![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।
২০০১ সালের ১৪ ই এপ্রিল।
ভোর বেলা
একটা মেয়ে -
বয়স বাইশ -
তারুন্যে উচ্ছল -
ঘুম থেকে উঠে দ্রুত সাজগোজ করলো।
তার সাজে ভেসে উঠলো চিরন্তর বাঙালী সংস্কৃতির চিত্র। হয়তো খোঁপায় ফুলও গুজেছিলো - কিন্তু আমরা তা দেখতে পাইনি। কারন যখন আমরা তাকে দেখেছি তখন সে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
মৌমিতা চৌধুরী - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী - আর শত শত বাঙালীর সাথে এসেছিলো বাঙালী সংস্কৃতির উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করতে রমনার বটমুলে। সাথে ছিলো তার প্রেমিক। নিশ্চয় তারা রবীন্দ্র সংগীতের মধুর মুর্ছনায় তাদের আগামী স্বপ্নগুলো নিয়ে আলাপ করছিলো।
আচমকা একটা বোমার শব্দ সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। মৌমিতা চেণ্টা করেছিলো নিজেকে বাঁচাতে। কিন্তু ওর দৌড়ানোর পথেও ঘাতকরা বোমা পেতে রেখেছিলো। সেই বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় মৌমিতা।
যখন মৌমিতার জ্ঞান ফিরে - দেখে সে নিজেকে হাসপাতালের শয্যায়। তার দু'টো পা কেটে ফেলা হয়েছে।
মৌমিতা চৌধুরীর আক্ষেপ - "আমি জানি আমার জীবন আর আগের মতো হবে না।"
কেন?
কেন মৌমিতাকে একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দের একটা অনুষ্ঠানে যাবার অপরাধে তার পা হারাতে হবে?
আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র মৌমিতার এতটুকু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিভাবে ব্যর্থ হলো?
সেইদিন মৌমিতার মতো আরো শতেক জন একইভাবে আহত হয়ে এই প্রশ্ন নিয়ে বেঁচে থাকবে বাকী জীবন।
সেই স্থানে বোমাবাজীতে নিহত ১০ জন কখনই জানবেনা কেন তাদের জীবন দিতে হয়েছে - কারা তাদের প্রতি এতো ঘৃনা পোষন করে।
(২)
সেই সময়কার সরকার পুরোপরি ব্যর্থ হয়েছে। পরের সরকার এসে মামলা যতভাবে পারেন বিপথে পাঠিয়েছে। মুক্তমানের মানুষদের উপরের হামলার দায় মুক্তমুনের মানুষদের উপর চাপিয়ে মৌলবাদীদের রক্ষার সব রকমের প্রক্রিয়া চালিয়েছে। তাই মৌমিতারা কখনই তাদের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার পায়নি।
২২ শে এপ্রিল ২০০৬ এর ডেইলি স্টার জানাচ্ছে আরো ভয়াবহ খবর। খবর রমনা বটমুলের বোমা হামলার এক আসামী মিজানুর রহমান স্বাধীন - যে তৎকালীন ছাত্রদলের সোরওয়াদ্র্দী কলেজের প্রভাবশালী নেতা ছিলো - সে এখন পুলিশের এস আই হিসাবে কর্মরত। জোট সরকারের সময়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সে পুলিশে যোগ দেয়। তার ভাই মাওলানা মতিউর রহমান মাতুয়াইল মসজিদের ইমান একজন বোমা তৈরীর বিশেষজ্ঞ হিসাবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পরিচিত। এই অভিযুক্ত মিজানের আরেক ভাই জসিম বটমুলের বোমা হামলার বোমা বাহক হিসাবে অভিযুক্ত।
একটা দেশে যদি বোমা হামলার অভিযুক্তরা পুলিশের কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে - সেই দেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চার পক্ষের মানুষের জন্যে ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে - এইটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তাই দেখেছি একের পর এক হামলা - টার্গেট মুক্তি বুদ্ধির মানুষ - ড. হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহমান, শাহ কিবরিয়া সহ আরো বিরাট বিছিল।
