নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে শয়তান এন্ড কিস মাই....-২ #MosqueMeToo

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮

হেফাজতে শয়তান এন্ড কিস মাই....-১

ইহুদীদের তোরাহ এর প্রথম চ্যাপ্টারের তালমুদ অনুসারে ইসরাইলের ব্যুৎপত্তিকাল থেকে রাজা সলোমনের দ্বারা জেরুজালেমে প্রথম উপসনালয়ের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের সময়কাল পর্যন্ত প্রতি বছরের নির্দিস্ট একটা দিনে সবাই নিজেদের পাপমুক্তির জন্য পাপশুদ্ধির দিন পালন করতেন। প্রথম দিকে এই দিনে ইহুদীদের প্রধান র‌্যাবাই বা যাজক একটা ষাড় জবাই করতেন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। এর মূল লক্ষ্য ছিলো অনিচ্ছাকৃত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং তার হাদিয়া স্বরূপ এই ষাড়ের কোরবানী ঈশ্বরের প্রতি। পরে ক্যানানরা ইসরাইল দখল করলে রীতিতে পরিবর্তন আসে। জুরুস্থ্রু সহ অন্যান্য ধর্মের প্রভাবে একটা ষাড়ের বদলে দুটো কাছাকাছি আকৃতি ও গড়নের ছাগল বেছে নেয়া হয়। একটি ছাগলকে ধরে নিয়ে উপসনালয়ের মেঝেতে কোরবানী দিয়ে তার রক্ত বেদীতে ছিটিয়ে দেয়া হতো। কারন হলো ইসরাইলবাসীর যত অনিচ্ছাকৃত পাপ আছে সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা। এসময় র‌্যাবাই তাদের সেই পাপের কনফেসন করতো। আরেকটা ছাগলের শিং অর্ধেক কেটে তাতে লাল রিবনের কাপড় বেধে মরুভূমির মাঝেখানে ছেড়ে দিতো আজাজিলের উদ্দেশ্যে। তালমুদ অনুসারে আজাজিল ছিলো বহিস্কৃত ফেরেশতা যাকে কিনা ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করার কারনে স্বর্গচ্যুত করা হয়।
আজাজিলের বিচ্যুতির ঘটনাটা গ্রীক মিথলজীতে থাকা প্রমেথিউসের ঘটনার সাথে অনেকাংশে মিলে যায়। আদি সময়ে পঙ্কিল পৃথিবীতে প্রকৃতির বৈরী পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে মানবজাতী নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কটে খাবি খেতো। তা দেখে আজাজিলের মন নরম হয়, মানবজাতিকে আগুন এবং লোহার ব্যাবহার সম্পর্কে ধারনা দেয়। ধারনা দেয় কাপড়ের বুনন কিভাবে সম্ভব। এর ফলে মর্ত্যের মানুষেরা লোহা দিয়া অস্ত্র বানিয়ে শিকারে নেমে প্রোটিনের উৎস বুনোমাংসের স্বাদ পায় এবং আগুনে পুড়িয়ে নিজেদের ক্ষুধা মেটায়। বিনা অনুমতিতে এ কাজ করায় ঈশ্বর ইয়াহওয়ে (ইহুদীদের ঈশ্বর) তাতে রুস্ট হন। আজাজিলকে স্বর্গচ্যুত করে এবং তারপর থেকেই সে মরুভূমির অজানা স্থানে বাস করতে থাকে। দ্বিতীয় ছাগলটিকে আজাজিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবার কারন হলো তারা তাদের পাপসমূহ ঐ ছাগলের ঘাড়ে চাপিয়ে আজাজিলের কাছে পাঠিয়ে দেয়া। যদি ছাগলটা মরবার আগে লাল রিবন সাদা হয়ে যায় তাহলে ধরে নেয়া হতো তারা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পেরেছে।

খ্রিস্টানদের বাইবেলে মিথটা একটু অন্যভাবে বিবর্তিত হয়েছ। এখানে আজাজিলের জায়গায় ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মূর্তিকে ব্যাবহার করা হয়। এবং প্রথম ছাগলটিকে উৎসর্গ করার কারন হিসেবে তাদের পাপের কারনে যে সামাজিক দূষন, অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তির জন্য আর দ্বিতীয়টিকে ধরা হয় পাপের বোঝা হিসেবে। এই দ্বিতীয় ছাগলটিকেই স্কেপগোট বা বলির পাঠা বলা হয়।

ধর্মীয় এসব মিথগুলো একটা একটার উন্নততর সংস্করন হলেও প্রায় সব ধর্মেই বলির পাঠা ব্যাপারটা বিদ্যমান।

যুক্তিবিদ্যাতে ঠিক এরকমই এক অপযুক্তি বা ফ্যালাসি আছে যার নাম স্কেপগোট ফ্যালাসী বা বলির পাঠা অপযুক্তি (এর নামকরন অন্যকিছু হতে পারে প্রচলিত দেশী যুক্তিবিদ্যায়। যেহেতু আমি যুক্তিবিদ্যার ছাত্র ছিলাম না সেহেতু যদি কারো জানা থাকে ঠিক করে দেবেন)। তর্কের খাতিরে কোনো অপকর্ম বা দুর্ভাগ্যজনক বা অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য ভিক্টিমকে অভিযুক্ত করাকেই স্কেপগোট অপব্যাখ্যা হিসেবে ধরে নেয়া যায়। উদাহরন হিসেবে বলা যায় রাস্তায় কালো বিড়াল দেখার পর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে এর দোষ কালোবিড়ালের। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে কালোবিড়ালের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই তবুও কালো বিড়ালটাকেই বলির পাঠা বানানো হবে।

আবার ধরা যাক একটা মেয়েকে ধর্ষন করা হলো। স্বভাবতই ধর্ষক দোষী এবং সে শাস্তি পাবার উপযোগী কিন্তু একশ্রেনীর মানুষ মেয়েটির দিকে আঙ্গুল তুলে বলবে মেয়েটির কাপড় বা তার চালচলনের দোষ। এই স্কেপগোট ফ্যালাসীর একমাত্র কারন ব্যাক্তিবিশেষের অপরাধকে হাল্কা করা অথবা স্বার্থ উদ্ধার করা।

একটু ব্যাখ্যা করা যাক। আমরা সবাই জানি শরীয়া আইন দ্বারা পরিচালিত আরব সহ মিডল ঈস্টে ধর্ষনের হার কতটা জঘন্য এবং রাস্ট্রিয় ভাবে কিভাবে ধর্ষনে প্রশ্রয় দেয়া হয়। এছাড়া দেশের পত্র পত্রিকায় হরদম শোনা যায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষনের শিকার এবং মাদ্রাসাগুলোতে শিশু ধর্ষনের হার দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। এর প্রধান কারন কিন্তু পোশাক না, দায়ী বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং মানুষের নৈতিক অবক্ষয়।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি এজন্য বলবো আজ পর্যন্ত কখনো শোনা যায়নি মাদ্রাসাতে শিশু ধর্ষনের কারনে ওমুক হুজুরের এত বছরের জেল। আমরা শুধু গ্রেফতার ও চাকুরিচ্যুতি এবং মব জাস্টিস হিসেবে সালিশের কথা শুনি। তাতে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের বিচারব্যাবস্থা যে কতটা দুর্বল তা নীচের ছবিটা দেখলেই পরিস্কার হয়ে যায়।

ছবির স্পস্ট রেজুলেশন চাইলে এখানে ক্লিক করুন
এরকম দুর্বল বিচারব্যাবস্থা নিয়ে এত বড় জনগোষ্ঠিকে কিভাবে ন্যায়বিচার দেয়া সম্ভব সেটাও ভাবার বিষয়।

আবার অনেকেই বলেন মৃত্যুদন্ডের বিধান করলেই ল্যাঠা চুকে যায়।এই যুক্তিটাকে আমরা আরগুমেন্টাম এ্যাড ইগনোরানটিয়াম বা আপিল টু ইগনোরেন্স বা অজ্ঞতার স হায়ক ফ্যালাসী বা অপযুক্তির সাথে তুলনা করতে পারি। এই অপযুক্তি বা ফ্যালাসী অনুসারে তর্কের খাতিরে আপনি এমন একটা তথ্য পেশ করলেন যেটা সঠিক নয়।

মৃত্যুদন্ডের সাথে অপরাধের হারের সমানুপাতিক সম্পর্ক খুজতে গিয়ে ডর্টমুন্ড ইউনিভার্সিটির একটা পেপারে চোখ বুলাতে পারি। পেপারটা কোয়ালিটিটিভ এবং কোয়ান্টিটিভ মেথডে লেখা হয়েছে। যদিও বইটি মৃত্যদন্ডের সাথে হত্যার হারের সম্পর্ক দেখানোর চেস্টা করা হয়েছে আদতে পুরো বইটি পড়লে একটা উপসংহারই ধরা দেয় বিচারিক মৃত্যদন্ড কখনোই হত্যার মতো অপরাধ ঠেকাতে পারে না বরংচ বাড়িয়ে দেয়। ৭০-৮০ এর দশকে জাস্টিস প্রোগ্রাম ডিপার্টম্যান্ট সমীক্ষা চালিয়ে দেখতে পায় যে মৃত্যুদন্ড ধর্ষনরোধে খুব সামান্যই ভূমিকা রাখে এবং তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো ৫০ ভাগ ধর্ষনের বিচারের আসামীর কোনো সাজা হয় না। এ্যামনেস্টির এই পেপারটিও একটা বড় প্রমান যে মৃত্যুদন্ড কখনোই কোনো অপরাধ কমানোতে ভূমিকা রাখে না এবং কেন রাখে না সেটাও বিস্তারিত আলোচনা করেছে তারা

সেদিন বিবিসি বাংলাতে একটা খবর আসলো বাংলাদেশে ধর্ষনের বিচার খুব কম হয়। ২০০১ হতে ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় সাড়েচার হাজার ধর্ষনের কেসের বিপরীতে মাত্র ৪৭টার সাজা হয়েছে। আর এত কম সাজা হবের কারন উপরের ছবিতে আমাদের বিচারব্যাবস্থার তুলনামূলক অবস্থা দেখলেই বুঝতে পারবেন। তার ওপর ধর্ষনের বিচার চাইতে গেলে ধর্ষিতাকে কি পরিমান লাঞ্চনার শিকার হতে হয় তা পাবেন এই আর্টিক্যালে

প্রশ্ন আসতে পারে যেসব দেশে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড সেসব দেশের কি অবস্থা। এই লিংকে মৃত্যুদন্ড ও হত্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত পরিসংখ্যানের ব্যাপারটা বেশ ভালোভাবে দেখানো হয়েছে। খোদ আমেরিকার স্টেট বাই স্টেট অর্থাৎ যেসব স্টেটে মৃত্যুদন্ড নাই আর যেসব স্টেটে আছে সেখানকার কি অবস্থা সেটাও সচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চালু হবার পরও ধর্ষনের মহামারী এতটুকু কমেনি। তার চেয়ে বড় কথা এই যে ইসলামী শরীয়া মতে চলা সৌদী আরব সেখানে বাংলাদেশী গৃহকর্মীদেরকে ধর্ষন হচ্ছে তার কতটার বিচার ওরা করেছে কারো কাছে তার কোনো পরিসংখ্যান পর্যন্ত রাখতে দেয়নি।

তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই বলতে পারি ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিলেই ধর্ষন কমবে না। মৃত্যুদন্ড বা লিঙ্গ কর্তনের মতো মবজাস্টিসের দাবী পক্ষে যারা যুক্তি দেখান সেটা চোখ বন্ধ করে আপিল টু ইগনোরেন্স ফ্যালাসীর মধ্যেই ফেলে দেয়া যায়।

এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে বাইবেলে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যুদন্ড, ইসলামে হদ দিয়ে তথাকথিত মৃত্যুদন্ড আছে তাহলে সেটা কি ভুল? উত্তর হিসেবে যদি এসব পরিসংখ্যান সাথে গবেষনামূলক আর্টিক্যাল পেশ করেন ফ্যাক্ট হিসেবে তাহলে বলা হবে সেহেতু এসব ধর্মগ্রন্থে লেখা তাই সত্য তখন এটাকে সরাসরি সারকুলার রিজনিং ফ্যালাসী বলা চলে।

উদাহরন হিসেবে বলা চলে বাইবেল একটা সত্য ধর্মগ্রন্থ কারন বাইবেলেই তা বলা আছে। এই অপব্যাখ্যা সহসাই হতবুদ্ধ করে ফেলবে যুক্তিপ্রদানকারীর কমনসেন্স দেখে।

এত কথা বলার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম শফি হুজুর মেয়েরা যাতে ব্যাভিচারে যুক্ত না হয় তাই তাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে মাদ্রাসাতে পাঠানো উচিত বলে ওয়াজে বলে বেড়াচ্ছেন এবং সবাইকে ওয়াদাও করাচ্ছেন। তার সাথে এটাও বলেছেন বাংলাদেশের নারীরা নাকি ন গ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করেন যার কারনে ধর্ষনের পরিমান বেড়ে গেছে।

মেয়েরা স্কুলে গেলেই ব্যাভিচারে যুক্ত হবে এই অপব্যাখ্যাকে ফল্স ডাইলেমা মানে মিথ্যা উভয়সংকট অপব্যাখ্যা। স্কুলে ব্যাভিচার হয় এটা কেউ কল্পনা করতে পারে না। স্কুল বিদ্যা অর্জনের জায়গা, এবং স্কুলে ক্লাস চলাকালীন বা তার ফাকে ধর্ষন হবার খবর এখনো আমরা জানি না। যদি দুয়েকটা ঘটনা ঘটেই থাকে সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে ধরা যেতে পারে। আর যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ধরি তাহলে মাদ্রাসার ধর্ষন, মসজিদে ধর্ষন এবং হজ্বের সময় যে নিগ্রহের ঘটনা ঘটে সেগুলোও আমলে নেয়া উচিত। এবং হ্জ্ব এর সময় যে ধর্ষন এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেটার ওপরও হ্যাশট্যাগ চালু আছে #MosqueMeToo।

আমাদের এসব সিলেক্টিভ কথা বা এ নিয়ে ইস্যু সৃষ্টি বা কুতর্ক করার একটাই উদ্দেশ্য আমরা নারীদেরকে দমিয়ে রাখতে চাই। যেখানে উন্নত বিশ্বের নারীরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা ও মননের ছাপ রাখছে সেখানে শফি হুজুরের মতো খারাপ এবং জঙ্গি মতাদর্শের অনুসারীরা কি ষড়যন্ত্র করছে সেটা ভাবলেই গা শিওড়ে ওঠে ।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: উস্কানিমুলক মন্তব্যে দয়াকরে প্রতিউত্তর না করার জন্য অনুরোধ করছি । জরুরী না তাদের তির্যক মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে হবে। লেখাটি গঠনমুলক হয়েছে ও ব্যাখা লিংক আপ করায় আরো চমৎকার হয়েছে ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। ক্রোধ সম্বরনের জন্য কাউন্সেলিং এর স্মরনাপন্ন হয়েছি আর একটা বাড়তি কিছু হিসেবে মিক্সড মার্শাল আর্ট অর্থাৎ ক্রাভ মাগা প্রাকটিস করছি। মনে হয় কাজ হবে।

সুন্দর উপদেশের জন্য আবারও ধন্যবাদ

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট। চিন্তার খোরাক জোগাবে।
এক বার মাত্র পড়লাম। আরো পড়তে হবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪

বলেছেন: শফি গং দের আসল উদ্দশ্য কি?

