![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচুর স্বপ্ন দেখি,কিন্তু প্রচুর হতাশায় ভুগি| প্রচুর কাজ করি,কিন্তু প্রচন্ড অলস| জীবনকে উপভোগ করার পক্ষে, কিন্ত জীবনের সার্বিক যোগফল শুন্য বলে মানি| পেশা তথ্যভান্ডার ও যোগাযোগপ্রকৌশলে, যদিও মাঝে মাঝে বড়োই নির্লিপ্ত যোগাযোগে; মানুষ ছাড়া থাকতে পারি না কিন্তু নিসংগতা সবচাইে বেশি উপভোগ করি|সব মিলিয়ে ‘জনারন্যে নিসংঙগ পথিক’ |
বহুবিধ ক্ষ্যাতীয় আচরণ ও বেশভূষা লইয়া এই মানবজন্মের কিয়দংশ পার করিয়া দিয়াছি। বাকি অংশ ও পার করিয়া দিতে পারিব বলিয়া দৃঢ় আশা পোষণ করি। গতকল্য মুরুব্বীকূলের একজনের অনুপুঙ্খ ঝাড়ি খাইয়া মসীধারণ (ওরফে কীবোর্ড) করিয়াছি ব্লগারকূল এর সহিত ভাগাভাগি করিয়া কিঞ্চিৎ মনোবেদনা লাঘব করার জন্য।
নব্য চাকুরীতে যোগদান করিয়া প্রথম জোড়া জুতা যথেষ্ট মুদ্রাপ্রদান বাবত বাটা হইতে কিনিয়াছিলাম বেশ খেয়াল আছে। তিনমাসাধিক পরে সোলভাঙ্গা সেই জুতাজোড়া যখন কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে পরিত্যাগ করিয়া স্যান্ডেল পরিয়া ঢাকায় প্রস্থান করিলাম , সেই হইতে বাটাকে তালাক প্রদান করিলাম। পরবর্তীবার দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য বলিয়া এপেক্স এর একজোড়া জুতা দুই-সহস্রাধিক মুদ্রা দ্বারা ক্রয় করিলাম।
কিন্তু বিধিবাম। ২০০৭ অগাষ্টের এক প্রত্যুষবেলায় তস্করবাবাজী পুরো ব্যাচেলর নিবাসের পাদুকারাজী সাফা করিয়া দিলেন, নগ্নপদে তৃতীয়তলার সুন্দরী 'আফা'ত্রয়ের পিতার নিকট প্রথম পরিচয়েই জুতাভিক্ষা করিয়া মান বাঁচাইলাম।
অতপর ক্ষুব্দ বিক্ষুব্দ হইয়া চারিটি শোরুম খুঁজিয়া একইজোড়া জুতা পুনঃবার ক্রয় করিলাম।হৃদয় শান্ত হইলো। কাহিনী এই জুতাজোড়াকেই লইয়া।
মাসতিনেক পার হইয়া গেলো, আমার একমাত্র পাদুকাযুগল ও তার বরণকালীন কমনীয়তা ও ঔজ্জ্বল্য হারাইতে লাগিলো। ইহাকে পালিশ করানো জরুরী বোধ করিলাম। সেই সময় আমি ও বন্ধুবর রানা বহুলাংশে দুষ্টামি আর কিয়দংশে তাড়িত হইয়া প্রতিদ্বন্দী
আরেকটি প্রতিষ্ঠানে কামলা খাটিবার জন্য আবেদন করিয়াছিলাম, আচম্বিত সেইখান হইতে আমন্ত্রণ আসিলো ‘যোগ্যতা নিরুপন’ এর নিমিত্ত।
সপ্তাহখানিক আগে হইতেই চিন্তামগ্ন হইলাম , প্যান্টের বেল্ট
খানা জীর্ণ হইয়াছে, উহা নতুন খরিদ করা দরকার, পরিধেয় যাহা আছে তাহা দিয়া চালাইয়া দেওয়া যাইবে কিন্তু এইবার জুতা পালিশ নিমিত্ত মুচিবাবাজীর কাছে গমন অবশ্যকর্তব্য প্রতিপন্ন।
দেখিতে দেখিতে সেই দিন আসিয়া পড়িলো। দোনোমোনোভাব নিয়া সিদ্ধান্ত নিয়াছিলাম কর্মস্থল পরিবর্তন করিব না, তাই কোনরূপ প্রস্তুতিগ্রহঅণ করি নাই। কিন্তু শেষ মূহুর্তে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচিত একজন ফোন করিয়া বলিলেন, জার্মান ও থাই নিবাসী দুই উচ্চকর্তা এই দিনমজুর এর জন্য অপেক্ষমান ! কি আর করিবো, তৎকালীন বসকে বলিলাম, তিনি কহিলেন তাহাদের অসম্মান হইবে, যাইয়া একটু দর্শন দিয়া আসো। সেই নিস্পেষিত জুতাজোড়া, সেই জীর্ন বেল্ট আর মাসকয়েক ইস্ত্রী না করা শার্ট পরিয়াই গেলাম।
যাহা হোক, এই যাত্রা শেষ। মাসখানিক পরে অন্তুর্জাল-বার্তা আসিলো, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও দলপ্রধান সম্মিলিতভাবে আমি নামক 'পদার্থ'টিকে দর্শন করিতে ইচ্ছুক। পুলক জাগিলো মনে, এইখান হইতে যাওয়া হোক বা না হোক, সাফল্যের সুঘ্রাণ পাইতেছি। এইবার
নিজেকে কিছুটা ঘষিয়া মাজিয়ে উপস্থাপন অনেকটাই অবশ্য অবশ্য কর্তব্য। নিজে ব্রাত্যজন , তাহা বলিয়া কাকের কি পেখম মেলার স্বাদ থাকিতে নাই?