বোমা হামলা করে দেশকে বিপর্যস্থ করে মৌলবাদী ঘাতকরা আর মুক্তিবুদ্ধির পক্ষের মুনতাসির মামুন আর শাহরিয়ার কবিরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এইগুলো নিশ্চয় কোন সভ্য সমাজের চিত্রের সাথে খাপ খায় না! বরঞ্চ মনে করিয়ে দেয় তালেবান শাসনাধীন আফগানিষ্তানকে - যা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে কল্পনাও করা ঠিক না।
(৩)
সামনেই আসছে পহেলা বৈশাখ। অনেকে যাবেন রমার বটমুলে। উপভোগ করবেন সংগীতের মূর্ছনা। তাদের প্রতি অনুরোধ। এক মিনিটের জন্যে নিরবতা পালন করুন - মৌমিতাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করুন। বটমুলের বোমা হামলার বিচারের দাবীতে স্বোচ্চার হোউন।
এবারে পহেলা বৈশাখ হোক সকল মৌলবাদের অবসানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনার দিন। একটা সুখী - আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নের সবচেয়ে বড় বাঁধা মৌলবাদ আর অন্ধকারের শক্তি - যারা দেশকে অতীতে টেনে নিয়ে যেতে চায় - তাদের নির্মূলের অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ পালন করুন "পহেলা বৈশাখ"।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:১২
রাহা বলেছেন: +
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:২৯
হনলুলু বলেছেন: পেলাচ
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:৩২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এবারে পহেলা বৈশাখ হোক সকল মৌলবাদের অবসানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনার দিন।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:৩৩
অন্যকোথাও বলেছেন: থু: থু: থু;
ধিক সেই মনুষ্যরূপি নরকের কিলবিলে কীটদের। খুব জানতে ইচ্ছা করে, তারা কি কখনো তাদের জন্মদাত্রি মায়ের স্তন্যের দুধের ছোঁয়া পায়নি। মানবরূপে জন্মের পর এত সহজে কি করে পাল্টে যাওয়া যায় এক পশুতে? কি ভাবে সম্ভব?
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: সুন্দর কাটুক শুভ বৈশাখ এর দিন গুলো................ সবার।
সব খানেই এত দুঃখ ছড়ানো,কোন আনন্দই আনন্দ লাগেনা।
অবাক লাগে.....তবুও জীবন এগোয়।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা ।
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:১৯
হ্যারি সেলডন বলেছেন: আমার খুব খারাপ লাগে যখন আম্নালীগ এদেরকে ধরেনি রাজনীতির জন্য, আর সেজন্যই তারা এখন সবচাইতে বেশি শোধ দিচ্ছে। এই জলপাইরাও জামাতিদের কিছু করেনা, বোমাবাজদের ধরতাছেনা। আমি ভয়ে ভয়ে থাকি প্রতিবার পহেলা বৈশাখের সময়।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:৩৫
এস্কিমো বলেছেন: জামাতিদের নতুন সুর শুনছেন -
হেরা দুই নেত্রীর মুক্তি চায়
আগের থেকেই লাইন ঠিক করতাছে, ভন্ডের দল।
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:৪২
পুতুল বলেছেন: আমরা কতটুকু নিরাপদ!
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:৫২
রুবেল শাহ বলেছেন: ২১ যেমন ভুলতে পরিনা, তেমনি ২৫এর কালো রাত----------
১৬ যেমন আনন্দের তেমনি ২০০১ সালের ১৪ ই এপ্রিল আমাদের জন্যের আরেকটা ক্ষত-------
নিচ্ছিন্ন্য হউক সকল অপশক্তি------------ +
১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৬:২৮
রাশেদ বলেছেন: ধন্যবাদ এস্কিমো ভাই ভালো একটা ব্যাপার তুলে ধরার জন্য।
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৭:৪৮
সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: কখনো যেন ভুলে না যাই
১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: কখনো যেন ভুলে না যাই।
দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমরা ইতিমধ্যেই ভুলে গেছি।
১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪
নাভদ বলেছেন:
সেদিনকার সেই দৃশ্য এখনো ভুলি নাই, সেটা ভুলে যাওয়া যায় না। সে পহেলা বৈশাখে বটমুলে যাওয়া হয়নি কেন যেন, আমি টিভিতে দেখেছিলাম স্তব্ধ হয়ে আর পরে আমার তৎকালীন হল-রুমমেট বলল যে সে যেখানে দাড়িয়েছিল তার ঠিক ২ সারি আগে পর্যন্ত মানুষ মারা গিয়েছিল। সে ও অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা শুনে নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। আন্তরিক সমবেদনা জানাই সেদিনকার হতাহতদের জন্য।
সেই নির্লজ্জ কাপুরুষদের বিচার চাই যারা এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এস্কিমো ভাই।
১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
+
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এস্কিমো ভাই।
১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:৫৬
এস্কিমো বলেছেন: সমকাল রিপোর্ট ১২ এপ্রিল ২০০৮ :
রমনায় বোমা হামলা : ভুয়া কাগজপত্রে জামিন নিয়ে ফেরার জঙ্গি আকবর
সমীর কুমার দে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০১ সালে রমনা বটমহৃলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ডেমরার মাদানীনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আকবর হোসেন ওরফে আলী আকবর। সে সময় আলী আকবরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হরকাতুল জিহাদের আরো ১২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর কিছুদিন পর ওই বছরের ১৪ জুন আলী আকবর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্ট^ীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে আলী আকবর পরিকল্কপ্পনাকারী ও হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলী আকবর আদালতে দেওয়া সেই জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেয়।
তৎকালীন আইনমšúী ব্যারি¯দ্বার মওদুদ আহমদের ল’ ফার্ম থেকে হাইকোর্টে মিথ্যা পো¯দ্বমর্টেম রিপোর্ট দাখিলের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত তিন আসামির জামিন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মাওলানা আকবরসহ বাকি আসামিরাও উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। এরপর থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া জঙ্গিরা ফেরার। মাওলানা আলী আকবরসহ অন্য জঙ্গিদের গ্রেফতার করার ‘অপরাধে’ ডিবি তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার আখতারুজ্জামান রুনুকে (বর্তমানে অবসরে) কক্সবাজারের উখিয়ায় শাস্টিøমহৃলক বদলি করা হয়। স্ট^রা®দ্ব্র মšúণালয়ের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, আখতারুজ্জামান রুনু মামলাটির মেরিট ন®দ্ব করেছেন। সে জন্যই তাকে শাস্টিøমহৃলক বদলি করা হয়েছে।
১৪০৮ বঙ্গা¦েন্ধর পহেলা বৈশাখ (২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল) ছায়ানটের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলায় ১০ জন নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের আগে এ দুঃসহ স্ট§ৃতি বাঙালিকে বিমর্ষ করে। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে চলে আসা বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে কখনো ছেদ পড়েনি, শুধু ১৯৭১-এ মুক্তিযু™েব্দর বছরটি ছাড়া। রাজনৈতিক কারণে সাত বছর আগের বর্বরতার ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদšø ও বিচার হয়নি আজও।
