![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন কম্পুতার এবং তেলিকম মিস্ত্রি । লন্ডনে থাকি আর কামলা দেই। এইতো আর কি..!!
পাকিস্তানিদের রক্ত যতদুর পর্যন্ত গেছে ততদুর পর্যন্তই কুলসিত! আরো কমপক্ষে দুই যুগ হয়তো লেগে যাবে আমাদের! কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রায় তিন যুগ ধরে রক্তগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মিশে গেছে! পাশাপশি তারা তরুন প্রজন্মের বিশাল একটা অংশের মস্তিস্ককে বধির করে ফেলেছে! এদের সঠিক কিছু বলতে চাইলে কিংবা শেখাতে চাইলে তারা শুনতে পায়না এবং এরা সঠিক কিছু জানতেও চায়না এবং এরা বধিরই থাকবে!
খুবই হতাশাজনক হলেও এটা একটা আগলি ট্রুথ! প্রায় তিন যুগ ধরে একটা গোটা জাতিকে শিখতে দেয়া হয়নি! এবং এর পুরো কৃতিত্ব আমি পাকিস্তানকে দেই কারণ তাদের যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা তথা পোস্ট ওয়ার স্ট্র্যাটেজী সফল হয়েছে পুরোপুরি! এই পুরো খেলাটা পাকিদেরই! যেমন তারা ফেলে গেছে ভূমি মাইন, তারা রেখে গেছে রাজাকারদের খুবই শক্ত একটি দল! সেনাবাহিনীতে রেখে গেছে তাদের তৈরী করা গোয়েন্দাদের একটি দল! উল্লেখ্য তাদের মধ্যে এমন কিছু অফিসার ছিলো যারা বাংলা বলতে পারতো কিন্তু লিখতে কিংবা পড়তে পারতোনা!
এখনও বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু বই পড়ানো হয়! আমরা এখন পর্যন্ত ঐ জায়গাটাতে পুরোপুরি হাত দিতে পারিনি। এই দেশের কোমলমতি শিশু যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে মাদ্রাসায় পড়ে তাদের সঠিকটা শিখতে দেয়া হয়না! তারা আল-কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেয়ে তারা পাকিস্তানিদের তৈরী করা কিচ্ছা কাহিনীর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়! এটা পরিলক্ষিত হয় এবং পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে যখন আপনি পৃথিবীর নামকরা ইসলামিক পন্ডিত কিংবা স্কলারদের ওয়াজ কিংবা বক্তব্য শুনবেন এবং বাংলাদেশের এই শ্রেনীর মওলানাদের ওয়াজ শুনবেন!
উল্লেখ্য একই ধরনের দূষণ প্রায় সবগুলো ধর্মতেই হয়েছে, কি সনাতন কি খ্রিস্টান ধর্ম!
৪৬ বছরেও কি আমরা এই জায়াগটাতে হাত দিতে পেরেছি? সেই পাঠ্যপুস্তক গুলোকে বাংলায় রূপান্তর করতে আমরা এখনও পারিনি! আমরা কি স্বাধীন? আমরা কাগজে কলমে স্বাধীন হয়েছি কেবল এর চেয়ে বেশি কিছু নয়! আমাদের আরো বহুকাল যুদ্ধ করে যেতে হবে!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩
টিটু বলেছেন: বাংলাদেশের যারা স্কলার আছেন তাদের বক্তব্যগুলোও সুস্পষ্ট কারণ তারা পবিত্র আল কুরআন. ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন এবং সঠিক রেফারেন্স টানেন! যত রকম জঞ্জাল পাবেন তার সবই পাকিস্তান থেকে আগত এবং ইসলামের ভেতর তা ঢুকিয়ে ইসলামকে কুলসিত করার চেষ্টা করা হয়েছে তাদের নিজের সুবিধার্থে এবং ধর্মভীরু মানুষদের পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা চলেই যাচ্ছে! আরেকটি বিষয় খেয়াল করবেন বাজারে অনেক ছোট ছোট ইসলামিক বই পাওয়া যায় এবং এগুলো হচ্ছে আরেক ধরনের জঞ্জাল কারন ঐ সকল বইগুলোতে কোন ধরনের রেফারেন্স পাবেননা এবং তারা অলস মস্তিষ্কের মানুষদের পুঁজি করে ব্যবসা করছে এবং তাদের জানার পরিধিকে ছোট করে দিচ্ছে, ঠিক যেমনটি বাজারের ছোট ছোট পাঠ্যবিষয়ের নোট বই কিংবা গাইড বই পাওয়া যায়! এই দিনগুলোর কথা আমাদের মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) জানতেন এবং তাই তিনি সতর্ক করেছেন যেন আল কুরআন ও তার সহীহ হাদিস ছাড়া কিছু অনুসরণ না করি!
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
কালীদাস বলেছেন: কওমী মাদ্রাসায় উর্দুতে লেখা বই পড়ানো হয়? সত্যি? জানতাম না। সত্যি হলে এজিনিষ এখনও মডিফাই করা হচ্ছে না কেন? খুবই লজ্জাজনক। কাছাকাছি অন্য একটা জিনিষ টানি: তাবলীগের এগেইনস্টে আমি না আবার সাপোর্টারও না; এই গুষ্ঠীর অতিরিক্ত ইসলামি ভাতৃত্ববোধ মারানোটা হজম করতে পারিনা। এদের সাথে আবার জামাতের জারজদের চরম বাজে রিলেশন।
বাংলাদেশে যে ওয়াজ মাহফিল হয়, বেশিরভাগেই ইনডেপথ আলোচনা খুব কমই হয় লজিকাল রেফারেন্স সহ। এগুলা ব্যাপার না, কে শুনে মনোযোগ দিয়ে পুরা টাইম মোনাজাতের পর বিরানিটা কেরকম দেয় সেইটা হৈল আসল কথা
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
টিটু বলেছেন: তাবলীগ জামাতের উদ্দেশ্যটা মহৎ নিঃসন্দেহে, মুল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দেয়া, ভালো কাজ করা, স্রষ্টার ইবাদাত করা, খারাপ কাজগুলোকে অনুৎসাহিত করা, সমাজের জন্যও কাজ করা! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে
কিছু স্কলার ছাড়া বেশির ভাগ যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য তাদের জ্ঞান অতি সীমিত এবং যার ফলে গোড়ামি, অতি ভক্তি করতে গিয়ে যা ইসলামে কিংবা কুরআনে নির্দেশ নাই সেগুলো প্রাধান্যের মধ্যে চলে আসে! এবং যথাক্রমে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে যায়! কুরআন ও মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) সহীহ হাদিস নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা সঠিক জীবন ব্যবস্থার দলিল! কিন্তু আমাদের অলস মস্তিষ্ক মানুষের মুখের কিচ্ছা কাহিনীর গল্পতে অভ্যস্থ হয়ে গেছি, তাই আমরা অতি দ্রুত পথ হারিয়ে ফেলছি!
ঠিক একই রকম ঘটেছে অন্যান্য ধর্মের বেলায়!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এটা পরিলক্ষিত হয় এবং পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে যখন আপনি পৃথিবীর নামকরা ইসলামিক পন্ডিত কিংবা স্কলারদের ওয়াজ কিংবা বক্তব্য শুনবেন এবং বাংলাদেশের এই শ্রেনীর মওলানাদের ওয়াজ শুনবেন!
এক্কেবারে খাসা বলেছেন। সো ট্রু!