নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দুর্ভিক্ষ

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৫



১.

ঢাকাকে পৌরসভা ঘোষনা করা হয় ১৮৮৪ সালে। ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছে ছিলো একদিন এই অঞ্চল ব্রিটেনের মতো গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় নিজেদের ভাগ্যন্নয়ন করে উন্নত জাতীতে পরিনত হবে। টেকসই গনতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের বিকল্প নেই এই কথাটি একবিংশ শতকের কোনো রাস্ট্রবিজ্ঞানী অস্বীকার করতে পারেননা। তখনকার ব্রিটিশ প্রশাসন কর্তৃক মনোনীত কাউন্সিলরের তালিকায় যাদের নাম ছিলো তাদের নাম দেখলেও ভড়কে যেতে হয়: মোহিনী মোহন দাস, খাজা আমিরুল্লাহ, পূর্ণচন্দ্র ব্যানার্জি, খাজা মোহাম্মদ ইউসুফ, সৈয়দ গোলাম মোস্তফা, রাধিকা মোহন বসাক প্রমূখ। ড. প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ছিলেন জগন্নাথ কলেজের মনোবিজ্ঞানী। বাকি যারা ছিলেন তারাও কেও ব্যাংকার, আইনজীবি, বুদ্ধিজীবি মহলের কেউ যাদের দর্শন বর্তমান বাংলাদেশের কুলীন সমাজের মুখে উহু আহা সৃষ্টি করে।

নানা এক্সপেরিমেন্ট চলে দীর্ঘ ত্রিশ বছর। ১৯১৬ সালে ১৮ ই ডিসেম্বর ততকালীন বাংলার গভর্নরের ক্ষেদোক্তি ছিলো,"পৌরসভাগুলোতে ৩০ বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা (এক্সপেরিমেন্ট) করে এখন আমরা হতাশাগ্রস্ত (ডিসঅ্যাপয়েন্টমেন্ট) হয়ে পড়েছি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া স্বশাসিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নাগরিকেরা কোনো সুবিধা (অ্যাডভানটেজ) পাচ্ছেন না। নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা ব্যক্তিস্বার্থের (সেলফ-ইন্টারেস্ট) ঊর্ধ্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন।"

আজ ১০০ বছর পরও যখন দেখি স্থানীয় সরকার গুলো ডুবে আছে সীমাহীন দুর্নীতি ও তৈলবাজীতে তখন এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবি মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য শুধু ঘৃনারই সৃস্টি হয়।

২.
১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত একটা ধারনা ছিলো দুর্ভিক্ষের প্রধান কারন সামগ্রীক চাহিদার বিপরীতে খাদ্যের অভাব। পরবর্তিতে তারা দেখলেন দুর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে হয় না।

অমর্ত্য সেনের ভাষায়,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ক্রিয়াশীল গণতন্ত্র ও শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে দুর্ভিক্ষ হয় না।

একটা সহজ উদাহরন দেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সরকার যখন খাদ্য সংগ্রহ করে গুদামে রাখতেন তখন পুরো বাংলাদেশকে কয়েকটা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো। এসব ময়মনসিংহের আশে পাশের জেলার জন্য ময়মনসিংহের খাদ্যগুহামকে কেন্দ্র হিসেবে ধরা হতো। ১৯৭৩ সালে যখন ভরপুর ফলনের পরও চালের দাম উর্ধ্বমুখী তখন সরকার এসব গোডাউন থেকে চাল ছাড়তে শুরু করে আশেপাশের এলাকায়। সমস্যা মিটে যেতো যদি সেকানকার স্থানীয় সরকার বা কৃষি অফিসারের কাছে সেই ইনফোরমেশন গুলো থাকতো। কিন্তু মধ্যসত্বভোগী দালাল ফড়িয়া, সংবাদপত্রের ওপর নিয়ন্ত্রনারোপ এবং অসময়ে বন্যা কারনে তার ব্যাঘাত ঘটে।
ধরা যাক কুস্টিয়ার গোডাউনে উদ্বৃত্ত চাল আছে। চট্টগ্রামে অনুদানের খাদ্য বন্দরে নামার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ময়মনসিংহের কেউ জানে না যে এত চাল পড়ে আছে ওসব এলাকায়। ফলে অর্থনীতির মৌলিক সুত্র ধরে সেখানকার স্থানীয় বাজারে চালের দাম আকাশ ছোয়া। তার মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী দালান এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সে সুযোগ পূর্ন কাজে লাগায় মজুতদারী করে।

পরিনামে শুরু হয় ভয়াবহ কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্র জানে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য আছে কিন্তু স্থানীয় সরকারের চোর বাটপার এবং অযোগ্য আমলার সুবাদে তারা সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়নি। তখন একে একে প্রশাসনিক সিস্টেম ব্যার্থ হয় সেই দুর্ভিক্ষ এড়াতে। আর জন গন যখন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন স্বভাবতই অর্থনীতির চাকা থমকে দাড়াবে। সেক্ষেত্রে চীন আর সৌদী আরবের বদান্যতায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের পদ পাওয়া আটকে যায় এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের করুন অবস্থা জানানোর ক্ষমতাটা পর্যন্ত থাকে না।

বাকশালের নামে সরকার সংবাদপত্রগুলোর টুটি চেপে ধরলে তখন মানুষ বিশ্বাস শুরু করতে থাকে গুজবকে। যেটা আমরা এখন দেখি বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদের ক্ষেত্রে। আমর্ত্য সেন এই কথাগুলোই তার বইতে খুব স্পস্ট ভাবে দেখিয়েছেন এবং দুর্ভিক্ষের প্রধান কারন ছিলো স্থানীর সরকারের দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়ার্তুমি ও ব্যার্থতা।

একটা জিনিস আশ্চর্য্য লাগে ততকালীন সরকারের এসব যৌক্তিক সমালোচনা করাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কারন তিনি এখন জাতীর পিতা। তাহলে অমর্ত্য সেনকে কি জেলে ভরা হবে?সুত্র তার এই বই।

৩.

হেলেনিস্টিক সময়ের রাজা অরেলিয়াস মনে করতেন জীবনে উথ্থান পতন থাকবেই তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। বৈরাগ্যবাদ অনুসারে, এমন নয় যে পৃথিবীতে কখনো দুর্ভিক্ষ , জ্বরা, দুর্যোগ ঘটেনি। নির্দিস্ট সময় পর পর এসব বার বার ঘটেছে। আমরা সেগুলো পার করে আসছি। এখন যে দুর্যোগ ঘটছে, তাতে আমি যেমন কস্ট পাচ্ছি, আমার প্রতিবেশীও একই পরিমান কস্টে আছে। এমনকি দেশের আরেক কোনায় অমুক ব্যাক্তিও সেই কস্ট করছে। এই পরিনতি আমরা এড়াতে পারবো না। এখন যে জিনিসটা অবশ্যম্ভাবী সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা, ক্রোধ পাগলামী করলে নিজের মানসিক শারীরিক ক্ষতিই হবে।

অরেলিয়াস বৈরাগ্যবাদে এমন পরিস্থিতিতে মেডিটেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আবার এটাও বলে মানুষের দোষ না ধরে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরী করায় মনোযোগী হতে।

বৈরাগ্যবাদের আরেক দার্শনিক সেনেকা তার এক চিঠিতে সন্তান হারা মা কে এই কথা বলে সান্তনা দিয়েছিলেন, ধরুন আপনার সন্তান জীবিত এবং সে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত হলে। দেখা গেলো দেশের টানে ও পারিবারিক স্বচ্ছলতার জন্য যুদ্ধে নাম লেখালো এবং সেখানে গিয়ে হাত বা পা হারালো বা নির্মম আঘাতে ধুকতে ধুকতে মারা গেলো। বেচে থাকাটাই তার জন্য কস্টকর হয়ে যেতো। সুস্থ থাকলে যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো, ক্ষেত্র বিশেষে সে নিমর্ম নিষ্ঠুর বা পাগল হয়ে যেতো। অথবা কোনো এক মহামারীর আক্রমনে সন্তানটি ধুকতে ধুকতে মারা গেলো তৃষ্ণার্ত পিপাষায় এবং সে মৃত্যু আরো বেদনাদায়ক হতো। অথবা কোনো দুর্ঘটনায় জীবন্ত আগুনে জ্বলে মারা গেলো। যদি তাও না হতো তাহলে এক দিন না একদিন তাকেও মৃত্যুবরন করতে হতো। যেটা অবশ্যাম্ভাবি সেটা দ্রুত ঘটে গেলে সেখানে আটকে গেলে কিভাবে হবে! বরংচ তাকে স্মরনীয় এবং তার স্মৃতিগুলো বহন করার জন্য আপনাকে বেচে থাকতে হবে। সে যেনো আপনার মাঝে বেচে থাকে সেই চেস্টা করতে হবে। আপনি নতুনভাবে জীবন শুরু করুন। যদি ঘর আলো করে নতুন কেউ আসে তাহলে তার মধ্যে আপনার সেই মৃত সন্তানের স্মৃতি ছড়িয়ে দিন। দেখবেন তখন জীবনের মানে দারুন ভাবে পাল্টাবে এবং আপনি মানসিক শান্তি পাবেন।

