![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]
প্রথম অংশ
প্রথম পর্বে আমরা দুটো ব্যাপার দেখেছি। ব্যাপার দুটো থেকে আমি বেশ সুনির্দিস্ট সিদ্ধান্তে আসি।
১) যা দেখি সব কিছুই আপেক্ষিক। এমন নয় যে আমি পরম সত্যটাই দেখি, আমি যেটা দেখি সেটা আমার মস্তিস্কে বহু বছরে ধারনকৃত উপাত্ত থেকে গৃহিত সিদ্ধান্তের ফলাফল
২) মস্তিস্কের নিউরণ গুলো নির্দিস্ট একটা সংকেতে চলতে পছন্দ করে এবং ইচ্ছে করলেই এটাকে প্রভাবিত করে ইচ্ছে মতো চালিত করা যায় তার স্নায়ুতান্ত্রিক কার্যক্রমকে।
কিন্তু এ দুটো সিদ্ধান্ত থেকে আমি কোনো ডেফিনিট উত্তর পাই নি। আমি উত্তর খুজতে থাকি সেই ক্লাস সেভেন থেকে। প্রশ্নটা এমন ভাবে আমাকে আন্দোলিত করেছিলো আমি টানা এক মাস আমার চন্ঞ্চলতা ভুলে মাঠে বসে থাকতাম উদাস মনে। আকাশে চেয়ে থাকতাম, খুজতে চাইতাম নীলে সাদা কালোর বাইরে দেখা যায় কি না অপার্থিব কোনো রং। মনে পরে একবার চোখ দিয়ে পানি বইছিলো কোনো এক বিকেলে। মাথাটায় যত সব আজে বাজে চিন্তায় প্রচন্ড হতাশ ছিলাম। এমন সময় পাশে এসে বসলো একটি মেয়ে, শ্যামলা গড়নের কিন্তু খুব সুন্দর। বললো," কি হয়েছে তোমার?" আমি না তাকিয়েই বললাম,"কিছু না, কিছু রং খুজে পাচ্ছি না।" মেয়েটা একটু হেসে বললো," গোল্লাছুট খেলবে, আমাদের দলে একজন কম।"
: কিভাবে খেলে এটা? আমি তো খেলতে পারি না।
: খুব সোজা, একবার দেখলেই পারবে।
ও হাত টা ধরে নিয়ে গেলো মাঠের এক কোণায়। অনুভব করলাম এই প্রথম খুব অপরিচিত সুন্দর একটা মেয়ে আমার হাত ধরেছে। দেখলাম ওখানে সবাই মেয়ে। আমিই একা ছেলে, একটু লজ্জা লজ্জা লাগছে। খেললাম, হেরে গেলো আমার দল। আমি বার বার ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম বলে সবাই আমাকে ছুয়ে যাচ্ছিলো, আর আমার জন্য আমার দল হারছিলো। আমি তখনই উত্তর জেনে যাই আমার প্রশ্নের কিন্তু তখনও আমি শিওর ছিলাম না আমার উত্তর সঠিক ছিলো কি না, তখন এটাও জানতাম না এই মেয়েটির নাম রিপা আর এর জন্যই আমার জীবনের পরবর্তী ১০ টি বছর এলোমেলো হয়ে যাবে।
আসেন কিছু কেস স্টাডি করি:
কেস ১:
সাইকোলজিতে একটা রোগ আছে এপিলেপ্সি। বলা হয় এটা নাকি ধর্মযাজকদের রোগ। একটা সাধারন উদাহরন দেই (অসাধারন উদাহরন দিতে গেলে পরে মার খেতে হবে আমার) আফ্রিকায় যদি কারো ঝোকের মাথায় উল্টাপাল্টা কথা বলা লোক পায় তাহলে বলা হয় তার উপর পূর্ব পুরুষের আত্না ভর করেছে। তখন সে আবোল তাবোল কিছু বলতে থাকে যেগুলোকে তার সহযোগীরা ক্লু হিসেবে ধরে নেয়। তখন সে হয়ে যায় তাদের ধর্মযাজক বা ওহী প্রদানকারী কেস্ট বিস্টু কেউ, নেশায় মত্ত কেউ।