শুধু কি নারী বিদ্বেষ নাকি আরো অনেক কিছু ----


কিছু দিন আগে লন্ডনে কিছু মোল্লা সুর তুলেছিলেন ভোট দেয়া হারা্ম --- এরাও শফিদের লোক বলে জানি।

সব হারাম শুভ হাদিয়া হালাল।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একজন মানুষ সারাজীবন অর্থহীন মিথ্যা ও ভ্রান্ত শিক্ষা পেয়ে যখন দেখে কর্মজীবনে এর কোনো অবদান নেই তখন সে নিজের স্বার্থেই তা কাজে লাগানোর চেস্টা করবে। দারিদ্রপীড়িত কুসংস্কারে আচ্ছন্ন কুশিক্ষায় নিমজ্জিত জাতির কাছে ধর্মটা আফিমের মতো আর এমন মাদক দ্রব্যের কারিগর হয়ে সে সুযোগ হাতছাড়া কেউ করতে চায় না। ফলাফলস্বরুপ তিনি নিজে হেলিকপ্টারে চড়েন যেখানে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার একজন শিক্ষক মাসে ৪০০০ টাকা বেতন তাও অনিয়মিতভাবে পান। নিজের চিকিৎসার জন্য এ্যাপোলো স্কয়ার এমনকি সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যেতে পারেন, তার ছেলে চট্টগ্রামে প্রাসোদোপম বাড়ি মার্কেট তৈরী করে যেখানে বুয়েট থেকে পাশ করে একজন মেধাবী ছাত্রকে বছরের পর বছর টিউশনি করে পেট চালাতে হয়।

বর্বরতম ভ্রান্ত শিশুকামী মতবাদ বিক্রি করে যদি তার এরকম বাদশাহী হাল হয়, তাহলে সে তা করবে না কেন!!

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: এত কথার দরকার কি?
এক কথায় বলে দেন ধর্ম খারাপ।
এই ধর্মের কারনেই এত হানাহানি দুনিয়াতে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি কি তাহলে স্বধর্ম ত্যাগ করলেন?

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

বাংলার মেলা বলেছেন: ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি আমি সমর্থন করিনা। নাবালিকা ধর্ষণ ও যৌন বিকৃতির একমাত্র শাস্তি পুরুষাঙ্গ কর্তন। মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশে এই শাস্তির ফলে যৌন অপরাধ শূন্যে নেমে এসেছে। সাবালিকা ও বিবাহিত নারী ধর্ষণের শাস্তি হওয়া উচিত ১০০ চাবুকের বাড়ি। মরে যাবার আশঙ্কা থাকলে কিস্তিতে দেয়া যেতে পারে। ৫০টি বাড়ি দিয়ে বিশ্রামের পর সুস্থ হয়ে উঠলে বাকি ৫০টি

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মালয়েশিয়ার মতো হিপোক্রেট দেশ সম্পর্কে বাজারে অনেক মিথ ও মিথ্যাচার চালু আছে এবং বাংলাদেশী মাত্রই কুশিক্ষার ভাগাড় সেখানে এসব মিথজীবি লোকের সংখ্যা তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত মহলে ছড়িয়ে আছে সেটা স্পস্ট।

মালয়েশিয় জাতীয় দৈনিকের তথ্যমতে প্রতি ৩৫ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয়। এই পত্রিকার তথ্যমতে যেহেতু ইসলামে বৌ পেটানো বৈধ সেহেতু ২০০০-২০১৩ পর্যন্ত শুধু ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের কেস হয়েছে ৪৩০০০ এর কাছাকাছি যেটা বাংলাদেশের প্রায় সমান। ২৫০০ এর ওপর ধর্ষনের কেস আছে যেখানে ধর্ষিতার বয়স ১৬ বছরের নীচে যদিও বাংলাদেশে এর পরিমান হাজার খানেক বেশী।

পশ্চিমা সভ্য দেশের আইন অনুযায়ী যখন কোনো নারী “না” বলবে তখন সেটা না বলেই গন্য হবে। এখন সেই নারী আপনার স্ত্রী হোক বা গার্লফ্রেন্ড অথবা টাকার বিনিময়ে ভাড়া খাটা পতিতা। এটা ধর্ষন বলেই গন্য হবে। সবচে কুৎসিত ব্যাপার হলো যেহেতু বর্বরতম শরীয়া আইন অনুযায়ী দাসী ও স্ত্রী ধর্ষন বৈধ সেহেতু মালয়েশিয়াতে বিবাহপরবর্তী ধর্ষনের বৈধতা দেয়।২০০৬ সালে মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টে এই ঘৃণ্যতম মধ্যযুগীয় বর্বর শরীয়া আইনের কারনেই তারা এটা রেখেছে। প্রথম প্রথম মনে হবে মালয়েশিয়া ৩৭৫ পেনাল কোড খুবই শক্তিশালী কিন্তু এটা ধরা খেয়ে যায় মালয়েশিয়ার শরীয়া আইনের কাছে। শরীয়া আইন অনুযায়ী ধর্ষিতা যদি ১৬ বছরের নীচে হয় তাহলে তাকে বিয়ে করে ধর্ষক মুক্তি পেতে পারেন। যদিও মালয়েশিয়াতে বিয়ের বয়স ১৮ নির্ধারিত এবং মা বাবার অনুমতিতে ১৬ বছরে বিয়ে দেয়া যায় কিন্তু স্থানীয় শরীয়া আইন অনুযায়ী ১৬ বছরের নীচে অজস্র বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে। শুধু ১ বছরেই মালয়েশিয়াতে বাল্যবিবাহের সংখ্যা ৯০০০ তবে এটা সরকারী নয়। কারন মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টে শরীয়া আইনের কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা হলেও সরকার সাংবিধানিকভাবে এটা বন্ধ করতে পারেন না তাই এই বিষয়ে সরকার সকল তথ্য দেয়া বন্ধ রেখেছে। এমনকি ধর্ষককে বিয়ে করার ঘৃন্য মধ্যযুগীয় শিশুকামী জঙ্গি রীতি নিয়েও সরকারিভাবে মুখে কুলুপ এটে আছে।

আর কিছু বলবেন ভাই?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সু বিশাল পোস্ট। পড়ার প্রশ্নই ওঠে না।



শরীর মন ভালো, উদা ভাই?



গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। সুতরাং ধর্ষনকারী পাঁঠাদের বিচি কর্তন করা হোক।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।


বাংলাদেশে শিক্ষার মান দিন দিন অধঃগামী

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:

Today's Question »
State minister for power Nasrul Hamid yesterday said everyone to have access to electricity by June. Do you think the feat achievable by the timeframe?

- No





Yes 29.7%
No 64.7%
No Comment 5.6%

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

দিকে দিকে রিদ্দার পরিমান বাড়ছে

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১

জাহিদ হাসান বলেছেন:

নারী শিক্ষা নিয়ে যাদের চুলকানী আছে তাদের জন্য এ ট্রিটমেন্ট।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ছোটবেলায় টম এন্ড জেরী খুব পছন্দের ছিলো

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এরাই তো কওমী জননীর সন্তান। এরপর ঝাকি দিয়ে বিল্ডিং ফালাবে। রাবিশ অল রাবিশ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শুনেছি এই বছর সরকার কোরানের অর্থ ও হাদিস এসবে পরিবর্তন আনবে। সরকার যদি এটা করতে পারে তাহলে জঙ্গি ধর্মের অনুসারীদের জন্য এটা বড় পরাজয় হবে। জাতীর বোঝা এই জঙ্গি শিক্ষা বন্ধ করা কার পক্ষে সম্ভব না। ভারতের মতো এদেরকে যদি ফাইন আর্টসের মূর্তি, স্থপত্যকর্ম সহ ফাইন আর্টস শেখানো বাধ্যতামূলক করা যায় তাহলে এদের মাথা হেট হবে

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: এই সব শফি হুজুররা হলো আসল ধান্ধাবাজ। শাপলা চত্তরে অবুঝ পোলাপানদের দিয়ে ব্যবসা করে টাকার মুখ দেখলো। তা না হলে ৫ হাজার টাকার হুজুরের কোটি টাকার বাড়ি ব্যবসা আসে কোথ্থেকে। আর ক'দিন পর পর একটা উল্টাপাল্টা কথা বলে নিজের গদি ধরে রাখে। ১০০% স্টুপিট.... একে মানসিক হাসপাতালে বেধেঁ রাখা উচিত।

বাকি লিখা নিয়ে পরে আসছি, অনেক কথা বলার আছে। শুধু ভালোলাগা জানিয়ে রাখলাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এসব কুকুরের দল টিকে আছে কারন এদের পেছনে বিশাল সমর্থক বাহিনী আছে যারা একটা বিশাল ভোটব্যাংক। দেশের প্রতিটি সুশিক্ষিত মানুষই জানে মাদ্রাসা শিক্ষা হলো একটা ক্যান্সার কিন্তু ধর্মপ্রান জাতীর অলীক বিশ্বাসের জন্য এই ক্যান্সারকে দুধ কলা দিয়ে পুষতে হচ্ছে। আপনি চাইলেও এই ক্যান্সার কেটে ফেলতে পারবেন না। যেখানে আরব বসন্তের পরবর্তী সংস্করন ধর্ম ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যে (যুগান্তর বিবিসিতে প্রকাশ তুরস্কে নাস্তিক বাড়ছে, ইরানে বহু আগে থেকেই সরকারের শরীয়া আইনের প্রতিবাদে ইসলাম ত্যাগ করে যুরুস্থ্রু গ্রহন, সৌদী আরবে কনসার্ট, সঙ্গিত ডিজে পার্টিতে ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহনের হিড়িক ইত্যাদি) সেখানে বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের বর্বর ধর্ম রপ্তানীর অংশ হিসেবে তাদের শাখায় পরিনত হচ্ছে।

আশার কথা হলো সরকার কোরান সহ মাদ্রাসা শিক্ষা পাল্টানোর চেস্টা করছে কতটুকু পারবে সেটা সন্দিহান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেওবন্দীদের বিরোধিতা সত্বেও মাদ্রাসাগুলোতে স্থাপত্য শিল্প হিসেবে মূর্তি বানানো, ছবি আঁকা সহ চারুশিল্পের সংযোজন করেছে। আমাদের এখানে সেটা বাধ্যতামূলক করতে পারলে হয়তো খারাপের মধ্যে একটু কম খারাপ পেতে পারি।

যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্যে ও অপেক্ষা করবো। ধন্যবাদ আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে মাদ্রাসা সহ আবাসিক স্কুলের পরিবশে ভয়ংকর !!! - সেখানে ছাত্রছাত্রী বিকৃত রুচির মনেভাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে ।
পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের মাদ্রাসায় দেওয়া বাংলাদেশী অভিভাবকের একটি ব্যাধী - এই সব ছাত্রছাত্রী অবস্যই ভালো করবে কারিগরি শিক্ষায় । তাই প্রয়োজন অভিভাবক সচেতনতা ও দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানের অগ্রগামী ভুমিকা ও গণ সচেতনতা ।

***শফি সাহেবকে গুরুত্বের সাথে পাবনা হাসপতালের “এফ ব্লকে” দাখিল করা জরুরী। তিনি আরো ১০-২০ বছর বেঁচে থাকবেন এবং দেশের জনগণের থার্ডক্লাস ঘিলু ওয়াশ করে ছেড়ে দিবেন । তিনি স্বাভাবিক সমাজ ও পরিবেশের জন্য হুমকি । এফ ব্লকের বাসিন্দাদের ইহো জনমে স্বাভাবিক সমাজে যেতে দেওয়া হয়না, তারা ভয়ংকর ম্যানিয়াক হয়ে থাকে তাই তৎকালীন বৃটিশ সরকারের এই ব্যাবস্থা প্রচলন এখনো আছে সমাজ, পরিবেশের ও দেশের মঙ্গলের জন্য।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সবচে ভালো হতো ব্যাঙ্গের ছাতার মতো সরকারী জায়গা ভোগ দখল করে মসজিদ মাদ্রাসা গড়ে তোলা নিয়ন্ত্রন করা এবং ব্যাক্তিগত পর্যায়ে মাদ্রাসা তৈরীর আগে তা একটা কঠিন নীতিমালার মধ্যে আনা। ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ মাদ্রাসা এতিমখানার পোলাপান সপ্তাহে দুই তিনবার করে বিরানী খায়। এটা আমার নিজে দেখা। যেদিন বিরানী হয় না সেদিন অনেক পিচকি পুলাপান খাবার পর্যন্ত মুখে দেয় না। তার মানে কি পরিমান দান পেলে এটা করা সম্ভব। এত দাম নিয়ন্ত্রন কখনোই করা যাবে না যদি না দেশে কালো টাকা রেগুলেট না করা হয়। আশঙ্কা আমার দেশ একদিন সিঙ্গাপুর হবে কিন্তু কালো টাকা তখনও নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। এটা অসম্ভব এক চক্র।

যেখানে সালমান এফ রহমানের মতো ক্রিমিনাল সরকারের উপদেষ্টা হয়, ব্যাংক নীতিমালায় নিজের প্রভাব খাটায় সেখানে এই কালোটাকা কেউ নিয়ন্ত্রন করবে না। তাই তো পীরবাবার সর্বশেষ ভেক সুন্নতী চেহারা গত ১০ বছর ধরে স্থায়ী করে রেখেছেন এবং থাকবে কারন ধর্মের ঢাল এ দেশে খুবই মজবুত।

ধন্যবাদ

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৬

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: কোন হুজুর বা বেক্তির চিন্তার সাথে আপনার আমার মিল নাও থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি ও বিশ্বাস করি মায়েরা যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে সন্তানরা কিভাবে শিক্ষিত হবে কারন মায়েরাই সন্তানের প্রথম শিক্ষম। অর্থাৎ সন্তান মায়ের কাছে সন্তান লালিত পালিত হয়, কথা বলা শেখে, এ জন্য মায়েদের শিক্ষিত হওয়া জরুরী।

এবার একটু ভিন্ন ব্যাখ্যায় যাই, আমাদের মায়েরা অনেক শিক্ষিত কিন্তু তারা আজকাল একটা সন্তান পালনেই হিমশিম খায়, সময় দিতে পারে না। কিন্তু আমি যদি ৫০ থেকে ১০০ বছর আগে ফিরে যাই তাহলে দেখি তারা সার্টিফিকেটধারী হয়ত ছিলেন না তবে জ্ঞানে গুনে ছিলেন অনেক বেটার। আসল শিক্ষা অর্জনটা বোধ করি নিজের উপর, সমাজের নানা ঘাত প্রতিঘাতের উপর, ইত্যাদির উপরে ডিপেন্ড করে।

কর্পোরেট গবেট হবার জন্য মেয়ে কেন ছেলেদের ও বহুত শিক্ষিত হবার কোন দরকার নেই। ভালো মানুষ হওয়াটাই দিন শেষে আমার কাছে মুখ্য।

এই পৃথিবী শিক্ষায় বহু এগিয়েছে কিন্তু মানবতায় এখনো প্রাচীন বর্বর রয়ে গেছে। এখন মেয়ে শিশুদের হয়ত মাটিতে পুতে ফেলা হয় না তবে এভরশন করানো হয়, এখন হয়ত রাজায় রাজায় যদ্ধ হয়না তবে যুদ্ধ আর মৃত্যু আগের থেকে ঢের বেশী। এখন মানুষ আধুনিক হয়েছে তবে তা মানবিকতায় নয় স্বার্থপরতায়।

এত এত শিক্ষা "ধুয়ে অথবা বেটে "চেটে খেয়ে রোগ সারছে না।

আপনার ক্ষেত্রে কি ঘটেছে সেটা জানিনা, তবে আমি ইসলামের শিক্ষায় মানবতা খুঁজে পেয়েছি। নিজের ভেতরের পশুটাকে যখন কোন কিছু দিয়ে বেঁধে রাখা যাচ্ছিল না তখন ইসলাম দিয়ে সেটাকে কন্ট্রোল করার জ্ঞান শিখেছি।

নারী হোক বা পুরুষ শিক্ষার দরকার পৃথিবীর সবার ছিল এখনো আছে। তবে শিক্ষাটা যেন আপনাকে এত শিক্ষিত না করে যে মানবতার বালাই-ই আপনার আমার মাঝ থেকে উবে যায়।
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আপনার লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে, তবে আমি যতদুর জানি শফি সাহেব নারীদের কম শিক্ষার কথা বলেন নি তিনি বোঝাতে চেয়েছেন নারী পুরুষ পৃথক ভাবে শিক্ষা নেয়ার কথা। (লিংকঃ https://goo.gl/X44GHt প্লিজ পুরোটা দেখবেন ) আর আমি এতে দোষের কিছু দেখি না কারন আমাদের ধর্মে নারী পুরুষ উভয়কে পর্দা এবং একই সাথে চরিত্র ঠিক রাখার বিধান ফরজ করা হয়েছে। তবে কেউ যদি সেটা না করে সেটা তার ব্যাপার, তবে একজন মুসলিম হিসাবে আমি আমার ধর্মের বানী কাউকে বলতেও (কোন জোর করা ছাড়া,শুধু বোঝানো) পারবো না সেটা কেমন কথা ভাইয়া।

সবশেষে একটা প্রশ্ন (শ্রেফ জানার জন্য)?
আপনার কাছে কোনটা বেটার মনে হয় নারী পুরুষ কম্বাইন্ড শিক্ষা নাকি সেপারেট শিক্ষা।

আল্লাহ আপনার ও আপনার পরিবারকে সুন্দর রাখুন আমিন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোন হুজুর বা বেক্তির চিন্তার সাথে আপনার আমার মিল নাও থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি ও বিশ্বাস করি মায়েরা যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে সন্তানরা কিভাবে শিক্ষিত হবে কারন মায়েরাই সন্তানের প্রথম শিক্ষম। অর্থাৎ সন্তান মায়ের কাছে সন্তান লালিত পালিত হয়, কথা বলা শেখে, এ জন্য মায়েদের শিক্ষিত হওয়া জরুরী।
উত্তর: কে কি বললো এটা দিয়ে তর্কে ঘায়েল করার অপচেস্টাকে বলা এড হোমাইনেম ফালাসী। আপনি বিতর্কের ক্ষেত্রে এটা করলে আপনিই হেরে যাবেন কারন আপনি অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। আমার এই পোস্ট টি শুধু শফি হুজুরকে নিয়েই কথা বলেনি তর্ক করার অনন্য এবং সঠিক রাস্তা দেখানো হয়েছে। শিক্ষিত মায়ের ব্যাপারে যেটা বললেন সে বিষয়ে আমি একমত।

এবার একটু ভিন্ন ব্যাখ্যায় যাই, আমাদের মায়েরা অনেক শিক্ষিত কিন্তু তারা আজকাল একটা সন্তান পালনেই হিমশিম খায়, সময় দিতে পারে না। কিন্তু আমি যদি ৫০ থেকে ১০০ বছর আগে ফিরে যাই তাহলে দেখি তারা সার্টিফিকেটধারী হয়ত ছিলেন না তবে জ্ঞানে গুনে ছিলেন অনেক বেটার। আসল শিক্ষা অর্জনটা বোধ করি নিজের উপর, সমাজের নানা ঘাত প্রতিঘাতের উপর, ইত্যাদির উপরে ডিপেন্ড করে।


উত্তর: সব মায়েরাই সবকালেই সন্তান পালনে হিমশিম খেতো। এযুগের শিক্ষিত মেয়েরা হিমশিম খায় এটা আপিল টু ইগনোরেন্স অপব্যাখ্যা। কারন আপনার এই কথাটি খুবই সস্তা এবং ম্যানুপুলেটিভ। আগেকার মায়েরা আমাদের মানুষ করতে গিয়ে শারীরিক শাস্তির আশ্রয় নিতো যার ফলে আমাদের এবং আগের প্রতিটা প্রজন্মই এক ধরনের মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হই। সবার মধ্যেই কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দেয় যেটা মনোবিজ্ঞানীরা খুব ভালো ভাবেই প্রমান করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনার এই বক্তব্যটা ভুল এবং অপব্যাখ্যা। আর আজ থেকে ৫০-১০০ বছর আগে অশিক্ষিত মা বোনেরা শিক্ষাগুনে বেটার ছিলো এটা আপনার নিজের মতামত। কারন বাস্তবিক অর্থে এটা দেশের জন্য ক্ষতি করেছে এবং যেসব দেশ সে সময়ে এই ডগমা থেকে বেরুতে পেরেছে তারা এখন সারা বিশ্বে অনুকরনীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যার উদাহরন হিসেবে সুইডেন ডেনমার্ক ইত্যাদি দেশের নাম বলা যেতে পারে।


কর্পোরেট গবেট হবার জন্য মেয়ে কেন ছেলেদের ও বহুত শিক্ষিত হবার কোন দরকার নেই। ভালো মানুষ হওয়াটাই দিন শেষে আমার কাছে মুখ্য।


উত্তর: কর্পোরেট গবেট শব্দটা ব্যাব হারের জন্য আমি পর্তিবাদ জানাচ্ছি। কর্পোরেট জব করলে তাদের গবেট বলে যদি ডাকা হয় তাহলে দেশের এত ইন্জিনিয়ার পেশাজীবি সবাইকেই আপনি অপমান করছেন। আর সবাই যদি চাকরি না করে ব্যাবসায়ী হয়ে যায় তাহলে অফিস গুলো চালাবে কে? এটা ফল্স ডাইলেমা ফ্যালাসী হয়ে গেলো। আপনার কমেন্টে এতগুলো ফ্যালাসী, আপনার ডিবেট করাটা শেখা উচিত, যদি কিছু মনে না করেন। সবচেয়ে ভালো ক্লাস নাইনের যুক্তিবিদ্যার বইটি দিয়ে শুরু করুন। নিজের মানসিক গভীরতা বাড়বে বৈকি।

এই পৃথিবী শিক্ষায় বহু এগিয়েছে কিন্তু মানবতায় এখনো প্রাচীন বর্বর রয়ে গেছে। এখন মেয়ে শিশুদের হয়ত মাটিতে পুতে ফেলা হয় না তবে এভরশন করানো হয়, এখন হয়ত রাজায় রাজায় যদ্ধ হয়না তবে যুদ্ধ আর মৃত্যু আগের থেকে ঢের বেশী। এখন মানুষ আধুনিক হয়েছে তবে তা মানবিকতায় নয় স্বার্থপরতায়।


উত্তর: মৃত্যু এবং যুদ্ধে আগের থেকে ঢের বেশী সেটার নিরূপন কিভাবে করলেন? মোঘল সম্রাটের শাসনকালে প্রায় কয়েক কোটি হিন্দুদের ওপর গন হত্যা চালানো হইছে। নবী মোহাম্মদ খন্দকের যুদ্ধে খালি হাতে ফিরে এসে বুভুক্ষের মতো কাদতে থাকা তার ডাকাত দলকে কিছু গনিমত ও লুটের মাল দেবার জন্য বানু কুরায়জাকে মিথ্যা অভিযোগ ও উড়ো কথার ভিত্তিতে ৮০০ নিরস্ত্র পুরুষ ও কিশোরকে জবাই করে, প্রত্যেক নারীকে যৌনদাসী বানিয়ে ধর্ষন এবং শিশুদের দাস বানিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হয়। এরকম নিষ্ঠুরতা বর্বরতা এই যুগে শুধুমাত্র আইএসআইএস করে দেখাতে পেরেছে। পাকিস্তানী হানাদাররাও এরকম যৌনদাসী বানিয়ে বিক্রি করার মতো কাপুরুষতা দেখাতে পারেনি। অবশ্য একটা তথ্য দেখলে হাসি আসে যে তখন নাকি মেয়ে সন্তান হলেই পুতে ফেলা হতো যেটা ঐতিহাসিক কোনো বইতে পাওয়া যায়নি। আর যদি তাই হতো খাদিজার মতো এত বড় ব্যাবসায়ী, হিন্দের মতো গোত্রপ্রধান বা সাফিয়ার মতো নেত্রী স হ অসংখ্যা কোরাইশ ও ইহুদী নারীদের এত ভালো ভালো কাজ কিভাবে সম্ভব? মূর্খ এবং অজ্ঞ বলেই এসব গিলিয়ে একটা ঘৃন্য মিথ্যা মতবাদ অন্যখানে ছড়াতে পারেন, আমার এখানে না। আমি একাডেমিক তথ্যসম্বলিত বিতর্ক পছন্দ করি।


এত এত শিক্ষা "ধুয়ে অথবা বেটে "চেটে খেয়ে রোগ সারছে না।

আপনার ক্ষেত্রে কি ঘটেছে সেটা জানিনা, তবে আমি ইসলামের শিক্ষায় মানবতা খুঁজে পেয়েছি। নিজের ভেতরের পশুটাকে যখন কোন কিছু দিয়ে বেঁধে রাখা যাচ্ছিল না তখন ইসলাম দিয়ে সেটাকে কন্ট্রোল করার জ্ঞান শিখেছি।


উত্তর: আপনি কোন রোগের কথা বলছেন সেটা বুঝতে পারছি না। আপনার রোগ হলে সেটা কিভাবে সারিয়েছেন একটু জানান। আপনি ইসলামে যদি শান্তির বা জ্ঞান পান আপনার জন্যই তা। এবং সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপার আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমার নিজের ব্যাপারে যদি বলতে হয় শিশুকামী ডাকাত যৌনন্মাদ ধর্ষকের লিখিত মিথ্যা ও ভুলে ভরা গ্রন্থ তফসীর সীরাত স হ পড়ার পর ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।

নারী হোক বা পুরুষ শিক্ষার দরকার পৃথিবীর সবার ছিল এখনো আছে। তবে শিক্ষাটা যেন আপনাকে এত শিক্ষিত না করে যে মানবতার বালাই-ই আপনার আমার মাঝ থেকে উবে যায়।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৮

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: এই ভিডিওর ভেতরে একজনের কমেন্ট --- জাফর ইকবাল যখন বলে, "মেয়েরা
রসগোল্লার মত যেখানেই রাখবেন
সেখানেই পিপড়া ধরবে" সেটা হয়ে
যায় বিজ্ঞান সম্মত কথা..

হুমায়ুন আহমেদ যখন লিখেন, "গর্ভবতী
মেয়েদের দেখতে লাগে একদম
গাভিন গরুর মত" তখন সেটা হয়
বাস্তব সম্মত কথা..

১লা বৈশাখের দিন যখন প্রকাশ্য দিবালোকে এক দল কুলাঙ্গার। মেয়েদের বস্ত্রহরন করে আর তা নিয়ে পুলিশের আইজিপি
বলে, "১লা বৈশাখের ঘটনা স্রেফ
৪-৫ ছেলের দুষ্টমি ছাড়া আর কিছুই
না".. তখন সেটাও সবাই মেনে নেয়..

আর তর্কের খাতিরে যখন আল্লামা
আহমদ শফি দা'বাঃ সবচেয়ে সঠিক,বাস্তব ও
বিজ্ঞান সম্মত কথাটি বলেন যে,
"নারীরা হলো তেতুলের মত, তাদের
দেখলে পুরুষের লালা ঝড়ে"... তখন
সেটা হয় কুৎসিত কুরুচিপুর্ন বক্তব্য....

বাহ বাঙালির রুচির প্রশংসা না
করে আর পারলাম না,, বৈশাখের
বস্ত্র- হরনও যদি হয় দুষ্টমি তবে দেখা
যাবে আগামিতে ধর্ষন করে তারা
বলবে, "এ এমন কিছু না যাষ্ট ছেলে
গুলো দেখছিলো মেয়েটা ভার্জিন
কিনা".।।


(লিংকঃ https://goo.gl/X44GHt প্লিজ পুরোটা দেখবেন )

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জাফর ইকবাল যখন বলে, "মেয়েরা
রসগোল্লার মত যেখানেই রাখবেন
সেখানেই পিপড়া ধরবে" সেটা হয়ে
যায় বিজ্ঞান সম্মত কথা..


উত্তর: জাফর স্যার এটা কোথায় বলেছেন রেফারেন্স দেন। আমি জানি আপনি মিথ্যা বলছেন বা যে মন্তব্য করছেন তিনি মিথ্যা বলছেন এবং আপনি সেই মিথ্যা কথা প্রচার করছেন। যদি আপনি মিথ্যাবাদী বাটপার না হয়ে থাকেন তাহলে রেফারেন্সটা দেবেন আশা করি।

হুমায়ুন আহমেদ যখন লিখেন, "গর্ভবতী
মেয়েদের দেখতে লাগে একদম
গাভিন গরুর মত" তখন সেটা হয়
বাস্তব সম্মত কথা..

উত্তর: হুমায়ুন আহমেদ কোনো ধর্ম প্রচার করেননি। উনি নিজেকে সৎপুরুষ বা মহামানব বা নিজেকে মানবজাতীর মুক্তিদাতা বলেননি। উনি নিজেকে বারবারই পেশাদার লেখক বলে দাবী করেছেন। এখন হুমায়ুন আহমেদ তার এই বক্তব্য কোন গল্পে বলেছেন এটার রেফারেন্স দিন।

১লা বৈশাখের দিন যখন প্রকাশ্য দিবালোকে এক দল কুলাঙ্গার। মেয়েদের বস্ত্রহরন করে আর তা নিয়ে পুলিশের আইজিপি
বলে, "১লা বৈশাখের ঘটনা স্রেফ
৪-৫ ছেলের দুষ্টমি ছাড়া আর কিছুই
না".. তখন সেটাও সবাই মেনে নেয়..

উত্তর: মুসলিম দেশ মিশরে একটা খেলা আছে তাহারুশ। সেটা হলো ভীড়ের মধ্যে একটা মেয়েকে কিছু ছেলে ঘিরে ধরে। পরে তারা ছো মেরে মেরে তার কাপড় খুলে ফেলে এবং সেখানে তাকে যৌন নীপিড়ন করে। মিশরে এটা রুখতে ২০০৫ সালে সাংবিধানিক রেফারেন্ডাম তৈরী করা হয় কিন্তু সেটা রোখে যায় নি। আমার দেখা সর্বশেষ ঘটনাটা ২০১৫ সালে তাহরীর স্কোয়ারে ঘটে যাওয়া একজন প্রোঢ় নারীর যৌন লাঞ্চনা তাও তার ছেলের বয়সী পোলাপানের হাতে। লিংক দিয়ে দিলাম পড়ে দেখবেন। এই তাহারুশ শুধু মিশরেই সীমাবদ্ধ না। মুসলিম ধর্মপ্রান যুবকরা এটা পুরো আরবেই করে এমনকি জার্মানীর মতো দেশে গিয়ে এ্যাসাইলাম ভিক্ষা চেয়ে তাদের টাকায় খেয়ে পড়ে তাদের মেয়েদের সাথেই এই অসভ্যতা করে। প হেলা বৈশাখে যেসব যুবক এই কাজটি করেছিলো তাদের একজন ধরা পড়েছিলো। আপনি চাইলে লিংক খুজে দেবো তার স্ত্রী এবং একটা কন্যা আছে এবং খুবই ধার্মিক। সে স হ আরও কয়েক যুবক তাহারুশের মতোই এই কাজটা করেছে। এবার মিলিয়ে দেখেন তারা এটা কোথা থেকে শিখেছে! আর আইজিপি যা বলেছে তা ভুল না ঠিক বলেছে! আমি হাকাও বা মিথ্যা কথা বলছি না, সব তথ্যপ্রমান আপনার সমানে।


আর তর্কের খাতিরে যখন আল্লামা
আহমদ শফি দা'বাঃ সবচেয়ে সঠিক,বাস্তব ও
বিজ্ঞান সম্মত কথাটি বলেন যে,
"নারীরা হলো তেতুলের মত, তাদের
দেখলে পুরুষের লালা ঝড়ে"... তখন
সেটা হয় কুৎসিত কুরুচিপুর্ন বক্তব্য....

উত্তর: আমি ধরতে গেলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে শিক্ষাগ্রহন করার সুযোগ হয়েছিলো। এমনকি বাইরে এসেও একই ডর্মে ছেলে মেয়ে একসাথেই থেকেছিলাম। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে শফি সাহেব মিথ্যা বলেছেন। বরংচ মাদ্রাসা পড়াকালীন আমার বন্ধুটির সাথে যা ঘটেছে যদি শফি সাহেবকে কখনো সামনে পেতাম তাহলে জিজ্ঞেস করতাম মাদ্রাসাগুলোতে যে শিশুধর্ষনের মহামারী চলছে সে ব্যাপারে উনি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। আসলেই ওনার বক্তব্য কুৎসিত, মিথ্যা এবং হীন মানসিকতার।

বাহ বাঙালির রুচির প্রশংসা না
করে আর পারলাম না,, বৈশাখের
বস্ত্র- হরনও যদি হয় দুষ্টমি তবে দেখা
যাবে আগামিতে ধর্ষন করে তারা
বলবে, "এ এমন কিছু না যাষ্ট ছেলে
গুলো দেখছিলো মেয়েটা ভার্জিন
কিনা".।।


উত্তর: কথা হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে স হ শিক্ষা আর মেয়েদের শিক্ষা ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত আপনি নিয়ে আসলেন পহেলা বৈশাখ। তাহলে মাদ্রাসাগুলোতে প্রতি রাত শিশু ধর্ষন এবং সৌদীতে বাংলাদেশী গৃহকর্মীদের সুন্নতি মতে আজল পদ্ধতিতে ধর্ষন হচ্ছে সেগুলোও কি স হ শিক্ষার ফল? আপনার দেয়া ভিডিও লিংকে খালিদ মহিউদ্দিনের করা প্রশ্নটা আপনাকেই করলাম। উত্তর কি দিতে পারবেন?


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন হজ্বে গিয়ে যে মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? ধর্ষিতারা মিটু এর মতো #MosqueMeToo চালু করেছে এর সাথে কি আপনি একাত্মতা ঘোষনা করেন? এর ফলস্বরূপ কি হজ্বে মেয়ে ছেলের জন্য আলাদা কাবা বানানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন? উত্তর পাবো না আশা করি

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মোটামোটি সব বই আমার পড়া, স্যার কোথাও এমন মন্তব্য করেছেন আমার জানা নাই এবং আমি নিশ্চিত এমন মন্তব্য কোথাও কোনো বইয়ে স্যার করেন নি, মি.সিম্পলম্যান আপনি বইয়ের নাম বলুন, জাফর ইকবাল সাহেব কে আমি বিচিত্র কারণে পছন্দ করি না, কিন্তু তাঁর মানে এই নয় তার নামে কেউ মিথ্যা কথা বলে দিবে সেই জন্য তাঁকে দুইটা কটু কথা বলে দিবো ! - অনেকে মনে করে জাফর ইকবাল সাহেব আওয়ামী লীগের কর্মী - ভুল ! জাফর ইকবাল সাহেব কট্টর বামপন্থী । আর মৌলাবাদীদের সহযোগী কোনো মন্তব্য তিনি করবেন না, আর বিশেষ করে নারী নিয়ে তাতো হতেই পারে না । মি.সিম্পলম্যান মিথ্যা উদাহরণ মানুষের ভারসাম্য নষ্ট করে এই সামান্য সত্য কি আপনার জানা !!!

বাঙালী কি মনে করে না করে তাতে কিছু যায় আসে না - বাঙালী জাতি হিসেবে বিশ্বে খুব ভালো কোনো জাতি না । অতএব বাঙালী জাতি নিয়ে ভাবনার সময় নাই ।

** ***আপনি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের নাম বলুন - আমি পৃষ্টা লাইন বের করে নেবো নিজ গরজে, আপনার চিন্তা করতে হবে না, ঠিক তেমনি জাফর ইকবাল সাহেবের বইয়ের নাম বলুন - তারও আমি পৃষ্টা লাইন বের করে নেবো নিজ গরজে, আপনার চিন্তা করতে হবে না ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি দেখেছি রাজনৈতিক নেতা, চোর, প্রতারকদের চাইতে বেশী মিথ্যা কথা বলে এসব মৌলবাদী গোড়ারা। রাজনৈতিক নেতারা ভোটের আগে মিথ্যা বললেও কথার মধ্যে ফাঁক রেখে নির্বাচনের আগে কিছু অংশ পূর্ন করেন, চোর চুরি করলেও তার সাগরেদদের কাছে সে সৎ থাকে, প্রতারক প্রতারনাতে মাস্টার হলেও ধরা পড়লে সবই বলে দেয়। কিন্তু মৌলবাদীরা নিজের স্ত্রী সন্তান এমনকি যাকে কল্পনা করে সেজদা তাকেও মিথ্যা বলে। যখন ধরা খায় তখন বাইং মাছের মতো পিছলায়। এদেরকে জুতা লাঠি দিয়ে বাইরান, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলান তারপরও ভুল স্বীকার করবে না। যার বড় প্রমান নিজামী মুজাহিদ। নিজামী খুব সম্ভবত রাস্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলেও জনসম্মক্ষে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাননি।

দুনিয়ার নিকৃষ্ট স্যাম্পল এই মৌলবাদী জঙ্গিগুলো। এরা হেন কাজ নেই যে পারে না। তার কাছ থেকে বইয়ের নাম জানতে চাওয়ার আশায় আপনার গুড়েবালি।

ধন্যবাদ এসব মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করার জন্য। আজকে আমরা প্রতিবাদ করি না বলেই এসব মৌলবাদীর মাইক লাগিয়ে মিথযাচার করে বর্বর ও সাম্প্রদায়িক ঘৃনার বিষবাস্প ওয়াজ করে ছড়াচ্ছে। এগুলোর উপযুক্ত প্রতিবাদ না করলে যারা শিশু কিশোর তাদের মনে এরা ঘৃনার চাষই করবে এবং দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম নস্ট করবে

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অত্যন্ত লজ্জা ও পরিতাপের সঙ্গে বলছি যেই বয়ষে একটি শিশু, বালক খেলার আনন্দ করবে, পরিবারের আদর পেয়ে সবাইকে নতুন নতুন ভাষা শেখাবে (আমরা শিশুদের কাছে নতুন ভাষা শিখতে পারি) তখন তাদের মাদ্রাসায় নিতে হবে “গেলমান” হিসেবে !!! !!! “গেলমানের যেই বিবরণ” তা পড়লে তাবত ধর্মগ্রন্থকে ঘৃণা হবে - যদি কেউ সুস্থ্য মানুষ হয়ে থাকেন !!! !!!

১৫ নম্বর কমেন্টে বানানগত ভুল থাকায় অনুগ্রহ করে মুছে দিন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মৌলবাদীদের মন মানসিকতা কতটা নীচ ও ঘৃন্য তা তাদের ওয়াজেই প্রকট। এমন কুৎসিত মনমানসিকতার লোক কিভাবে সুশিক্ষা দিতে পারে সেটা নিয়ে সন্দিহান। শফি হুজুরের মতো মৌলবাদীরা ভরা মজলিসে মাইক দিয়ে যখন বলতে পারে দেশের নারীরা রাস্তায় বের হয় উলঙ্গ হয়ে তখন তাদের সেক্সুয়াল ডেসপারেশন ও হিংসাত্মক মনোভাব ফুটে ওঠে। আর তাই রাতের আঁধারে অথবা মক্তবে কোরান পড়াবার ছিলো এমনকি মসজিদে শিশুদেরকে ধর্ষন করতে পিছপা হয় না। আর যখন এই মৌলবাদীদের প্রশ্ন করবেন এই যে সৌদী আরবে দুটো টাকার জন্য গরীব ঘরের মা বোনরা কাজ করতে গিয়ে ধর্ষিতা হয়ে বিচার না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরছে সে সম্বন্ধে তারা একেবারে নিশ্চুপ। সরকারের পক্ষ থেকে এক সচিব তো সরাসরি মেয়েদেরকেই দোষ দিলো।

গতকাল ইন্দোনেশিয়ান এক গৃহকর্মীকে সৌদীতে কল্লা কেটে ফেলে বর্বর শরীয়াহ আইনের বিচার এ। ইন্দোনেশিয়ান ঐ গৃহকর্মীর অপরাধ ছিলো ঘরের কর্তা তাকে ধর্ষন করছিলো এবং সে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে তাকে হত্যা করে। যে দেশের ধর্মে দাসী ধর্ষন বৈধ সে দেশে আর কি পেতে পারেন। অথচ সে দেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় যারা আছেন তারা সবাই এটা নিয়ে সোচ্চার। অথচ সেখানে সরকারের সচিব উল্ট মেয়েদের দোষ দেয়। আর আপনার ওপরে যে মন্তব্য করলেন তার দেয়া ভিডিওতে লালবাগের হেফাজতি হুজুরকে সে প্রশ্ন করলে বাইং মাছের মতো পিছলে গেলেন।

যাদের মন মানসিকতা এত কুৎসিত জাজমেন্টাল, যাদের ধর্মেই এসবের অনুমতি দেয় তাদের কাছে দেশ নারী তো পরে, আপনার আমার দুধের বাচ্চা কতটুকু নিরাপদ সেটা বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে না

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: বরাবরের মত অসাধারণ পোস্ট । কয়দিন আপনার পোস্ট ও কমেন্ট না দেখে তো ভাবছিলাম আপ্নেরে আখেরে ব্যান করেছে ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বেশ ভালো ব্যানই করা হয়েছে। মনে হয় না খুব সহজে মুক্তি মিলবে। সমস্যা তো নেই, আপনারা নিয়মের মধ্যে থেকে কলম চালিয়ে যান। কমেন্ট আর পোস্ট পড়ে এটা তো বুঝতে পারেন ওদের ভোট কোথায় এবং কেন আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়। সে ভয়ে সটকে গেলে আখেরে দেশটাই ধ্বংস হবে ক্ষতি হবে জাতির।

কলম রুখা চলবে না। নিয়মের মধ্যে থেকে যুক্তিপূর্ন ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখাই পারে এদের পরাজিত করতে। এদের সহস্র তলোয়ার চাপাতিও নিস্তেজ হয়ে যাবে। আলি আর মুয়াবিয়ার যুদ্ধে সেটাই হয়েছিলো। ধর্ম গিলিয়ে স্বজাতি হত্যা কেউ পছন্দ করে না। আলির পরাজয় হয়েছিলো সেখানেই। মৃত্যু হয়েছিলো আলির আজন্ম হত্যার নেশার প্রতিশোধ হিসেবেই।

হ্যাপি ব্লগিং

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: নবী মোহাম্মদ খন্দকের যুদ্ধে খালি হাতে ফিরে এসে বুভুক্ষের মতো কাদতে থাকা তার ডাকাত দলকে কিছু গনিমত ও লুটের মাল দেবার জন্য বানু কুরায়জাকে মিথ্যা অভিযোগ ও উড়ো কথার ভিত্তিতে ৮০০ নিরস্ত্র পুরুষ ও কিশোরকে জবাই করে, প্রত্যেক নারীকে যৌনদাসী বানিয়ে ধর্ষন এবং শিশুদের দাস বানিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হয়। এরকম নিষ্ঠুরতা বর্বরতা এই যুগে শুধুমাত্র আইএসআইএস করে দেখাতে পেরেছে। পাকিস্তানী হানাদাররাও এরকম যৌনদাসী বানিয়ে বিক্রি করার মতো কাপুরুষতা দেখাতে পারেনি। অবশ্য একটা তথ্য দেখলে হাসি আসে যে তখন নাকি মেয়ে সন্তান হলেই পুতে ফেলা হতো যেটা ঐতিহাসিক কোনো বইতে পাওয়া যায়নি।[/sb


আপনাদের এই সব আজগুবি কথা শুনলে মনে হয় দুনিয়ার তাবত জ্ঞান কেবল আপনাদের কুক্ষিগত আর আমরা আসলে কিছু শিখি নাই। রাসুলের জীবনী কেবল আপনারা পড়েছেন ইসলামের ইতিহাস শুধু আপনাদের কপিরাইটেড, তাই যা মনে আসবে বানিয়ে লিখবেন। তাফসীর ভালো না লাগলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন।
-------------------
ওহ ! আপনি তো আবার একাডেমিক তথ্যসম্বলিত বিতর্ক পছন্দ করেন? তা আপনাদের একাডেমিক তথ্য কি বলে দুনিয়াতে আপনাদের সংখ্যা বেশী না এখনো মুহাম্মাদ সাঃ কে মানার মত মানুষের সংখ্যা বেশী। এত এত খারাপ কাজ করা একজন মানুষকে কেন দুনিয়ার এত মানুষ পছন্দ করে। কুরআনের কথা কেন এই ১৫০০ বছর পরেও সত্য হতে দেখা যায়। কেন কুরআনকে আজো মিথ্যা প্রমানিতে করা যায়নি।


সোজা কথা ভাইয়া, দিন শেষে একাডেমিক তথ্যসম্বলিত বিতর্কের কথা হচ্ছে এই যে, যেদিন আপনারা কুরআনকে মিথ্যা প্রমান করে আমাদের সামনে আনবেন সেদিন আপনাদের দলটাই ভারী হবে। (কারন কুরআন মিথ্যা প্রমান করা মানেই আদম আঃ থেকে নিয়ে ইসা আঃ মুসা আঃ মুহাম্মাদ সাঃ সবাইকে মিথ্যুক বানানো পসিবল) আর আমিও সেচ্ছায় আপনাদের দলে যোগ দিবো।

-----------------------

রাসুলের জীবনী আমরাও পড়েছি। আপনি শুধু একাই পড়েননি, এখন আপনার পড়া ভার্সন যে সত্যি আর আমার পড়া ভার্সন যে মিথ্যা সেটা আগে দলিল সহ পেশ করেন।
--------------------

ওই ভিডিওর কমেন্ট যিনি লিখেছেন তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। অন্যরা কি বলেছেন নারীদের নিয়ে সেটা আমার কাছে ইম্পরট্যান্ট না । আমি নারীদের সর্বদা সম্মানের চোখে দেখার চেস্টা করি কারন আমার ধর্ম বিশ্বাস সেটাই আমাকে শেখায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা আপনাদের একাডেমিক তথ্য কি বলে দুনিয়াতে আপনাদের সংখ্যা বেশী না এখনো মুহাম্মাদ সাঃ কে মানার মত মানুষের সংখ্যা বেশী।
উত্তর: পিউ রিসার্চের এই রিপোর্ট অনুসারে আমেরিকাতে যত লোক ইসলাম গ্রহন করছে ঠিক তার সম পরিমান লোক ইসলাম ত্যাগ করছে। এই রিপোর্টে আরও বলা আছে ইসলাম গ্রহন করার হার নির্ভর করে মুসলমানের ঘরে যারা পয়দা হয় এবং মুসলামনরা নবী মোহাম্মদের আদেশ অনুসারে জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে চান না তাই তাদের সন্তান পয়দা করার হার বেশী এবং এই জন্যই ইসলামের এত দ্রূতবর্ধমানশীলতা। আর ইসলামের ত্যাগের কারনটি এই রিপোর্টে বলা আছে। পড়ে নেবেন কষ্ট করে।

কুরআনের কথা কেন এই ১৫০০ বছর পরেও সত্য হতে দেখা যায়। কেন কুরআনকে আজো মিথ্যা প্রমানিতে করা যায়নি।
উত্তর: এ ব্যাপারে আমি দ্বিমত পোষন করছি। এটা যে মিথ্যা গ্রন্থ সেটার বোধগম্যতা হয় এই তথ্যটা পড়ে। তারপর কোরাননের ভ্রুনতত্ব ড. গ্যালেনের একটা পেপার থেকে টুকলি যেই তত্ব তটকালীন ইহুদীদের মধ্যে বেশ প্রচলিত ছিলো এবং বর্তমান মেডিক্যাল সায়েন্স সেটা ভুল প্রমানিত করছে। এছাড়া মানবজাতীর সৃষ্টি, মহাজাগতিক তথ্য সম্বলিত গান্জা কোনো কিছুই ঠিক নাই এবং বেশীর ভাগ বাইবেল ও ততকালীন গুজবের কপি। আপনি জানেন না বা অজ্ঞ বলে সেটা মিথ্যা হবে না এরকম জেনারালাইজ যুক্তি দেবার কোনো মানে নাই।
কারন কুরআন মিথ্যা প্রমান করা মানেই আদম আঃ থেকে নিয়ে ইসা আঃ মুসা আঃ মুহাম্মাদ সাঃ সবাইকে মিথ্যুক বানানো পসিবল)
উত্তর: মুসা একটা মিথিক্যাল চরিত্র যার বাস্তবিক কোনো প্রত্নতাত্বিক বা ইতিহাসগত পান্ডুলিপির প্রমান নাই। আদম হাওয়ার মিথ জেনটিক্সের মতে এটা অসম্ভব ব্যাপার যা কিনা প্রমানিত সত্য। এটা জেনেটিক্যালি ইমপসিবল এবং এই গবেষনা প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং জেনেটিক্সের খুবই প্রতিষ্ঠিত তত্ব। তারপরও যদি আপনি বিশ্বাস না করেন এটা আপনার ব্যাক্তিগত একগুয়েমি।

ওই ভিডিওর কমেন্ট যিনি লিখেছেন তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। অন্যরা কি বলেছেন নারীদের নিয়ে সেটা আমার কাছে ইম্পরট্যান্ট না । আমি নারীদের সর্বদা সম্মানের চোখে দেখার চেস্টা করি কারন আমার ধর্ম বিশ্বাস সেটাই আমাকে শেখায়।

উত্তর: ডাকাত শিশুকামী লিখিত পুস্তকের সূরা আল হুজরাত এর ৬ নম্বর আয়াতে আছে: মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।

আল বুখারীর ২২৩১ নম্বর হাদিসে আছে ডাকাত নবী বর্নিত আল্লাহ যেসব কাজ নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলো হলো মা এর অবাধ্য হওয়া, নিজের কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুতে ফেলা, কারো প্রাপ্য শোধ না করা এবং ভিক্ষা করা। এবং সে অপছন্দ করেন গালগল্প বা গীবত করা, বেহুদা প্রশ্ন করা এবং টাকা নস্ট করা।
দেখা যাচ্ছে আপনি ডাকাত নবীর অনুসারী হয়েও কাথায় কি দেখলেন তা বাছ বিচার না করে সেগুলো প্রচার করছেন। ডাকাত নবী সূরা বনী ইসরাইলের ৩৬ নম্বর লাইনে লিখেছেন "যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।" সূরা আন নূরের ১২-১৫ নম্বর লাইনে আছে "তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ?তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।যদি ইহকালে ও পরকালে তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, তজ্জন্যে তোমাদেরকে গুরুতর আযাব স্পর্শ করত।যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।"


আপনার লজ্জা থাকা উচিত এই মিথ্যাচার করবার জন্য

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: আপনি ইসলাম বিদ্বেষী হলেই ইসলাম খারাপ হয়ে গেল না। দু চার জন ইসলাম বিদ্বেষীর বই পড়েই ইসলাম ঝাড়তে আসবেন না।

নিরস্ত্র ৮০০ নারী পুরুষকে হত্যা, রাসুল সাঃ এর উপস্থিতিতে যুদ্ধের ময়দানে আটক নারীদের যৌন দাসি করা হয়েছে এটার সোর্স দিবেন। আর যে বইয়ের সোর্স দিবেন তিনি এই কথা কোথা থেকে আবিস্কার করেছেন সেটার সোর্স দিবেন, আর পরের জনও কোথা থেকে আবিস্কার করেছেন তার সোর্স দিবেন। এভাবে রাসুল সাঃ এর যুগ পর্যন্ত বর্ণনাকারীর বর্ণনা দিবেন যেমনটা আমরা হাদিসের সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে (সনদ) দিয়ে থাকি।

আর যদি সেটা দিতে ব্যার্থ হন তাহলে আপনিই বলে দিন আমি কেন আপনার দেয়া ইতিহাস মানবো যেখানে আপনার ইতিহাসের সনদ নেই?

আর সেটা কেন প্রত্যাখ্যান করবো যেটায় প্রত্যেক বর্ণনাকারীর (রাবীর) নাম রয়েছে?

উল্লেখ্যঃ আপনি হয়ত জানেন বর্ণনার ভাষা ও বর্ণনাকারীর কোন লিংক মিসিং বা সমস্যা থাকার ভিত্তিতে হাদিসের সহিহ, মজবুত, দুর্বল ও মিথ্যা ডিপেন্ড করে। তাই দয়া করে মিথ্যা একটা কথাকে হাদিস হিসাবে পেশ করবেন না। (যদি আপনার মেরুদন্ড থাকে)। আমার কাছে হাদিসের সকল গ্রন্থের উপর একটা সফটওয়্যার আছে। তাই আপনার দেয়া হাদিসকে যাচাই করতে আমার বেশী বেগ পেতে হবে না।

ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নিরস্ত্র ৮০০ নারী পুরুষকে হত্যা, রাসুল সাঃ এর উপস্থিতিতে যুদ্ধের ময়দানে আটক নারীদের যৌন দাসি করা হয়েছে এটার সোর্স দিবেন। আর যে বইয়ের সোর্স দিবেন তিনি এই কথা কোথা থেকে আবিস্কার করেছেন সেটার সোর্স দিবেন, আর পরের জনও কোথা থেকে আবিস্কার করেছেন তার সোর্স দিবেন। এভাবে রাসুল সাঃ এর যুগ পর্যন্ত বর্ণনাকারীর বর্ণনা দিবেন যেমনটা আমরা হাদিসের সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে (সনদ) দিয়ে থাকি।
উত্তর: স হী বুখারী ৫:৫৮:১৪৮ এ বর্নিত: অতঃপর মোহাম্মদ বললেন ও সা'দ, এরা তোমার বিচার মেনে নিয়েছে। সা'দ বললো, আমি বিচার করলাম যে তাদের সকল যোদ্ধাদের হত্যা করা হোক এবং তাদের শিশু ও নারীদের দাসীতে পরিনত করা হোক। মোহাম্মদ বলল যে তুমি আল্লাহর বিচারের সমকক্ষই বিচার করলে।
সুনানে আবু দাউদ ১৪:২৬৬৫ এ বর্নিত যে বনু কুরায়জার সকল নারী ছাড়া পেলেও একজনকে হত্যা করা হলো। সে আমার সাথে, কথা বলছিলো হাসছিলো পাগলের মতো যখন মোহাম্মদ তার গোত্রের মানুষদের তরবারী দিয়ে জবাই করছিলো। হঠাৎ এক পুরুষ তার নম ধরে ডেকে বলে কোথায় এমন চলে? তোমার সমস্যা কি? মহিলা বলে উঠলো আমি নতুন ছলা করছি। মানুষটি তাকে নিয়ে জবাই করে মুন্ডুপাত করলো। মুন্ডুপাত করার পর বলতে থাকলো আমি এটা কখনোই ভুলবো না যে কেউ এমন করে হাসতে পারে যে কিনা জেনে গেছে যে তারও মুন্ডুপাত হবে।

কোরানের আল আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর লাইনে আছে: কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান। এই দুই আয়াতের ক্বাথীরের তাফসীরে গনহত্যার ব্যাপারটা উঠে আসছে। পড়ে নিতে পারেন। একই সূরার ১০ নম্বর আয়াতে আছে "যখন তারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল উচ্চ ভূমি ও নিম্নভূমি থেকে এবং যখন তোমাদের দৃষ্টিভ্রম হচ্ছিল, প্রাণ কন্ঠাগত হয়েছিল এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা বিরূপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করছিলে।" তাফসীর বিস্তারিত ক্বাথীর থেকে পাবেন এখানে ইংলিস যদি ভালো বুঝেন জানতে পারবেন খন্দকের যুদ্ধে কেমনে তারা লস খেয়ে উন্মাদের মতো এদিক ওদিক করতে থাকে এবং তাদেরকে শান্ত করার জন্য বানু কুরায়জার মতো সমৃদ্ধশালী ও সুন্দরী নারী সম্বলিত গোত্রকে মুহাম্মদ বেছে নেয়।

তাবারীর সীরাত আল তবারীর ভলিউম ৮, ইসলামের বিজয়, পৃষ্ঠা ৩৫-৩৬ নম্বরে ৮০০-৯০০ জনকে কিভাবে জবাই করা হয়েছে এবং তাদের আকুতি এবং তারা কেন আহত উন্মাদ সা'দের বিচার মেনে নিয়েছে (এই শর্তে যে তাদের সন্তান ও নারীদের হত্যা করা হবে না) সব পুংখানুপুংখ বর্ননা করা হয়েছে। ইবনে হিশামে এই সংখ্যাটা ৬০০-৯০০এর মধ্যে বর্ননা করেছে।

আপনারকে হাদিস দিলাম কোরান দিলাম তার তাফসীর ও সীরাত দিলাম। আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হলো আপনি সীরাত তাফসীর আর হাদিসের পার্থক্য ও প্রকাশকাল জানেন না। সীরার ও তাফসীরগুলো লেখা হয় ডাকাত শিশুকামী নবী মরার ১০০ থেকে ২০০ বছরের মধ্যে এবং তাদের চেইন গুলো সাহাবী দের দ্বারা জাস্টিফাইড কারন তারা নিজেরাই তাবে তাবেঈন ছিলো। হাদিস লেখা হয় নবী মরার ৩৫০ বছর পর।

এখন তাদের এসব ঘটনার চেইন তাদের বইতে আছে। আমার সংগ্রহেও। কমেন্ট আমি এত বড় করতে চাইছি না। আপনি যদি একটা একটা লাইন কপি করে কমেন্ট করেন তাহলে আমি সেটা দেতে পারবো বই খুজে অথবা আমি পুরো বইয়ের ডাউনলিংক দিতে পারি। যেখানে খোদ বুখারী পর্যন্ত কাথীর ইস হাক তাবারীকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেননি সেখানে আপনি করতে চান শুনে খুশি লাগলো।

তার ওপর আপনি নিজেই জানেন না হাদিস কি আর তাফসীর সীরাত কি!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: ১* চাঁদের দ্বিখন্ডিত করণ- আপনার লিংকে বলা আছে, No current scientific evidence reports that the Moon was split into two (or more) parts . No current scientific evidence এর মানে নিশ্চই বোঝেন আপনি। ইনফ্যাক্ট কোরআনের এমন আরো কিছু আয়াত আছে যা এখনো বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত হয় নি। হয়ত ভবিষ্যতে হবে। তবে আজ পর্যন্ত যতগুলো ফ্যাক্ট প্রমান হয়েছে তার কোনটাই কোরআনের এগেইন্সটে যায়নি। কোরআনে একটা দুইটা নয় শত শত আয়াত আছে, মিলিয়ে দেখুন ১৫০০ বছর আগে যে বিজ্ঞান মানুষের কল্পনায় ছিল না , মানুষ বুঝতই না এগুলোর মানে কি আজ তা প্রমানিত। আপনি দেখেও না দেখার ভান করছেন। সবাই আপনার মত অন্ধ না।

২* নিরস্ত্র ৮০০ নারী পুরুষকে হত্যাঃ ডাহা মিথ্যা বলার সময় কি আপনার শরম করে না। আপনি কি ১ম-২য় মহাযুদ্ধে কিভাবে এক দেশ অন্য দেশের সাথে যুদ্ধে জড়ায় আর তার পরিনাম সম্পর্কে জানানে না।
এদেশে যে যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার হয়েছে মৃত্যু দন্ড, সেটা কি কারনে হয়েছে আপনি জানেন না। তাদের শাস্তি নিয়ে তো কোনদিন চুলকায় না, রাসুল সাঃ ও মুসলিমদেরকে যারা হত্যার ষরযন্ত্র করেছিলো তাদের প্রতি তো দরদ উপচে উপচে পরছে। মক্কার মানুষরা রাসুল ও তার সাহাবাদের অত্যাচার ও হত্যার পরেও তাদেরকে তিনি মক্কা বিজয়ের পরে ক্ষমা করেছিলেন, সেটাও তো ইতিহাস। সেটা উল্লেখ করলে তো আপনার জাত যায় তাই উল্লেখ করেন নি।" যুদ্ধনীতি" বলতে যে একটা বিষয় আছে সেটা নিয়ে আপনি ও একটু পড়াশোনা করে জ্ঞান ঝাড়তে আসবেন। মোহাম্মাদ সাঃ ছিলেন মুসলমানদের নবী আর মদিনাবাসীর নেতা। মদিনাবাসী স্বেচ্ছায় তাকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতা হিসাবে ন্যায় বিচার করেছেন যেমন বর্তমানে এদেশের সরকার করেছে। এখানে দোষ ধরে বেড়ায় আপনার মত কিছু মিথ্যাচারী লোক। সর্বোপরি এটা ছিল আল্লাহর নির্দেশ। তারা দোষ করেছে আল্লাহ তাদের শাস্তি দিয়েছেন। এর আগে ও বহুবার মুসা আঃ এর সময়েও আল্লাহ তাদের শাস্তি দিয়েছেলেন। এটা নতুন কিছু না।

৩* আমেরিকায় যত লোক ইসলাম গ্রহন করছে ঠিক তার সম পরিমান লোক ইসলাম ত্যাগ করছে

এখানেও বক্তব্য ভুল ভাবে ও মিথ্যা দিয়ে উপস্থাপন করলেন, আমেরিকায় যত লোক ইসলাম গ্রহন করছে ঠিক তার সম পরিমান লোক ইসলাম ত্যাগ করছে সেটা এখানে কোথাও পেলাম না। এখানে লেখা
Like Americans in many other religious groups, a substantial share of adults who were raised Muslim no longer identify as members of the faith. But, unlike some other faiths, Islam gains about as many converts as it loses. শেষের লাইনের মানে কি আপনি বোঝেন? চাপাবাজি আর কত করবেন, নেন আপনাকে এবার আরো স্টাডি দিচ্ছি এই পিউ রিসারসের,
Why Muslims are the world’s fastest-growing religious group

Muslims are projected to increase as a share of Europe’s population – even with no future migration


৪* মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। - ওই কমেন্ট যে করেছেন তাকে জিজ্ঞেস করুন না। আমি কিন্তু লিখেছিলাম "এই ভিডিওর ভেতরে একজনের কমেন্ট " , এখানে মিথ্যাচারের কি আছে? ওই ভিডিওতে একজন এটা কমেন্ট করেছে আমি শুধু সেটাই বলেছি। আর তার কমেন্টের বক্তব্য যে সত্য না মিথ্যা সেতার না পক্ষে না বিপক্ষে আমি কিছু বলেছি।
কিন্তু আপনি তো ভাই টাইটেলে বলেছেন "হেফাজতের সয়তান"। তা উনারা কি ভাবে সয়তান সেটার প্রমান দেননি। তিনি নারীদের শিক্ষার বিরুদ্ধে বলেন নি তিনি নারীদের পর্দার বিরুদ্ধে বলেছেন। কারন এটা উনার ধর্মে ফরজ। আর যার যার ধর্ম তার তার কাছে এটা ইসলামের আইন এবং একই সাথে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেকের ধর্ম পালনে স্বাধিনতার কথা বলা আছে। এজন্য আমি আপনাদের বিশ্বাস নিয়ে গালিগালাজ করি না। কিন্তু আপনি কোন অধিকারে এদেশের সংবিধান ভেঙ্গে রাসুল সাঃ কে ডাকাত বললেন, হত্যাকারী বললেন, নারী লোভী বললেন। এদেশের আইন কি আপনাকে এ জাতীয় কথা বলার অনুমতি দেয়? আমার ধর্মের ব্যাখ্যা দেয়া আপনার কাজ নয়। আমাদের ধর্মের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আমাদের ধর্মের হায়ার এডুকেটেড পারসন আছে, তারাই বলবেন আদতে রাসুল সাঃ কেমন চরিত্রের মানুষ ছিলেন। দয়া করে নিজের চরকায় তেল দিন। নিজে যে বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন সেদিক নিয়ে কাজ করুন। এ দেশে জন্মেছেন, এদেশের আইনকে তাই সম্মান করতে শিখুন।

আপনার সাথে তর্ক করে নিজেকে নিচে নামানোর কোন মানে হয় না। (প্রথমে যখন আপনার পোস্ট পড়ি তখন আপনার সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল না। থাকলে শুধু শুধু সময় নষ্ট করতাম না, কারন আপনি যা করছেন, জেনে বুঝে করছেন, আপনাকে যতই বুঝাই সেটা কোন কাজে দিবে না ) আপনি একটা মিথ্যা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এখান থেকে ছিড়ে ওখান থেকে কেটে কিছু কথা বলে মানুষকে মিথ্যা বোঝান। যদি এখানেও সীমাবদ্ধ থাকতেন তাহলেও কিছুটা মন্দের ভালো হত। কিন্তু আপনি তার উপরেও মিথ্যুক, হাসিদের মাঝে রাসুলের যে সব মানবিক দিক আছে সেটা কোনদিন কাউকে বলেন না।

মানুষের ইতিহাসের যুগে যুগে আপনাদের মত মানুষ ছিল, ইসলামের সংজ্ঞায় যাদেরকে শয়তানের চ্যালা বলে । সয়তান বলেছিল আমি আল্লাহর বান্দাদের সত্য থেকে সরিয়ে আনবো। শয়তানের মিশনে আপনার মত শিক্ষিত মানুষ হেল্প করছেন ভেবে মাঝে মাঝে ব্যাথিত হই। শোনেন! ধর্ম মানুষকে মূলত মানবতা শেখায়। আর আপনার শেখান নির্লজ্জ মিথ্যাচার।


আপনি সৃষ্টিকর্তাবিহীন এই বিশ্ব জগতের কল্পনা করতে পারলেও আমি ও আমরা পারিনা। এখানেই আপনার আমার কমন সেন্সের পার্থক্য।
ফোর ডাইমেনশনের বাইরেও অনেক ডাইমেনশন আছে। সব দেখার বাইরেও অনেক অদেখা আছে।
সব কিছু যুক্তিতে সল্ভ হয়না। কিছু জিনিষ শুধু বিশ্বাসের, তাই দিন শেষে আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী আর মুসলিম হিসাবে আমি তাকে আল্লাহ নামে জানি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: No current scientific evidence এর মানে নিশ্চই বোঝেন আপনি। ইনফ্যাক্ট কোরআনের এমন আরো কিছু আয়াত আছে যা এখনো বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত হয় নি। হয়ত ভবিষ্যতে হবে।


উত্তর: তার কোনো সম্ভাবনা নাই। পৃথিবীতে পুরো স্তরের বায়ুমন্ডল এবং উপরিপৃষ্ঠের নীচে চলমান টেকটনিক প্লেট থাকা সত্বেও ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে যে উল্কাপতনের কারনে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিলো সেই চিক্সাব ক্রেটার এখনো বিদ্যমান। এছাড়াও কয়েক বিলিয়ন বছর আগে যে এক্সোপ্লানেটের আঘাতে চাঁদের সৃস্টি তার চিহ্নও বিদ্যমান পৃথিবীতে। চাঁদে বায়ুমন্ডলের কোনো স্তর নেই বললেই চলে, টেকটনিক প্লেট সিস্মোগ্রাফে ধরা পড়েনি। এর কোর পৃথিবীর মতো স্থিতিস্থাপক না বরংচ লোহার তৈরী সলিড কোর। তাই এখানে ভূকম্পনের ফলে উপরিপৃষ্ঠের বিকৃতি বা বায়ুমন্ডলের প্রবাহের কারনে ভারী বা ধূলিময় বস্তুর চলন দেখা যায় না। তারওপর গত মাসে চীনের স্পেস ক্রাফট চাঁদের অন্ধকার দিকের ছবি (উচ্চ রেজুলেশনের) পাঠিয়েছে। আপনার কাছে ব্রডব্যান্ড বা উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকে তাহলে ঘরে বসেই গুগলমুনের সহায়তায় চাঁদের উপরিপৃষ্ঠ দেখতে পাবেন যেটা স্যাটেলাইট ফিড কিছু দিন পর পর আপডেট হয়। এছাড়া জাপান রাশিয়ার বহু স্যাটেলাইট ফিড অনলাইনে বিদ্যমান যেটা কিনা জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও মানুষের জন্য উন্মুক্ত। মাত্র ১৫০০ বছর আগে একটা গ্রহ চিড়ে দুভাগ করে জোড়া লাগানোর চিহ্ন থাকবে এটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং সেটা আপনি এসবে নজর দিলেই পাবেন অথবা এটাও বিশ্বাস না হলে নিজে একটা সাধারন মানের টেলিস্কোপ কিনলে পূর্নিমার রাতে তার স্পস্ট ছবি পাবেন। যদি আপনি আপনার নিজের বিশ্বাস সম্পর্কে এতই আত্মবিশ্বাসী হন, চ্যালেন্জ দিলাম। তবে আমার মনে হয় না আপনি এটা গ্রহন করার মতো মানসিক শক্তি রাখেন কারন আপনাকে অবিশ্বাসী করানোর লক্ষ্য আমার ছিলো না, লক্ষ্য ছিলো এসব এভিডেন্স ব্লগে লিখে আপনাদের খোড়া যুক্তিগুলো খন্ডন করা। ধন্যবাদ সে সুযোগ করে দেবার জন্য।


নিরস্ত্র ৮০০ নারী পুরুষকে হত্যাঃ ডাহা মিথ্যা বলার সময় কি আপনার শরম করে না।
উত্তর: আপনার চার কমেন্টের উত্তরে কোথাও নারী ও পুরুষ হত্যার কথা বলিনি। বলেছি পুরুষ ও কিশোর হত্যা এবং নারীদের যৌনদাসীতে পরিনত করা। এখন বলুন মিথ্যা কে বলছে?

আপনি কি ১ম-২য় মহাযুদ্ধে কিভাবে এক দেশ অন্য দেশের সাথে যুদ্ধে জড়ায় আর তার পরিনাম সম্পর্কে জানানে না।
উত্তর: বানু কুরায়জা যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো তার প্রমান দেন। আমি ইসলামি ইতিহাস এবং সিরাত তাফসীর লাইন বাই লাইন পড়েছি। অনেক থিওলোজিয়ান ও ইতইহাসবিদের বইও পড়েছি। আমি জানি আপনি মিথ্যা বলছেন এবং এর আগেও আপনি তিনটি মিথা কথা বলেছেন। এবং সেগুলোর পক্ষে কোনো দলিল পেশ করতে পারেননি।

এদেশে যে যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার হয়েছে মৃত্যু দন্ড, সেটা কি কারনে হয়েছে আপনি জানেন না। তাদের শাস্তি নিয়ে তো কোনদিন চুলকায় না, রাসুল সাঃ ও মুসলিমদেরকে যারা হত্যার ষরযন্ত্র করেছিলো তাদের প্রতি তো দরদ উপচে উপচে পরছে।
উত্তর: জানি। কোর্টের বাদী বিবাদী যুক্তি পড়ে দেখেছি রাজাকার শুয়োরগুলো কখনো অস্বীকার করেনি যে তারা আলবদর আল শামস এর প্রতিষ্ঠাতা। গোলাম আজমের কারাদন্ড হয়েছিলো ফাসী না হয়ে দুটো কারনে অতিরিক্ত বয়স আর হুকুমের গোলাম। বাকি সবাই হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করেছিলো যদিও তারা হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করার ব্যাপারে অস্বীকার করেছিলো। কিন্তু চাক্ষুস সাক্ষী থাকায় (সাক্ষীদের একজন সদ্য প্রয়াত আহমেদ ইমতিয়াজের ভাই যাকে কিনা পরে জঙ্গী মুসলমানরা গলা কেটে জমাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং যার জন্য তাকে সব সময় নিজ ঘরে অন্তরীন থাকতে হয় পুলিশ প্রটেকশনে) তাদের সাজা ভোগ করতে হয়। আমার অফিসিয়াল উত্তর এটাই। আপনি কি জানেন?
মক্কার মানুষরা রাসুল ও তার সাহাবাদের অত্যাচার ও হত্যার পরেও তাদেরকে তিনি মক্কা বিজয়ের পরে ক্ষমা করেছিলেন, সেটাও তো ইতিহাস। সেটা উল্লেখ করলে তো আপনার জাত যায় তাই উল্লেখ করেন নি।
উত্তর: মক্কার মানুষ নবী মোহাম্মদকে যথেষ্ট সম্মান করেছিলো কিন্তু মিথ্যা নব্যুয়তের নাম করে তাদেরকে জ্বালাতন এবং তাদের ধর্মকে অশ্রদ্ধা করে মক্কার ভেতরে থাকা মূর্তি ভেঙ্গে ফেললে তারা কি করবে? তারপরও গোত্রে তার চাচা মুত্তালিব প্রভাবশালী থাকায় তাকে জানে মারেনি। আপনার এলাকায় কেউ যদি মসজিদে ঢুকে কোরান জ্বালিয়ে দেয় তখন তাকে কি করবেন? তার সাথে তুলনা করেন মোহাম্মদকে কি করেছিলো। তারপরও সেই চাচার প্রটেকশনে আজীবন থেকে মৃত্যুর পর চাচাকে কি বলে অভিশাপ দেয় জানেন? আমি তো দেখি কৃতঘ্ন ক্ষমতালোভী ডাকাতের হিংসাকাতর সাইকোর ছবি। যখন মক্কার লোকদের কাফেলা বার বার লুটতরাজ করছিলো মদিনায় থেকে তারপরও তার মেয়ে জয়নব যে কিনা মক্কানিবাসী তার নিরাপত্তা এবং সসম্মানে ও নিরাপদে মদিনা যাবার রাাস্তা কে করেছিলো? একটু বলবেন? সব তো সীরাতেই লেখা সেগুলো ম্যানুপুলেট করেন কার স্বার্থে?

এর আগে ও বহুবার মুসা আঃ এর সময়েও আল্লাহ তাদের শাস্তি দিয়েছেলেন।
উত্তর: মুসা নামে আসলেই যে একজন লোক ছিলো তার ইতিহাসনির্ভর বা প্রত্নতাত্বিক পান্ডুলিপি থেকে প্রমান দিন। তোরাহ বাইবেল কোরান নামের রূপকথার বই ভিন্ন তার যে কোনো অস্তিত্ব অথবা তার মৃতদেহের সমাধি দেখালেও চলবে।

শেষের লাইনের মানে কি আপনি বোঝেন? চাপাবাজি আর কত করবেন, নেন আপনাকে এবার আরো স্টাডি দিচ্ছি এই পিউ রিসারসের
উত্তর: আপনার দেয়া দুটো রিপোরর্ট থেকে লাইন গুলো কপি করলাম
**an estimated 160,000 more people switched their religious identity from Muslim to another religion (or to no religion) than switched into Islam from some other religion or no religion....
**Europe’s Muslims have more children than members of other religious groups (or people with no religion) in the region. (New Muslim migrants to Europe are assumed to have fertility rates that match those of Muslims in their destination countries;
**Not all children born to Muslim women will ultimately identify as Muslims, but children are generally more likely to adopt their parents’ religious identity than any other.
**The main reasons for Islam’s growth ultimately involve simple demographics. To begin with, Muslims have more children than members of the seven other major religious groups analyzed in the study. Muslim women have an average of 2.9 children, significantly above the next-highest group (Christians at 2.6) and the average of all non-Muslims (2.2). In all major regions where there is a sizable Muslim population, Muslim fertility exceeds non-Muslim fertility.
এসব লাইন থেকে দেখা যাচ্ছে আমি যা বলেছি সে কথাগুলোরই অনুরনন। মুসলমান বাড়ছে কারন অনিয়ন্ত্রিত জন্মপ্রদান আর কমছে তারা বড় হয়ে ইসলাম ত্যাগ। এবং এর নেট গ্রোথ মাত্র ১.৬ যা অন্যান্য আব্রাহামিক ধর্ম থেকে বেশী এর মূল কারন এটা নতুন ধর্ম। তবে সব ধর্মই একসময় থ্রেশ হোল্ড পয়েন্টে গিয়ে বিলীন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নাস্তিকতা বা অজ্ঞেয়বাদ নতুন।
এ ব্যাপারে আপনার মতামত আশা করছি।

আর তার কমেন্টের বক্তব্য যে সত্য না মিথ্যা সেতার না পক্ষে না বিপক্ষে আমি কিছু বলেছি।
উত্তর: তার মানে আপনি গুজব প্রচার কারী। আপনি জানেন না এসব গুনী ব্যাক্তিরা এই কমেন্টগুলো করেছেন কিনা। আপনি না জেনেই কেউ গুজব ছড়ালো এবং সেটা আপনি প্রচার করছেন যেটা কিন্তু দেশের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।

আর যার যার ধর্ম তার তার কাছে এটা ইসলামের আইন এবং একই সাথে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেকের ধর্ম পালনে স্বাধিনতার কথা বলা আছে। এজন্য আমি আপনাদের বিশ্বাস নিয়ে গালিগালাজ করি না।

উত্তর: ইসলাম সম্পর্কে আপনার অজ্ঞতা জেনে অবাক হচ্ছি। কারন ইসলাম সমগ্র মানবজাতীর জন্য মোহাম্মদ চাপিয়ে দিয়েছে এজন্য বিষের যন্ত্রনায় মরার সময় যে তিনটি কাজের নির্দেশ ছিলো তার শেষ দুটি ছিলো যুদ্ধ। এমনকি কোরানের সর্বশেষ সূরা তওবা যখন ডাকাত নবী লেখে তার প্রথম ৭ লাইন ছিলো যুদ্ধ ও তলোবারীর আঘাতে কিভাবে ইসলাম চাপিয়ে দেয়া হবে যেটা কিনা গরু রচনা ওরফে সুরা বাকারাতে উল্লেখিত যার যার ধর্ম তার তার কাছে এবং দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবর দস্তি নাই এগুলো নাসুখ মনসুখ হয়ে যায়। আপনার মতো ইসলামে অজ্ঞ মানুষের সাথে বৃথাই তর্ক করলাম দেখা যায়।

সর্বশেষ আপনার কমেন্টে আরও কিছু মিথ্যা পেলাম সেটা হলো ফোর´থ ডাইমেশনের বাইরে আরও ৭ টি ডাইমশন আছে। এর বাইরে আর কোনো ডাইমেনশন নাই তাই অসীম হবার প্রশ্নই আসে না এবং বাকী ডাইমেনশন গুলো মাইক্রোস্কোপিক স্কেলের। আর আমি নাস্তিক নই। আমি অজ্ঞেয়বাদী এবং বর্তমানে ঘারানিক ওরফে হুবালের পুজো অচ্চনা করছি

আশা করি দয়া করে রেফারেন্স গুলো দিয়ে নিজেকে মিথ্যেবাদী অভিযোগ থেকে মুক্ত করবেন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কিছু কথার উত্তর দেয়া হয়নি।

তিনি নারীদের শিক্ষার বিরুদ্ধে বলেন নি তিনি নারীদের পর্দার বিরুদ্ধে বলেছেন।
উত্তর: এখানে আপনাকে ভিডিও দিচ্ছি। আজকে দিনের বেলার ঘটনা। সাইদা রতনা আপুর প্রোফাইল থেকে নিয়ে ইউটিউবে আপ করেছি। একটু দেখে আমাকে আপনার মতামতটা বলুন।


আপনি কোন অধিকারে এদেশের সংবিধান ভেঙ্গে রাসুল সাঃ কে ডাকাত বললেন,
উত্তর: নব্যয়তের পর ওনার পেশা কি ছিলো? পেট চলতো কিভাবে একটু বলবেন? যদি আপনি না বলেন আমি সুন্দর করে রেফারেন্স স হ বলে দেবো। আপনাকে সুযোগ দিলাম যাতে নব্যুয়তের পর ওনার পেশা সম্পর্কে আগে ভাগে কিছু বলেন

২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান, আপনি ভাই সাহসী মানুষ আপনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেনো ? আপনার বিবৃতিতে হুমায়ুন আহমেদ স্যার ও জাফর ইকবাল সাহেবের উক্তির রেফারেন্স চাচ্ছি - আর আপনি কিনা ইসলামকে বাাঁচাবার জন্য যুদ্ধে নেমেছেন, ইসলাম কি এতো দুর্বল যে, যার ধর্ম সে রক্ষা করতে পারে না !!! যেমন হুমায়ুন আহমেদ স্যার মৃত এবং তার অবস্থানে আমি আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি রেফারেন্স দিন !!! আপনার ইসলাম বাঁচাতে হবে না, যিনি পুরো বিশ্ব ভ্রম্মান্ড তৈরি করেছেন তাঁর ধর্ম
বাঁচানোর জন্য সামান্য মানুষের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না । শহস্র কোটি লক্ষ মানুষ পৃথিবীতে এসছে গেছে পৃথিবী বা তাঁর সৃষ্টিকর্তার জন্য এটি কিছুই না।

** ***আপনি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের নাম বলুন - আমি পৃষ্টা লাইন বের করে নেবো নিজ গরজে, আপনার চিন্তা করতে হবে না, ঠিক তেমনি জাফর ইকবাল সাহেবের বইয়ের নাম বলুন - তারও আমি পৃষ্টা লাইন বের করে নেবো নিজ গরজে, আপনার চিন্তা করতে হবে না ।

- তা না হলে প্রমাণ হয়ে যাবে মি.সিম্পলম্যান ভাই আপনি মিথ্যাবাদী বাঁচাল মানুষ, যার কাজ অযথা তর্ক করা !!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি উনার যু্দ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে মন্তব্যটা বুঝিনি। আপনি কি বুঝেছেন? সে আসলে কি বুঝাতে চাইলে?

২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভাই,
আপনাকে ছোটিএকটি তথ্য দিয়ে আগামী পোষ্টের জন্য আবেদন করছি, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি অংকিত ছবি দ্যা লাষ্ট সাপার এবং বিতর্কিত চলচিত্র “ডা ভিঞ্চি কোড” সহ অকাট্য দলিল আছে যেখানে ঈসা (আঃ) এর বংশধর খুন হচ্ছে নিরবে নিভৃতে বৃটিশ ইতালীয় সিক্রেট এ্যাজেন্সি দ্বারা । এটি কোনো ক্রমে প্রচার করা যাবে না যে ঈসা (আঃ) বংশধর পৃথিবীতে বর্তমান !!!

- তারপরও যদি কখনো প্রশাসনে ক্যু হয় আর দলীল দস্তাবেজ সহ প্রমাণ হয়ে যায় এবং ঈসা মসীহ (আঃ) এর বংশধর টেলিভিশনের সামনে উপস্থিত হোন - তখন পৃথিবীর তাবত চষে খাওয়া ধর্মগ্রন্থের কি অবস্থা হবে !!!

*** আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার পুড়ে ছাই করার পেছনে কারা দায়ী এবং কারণ কি ?





২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি আসলে দ্যা ভিঞ্চি কোড একটা ফ্যান্টাসি নোভেল হিসেবে পড়েছি। প্রায়োরিটি অব সিয়ন বা ইলুমিনাটি এসবে খুব একটা বিশ্বাস নেই যদিও ইলুমিনাটির ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কবে বর্তমান ওয়ার্ল্ড অর্ডারের জন্য তার পুনরুথ্থানের দরকার নেই। যদিও এগুলো আমার ব্যাক্তিগত মতামত।

আলেক্সান্দ্রিয়ায় আগুন লেগেছিলো দুর্ঘটনাবশত সিজারের যুদ্ধের সময়। যদিও বাজারে মিথ প্রচলিত জঙ্গি ওমর আলেক্সান্দ্রিয়া আক্রমন করলে ফিলানথোস তাকে অনুরোধ করে যে আগুন না দিতে। তখন উমর বলেন যে যেসব বই কোরানের বিরুদ্ধে তিনি তাই ধ্বংস করবেন এবং এই বলে আগুন ধরিয়ে দেন। এটার কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। আলেক্সান্দ্রিৎা পোড়ানো হয় ১৪০ বিসি তে এবং ফিলান্থোস মারা যান ৪৫০ খ্রিস্টাব্দে। তখন ইসলামের নাম কেউ জানতো না এবং ডাকাত মোহাম্মদের জন্ম হয় নি।

তবে এটা ঠিক সীজার যুদ্ধে আলেক্সান্দ্রিয়ায় আগুন লাগলে কিছু পুস্তক দলিল বাঁচানো যায় এবং তার বেশীর ভাগ লুট হয়ে আরব পেনিনসুলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই বাইবেল এবং ইহুদীদের বিভিন্ন সংস্করনমুলক গ্রন্থ অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য সন্নিবেশিত হয় যেমন টা এখন হচ্ছে কোরানের অর্থের বিবর্তন বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে। ওপর তাই সেসব তথ্য বহু জানা পালা মেলে তার একেক রূপ মোহাম্মদ কোরানে সন্নিবেশ করে এবং বিজ্ঞানের প্রসারের ফলে আমরা জানতে পারি কোরানের সেসব তথ্য আদতে ভুল এবং এটা কোন ঐশী বানী নয়।

কিন্তু তারপরও অনেকে বিশ্বাস করতে চান, প্রমান করতে চান অনেক কিছু। কি বলার আছে!!

আপনার বক্তব্য অবশ্য শুনতে চাই। অধুনালুপ্ত খ্রিস্টানরা সেরকম ডেসপারেশন দেখাবে কিনা ঈসার বংশধরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যদিও তাতে আমার মনে হয় তাদেরই ক্ষতি হবে। গ্যালিলি যতটা আঘাত করেছে এই ধর্মকে তার চে বড় আঘাত হবে সেটি।

ভিঞ্চিকোড আসলেই একটা ইন্টারেস্টিং উপন্যাস

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বাংলার মেলা বলেছেন: ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি আমি সমর্থন করিনা। নাবালিকা ধর্ষণ ও যৌন বিকৃতির একমাত্র শাস্তি পুরুষাঙ্গ কর্তন। মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশে এই শাস্তির ফলে যৌন অপরাধ শূন্যে নেমে এসেছে। সাবালিকা ও বিবাহিত নারী ধর্ষণের শাস্তি হওয়া উচিত ১০০ চাবুকের বাড়ি। মরে যাবার আশঙ্কা থাকলে কিস্তিতে দেয়া যেতে পারে। ৫০টি বাড়ি দিয়ে বিশ্রামের পর সুস্থ হয়ে উঠলে বাকি ৫০টি

আমি নিজে অনেক দিন ধরে মালয়েশিয়াতে আছি। এরা খুব যে উন্নত এটা বলা যাবে না। এদের কিছু টাকাপয়সা হয়েছে। তাতেই কম পক্ষে ৬০ শতাংশ মালয়েশিয়া অহংকারে বাঁচে না। এখানে প্রচুর অপরাধ হয়। মানুষের মন মানসিকতা উন্নত না হলে অপরাধ কমবে না।

মালয়েশিয়াকে উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র বলার সময় এখনো আসেনি। মাহাথির মারা গেলে নাও আসতে পারে। মেছুয়া পল্লীর প্রত্যাবর্তন হলেও হতে পারে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা খবর শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না



মালয়েশিয়া এখনো কোনো উন্নত দেশে পরিনত হতে পারেনি। ওখানকার দুর্নীতি বর্বর শরীয়া আইন বিশেষ করে সাংবিধানিক ভূমিপুত্র আইন দেশটাকে বর্বর রাস্ট্রেই পরিনত করে। শ্রদ্ধা করি কিছুটা এজন্য যে ভালো কিছু টেক কম্পানি আছে যারা আসলে ভালো কিছু করছে। এর বাইরে এদের ওপর কোনো শ্রদ্ধা নেই।

আপনি ঠিকই বলেছেন।

কিন্তু এদেরকে এসব বোঝাবে কে বলেন!!!

২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান, আপনি কি উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধীর ইতিহাস টেনে এনেছেন তা পরিস্কার না, যুদ্ধাাপরাধী মুসলিম - এটি বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে তারা যুদ্ধাপরাধী - এবং তাদের সাজা কার্যকর হয়েছে। আপনি মি.সিম্পলম্যান ব্যাক্ষ্যা দিতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছেন এটি বিতর্কের বিষয় নয় তাও নিয়ে আসছেন তাতে তর্ক বাড়ছে কিন্তু রেজাল্প পাচ্ছি না এবং আপনাকে বাচাল মনে হচ্ছে, আপনি আশা করি হুমায়ুন আহেম স্যার ও জাফর ইকবাল সাহেব প্রসঙ্গ ইতি করবেন ।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওনাকে আমার ঘোরতর সন্দেহ হচ্ছে। ব্যাটা কি জামাত শিবির? ব্লগের বিএনপির পোলাপানও আমার ব্লগে এসে সমঝে কথা বলে। এ যদি জামাত শিবির হয় তাহলে বুঝতে হবে এর বুকের পাটা আছে।
আপনাকে একটা ভিডিও দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। কলাবাগানে আজকে দিনের বেলা এই ঘটনাটা ঘটেছে।

২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

গরল বলেছেন: পোষ্টের চেয়েও কোমেন্টগুলো বেশী মজার ছিল =p~

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি মানুষের যুক্তি বোধ এবং শিক্ষিত শ্রেনী যারা তাদের মনন বুঝতে চেস্টা করছি যে তারা কতটুকু জানতে ইচ্ছুক। পড়ালেখার সময় এবং ধৈর্য্য একটা সময় পর মানুষের থাকে না। জীবন জীবিকার যাতাকলে মানুষের ভালো অভ্যাস গুলো হারিয়ে যায়। এসবের ওপর আমার নিজস্ব একটা চিন্তা ভাবনা বা তত্ব আছে। আমি পরীক্ষা করে দেখতে চাই এই যে শিক্ষিত মানুষের ্জ্ঞতা এটা কি বিশ্বাস হারাবার ভয় নাকি সময় সুযোগের অভাব।

সুশিক্ষা এবং সঠিক তথ্যের প্রবাহ থাকলে এসব ভ্রান্ত মতবাদ তাসের ঘরের মতো ভাঙ্গে চুরে হারিয়ে যাবে- আমি এই রাস্তায় একটা চেস্টা করে দেখতে চাই। যদিও চেস্টার রাস্তাটা সঠিক নাও হতে পারে, তবে এই মেথডলোজিটাকে একটু ডেভেলপ করলে কাজ হতে পারে

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০

বাংলার জামিনদার বলেছেন: দারুন লেখা, অনেক ভাল, তবে ভাই ঐ ল‌্যন্জাওয়ালা লোকদের সাথে তর্ক কইরা সুখ নাই। একটু চাপ দিয়া ধরলেই ভাইগা যায়। তখন মুখে তো আর পারেনা, চাপাতি খুজে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম ব্লগে এখন যারা আছেন তাদের মধ্যে খুব কম লোকের মধ্যে শিক্ষার গভীরতা আছে। যারা খুব খুব বড় বড় কতটা বলেন তারা আসলে গুগল মাস্টার কিন্তু সেটাতেও তেমন দক্ষ নন। আজ থেকে বছর ছয়েক আগেও এমন অবস্থা ছিলো না। এমনকি তিন বছর আগেও তখনও পক্ষে বিপক্ষে অনেক কমেন্টে আলোচনার সুযোগ থাকতো। তখন নাহিদীও শিক্ষা ব্যাবস্থা ছিলো কিন্তু এখনকার বর্তমান ব্লগারদের শিক্ষার দুরবস্থা দেখে মনে হয় নাহিদকেও দোষ দিতে পারছি না। অনেকেই আছেন যারা আমাদের সিনিয়র।

ফেসবুকে লেখা লেখির সুযোগের কারনে এবং সেখানে সাহিত্য বিজ্ঞান দর্শন অর্থনীতি ইত্যাদির ওপর স্পেশালাইজড গ্রুপ থাকার কারনে মেধাবী লোকজন সেখানেই ঝুকছে। অনেক গ্রুপ তো ফাউন্ডেশন তৈরী করে আজীবন গ্রুপ, হেল্থ ইন্সুরেন্স সহ নানা উদ্যোগ ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে যাতে কোয়ালিটি সম্পন্ন সদস্য আসুক। সেখানে ব্লগে দেখছি রীতিমত বুদ্ধিহীন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদের জয়জয়কার। কবিতার নামে চলে কবিতা সন্ত্রাস। মাঝে মাঝে প্রথম পেজে ঢুকলে মনে হয় মাসিক আল মদিনা আল ইহসান নামক জঙ্গি ধর্মের পত্রিকার অনলাইন সাইটে এসে পড়লাম কিনা ঠাহর করতে পারি না। গত এক মাসে বিজ্ঞান বা দর্শনের ওপর ভালো লেখা পাইনি। যা পেয়েছি ইতিহাসের অপব্যাখ্যা ও বিজ্ঞানের নামে মিথযাচার করে মিথ্যা জঙ্গি ধর্মকে প্রচার করার নামে ফালতু লেখা লেখি।

কিছু বলার নাই আসলে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.