জীবনের অর্থ নিহিত আছে প্রজ্ঞায় এবং যুক্তিবোধে সেটা সম্রাট অরেলিয়াসের শিক্ষক যিনি কিনা একজন কালো দাস ছিলেন, এপিকটিটাস ছিলো যার নাম, তার কাছ থেকেই জানতে পারি। বৈরাগ্যবাদের এই তিন স্রস্টার বানীগুলো একবিংশ শতাব্দিতেও সমান ভাবে কার্যকর সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

৪.
নীশের জারাথুস্ত্রা ছিলেন সুপারম্যানের প্রতীক। আমরা হয়তো মনে করবো সুপার ম্যান মানেই ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন কেউ যার গতি হবে আলোর মতো, শক্তি হবে অসীম এবং দৃষ্টি দিয়ে ভস্ম করে ফেলবে জগতে সব কালো অন্যায়। না, নিশের জারাথুস্ত্রা ছিলেন সাধারন একজন মানুষ যিনি কিনা দীর্ঘ ২২ বছর ধ্যান করে মানবিক সুপারম্যান হবার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছিলেন। যদিও তার এই কথাটি শুনে বনের মাঝে নির্জনে বাস করা বৃদ্ধা বলেছিলেন এই চিন্তাধারা তাকে হাস্যরসের বস্তুতে পরিনত করবে। জারাথুস্ত্রা তাতে দমে যাননি।

শহরের কেন্দ্রে যখন সবাই দড়ির ওপর মানুষের হাটার কৌশল দেখে আবিভূত হচ্ছিলো, তখন তিনি এক কোনায় দাড়িয়ে জারাথুস্ত্রানামা শুরু করেন।
বিবর্তনের ধারা এখনো শেষ হয়নি। তবে এটা সত্য বর্তমান মানুষ পূর্ববর্তী মানুষের থেকে অনেক উন্নততর। নীশে জারাথুস্ত্রা অমনিবাস লেখার সময় ভেবেছিলেন সে এমন কিছু মানুষের রেফারেন্স ধরবেন যারা নিজেদের মোরালিটি এবং ভ্যালু নির্ধারনে স্বাধীন হবে। কে কি ভাবলো তা নিয়ে না ভেবে যেটা সঠিক এবং প্রজ্ঞাময় ও প্রভাবহীন তাই সে গ্রহন ও ধারন করবে। সুপার ম্যান নিজের কৌশলগত স্বার্থ বা ভ্যালুর জন্য শক্তির প্রয়োগে দ্বিধান্বিত হয় না, তার জারাথুস্ত্রা সেটা করবেন না। বরংচ সে নিজে কস্ট বরন করবেন। অন্যের উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত না হয়ে খুশী হবেন, তার স হযোগী হবেন। শারীরিক দিক থেকে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হবার পর দুর্বলের প্রতি স হমর্মিতা এবং সহযোগিতার হাত বাড়াবেন। সেক্সের ক্ষেত্রে তিনি ক্ষানিক দুর্বল হবেন তবে তা শুধু মাত্র ভঙ্গিতে। নিজের রতিসুখের চাইতে মনোযোগী হবেন তার সঙ্গিনীর রতিসুখে। নিজের গুনে অহংকারী না হয়ে বরংচ সদাপ্রসন্ন থাকবেন এবং সমাজের উন্নয়নে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন।

নীশের সুপারম্যান হবার লিস্টি ছিলো বেশ হাস্যকর। যিনি কিনা সবার প্রতি মনোযোগী, সমাজ সেবক, বৈরীতায় প্রজ্ঞার আশ্রয় নেবে। মানবসমাজের মুক্তি তিনি বিজ্ঞানে না খুজে বরং নিজের সংস্কৃতি এবং মহত্বর গুনাবলীর মাঝে খুজে নেবেন। জারাথুস্ত্রার এমন বানী শুনে সবাই হেসেছিলো, কেউ কেউ কৌতুক করছিলো কিন্তু যখন তিনি তার প্রভাব সম্পর্কে বর্ননা করলেন, সমাজে কি হতে পারে। সেটা দ্ব্যার্থহীন ভাবে উল্লেখ করলে দড়ি হাটা মানুষের কসরত থেকে মুখ ফিরিয়ে তাকে ঘিরে ভীড় বাড়তে থাকলো।

আমাদের সমাজে এমন জরাস্থুস্ত্রা হয়তো আছেন। পিটার সিঙ্গারের উল্লেখিত দুর্যোগকালীন মোরালিটিতে তারা কাজ করছেন নীরবে।

কিন্তু সবকিছুই ভুল হয়ে যাবে যদিনা আমরা একটা শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন করে কল্যানমূলক ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে পারি।

দুর্ভিক্ষ অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। আমরা কি এখনো শিক্ষা নেবো না?

সুত্র:

১) Thus Spoke Zarathustra - Friedrich Nietzsche
২) Famine, Affluence, and Morality - Peter Singe
৩) এক শ বছর পরেও পরিবর্তন নেই- সৈয়দ মকবুল হোসেন প্রথম আলো প্রকাশ কাল: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো একটি লেখা পেলাম।
আবারো পড়তে হবে।

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আর একটা অনুরোধ, সাবধানে থাকবেন পরিবার নিয়ে। কারন ভাইরাসটার মিউটেশন একটু বেশি রহস্যজনক হয়ে গেছে

২| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ প্রমাণ করেছিলো যে, শেখ সাহেব পড়ালেখা করেননি, উনি ছাত্রলীগ করেছিলেন।

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। একটা প্রশ্ন নির্বাচনে যে সরকারি দলের চুরি ডাকাতী সেটা সর্বপ্রথম করে ছিলো ছাত্রলীগ ডাকসুর নির্বাচনে খুব সম্ভবত ১৯৭২-৭৩ এর দিকে। সেসময় কি আপনি এটা প্রত্যক্ষ করেছিলেন? কেন যেন সরাসরি কোনো লেখা বইতে পাচ্ছি না তবে বেশ কিছু বই তে এ ব্যাপারে সূক্ষ্ম ইঙ্গিত আছে। আসলে দেশের মাথা বিক্রি করা বুদ্ধিজীবিরা প্রায় ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯% শতাংশই মাথা বিক্রি করা বুদ্ধিবেশ্যা!

যাই হোউক, মতামত দিলে একটু শিওর হতাম

৩| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। একটা প্রশ্ন নির্বাচনে যে সরকারি দলের চুরি ডাকাতী সেটা সর্বপ্রথম করে ছিলো ছাত্রলীগ ডাকসুর নির্বাচনে খুব সম্ভবত ১৯৭২-৭৩ এর দিকে। "

-১৯৭৩ সালে, দেশে ছিলো শুধু আওয়ামী লীগ ও শুধু ছাত্রলীগ; ঐ সময়ে ওরা ভোট চুরি করবে কোন দু:খে?

