নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্যারাডক্স !

ইথারপত্র

আমি একটা প্যারাডক্স! ভাল লাগা-খারাপ লাগার মাঝে সারাদিন আটকে থাকি। বই পড়া ছাড়া আর কোন কাজে ভাল না। ভীষণরকমের আলসে। লিখতে ভাল লাগে তবে মনে মনে। ইন্সোমনিয়াক - তাই রাতের পর রাত জেগে মনের ডায়েরিতে লেখালেখি করি।সহজে মিশতে পারিনা , ইন্ট্রোভারট শব্দটা আমাকে জড়িয়ে থাকে। ভাগ্যবান কারণ কিছু সাদা মনের মানুষ সেই জড়তা থেকে আমাকে প্রায়ই বের করে আনে। জীবন ভীষণরকমের সুন্দর, চারপাশের ছোট ছোট জিনিসগুলো সেই সৌন্দর্যটাকে প্রতিনিয়ত বের করে আনে। চোখ খুলে সেই জিনিসগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি সবসময়। এইতো, এসব নিয়েই আমি!!

ইথারপত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউ ; মোম-কাগজ: স্মরণজিৎ চক্রবর্তী

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯

মানুষের আন্তরিকতার থেকে সুন্দর জিনিস খুব কমই আছে। কোর্টে যাওয়া আসা শুরু করেছি কাটায় কাটায় ১ মাস। পিউপিলেজের এই ছোট্ট সফরে দুই আন্টির সাথে পরিচয়। দুইজনই এত আন্তরিক। তাদের মধ্যে বন্দনা আন্টি একটু বেশি আদর। শান্তিনিকেতনি ভাষা নিয়ে যতই এ যুগের 'কুল' জাতি হাসাহাসি করুক, তার মুখে কথা শুনলে বোঝা যায় আসলে ভাষার সৌন্দর্যটা কোথায় লুকিয়ে আছে।আদর আদর বন্দনা আন্টি পহেলা বৈশাখের আগের দিন র‍্যাপিং করা দুই তিনটা প্যাকেট নিয়ে এসে আমাদের সবার মুখের সামনে দিয়ে বললেন, ' নিয়ে নাওতো যার যেটা পছন্দ, দেখি কার ভাগ্যে কি পরে।'

ও মা! খুলতেই দেখি সাগর পাবলিশার্স এর দোকান থেকে কেনা অরিজিনাল আনন্দের বই , ঝকঝকে তকতকে। অমিতের ভাগে পরলো গুন্টার গ্রাস , ফারির ভাগ্যে প্রিয় সুচিত্রাদির মিতিনমাসি, তৌফিকের হাতে বুদ্ধদেব বসু। আর আমার কপালে এসে জুটলো স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নামের ভদ্রলোকের 'মোম-কাগজ'। আমি জীবনেও এই লেখকের নাম শুনিনি। অমিতের বইটার উপর নজর ছিল। পরে কি ভেবে রেখে দিলাম হাতে যেটা এসেছে সেটাই।

বইয়ের প্রথম পাতাতেই লেখা- 'পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা, আশীর্বাদান্তে বন্দনা আন্টি'। কি মিষ্টি! ঠিক করে ফেললাম দুই একদিনের মধ্যে পড়া শুরু করতেই হবে, করেও দিলাম। শুরুটা ভালই। কনটেম্পোরারি! ঝরঝরা। কাহিনী ভালও না , খারাপও না! চলে টাইপ। কিন্তু লেখাটা সহজ সাবলীল বলে পড়তে খুব আরাম লাগে। রুকু নামের একজনের অতীত-ভবিষ্যৎ প্রতি চ্যাপ্টারে চ্যাপ্টারে পালাবদল করে লেখা। সেইসাথে টুকটুক করে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগার জায়গাটা হলো এই যে অতীত আর ভবিষ্যতের মসৃণ টান্সজিশন্টা। এত মসৃণভাবে এগিয়েছে যে বোঝাই যায়না। প্রেম আছে, বাস্তবতা আছে, টানাপড়েন আছে। কিন্তু একটা জায়গায় গিয়ে মনে হয় খুব বেশি ড্রামাটিক ভাবে কাহিনী আগাচ্ছে। মনে হয় যেন এটা উপন্যাস না হয়ে সিনেমা নাটকের গল্প হলেই বেশি মানায়। কিন্তু শেষটা গিয়েই একটা ধাক্কা মারলো। আনেক্সপেক্টেডলি এক্সপেক্টেড।

কনটেম্পোরারি নভেল লেখায় অপার ভারতের লেখকদের মুনশিয়ানা আছে এটা আমি স্বীকার করি। এই বইটাও তার সাক্ষ্যই রাখে । ভাল লাগলেও মনে হয় তাও কিছুটা পথ এখনো এই লেখকের পাড়ি দিলে বোধয় ভাল হবে।তারপরও ৪ তারা কারণ সাদামাটা কাহিনীর অন্যরকম সৌন্দর্য আছে। সামনে আরও সুন্দর সুন্দর বই পাবার আশা রাখছি, সেই সাথে বাকি বইগুলো পড়ে ফেলবার ইচ্ছাও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

আলুমিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন। বইটা পড়ার ইচ্ছা রইল। আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় রিভিউ লিখি। কিন্তু ...আলসেমি..

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

ইথারপত্র বলেছেন: আমি রিভিউ লিখি গুডরিডস নামে বইয়ের সাইটে আর ফেসবুকে দুই একটা বইয়ের গ্রুপে। আসলে এই একটাই বিষয় যা নিয়ে কথা বলতে , লিখতে আমি ভালবাসি, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কিন্তু আমারও শত্রু ওই এক ও অদ্বিতীয় আলসেমি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.