![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি, কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা...
মে দিবস : শিকাগো টু সাভার ভায়া ১২৬ বছর
আজ মহান মে দিবস । ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো নগরীতে শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণ ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে সর্বাত্মক ধর্মঘট শুরু করে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর সেই সময় গুলি চালিয়ে পুলিশ ১১ জনকে হত্যা করে। শ্রমিকদের অপরাধ ছিল তারা তাদের অধিকার দাবি করেছিল। ১২৬ বছর পর বাংলাদেশের সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় চারশ' পোশাক-শ্রমিকের প্রাণহানী আর কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পর আমাদের শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করার অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছে।
কোনটি বড় ঘটনা? শিকাগোতে পুলিশের গুলিতে ১১জন নিহত, নাকি ঢাকার সাভারে ডেকে এনে ৪শ শ্রমিককে হত্যা? এ প্রশ্ন আজ বিশ্ব-বিবেকের কাছে।
এবারের বিশ্ব শ্রমিক দিবস এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে দিনটি।
ঐতিহাসিক মে দিবসের সূচনা যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ১৮৮৬ সালের কথা দেশটির শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকরা আন্দোলন করেন উপযুক্ত মজুরি ও দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার দাবিতে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর সেই সময় গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হয়। সেদিনের ওই ঘটনা ক্রমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিনটিকে নিহত শ্রমিকদের সম্মানে `মে দিবস` হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে ১ মে দেশে দেশে পালিত হয় `মে দিবস` খ্যাত বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে।
বাংলাদেশের শ্রমজীবি গরিব মানুষগুলো চাকরি হারানোর ভয়ে ভবন মালিক ও গার্মেন্টস মালিকের নির্দেশে ফাটল ভবনে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ভবনটি ধসে পড়লো মেহনতি মানুষগুলোর মাথার ওপর। ভবনের প্রতিটি তলা যেন স্যান্ডউইচের মতো একটির ওপর আরেকটি মুহূর্তেই চেপে বসে আর পিষে ফেলে শ্রমজীবী মানুষদের। মানব ইতিহাসের অন্যতম ট্রাজেডিগুলোর মধ্যে সাভারও যুক্ত হলো।
ভবন মালিক রানার আহ্বানেই গার্মেন্টস মালিকেরা সেদিন সকালে কর্মীদের ডেকে এনে কাজে যোগদান করান। আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিলে তাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কাজে যোগদানে বাধ্য করিয়ে অসংখ্য শ্রমিকের জীবনাবসান হলো। এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা না বলে ‘হত্যা’ই উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। সাভারের এ ঘটনা কাঁদিয়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়াসহ সারাবিশ্বের বিবেকবান মানুষদের।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সরকারি হিসেবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৪শ লাশ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করবেন।
বাংলাদেশে এমন ট্রাজেডির মধ্যে এসেছে এবারের শ্রমিক দিবস। এখনও চলছে রানা প্লাজার নিচে দুমরানো শ্রমিকের গলিত লাশের সন্ধান। এবারের ১ মে'তে মুনাফালোভী মালিকের খামখেয়ালীতে নিহত হতভাগ্য আরো কিছু শ্রমিকের সাতদিনের পচাঁগলা লাশ দেখবে এ দেশের মানুষ।
২| ০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
ক্ষয়রোগ বলেছেন: অপেক্ষায় আছি
৩| ০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ১০:০১
কোবিদ বলেছেন: ১৮৮৬ এর পরে ১২৬ বছর পার হলেও শ্রমিকরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
প্রতি বছরই ভাঙা রেকর্ডের মতে একই গান বাজে, ন্যায্য মজুরী চাই, নির্দিষ্ট কর্ম ঘণ্টা চাই,
অতিরিক্ত কাজের মজুরী চাই, নিরাপদ কর্মস্থল চাই। আশা হত ভাগ্য হত শ্রমিকরা শুধু চেয়েই
যাচ্ছে কিন্তু প্রাপ্তি সামান্য।
আর এই না পাওয়ার বিরুদ্ধে জীবন প্রদীপ নির্বাপিত পোষাক কন্যার
পদাঘাত জাতির প্রতি, বিশ্বের শোষকদের প্রতি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: বাংলাদেশে নতুন করে মে দিবসের প্রয়োজন আছে। সে মে দিবস আসতে বেশি দেরি নেই।