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কারন ডাকসুতে ছাত্র ইউনিয়ন সহ বামপন্থিরা বেশ জনপ্রিয় ছিলো। ছাত্রলীগের ততটা ছিলো না। বেশীরভাগের বিরুদ্ধেই চাদাবাজী রক্ষ্মীবাহিনীর নামে কুকর্মের অভিযোগ ছিলো

৪| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যারা ছাত্র রাজনীতি করতো, ওরা মধুর কেন্টিন থেকে গ্রেজুয়েশান করে বের হতো, মাথাটা পরিস্কার থাকতো।

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সেটা এখনো হয়। ভালো যারা তারা দেশের বাইরে যায়। বাকিগুলো বঙ্গবন্ধুর সাইনবোর্ডে দেশ লুট করে।

১০০ ভাগ সহমত

৫| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে এ সব কিছুর মুলে আছে দেশ ভাগ।
দেশভাগ না হলে এরকম হতো না।
যত ঝামেলা ৪৭ এর পর থেকেই।

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ৪৭ এ মিয়া বাহিনী বরিশাল ভোলা চট্টগ্রামে নবী মোহাম্মদকে অনুসরন করে কি করেছিলো এটা জানেন তো? দেশ ভাগে এই নবী মোহাম্মদের ভক্ত আর ভারতের রামভক্তদেরও কিঞ্চিৎ অবদান আছে

৬| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " কারন ডাকসুতে ছাত্র ইউনিয়ন সহ বামপন্থিরা বেশ জনপ্রিয় ছিলো। ছাত্রলীগের ততটা ছিলো না। বেশীরভাগের বিরুদ্ধেই চাদাবাজী রক্ষ্মীবাহিনীর নামে কুকর্মের অভিযোগ ছিলো "

-তা ঠিক, তখন হারমোনিয়াম পার্টি বেশ জনপ্রিয় ছিলো; তবে, সংখ্যায় তারা কম ছিলো। আমি ১৯৭৩ সালে ঢাকায় ছিলাম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হারমোনিয়াম পার্টি থেকে সভাপতি ও ছাত্রলীগ থেকে সেক্রেটারী হয়েছিলো; শেখ কামাল মেডিক্যাল কলেজের হোষ্টলে আড্ডা দিতো; সেখানে ভোট চুরি হয়নি। ইউনিভার্সিটিতে ভোট চুরির কথা শুনিনি।

২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে হয়তো ধারনা ভুল হতে পারে। বিরোধীরা অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে জোর করে বলে কিন্তু সরাসরি লেখা কোনো ডকুমেন্ট বা পেপার কাটিং আছে বলে মনে হয় না। আপনারা সে সময়কার মানুষ। তাই আপনারা যা বলবেন তাই মেনে নিতে হবে। ডকুমেন্টে এত কিছু স্পস্ট লেখা পাওয়া আমার জন্য বিদেশ থেকে জোগাড় করা কস্টকর

৭| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " তাহলে হয়তো ধারনা ভুল হতে পারে। বিরোধীরা অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে জোর করে বলে কিন্তু সরাসরি লেখা কোনো ডকুমেন্ট বা পেপার কাটিং আছে বলে মনে হয় না। "

-শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, শেখ সাহেব ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের বিপক্ষে ভংকর অপপ্রচারণা চালায় পরাজিত জামাত, মিলিটারী, পাকী আইএসআই ও বৃহত্তর পাকিস্তানে বিশ্বাসীরা। আওয়ামী লীগে বুদ্ধিমান মানুষ ছিলো না; কিন্তু ওরাই বাংগালীদের পক্ষে ছিলো।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স্বাধীনতার অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম। এরকম একটা অশিক্ষিত খেটে খাওয়া জাতিকে যুদ্ধ করিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা একটা অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। এই মানুষটির যাদু ক্যারিশমা যাই বলি না কেন তার মুখের কথাতেই হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে নিজের জীবন দিছে এবং এর ফলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যখনই পাকিস্তানের দিকে তাকাই বলতে পারেন নিজের অজান্তেই বঙ্গবন্ধু আর সেই সব বীর শহীদের কথা মনে পড়ে নইলে এই দেশটা আরও করুন পরিনতির দিকে ধাবিত হতো।

স্বাধীন পরবর্তী তার দলের ব্যার্থত এবং তার কিছু ভুলের কারনে (লীগের পাড় চামচা বুদ্ধিজীবিরা দেশ গঠনের চাইতে এই ভুলগুলোর অজুহাত খোঁজার পেছনেই বেশী সময় ব্যায় করেন) একটা দুর্ভিক্ষ ও ফলশ্রুতিতে তাকে মরতে হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার তার পরিবারের নামে যে গুজব গুলো ছড়ানো হইছে সেটার ব্যাকগ্রাউন্ড নিজেই সৃস্টি করেছিলেন সংবাদ পত্রের টুটি চেপে ধরে। অথচ মিডিয়াতে যেসব কুকর্ম চলছিলো সেসব দূর করার জন্য আরো ভালো কিছু করা যেতো। আর যখনি আপনি সংবাদ পত্রের টুটি চেপে ধরবেন তখন গুজব শাসন করবে যার বাস্তব উদাহারন বর্তমান বাংলাদেশ।

এছাড়া পরবর্তীতে লীগের বিতর্কিত অনেক কারনে জনগন আক্রোশে বঙ্গবন্ধুকে গালি দেয় সেটাও একটা সেন্টিমেন্ট। লীগের সুযোগ ছিলো ভালো কিছু করার। অন্তত একটা সেক্টর (শিক্ষা অথবা স্বাস্হ্য অথবা নিরাপত্তা) এরা শক্তিশালী করতে পারতো। যে অর্থনীতি নিয়ে এত দম্ভ ছিলো সেটাও ফাঁকা বুলি বৈ কিছুই নয়।

ভাবতে অবাক ব্লগে নীলআকাশের মতো জামাতী(ব্লগার সুপারডুপার অনুসারে) আজকে ব্লগে সিন্ডিকেট বানায় এবং ইনিয়ে বিনিয়ে কতকিছুই হালাল করে। লাদেনের পক্ষে পোস্ট দেয়।

আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধু নিয়ে যৌক্তিক সমালোচনাগুলোকে স্বাগত জানালে অনেক গবেষনা হতে পারতো, মানুষ ভালো মন্দ জানতে ও বুঝতে পারতো। আমাদের জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে যখন তারই সৃস্ট দলের কুকর্মের কারনে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তখন অটোমেটিক্যালি মুক্তিযাদ্ধা সহীদ বুদ্ধিজীবিদেরও মাথা হেট হয়ে যায়।

মন্তব্যের জন্য ধনযবাদ

৮| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: সবকিছুই ভুল হয়ে যাবে যদিনা আমরা একটা শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন করে কল্যানমূলক ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে পারি।
কিভাবে করা যাবে সেটার রোডম্যাপ দরকার,অতি দ্রুত দরকার।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশে নীতিমালা আর রোডম্যাপ মুড়ি মাথা যে কাগজে দেয়া হয় তার চেয়েও সস্তা। এসব এতটাই মূল্যহীন যে এগুলো কেও পড়ে দেখেনা। ইমপ্লিমেন্ট তো বহু দূর কি বাত

৯| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে নিয়মিত ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।
আমি রাজনৈতিক লেখা ও মন্তব্য থেকে অবসর নিয়েছি। একটি প্রবাদ আছে যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন! - বাংলার মাটি তেমনি এক লঙ্কা। আমার কেনো জানি মনে হয় আপনি সম্ভবত ভালো রান্না জানেন। সম্ভব হলে ব্লগে শেয়ার করতে পারে আপনার কিছু অভিজ্ঞতা।

ঈদ মোবারক।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য


ঈদ মরাবক্স

১০| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
করোনা ভাইরাস নিয়ে আসলেই বড় বিপদে আছি।

ঘরবন্দি জীবন আর কত ভালো লাগে ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখন তো বেঁচে থাকাই একটা বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানেই থাকেন সুস্থ থাকুন

১১| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " স্বাধীনতার অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম। এরকম একটা অশিক্ষিত খেটে খাওয়া জাতিকে যুদ্ধ করিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা একটা অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। "

-আসলে, ব্যাপারটা উল্টো: মানুষ উনার থেকে বেশী প্রগ্রেসিভ ছিলেন ও বেশী ঐক্যবদ্ধ ছিলেন; মানুষের দরকার ছিলো একটি রাজনৈতিক দল, যা মানুষের সাথে মিল রেখে দ্রুত চলতে পারতো। মানুষ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে যা জেনেছিলেন, সেটা মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা ও ছোটখাট বামপন্হী নেতাদের থেকে। শেখ সাহবের কাজ ছিলো মানুষের কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়া।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে তো দেখা যাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর অবদান কমে যাচ্ছে। কারন যুদ্ধে আদতে কাকে তেমন কিছু হারাতে হয় নি যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন!

তাহলে যুদ্ধে তার যে অবদান আছে সেটাকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেন?

আপনি হয়তো জানেন স্বাধীনতার অনেক পরেই আমার জন্ম তাই সেসময়কার ইতিহাস জানতে আমাকে বই ডকুমেন্টসের আশ্রয় নিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমার তিন মামা মুক্তিযাদ্ধা ছিলেন এবং তারা পরবর্তীতে সবাই বিএনপিতে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধুর ওপর রূষ্ঠ হয়ে।

আপনার কথাতে আমি তাদের কথার ছায়া পাচ্ছি। একটু ডিটেইলস বললে আপনার ন্যারেটিভ বুঝতে সুবিধা হতো।

১২| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৫

নতুন বলেছেন: দেশের এতো জনসংখ্যা একটা বড় সমস্যা। তার উপরে বড় একটা জনগোস্ঠি আছে যারা সচেতন না।

কথায়ই তো আছে ১ মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায় ১০ মুখ ছাইদিয়েও ভরা যায় না। :(

আর দূনিতি তো আমাদের জাতীয় বৈশিস্ট হয়ে গেছেই।



২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু জঙ্গি ধর্মে বিশ্বাসীরা এটা মানেন না। আপনার মনে আছে কিনা জানি না বাটপার চরমোনাই এর সাগরেদ শাইয়ান ও শিশুকামী টারজান০০৭(এই ব্লগার নিজে উদ্যোত স্প্রে আমার পোস্টে এসে বলে গেছেন তিনি বাল্যূিবাহ সমর্থন করেন) ব্লগে পোস্ট লিখেছিলো যে অতিরিক্ত জনসংখ্যা নাকি আশীর্বাদ স্বরুপ এবং জাপানের মানুষ সুইসাইড খায়, রাতে ঘুমায় না এজন্য নাকি বাংলাদেশের জনসংখ্যা জাস্টিফাইড এরকম আজব জঙ্গিবাদী কথা লিখে পোস্ট লিখেছিলো।

এবং ব্লগের অনেক জঙ্গি অনুসারী সে পোস্টে তাসবীহ জপেছিলো।

জানি না ক্লাস নাইন টেনে সমাজ বিজ্ঞান বইটি ঠিক মতো পড়েছিল কিনা।

কই থিকা পাশ দিছে এসব ছাগল মাঝে মাঝে জানতে মুঞ্চায়

১৩| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩০

সুপারডুপার বলেছেন:



অনেকগুলো শুক্রাণুগুলো মধ্যে একটি Survival of the fittest - পাস করে আমাদের জন্ম হয়। জন্মের পরে থেকে যা হয়ে এসেছে তাও একই। প্রকৃতিতেও আমরা কোকিলের জন্মে পরিষ্কার ভাবে Survival of the fittest দেখতে পাই ( ইউটিউব : কোকিল পাখির নিখুঁত চুরি ) । প্রকৃতি কিন্তু এখনও বর্বর কোকিলদের টিকে রাখছে, দুর্নীতিবাজদেরও টিকিয়ে রাখবে। কারণ আমরা যেভাবে ভালো - মন্দ বিচার করি , প্রকৃতি ঐভাবে ভালো - মন্দ বিচার করে না। মেনে নিতে কষ্ট হলেও প্রকৃতির অনেক বিচারই Survival of the fittest দিয়ে। আগত দুর্ভিক্ষেও তাই হবে। অথবা আল্লার নির্দেশে মিকাঈলও আম্ফান ঝড় বৃষ্টি তুফান ও আজরাইল করানো ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করে করে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে। মানে সব দোষ ঐ আল্লার, কিন্তু এটা বলা যাবে না। বললে ঈমানের ক্ষতি হবে।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আল্লাহ মিখাইল মাইকেল এসবের কথা বলে বলে সোনার বাংলা আজ পিতলে পরিনত হয়েছে।

এত মানুষ না খেয়ে মরে, মাথায় ছাদ নেই অথচ ঢাকা শহরে যত মসজিদ আছে সেখানে এদের থাকতে দেয়া হলে এদের থাকার কস্ট মিটতো। এই ধর্ম দিয়া কি করবো যখন সামর্থ থাকা সত্বেও এই গরীব মানুষদের উপকার করতে পারে না। এত বড় বড় কথা বললো মোল্লারা অথচ জানোয়ারগুলো কার কার জানাযা দিলো জানা গেলো না। যেই আন্জুমানে মফিদুল সবার নাশ টানছে তার অর্থের যোগান দাতা জেএমবি এই হলো এর প্রমান

বরংচ শিশুকামী ডাকাতের হাদিসে পরস্পরবিরোধী কথায় পূর্ন কখনো বলা মহামারীতে মরলে শহীদ। উটের হইলে উট সরাও। যে এলাকা হইছে সেখানে যাইও না। বলি সেবা করবে কে! কালিজিরা উস্টমুত্র দিয়া কত ওষুধের কথা বললো অথচ নিজের পেটে বিষ ঢুকলে সেটা বাঁচাতে পারে নাই।

একটা ক্ষতিকারক অকেজো ধর্ম এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্য এত এত মসজিদ না বা বানিয়ে কত গরীব পরিবারের ঘর হতো সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। রাতের বেলা এসব ঘর খালি পড়ে থাকে অথচ গরীব মানুষ রাস্তায় কুকুরের সাথে ঘুমায়।

তারপরও মানুষের বিবেক নাই।

কি আর বলবো শুধু ধিক্কার দেয়া ছাড়া

১৪| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,



খাদ্যের অপ্রতুলতাই শুধু দুর্ভিক্ষ ডেকে আনেনা , খাদ্য অব্যবস্থাপনাই প্রায় সকল দুর্ভিক্ষের জন্যে দায়ী। আর সুষ্ঠ খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্যে চাই দায়িত্বশীল, ভবিষ্যতদ্রষ্টা একটি কর্মঠ সরকার। অমর্ত্য সেনের ভাষাও গুনগত ভাবে তাই-ই। সেটাই নিশ্চিত করে সংবাদ প্রবাহের স্বাধীনতা, বিবেচক বিরোধীদল।
আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সেই বৃটিশ হালেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝেই আছে, তা থেকে ভালো কিছু আশা করা বৃথাই।

নীট্‌শের জরথুস্ত্র পূর্ণতা পেতে চেয়েছেন- দুঃখে। তাই হয়তো বলেছেন, আপন দুঃখ বেদনা থেকে নিজ সৃষ্টিকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে নির্বিকার রাখার মধ্যে দুঃখি জীবনের জন্যে রয়েছে এক তীব্র মাদকতা । ঝোলানো দড়িতে হেটে যাওয়া মানুষ দেখে তাঁরও মনে হয়েছে - হায়রে! মানুষও তো একটা দড়ি, দড়ি বিস্তৃত রয়েছে দু'টি প্রান্তে। দড়ির একপ্রান্তে মানুষ, অন্যপ্রান্তে মহামানুষ। এই ঝোলানো দড়ির নীচেই রয়েছে ভয়াবহ গহ্বর।

করোনার সৃষ্ট আগামী পৃথিবী, অনাগত দুর্ভিক্ষের কতোটুকু শংকা নিয়ে আসবে কে জানে! এই কঠিন সময়ে আমরাও যেন সেই ভয়ঙ্কর গহ্বরের উপরে ঝোলানো দড়িতে হেটে যাচ্ছি। তবুও হেটে যেতে যেতে সুকান্তের মতোই বলি ---
"তবুও নিশ্চিত উপবাস
আমার মনের প্রান্তে নিয়ত ছড়ায় দীর্ঘশ্বাস-
আমি এক দুর্ভিক্ষের কবি,
প্রত্যহ দুঃস্বপ্ন দেখি, মৃত্যুর সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি!”

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৫| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: বাংলাদেশে নীতিমালা আর রোডম্যাপ মুড়ি মাথা যে কাগজে দেয়া হয় তার চেয়েও সস্তা। এসব এতটাই মূল্যহীন যে এগুলো কেও পড়ে দেখেনা। ইমপ্লিমেন্ট তো বহু দূর কি বাত
প্র্যাকটিক্যাল প্র‌য়োগ কিভাবে করা যায় সেটা বের করা দরকার। খাতা-কলমের চেতনা আর বড় বড় কথাতো কম মানুষ বলে নাই, সেটা গাছের উপরে রোদের মত কিন্তু গোড়াতে পানিতো দেওয়া লাগবে। রুট লেভেলের মানুষদের কিভাবে উপরে তোলা যায়।
This is just another problem that needs solving.