হা হুতোম্মি! অতঃপর সেই একই অগতি তাহদিগকে তিন ঘন্টা অপেক্ষমান রাখিয়া বিলম্বহেতু পুনঃপুনঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করিয়া রাত্রি নয়টায় হাঁফাইতে হাঁফাইতে আসিয়া যখন পৌছিলাম (কারণ জনৈক মুঠোফোনসেবাদাতাচালক এর একটি সিস্টেম উদরাময় আক্রান্ত হইয়া সিডিআর নামক মূল্যবান বস্তুটি মলের মত ত্যাগ ও বমন করিতেছিলো) , পরিস্থিতি বেগতিক। সেই জীর্ণ বেল্ট ও জুতা তো আছেই, উপরি হিসাবে নিজ ঘর্মাক্তদেহের যথেষ্ট এর চাইতেও বেশী গন্ধ আমার নিজেরই নাসারন্ধ্র বন্ধ করিবার উপক্রম করিতেছিলো , তাহাদিগের অবস্থা জানি না।
অতপরঃ আরো দুইবার সেই প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে যাওয়া হইয়াছিলো। ততদিনেও আমি অপরিবর্তিত বাস্তবতা বহন করিয়া চলিতেছি। মৌলবাদী আচরণসুলভ জুতাজোড়াকে মূল অবস্থায় রাখিয়া দিতে দৃঢ় সংকল্পবন্ধ।
ইত্যবসরে অনেক জল অনেক নাটক ঘটিয়া গিয়াছে, হিসাব নিকাশকে উল্টাইয়া দিয়া নব কর্মস্থলে যোগদান স্থির হইলো। পুরাতন সহকর্মীগনের ভালোবাসার দান নতুন শার্টটি পরিয়া , তাহাদের প্রদানকৃত জিলেট কিট দিয়া শ্রশ্রুমোচন করিয়া এবং তাহাদেরই সুগন্ধি মাখিয়া যোগদান করিলাম , ধ্রুব বাস্তবতা হিসাবে সেই অপালিশকৃত জুতাজোড়া সঙ্গ দিতেছিলো।
তাহার পর আপডেট এইরূপঃ
কার্যাপোলক্ষে মার্চে যাওয়া হইলো জাকার্তা। ভাবিলাম ক্ষীণজীবনের প্রথম বৈদেশভ্রমণ , জুতাজোড়াকে কিঞ্চিৎ চকচকে করিয়া যাই। হইলো না।
আসিয়া সমাবর্তন পাইলাম। জীবনের অন্যতম একখানি অনুষ্ঠান। তীব্র বাসনা থাকিলেও
সময়াভাবে এবং পরে নিরাপত্তার বলয়ে মুচির অভাবহেতু আশা পূর্ণ হইলো না।
ধূলিধুসরিত অযত্নে পদদলনের নিস্পেষনের শিকার জুতাজোড়া তাহার জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিলো, ইত্যকালে বিবাহ সম্মেলন কার্যাপোলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনে আমার পদযুগলের বস্তুর দিকে মনুষ্যপ্রজাতির ইঙ্গিতপূর্ণ দৃষ্টিনিক্ষেপন চলিতে লাগিলো।
চারিটি বান্ধব, পঞ্চ সহকর্মীর বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন হইলো। অপরিবর্তেনয় বাস্তবতা বহমান। তদ্দিনে এই বিষয়টি বান্ধবমহলে ব্যাপক রটনা ছড়াইয়াছে। দুষ্ট বালকেরা কহিতে লাগিলো , আমি নাকি কি জানি পণ করিয়াছি। (আফসুস )
সেপ্টেম্বর এ আসিয়া একটি বিরল সুযোগ আসিলো । বিশেষ শিক্ষাগ্রহণ ও কামলা খাটিবার নিমিত্ত ইউরোপ মহাদেশ ভ্রমণ। ভাবিলাম , এইবার তো মান রাখিতেই হয়,
জুতাজোড়াকে ইউরোপ উপযোগী না করিলে কেমন দেখায়।
হায়! দোহা’র ঊষর মরু দ্বারা আচ্ছাদিত হইলো, বার্লিনের বৃষ্টি দ্বারা ধৌত হইলো, প্রাগের
দ্বাদশশতাব্দীর পাথুরে রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত হইলো , তাহার কপালে পালিশ জুটিলো না। পোল্যান্ডের হালকা তুষার ও তাহাকে স্পর্শ দিয়া গেলো, মুচির স্পর্শ জুটিলো না। সহকর্মীদ্বয়ের তীব্র বাক্যবানে আহত পরাহত হইয়া ল্যুভর এর পিছনে পালিশের দোকান দেখিয়া খেপিয়া উঠিয়াছিলাম , কিন্তু বিনিময়বাবদ নয়টি ইউরোপীয় মুদ্রা শুনিয়া কাতর হইয়া নিরস্ত হইলাম ।
আরো একটি ঈদ ও অনেক দিবস রজনী অতিবাহিত করিলো তাহারা, পুনরায় ঈদ সমাগত; ভাবিলাম – অনেক বিলম্ব হইয়াছে । আর দেরী নহে। এইবার তাহার গতি করিতেই হয়, মুচির হস্তে সমর্পণ, প্রৌঢ় বয়সে খানিকট ঔজ্জ্বল্য যদি ফিরিয়া আসে ।
আমার ক্ষ্যাতীয় সঙ্গী ...... মন পুড়িয়া যায়...
