নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবিরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলছি ...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

(আমার ফেইস বুকের লেখা)



আমি জানি আমার ফ্রেন্ড লিস্টে প্রচুর শিবির সদস্য আছে। আমি তাদের ব্লক করিনা যদি না গালিগালাজ করে। আমি বাস্তবতা মেনেই চলতে চাই - শুধুমাত্র একটা নৈতিক পার্থক্য ছাড়া আমিও তাদের মতোই মানুষ। শিবিরে কর্মীরা ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় - সেইটা তারা চাইতে পারে। গনতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে যেমন বামরা কমিউনিজমের মাধ্যমে ডিক্টেটরশীপ অব পলিতারিয়েত কায়েম করতে চায় - শিবির ইসলামী খেলাফল চাইলে আসমান ভেংগে পড়ার মতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। যদি বাংলাদেশের মানুষ ইসলামী শাসন চায় - গনতান্ত্রিক ভাবে তারা তা চাওয়ার মতো সাংবিধানিক অধিকার রাখে - তেমনি ডিক্টোটরশীপ অব পলিতারিয়েতও চাইতে পারে। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার - পরাজিত শক্তি আর বিজয়ী শক্তি সমানভাবে টিকে থাকা মানেই যুদ্ধ - আর বাংলাদেশ থেকে জামাতের একাত্তরে বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান এবং গনহত্যার সম্পৃত্ততার কারনে তাদের অস্তিত্ব মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। তাই জামাত এবং তার অনুসারী শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতেই হবে। গনতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে যে কোন মতবাদের রাজনীতি করার যে অধিকার - ধর্মের রাজনীতিও সেই অধিকার পাবে - এই বিষয়ে বিপ্লবী হওয়ার সুযোগ নাই। কিন্তু শিবিরকে নিয়ে সমস্যা হলো একটাই - এরা ইসলামের নামে আল্লাহর আনুগত্যের পাশাপাশি তাদের নেতাদের আনুগত্য করার শুরু করে - কিন্তু নেতাদের প্রতি তাদের অন্ধ আনুগত্য তারা বুঝতে অক্ষম অথবা তাদের বিবেক যেন সেই ভাবে প্রশ্ন না উঠাতে পারে সেই ভাবেই তাদের কে ট্রেইন আপ করা হয়। কথাটা শিবিরের কর্মীরাই ভাল জানে - কি কঠিন প্রশিক্ষনের মধ্য দিয়ে তাদের ধীরে ধীরে সামনে দিকে যেতে হয় - একই বাম কর্মীদেরও ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।



শিবির কর্মী যারা আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে - তাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই - কোন তাত্ত্বিক আলোচনা নয় - নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে উত্তরগুলো দিতে চেষ্টা করুন।



শুরুটা করি আজকের টিভিতে দেখা একটা দৃশ্য দিয়ে - একটা মিনিবাস - যাত্রী বোঝাই - দ্রুতগতিতে যাচ্ছে - হয়তো ড্রাইভার ভয় পেয়েছে রাস্তার পাশে জামাত-শিবির কর্মীদের দেখে। সেই বাসের দিকে মিসাইলের মতো ছোড়া হলো শিবিরের জটলা থেকে - মিশাইল বলছি কারন যারা গতিসূত্র বুঝেন তারা বুঝবেন উল্টো দিকে থেকে একটা ১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগে আসা ঢিল ৮০ কিলোমিটার বেগে আসা বাসে আঘাত করলে তার ইমপেক্টটা কত গভীর হতে পারে। বাসের ড্রাইভার নিয়ণ্ত্রন হারালো - বাস কাত হয়ে পড়ে গেলো - একজন যাত্রী (নাম জানা হয়নি) চাপা পড়ে মারা গেলো। দৃশ্যত শিবিরের কয়েকজন সমর্থক একজন নিরাপরাধ খেটে খাওয়া মানুষকে খুন করলো।



এখন প্রশ্ন হচ্ছে - যখন শিবির কর্মীরা বাসটাতে ঢিল ছুড়ছিলো তারা কি ভাবেনি সেই বাসে কিছু মানুষ আছে যারা মারা যেতে বা আহত হতে পারে? কোন অপরাধে বাসের ভিতরের যাত্রীদের উপর এই জুলুম করা হচ্ছে?



