![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন এক্সপার্ট, চিনি সব মতবাদের পথঘাট.............. [email protected]
মিরাকল, সত্যিই মিরাকল। শব্দটির যথার্থতা নতুন করে বিশ্বকে জানিয়েছে এক নবজাতক, বেবি-৫৯। একই সঙ্গে সে প্রমাণ করেছে সৃষ্টিকর্তা না চাইলে কাউকে কেউ মারতে পারে না।
এক সন্তান নীতির দেশ চীনের জেইঝিয়াং প্রদেশের পূর্ব জিনহুয়া এলাকায় এমন-ই এক মিরাকল ঘটনার জন্ম দিয়েছে এক নবজাতক। সুয়ারেজের পাইপ লাইনে দুদিন আটকে থাকার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। খবর ডেইলি মেইল’র।
দমকল কর্মীদের ধারণা, দু-তিন দিন আগে এই মানব শিশু জন্ম নিয়েছে। বেবি-৫৯ (ইনকিউবেটরের নম্বর অনুসারে নামকরণ করেছে বিশ্ব মিডিয়া)- কে তার জন্মদাতা ইচ্ছেকৃতভাবে পরিত্যক্ত করতে কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়।
এক সন্তানের নীতি থাকায় চীনে অনেকেই ছেলে সন্তানের আশা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে কারও মেয়ে সন্তান হলে পিতা-মাতা সেটিকে পরিত্যক্ত করে থাকে, যা অহরহই দেশটিতে খবর হতে দেখা যায়।
কিন্তু নিয়তি ছেলে শিশু বেবি ৫৯- কে বাঁচিয়ে রাখে। সুয়ারেজের পাইপে কান্নার শব্দ পেয়ে শনিবার ওই ভবনের চার তলার এক মহিলা বিষয়টি দমকল বাহিনীকে জানায়। পরে সেটি সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার হলে সমালোচনার সঙ্গে দেশটিতে ব্যাপক ফেলে।
এরপর দীর্ঘ দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর দমকল বাহিনীর কর্মীরা টয়লেটের পাইপ লাইন থেকে তাকে উদ্ধার করে। শিশুটি এল-শেপ আকারে পাইপে আটকে ছিল। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে নেওয়া হয়। সেখানে নার্সদের সেবায় এখন তার অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক।
উদ্ধারকর্মীরা পুরো পাইপটি কেটে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা ৬ দশমিক ২ পাউন্ডের (২ কেজি ৮০০ গ্রাম) ওই শিশুটিকে নিরাপদে বের করে আনে।
শিশুটির দুই হাত দুইপাশে পিন দিয়ে আটকানো ছিল এবং টয়লেটের নোংরা বর্জ্যে তার চোখ, মুখ ও শরীর ঢেকে ছিল। বের করার পর দেখা গেছে, শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়েছে। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালে শিশুটি স্বাভাবিক আছে এবং তার জন্মদাতাকে খুঁজছে দেশটির পুলিশ। তবে এ ধরনের ঘৃণ্যকাজের জন্য শিশুটির মা-বাবার বিরুদ্ধে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষেরা দুধ, ডায়পারসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী পুজিয়াং হাসপালে পাঠাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই মিরাকল বেবিকে দেখতে ভিড় করছেন।
এদিকে, হাসপাতালের নার্সরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর হাসপাতালে আনা হলে শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। তবে এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।
জিনহুয়ার পুজিয়াং সরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের নার্স জাহাং সঙ্গী বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি মাথার উপরিভাগে আঘাতে শিশুটি জখম হয়েছে। কিন্তু সবকিছুই এখন স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘শিশুটির মাকে খুঁজে বের করা হয়েছে এবং এখন তিনি হাসপাতালে শিশুটির কাছেই আছেন।’
জাহাং সঙ্গী আরো বলেন, ‘তারা শুনেছেন, শিশুটির মাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি এখন হাসপাতালে আছেন। আমি শুনেছি ২২ বছর বয়সী ওই মা এখন পর্যন্ত অবিবাহিত।’
তবে ঠিক কি কারণে ওই মা এ ধরনের কাজ করতে গেছেন তা তিনি জানাননি। তবে পুলিশের ধারণা, ওই তরুণী অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মা হয়েছেন। আর সেজন্যই এই ঘটনার জন্ম হয়েছে। চীনে সম্প্রতি এ ধরনের মা হওয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে বলেও পুলিশ দাবি করেছে।
নার্সরা জানান, এই ঘটনার পর তিন থেকে চারটি দল এসে শিশুটিকে দেখে বিভিন্ন পথ্য বাতলে গেছেন। এদের অনেকেই তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দত্তক নিতে চাইছেন।
তারা জানান, তারা শুধু শিশুটির যত্ন করছেন। তবে কবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে তা তারা জানেন না।
তবে যেখানে শিশুটিকে পাওয়া গেছে, সেটি একটি ভবনের বিশ্রামকক্ষ। সেখানে পুলিশ রক্তজাতীয় গর্ভপাতের কোনো আলামত উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি সম্প্রতি সেখানে এই ধরনের কোনো সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাও কোনো বাসিন্দা জানাতে পারেননি।
শিশুটি কিভাবে টয়লেটের পাইপে গেছে, তা উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও দেশটির পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুজিয়াং পুলিশ ব্যুরো তাদের মাইক্রো ব্লগের অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ‘শিশুটির মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তানাধীন। এর বেশি কিছু জানানো আপাতত সম্ভব নয়।’
সূত্র
২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
শীতের সকাল বলেছেন: সহমত
২| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
মাগফার উদ্দিন মনি বলেছেন: অমানবিকতার চরম পর্যায় !!!
২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
শীতের সকাল বলেছেন: অমানবিকতার পরেও বেঁচে থাকে মানবিকতা।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
জায়েদ ইকবাল বলেছেন: Last two days Al-jazeera TV channel telecast to this video.
৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন:
নিশ্চয় তাঁর মধ্যে কিছু আছে, আসুন সবাই রেশমার মুরিদ হই
Click This Link
২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
শীতের সকাল বলেছেন: জ্বী জনাব !!!
৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
খাটাস বলেছেন: শিশুটির বাবা মা যে কারনেই এটা করুক। তাদের কে সেপটি ট্যাঙ্ক এ চুবাইয়া মারা দরকার। আর আলচিত শিশুর দত্তক নেয়া অনেক অভিজাতদের হীন রুচির প্রকাশ বলে আমার মনে হয়। কে কি বলবে জানি না। যার হৃদয় মহৎ সে সব অবস্থাতেই মানবতা বজায় রাখে।
২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
শীতের সকাল বলেছেন: যার হৃদয় মহৎ সে সব অবস্থাতেই মানবতা বজায় রাখে।
------------সুন্দর বলেছেন।
৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
বোকামন বলেছেন:
আল্লাহু আকবার।
২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১০
শীতের সকাল বলেছেন: আল্লাহ মহান।
৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
খাটাস বলেছেন: যার হৃদয় মহৎ সে সব অবস্থাতেই মানবতা বজায় রাখে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
সরদার হারুন বলেছেন: নির্মম মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে !