ্ট চাপা রাখলে মানুষিক সমস্যা হয় কাজে মন বসেনা। ভীতি চলে এসে বিকারগ্রস্ত করে দিতে পারে তোমাকে। তুমি জরতা ছেড়ে আমার কাছে খুলে বলো। তোমার নিজেকে চাপ মুক্ত হালকা লাগবে। তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো আমি কথা দিচ্ছি কখনো তোমাকে করুনা বা হেও পতিপন্ন করবনা। আনিকা বুজতে সক্ষম হয়ে তরঙ্গের চোখে তাকালো।
জানো তরঙ্গ প্রতিটি নারী, শিশু থেকেই নির্যাতিত হয়। এই নির্যাতনের মাত্রা মানসিক শারীরিক যৌনাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। পরিবার থেকে শুরু করে আত্বীয় প্রতিবেশী যে কেউ এই নির্যাতন করতে পারে। কিছু পুরুষ আছে যারা আদর করার ছলে সর্বনাশের বীজ বুনে শিশু শরীর ভক্ষণ করে। এমন কি উপহার ও ভয় ভীতি দেখিয়ে কৌশলে শিশুদের যৌন অত্যাচারে অভ্বস্ত করে। কিছু শিশু পারিবারিক সচেতনতার কারণে এই বিকৃত মনের মানুষ রুপি পশু গুলো থেতে মুক্ত। কিন্তু অধিকাংশ শিশুই ঐ পুশু গুলোর বৃত্ত থেকে বেরুতে পারেনা। অত্যাচারের অবেক্ত কষ্ট চেপে বড় হয় ঐ শিশু গুলো। তুমি কি ভাবতে পারো তরঙ্গ ,এই শিশু গুলো কি শিখে কি জেনে কি বুজে কি নিয়ে কি ভেবে বড় হচ্ছে ?কেমন হয় তাদের চিন্তা ভাবনা মন মানুষিকতা?
-তাদের চিন্তা ভাবনা কেমন হয়ে থাকে তা আমি উপলব্দি করতে পারবনা তবে বলতে পারি ওই সব শিশু গুলো পুরুষ বিদ্বেশি হীনমনতা নিয়ে নারী হবে। জলন্ত লাভার মতো দগ্ধ হয়ে বার বার হত্যা হয় তাদের হৃদয়। তবে আনিকা তুমি যে বিষয় গুলো বললে তা আমি শুনেছি ,এর প্রভাব সমাজে কতটুকু তা আমি জানিনা।
-আনিকা একটু রেগে উচ্চ স্বরে ,আমি জানি কোনো পুরুষ ই একর্ম শিকার করবেনা।বউ খেলা শেখাবে গল্প বলে আপত্তিকর অঙ্গ স্পর্শ করবে। সাধু সেজে আবার নাক ছিটকাবে,ঠাকুর ঘরে কে ড়ে ?আমি কলা খাইনা।
-আমি বুজিনা তুমি রেগে গেলে কেন আনিকা ?আমি তো বলিনি এই পাপ কর্ম হয় না,আর তুমি কেন আমাকে দোষছো?যারা এই কুত্সিত পাপ কর্মে লিপ্ত তাদের অনুসুচনা বোধ তৈরী হলে একদিন দেয়ালে মাথা কূটে মরবে।
-দুঃখিত তরঙ্গ। এই বিষয় টা চিন্তা করলেই আমি উত্তেজিত হয়ে যাই। তুমি রাগ করনা। আমি জানি তুমি পশু হৃদয়ের দুশ্চরিত্র না।এবার শোন বেশ কিছু জরিপ পর্যবেক্ষণ করে দেখিছি অধিকাংশ নারীর শিশু অবস্থায় অপদিক্ষা চাপ প্রয়োগ করে এক শ্রেনীর পুরুষ। এরা মুখোষ ধারী। মনে কাম ভাব নিয়ে সর্বনাশ করে নারী শিশুর ভবিষৎ। ওদের ছোবল থেকে রেহাই পাইনি আমি। বলতে পারিনি আম্মুকেও চোখের জলে বালিশ ভিজে রাত শেষ হয়েছে নিভাতে পারিনি অন্তদগ্ধতা। অন্তদগ্ধ হৃদয় বয়ে চলছি বহুকাল।