জানি উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। কারন যে বা যারা ঢিল ছুড়েছে - তারা শুধু নেতার নির্দেশ পালন করেছে - যদিও ফৌজদারী আই্নে এইটা একটা অপরাধ কিন্তু রাজনৈতিক খুন হিসাবে এই খুনের বিচার বাংলাদেশে হবে না নিশ্চিত। আর এই ধরনের আমজনতার মৃত্যুতে সমস্যা ছিলো না যদি শিবির কোরানে কথা না বলতো - যদি হাদিসের কথা না বলতো। কোরআন কি বলে এই ধরনের কর্মকান্ডের বিষয়ে -









(2:11)

আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।





(2:205) যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।









(5:32)

এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।





এতো কিছু জানার পরও কিভাবে শিবিরের কর্মীরা নিরাপরাধ মানুষকে হত্যার জন্যে বাসে আগুন দিচ্ছে - চলন্ত বাসে ঢিল ছুড়ছে? এম্বুলেন্স আটকে রেখে রোগী মৃত্যুর কারন হচ্ছে?



কার জন্যে তারা মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে? কার আনুগত্য করছে শিবির?



ইসলাম কি কোন একজন মানুষের জন্যে নির্ধারিত - একজন নেতাকে রক্ষা না করলে ইসলাম থাকবে না এই ধারনা শিবির কোথায় পেলো? বিচারপ্রার্থী মানুষের বিচারের দাবীকে বন্ধ করা জন্যে শিবির যে নেতাদের আনুগত্য করছে তারা কি জানে ১৯৭১ সালে তাদের নেতাদের ভূমিকা কি ছিলো?



তারপরও দেখি ইসলাম কি বলে -



(6:164) আপনি বলুনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য প্রতিপালক খোঁজব, অথচ তিনিই সবকিছুর প্রতিপালক? যে ব্যক্তি কোন গোনাহ করে, তা তারই দায়িত্বে থাকে। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদেরকে সবাইকে প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অনন্তর তিনি তোমাদেরকে বলে দিবেন, যেসব বিষয়ে তোমরা বিরোধ করতে।



আজ যারা গোলাম আযম সাঈদীকে রক্ষার জন্যে দাঙ্গা হাংগামা করছেন - তাদের দায় তাদের নিজেদেরকেই নিতে হবে - তাদের ৭১ এর ঘৃন্যকাজের সাথে জড়িত মুখোশধারী নেতারা তাদের দায় নিতে পারবে না - এই কথাটা কি শিবির কর্মীরা জানে না? তাদের বোঝা নেতারা বহন করবে না। একজন নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য পাপ করার দায় কিন্তু নিজেকেই নিতে হবে।



যারা হরতালের নামে রাস্তায় গিয়ে সন্ত্রাস করে ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঘরে রেখে দিতে চায় - তারা কি জানে না যে -



(2:191)বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। (আংশিক)



শিবিরের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করছি - কোন ধরনের সন্ত্রাস আর হাঙ্গামা ৭১ এর অপরাধ থেকে তোমাদের নেতাদের রক্ষা করতে পারবে না। ভুল করে নিজেদের জন্যে কঠিন শাস্তি টেনে না আনাই ভাল। বাংলাদেশে জামাতে ধর্মের নামে কৌশলের রাজনীতি আর সমযোতার দিন শেষ। জামাত নিষিদ্ধ হচ্ছে নিশ্চিত। অর্থ বা দুনিয়ার সুবিধার জন্যে একটা নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্যে হয়তো কাজ করার জন্যে শিবির কর্মীদের মধ্যে অন্ধ আনুগত্যের অভাব হবে না। তাদের সবাইকে ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো - শেষ বিচারে সবাইকে নিজের হিসাব নিজেকেই দিতে হবে - ধর্মের নামে যে ফেতনা তৈরী করছে জামাতের রাজাকার আলবদর নেতারা - তার থেকে নিজেকে রক্ষা দায় কিন্তু নিজের, সুতরাং সময় থাকতেই সবার তওবা করে নেতাদের আনুগত্য ত্যাগ করে রসুল (সঃ) এর পথে গিয়ে আল্লাহ আনুগত্যের ফিরে যান, আল্লাহ নিশ্চয় ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।









মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: দৃশ্যত শিবিরের কয়েকজন সমর্থক একজন নিরাপরাধ খেটে খাওয়া মানুষকে খুন করলো।

এইটা কি বাংলাদেশ আওমিলীগ করে নাই...