আমাদের দেশেও এরকম রোগীর সংখ্যা পাওয়া যাবে। দেখা যাবে সুস্হ সবল একজন মানুষ হঠাৎ কাপাকাপি শুরু করছে, উল্টাপাল্টা বকা শুরু করছে। কেউ কেউ বলে ভূতের আছড়, কেউ কেউ বলে বা পায়ের বুড়া আঙ্গুল নাকের পয়েন্টে এক হয়ে গেছে বলে আত্না বের হয়ে আসতে চাইছে।
আসলেই কি তাই? এ রোগটা হচ্ছে মাথার নিউরনের মধ্যে ইলেক্ট্রিক সিগন্যালের আদান প্রদানে ধারাবাহিক ভাবে অস্বাভাবিকতা শুরু হলে এরকম উদ্ভট আচার আচরণ শুরু হয়ে যায়। এর চিকিৎসা আছে, হিপনোটিক, লোকাল এ্যানেসথেশিয়ার মাধ্যমে ছোট্ট একটা সিজার অথবা নির্দিস্ট মানের মেডিকেশন। কাজ হয় তবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অপেক্ষাকৃত বেশী দেখা যায় অনুন্নত দেশে এবং দরিদ্রতম দেশে এ রোগের হার সবচেয়ে বেশী।
আপনার আশে পাশে কেউ যদি এমন থাকে তাহলে দয়া করে তাকে পীর দরবেশ ঝাড় ফুক না দিয়ে উপযুক্ত মেডিকেশন আর চিকিৎসার ব্যাবস্হা করুন না হলে মৃত্যুও ঘটে যেতে পারে অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারনে!
কেস ২:
একটা পিচ্চি মেয়ে মার্থা, হঠাৎ শোনা গেলো সে নাকি আয়নায় ঢুকে যেতে পারে। আয়নায় ঢুকে বেশ কয়েকদিন থাকা কোনো ব্যাপার না। মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখা হলো, জিজ্ঞেস করলে সব আধ্যাত্ববাদ নিয়ে কথা বলায় চারিদিকে তার নাম ছড়িয়ে পড়লো। মেয়েটি নাকি অন্যদের প্রভাবিত করতে পারতো। আর তাই বাড়তে থাকলো তার ভক্তদের সংখ্যা তার উপর রচিত হলো গার্ল ইন দ্যা মিরর নামের একটা হিট বই। এবিসি চ্যানেলে প্রচারিত হলো তার উপর এক ঘন্টার অনুষ্ঠান। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো পাপ কি?
সে বললো: ঈশ্বরের অন্ধকার রূপ।
তার কয়েক বছর পর একটা বই বের হলো মার্থা ডিসাইট। এখানে বলা হলো পুরা ঘটনাই ফ্রড।
এর বেশী কিছু জানা যায়নি, কারন তার কিছুদিন পর মেয়েটির হদিস কেউ পায়নি। এমন কি খুজে পায়নি তার কোনো দেহ। তার রূম খুজে দেখা হলো তার আয়নাটা কাপড়ে ঢাকা আর মার্থার মা কিছুদিন পর শেষ দেখতে পান আয়নায় তাকে বিদায় জানাচ্ছে। হাইপার ডিল্যুশন বা স্কিজোফ্রোনিয়া? উত্তর নাই।
কেস ৩:
ইউরি গেলার নামের এক ইসরাইলি ভদ্রলোক আছেন যিনি নিজেকে সাইকিক বলে পরিচয় দেন। তিনি নাকি চামচের দিকে তাকিয়ে বাকা করে ফেলতেন, আবার কারো চোখের দিকে তাকিয়ে তার মনের কথা সব বলে দিতে পারতেন। শুধু তাই না তিনি ভবিষ্যত দেখতে পারেন, মানুষকে বাধ্য করতেন তার মতো চিন্তা করার। তাকে নিয়ে অনেক গবেষনা হয়, এবং এখনও তাকে নিয়ে অনেক গবেষনা চলছে। কেউ সদুত্তর দিতে পারেনি। স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ল্যাবে হাইফাই সব ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়েও কোনো পদার্থবিদ এর কারন খুজে পাননি, শুধু কুৎসা রটানো ছাড়া!