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সোল্ডার জন্য যোগ্য মানুষকে দায়িত্ব দিতে হবে। এবং যোগ্য মানুষকে দায়িত্ব দিতে হলে সেরকম সরকার প্রয়োজন এবং আপনি আমি ভালোই জানি সেরকম সরকারের জন্য আরেকটা ১৯৭১ এর মতো যুদ্ধে নামতে হবে।

১৬| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " তাহলে তো দেখা যাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর অবদান কমে যাচ্ছে। কারন যুদ্ধে আদতে কাকে তেমন কিছু হারাতে হয় নি যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন! "

-যুদ্ধ করেছেন সাধারণ ও গরীব মানুষেরা; ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্টের লোকেরাও ছিলেন দরিদ্র; কোন অফিসার, কোন শিক্ষক, কোন ব্যবসায়ী, কোন চাকুরীজীবি যুদ্ধে যায়নি।নিশ্চয় শুনেছেন, বুদ্ধিজীবিদের বাড়ী কিংবা কাজের যায়গা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, যুদ্ধ উনারা কাজ করছিলেন, বাড়ীতে ছিলেন।
শেখ সাহেব পাকিস্তান থেকে ফিরে এমনভাবে কথা বলেছেন, মনে হচ্ছিল, উনার কারণে পাকীরা আত্মসমর্পণ করেছিলো; মানুষের ৯ মাসের অবদান, স্বজন হারানোর কষ্ট, বাড়ীঘর হারানোর ব্যথা, এতিমদের মা-বাবা হারানোর ব্যথা, উনি ১ পয়সা পরিমাণও অনুধাবন করেছিলেন বলে মনে হয়নি।

তবে, বিএনপি'তে যারা গেছে, তারা বুদ্ধিমানের পরিচয় দেয়নি; বিএনপি ছিলো ঢাকা কেন্টনমেন্টের ও পাকী মিলিটারীর দল।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিএনপির ব্যাপারে আপনার অবজার্ভেশন আমি একমত। তাই। মামাদের সাথে আমার খুব একটা বনতো না।

তবে আপনার অবজার্ভেশন শুনে আশ্চর্য হলাম।

তারপরও বঙ্গবন্ধুর অবদান খাটো করবো না। তবে এটাও পছন্দ করি না যে বঙ্গবন্ধুকে এখন যেমন নবী মোহাম্মদের কাতারে রেখে সবকিছুর ইনডেমনিটি দিয়ে বাধ্য করা হয় সবাইকে পূজো করতে।

এটা একটু অতিরিক্ত আদিখ্যেতা বৈকি

১৭| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাকশাল যুগে সরকারের সংবাদপত্রগুলোর টুটি চেপে ধরার প্রসংগে -

দেশ স্বাধীন হওয়ার উনপঞ্চাশ বছরের বাকশাল বহাল ছিল মাত্র ৬ মাসের মত, আর সংবাদপত্রের টুটি চাপা ৫ মাসের মত।
একটি সিষ্টেম সফল না বিফল এত অল্প সময়ে মুল্যায়ন করার মত না। কিন্তু এই ব্যাপারটাকে উদাহরন বার বার বিভিন্ন প্রসঙ্গে উঠে আসে।
অতচ সেই সময়টায় ভারত সহ বিভিন্ন দেশেও জরুরি অবস্থা জারি করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছিল।
সেই সময়টায় এশীয়া আফ্রিকা মধ্যপ্রাচ্য ল্যাটিন আমেরিকা কোথাও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না।।

২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ৬ মাসের মতো কি বলেন। আমি যতদিন জানি লীগ তাদের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে বাকশালের বিলুপ্তি ঘটায় ১৯৯১ সালে। তোফায়েল মনে হয় তার শেষ আহ্বায়ক না সভাপতি ছিলো তার।

মিথ্যা হলে শুধরে দিন

১৮| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান বাকশালের নবরূপ। অতীত নিয়ে বলে কি লাভ বর্তমানে কি ঠিক চলছে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১৯| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ৪৭ এ মিয়া বাহিনী বরিশাল ভোলা চট্টগ্রামে নবী মোহাম্মদকে অনুসরন করে কি করেছিলো এটা জানেন তো? দেশ ভাগে এই নবী মোহাম্মদের ভক্ত আর ভারতের রামভক্তদেরও কিঞ্চিৎ অবদান আছে

তর্কে যাবো না। ৪৭ নিয়ে আরো জানতে হবে। বুঝতে হবে। প্রচুর পড়তে হবে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখান থেকে শুরু করতে পারেন

প্রাথমিক ধারনার জন্য এটা একটা ভালো প্রবন্ধ হতে পারে

বিস্তারিত নিয়ে পরে না হয় নিজেই পোস্ট দিলেন।

২০| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উপর আস্থাহীনতা এতটা চরম অবস্থায় পৌঁছেছে যে প্রতি জেলাতে আমলাদের তদারকির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত দুর্ভিক্ষের কোনো সাইন না থাকলেও আমপানের কারণে ফসলের ক্ষতির উপর ও এর বিলিবন্টনের উপর নির্ভর করবে।

সরকারের নীতিনির্ধারকেরা ৭১ পরবর্তী ইতিহাসকে স্মরণ রেখে নিশ্চয় পরিকল্পনা করছেন এর থেকে বের হওয়ার। কতটুকু কাজ দেয় এখন সেটাই দেখার বিষয়। চারপাশে বোয়াল মাছেরা হাঁ করে আছে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই ভিডিওটি দেখে পোস্ট টি লিখেছিলাম

২১| ২৫ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছে ছিলো একদিন এই অঞ্চল ব্রিটেনের মতো গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় নিজেদের ভাগ্যন্নয়ন করে উন্নত জাতীতে ( আবারো জাতি বানান ভুল) পরিণত হবে- এজন্যই ভারতের বিভিন্ন খাবার দোকানে আর চট্রগ্রামের ইউরোপীয়ান ক্লাবে যেটাতে প্রীতিলতা আক্রমণ করেছিলেন) লিখে রেখেছিলো,কুকুর আর ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ !!!!

এ্যামেরিকা,ক্যানাডা,অষ্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ডের মতো আদিবাসীদের নির্বংশ করে নিজেরা বসবাস করা দেশ ছাড়া বৃটিশরা এশিয়া, আফ্রিকা বা পৃথিবীর কোন দেশকে কবে উন্নত করেছে গণহত্যা,লুপটপাট আর সন্ত্রাস চালানো ছাড়া?
এই জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে ব্লগ লেখা !!!

ভালো ভালো !!!!
আরেক চাদগাজি পাওয়া গেছে যে সুইডেনে বসে বৃৃটেনের ... করে।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তখন ভার্সিটিতে পড়তাম। রোজার সময় ক্লাশ চলছিলো। সেট স্কেল কেনার জন্য শহরে গেলে দেখি একটা রেস্টুরেন্টের সামনে কালো কাপড় টাঙ্গিয়ে লেখা ইহা হিন্দুর দোকান। পাশ করার পর একদিন শুনি হিন্দুদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য তারা শাসিয়ে গেছে। কয়েকবছর আগে সাঁওতালদের বাস্তুচ্ছেদ করার জন্য পুলিশরা ঘরে আগুন দেয়। নবী মোহাম্মদ যুল খালাসাতে যেভাবে প্যাগানদের মন্দির ভেঙ্গেছিলো ঠিক সেভাবে দেশের আনাচে কানাচে মসজিদে মাইকিং করে বৌদ্ধ, হিন্দুদের মন্দির মূর্তি ধ্বংস করে সুন্নত পালন করে। ধিম্মিদের অধিকার বলে কথা, জিযিয়া কর দেয় না, এত অধিকার কিসের!!

তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে কল্পনার লাশ এখনো কেও খুঁজে পায়নি। আলেক্সান্ডার নিজের ভাইয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চাইছিলো। পরে শুনছিলাম তার লাশ কবর দেয়ার উপযুক্ত ছিলো না। সবচে বড় গনহত্যা ছিলো রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে, প্রেসিডন্ট জিয়া নিজের তত্বাবধানে সে ব্রাশ ফায়ার করতে বলেছিলেন। তবে হ্যা, তখনকার সাংবাদিকরা সেটা রিপোর্ট করেননি, অসম সাহসী বলে কথা।

আর আমার কি জ্ঞান বুদ্ধি আছে! তুমি গুরু মানুষ, ৯১ ব্যাচ। বাংলাদেশে একমাত্র পাহাড় জয়কারী অনল। তুমি হইলা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী

২২| ২৫ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


আমাদের দুর্ভিক্ষ নিয়ে মুল্যবান তথ্যবহুল লেখা ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈদ মরাবক্স...


