নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত নিষ্ঠুরতা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১




খুব ছোটবেলা থেকেই মাশরুম ক্লাউড নিয়ে একটা ফ্যাসিনেশন কাজ করতো। মাশরুম ক্লাউড মানে নিউক্লিয়ার এক্সপ্লোশনের পর যে মাশরুম ক্লাউড দেখা যায়। মাত্র কয়েক পিকোসেকেন্ডের মধ্যে পার্টিক্যাল ফিজিক্সের একগাদা সূত্র কাজ করে সেটা অবাক করার মতোই ছিলো। যখন দুটো শক ওয়েভের পর কমলা রং থেকে মধ্যখানে ছোটকালো রং ধারন করে, বলা যায় সে সময় মাশরুম ক্লাউড তার পূর্নতা পায় এবং বায়ুমন্ডলের আয়নস্ফিয়ারে সেটা পৌছায়। এর কিছু পরই শুরু হয় রেডিয়েশন বৃষ্টি, ছাই ছাই। অদ্ভুত লাগতো মনে হলেই, স্নোফল। দুঃখের বিষয় হলো এই ব্লাস্ট জোনের বাইরে থেকেও এই মাশরুম ক্লাউড তৎক্ষনাৎ সরাসরি দেখা সম্ভব হবে না। সাময়িক অন্ধত্ব থেকে শুরু করে রেটিনার কিছুঅংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে চিরজীবনের জন্য। ব্লাস্ট রেডিয়াসের মধ্য থাকলে আমার শরীরে মাংস জ্বলে যাবে নিমিষে।

পৃথিবীর এমন অসম্ভব সুন্দর কিছু ব্যাপার আছে যা আমরা মন ভরে উপভোগ করতে পারি না। তোরাহ পড়েই জেনেছিলাম স্বয়ং মুসাকে ঈশ্বর বলেছিলো কোনো মানুষ তার চোখ দিয়ে তাকে দেখে জীবিত থাকতে পারবে না। সে ক্ষমতা মানবজাতীকে দেয়া হয়নি। তারপরও মুসা নাছোড়বান্দা ছিলো। ঈশ্বর তাকে জীবিত রাখতেই যখন সামনে দিয়ে চলে যান, মূসার চোখ দুটো বন্ধ করে রাখেন। যখন তার চোখ দুটো খুলে দিলেন তখন ঈশ্বরের পেছনের দিকটা এক ঝলক দেখেন। এই মিথগুলো বিশ্বাস করতাম। ধরেই নিয়েছিলাম বিবর্তনবাদ অনুসারে আমাদের চোখের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ আছে সেগুলোর জন্য আমরা অনেক কিছু দেখতে অক্ষম। এটা একটা আফসোসের বিষয়।

তাই বলে কখনো কোনোকিছু থেমে থাকে না। পঞ্চইন্দ্রিয়ের বাইরে থাকা বস্তু বা শক্তিসমূহের গতিপ্রকৃতি অনুসরন করার জন্য মানুষ তাই যন্ত্র বা গনিতের আশ্রয় নেয়। লুইপাস্তুর এভাবেই জীবানূ আবিষ্কার করেছিলো। এই যে ডার্ক ম্যাটার যে কিনা সবকিছুর ভেতর দিয়ে চলতে পারে এমনকি এর মধ্য দিয়ে আলোও প্রতিফলিত হয় না, কি দিয়ে তৈরী সেটা তো পরে, তার অস্তিত্বের সরাসরি কোনো প্রমান নেই। তবু আমরা জানি ডার্ক ম্যাটার আছে, কারন গনিত। আর তাই এন্টার্কটিকার বরফের চাইয়ের কয়েকশ ফুট নীচে আর্গনের চ্যাম্বার বসানো হয়েছে যেটা দিয়ে বোঝা যাবে ডার্ক ম্যাটারের কোনো কনিকা এই আর্গন চ্যাম্বারের মধ্যে দিয়ে গেছে কিনা, গেলেও তার উৎস কোথায়।

একটা প্রশ্ন আসতে পারে পঞ্চইন্দ্রিয় যদি না থাকতো তাহলে আমরা কি এত বুদ্ধিমান প্রানী বা তথাকথিত সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারতাম? এটা একটা বিতর্কের বিষয়। তবে সহজ ভাষায় যেটা বুঝি প্রানী জগতে আমাদের কাছাকাছি বুদ্ধিমত্তাযুক্ত প্রানী গুলোর একটি হলো অক্টোপাশ। অক্টোপাশের স্মৃতিশক্তি বেশ প্রখর। কোন খাবারে কি স্বাদ এবং কত স হজে শিকার করা যায় সেটা সে মনে রাখতে পারে। তার হাতে থাকা চোষক দিয়ে গন্ধ ও স্বাদ সম্পর্কে জানতে পারে বলে নিজের খাদ্যের ব্যাপারে সে খুব খুতখুতে। তার চোখ আলোর প্রতি এতটাই সংবেদনশীল যে গভীর সমুদ্রের তলদেশ; যেখানে কিনা আলো পর্যন্ত পৌছায় না সেখানেও অবলীলায় বিচরন করতে পারে। সমস্যা হলো তার শুনবার ক্ষমতা নেই। কিন্তু তাতে কি! তার ব্রেনের সাথে শারীরিক অনুপাত হিসেবে বেশ বড় এবং তার নার্ভ সিস্টেম বেশ জটিল।
এজন্য আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক দেশে আইন করে দেয়া হয়েছে অক্টোপাশের ওপর যেকোনো প্রকারের সার্জারী বা কাটাছেড়া যাবতীয় চিকিৎসার সময় এ্যানেস্থেশিয়া করানো বাধ্যতামূলক।

এই যে একটা প্রানীর স্মৃতিশক্তি এবং তার উন্নততর কগনেটিভ সেন্সের জন্য এরকম মানবিক আইন তৈরী করা শুধু এই কারনেই নিজের প্রজাতী নিয়ে গর্ব হয়।

যদিও আমাদের দক্ষিন এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে এসবের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করাই হয় না। ডেইলিমোশনে একটা ভিডিও দেখলাম কিছু ইন্ডিয়ান ছেলে পেলে একটা বিশাল কচ্ছপকে শক্ত খোলস থেকে বের করতে না পেরে বিশাল হাড়িতে ফেলে তার নীচে আগুন ধরিয়ে দেয়। জীবন্ত সেদ্ধ করবে। বাংলাদেশে তো কুকুরগুলোকে মারা হয় সরকারী ভাবে। সিলেট সহ বেশ কিছু জায়গায় সেদিন ফেসবুকে দেখলাম কুকুরগুলোর মাথা ফাটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশ স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। লাশগুলো দেখে নিজের ক্রোধ আটকানোই মুস্কিল হয়ে গিয়েছিলো। অনেকেই প্রতিবাদ করছে, কে শুনে কার কথা।

যদি সামান্য একটা ইন্দ্রিয়ের অভাবে আমাদের অবস্থান অক্টোপাশ বা কুকুরের কাছাকাছি হতো তখন এর সামান্যতম নির্মমতা কি কস্ট দিতো না?

অবশ্য কুকুর অক্টোপাশ নিয়ে পরে থেকেই বা কি হবে! যেখানে মানুষই খোদ মানুষ মারবার জন্য বুকে বোমা বেধে ধর্মের নামে মানুষ মারে অথবা যুদ্ধ থামাবার নামে নিউক্লিয়ার বোমা ফাটিয়ে অদ্ভুত সুন্দর মাশরুম ক্লাউড উপহার দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবন্ত বাস্পীভূত বা জ্বালিয়ে দেয়, তখন আর কি বলার থাকতে পারে!

হিটলারের হত্যাযজ্ঞ যদি মুসা দেখে যেতে পারতো তাহলে সেই অস হায় ইহুদীর মতো সেও কি বলতো,"ঈশ্বর যদি সত্যি থেকে থাকে, তার বিচার করতাম সবার আগে!"

অদ্ভুত বোধ নিয়ে আমাদের এই বসবাস! বড্ড অদ্ভুত এই চেতনা!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: সবাই মন্তব্যে প্রথম হওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করে তাই এবার আমি একটু চেষ্টা করলাম। দেখি প্রথম হতে পারি কি না? মন্তব্য শেষ করেই পাঠ সম্পন্ন করব এবং পুনরায় পাঠ সম্পর্কিত মন্তব্য প্রদান করব ইনশাআল্লাহ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

বিজন রয় বলেছেন: আছেন কেমন??

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিছু দিন ধরে প্রচন্ড ব্যাস্ততায় দিন কাটছে। ছুটি কেটে যাবার পর ভেবেছিলাম একটু রিল্যাক্স মুডে কাজ করবো। কিন্তু এই এপ্রিল পর্যন্ত আমার দমফেলার ফুরসত হবে কিনা সন্দেহ। অনেকটা হাপিয়ে উঠছি।

আপনার কি খবর? বই টই কি কিছু বের হলো??

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: অদ্ভত সুন্দর আপনার পর্যালোচনা এবং উপলব্ধি! আমরা মানুষ, সৃষ্টিজগতের সেরা জীব। আমাদের রয়েছে বেশ কিছু ইন্দ্রিয় এবং সর্বসেরা একটি বন্ধন ও সীমারেখাহীন স্বাধীন কল্পনাশক্তি। তাই আমরা অনেক কিছুই করে ফেলতে পারি। আর সেই সব করে ফেলার মধ্যেও কোন সীমাবদ্ধতা নেই যেমন ভালো কর্মে তেমন নিকৃষ্টতম কর্মে। তবে সৃষ্টিকর্তা এ সকল বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যই তো আমাদের এত সব সত্ত্বা ও ইন্দ্রিয় দিয়ে এবং স্বাধীন একটি বিচারবুদ্ধি দিয়ে সৃষ্টি জগতের সেরা করে দিয়েছেন। এখন এটা নির্ভর করে সম্পূর্ণই আমাদের উপর যে, আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে নিজেকে দেখব নাকি সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব হয়ে মানুষ ও বিধাতাকে দেখাবো আমাদের নিকৃষ্টতার উদাহরণ।
শুধু প্লাস বা ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করব না, ভাই আপনি সত্যিই এক গভীর চিন্তা ও গভীর প্রজ্ঞাধারী একজন মানুষ। আপনার প্রজ্ঞা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাক আর মাঝে মাঝে আমাদের তার একটু পরশ বুলিয়ে যাক, এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোষ্ট।
পরপর দুইবার পড়লাম।

আমার দাদা একদিন হুট করে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ত্রিশ। তারপর বাকি জীবনে আর চোখে দেখতে পারেন নি।
হযরত মুসার জীবনী আমি পরেছি। মুগ্ধ হয়েছি।
পঞ্চইন্দ্রিয় বলে আসলে কিছু নেই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট সংশ্লিষ্ট মত ও আলোচনা করবার জন্য

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ বরাবরের মতোই।


*অক্টোপাস কিন্তু সামান্য হলেও শুনতে পায়। তাদের মাছেদের মতো সুইম ব্লাডার না থাকলেও স্ট্যাটোসিস্ট নামে একটি অরগান রয়েছে যা দিয়ে শোনে বিশেষ মুহূর্তে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পানির ঘনত্ব বেশী হবার কারনে শব্দের গতিবেগ বেশী এবং তীব্রতার এটিনুয়েশন কম থাকায় বিবর্তনবাদের যুক্তি অনুসারে পানির নীচে বসবাসকারী প্রায় সব ধরনের প্রজাতীর কানের জায়গায় এমন ধরনের স্থিতিস্থাপক বস্তু সমৃদ্ধ অঙ্গ থাকে যেটা কিনা রাডারের মত কাজ করে। কিছুদিন আগে একটা গল্পের বই থেকে এটা জানতে পারি। বায়োলজি বা বিবর্তন সম্পর্কিত জ্ঞান আমার শূন্যের কোঠায়।

তবে যতদূর বুঝলাম স্ট্যাটোসিস্টকে মস্তিস্কের একটা অংশ হিসেবে ধরা হয়।

ধন্যবাদ সুন্দর একটা পয়েন্ট তুলে ধরার জন্য

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
চমৎকার পোস্ট। শিক্ষনীয় বহু বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন আপনি। জানার অনেক কিছু তুলেও ধরেছেন।

আরেকটু উদার হয়ে যদি ধর্মীয় দৃস্টি নিয়ে দেখতেন, তাহলে বুঝতেন, আজকের এই সমাজে যে সব খুন, হত্যা বা নারকিয়
হত্যাকান্ড গুলি ঘটছে সেগুলি কিন্ত কোন ধর্মেই সমর্থন করে না। এই সব যদি বন্ধ করতে চান তাহলে ব্যাক টু দ্যা পাভিলিয়নেই ফিরে আসতে হবে। কারন বতর্মানে সভ্যতার নামে যা প্রচলিত তা ধর্ম থেকে দুরে সড়ে যাবার জন্যই হয়েছে, এখন সেটাই তো এই সব শুরু করেছে। পারমানবিক বোমা কারা বানিয়েছে বলুন?

আল্লাহ কে শুধুই মুসা (আলাই::) দেখেন নি, তার সাথে কিন্তু নবই করীম (রাসুলা::) ও দেখা করেছেন। আল্লাহ যাকে চান শুধুই তিনিই তাকে দেখতে পারবেন। তবে শেষ বিচারের দিন সমস্ত সৃস্টিকুল তাকে রোজ হাসরের ময়দানে তাকে দেখতে পারবেন।

পোস্ট খুব অনিয়মিত আপনি, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা খুব বেশি মনে হয়!!

ভালো থাকুন আর এই রকম গঠমুলক ভালো ভালো পোস্ট দিন ব্লগে........

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও শুভসকাল। আমাদের এখানে কেবলই সকাল চলছে।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলাম এখনো আছি এবং তা বেশ গোড়া ভাবেই আছি। আমি যখনই যেটা অনুসরন করি যুক্তিকে প্রাধান্য দেই এবং পুংখানুপুংখ অনুসরন করি। যখন ইসলামে বিশ্বাস করতাম তখন বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু নিজের অজ্ঞতার কারনে সেসব প্রশ্নের উত্তর জানা হচ্ছিলো যেটা শুধুই একটা অপরাধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যখন প্রতিটা অথেনটিক বই তাদের তাফসীর এবং ব্যাখ্যা সমূহ যোগাড় করে সময় ইনভেস্ট করলাম তখন বোধোদয় হলো যে ঈশ্বর বা সেই মহান এনটিটি এত বড় মহাবিশ্ব এত কষ্ট করে তৈরী করেছেন তার কেন একজন শিশুকামী , যৌনন্মাদ,প্রতারক, মিথ্যাবাদী, ধর্ষক, খুনী, ব্যাভিচারীর আশ্রয় নিতে হবে নিজের বানী প্রচার করার জন্য? অথবা এত কোটি কোটি মানুষ যিনি তৈরী করেছেন, এই মহাবিশ্ব যে পার্টিক্যাল ফিজিক্সের মতো কঠিন ও জটিলতর সূত্রাবলী দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলে একটা মেটাস্ট্যাবল ইউনিভার্স এর উৎপত্তী শুরু করেছেন তিনি কেন তার লেখা বইতে ড. গ্যালেনের মতো ভ্যাটেরনারী ডাক্তারের বই থেকে কপি করে ভুল তথ্য টুকলী করবেন? অথবা সেই ডাকাত ঘোষিত কথিত ঈশ্বরের বই কোরানে এত ভুল বা কন্ট্রাডিকশন কেনই বা থাকবে যা পড়ে দলে দলে মানুষ বিভক্ত হবে (খোদ তাবলীগ জামাত যে কখনো দু ভাগ হবে এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিলো, ভার্সিটি লাইফে এখানে আমি প্রচুর সময় দিয়েছি লাভলেন ও বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে)?
তার মানে এই আব্রাহামিক ধর্মগুলো সবই হলো টুকলী এবং মিথ্যা এবং পালন করার অর্থই হলো সেই ঈশ্বরকে অপমান করা। কারন যেই ধর্মগুলো তার সৃষ্টির মধ্যে ফ্যাতনা ফ্যাসাদ এবং গুরুতর অপরাধের সৃষ্টি করে, জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ ভাইরাস দিকে দিকে ছড়িয়ে দেবে সেটা নিশ্চয়ই তার বানী হতে পারে না। সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ওঠা ঈশ্বরের সাথে এটা ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারনা, অপরাধ।

আপনি অজ্ঞ তাই বলছেন আব্রাহামিক বা সনাতন ধর্মগুলো শান্তির কথা বলে, ঐক্যের কথা বলে। আর যদি জেনেই বলেন তাহলে বলবো আপনি একজন ডাহা মিথ্যাবাদী ও প্রতারক সেটা হবার সম্ভাবনা তেমন নেই। এখন স্কুলে একটা ক্লাসে একরকম বই সবাইকে পড়ানো হয়। তা পড়ে হয় কেউ হয় ডাক্তার ইন্জিনিয়ার কেউ হয় জঙ্গিধর্ম ইসলামের সাক্ষাৎ মুমিন নামের শয়তান অথবা চোর ডাক্তার। তাই আপনার সাথে আমার মতের পার্থক্য থাকবে। আমার যুক্তি আপনার পছন্দ নাও হতে পারে কারন আপনি বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেন যুক্তির থেকে। সেক্ষেত্রে আপনার যেমন স্বাধীনতা আছে একটা বর্বর মিথ্যাা জঙ্গি শিশুকামী ধর্মের (আমার যুক্তিগত বিশ্বাস), সেক্ষেত্রে আমারও স্বাধীনতা আছে যেই মহান শক্তি বা ঈশ্বরের সৃষ্টির রহমতপ্রার্থী হয়ে জগতের পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে কথা বলে সঠিক পথের সন্ধান দেয়া।

আর এটা ঠিক এটম বোমা তৈরীর কোনো প্রয়োজন ছিলো না। এটা ছাড়াই যুদ্ধ থেমে যেতো কিন্তু সমস্যা ছিলো এই যে যুদ্ধের ভয়ভাব হতা এবং হতাশা সবাইকে গ্রাস করেছিলো তার পেছনে ছিলো তথ্যের অভাব। যদি মিত্র বাহিনী জানতো হিটলার কি সমস্যায় ভুগছিলো, বা পার্ল হার্বারে কামাকাজী এটাকের পর জাপানের এয়ারফোর্সের আর কোনো কিছু অবশিষ্ট ছিলো না, তখন হয়তো তারা আরো কনস্ট্রাকটিভ রাস্তায় যুদ্ধের শেষ করতে পারতো।

ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। যে তত্ব ব্যাবহার করে এটম বোমা বানিয়েছিলো তা দিয়েই অনেক ভালো ভালো কাজ এখনো হচ্ছে ও হবে। বাংলাদেশীদের সাথে এদের পার্থক্য এখানেই যে এদের মধ্যে শতকরা .০০০০১% খারাপ মানুষ বা ভ্রষ্ট নীতির লোক আছে আর বাকি সবাই অসাধারন ভালো মানুষ। আর বাংলাদেশে মাত্র .০০১% ভালো মানুষ আছে আর বাকি সব জন্তু জানোয়ার জঙ্গি চোর বাটপারের থেকেও খারাপ। বাংলাদেশ কোনো কল্পিত ঈশ্বরের রহমতে টিকে নেই। এই যে .০০১% ভালো মানুষ আছে তাদের জন্য টিকে আছে এবং দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি কারন এই সংখ্যাও কমছে।