বিখ্যাত সমালোচক জেমস রান্ডি অবশ্য তাকে ভুল প্রমান করতে দুটো বইও লিখে ফেলেছেন কিন্তু এতে তাকে কিছুটা বিপর্যস্ত করলেও মিথ্যা প্রমান করার মতো শক্ত যুক্তি খাড়া করাতে পারেন নি।
কেমন লাগে বলেনতো কেউ আপনার দিকে তাকিয়ে বলে দিলো আপনার ইমেইল এ্যাড্রেসের পাসওয়ার্ড!
কেস ৪:
নস্ত্রাদামুসের কথা কে না জানি, তাকে কি পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার আছে? তার লেখা দ্যা প্রেফেসিস নিয়ে এখনও কথা হয়। কারন এখনও অনেক ঘটনা তার হেয়ালী কথার সাথে হুবহু মিলে যায়। কিভাবে সে ১৫ শতকে বসে একবিংশ শতকের গুলো লিখে গেছেন হেয়ালী ভাবে খোদা মালুম। হতে পারে সে বার বার ঝড়ে বক মেরেছেন।
কেস ৫:
কখনও কি আপনার এমন হয়েছে, মনে করুন একটা কফিশপে বসে আছেন। কফির ধোয়া উড়ছে, আর ধোয়ার ওপারে বসে আছে আপনার বান্ধবী। সে হঠাৎ হাতে হাত রাখলো, বললো চোখে চোখ তাকিয়ে," ভালোবাসি।"
হঠাৎ আপনি চমকে উঠলেন, কারন ঠিক এ ঘটনাই আপনি দেখেছেন স্বপ্নে খুব ছোটবেলায়, ঠিক এই মেয়েটিকেই ঠিক এই জায়গায়। স্বপ্নেও সে এ কথাটাই বলেছিলো, আপনি চমকেছেন এটাও দেখেছেন?
একটু ভাবুন, কখনো এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে যেটা আপনি স্বপ্নে দেখে ফেলেছেন ৬-৭ বছর আগে?
একটু ভাবুন, আমার পরবর্তী অংশের জন্য এটা খুব দরকার!
চলবে.....
২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিছু কিছু পোলাপান আছে যারা যা জানে তার চেয়ে বেশী ফাল পারে।আপনি একটু বেশী পারছেন। ডেজা ভ্যু সংশ্লিস্ট যেই পয়াচাল পারছেন আপনের ফাও প্যাচালের সায়েন্স ফিকশনে সেইটার ব্যাখ্যাও বৈজ্ঞানিক বা যুক্তিবাদীরা মেনে নিতে পারেনি। কারন ডেজাভ্যুর সম্বন্ধে ব্যাখ্যা একটা না সায়েন্টিফিক রিসার্চ অনুযায়ী ৪ টা আর এ্যানালাইটিক রিসার্চ অনুযায়ী ৩ টা ব্যাখ্যা আছে।
আপেল নীচে পড়ে কেন সেইটার একটা ব্যাখ্যাই প্রমান করে এইটা সাধারন ফেনো মেনা কিন্তু ডেজাভ্যু কিজন্য হয় সেইডার জন্য ৭ ব্যাখ্যা প্রমাণ করে আপনি যতটা না জাইনা কনফিডেন্ট বৈজ্ঞানিকরা জাইনা অতটা কনফিডেন্ট না। কথায় আছে, ওস্তাদের চাইতে শিষ্যের ফাল বেশী।
আরো দুইটা কথা কই, মার্থার ব্যাপারে আমি যেইটা সেইটা হইলো ফেনোমেনা এর ব্যাখয়া আমি দেই নাই, আর আমি এইখানে এইটাও বলি নাই মার্থার ব্যাপারটা সত্য বা মিথ্যা তবে এই ব্যাপারে আপনি যেমন না জাইনা মন্তব্য সেইটা আপনার কথা শুইনাই বুঝা যায়। কারন এইখানে যেই বই দুইটার কথা বলা হইছে সেই বই আদতে খুব সামান্যই আছে যার কোনো নাম চিহ্ন ইন্টারনেটে খুজে পাওয়া বেশ টাফ, তবে কিছু জার্নালে আছে এই ঘটনার অস্তিত্ব। পারলে যারা প্যারা সাইকোলজি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিচ্ছে তাদেরকে ফ্রডারী কত রকম হতে পারে এবং এর সাথে স্কিজোফ্রেনিয়ার কি সম্পর্ক সেইটা সম্বন্ধে পড়ানো হয়।
আরেকটা কথা, সব কিছুর মূলে কিন্তু ফিজিক্স, তাই সায়েন্স ফিকশন লেখার আগে ফিজিক্সটা একটু ঝালাই করে নিলে পাবলিক কম হাসবে কমেন্ট বেশী করবে!
২| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২৩
শিবলী বলেছেন: ৬-৭ বছর আগে যা দেখছি ভুলে গেছি
আর সপন তো ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাই...
২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভুলে গেলেই বা সমস্যা কি! কোনো সমস্যা নাই। ধরেন আপনি একজনরে ভালোবসছিলেন যার আসল রূপ জাইনা মনে হইলো এর চেয়ে দৌলতদিয়ার কারো মন দিলেও ভালো হইতো। তখন কি করা উচিত, নিশ্চয়ই তারে আগে ভুইলা যাওন উচিত!
মাঝে মাঝে ভুলে যাওয়াটা একটা বড় গুণ। আমি তাই ইচ্ছা করেই বলি আমার স্মৃতি শক্তি দুর্বল কারন আমি যদি আমার শার্প ব্রেনে সব ধরার চেস্টা করি সবকিছুই ইউসলেস হয়ে যাবে!
ভালো গুণ নিয়ে মন খারাপ করতে নাই, টেক্সট বুক আর নিজের পড়া লেখার বিষয় মনে রাখেন দেখবেন লাইফে আর কিছুই লাগবে না!
৩| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: ইউরি গেলারের ধাপ্পা বোঝার জন্যে তো খুব চালাক হতে হয় না। ম্যাজিকে যেটাকে "কন্ট্রোল" বলে, সেটা আনলেই এদের খেল খতম।
২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা ঠিক। জেমস রান্ডি এসব নিয়েই মূলত কাজ করেন তবে উনার ব্যাপারেও অনেক সমালোচনা আছে। যতদূর জানি উনি ইউরি গ্যালারের এ্যাগেন্সটে বিশাল একটা কেস ডায়েরী করেছিলেন, কিন্তু পরে সেটা ১২০০০০ ডলারে দফারফা করতে চান। কেসে জেতার পরও উনি একটা কড়িও ওঠাতে পারেনি। যতদূর জানি উনি নাকি নিজেও কনফিডেন্ট ছিলো উনার এই ব্যাপারে। অবশ্য রান্ডি সাহেবের সবচেয়ে বড় সমালোচনা হলো উনি ইউরি গ্যালারের এ্যাগেন্সটে যেই বই টা লিখেছেন সেই বইতে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চাইতে সবচেয়ে বেশী ব্যাব হার করেছেন ইউরি গ্যালারের ব্যাক্তিগত কথাবার্তার কোটেশন যার ফলে উনার এই বইটা বেশ হালকা হয়ে যায় আর যারা সুবিধা বাদী তারাও তার ব্যাপারে এক হাত নিতে ছাড়েননি!
৪| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৩৬
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমি প্রায়ই ঘুম থেকে দেরি করে উঠতাম। তাই আমার বাপে প্রায়ই একটা লাঠি নিয়া আসত।একদিন আমি বাপে আসার আগেই স্বপ্নে দেখলাম এক বুড়ি আমারে লাঠি নিয়া তাড়া করতাছে। আমি দৌরাইতাছি আর বুড়িও দৌড়াইতাছে। যেই মূহুর্তে বুড়ি আমারে বাড়িডা দিল আমার বাপেও বাড়িডা দিল।এটা কি ঘুমের মধ্যে আমি কোনভাবে টের পাইয়া গেছিলাম মাইর খাওয়ার বিষয়টা। নাকি যেই মূহুর্তে বাপের লাঠিটা আমার পিঠ ছুইলো অথচ পুরা আঘাত করে নাই সেই মূহুর্তে আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম এবং বাড়িডা জুইত মত বসার আগ পর্যন্ত টাইম ইন্টারভালে আমি পুরা দৌড় খাওয়ার স্বপ্নডা দেখছি। আর আমার ব্রেইন টাইম ডাইলেশনের ইলিউশন দেহাইল আমারে।
২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বস, কোরান শরীফেও স্বপ্নের বা ঘুমে ব্যাপারটা বলা আছে। তবে আমার কাছে মনে হয় স্বপ্নের জিনিসটাও সিরিয়াসলি কিছু ধরনের নাই। যদি ধরার কিছু না থাকে তাহলে এটা হওয়া উচিত একজন মানুষের জীবনে ২-৩ বার ডিজা ভ্যু হতে পারে। কিন্তু যখন দেখবেন আপনার নিয়মিত এটা সত্য হচ্ছে তখন মনে হয় কোনো একটা গড়বড় হচ্ছে। আমার প্রতি মাসেই এরকম ঘটনা ঘটছে। যখন হয় তখন আমি হাসি। প্রতি সপ্তাহে আমার দু'তিনটা ডেট থাকে তিন চারজনের সাথে। তাদের একেক জনের সাথে একেক রকম গল্প। এবং প্রতিটা গল্পই যেটা যেখানে বলছি সেগুলো আগে থেকেই দেখা অথবা কিভাবে তাদের কে কনভিন্স করবো এই আইডিয়া সেই স্বপ্ন থেকেই পাওয়া। এমনকি বড় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে সেটা সম্পর্কেও আগে থেকেই জানা। কিন্তু মেইন সমস্যা হলো আমি সেটা ঠেকাতে পারি না। আমার এই এক্সেসটা অনলি রিড অনলি!