বরং জামাত থেকে আরও কয়েকশ গুন বেশি করেছে.....

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

আরিফ-ঢাকা বলেছেন: @মো ঃ আবু সাঈদ: তাহলে শিবির আর আওমিলীগ মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ,যদি আওমিলীগ হত্যা করে তাহলে শিবিরকে কেন হত্যা করতে হবে। শিবির আওমিলীগ থেকে আরো ভণ্ড কারন তারা ইসলামের নাম ভাঙ্গাইযা মানুষ হত্যা করে।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আরিফ-ঢাকা ভাই হত্যা কে আমি সাপোট করছি না...

কে ভন্ড তা মানুষ বিচার করেবে....জামাত কে এত জোর করে বন্ধ করতে হবে কেন মানুষের কাছ থেকে ভন্ড দের মুখষ উম্মেচন করুন কথা এবং নিজেদের কাজ দিয়ে...৪০ বছর উভয় দলের কর্যক্রম দেখে মানুষ বিচার করার সুযোগ হয়েছে...

আমি যা শুনেছি এই থেকে আমি যা দেখেছি তাই বিশ্বস করব.....

আমাকে গত ১০ বছরে ১০টা ছবি দেখান যে অস্ত্র সহ শিবির হামালা করছে আর আওমিলীগ কত চান ?

আমাকে আবার ব্যন্ড কইরেনা ......

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

এস্কিমো বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তু জামাত ব্যান না।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: এস্কিমো....

ছাত্রলীগ এইগুলা বিবেচনা করে নাকি???

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

এস্কিমো বলেছেন: ছাত্রলীগ কি কোরান হাদিসের কথা বলে নাকি?

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

ুুপাংশুল বলেছেন: @ আবু সাঈদ, আপনার কমেন্ট থেকেই বুঝা গেল,বাম-রাম,আওয়ামিলীগ থেকে শিবির-জামাতের পার্থক্য খুবই নগন্য।শিবির ধর্ম ধর্ম করে মানুষ মারে আর অন্যরা এমনি এমনি মারে-কোন এক স্বার্থে।কোরান হাদীসে হত্যা নিয়া কি আছে সেটা বিবেচনায় না নিয়া,অন্যরা মানুষ বেশি মারছে তাই আমরা কিছু মারবো-এরকম যুক্তির জন্য জামাত-শিবির আজও গনমানুষের দল হতে পারেনি,এটা শুধু শিবির আর জামাতেরই দল।এরজন্যই ধর্ম বাচানোর তাগিদে জামাতকে মানুষ আর সাপোর্ট করে না।আল্লাহর ধর্ম আল্লাহই বাচাবেন,কট্টর জামাতের দরকার নাই ইসলাম বাচানোর।ওরা ওদের দল আর পীরি নেতা নিয়াই থাক।এই জন্য মানুষ রাস্তায় শিবির দেখলেই কোন এক কারনে আতকে উঠে!বলে আল্লাহ ওর হাত থেকে বাচাও!মানুষ ক্রমে পরিবর্তিত হয় নিজের প্রয়োজনে।সেই হিসাবে জামাত-শিবিরদেরও পরির্তন জরুরী টিকে থাকার জন্য।বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেন, ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান, নিজের বিতর্কিত নেতাদের আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালতে তুলে দেন বিচারের জন্য,গন মানুষের কাছাকাছি যান,নিজেদের স্বার্থে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে গনমানুষের কাজে ব্যবহার করেন,অন্য ধর্মকে রেসপেক্ট করেন,শিবির না করলেই যে মানুষ নাস্তিক হয় না এটা ভুলে যান,আপনারাও যে ভুল করেন,ভুল হয় এটা স্বীকার করেন।দেখবেন,মানুষ আপনাদেরকে আর ঘৃনা করবে না,অন্যদল আপনাদের নিয়া রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।গনমানুষের দল হিসাবে জামাত প্রতিষ্ঠা পাবে। আর এগুলো না করলে দেশে নিষিদ্ধ হবেন এটা সময়ের দাবী।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