যারা এটম বোমা তৈরী করেছিলেন তারা সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন নিজেদের জীবনমানের পাশাপাশি একটা কচ্ছপ বা অক্টোপাশের জীবনের মূল্য দিতে শিখেছে আর মুসলমানদের দেশ স হ বাংলাদেশে বর্বর জঙ্গী প্রতারক ডাকাত ধর্ষকের ধর্ম মানে বলেই সেসব দেশে খোদ মুসলমানরা টিকতে পারেনা এবং আশ্রয় ভিক্ষা করে এসব দেশে আসে এবং এদের সব কিছু খেয়ে পড়ে এদেরকেই বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চায়। কারন নিমক হারামী করা এদের ধর্ম যেমনটা করেছিলো সেই স্বঘোষিত মিথ্যা নবী তার চাচা মুত্তালিবের সাথে এবং চাচাতো বোনের সাথে রাত কাটিয়ে ব্যাভিচারীর ধরা খেয়ে গেলে তার নাম দেয় মিরাজের রাত।

হাস্যকর তাই না?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: দুদিনের দুনিয়ায় মানুষে মানুষে মারামারি কাটাকাটির কি সুতীব্র আয়োজন !

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটাই ব্যাথিত করে।
যদিও আশাবাদী এজন্য যে একমাত্র জ্ঞানের চর্চার কারনে এখন হানাহানী অনেকটা কমে গেছে। বিশ্ব আজ শান্তি কিভাবে পাবে তার পথ খুজে পাচ্ছে আস্তে আস্তে।

ভাঙ্গা গড়ার মাঝেই নতুন দিনের আলোকচ্ছটা দেখবো এটাই কি সুখকর না?

কেমন আছেন?

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: ভালোই আছি তবে কক্সবাজারে ট্যুর দিবার পর হাত পা একটু ম্যাজম্যাজ করতেছে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আহ! মজাই তো! কক্সবাজার কত বছর যাওয়া হয় না !! :(

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালো পোস্ট!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানব জাতির বয়স কয়েক লক্ষ বছর ( ১০ লক্ষ বছর হতে পারে)। আর ধর্মী গ্রন্থের ভাষ্য অনুযায়ী আমার মনে হয় মানজ জাতির বয়স খুব বেশী হলে ৫ হাজার বছর।

হজরত আদম ( আঃ) এবং উনার বিবি সরাসরি আল্লাহর তৈরী। উনাদের ভাষা ছিল আরবী। তাদের সন্তানদের ভাষাও তো আরবী। সেই হিসাবে আমরা হয়তো কয়েক শত জেনারেশনের পরে নাতি পুতি হতে পারি। তাহলে আমাদের ভাষা কেন আরবী থাকলো না?

মানুষ কিন্তু তার ভাষা ত্যাগ করতে পারে না। অনেক আগে ভারত থেকে তামিলরা আমদানী হয়েছিল মালয়েশিয়াতে। তাদের নাতিপুতিরা এখন মালয়েশিয়ান ( এখানে বলে ইন্ডিয়ান)। তাদের ভাষা এখনো তামিল। তারা তারা তাদের ভাষা কেন ত্যাগ করতে পারল না?