৫| ২৬ শে মে, ২০০৯ ভোর ৫:৫৭
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: ট্রানজিষ্টরের ভিডিওটা দেখে টাশকি খাইছি
অনেক আগে রহস্য পত্রিকায় পড়েছিলাম এসব ব্যাপারে --
ধাপ্পাবাজী পুরাটাই ।
আমরা আসলে মুগ্ধ হতে ভালোবাসি -- ভিডিওটার শেষে এসে এটাই টের পেলাম
নাহয় জারিজুরি ধরা খাওয়ার পরও কিভাবে এসব মানুষ টিকে থাকে ।
মিডিয়াও এর পিছে দায়ী -- আজব কিছু দিলেই কাটতি ।
বুজরুকি ধরা খেলে ঐ খবরের দাম নাই ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ইন্ডিয়ার এক লেখক ছিলো উনার কাজই দিলো বুজরুকি ধরে বেড়ানো ।
নামটা মনে পড়ছে না ।
খুব ইন্টারেষ্টিং ।
২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাসপুটিন যখন রাজ মহলে এসে রাজপূত্রের শ্বাসকস্ট মিটিয়ে দিলেন তখন সে যে বিশাল একজন হীলার সেটা নিয়ে কারো মনে প্রশ্ন ছিলো না। তবে তিনি এর সুবিধা নিয়েছিলেন পুরা দমে কারন সে ছিলেন মস্ত একজন প্লেবয়। পরে যখন জানা গেলো সব এ্যসপিরিনের খেল তখন মনে হলো আসলেই সম্ভব।
কিন্তু আবার যখন এস বেলায়েভের কাহিনী শুনি তখন অন্যান্য ফিজিক্সের প্রফেসর বা অন্যান্য যারা উপস্হিত ছিলেন তাদের মন্তব্য শুনে হাসতে হয় কারন এভাবে করলে সবাই পারতো। তৎক্ষণাৎ না পারলেও কিছুদিন পর আসলেই সব জাদুকররা এটা করে দেখায়। তবে এখনও বিজ্ঞান অত শক্তিশালী হয় নি।আমার এই সিরিজ লেখার মূল উদ্দেশ্য এর পরের গুলো পড়লে আরো ক্লিয়ার করতে পারবো!