এস্কিমো বলেছেন: ।সেই হিসাবে জামাত-শিবিরদেরও পরির্তন জরুরী টিকে থাকার জন্য।বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেন, ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান, নিজের বিতর্কিত নেতাদের আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালতে তুলে দেন বিচারের জন্য,গন মানুষের কাছাকাছি যান,নিজেদের স্বার্থে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে গনমানুষের কাজে ব্যবহার করেন,অন্য ধর্মকে রেসপেক্ট করেন,শিবির না করলেই যে মানুষ নাস্তিক হয় না এটা ভুলে যান,আপনারাও যে ভুল করেন,ভুল হয় এটা স্বীকার করেন।দেখবেন,মানুষ আপনাদেরকে আর ঘৃনা করবে না,অন্যদল আপনাদের নিয়া রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।গনমানুষের দল হিসাবে জামাত প্রতিষ্ঠা পাবে। আর এগুলো না করলে দেশে নিষিদ্ধ হবেন এটা সময়ের দাবী।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: আমলিক করলে লীলা শিবির করলে বিলা

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১

রুপকথার গল্প বলেছেন: সেই হিসাবে জামাত-শিবিরদেরও পরির্তন জরুরী টিকে থাকার জন্য।বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেন, ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান, নিজের বিতর্কিত নেতাদের আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালতে তুলে দেন বিচারের জন্য,গন মানুষের কাছাকাছি যান,নিজেদের স্বার্থে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে গনমানুষের কাজে ব্যবহার করেন,অন্য ধর্মকে রেসপেক্ট করেন,শিবির না করলেই যে মানুষ নাস্তিক হয় না এটা ভুলে যান,আপনারাও যে ভুল করেন,ভুল হয় এটা স্বীকার করেন।দেখবেন,মানুষ আপনাদেরকে আর ঘৃনা করবে না,অন্যদল আপনাদের নিয়া রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।গনমানুষের দল হিসাবে জামাত প্রতিষ্ঠা পাবে।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: বাস চলতে দিতে চান না, চাকা পাংচার করুন,


তাই বলে আগুন, ভাংচুর, খুন

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

এম.ডি জামান বলেছেন: সুবিধাবাদীরা সব সময় কুরআনের আয়াতকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বলেছেন: জামাত- শিবিরের আইপি সহ ব্যান চাই।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বলেছেন: জামাত- শিবিরের আইপি সহ ব্যান চাই।

সাথে ছাত্রলীগেরও আইপি সহ ব্যান চাই।


তাহলেই দেশ সুন্দরভাবে চলবে।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

আরিফ-ঢাকা বলেছেন: মো ঃ আবু সাঈদ: আপনি আবারও একই কথা বলতেছে।আওমিলীগ করছে তাই শিবিরও করতে পারে সেটা কম আর বেশী হোক আপনার কথার মাধ্যমে সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে। আওমিলীগ শিবির দুটো একই গুনেগুন্নানিত।তবে শিবির একটু এগিযে আর সেটা হলো ধম নিযে ভন্ডামী করা। আর যদি দেশকে ভালবাসেন তাহলে আবশ্য শিবিরকে বজণ করবেন কারণ শিবির এর জম্ম বেজম্মার উদরে (জামাত ইসলাম)।

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

তাওহীদ বলেছেন: মওদুদী ইসলাম ধর্ম প্রচার নয়, ক্ষমতাকে মূল টার্গেট করে বই লিখতো। তো যার টার্গেট ক্ষমতা তার ইসলামী মতবাদ বিতর্কিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সে ইসলামকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করত। নিজের দলের লাভের জন্য সুবিধাজনক তত্ত্ব দিত। যখন যা দরকার পড়ত তখনই ঠিক মনগড়া একটা তত্ত্ব এনে হাজির করত। তার মূলনীতি ছিল সন্ত্রাসবাদ। তার বই পড়ে জামাত-শিবির কী ধরণের ইসলাম শিখবে সেটা তো বুঝাই যায়। বাংলাদেশে মওদুদীর বই নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জামাত-শিবিরের প্রতিটি কর্মী মওদুদীর লেখা বই পড়ে।
মওদুদীর মূলনীতিই হচ্ছে "বিপক্ষে গেলেই হত্যা করো" তার এদেশীয় সাগরেদরা কেমন হবে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশেও জামাত-শিবির রাজাকারদের বিভিন্ন বক্তব্যে হত্যার উস্কানি দিয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। যেখানে মহানবী (স) সকল প্রকার হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে তারা মহানবী (স)-কে না মেনে এরা মানছে মওদুদী ও সাঈদীদের। অর্থাৎ, মহানবী (স)-এর আদেশের চেয়েও এদের কাছে বড় হল মওদুদী ও সাঈদীর আদেশ।