আর কি মজার ব্যাপার দেখুন, হজরত আদম (আঃ) সাহেবের নাতিপুতিরা কাল ক্রমে তাদের আরবী ভাষা কেমন অবলীলায় ভুলে গিয়ে কেউ চায়নীজ, কেউ জাপানী, কেউ ফরাসী, কেউ ইয়রেজি ভাষায় কথা বলতে শুরু করলো।

কেন এই ভাষার পরিবর্তন। আপনি অনেক মেধাবী এক জন মানুষ। আপনার কাছে কিছু বিশ্লেষণ জানতে চাই।

আমার ধারণা - মহাজগতের সব ঘটনা ঘটনার পেছনে কোন সুপ্রিম পাওয়ার কাজ করে। সেই পাওয়ারকে আমরা না বুঝে কেউ দেবতা, কেউ ইশ্বর নাম দিয়ে পুজা করছি। আসলে সেই মহাশক্তির কোন দরকার নেই মানুষের পুজো আর অতিরিক্তি তোষামুদের।

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমস্যা হইলো এই পোস্ট যে আমি লেখছিলাম সেইটাই তো ভুইলা গেছি। ইদানীং ব্লগ আছে বইলা বাংলা কিছু চর্চা হয় নাইলে ইংলিশ সুইডিশ পর্তুগীজ স্পেনিশের চাপে আমি যে কি ভাষায় কথা বলবো সেইটাই ভুইলা যাই। যদিও কালে ভদ্রে আমার কথা বলা হয়। এই ধরেন সপ্তাহে এক দুইদিন বাসায় বা দেশে ফোন দিলে।

বলি এখন তো কথা বলার দরকারই পরে না। সব অনলাইন। এমনকি খাবারের অর্ডারও দেয়া যায় খালি বোতাম টিপে। আমরা কেন কথা বলে শুধু শুধু ভাষার অপচয় করি, বলেন দেখি??

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেলেন। আমি তো জানতে চাই বলেই প্রশ্ন করি। অন্যরা তো ক্যাচাল করার জন্য প্রশ্ন করেন।

আপনার যুক্তিপূর্ণ লেখা আমার ভালো লাগে বলেই বার বার পড়ি।
শুভ কামনা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এমনেই ব্লগ নাস্তিকতা আর পর্নের জন্য বাংলাদেশে ব্লক মারছে আর মানুষজন মিয়া খলিফার বিয়া আর আদম হাওয়া নিয়া ইন্টারেস্ট দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে। কই যাই!

বলি সামুর অফিসে আপনারা কি র্যাব আনাইয়া ছাড়বেন নাকি?

আমি যতদূর জানি ভাষার উদ্ভব শুরু হয় হোমো ইরেক্টাসের আমলে। সেই হোমো ইরেক্টাসের স্পেসিম্যান অনুযায়ী তাদের উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির মতো কিন্তু তাদের হাত পা লম্বা। মেয়েরা খর্বাকৃতির। গড় আয়ু খুব কম কারন তারা কাঁচা মাংস খেতো ফলে বেশীরভাগই পেটের গন্ডগোলে অল্প বয়সে পটল তুলতো। যে কটা ফসিল পাওয়া গেছে তাদের কাছে কাছি স্বতন্ত্র কিছু সাংকেতিক খোদাইকৃত শিলালিপি বা দেয়ালচিত্র দেখা যায় যা মূলত তাদের নিজস্ব ভাষা রীতিই প্রমান করে। কার্বন টেস্টিং এ বয়স পাওয়া গেছে প্রায় ২ মিলিয়ন। আপনি হয়তো জানেন কার্বন টেস্টিং কতটা নিখুঁত যদি আপনি বয়সভিত্তিক পাকি ক্রিকেটারের বয়স বিষয়ক জোচ্চুরী নিয়ে একটু পড়াশোনা করেন।

হোমোইরেক্টাস কয়েক লক্ষ বছর পার করলে আসে নিয়েনডারথাল। তারা একটু আকটু রিচ্যুয়াল শুরু করে কারন তারা বিশ্বাস করতো আত্মা আছে কিন্তু ঈশ্বর নামক এনটিটি করার মতো মস্তিস্কগত সামর্থ ছিলো না। এরও প্রায় কয়েক লক্ষ বছরের বিবর্তনের পর মানুষ ও বান্দর প্রজাতী পাওয়া যায়। এগুলো সব প্রমানিত প্রতিষ্ঠিত সত্য।