পরিতাপের সহিত জানাইতেছি যে , আমার বিশ্বস্ত সঙ্গী এই পাদুকাযুগল ক্রমাগত নির্যাতন অবহেলা শোষণের পরিনামে, যুগপৎ নিজেদের দেহ কিঞ্চিৎ ছিন্ন করিয়া ভদ্রসমাজে ব্যাবহার অনুপযোগী হইয়া পড়িয়াছে। (
)
গত সপ্তাহ হইতে তাই আমি প্রবল অনুশোচনা, মনোবেদনা ও পরিতাপের সহিত জীবনটাকে যাপন করিতেছি।
ক্ষ্যাতগিরির এমন বিশ্বস্ত সঙ্গী আর কবে কোথায় পাইবো?
গলার বস্ত্রখন্ডটি লটকাইবার অপটু দক্ষতাহেতু ক্ষ্যাতগিরি
পাস করিয়া বাহির হওয়া যাবত নিরন্তর কামলা খাটিতেছি। জ্ঞানদান এর সম্মানিত পেশা হইতে শুরু করিয়া আক্ষরিক অর্থেই মাটিতে বসিয়া যন্ত্রপাতি-তার-প্রযুক্তিপণ্য টানাটানির কামলাগিরি ইস্তক।
ইত্যবসরে কর্মসূত্রে বহুৎ স্থানে গমন নির্গমন আহার বিহার হইয়াছে। আমিও যথারীতি নিজস্ব কামলার বেশেই সকল কিছুতেই নির্বিকার অংশগ্রহন করিয়া গিয়াছি, কিছু বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করিলে। যেমন রেডিসন নামক অভিজাত সরাইখানার এক উচ্চমন্য প্রহরী একবার সন্দেহ পোষণ করিয়াছিলো আমি সত্যকারই আমন্ত্রিত অতিথী কিনা জানিতে চাহিয়া। আরেকবার জাকার্তা ম্যারিয়টের অপ্সরী স্বাগতমকন্যা প্রবল সন্দেহের চোখে তাকাইয়া যথারীতি কিন্নরী হাস্যমুখে ফুল না দিয়া ডোর কার্ড চাহিয়াছিলো (অপমান অপমান )
কিয়ৎকাল পূর্বে একটি উচ্চমান সরাইখানাতে অনুষ্ঠেয় আয়োজনে আমন্ত্রিত হইয়া দলনেতার অনুরোধে অংশগ্রহন্মুখ হইলাম। নির্দিষ্ট দিনে আমন্ত্রণপত্র পড়িয়া মস্তিস্ক উত্তপ্ত হইলো। তাহার পর গৃহে ফিরিয়া বার্তা দিলাম আমি ব্যাথায় কাতরাইতেছি। কারণ?
কারণ দুঃখের কথা (আমার নিকট সুখের কথা) হইলো তিন বৎসরাধিক অধীন জীবনে নিজের গলায় অধীনতার স্মার্টসুলভ বস্ত্রখন্ডটি লটকাইবার প্রবৃত্তি বা সেই পর্যায়াধিক স্মার্ট হইতে পারি নাই। ‘খুদাপেজ’।
শুধু একবারই ব্যাত্যয় ঘটিয়াছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হইবে , সবারই আশা-আশংকা-শংকার অবশেষ হইতেছে না। জনগণ ব্যাপক আয়োজন করিতেছি, কেউ চুল কাটিতেছি, কেউবা পরিধান ক্রয় করিতেছে, কেউবা জুতা কিনিতেছে। আমিই নির্বিকার বসিয়া বোরকার মত গাউনটি পরিবার কসরত করিতেছি। সমাবর্তনের দিন অধমকে বস্ত্রখন্ডটিবিহীন দেখিয়া আমাদের আব্বুসুলভ রুপম তাহার পিতার ১৯৬৭ সালের একখানা ‘টাই’ তড়িৎগতিতে ফাঁস লাগাইয়া দিলো, আর তাহা সারাদিন আমি দড়ির মত বহিয়া হাঁসফাঁস করিতে লাগিলাম।
দড়ির মত ঝুলিতেছে ক্ষ্যাতের গলায় ...
ক্রয় , উপহার বা প্রাপ্তির তালিকাতে ও কখনো এই বস্ত্রখন্ডটি আসে নাই। বিধাতার নিকট প্রার্থনা, এই বস্ত্রখন্ডটি আমার মূল্যবান সম্মুখদেশে ঝোলা যত দীর্ঘায়িত ও ঝোলার সময়টুকু যত সংক্ষিপ্ত হয় , তাহাই মঙ্গল। একান্ত বাধ্য না হইলে না ঝুলিলে আরো মঙ্গল। কুকুরের পেটে ঘি সহ্য হইবে না, মনীষিগণ এমনিতেই বলিয়া যান নাই।
ক্ষ্যাতগিরি দীর্ঘজীবি হউক, বলেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
দ্রষ্টব্যঃ কিছুই লিখিতে ইচ্ছা করে না। বন্ধুবর জাকারিয়ার সনির্বন্ধ অনুরোধে অপটু বানানে
ইহাই লিখিলাম। কী করিবো, ক্ষ্যাতের যোগ্যতায় যাহা কুলায়।
ফারহান ভাই ও অন্যদিগের প্রতি কাতর অনুরোধঃ নিশ্চিত পর্যাপ্ত পরিমাণ বানান ভুল বিদ্যমান, মাইনাস প্রদানপূর্বক জ্ঞাত করিলে শিক্ষালাভ করিবো।
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০১
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
অভিবাদন !! হে ভ্রাত, আপ্লুত হইলাম।
আমিও ইদানীং সপ্তাহে অন্যুনপক্ষে তিনদিন পদযুগলকে ভিটামিন ডি সেবন করাইতেছি
বলিয়া ফেলুন হে রসিকপ্রবর, আপনার এইজাতীয় লেখনী বরাবরই উচ্চকলরোল হাস্যসহকারে নির্মল বিনোদনের উৎস ...
