![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিবছর পহেলা এপ্রিল
মুসলমানদের ঘরে ঘরে কার্যালয়ে একে অপরকে ধোকা
দিতে বা ঠকিয়ে প্রতারণা করতে ‘এপ্রিলফুল’ পালনের
নিয়ম এখনও আছে। অথচ মুসলমানদের এপ্রিলফুল
পালন করা কুফরী বা হারাম। মূলত পহেলা এপ্রিলে যারা
ধোকা দিয়ে কৌতুক করে বা অপরকে ঠকানোর আনন্দে
বিভোর হয়, তারা মিথ্যা ও প্রতারণা করে কবিরা গুনাহ
করছে। যারা এপ্রিলফুল পালন করছে, তারা এ দিনটিতে
লাখ লাখ মুসলমানের ওপর জুলুমকারী ও শহীদকারীদের
দলে নিজেদের নাম সন্নিবেশিত করে কাফিরদের সাথে
আনন্দ প্রকাশ করে মুরতাদের খাতায় নাম লেখায়।
অথচ মুসলমানরা তাদের গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য
সম্পর্কে বেখেয়াল। মুসলমানরা তাদের স্বর্ণযুগ
সারাবিশ্বে নিজেদের বিস্তীর্ণ জ্ঞান বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব অবদান ইত্যাদি সম্পর্কে কোন খোঁজই রাখে
না। অপরদিকে, কাফির বা বিধর্মীরা যে মুসলমানদের কত
মর্মান্তিক জুলুম করেছে এবং নির্মমভাবে শহীদ করেছে
সে খবরও জানা নেই। পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিলফুলের
দিনে রয়েছে লাখ লাখ মুসলমানকে প্রতারণা করে শহীদ
করার নির্মম ইতিহাস।
এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির
সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুণ ও
হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস।
১লা এপ্রিলের
এই ইতিহাস অন্যান্য
জাতি জানলেও অনেক মুসলিম
জাতি না জানার কারনে এই
বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন
করে নিয়েছে।
এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের
লক্ষ্যে খ্রীস্টান
রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ
রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম
বিরোধী দুই বৃহৎ
খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত
শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করে।
রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড
খুঁজতে থাকে স্পেন
দখলের মোক্ষম সুযোগ।
পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান
বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু
করে। এক
পর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার
সুযোগে খ্রীস্টান
বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক।
এক মাত্র
মহাসমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের
বাঁচার পথ।
অবরুদ্ধ মুসলমানগন
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক
ছুটতে থাকে।
মুসলমানদের
এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড
প্রতারণার আশ্রয়
নেন।
তিনি দেশব্যাপী ঘোষনা করে দেন –
“যারা অস্ত্র ত্যাগ
করে মসজিদগুলোতে আশ্রয়
নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত
নৌযানগুলোতে আরোহন
করবে তাদেরকে সব রকমের
নিরাপত্তা দেওয়া হবে”।
এমন বিপর্যয়কর
পরিস্থিতিতে মুসলমানগন যেন আশার
আলো খুঁজে পায়। সরল
মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদ ও
নৌযানগুলোতে আশ্রয়
গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য
নরপিশাচ প্রতারক
রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয়
মসজিদগুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায়
ভাসিয়ে দেয়
নৌযানগুলোকে।
এরপর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ
মানুষ
নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন
লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর
চার
পাশে এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়
নৌযানগুলোকে।
ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু
খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারী-
পুরুষ
আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত
চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের
আকাশ বাতাস। মুহূর্তের
মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ
হয়ে যায়
সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রান। আর
এরই
মধ্যে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছরের
মুসলিম শাসনের, আর
পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয়
মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়।
যেদিন এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক
ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন
ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১লা এপ্রিল।
তখন
থেকে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেওয়ার সেই
নিষ্ঠুর ইতিহাস
স্মরনার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর
এপ্রিল ফুল পালন
করে আসছে।
দুঃখের সাথে বলতে হয় “এপ্রিল ফুল” এর
প্রকৃত ইতিহাস
সর্ম্পকে না জানার
কারণে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের
দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক
বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন
করছি।
আমরা আর
কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব ?