কথা হইলো কোরান বাদ দেন, কারন ইসলাম এক ডাকাতে প্রতারনা এটা প্রমান করতে রকেট সায়েন্টিস্ট হবার দরকার নাই, দরকার একটু সাহস। আপনি যদি বাইবেল ও তৌরাহ ঘাটেন সেখানকার ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে বাস্তবে কোনো মিল নাই, তার চে বড় সমস্যা এসব ভুয়া গ্রন্থের এক আদম পাওয়া থেকে মানবজাতির উৎপত্তির কথা বলা আছে যেটা জেনেটিক্যালি অসম্ভব কারন মানুষ জিনগত কারনে ৭-৮ প্রজন্ম পর নপুংষক বাচ্চা কাচ্চা পয়দা হবে। এমন করে অনেক বড় বড় ডাইন্যাস্টি বাঁশ খাইছে।

আপনি যে অসামঞ্জস্য ভাষা দিয়ে দেখলেন আমি সেটা দেখলাম জেনেটিক্স দিয়া। আপনি বলতে পারেন বিজ্ঞানের জেনেটিক্স কোনো ঠিক ঠিকানা নাই কিন্তু এইটা বলার সাথে সাথেই সামান্য জ্বর ঠান্ডার জন্য দুটো ফাইমক্সিল ৫০০ এমজি টুক করে গলায় ঢাললেন। কিন্তু উইকি ঘেটে দেখেন এই যে দুইটা গিললেন সেটার মূল উপযাজক সমুহ জেনেটিক্স ও এভুলুশনারী মেডিসিনের তত্ব মেনেই বানিয়েছে। কথা হইলো আপনি তাহলে ওষুধ যে গিললেন সেটা কি বিশ্বাস ছাড়াই গিলেছেন? আর যদি বলেন এটার সাথে ওটার কি সম্পর্ক তাইলে আর কিই বা বলার আছে। বেসিক দিয়েই তো সবকিছু হইছে, নাকি?

পাইছেন উত্তর ? যদিও আমি ভাষাবিদ না, তাই আপনার উত্তর দিতে জেনেটিক্সের সহায়তা নিলাম

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি অনেক মেধাবী। জেনেটিক্স আমার কাছে খুব কঠিন লাগত। এর মূল কারণ আমি ছাত্র যাই বা ছিলাম পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য ছাত্র পড়ানো জাতীয় কাজটি আমাকে করতেই হতো। ফলে ক্লান্ত শরীরে নিজের পড়ার কোন উন্নতি হয় নি।

জেনেটিক্স ছাত্র জীবনের পরে পড়ে দেখেছি- অসাধারণ এক জিনিস। কিন্তু যেহেতু আমার উচ্চতর পড়াশোনার আর কোন সুযোগ ছিল না তাই ক্ষান্ত। তবে আপনার বিশ্লেষণ পড়ে বিমুগ্ধ হই।

আর হ্যাঁ কথা দিচ্ছি- আজে বাজে প্রশ্ন করে রাব ( RAB) ডেকে আনবো না। এই সামহোয়ার থাকার দরকার আছে। এটা আমার অনেক প্রিয় একটি লাইব্রেরী।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে জেনেটিক্স বায়োলজিতে বোঝার তেমন কিছু নাই। যার মুখস্থবিদ্যা যত ভালো সে তত বেশী পারদর্শী। বায়োলজীর ব্যাপারে আমার জ্ঞান যৎসামান্য এবং রক্তপাত আমার ঠিক স হ্য হয় না। বলতে পারেন এটাই মূল কারন বায়োলজী এড়িয়ে চলার।

যাই হোউক, আপনার কমেন্ট ভালো লাগে। একজন বিশ্বাসী হয়েও জানার যে তৃষ্ণা সেটা আমাকে আভিভূত করে।

ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.