২| ২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর লিখলেন , অভিবাদন গ্রহন করুন ।
সফটওয়্যারের কামলা হওয়ায় অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করি , পায়ের চামড়ার সর্বদাই সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি গ্রহনে ব্যাপৃত থাকে ।
আপনার জুতা-শোকসন্তপ্ত হৃদয়কে সান্ত্বনা দেবার খানিক ভাষা অবশ্য আছে , কিন্তু সেই ঘটনা আমার জন্য নির্মম বেদনাদায়ক , বিধায় বলতে ইচ্ছে করছে না
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৭
রাব্বি ! বলেছেন: টাইটা একদিকে কান্নি মেরে আছে
আপনার মতো দূ:র্দিন এখন আশে নাই জীবনে, ঐ টা গলায় না লটকায়া পার করে দিলাম অনেক দিন।
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:২৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: বুঝেন তো ভ্রাত, ক্ষ্যাত ঝুলাইছে দড়ি .... কান্নি মাইরা যে ঝুইলা আছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:২৮
রাগিব বলেছেন: বিয়ের পরের অল্প কয়দিন বাদে সারা জীবনে টাইটুই পরতে হয় নাই। বাঁধতেও জানি না। সারা জীবনে যাতে টাই পরতে না হয়, ঐ দোয়াই করি।
সর্বশেষ জুতাটিও কি এপেক্সের? বাটার মান পড়ে গেছে নাকি? ওদের জুতা তো ১০ বছরেও কিছু হতো না ...
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
আমি ও দোয়া করলাম আপনার জন্য। আপ্নেরাও আমাদের জন্য করেন।
রাগীব ভাই, বাটা এখন ফাটা।অথচ নিউমার্কেট বাটা বাজার থেকে ১৯৯৮ এ স্যান্ডেল কিনে ২০০৫ এ ও পরেছি খেয়াল আছে।
এখন মঞ্জুর এলাহীর এপেক্সই ভরসা। এক দোস্তের পায়ে দেখলাম ঝিগাতলা মেড। খারাপ না কিন্তু। নেক্সট ওইখানেই একবার যাবো চিন্তা করতেছি।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:২৯
রাতমজুর বলেছেন:
ইশটাই আম্মো বানবার ফারি না
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৪
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: আম্মো পারি না।
একবার রুমমেট এর ভাইভা, জিএমজিতে। টাই কিনে এনেছে, কিন্তু বাঁধতে শেখে নাই। আমি সাহস দেই, কোন ব্যাপার না। ইন্টারনেট ঘেঁটে প্র্যাক্টিস করে
তার গলা আর টাই হাতে নিলাম।
পাশের বাসার বড়ভাই উদ্ধার না করলে হত্যাকান্ডের শিকার ও হত্যাকারী হিসাবে দুইজনের পরিচয় দিতে হত। মান ইজ্জত এক্কেবারে চাঙে
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
জনৈক আরাফাত বলেছেন: টাই হইলো পুরুষ মাইনষের উইকেস্ট পয়েন্ট!
একবার বাধিয়াছিলাম.।যখন কর্পোরেট হইয়া ভাইভা দেবার শখ জাগিয়াছিলো.।
এখন আর না!
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
কর্পোরেটে কামলা খাটি। মাগার টাই? নৈবচঃ
নৈবচঃ
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ২০০০ এ একটা বাটা স্যান্ডেল শু কিনেছিলাম , ছিঁড়ে না দেখে ২০০৬ এ মোটামুটি ভাল চেহারাতেই একদম ভাগাড়ে নিক্ষেপ করেছি । এরপর যে বাটা কিনেছিলাম , সেটা বেশ তাড়াতাড়িই পটল তুলেছিল ।
অ্যাপেক্সে একদম ডিজাইন থাকে না কেন ? দাম বাটার চেয়ে অনেক বেশি , কোয়ালিটিও হয়ত ভাল , কিন্তু একটা ফোটা মাঞ্জাও থাকে না ।
টাই বাঁধা ? জীবনে ২ বার টাই পড়েছি । সব ইতিহাস একসাথে করে একটা সম্পূরক পোস্ট দেয়ার ফন্দি আঁটছি
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: ফন্দি টন্দি বুঝি না ভ্রাত। সম্পূরক পূরক যাহাই হোক পোস্ট চাই, পোস্ট চাই।
এপেক্স সম্পর্কিত ইহা অতীব সত্য কথা। তাহারা বোধকরি সন্ন্যাসব্রতে লিপ্ত রঙ-গন্ধহীন ব্যাক্তিবর্গের নিমিত্ত পাদুকা নির্মাণ করে।
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০১
একজন সুখীমানুষ বলেছেন: গত ৩-৪জোড়া জুতার সবই বাটার বিভিন্ন ছাড় থেকে কিনেছি। আসলেই বাটার মান আগের মত নাই
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৪
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
পালিশ না কইরা দুই বছর পরা যাইবো? তাইলে দুইখান কিনতাম পারি.।।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৬
অদ্রোহ বলেছেন: নীলক্ষেতের মোড় হইতে তুমুল বাহাসের পর খরিদ করা সাদা রং্যের চটিযুগলই এখন আমার ভরসা(আগের পাদুকাজোড়া তস্কর মহদয় বগল করিয়াছিলেন কিনা ) ।যাহা হুক,উহাই এখন দিবানিশি আমার চরণযুগলে শোভা পায়,তার জন্য আমাকে অনেকে অপগণ্ড বলিয়া ভর্তসনা করে,আমি অবশ্য তাহাতে কিছুমাত্র কর্ণপাত করিনা।
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৪৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
বুক মিলান ভাইডি, বুক মিলান। আরেকডিরে পাইলাম
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০১
অদ্রোহ বলেছেন: ্বগল=বগলদাবা
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০৮
সৌরভ সাখাওয়াত বলেছেন: তৃতীয় তলার ভদ্রলোকের পরিচয়, আফা'ত্রয়ের পিতা !