৬| ৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৬
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমি আরো দুইটা অবিশ্বাস্য জিনিস আমার জীবনে দেখেছি। আমি জানি না কিভাবে এটা সম্ভব। আমার মায়ের দিকের প্রায় সবাই ভারতে থাকে। তা আমার নানা যেইদিন মারা গেলেন আমার খালু আমাদের বাসায় আসলেন। নানার মৃত্যু সংবাদ দিতে। তখন টেলিফোন বা অন্য কোন যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। আমার মা কিভাবেই যেন আগেই বুঝে গিয়েছেন যে তার বাবা মামা গেছেন। তিনি খালুকে বললেন বাবা মারা গেছেন?? খালু বললেন , হ্যা। আমি জানি না কিভাবে তিনি বুঝলেন। একইভাবে আমার নানীর মৃত্যুও তিনি বুঝে গিয়েছিলেন। কিভাবে বুঝলেন তিনিই জানেন। দুঃখের বিষয় কোন অন্তেষ্টিক্রিয়ায় তিনি যেতে পারেননি। মানুষের যদি জীবনকাল ভাগাভাগির অপশন থাকত আমি আমার জীবনের কিছু অংশ উনাদের দিয়ে দিতাম।
৩০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সাইকিক পাওয়ার নিয়ে অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দিলেও সবই স্কেপটিক্যাল। আসলেই মস্তিস্কের বিভিন্ন পারটের কার্যকারন আর কর্মপদ্ধতি নিয়ে ইদানিগন ব্যাপক গবেষনা হচ্ছে যার বেশীর ভাগ মূলত জোর দেয়া হচ্ছে একটা ব্রেইন ইন্টারফেস গড়ে তোলা। সায়েন্স জার্নালের প্রতিটা সংখ্যায় এর পরীক্ষা আর ফাইন্ডিংস নিয়ে কথা বলছে। আপনার এই ব্যাপারটা শুধু যে আপনার মার জীবনেও ঘটেছে এমন না, এটা আপনার জীবনেও হতে পারে। হতে পারে ঐ বয়সে কারো প্রতি অতিরিক্ত এ্যাফেকশনেট অথবা মৃত্যুচিন্তা নিয়ে অযাচিত ভয়ই এটার কারন হতে পারে, এবং অনেকেই বলতে পারেন এটা কাকতালীয়।
কিন্তু এই যুক্তি যেমন আপনিও গ্রহন করতে চাইবেন না অন্যান্য সাধারন লোকের পক্ষেও সম্ভব না। তবে বুঝতে হলে জানতে হবে যার বিকল্প নাই!
৭| ০৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৫৩
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: প্রবীর ঘোষ
বইয়ের নাম ছিল অলৌকিক নয় লৌকিক
মনে পড়েছে অবশেষে ।
০৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বইটার অনলাইন ভার্সন থাকলে লিংক দেন।
আর ঘটনা সব একই, সবাই একই যুক্তি প্রমান দেখাবে। আমি শুধু দেখলাম নিজের দৃস্টি ভঙ্গি দিয়ে অন্যকিছু। এটাই সামনে বলবো আর কি!
৮| ০৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৯
আউলা বলেছেন: বস ঘটনা কি ! তুমি আজকাল জ্ঞানী হবার চরমে!
০৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:
জ্ঞান আজকাল যমুনা নদীর পানির মতো উথলায় উথলায় যায়!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০৪
কালো রঙের পাকা চুল বলেছেন: মার্থা ডিসাইট টা কঠিন টার্মে ভর্তি। মার্থার জালিয়াতি ধরতে এই রকম কঠিন টার্ম ব্যবহার কেন করতে হয় সেটা আমি বুঝি না। এটা কী সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণের একটা চেষ্টা ? ২ পাতা পড়ে বিরক্ত হয়ে রেখে দিছি। এটার শিশু কিশোর ভার্সন পেলে ভাল হত। খেক খেক
৫ নাম্বার কথাটা কী একটু ডে জা ভূ এর মত হয়ে গেল না ? কোন কিছু দেখে মনে হওয়া যে, আরে! এটাতো দেখেছি। একদম হুবহু।
এরকম বুঝাচ্ছেন ? এটা অনেক দারুণ বৈজ্ঞানিক আছে। না জানলে বলবেন। বলে দিব। একটু আগে একটা সাই ফাই তে ব্যাখ্যা দিলাম এটার।http://www.somewhereinblog.net/blog/Haripatil/28955617
৩ নাম্বার নিয়ে অনেক চিন্তার ব্যাপার আছে। সরাসরি এই কাহিনী ঘটতে কয়জন দেখেছে? কয়েকদিন আগে পেপারে দেখি, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে লবণ নাকি প্রেশারে ক্ষতি করে না। চমকে উঠলাম।
পরে দেখি স্পন্সর লবণ কোম্পানী।
একা একা এরিস্টটলের মত দার্শনিক ভাবে ভাববেন না। বেশির ভাগই ভুল সহজ যা ছিল আবিষ্কার হয়ে গেছে। তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে ভাবুন।
[ব্লগে আমার প্রথম বড় কমেন্ট এটা।মানে, কয়েক লাইনের বেশি।]