![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিন্হ মোর নাই বা রইল কোনো ।
ধবধবে সাদা মেঠো পথের দ্বারে
একটা পাইন গাছ ছিলো আনাদোলু মালভূমিতে,
শুধু একটাই
আশেপাশে ঘেষো জমি
ছড়ানো ছিলো মসজিদে বিছানো
জায়নামাজের মতো বিশাল মালভূমিতে।
প্রতিদিন সকালের রোদ খেলত সেখানে
শিশিরের সাথে-যেন সপ্তর্ষিমন্ডলীয় রূপ:
বিকিরিত সে জ্যোতি: চোখের ভিতর
প্রবেশ করার নয়। এত যে
করিশমা ছিল তার, তবু তাকে
দলে যেতাম নিঠুর পদাঘাতে।
একটুও সে মুষড়ে পড়তা না তাতে।
ফের সকালে দেখতাম আগের মতোই
দিব্যি হেসে খেলে বেড়াচ্ছে।
পা্ইন গাছের কচি কিশলয়ের ফাঁকে
সূর্য ডুবে গেলে রাতের তরে
কী সুগভীর ঘুমের দেশে
হারাতো সে।
আমি অনেক দিন তার এলোচুলে
হাত বুলিয়ে চেষ্টা করেছি
শুক্লা তিথিতে ঘুম ভাঙাতে।
'আমি যে ঘুমের দেশের মেয়ে,
এসো যদি ইচ্ছা হয়
র'বো তোমার প্রতিক্ষাতে।'
ঝিরিঝিরি বাতাস, বলত ফিসফিসিয়ে।
যারা পাইন গাছের ছায়া ঘেঁষা
পথটা মারিয়েছে- কতনা কতো জন
আমায় দেখেছে বসে আছি আনমনে।
কিন্তু একদিনও আসেনি সে-
মেয়েটি এমনি ঘুমকাতুরে।
এই যে পাইন গাছ
ধবধবে সাদা মেঠো পথ
দিগন্তে মিলিয়ে গেছে
পথিকের ক্লান্তি ভুলে।
তবুও পথিক ঘাস দেখে
সপ্তর্ষীর রূপ দেখার প্রতিক্ষায়।
নিশা পাখির গান শুনে সে-
তার নিবাস হয়তো আনাদোলুরই
কোনো এক প্রান্তে।
আর দেখে, তার ঘুমকাতুরে মেয়েটি
সে যে মালভূমিরই মেয়ে।
©somewhere in net ltd.