বাটা নিয়ে আমারও অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। দ্বাদশ শ্রেনীতে থাকা কালীন নিজের লেখা থেকে কামাই করা টাকা দিয়ে এক জোড়া সেন্ডেল কিনেছিলাম। ঠিক তিনদিনের মাথায় ফেটে চৌচির। নিজের আয়ে প্রথম নিজের জন্যে কেনা, ব্যাপক মেজাজ খারাপ হয়েছিলো।
গোলামীর স্মারক নিয়ে তোমারে কিছু না বলা বোধ করি নিরাপদ। তবে কামলা সবাইরেই খাটতে হয়।
আশা রাখছি তোমার বিবাহের কথা বার্তা চুড়ান্ত হওয়ার আগেই তোমার সুমতি হবে। তবে বিবাহ সঙবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যদি তুমি তোমার পোস্ট-এ প্রকাশিত জুতা জোড়া পড়ে উপস্থিত হও খুব একটা অবাক হবো না।
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫২
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
হে ভ্রাতঃ বিবাহকালে এই পাদুকাযুগল ব্যাবহারের পরিকল্পনা কল্পনা ও মাথায় রাখিয়াছি ... ... ...
‘আফা’ত্রয় এর গুণ ছিলো বলিয়াই তাহাদের জনককে তাহাদের পরিচয়ে পরিচিত করানো হইয়াছে ... ... ...
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৩৩
বিডি আইডল বলেছেন: খাসা....
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৩৫
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ভ্রাতঃ খাসা কি? পাদুকাযুগল ?
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬
নাজমুল আহমেদ বলেছেন: ওহে ভ্রাতা এই জন্যই আমাদিগকে সবাই ক্ষ্যাত বলিয়া সম্বোধন করে। তবে এই ক্ষ্যাত শব্দটা শুনিতে মোটেও খারাপ লাগে না। এই জীবনে একবার বহু বিপদে পরিয়া টাই লাগিয়েছিলাম, অদ্যবদি পর্যন্ত আর কোন দিনই টাই নামক গলার ফাঁসটা এই ক্ষ্যাতের গলায় ঝুলাই নাই, আপনাদিগর মত বিশিষ্ট ক্ষ্যাত বর্গের কাছে দোয়া চাই যাতে কোনদিন না পরা লাগে। আর পা যুগলকে তো আর কিছু দিয়াছি আর না দিয়াছি ভিটামিন-ডি এর অভাব তাকে কোনদিন বুঝতে দেই নাই। এই প্রবাসেও এক জোড়া দেশ হইতে আনা চটি স্যান্ডেলই আমার ভরসা। প্যান্টের ভিতর ঢুকাইয়া শার্ট পরাও কোনদিন হয় নাই, টি-শার্ট ই আমার একমাত্র সম্ভল ভ্রাতা।
আপনার জুতা-শোকসন্তপ্ত হৃদয়কে সান্ত্বনা দিতে আমি যাব না খালি চোখে ফিরাইয়া নিজের চটি জোড়ার বেহাল অবস্থা দেখছি আর ভাবছি ক্ষ্যাত'রা তো এমনই হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
আহ শান্তি। দেশী ক্ষ্যাত বৈদাশী ক্ষ্যাত প্রবাসী ক্ষ্যাত পরবাসী ক্ষ্যাত সব একসাথে। আসেন বুক মিলাই।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০৪
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগিলো খ্যাত গিরির গল্প একজন খ্যাতের কাছে যার গত দশ বছরে দশ মাস জুতা পরার দুর্ভাগ্য বরন করতে হয়েছে। টাইয়ের গ্যঞ্জামে এখনো পড়ি নাই তবে তাহা না ব্যবহার জনিত কারণে প্রায়ই পিতা কর্তৃক জ্ঞান লাভ করিতে হয়। অবশ্যি শেখ সাদী সাহেব এখন পর্যন্ত তার গল্পটি দিয়া আমাকে বর্মের ন্যায় আড়াল করিছেন। কতদিন করবেন জানি না।
২৮ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: আহ শান্তি! আরো একজন পাওয়া গেলো।
এখনো কি ম্যাডোনাতে বসেন। আমি আপনাদের বাঘের গুহায় গত দুইমাস আস্তানা গেড়েছি, ১০টা-১টা, ২টা-৬টা । ৩ তলা সম্মেলন কেন্দ্র (পশ্চিম)।
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
শিবলী বলেছেন: 'প্রোফাইল পিক' এ - এ কোন পাদুকার পস্চাতদেশ?