আপনারেও শুভেচ্ছা

২৩| ২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি কি অরেলিয়াস আর মেডিটেশন দ্বারা এখন কিছুটা প্রভাবিত? নৈতিকতার যে অবস্থা আর প্রশাসনের লোকদের ( আগের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড যাই থাকুক, সিভিল সার্ভিসের সব জায়গায় নাক ও ছড়ি ঘুরানো ব্রিটিশ ক্যাডার সিস্টেমে যোগ দিয়ে) যে দম্ভ ও সুপ্রিমিসি মনোভাব তাতে আগামী একশ বছরেও কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।

ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন। ঈদ মোবারক।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মেডিটেশনে আমি আস্থা রাখি না একারনে যে এটা করার মতো ধৈর্য এবং সময় কোনোটাই নাই আর আমি বযাক্তি গত ভাবে মনে করি টেনশন দুঃখ কস্টের মতো আবেগের যৌক্তিক কারন আছে। যেহেতু যৌক্তিক কারন আছে সেহেতু আমি সেসব যৌক্তিক ভাবে ট্রিট করে। ব্যার্থ হলে মেনে নেই এবং স্বাভাবিকভাবে অন্য ৮-১০ জন মানুষের যা হবে আমারও তাই হবে বলে এগিয়ে যাই। আমার স্টয়িসিজম বলতে এটুকুই।

আপনাকেও ঈদ মরাবক্স

ভালো থাকবেন

২৪| ২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র না করে ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্র করা যেতে পারতো।
সে ক্ষেত্রে ভারত ভেঙ্গে হয়তো অনেকগুলি রাষ্ট্র হয়ে যেত।
তারপরেও সেটা আমার মনে হয় ভালোই হতো।

২৫ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাতেও কিছু হতো না। সিঙ্গাপুর আমাদের কিছু আগে স্বাধীনতা পেয়েছিলো কিন্তু তাদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। একটি দেশের উন্নতি তাদের আয়তনের ওপর নির্ভর করে না।

দেশ স্বাধীন হবার পর চুরি বাটপারী দুর্নীতি শুধু রাজাকাররাই করেনি। জাসদ, সর্বহারা, লীগ সবাই করেছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে পাড় মুক্তিযাদ্ধা উগ্র জাতীয়তবাদ ও ইজমে বিশ্বাসী ছিলো। আমাদের দেশে যারা পরিচালনা করেছেন তারা অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। শিক্ষিত লোকও ছিলেন। একমাত্র ফখরুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এমন কোনো সরকার পেলাম না যারা সঠিক কাজ টি করেছে। তখন পুলিশ স্টেশনে গেলে বিনা পয়সায় আপনার জিডি লিখতো, এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সেটার মীমাংসা হতো। চাকরী পেতে ঘুষ তো পড়ে আপনি যদি অভিজ্ঞ বা উপযুক্ত হল আপনাকে ডেকে চাকরি দিতো। আমি তখন জামা কাপড় পাল্টানোর মতো চাকরী বদলিয়েছি। রাস্তায় বেরোলে ছিনতাইকারী পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াতো। এখন সেগুলো রূপকথার মতোই মনে হয়।

ভারত কিন্তু ঠিকই মঙ্গলে নভোযান পাঠিয়েছে নিজেদের প্রযুক্তি দিয়ে। তারা পৃথিবীর তিন নম্বর দেশ যারা জিরকন ফুয়েলের রিএযাক্টর বানায় যেটা খুবই নিরাপদ এবং টেকসই। ভারতের এমন অনেক টেক আছে যেগুলো চীনেরও নেই। একটা জাতীর উন্নয়নের জন্য সেদেশের জনগনকে শিক্ষিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ন শ্রেনীবৈষম্য যাদের মধযে তারা অমানুষ হবে তাদেরকে রাশিয়ার মতো একটা মহাদেশ দিলেও তা লাটে উঠাবে।

ধন্যবাদ

২৫| ২৫ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছ।

২৫ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈদ মরাবক্স :D

২৬| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: তখন ভার্সিটিতে পড়তাম। রোজার সময় ক্লাশ চলছিলো। সেট স্কেল কেনার জন্য শহরে গেলে দেখি একটা রেস্টুরেন্টের সামনে কালো কাপড় টাঙ্গিয়ে লেখা ইহা হিন্দুর দোকান। পাশ করার পর একদিন শুনি হিন্দুদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য তারা শাসিয়ে গেছে। কয়েকবছর আগে সাঁওতালদের বাস্তুচ্ছেদ করার জন্য পুলিশরা ঘরে আগুন দেয়। নবী মোহাম্মদ যুল খালাসাতে যেভাবে প্যাগানদের মন্দির ভেঙ্গেছিলো ঠিক সেভাবে দেশের আনাচে কানাচে মসজিদে মাইকিং করে বৌদ্ধ, হিন্দুদের মন্দির মূর্তি ধ্বংস করে সুন্নত পালন করে। ধিম্মিদের অধিকার বলে কথা, জিযিয়া কর দেয় না, এত অধিকার কিসের!!- সুরাং খাবার দোকানে,ক্লাবে অঅল ট্রেনে বৃটিশদের DOGS AND INDIANS ARE NOT ALLOWED রাখাও জায়েজ !!!! এরকম পা চাটা সারমেয়র দল না থাকলে বৃটিশরা ১৯০ বছর এই এলাকা দখল করে রাখতে পারতো না।সিরাজ-টিপুর সাথে যুদ্ধে হেরে বা ১৮৫৭ সালেই পালাতে হতো।
সবচে বড় গনহত্যা ছিলো রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে, প্রেসিডন্ট জিয়া নিজের তত্বাবধানে সে ব্রাশ ফায়ার করতে বলেছিলেন- জিয়া জীবনে একটাই ভারেঅ কাজ করেছে,সেটা হচ্ছে সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীকে বাংলাদেশ ভাঙ্গতে না দেয়া্,যারা সংক্যাগরিষ্ঠ উপজাতিদেরও উপরও অত্যার করে। অঅমি হলে ২০১৯ এও বাংলাদেশী সরকারী কর্মচারী ব্রাশফায়ার করে হত্যার অপরাধে ঢাকাসহ দেশের সব জায়গার উপজাতি সন্ত্রাসীদের নির্বংশ করে দিতাম,যেমন ভারত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের উপর শোধ নিতে সব রাজ্যের নীরিহ কাশ্মিরীদেরও হত্যা করে।
যে ত্রিদিব রায় চক্র ১৯৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে,তারা আবার স্বাধীন বাংলাদেশও ভাঙ্গতে চাওয়ার মতো দু:সাহস আর ধৃষ্টতা দেখায়!!!!
বাংলাদেশে একমাত্র পাহাড় জয়কারী অনল- একথা কবে বলেছি? আমি বাংলাদেশে পাহাড়ে উঠার প্রচলনকারী।
তুমি হইলা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী- সব মিথ্যা অভদ্রতা,বেয়াদবি আর কূৎসার মধ্যে এটাই একমাত্র সত্য। সময়ই এর প্রমাণ দেবে।

হিন্দিতে একটা কথা বলতে হয়,বাপ সে পাঙ্গা লেনে সে প্যাহলে তেরি আওকাত কি আন্দাজা লাগা নালায়েক। তু কেয়া হ্যায় আর তেরি বাপ কেয়া হ্যায়।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে তোমার মতো পাহাড়ে ওঠার প্রচলনকারীর পদচিহ্ন পেয়ে আমার ব্লগ ধন্য। শুধু আমি না, তুমি যে ১৯৯১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিছিলা সেই পুরা ব্যাচ গর্বে ইয়ে হয়ে গেছে। নেট খুঁজতে গিয়ে দেখলাম পাহাড়ে সর্বপ্রথম ওঠেন ধ্রুব জ্যোতি ঘোষ ১৯৬৯ সালে। উনি দার্জিলিং অবস্থিত একটা পাহাড়ে ওঠার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নেন। আরেক প্রথিতযশা মাউন্টেইনারিং শামসুল আলম বাবুর দেয়া তথ্য মতে ১৯৯৮ সালে তারা একটা টিম গঠন করেন। ধ্রুব জ্যোতি ঘোষ, বাবু যে তোমার চ্যালা চামুন্ডা জানতাম না। দেখো এখানেই ডিটেইলস লেখা এইখানে তোমার নাম দেইখা আমার হিস্যু এসে পড়লো। যদিও নিন্দুকেরা তোমার নাম খুঁজে পাবে না, কিন্তু সত্যি বলছি মাইরি তোমার নাম এখানে জ্বল জ্বল করে দেখেই পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না। ছেড়ে দিলুম। গুরু, পদধূলি দেও।

আর যেহেতু চুইঙ্গা পাবলিক হিন্দুকে লাগায় তাই ব্রিটিশদের ইন্ডিয়ান লাগানো জায়েজ সেটা কবে বলছি। বরংচ আমি তোমার ভাষায় বলি এই যে কাশ্মিরীদের এখন যে আদর করতেছে ইন্ডিয়ানরা এটা ব্রিটিশরা ওহী নাযিলের মাধ্যমে জেনেছিলো। আর তাই সেই এডভান্স বাঁশ দিয়ে গেছে। আর যেহেতু ওহীতে লেখা আছে তাই ভারতীয়রা নিরুপায়। তো দাও বাঁশ কাশ্মিরীদের। আর সে একই সিলসিলা পার্বত্য চট্টগ্রামের কল্পনা চাকমা ও আলেক্সান্ডারদের দেয়া উচিত। শুধু কল্পনা না, পাহাড়ি যে কটা মেয়ে আছে.... খালি একবার কও সেনা বাহিনী রেডি। অনেক ব্যাচেলর আছে।

