নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারান সুর

চাঁদোয়া

কথার পিঠে নতুন কথা চাপিয়ে মজা পাই, কথা কে নাকানি চুবানি খাওয়াতেও বেজায় পছন্দ আমার। আত্মবিশ্বাসের ফানুস সহসাই ফেটে যায়, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার নজির নেই বললেই চলে। মানুষ কে আনন্দ দেবার শেষ চেষ্টা করতে পারি.।.।।

চাঁদোয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যারিয়ারের গড়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ বিশাল বড় ফ্যাক্টর!

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

ক্যারিয়ারের গড়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ বিশাল বড় ফ্যাক্টর!

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যেয়ে টিচারদের মুখ দিয়ে এই কথা শুনতে শুনতে মাথা গরম হয়ে যেত। মামা, সিজিপিএ বাড়ানোর সহজ কোন উপায় আছে? প্রশ্নবানে জর্জরিত করতাম, বন্ধুদের।

মিনিমাম ৩ নিশ্চিত করতে না পারলে, লাইফ উইল বে হেল! স্যারদের এই ধরনের হুংকার শুনে বুকের ধুক ধুকানি বেড়ে যেত। সাথে সাথে পড়াশোনা স্টার্ট করার বিশাল প্ল্যান! ঐ প্ল্যান পর্যন্তই সার, বাস্তবে পড়াশোনা করতাম সুপার পি এল (প্রিপারেটরি লিভ) এর দ্বিতীয় দিন থেকে।

ফলাফল যা হবার তাই হত। কাংক্ষিত ৩ অধরাই থেকে যেত, কালেভদ্রে কোন সেমিস্টারে যদি তিন ক্রস করতাম তবে পরের সেমিস্টারেরই আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া এক ধরনের অভ্যেসে পরিণত হয়েছিল।

বড় ভাইদের শরণাপন্ন হলে ভাইয়েরা বলতোঃ এইটা নিয়ে মোটেই চিন্তা করিস না! স্যার গুলোর দিকে একবার তাকিয়ে দেখ, বয়স কোথায় যেয়ে থামছে একবার ভেবে দেখেছিস? ওনারা নিজে কখনো এতো নাম্বার পাই নাই, সুতরাং ওনারা নাম্বার দিতে কার্পণ্য করে। মনে করে, নিজের পকেট কেটে নাম্বার দিতে হচ্ছে। নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাক, আর কোন মতে পাস করে বের হ। এই কাগুজে রেজাল্টের কোন ভেলু আছে নাকি!

সিনিয়র ভাইদের কাছ থেকে এই ধরনের উৎসাহ পেয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরি ফিরি, আহা রূপসা ঘাঁট!!!

কিন্তু আসল বিপত্তি ঘটতো রেজাল্ট দেয়ার দিন। রেজাল্ট বোর্ডে চোখ রেখে মন খারাপ করে হলে ফিরে ধুমিয়ে মান্নাদের গান শুনি অথবা “হারজিৎ চির দিন থাকবে তবুও এগিয়ে যেতে হবে, বাধা বিঘ্ন না পেরিয়ে বড় হয়েছে কে কবে” টাইপড গান শুনে শুনে এনার্জি নিয়ে প্রতিজ্ঞা করি, সামনের সপ্তাহ থেকে এমন পড়া পড়বো, একদম ফাটিয়ে দিব!

আমার আর ফাটানো হয় না। মাঝে মাঝে আশার বেলুন এমনি এমনি ফেটে যায়!

একদিন ডাইনিং আমার পাশে বসে আস্তে আস্তে খাবার খাচ্ছে এক ক্লাসমেট। মুখে স্মিত হাসি। কে বলবে, এই ছেলেটা গতকাল যে রেজাল্ট দিয়েছে তাতে সব চেয়ে কম জিপিএ (সম্ভবত ২.৩৫) পেয়েছে।

আমি জিজ্ঞেস করিঃ কিরে মন খারাপ?

ওর তৎক্ষণাৎ উত্তরঃ মন খারাপ করুম কিল্লাই! ইতান হুন রিজাল্ট হইলো নি! আই ইতান কিয়ার করি ন!

বেটা বাঘের বাচ্ছা!

পাস করার পর বেশ বড় সড় একটা ধাক্কা খেলাম, অনেক কোম্পানি জবের অ্যাপ্লাই করার প্রি কন্ডিশন হিসেবে সিজিপিএ ৩ এর উপরে চাচ্ছে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অ্যাপ্লাই পর্যন্ত করতে পারছি না! ধুর!

কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আমাদের মধ্যে যাদের রেজাল্ট মোটামুটি মানের ছিল একে একে তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী হতে শুরু হল। আমিও ছয় মাসে দুইটা চাকুরী চেঞ্জ করে ফেললাম অথচ ঐ সময়ে যাদের সিজিপিএ অনেক হাই তাদের অনেকে জবই পায় নাই।

কিছুদিনের মধ্যেই লক্ষ্য করলাম, চাকুরীর ক্ষেত্রে আসলে সিজিপিএ কোন ব্যাপার না। আমার কলিগ ৩.৫ পাওয়া পাবলিক, অথচ আমি ৩ এর কোঠায় পার হতে পারি নাই।

আমার মত যাদের সিজিপিএ তিন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে নাই, তাদের উপরে একটা মোটামুটি মানের রিসার্চ করলাম। সকলেই ভালো অবস্থানে। অনেক বেশী ভালো অবস্থানে!

যেই বন্ধুটি সেদিন ২.৩৫ পেয়ে ডাইনিঙে বসে আস্তে আস্তে খাবার খাচ্ছিল, সে এখন কয়েকশো মেগাওায়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রোজেক্ট ম্যানেজার। যেই বন্ধুটি প্রতি সেমিস্টারে ২/৩ টায় ফেল মারতো, সে এখন এশিয়ার সব চেয়ে বড় ফুড কোম্পানির ম্যানেজার।

এমন উদাহরণ দিলে শতটা দেয়া যাবে।

তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, সিজিপিএ কম নিয়ে দেশে ভালো চাকুরী পাওয়া গেলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে গেলে বড় ধরনের একটা হোঁচট খেতে হবে!

একই ধারণা আমারও ছিল। কিন্তু সিজিপিএ তিন এর কম নিয়ে একে একে স্বপ্নের দেশ এমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে ভর্তি হচ্ছে তা দেখে আমার সেই ধারণা একদম মিথ্যে হয়ে গিয়েছে।

সর্ব শেষ এই মাসের শুরুতে ভিসা পেয়েছে, সিভিল ২কে৭ এর শুভ। ওর সিজিপিএ ২.৮৩।

আসলেই সিজিপিএ কোন ব্যাপার না। ফর্ম টেম্পোরারি কিন্তু ক্লাস পার্মানেন্ট!

আমার এই লেখা ২কে৮ ব্যাচ কে উদ্দেশ্য করেঃ You should remember, size doesn’t matter for chopping wood.

Go ahead………..

(বিদ্রঃ যারা সিজিপিএ তিন এর বেশী কিম্বা আরও আরও বেশী পেয়েছ, তারা অবশ্যই সব কিছুতে একধাপ এগিয়ে আছ)



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

আহসান ০০১ বলেছেন: যাক ভাই মনে জোর পাইলাম, ইনশাল্লাহ ৩ আসবে বের হয়ার আগে

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

চাঁদোয়া বলেছেন: চেষ্টা চালিয়ে যান।

২| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

রাতুল রেজা বলেছেন: নিম্ন মানের সিজিপিএ পাওয়া মানুষ গুলাই গুরুত্বপূর্নপদে রয়েছে যে কারনেই আমাদের দেশের এই হাল। যদি মেধাবিরা ঐ যায়গায় থাকতো তাহলে দেশের চেহারাটাই পালটে যেত। আমাদের দেশে যাদের রেজাল্ট খারাপ তারাই জব পায় কারন মামা খালু আর তাছারাউ কোম্পানীগুলাও মেধাবিদের সুযোগ দেয়না দেয় যত অখাদ্য রেজাল্ট করা ছাত্রদের। খুব ই খারাপ এগুলা। দুনিয়ার অবস্থা দেখে নিজের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্থ করবেননা, কারন লেখাপড়া একদিন এমন বিপদে কাজে দেবে যা ভাবতেও পারবেননা। ঐ মূর্খগুলাকে কোনোভাবেই সাহাজ্য করতে পারবেনা।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

চাঁদোয়া বলেছেন: আপনি যদি রেজাল্ট দিয়ে মেধা যাচায় করতে যান তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কোন ঘটনা হতে পারে না!
আমার লেখার উদ্দেশ্য, যারা কম সিজিপিএ নিয়ে হতাশায় ভুগছে তারা যেন এইটা না করে। সিজিপিএ কম থাকলেও তার যদি অন্য সকল ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞ্যান বেশী থাকে তাহলে অবশ্যই সে ঐ রেজাল্টধারীদের যেয়ে বেশী যোগ্য। সেদিন আর বেশী দূরে নেই যখন শুধু যোগ্যরাই সারভাইব করবে, রেজাল্ট কিম্বা মামা খালু আর ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে না। ধন্যবাদ

৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

মদন বলেছেন: +++

৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

সজীব৬১৪ বলেছেন: বুঝতে পারলাম না রেজাল্ট ভালো করা উচিৎ না খারাপ করা উচিৎ ?
খারাপ রা জব পায় ভালো জব পায় না, তাইলে আমি ১ পয়েন্টের নিচে নিয়ে বের হবো, তাইলে অনেক ভালো জব পাবো।

একটা কথাই বলবো....রেজাল্ট কি এটা দেখার কিছু নাই ক্লাস থাকলে জব পাওয়া যাবে। পড়ালেখা না করে খারাপ রেজাল্ট করে আর যাই হোক ক্লাস বাড়ানো যায় না ।