রমনা বটমহৃলে বোমা হামলার ঘটনায় বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল কুমার বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। প্রথম মামলার তদšø করে রমনা থানা পুলিশ। এরপর মামলা ডিবিতে ন্যস্টø হয়। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদšø থেমে যায়। ডিবিতে তদšø করেছেন আখতারুজ্জামান রুনুসহ ইন্সপেক্টর ইউসুফ মোল্কèা ও আওলাদ হোসেন। চার বছর ডিবিতে পড়ে থাকার পর ২০০৫ সালের মার্চ মাসে মামলার তদšেøর দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডির ইন্সপেক্টর আবু হেনা মোহাল্ফ§দ ইউসুফ বর্তমানে মামলাটির তদšø করছেন। এরই মধ্যে আগে গ্রেফতার ১২ আসামি জামিনে ছাড়া পায়। পরে সিআইডি আরো ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা বর্তমানে কারাগারে। এদের মধ্যে আদালতে স্ট^ীকারোক্তিমহৃলক জবানবন্দি দিয়েছে ৩ জন।
হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হাল্পুান গ্রেফতার হওয়ার প্রায় এক বছর পর সিআইডির ২০০৬ সালের ১০ ও ১৪ সেপ্টেল্টল্ফ^র রমনা বটমূলের বোমা হামলার দুইটি মামলায় তাকে শোন অ্যারে¯দ্ব দেখানো হয়। পরে মুফতি হাল্পুানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুর থেকে একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবদুল রউফকে র্যাব গ্রেফতার করে। এ ৭ বছরে মামলার তদšø কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে ৮ বার এবং তদারকি কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়েছে ৬ বার। কিন্তু তদšø মোটেই এগোয়নি।
মুফতি হাল্পুান ও আকবরের জবানবন্দিতে একই কথা : আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্ট^ীকারোক্তিমহৃলক জবানবন্দিতে মুফতি হাল্পুান জানিয়েছে, হরকাতুল জিহাদের উদ্যোগেই রমনা বটমহৃলে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার আগে খুলনার রূপসার মাওলানা শেখ ফরিদ, নারায়ণগঞ্জের মাওলানা আবদুল হাই, ডেমরার মাদানীনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবদুল রউফসহ কয়েকজন মোহাল্ফ§দপুরের সাতমসজিদ রোডের একটি মসজিদে বসে পরিকল্কপ্পনা করেছিল। আফগানিস্টøানের তালেবান যো™ব্দাদের প্রযুক্তি নিয়ে পাশর্^বর্তী বিভিল্পু দেশ থেকে বি¯েম্ফারক ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করে স্ট’ানীয়ভাবে তৈরি করা হয় শক্তিশালী বোমা। এ বোমা হামলার অর্থের জোগান দিয়েছিলেন মাওলানা আবু তাহের। আলী আকবরও একই কথা বলেছে।
আলী আকবর তার স্ট^ীকারোক্তিতে আরো জানায়, হামলায় সরাসরি ১০ জন অংশ নেয়। এরা হচ্ছে মাওলানা সফিকুল ইসলাম, রউফ, জাহাঙ্গীর, বদর, মাওলানা ময়না, ঢাকা কলেজের ছাত্র হাসান, ওমর ফারুক উল্কেèখযোগ্য। বর্তমানে এরা সবাই পলাতক। ঢাকা কলেজের হাসানকে খুঁজতে সিআইডি ফাইল তল্কèাশি করে তিন শ’ হাসানকে আবিষ্ফ‹ার করে। কিন্তু আসল হাসানকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যেভাবে জঙ্গিদের স¤ক্সৃক্ততা পাওয়া যায় : ওই বোমা হামলার ঘটনায় আহতদের মধ্যে রেজাউল করিম, আমানুল্কèাহ, ইব্রাহিম খলিল ও রফিকুল ইসলাম নামে ৪ জনকে জড়িত সন্দেহে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে ডেমরার মাদানীনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আকবর হোসেন ওরফে আলী আকবরকে। তার তথ্য অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় আরো ১২ হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিকে। আস্টেø আস্টেø ফাঁস হয় আসল কাহিনী।
বর্তমান তদšø কর্মকর্তা যা বললেন : মামলাটির বর্তমান তদšø কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর আবু হেনা মোহাল্ফ§দ ইউসুফ সমকালকে জানান, তদšø প্রায় শেষ পর্যায়ে। একুশে আগ¯দ্ব আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার চার্জশিট দাখিলের পর পরই এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে। কারণ ২১ আগ¯দ্ব ঘটনার পরিকল্কপ্পনাকারীদের মধ্যে ছিল মুফতি হাল্পুান। এ মামলার পরিকল্কপ্পনাকারীও সে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চে®দ্বা চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