এরপরেও কি জামাত-শিবির রাজাকারকে "মুসলমান" বলা যায়?

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

ra66i বলেছেন: Prob hoitase shibir dhormer nam nia khun kharapi kortase, ja amar dhormo ke bitorkito krtase abng islam er upor onno dhormer ashta komtase, aitai sbntika boro prob. Awami jokon akta khun kore oita sudu awami r upr nam pore, bt shibir akta khun korle pura muslim der upor nam pore. Jodi oder islami title ar islam ponthi cholar kotha na bolto taile ato somossa hoito na.

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: যেকোন দলের সমর্থকেরা এই ধরণের খুনের কথা উঠলে কয়, "ওরা তো আরো অনেক করছে! ।" এই একটা জায়গায় সমস্ত দলের সাপোর্টাররা এক ।

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

চলতে ফিরতে দেখা বলেছেন: আপনাকে যখন কোন অপরাধ ছাড়াই মারতে মারতে একেবারে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যাবে তখন আপনার কেমন লাগবে। ঐ মৃত্যু পথযাত্রি সেও চাবে তার যা শক্তি আছে তা নিয়ে লড়াই করতে, সে জিতবে না হারবে সে প্রশ্ন তখন বড় হয়ে উঠে না।

অনেকতো কুরানের কথা বললেন- নবীজী কিন্তু শত অত্যাচার সত্যেও মক্কা বিজয়ের পরে কাউকে এতটুকুও কষ্ট দেননি। কিন্তু এরাই তাকে তার জন্মভূমি থেকে বের করে দিয়েছিল।

-কিন্তু আপনারা বর্তমান কি করছেন, ধরে নিলাম জামাতের সবাই রাজাকার, তাহলে স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব সাহেব কেন তাদের বিচার করলেন না। কেনই বা এই ৪০বছর কোন থানায় বা আদালতে কোন মামলা হলো না কেন? তবে কি তারা এতদিন রাজাকার ছিলনা? এখন নব্য রাজাকার তৈরী হয়েছে কি? উত্তর দিবেন কি?

-আর শিবির কি দোষ করলো- তাদের জন্মতো ঐ ১৯৭৭ সালে তারাতো রাজাকার ছিলনা। তখন সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

-" আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
-আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।
-আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)" -সুরা আল বাকারা-১৯০-১৯৩


-এরা ভালো কথা বলে এজন্য এরা খারাপ। কিন্তু ছাত্রলীগের মতো করলে তখন এরা আর খারাপ থাকতো না আপনাদের কাছে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২২

এস্কিমো বলেছেন: হিসাবটা ৪২ বছর আগের। একটা যুদ্ধে ৩ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে - ২ লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রম হানি হয়েছে - ১ কোটি মানুষ দেশ ত্যাগ করেছে আর ২ কোটি দেশের ভেতরে পালিয়ে বেড়িয়েছে। এই সকল অপকর্মের সহযোগী হিসাবে জামাতে নেতারা কাজ করেছে।

সেই অপকর্মের বিচারের বাঁধা হয়ে উঠছে একটা নতুন প্রজন্ম - যারা বয়সে খুবই কম - যারা জামাতের নেতাদের চালাকিতে প্রতারিত হয়ে রাস্তায় নেমেছে।

এখানে জেহাদের যে ইলামেন্টের কথা বললেন - বাসে বসে থাকা লোকটির ক্ষেত্রে কি তা প্রযোজ্য হবে?

-" আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।"

যারা বাসে বসে আছে তারা কি শিবিরে সাথে লড়াই করছে - নাকি শিবিরের কর্মীরা তাদের নেতাদের আনুগত্যের কারনে সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই শত্রু বানাচ্ছে। সীমা লংঘন করার বিষয়টা ভাবেন। আর কোরানে সবরের কথা কত বার বলা হয়েছে তা চিন্তা করুন। জামাত শিবির আল্লাহ উপর নির্ভর না করেই নিজেরাই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে - সেই বিষয়টা ভাবেন।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩

আলাপচারী বলেছেন: জামাতের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা "তাওহীদ" ভাইয়ের লেখায় স্পষ্ট। ধন্যবাদ তাওহীদ ভাই। আরো যোগ করতে চাই - নিয়তি কখনো পিছু ছাড়ে না। মওদুদী গণহত্যার অভিযোগে দন্ডিত হয়েছিল। তার অনুসারীরাও নিয়তির বদৌলতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

প্রবালরক বলেছেন: একাত্তরে সংঘটিত নানা অপরাধের দায়ভার জামায়াতের নেতাদের উপর চাপিয়ে যে অব্যাহত প্রচারনা চলছিল তাতে এ শিবির কর্মীরাও প্রভাবিত ছিল। তাই যুদ্ধাপরাধের বিচারের আয়োজনের শুরুর দিকে শিবির কর্মীরা তাদের নেতাদেরকে জানিয়ে দেয় যে জামায়াতের নেতাদের অপরাধের দায়ভার তারা নেবেনা। অপরাধী নেতারা যেন দল ছেড়ে চলে যায়। তরুন কর্মীরা সত্য ও ন্যায়ের পথ ত্যাগ করবেনা। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারে তরুন শিবির কর্মীরা সহযোগীতা প্রদানে প্রস্তুত ছিল। আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামায়াত নেতারা তখন তাদের বক্তব্য তুলে ধরে - যা সরকারী প্রচারনার বিপরীত।

পারস্পরিক বিরোধী দুইপক্ষের বক্তব্য যাচাই করার তাগিদ বোধ করে তরুন শিবির কর্মীরা।

তরুন শিবির কর্মীরা তখন ইতিহাসে সত্য অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয় যে '৭১-এ জামায়াত নেতারা বিভক্তি চায়নি শুধু। রাজনৈতিক মতভিন্নতা ছিল। তাদের দ্বারা খুন, ধর্ষন, গনহত্যা, অগ্নিসংযোগের মত কোন অপরাধকর্ম সংঘটিত হয়নি। এটি তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া অপবাদ। এবং শুধুমাত্র অসৎ রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে আজ এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

স্বাধীনতার পর বিগত ৪০ বছরে তাদেরকে কেউ যুদ্ধাপরাধী বলেনি। ৪০ বছর সময়কালে তাদের বিরুদ্ধে একটাও অপরাধের অভিযোগ তোলেনি কেউ। আগে পরে কোথাও তাদের নামে কেউ একটা জিডি পর্যন্ত দায়ের করেনি। ৪০ বছর পর হঠাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলা হল। তারা ভেবেছে তরুন প্রজন্ম তো আর ইতিহাস জানেনা। তাই জামায়াত নেতাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বললে তরুন প্রজন্ম মিথ্যাটা ধরতে পারবেনা।

যে তরুনরা ইতিহাসের ধার ধারেনা এবং যে তরুনরা সব জেনেও অজ্ঞতার ভান করে ফায়দা লুটতে চায় - এ দুধরনের তরুন-তরুনীরাই আজ 'শাহবাগে' বিরক্তিকর নাটক আয়োজন করে দৃষ্টি কাড়ে।

প্রসেকিউশনের স্বাক্ষীগুলির দিকে তাকিয়ে দেখে - অর্ধশিক্ষিত, লম্পট, ছিঁচকে চোর, নারী নির্যাতনের অভিযোগে শাস্তিভোগকারী, ফেরারী আসামী...মাসের পর মাস মাসোহারা দিয়ে সেফ হাউসে রেখে স্বাক্ষী প্রদানের ট্রেনিং দেয়া - জেরার মুখে তাদের প্রত্যেকের মিথ্যা ধরা পড়ে। সরকারী ছকে আয়োজন করেও একটা অভিযোগও প্রমান হয়নি। অথচ, দাবী উঠে ফাঁসীর। হাহ।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসেকিউশন, তদন্তকারী, নির্বাহী বিভাগ, সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যেকার ফাঁস হওয়া পারস্পরিক যোগসাজশের গোপন তথ্য থেকে তরুন শিবির কর্মীরা অন্যায় বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়।