তোমার যুক্তি মেনে নিলুম গুরু। যে বলবা তাতেই সই।

হে মহান পাহাড় ওঠকের প্রচলনকারী। তোমার নাম ইতিহাসের পাতায় এন্টিম্যাটার দিয়ে লেখা হোক।

২৭| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: সারারাত গবেষণা করে ভূয়া নামের ফাজিল বিরাট এনসাইক্লেঅপিডিয়া আবিস্কার করেছে,যেটা রামায়ণ-মহাভাতের মতোই অমৃত সমান সত্য !!!!
কোত্থেকে কোনে ধ্রুব দাস আবিস্কার হয়েছে !!! এরপর হয়তো বলা হবে, ৯৮০ সালে অতীশ দীপংকরই প্রথম বাঙ্গালী,যে এভারেষ্ট চূড়া থেকে লাফ দিয়ে তিব্বতে যান বৌদ্ধধর্ম প্রচার করতে !!!!!!
বাংলাদেশে প্রথম পাহাড়ে উঠার ক্লাব করে এক চক্র ২০০২ সালে। আমার বইটা লেখা হয় ১৯৯৮ এ আর বের হয় ১৯৯৯ এর ফেব্রুয়ারীতে। এতো বছর ওই ধ্রুবর সাঙ্গ-পাঙ্গ কৈলাস পর্বতের চূড়ায় মেনকা,উর্বশী আর রম্ভার ভরত নাট্যম দেখছিলো,তাই আর এভারেষ্টে জয় করা ইচ্ছা হয়নি।
ঈসা,মুসা আমার সামনে এসে বলুক,তারা আমার বই পড়েনি বার এটা পড়ে এভারেষ্ট জয় করতে উৎসাহিত হয়নি।
বইমেলায় আমাকে প্রথম এভারেষ্ট বিজয়ী মনে করে ছেলে-পেলে যখন আমার কাছে পাহাড়ে উঠার কৌশল জানতে চেয়েছিলো,তখন আমিও কিন্ত ৪২০ মুসার মতো নিজেকেে প্রথম এভারেষ্ট জয়ী বলে দাবী করতে পারতাম।

কিন্ত সেটা করিনি।কারণ চুরি-জোচ্চুরী আমার স্বভাবে নাই।

এই ব্লগে কি কোনো নিয়ন্ত্রক নাই যে একটা অসভ্য,ইতর বেয়াদব প্রতিদিন বড়দের তুমি তুমি করে অসন্মান করে যাচ্ছে আর তারা সেটা দেখছে?
মনে হচ্ছে তারাও একই জাতের,না হলে একে নিষিদ্ধ করে না কেনো?

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরে আজকে সূর্য কুন দিকে উঠছে! উত্তর না দক্ষিন! আমার তো আজকা চানরাইত। হাতির ঘরে চিকার পা.. কেমনে কি! আমার তো দিলটাই খোশ হইয়া গেলো, আমার বোলগানীর জীবন ধন্য হইয়া ইয়ে করা অবস্থা! কই যাই!!

কেমন আছো? তোমার আগমনে যে কি খুশিটা না লাগতেছে। তুমি আমার ব্লগে কমেন্ট করছো এইটা তো বান্ধাইয়া রাখনের মতো। তোমার মতো একজন পাহাড় ওঠক অনুপ্রেরনাদানকারী এবং পাহাড় উঠনির সিক্রেট ফাসকারী লিজেন্ডের আগমনে দিলটাই চনমনে হয়ে গেলো। আমার তো মুঞ্চায় প্রেসক্লাবের সামনে বিরানী জুস খেয়ে ১ মিনিটের আমরন অনশন করি “অনলের বাইশে পদক চাই” এই দাবিতে।

তোমারে এই পদক না দেয়া মানে হইলো জাতিরে অপমান। এত বড় জ্ঞানী গুনী একটা জাতির মধ্যে ৫ হাজার সেকেন্ডের মধ্যে কেউ পয়দা হয় না। এমন দুর্লভ বিরল বিলুপ্তপ্রায় ঢোলক প্রতিভা কেমনে কি!!

কুটিকালে শুনতাম কিছু কিছু মানুষের হাতে ঢোল পড়লে রক্ষা নাই, পুরা এলাকার কানের পর্দা বিয়া সিনেমার পর্দার মতো ফাটাইয়া নিজের খবর জানাবে। কিন্তু তুমি তো দেখি নিজেই ডায়মন্ড ব্রান্ডের বেজ ওয়ালা ঢোল।

আমার এখনই ঢোলের দুকান গিয়া ভালো কানের তুলা কিনতে হবে নইলে ....

মাইন্ড খাইও না, মানুষ তো ইয়ার দোস্তের সাথেই জুক করে, বটবৃক্ষের সাথে করে না। তার ওপর

তুমিই মহান

বাকি সব পুলাপান

শইলডা বালানি ??

২৮| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার জন্য অনেক দিন পর ব্লগে লগইন হলাম।
ভাল আছেন নিশ্চয়ই।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কি অবস্থা সেটা বলেন। আমফান, করোনা এখন আবার পঙ্গপাল নাকি আসছে। ঠিক আছেন তো? আমারই উচিত ছিলো আপনার খবর নেয়া। ইদানিং কাজের প্রেসারে কিছুই মনে রাখতে পারি নাই

আপনি এতদিন ছিলেন কই?

২৯| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দুর্ভিক্ষ নিয়ে চমৎকার একটি মূল্যায়ন। নিজ চোখে কখনো এদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা হয়নি। তবে ছোটবেলা গ্রামে অনাহারে-অর্ধাহার অনেক মানুষকে দিনের পর দিন বেঁচে থাকতে দেখেছি। এগুলো এখনো চলছে, তবে কমেছে হয়তো। এগুলোও এক প্রকার দুর্ভিক্ষ। সম্পদের সুষম বন্টন না হওয়া, দুর্নীতি, সরকারের অদূরদর্শিতা এবং প্রকৃতিক বিরূপ পরিবেশ এজন্য দায়ী।

আপনার লেখাগুলো নিয়মিত পড়া হয়। ভালো থাকুন।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্য

৩০| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কঠিন সময় সামনে। জানি না উত্তরণের পথ জানা আছে কি না শীর্ষচারীদের।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কানাডার বেগমপাড়া

৩১| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নতুন নকিব সাহেবের আজকের পোস্টের সূত্র ধরে ঃঃ

নবী সাহেবের লাশ যদি এখনও অবিক্রীত অবস্থায় থাকে তাহলে একবার কবর খুঁড়ে বের করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিলেই তো বিরাট উপকার হয় । সবাই প্রকৃত সত্যটা জানতে পারে।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হাদিসে বর্নিত নবী মোহাম্মদ বিষের সন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলেন তখন তিনি আয়েশাকে বলেছিলেন বিষের কারনেই তার গলার অড়তা বা রগ ছিড়ে যাচ্ছে। এই বিষক্রিয়া তার শরীরে তিন বছর ছিলো এবং এর মধ্যে তার ব্যাক্তিগত ডাক্তার যে কিনা জুন্দিশাপুর থেকে শিক্ষাগ্রহন করেছিলো টার তত্বাবধানে হিজামা, উটের মুত কালিজিরা মধু সবই করছে কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে তার শরীরে গ্যাংগ্রীন হয়ে যায়। এমন অবস্থা যা তার হাগু মুতু বিছানায় করতে হয়। তার শরীর থেকে এমন খারাপ গন্ধ বেরুতো তা থেকেই পর্মান হয় েতার বিভিন্ন অঙ্গের পচনে চরম যন্ত্রনায় ছিলো। এমনকি মরার পর লাশ তিন পর কোনো মতে গোসল করিয়ে আয়েশার ঘরেই কবর দেয়া হয়। তাবারী, িস হাক জ্বালাইলান জাদ আল মাদ স হ ব হু থিওলোজিয়ানের বইতে আছে।

যার লাশ জীবিত অবস্থায় পচন ধরে সেটা কবরে রাখলে কতক্ষন ঠিক থাকবে এটা কমনসেন্স।

তারপরও এমন একটা বর্বর মিথ্যা জঙ্গি মতবাদকে বাচিয়ে রাখটে পরবর্তী আলেম ওলেমা স্কলারগন বাইবেল তোরাহর আরবীতে বিকৃতকরন অনুবাদ করে, অনেক মিথের সৃষ্টি করে। আরেকটা বড় মিথ হলো বাকা থেকে বাক্কা যেটা মুসলমনারা বাক্কা বলে দাবী করে। অথচ ইসরাইলের বাকা সৌদীর মক্কা থেকে অনেক দূর। এমনকি বাইবেল সমসমায়িক টলেমি হিপোক্রিটাসের লেখাতেও মক্কার কোনো বর্ননা নাই।