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
কি চক্ষুরে বাবা ! নাহ, উহা অন্য একখানি কেডস জোড়ার পশ্চাতদেশ (জ্ঞান হইবার পর কিনা একমাত্র কেডস )... তাহা পদযুগলে গলাইয়া রাঙামাটির শুভলং এ বিশ্রাম যাপন করিতেছি ...।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: /*জনৈক মুঠোফোনসেবাদাতাচালক এর একটি সিস্টেম উদরাময় আক্রান্ত হইয়া সিডিআর নামক মূল্যবান বস্তুটি মলের মত ত্যাগ ও বমন করিতেছিলো.................*/
উক্ত বাক্যখানা সিংহভাগ ব্লগারদিগের মস্তকের উপর দিয়া চলিয়া গিয়াছিল, বোধ হইতেছে!
সমাবর্তনের মুখচিত্রে আপনার বদনখানি কর্তনের হেতু ঝাতি ঝানিতে চাহে!
২৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:২৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
আমার এই লেখাটি সত্য সত্যই হাবিজাবি হইয়াছে ভ্রাতঃ , তাহার উপর অনাবশ্যক প্রসঙ্গ ও অহেতকু দীর্ঘায়িত; ড্রাফট করিতে চাইলেও করিতেছি না, প্রিয় কিছু ব্লগারের মন্তব্য শোভিত করিতেছে।
ব্লগে ঠিক যেই কারণে নিজের একটি উপাধীকে নিক হিসাবে নিয়াছি, সেই কারণেই মুখচিত্র প্রদর্শন করিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করি। মুখপুস্তিকায় দেখিয়ে লইও
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: একটা জুতা ছিল, বাপের দেয়া। ১টা কেডস ছিল, মামুর দেয়া। এক দোস্তর বিবাহে যাওয়ার দিন আবিষ্কার করলাম, জুতার তলা খুলে গেছে বহুদিনের অব্যবহারে, আর একদিন হলে যাইবার প্রাক্কালে খেয়াল হইলো কেডসখানাও খুলিয়া গেছে। জীবনের এই ২ সম্বল হারানোর পরে আর কিনিবার সাধ হয় নাই, সুপার গ্লু লাগায়া চালাইয়া দিবার তালে আছি।
টাই বাঁধতে পারি না। এক দোস্তর বিয়াতে তার টাই বাঁধা নিয়া আমাদের ৪ জনের টানাটানিতে তার পটল তুলিবার উপক্রম হইয়াছিল, সেই করুণ কাহিনীর ছবি তোলা আছে।
বিয়া কইরা ফেলেন, শ্বশুরে নয়া জুতা উপহার দিবে আশা করা যায়।
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
উরেরেএএ, পাইছি আরেকজনরে। এক্কেরে এ পিলাস। ঃ)
সেই করুণ কাহিনীর ফটুক পোস্ট করেন, একটুখানি দ্যাখি।
আইচ্ছা , ঈমানে কই - যদ্দুর খিয়াল আছে আপ্নের লগে আমার কুনু মারামারি আছিলো না, ইদানীং দ্যাখতাছি আমারে খালি জবাই () এর ধান্দায় পরামর্শ দিতাছেন, কি দুষটা কল্লাম ভাইডি ?
শ্বশুরের জুতা দিয়া বিয়া করুম ক্যা, দরকার হইলে নিজে প্লাস্টিক চপ্পল কিন্যা যামু
১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১২
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: পোস্টটা আগেই পড়ছি
কমেন্ট করা হয় নি
লেখা ও বর্ননা অসাধারন!
ছোটুকালে এক আভিজাত্যপুর্ন স্কুলে পড়ার কারনে টাই নামক জিনিস টা গলার রশির মতো লাগাইতে শিখতে হইছে!সেই সুত্রে টাই বাধাটা একরকম শিল্পে পরিনত করেছিলাম!এরপর স্কুল চেন্জ হবার পরে আর সেটার জরুরত পরে নাই।এরপর অনেক দিন পরে ভার্সিটির নানা প্রেজেনটেশনে টাই পড়ার রেয়াজ থাকলেও অবলীলায় অবজ্ঞা করে এখনো টিকে আছি সদর্পে!জানিনা কতদিন টিকতে পারবো
আর জুতা পড়তে আরামই লাগে।যে জার্নি করতে হয় জুতা ছাড়া উপায় নাই!তার চেয়ে স্যান্ডেল নিয়া প্রচুর গল্প আছে! তা আরেক দিন বলবো
ভালো থাকেন&শুভকামনা!