এক পর্যায় আনিকার শৈশবের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা শুরু করলো।
তখন বয়স পাচ কি ছয় হবে। আমরা গোরানে থাকি মা বাবা দুই ভাই দুই বোন। নিজেদের তিনতলা বাড়ী। তিনতলায় আমরা থাকি নিচ তলা দোতলা ভাড়া দেওয়া। দোতলার ভাড়াটিয়ার সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। প্রায় প্রতিদিনই খাবার দাবার বা অন্যকিছু আদান প্রধান হতো দুই পরিবারে। দেখা যেত তারা সকালে চলে যাবে যে যার যার কাজে। যাবার সময় চাবি আর দুই সন্তান আদিবা ও পরী কে রেখে যেতো আম্মুর কাছে। ওরা দুই বোন আমার বন্ধু ছিলো। তেমন ঝগড়া হতোনা আমাদের মাজে। আম্মু ওদের নিজের মেয়ের মতই দেখতো। আব্বু ভাইয়ারা আমার জন্য যা এনে দিতো ওদেরকেও তাই দিতো। আদিবার বাবা বিদেশে লোক পাঠাতো ,কি এক ঝামেলার কারণে বেশি সময় বাহিরে থাকতন না।কাজ শেষ করে আদিবার মায়ের আগে চলে আসতো।আদিবা, পরী ,চাবী ও আমাকে নিয়ে দোতলায় চলে আসতো। আমাদের তিনজন কে চকলেট বা আইস ক্রিম দিতো। আদিবা ও পরী কে দুই পাশে আর আমাকে কোলে করে গল্প বলতো। মাজে মেজে বলতো আমার লক্ষী তিন মেয়ে। গল্পের সময় আদিবার বাবার হাত থাকতো আমার আপত্তিকর অঙ্গে। আমি কাদলে পশু টা বলতো আমার দুই মেয়ে কাদছে না তুমি কাদছো কেন ?যে কাদে সে লক্ষী না। আদিবা ও পরী বলতো আমরা কাদিনা আমরা লক্ষী তাইনা বাবা ?কখনো আদিবা কখনো বা পরী বলতো আনিকা তুমিও কেদোনা তুমিও আমাদের মতো লক্ষী হতে পারবে। আমি লক্ষী হতে কাদতাম না আবার শুরু হতো গল্প আর শুরু হতো আমার লক্ষী থাকার প্রতিযোগিতা।আমি সয্য করতে না পেরে লক্ষী থাকার জন্য কান্না চাপা রেখে বলতাম আমি আম্মুর কাছে যাবো।আমার হাতে এক পেকেট মিমি চকলেট দিয়ে বলতো কাল আমরা নতুন গল্প বলবো,বাসায় গিয়ে কাদবেনা আম্মুকে কিছু বলবেনা তাহলে কিন্তু তুমি পঁচা হয়ে যাবে।পঁচা হলে তোমাকে শিশু পার্ক ,চিরিয়াখানায় নিয়ে যাবনা।কেউ তোমার সাথে খেলবে না। বাসায় এসে চুপচাপ থাকতাম। ভয়ে কিছু বলতাম না তা ছাড়া কতটুকুই আর বুঝি। ভাবতাম যদি আমি পঁচা হয়ে যাই।যদি আমাকে গল্প না শোনায় বেড়াতে নিয়ে না যায়।প্রতি রাতেই আদিবার মা আমাকে নিতে আসতো।কিন্তু এক রাতে আমি গেলাম না। আম্মু আন্টি কে বলে আনিকার শরীর খারাপ থাক ভাবী।আন্টি চলে যাবার পর আমি বলি আম্মু ওরা কবে চলে যাবে ?আম্মু বলে ঘুমাও।