নিজেদের
ইতিহাস ঐতিহ্য
সর্ম্পকে অজ্ঞতার ধারা আর কতদিন
আমাদের মধ্যে বিরাজ
করবে। অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য
সবচেয়ে মারাত্নক কাল
হয়ে দেখা দিয়েছে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
নতুন বলেছেন: আপনারা কি বুঝতে পারছেন যে এই কাহিনি নিয়ে আপনাদের বোকা বানাইছে কোন মিথুক?
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
বিজন শররমা বলেছেন: মুসলিমদের নিয়ে নানা দেশে নানা কথা বা ঠাট্টা প্রচলিত আছে । এপ্রিল ফূল তার অন্যতম । ভারতে কাউকে বোকা বানানো হলে বলা হয় "টুপি পড়িয়ে দিয়েছে" । এর মানে টুপি পড়া মুসলমান বানানো হয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫
এ আর ১৫ বলেছেন: This is another approach to make Muslim April Fool by this story. Some Muslim believe above fake story and by default become april fool. Please don't believe above fake story to become fool.
এপ্রিল ফুল নিয়ে মুসলমাদের মধ্যে যে কাহিণী প্রচলিত আছে সেটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার প্রমান দেখুন।
ঐ কাহিণীতে আছে মুসলমানদের প্রলুব্ধ করার জন্য মদ ও সিগারেট পাঠান হয়েছিল ঘটনা ঘটার বেশ কিছু আগে মানে ১/৪/১৪৯২ সালের আগে অথচ কৃষ্ঠফার কলোম্বাস তার কয়েক শতক পরে আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের এই নেশা সিগারেট ইয়োরপে নিয়ে আসে।
১/৪/১৪৯২ তারিখে ইসাবেলা গ্রেনেডার দখন নেয় এবং ৭ লক্ষ মুসলমানকে মসজিদে পুড়িয়ে হত্যা করে । কিন্তু আসল সত্য হোল ইসাবেলা গ্রেনেডা হস্তগত করে ২ জানুয়ারি ১৪৯২।যেখানে
হিরোসিমা নাগাসাকিতে ২ এটম বোম মেরে ৬ লক্ষ মানুষ মারা যায় সেখানে ১/৪/১৪৯২ তে একদিনে ৭ লক্ষ মানুষ এটম বোম ছাড়া কি করে মারা গেল। আমাদের মুক্তি যুদ্ধে ৯ মাসে মারা গেছে ৩০ লক্ষ তাহোলে ১/৪/১৪৯২ তারিখে এই ৭ লক্ষ মানুষকে গণহত্যার কথা অবশ্যই ইতিহাসে থাকতো । মুসলমানদের উপর যত গণহত্যা চালান হয়েছে তার সব দলিল ইতিহাসে লিপি বদ্ধ আছে তাহলে ১/৪/১৪৯২ তাং ৭ লক্ষ মানুষের হত্যার কাহিণী ইতিহাসের কোন দলিলে নাই কেন ? ক্রসেডাররা যখন জেরুজালেম দখল করে মুসলিম গণহত্যা চালাল তার দলিল লিপিবদ্ধ আছে। ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে খৃষ্টানরা ষ্পেন দখল করার পর কিভাবে মুসলমানদের নিপিড়ন করে মাত্র ১২০ বৎসরের মধ্যে স্পেনকে মুসলিম শুন্য করলো তাহোলে কেন ১ লা এপ্রিল ১৪৯২ তাং ৭ লক্ষ মুসলমান হত্যার দলিল ইতিহাসে নেই ? তখন যে প্রযুক্তি ছিল তা দিয়ে কি একদিনে ৭ লক্ষ মানুষ হত্যা করা সম্ভব যেখানে এটম বোমা মেরে হিরোসিমা নাগাসাকিতে ২ দিনে ৬ লক্ষ মানুষ হত্যা করা হয়েছিল ? এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার প্রমান দেখুন
২০০৭ আদম সুমারি অনুযা্য়ি গ্রানাডার জন সংখ্যা ২৩৭৯২৯ (২ লাক্ষ ৩৭ হাজার ৯২৯) এবং আয়তন ৮৮ (বর্গ কিলোমিটার) বা ৩৪ বর্গ মাইল তাহোলে এই ছোট্ট জায়গায় ১৪৯২ সালে কি করে ৭ লক্ষের উপর মানুষ বাস করে ???