০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: আহা আপনি দেখি ফাঁসের আশেপাশেই হাঁসফাস করিতেছেন
১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২০
ভোরের তারা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার সাধু সাহিত্যের রস আস্বাদন করিলাম এবং ব্যাপক বিনোদিত হইলাম। কেমনে যে এমনে লেখেন আল্লাহ মালুম, তা আছেন কেমন? ভাল থাকবেন। ভাইজান কি EWU এর ছাওয়াল নাকি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
ইদানীং কালে ‘ভোর শব্দটি অনেক ব্লগারের নিক এ যুক্ত হইয়া পার্থক্যনিরুপনে আমাদের অঘোর লাগাইয়া দিয়াছে।তাহারা লিখিতেছেনও চমৎকার। তাহার পরেও পশ্চাতপটে মনোসংযোগ করিয়া মনে পড়িলো, কোনো এক নির্বাচন/সংকলনে আমার একটি অখাদ্য করুণ কাহিনীকে আপনিই মনোনয়ন দিয়াছিলেন। অখাদ্য গিলিয়া হাসিমুখ করিবার জন্য কৃতজ্ঞতা লউন।
যাহাই হোক, ইডাব্লিউইউ নামক বিদ্যায়তনটির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একবার চা-পানের নিমিত্ত জণৈক সংবাদকর্মী ধরিয়া লইয়া গিয়াছিলো। ইহাই আমার একমাত্র সংযোগ, তদুপরি নহে।
’
২০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪০
পাথুরে বলেছেন: পাদুকাবিলাস এবং তদসংলগ্ন গলাচিপাবন্ধনী কথন পড়িয়া বহুদিন পর স্বগোত্রীয় ভ্রাতার সুবাস পাইতেছি।
নগ্নপদে তৃতীয়তলার সুন্দরী 'আফা'ত্রয়ের বাড়ি যাইতে আপনার এই ভ্রাতাটির মন আনচান করিতেছে। নিজ গুণে ক্ষমা করিবেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
ভ্রাতঃ তুমি সুবেশ আকর্ষণীয় তরুণ। এইসব ক্ষ্যাতদিগের পথে পথিক হইয়া উচ্চকূল অভিজাতকূল রমণীকূল সবকূলে নিজের সোনালী সম্ভাবনাকে ধংসোম্মুখ করিও না.
২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪
রাজীব বলেছেন: পাদুকার উপর আমার বিরল এক আকর্ষন রয়েছে। কোন পাদুকাকেই আমি সহজে গ্রহন করতে পারি না। আমার পায়ের চামড়া ছিন্ন বিছিন্ন হইয়া পাদুকাকে গ্রহন করে। তবে একবার গ্রহন করিবার পর তাহা আর ছাড়িতে পারি না। বছরের পর বছর একই পাদুকা ব্যবহারে যতই জীর্ন হোক আমার পায়ে তা থাকবেই। এজন্য কম কথা হজম করতে হয়নি তবু আমার প্রিয় পাদুকা এখনো আমার সাথেই আছে।
০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০০
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: পাদুকাস্নেহাকাতর ভ্রাতঃ
২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৯
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: এইখানে কি তোমার সারা জীবনের কাহিনী লিখে ফেলছো? এত্ত বড় কেন? আজকে এমনিতেই চোখ ব্যাথা করতেছে
০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
হ রে পিচকি, এট্টূ বড় হইয়া গ্যাছে। কী আর করবো , বহুৎদিন বাদে লিখতে গিয়া লেখার নিয়মই ভুলে গ্যাছি
২৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৩
ভোরের তারা বলেছেন: হে ভ্রাতা, নিজের লেখাকে অখাদ্য বলিয়া আপনি উচ্চমার্গীয় বিনয়ের প্রকাশ ঘটাইয়াছেন। আর যথার্থই বলিয়াছেন, সামুতে নিক নকলের ঐতিহ্য চালু আছে। এক বছর আগে যখন আসিয়াছিলাম তখন আমি ছিলাম ওয়ান পিস আর এখন দেখিতেছি "ভোর খায়", "ভোর ঘুমায়" বিবিধ প্রকার ভোর জাতীয় নিক। ব্যস্ততা হেতু ব্লগে অনিয়মিত হইয়া পড়িয়াছি তাই উহাদের লেখা পড়িবার সৌভাগ্য হয় নাই। আপনার লেখা পড়িলে নিজের কুখাদ্য লইয়া বিব্রত বোধ করি। ভাল থাকিবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: "ভোর খায়", "ভোর ঘুমায়"
২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
দীপান্বিতা বলেছেন: হাঃ...হাঃ...হাঃ.....মজা লাগল......তবে যা ভাষা দিয়েছেন! মাঝে মাঝে দাঁতে দাঁত লাগছিল...
ছেলেরা জুতোর ব্যাপারে খুব উদাসিন!......আমার এক আত্মীয় পূজোতে শ্বশুড়ের কাছ থেকে দামি জুতোই উপহার পেতেন......
টাই প্রসঙ্গে একটা গল্প এখানে চালু আছে......একদিন এক গৃহস্থের ঘরে চোর ধরা পরে......বেশ লাজুক কমবয়সি চোর...গৃহস্থের দয়া হয়......তার চেয়েও অবাক হয় গলায় টাই দেখে......কারণ জানতে চাইলে ভদ্র চোরটি বিনয়ের সাথে জানায়, জ্ঞান হওয়া থেকেই ওটি গলায় ঝুলিয়ে মা স্কুলে পাঠাতো......তারপরও সবসময় এটি আবশ্যক ছিল......আর এখন এটি অভ্যেস হয়ে গেছে...