ধন্যবাদ
কেউকে হেও করা ঠিক না।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২০

চাঁদোয়া বলেছেন: কাও কে হেয় করা হয় নি। যারা কম সিজিপিএ নিয়ে হতাশায় ভুগছে তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটাই এখন বেশী।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: ভাই, সিজিপিএ বড় ফ্যাক্টর না (ভার্সিটির লেকচারার বাদে)। প্রাইভেট ফার্মে ভাই, মামা, চাচা ইত্যাদি কেউ থাকলে অথবা কম সেলারির ১টা চাকুরির অভিজ্ঞতা নিয়েই আপনি পরবর্তী জবে ঢুকতে পারেন।
সরকারির কথা আর নাইবা বললাম।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২০

চাঁদোয়া বলেছেন: অনেকটা সহমত।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: মনে একটু জোর পাইলাম ভাই।
তিন উঠতেছে ই না ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২১

চাঁদোয়া বলেছেন: টাইনা টুইনা তিন রাখার চেষ্টা করেন।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রাফছানজানি বলেছেন: সিজিপিএ যে আসলে ক্যারিয়ারে ব্যাঘাত ঘটায় না তা কিন্তু আপনি বলতে পারেন না। প্রথম প্রথম চাকরির জন্য একটা মিনিমাম জিপিএ দরকার হয়। আমি বলতেছিনা এটা ৪ হতে হবে। ৩.৫০ এর নিচে এখন ভালো ওরগানাইজেশন গুলো ডাকই দিতে চায় না।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

চাঁদোয়া বলেছেন: অবশ্যই আপনার কথা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এই সংখ্যাটা প্রতিটা ব্যাচে নেহায়েত হাতে গোনা যায়। তবে যেই বৃহৎ সংখ্যা রেজাল্ট করতে পারছে না, তারা কি হতাশায় ডুবে থাকবে?
তারা যেন হতাশ না হয়, সেই জন্য কিছু উদাহরণ দেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ

৮| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: আহসান ০০১ বলেছেন: যাক ভাই মনে জোর পাইলাম, ইনশাল্লাহ ৩ আসবে বের হয়ার আগে

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

চাঁদোয়া বলেছেন: ভেরি গুড

৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সজীব৬১৪ বলেছেন: সমস্যা একটাই বুয়েটের শিক্ষক হইতে পারবেন না। :P

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

চাঁদোয়া বলেছেন: খিক খিক!

১০| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সজীব৬১৪ বলেছেন: আরেক টা কথা সিজিপিএ ভালো কেন হবে না ?
একটা এভারেজ সিজিপিএ তো পাওয়া উচিৎ
৩ এর উপরে না পেলেও হবে কিন্তু ৩ থাকা মনে হয় ভালো।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

চাঁদোয়া বলেছেন: ১০০% সহমত

১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

নারিকেল-জিন্জিরা বলেছেন: আসলে কর্মক্ষেত্রে সিজিপিএ খুব একটা দেখা হয়না, কারন যিনি চাকরিদাতা উনি একজন চাকরি প্রার্থীকে বিচার করেন তিনি যে কাজের জন্য তাকে নিতে চাচ্ছেন তাতে সে কতখানি ফিট তার উপর বিচার করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব কম সিজিপিএ হলে কিন্তু এ্যাপ্লাই করা যায়না সেটাও মনে রাখা দরকার। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় একটা ফাউল ফ্যাক্টর হল (অনেকর ক্ষেত্রেই এমনটা হয় সবার জন্য না) যে যেই বিষয়ে ইন্টারেস্ট রাখে সে সেটাতে পড়েনা বা পড়ার সুযোগ পায় না। বা পড়লেও পরে চাকুরী জীবনে দেখা যার অন্য সেক্টরে কাজ করছে। যেমন বায়লোজীতে পড়ে পরে এমবিএ করে এখন ব্যাংকার! কি করবে, পেটতো চালাতে হবে! খুব কম লোকজনই আছে যে, যেই সাব্জেক্টে পড়াশুনা করছে সে সেই সেক্টরেই কাজ করছে।

তবে আমার কেন জানি মনে হয় সিজিপিএ তেমন কোন বড় ফ্যাক্টর না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিন্ত বিশাল একটা ফ্যাক্টর। কারন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা এক্সপোজার/নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। আর ভাল একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে আবার এসএসসি-এইচেসসি লেভেলে ভাল সিজিপিএ থাকা চাই। যাইহোক, আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল।

আপনার চাকরীজীবনের জন্য শুভকামনা।

ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

চাঁদোয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন

১২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৭

নীলতিমি বলেছেন: পড়ালেখা না কইরা াল ফালাইলে সিজিপিএ তো কমবোই ! X( X(

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

চাঁদোয়া বলেছেন: হাহাহাহহাহা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.