একদিন আদিবার বাবা পশু লোকটা কোথায় যায়নি আমাদের নিয়ে স্কুলে গিয়েছে যাওয়ার পথে বলেছে আজ বিকেলে শিশুপার্ক নিয়ে যাবে। ছুটি শেষে আমাদের হাওয়াই মিঠাই কিনেদিলো। আমাদের গাড়ি চড়ে প্রতিদিনের মত বাড়ির ফটকে নামলাম। আমাকে আদিবা ও পরী জোর করে ওদের বাসায় নিয়ে গেল পশুটাও আম্মুকে জানিয়েছে আমি ওদের সাথে দুপুরে খাবো। পরী বলল আনিকা তুমি এখন আমাদের বাসায় বেশি আশোনা কেন ?তুমি না আশলে আব্বু গল্প বলেনা। পশু টা বলল কোনো গল্প নয় আগে খেয়ে নাও। খাওয়া শেষ করে গল্প বলে আদিবা ও পরী কে ঘুম পাড়িয়ে দিলো। আমাকে না ঘুম পারিয়ে বলতে লাগলো গল্প আজকের গল্প কোনো রাজা রানীর গল্প নয় আজ শোনালেন রাজকুমারীর গল্প। গল্পের ছলে আমাকে বস্ত্র বিহীন করে বিবেক হীন পশুটা আপত্তিকর অঙ্গে তার পৌরষ দন্ড ঘসতে লাগলো। আমি কেদে বলেছিলাম আমি গল্প শুনবোনা আদিবা পরী কে শুনাও।বাসায় যেয়ে কিছু বলতে পারিনি কারণ পূর্বের বয়ান ডেলে দিয়ে ছিলো।আমি আড়ালে সারাক্ষণ কাদতাম।কবে মুক্তি পাব এই পশুর থেকে। আম্মু জানতে চেয়েছিলো পশুটা আমাকে দমক দেয় কিনা ?আমি ভয়ে কিছু বলতে পারিনাই। আমি যদি আম্মুকে অথবা আপিকে নির্যাতনের কথা বলি তারা নাকি আমাকে ফেলে আকাশের তারা হয়ে যাবে। এরপর আরো ক একবার আমাকে কষ্ট অত্যাচার নির্যাতন দিয়ে একদিন পশুটা বিদেশ চলে যায়।
আমি মানসিক ভাবে অসুস্ত হয়ে পরি ,দুরন্তপনা কমে যায় রজ:বালা হওয়ার আগেই পুরুষ ভীতি চলেআশে।চুপচাপ থাকি বলে পুরো পরিবার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলাম শীতে। রাতে পিঠা তৈরির ধুম। আমার এক দুরের সম্পর্কের চাচা সব বাচ্চা দের নিয়ে গল্প বলছে সাথে আমাকে নিয়েছে। যেখানে বাঘের ভয় শেখানে রাত হয়।আমরা জবু থবু হয়ে কম্বলের নিচে শুয়ে গল্প শুনছি। চাচা আমার হাত টা ধরে তার লিঙ্গের উপর দিয়ে দিলো।
পরদিন আমরা ফিরে আসি। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি আম্মু ছাড়া কোথায় থাকিনি।
ঘটনার বর্ণনা শুনে তরঙ্গ স্তব্দ। অবাক দৃষ্টি মায়া মুখ করে চিন্তা করলো যে বেক্তির দুটো সন্তান। সাত ও পাচ বছর বয়স। সেই বাবা তার সন্তানের বয়সী সন্তানকে কিভাবে যৌন নির্যাতন করে। সে বাবা বিবেক হীন অন্ধ পশু স্বত্তাধারি।যৌন কামে মত্ত হয়ে এমন সর্বনাশ করে।পাগলের মতো বিলাপ করা শুরু করলো তরঙ্গ।
শিশু থেকেই কি প্রতিটি নারীর জীবনে কোনো শকুনাত্বক পুরুষ তার শয়তান রূপ দেখায় !প্রতিটি নারীর জীবনে এমন হলে পুরুষ ভীতি ঘৃনা শিশু থেকেই বেড়ে উঠবে।
এমন এক যাতনা নিয়েই কি প্রতিটি নারী ???