১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৬
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
ওহে ভগিনী, এই জগাখিচুড়ি ভাষায় শ্রান্ত হইয়া পড়িলে অপনোদন করিয়া লও। দুঃখপ্রকাশপূর্বক বলিয়া রাখি, 'ভাব' নামক বস্তুটি কিঞ্চিৎ উপরে উঠিলে এই অধমের কাছ হইতে এই বিচিত্র খিচুড়িটি নিঃসৃত হয়।
গল্পটি পাঠ করিবার পর হইতে অনর্গল হাস্যসংবরন করিতে কষ্ট হইতেছে
২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:২৯
নুশেরা বলেছেন:
১. অতীব রসালো রচনা; পাঠ করিতে করিতে উচ্চস্বর অট্টহাস্যে গৃহ কম্পিত করিলাম।
২. কন্যার পিতৃদেবকে জ্ঞানত চটি ব্যতীত ভিন্ন কিছুতে চরণ প্রবিষ্ট করিতে দেখি নাই। এহেন ব্যক্তি কিনা একদা এক প্রাতে যষ্টিঘাতে মৃত সর্পের ন্যায় সলিতাকৃতি বস্ত্রখণ্ড হস্তে লইয়া উহাকে গলবন্ধনী হিসাবে বাঁধিয়া দিবার আদেশ করিলেন। কারণ? কোন এক ভদ্রস্থ মজলিশে তাহাকে কী এক পত্র পাঠ করিতে যাইতে হইবে। স্ত্রীর অপারগতাকে অযোগ্যতা হিসাবে গ্রহণ করতঃ "বাপের নিকট হইতে কী শিখিয়াছো" বলিয়া বিস্তর ভর্ৎসনা করিলেন। অতঃপর নিজেই কিয়ৎকাল গিঁট বাঁধিবার অপচেষ্টা চালাইয়া ব্যর্থ মনোরথে চিরাচরিত টি-বস্ত্রটিই অঙ্গে চড়াইয়া লন।
৩. রচনায় জুতাজোড়ার স্থলে পাদুকাযুগল, সোলভাঙ্গার স্থলে ভগ্নসোল বা ভগ্নতলদেশ ইত্যাকার শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা যাইতে পারিতো।
১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩২
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
বড়ই আনন্দিত হইলাম আরো একজন ক্ষ্যাতপ্রবর এর সন্ধানলাভপূর্বক।
ভাগ্যিস অস্বীকৃতি জানাইয়া বাঁচিয়া গিয়াছেন, নতুবা আমার মতন ভাব ধরিয়া চেষ্টা চালাইতে গিয়া
ফাঁসজনিত হত্যাকান্ডের প্রকোপে প্রায় পড়ি পড়ি হইতেও পারিতো।
আহা । আপনি আর তাজীন আপা থেকে কি দারুণ সব প্রতিশব্দ পাইতেছি। কিন্তু বানান ভুলের ব্যাপারে কিছু বলিলেন না?
নাকি উহা মাফ পাইয়াছি?
২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪
পুরাতন বলেছেন: জটিল হইছে
২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪২
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: খিক খিক
২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২২
চাচামিঞা বলেছেন: আমার কিছু বিল্টিন টাই আছে.....অতি প্রয়োজন হলে ওখান থেকেই একটা পরে নেই
"আপনার কাহিনী বর্ণনা পড়ইতে পড়ইতে হৃদয়ংগম হইতেছিল....বংকিমের কাব্য পড়ইতেছি........"
২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
বিল্ট ইন টাই মানে কি চাচ্চু।
বংকিমের উপন্যাস শেষ করিয়াছিলাম সপ্তদশ শ্রেণীতে থাকিতে (মূর্খ বালক , অকালে পঠিত ); ঈমানে বলিতেছি, কিছুরই অর্থদ্ব্যোতনা উদ্ধার করিতে পারি নাই
২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৯
নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: বাটা তো বহাল তবিয়তে আছে। গল্লামারি বিশ্ববিদ্যালয মতান্বরে খুলনা বিশ্ব: থেকে পাস করলাম ৪ বছর হইল। ঢাকায় পদার্পনের পুর্বেই একজোড়া বাটা বুট কিনেছিলাম। ইত্যবসরে ৪ খানা কামলা সঙ্গে পুনপুনিক মাঠ পরিদর্শন ও ছিল। সব ডলা উহার উপর দিয়াই ত গেল। অই পাদুকা জোড়া নিয়া আবার ৩ টি বিশ্বসম্মেলনে ও উপশ্তিত হবার ভাগ্য হয়েছিল। সাম্নের ডিসেম্বারে ৪ নং সম্মেলন এ ওই পাদুকার ছাপ পরবে বলে আশা করি। মরুভুমির চামরা ছিলা রোদ থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর কাছাকাছি সহর যেখানে মাঝ্রাইতে সুর্য, সবখানে আমার এখনো সংগি সেই বাটার সেই বুট যাহা তথাকথিত "ফরমাল" না
।। জাউজ্ঞা, আমি কৃতজ্ঞ সেই আজিজ মার্কেটের দোতলার সেই মুচির উপরে যিনি কিঞ্ছিত সল্যচিকিতসা দিয়া উহাকে পুন জীবন দিয়েছেন। কারন ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে আমি এক হাতে ব্যাগ আরেক হাতে জুতা নিয়া দেশে এসে তার দারস্ত হয়েছিলাম।
২০ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
ওহে ভ্রাতঃ আপনি দেখি বাটার ব্রান্ড এম্বাসেডর নিযুক্ত হইবার জন্য
অতুলনীয় ব্যাক্তি। বাটা খোঁজ পাইলে আপনার বুটযুগলের উপরে নিশ্চিত একখান ডকু-ফিল্ম বানাইবে।
আপাতত আমাদের সশ্রদ্ধ ক্ষ্যাতীয় সালাম লউন।
অফ টপিকঃ
ফ্রাঙ্কফুর্ট এর সুবিশাল বিমানবন্দরটিতে কি নগ্নপদেই বিচরণ করিয়াছিলেন? আফসুস
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর লিখলেন , অভিবাদন গ্রহন করুন ।
সফটওয়্যারের কামলা হওয়ায় অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করি , পায়ের চামড়ার সর্বদাই সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি গ্রহনে ব্যাপৃত থাকে ।
আপনার জুতা-শোকসন্তপ্ত হৃদয়কে সান্ত্বনা দেবার খানিক ভাষা অবশ্য আছে , কিন্তু সেই ঘটনা আমার জন্য নির্মম বেদনাদায়ক , বিধায় বলতে ইচ্ছে করছে না