এস্কিমো বলেছেন: পয়লা বৈশাখ এলেই সন্তান হারানোর শোকে ভাসে গাজী পরিবার
Sun, Apr 13th, 2008 8:41 pm BdST
পটুয়াখালী, এপ্রিল ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পয়লা বৈশাখ বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও বাউফল উপজেলার গাজী পরিবারের কাছে দিনটি দুঃসহ স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। সাত বছর আগে এই দিনে তরতাজা তিন সন্তান হারানোর শোক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি।
২০০১ সালের পয়লা বৈশাখ সকালে রমনার বটমূলে বোমা হামলায় যে ১০ জন মারা যান তার মধ্যে বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের কাছিপাড়া গ্রামের গাজী পরিবারের তিন সদস্যও ছিলেন। নিহত হয় পরিবারটির তিন ভাইয়ের তিন সন্তান মামুন গাজী (১৭), রিয়াজ গাজী (১৬) ও শিল্পী আকতার (১৫)।
মামুনের বাবা কাশেম গাজী, রিয়াজ গাজীর বাবা শামসুল হক গাজী ও শিল্প আকতারের বাবা হাশেম গাজী।
মামুনের মা নূরজাহান বেগম অশ্র"রুদ্ধ কণ্ঠে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "২০০১ সালে শিল্পী এসএসসি পাশ করে স্থানীয় আবদুর রশীদ মিয়া ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়। ভর্তি হয়েই ঢাকায় চাচা শামসুল হক গাজীর মোহাম্মদ পুরের বাসায় বেড়াতে যায়। সঙ্গে যায় চাচাতো ভাই মামুন। সেখানে অপর চাচাতো ভাই রিয়াজ আগে থেকেই বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করতো।"
তিনি জানান, সংস্কৃতিমনা শিল্পীর ইচ্ছাতেই মামুন, রিয়াজসহ তারা পয়েলা বৈশাখ খুব সকালে উঠে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে যায়। সকাল আটটার দিকে ঘাতকের বোমা হামলার শিকার হন তিন ভাই-বোন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মামুন ও রিয়াজ।
মামুনের বড় ভাই মাসুদ গাজী তখন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি বলেন, "বোমা হামলার সংবাদে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে খুঁজতে থাকি মামুন, রিয়াজ ও শিল্পীকে। বিকেল তিনটার দিকে মামুন আর রিয়াজের ক্ষতবিক্ষত দেহ খুঁজে পাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। রাতে গুরুতর আহত শিল্পীকে পাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে।"
তিনি জানান, ময়না তদন্ত শেষে পরদিন ১৫ এপ্রিল দুই চাচাতো ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাউফলের গ্রামের বাড়িতে। পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার মা শোকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বোমা হামলার ১৪ দিন পর পরাজিত হন শিল্পী। তাকে দাফন করা হয় দু'ভাইয়ের পাশে।
স্নেহের ছোট ভাই মামুন আর চাচাতো ভাই-বোন রিয়াজ ও শিল্পীর লাশ বহন করার স্মৃতি এখনো কাঁদায় মাসুদ গাজীকে।
সাত বছর পরও ছেলের কথা বলতে বলতে মামুনের মা কেঁদে উঠেন। বেড়াতে বের হওয়ার আগে মামুনের বলা কথা মনে করে এখনো কেঁদে বুক ভাসান নূরজাহান বেগম। আদরের সন্তানদের হারিয়ে বৃদ্ধ কাশেম গাজী, হাশেম গাজী ও শামসুল হক গাজীও বুক ভাসায় চোখের জলে। সন্তানরা মারা যাওয়ার পর তিন ভাই এখন আগের চেয়ে অনেক চুপচাপ হয়ে গেছেন। ওই তিনজনের কথা বলতে গেলে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিন ভাই।
নিহতদের পরিবারের শুধু জানে সরকার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা বা ঘাতকরা আদৌ শাস্তি পাবে কিনা সে বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
মাসুদ গাজী বলেন, "মামলা হয়েছে জানি। কিন্তু এর পর কি হয়েছে তা জানি না। আমরা চাই ঘাতকদের শাস্তি হোক। সরকার এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই আমরা আশা করি।"
পটুয়াখালীর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক নাসরিন মোজাম্মেল এমা বলেন, পটুয়াখালীর সাংস্কৃতিক কর্মীরা রমনা বটমূলের বোমা হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করছেন তারা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৪৪
তামিম ইরফান বলেছেন: এবারে পহেরঅ বৈশাখ হোক সকল মৌলবাদের অবসানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনার দিন।