বোধ হীন পশুটার নাম তো বললেনা আনিকা ?
-ওই নাম মুখে নিতে ঘেন্না হয় তাই বলিনি। আর একটা বিষয় আদিবারা দেড় বছর পর বাড়ী বদলায়। কিন্তু আমাদের সাথে এখন অব্দি যোগাযোগ আছে। মাস খানেক আগে পশুটা আমাদের বাসায় এসেছিলো এতো দিন পর। আমাকে দেখে এমন এক ভাব যেন আমি সবকিছু ভুলে গেছি। শিশু বেলার স্মৃতি কি আর মনে আছে।
তখন তোমার মনের প্রতিক্রিয়া কি হয়ে ছিলো ?
-বাদ দাও মনের প্রতিক্রিয়া। দুই কাপ গরম কফি ঠান্ডা হয়ে গেলো কেউ ঠোট ই লাগলাম না ।
'আনিকা দেশের একটি পাবলিক বিদ্যা পীট থেকে স্নাতক শেষ করে। তার সখা ও আছে।পাঠকের বুজতে আর বাকী নেই আনিকা ,তরঙ্গের কি হয়।'
আনিকা এখন অনুভব করছে বুকের ভেতর চাপটা কম।প্রশান্তি লাগছে। নির্জন্জাল মনে করছে নিজেকে। সে শিশু জীবনের কথা ভুলতে পারেনা ,জীবনের এই প্রান্তে এসে মনে হলো অনেক ঘটনা সময়ের আড়ালে পড়ে গেছে সেই নির্যাতন। কত দিন পর পর নতুন করে জাগ্রত হয় সেই পুরানো স্মৃতি। তখন নিজেকে পাপ না করে পাপী মনে হয়।পাপ মুক্তের জন্য তরঙ্গের সাথে হলের ফলক করে নিজেকে পরিপূর্ণ সুম্পুর্না নারী অনুধাবন হলো।
হঠাৎ আনিকার মুঠো ফোন বেজে উঠলো। ঘুম ভেঙ্গে দেখে তরঙ্গের কল। কল না গ্রহণ করে স্বপ্নের কথা চিন্তা করলো ভাবলো এবং সিদ্ধান্ত নিলো শৈশবের লোমহর্ষক স্মৃতি তরঙ্গকে বলা যাবেনা। তাহলে খাল কেটে কুমীর আগমন হবে।ভাবতে পারে আরও কিছু হয়তো লুকচ্ছি।আমাকে আজীবন সন্দেহ করবে। এতো বড় হয়েছি এই কষ্ট বুকে নিয়ে কাউকে বলিনি। আজ আমি অনেক হারিয়ে অনেক সহে অনেক কিছুই শিখেছি। দৈর্য কি উপলব্দি করেছি। এখন পুরানো কথা বলে ভালবাসার গর্দান কাটতে পারবনা। তারচেয়ে ভালো নির্মম সত্য গোপনই থাক। আর কোনো আবেগ ই এই সত্যকে প্রকাশ করতে পারবেনা দৃঢ়পতিজ্ঞ করলো আনিকা। আরো কঠোর হয়ে নিজেই নিজেকে বলল শিশু কালের ওই সৃতি অন্তরে প্রভাব বিস্তার করতে দিবোনা। মনের গুন পোকাকে হত্যা করার শপথ করে একটি দুর্ঘটনা বলে ইতি টানলো।
এবং তরঙ্গের কল গ্রহণ করে স্বাবাভিক ভাবে প্রতিদিনের মতো কথা চালিয়ে যেতে লাগলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.