অস্বচ্ছ, অন্যায় বিচার বলে সারা পৃথীবি আজ প্রতিবাদে মুখর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

এস্কিমো বলেছেন: স্বাধীনতার পর বিগত ৪০ বছরে তাদেরকে কেউ যুদ্ধাপরাধী বলেনি। ৪০ বছর সময়কালে তাদের বিরুদ্ধে একটাও অপরাধের অভিযোগ তোলেনি কেউ। আগে পরে কোথাও তাদের নামে কেউ একটা জিডি পর্যন্ত দায়ের করেনি।

- এই বিষয়ে আপনার জানাতে ভুল আছে। মুক্তিযুদ্ধের পর পর এদের সবার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছিলো। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট যখন শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় তখন দেশে ১১ হাজার অপরাধীর বিচার চলছিলো। সেই বিচার চলছিলো দালাল আইনে। জিয়া্‌উর রহমান একটা মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স করে সেই বিচার বাতিল করে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গোলাম আযমসহ জামাতের অধিকাংশ নেতার নামে হুলিয়া জারি হয়েছিলো। তাদের পলাতক দেখিয়ে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। কামরুজ্জামান , কাদের মোল্লা ১৯৭৫ সালের পর জেল থেকে মুক্তি পায় জিয়ার দয়ায়।

দয়া করে সত্য জেনেই সিদ্ধান্ত নিন।

১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

প্রবালরক বলেছেন: '৭১-থেকে কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। একই সময়ে উদয়ন স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিল। কাজেই ৭৫-এ কাদের মোল্লার জেলে থাকা কিংবা জেলমুক্তির প্রশ্নই উঠেনা।

১৯৭৫ সনের ৩১শে ডিসেম্বর দালাল আইন যখন বাতিল হয় তখন দালাল আইনে আর কারো বিচার চলমান ছিলনা। ক্ষমা করার জন্য কোন দালাল আর তখন শাস্তিভোগরত ছিলনা। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমা পেয়ে তারা আগেই মুক্তি লাভ করে।

কাদের মোল্লার দাবী যে সে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং-এ আরো আরো মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ছিল - তার নিজের গ্রামে, মিরপুর থেকে শত মাইল দুরে। বেশ কয়েকজন দায়ীত্বশীল লোকজনের রেফারেন্সও আছে সেখানে। সরকার পক্ষ সেখান থেকে দায়ীত্বশীল কাউকে এনে সেসব বক্তব্য খন্ডন করেনি। কাদের মোল্লা নিজের পক্ষে সেখান থেকে স্বাক্ষী আনলে আদালত সে সব স্বাক্ষীকে অনুমতি দেয়নি।

'৭১-এ এদেশে অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। মুল দায়ী ব্যাক্তিরাই যুদ্ধাপরাধী। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগালের বাইরে। এদেশের কিছু লোক তাদের সহযোগী সেসব অপকর্মের জন্য দায়ী ছিল। "সন্ত্রাসীদের যেমন দল নেই, সে সব সহযোগীদেরও কোন দল ছিলনা। ছিল না বলে পরে তারা তাদের সুবিধামত বিভিন্ন দলের সাথে মিশে যায়। একারনে আওয়ামী লীগ -বিএনপিতেও তারা আছে, সংখ্যায় তারা প্রচুর।

এষ্টাব্লিষ্টমেন্টের ধড়িবাজ লোকেদের খেয়ে পরে সেবা যত্ন উপভোগ করে করে পুলিশ প্রহরায় আন্দোলন যত শক্তিশালীই হৌক তা শেষপর্যন্ত ক্ষমতাসীন ধড়িবাজ লোকেদের ঢাকের কাঠির বেশী কিছু হয়ে উঠবেনা এবং শেষপর্যন্ত শিশুতোষ কাব্যের বিষয়ে পরিনত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.