এই গোজামিল দেবার জন্য মুসলমানরা বাইবেল তোরাহর বিকৃত করে আরবী করে। সেখানে মোহাম্মদের রওজা ঠেকে শুরু করে সে নূরের তৈরী না মাটির এই বাহাসে কে জিতবে তার জন্য নানা গল্প চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু ইতিহাস কখনো মিথ্যা বলে না।

যুক্তি এজন্যই মুসলমানরা বিশ্বাস করে না। তাদের কাছে বিশ্বাস নামের গোয়াড়তুমিই সব। যদি তারা বিশ্বাস নিয়ে গো্যাড়তুমি করে তাহলে আমি যুক্তি নিয়েই গোয়াড়তুমি করবো, আমার কেন দোষ হবে?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

মালয়েশিয়ার অবস্থা শুনলে। ওখানে নাকি অনেক ছাটাই হচ্ছে। অবৈধদের জেলে ভরে রেখে কোরোনায় আক্রান্ত করা হচ্ছে। এমনকি বাসা বাড়ি ভাড়া দিতে মানা করছে। এরা মুসলমান বলেই কি এমন জানোয়ার নাকি মালয়েশিয়ান লোক আগে থেকেই এমন?

পর্তুগাল স হ ইউরোপের অনেক দেশ যাদের ভিসা এক্সপায়ারড এবং দেশে আটকে আছে তাদেরকে চিঠি ইস্যু করছে যাতে তারা পর্তুগাল বা ইউরোপে ঢুকে তাদের ভিসা নবায়ন করতে পারে।

মালয়রা এত হারামী কেন?

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নতুন নকিব কি ইচ্ছে করে এসব মিথ্যা বা মিথের উল্লেখ করে নাকি এটা তার অজ্ঞতা ঠিক বুঝতে পারি না। যাই হোক, কমেন্ট টা এখানে রেখে গেলাম যাতে সরল বিশ্বাসীরা বিভ্রান্ত না হন

নবীর লাশ চুরির গল্পটি প্রথম উল্লেখ করেন নূর আল দ্বিন আলি বিন আলি আহমাদ তার ওয়াফা আল ওয়াফা বি আকবর দার আল মুস্তাফা বইতে। গল্পের সবচে দুর্বল পয়েন্ট হলো ইতিহাসের কোথাও লেখা নেই যে সুলতান নূর জঙ্গি ৫৫৭ হিজরীতে মদিনা সফর করেছিলেন। তাই ঘটনাটি এখনো নিছক গাল গল্প হিসেবেই অনেক ইসলামীক স্কলার মত দেন। একজন সুলতানের প্রাত্যহিক ভ্রমন ও তার সফর নিয়ে আসলে এমন লুকোচুরি করা সম্ভব না। ইতিহাসের কাছে এমন অনেক ধর্মীয় আবেগী গাল গল্প ভুল প্রমানিত হয়েছে।

তবুও ধরে নিলাম আমি মিথ্যা বলছি। সেক্ষেত্রে আপনি প্রমান করতে পারেন সুলতান সাহেব ঐ সময় মদিনা ভ্রমন করেছেন।

নবী মোহাম্মদকে নিয়ে মিথ্যা ওয়াজ করাটাও মনে হয় ইসলামে সোয়াবের দৃস্টিতে দেখা হয় না, তাই না?

৩২| ১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, আপনার কি কোন ফেসবুক পেজ আছে ?
এই ব্লগে লেখা পড়ে মজা পাওয়া যাচ্ছে না।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ফেসবুকে একটা আইডি আছে যেটা আমার এক বান্ধবী খুলে দিয়েছিলো ২০১০ এ। সেও ব্লগার ছিলো এখানকার। াসল আইডি গুলো হারিয়ে যাওয়ায় এখন এটাতে আছি শুধু বাবা আর বোনের সাথে ফোনে কথা বলার জন্য। তারা যখন ভিডিও কল দেয় তখন চাচা চাচী তাদের ছেলে মেয়েরা ফুপা ফুপু তাদের ছেলে মেয়েরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কনফারেন্স করে এবং এখানে গ্রুপে এক সাথে অনেকেই কথা বলতে পারে। সেখানে তেমন লেখা লেখি করি না। কারন ফেসবুক বা ব্লগে সময় দেবার মতো ফুরসত নেই তার ওপর লেখা লেখি শুরু করলে কে কখন রিপোর্ট করে এটাও খেয়ে দেবে। আর এখানে আমি জেনারেল আপাতত। তাই যতদিন সেফ না হচ্ছি নতুন পোস্ট শব্দনীড়ে দিতে পারি।

আসলে বয়সের কারনে আমি একটু অলসও হয়ে গেছি। প্রতিদিন ল্যাপটপের সামনে ১২-১৪ ঘন্টা টানা কাজ করায় এখন নতুন কোনো বই বা সেগুলো ভাবনার অবকাশ পাই না। তার ওপর সামারে এখানকার ওয়েদার অসাম, বীচগুলো খুলতে শুরু করেছে, উইকেন্ডে তাই ঘরে আর মন টেকে না।

একটু ফুরসত হলে দেখি নিজেই একটা ব্লগ সাইট খোলার প্লান আছে যেটা মূলত আইওএস এন্ড্রয়েড আর উইন্ডোজ সবখানেই থাকবে এবং সেম ডাটাবেস শেয়ার করবে। সমস্যা হলো ইন্টারফেস কেমন হবে বুঝতেছি না। ডিজাইনের মননশীল ব্যাপারটা আমার মধ্যে ঠিক আসে না। সৌন্দর্যসেন্স ব্যাপারটা আমার মাঝে নেই।

আপনাদের ওখানে তো সবকিছু খুলে গেছে। কাজ কর্ম শুরু হচ্ছে। আমার এক পরিচিত আছে স্নাপচ্যাটে, টিচার। সে বললো খুব এনজয় করছে। আপনার কি খবর?

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাউ, আপনে আমার স্যার বলেন কেন? কি মুস্কিল!

আমি শিক্ষক কখনোই হইতে পারুম না। সেই রেজাল্ট নাই। আর আমি কোনো একাডেমিক না। ছাপোষা কামলা যে কিনা হইতে চাইছিলো রিক্সাওয়ালা, পড়লো ইলেক্ট্রিক্যাল টাইম মেশিন বানানির জন্য আর এখন হইছি প্রোগ্রামার। জানি না সামনে কি হবো!

আমার ভাই বলেন, চাচা বললেও আপত্তি নাই, দাদা-নানা কইলে তো পুরাই লারেলাপ্পা। স্যার শব্দটা আমার জন্য হেভিওয়েট হইয়া যায়। এইটার যোগ্য না

৩৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই তো, আমাদের ইতিহাস!
অসাধারন।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য এক রাশ ধনে পাতা।

আপনে তো আবার রান্না বান্না করেন। ধনে পাতা পছন্দ হবার কথা

৩৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৩

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে বিপদজনক হচ্ছে আমলাতন্ত্র। ভুয়া রিপোর্ট। মিথ্যা পরিসংখ্যান। স্থানীয় সরকার সবসময় কেন্দ্রকে দেখায় আল ইজ ওয়েল। আর কেন্দ্র দেখে তারা কুকুরের মত অনুগত কিনা। মাঝখানে চলে নানা রকমের মাফিয়া লেভেলের খেলা। দুর্নীতি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা, শক্ত বিরোধীদল না থাকলে মূল সমস্যাটা হয় চেক অ্যান্ড ব্যাল্যান্সে। ক্ষমতা চলে যায় কয়েকজন মানুষের হাতে। আর সেই কয়েকজনকে খুশী রেখে নিজের আখের গোছাতে চলে সঠিক তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং মিথ্যা উপস্থাপন।

নীতশে বলেছিল গড ইজ ডেড। মানে গডের কনসেপ্টটাই মরে গেছে। কিন্তু এক গড মরে গেলে আরেক গড চলে আসে। কখনো সে গড হয় চার্চ। কখনো রাষ্ট্র, কখনো কর্পোরেশন। সুপারম্যানের পরিনিতি হচ্ছে তাই অনেকটা মিথ অব সিসিফাসের মত।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গতকাল অর্থমন্ত্রীকে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞেস করছিলো এই যে এত টাকা গেলো কেমনে গেলো, কি করছেন এত দিন? সে প্রথমে সচিবরে খোজে। সচিব খোজে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিরেক্টর সে খোজে গভর্নর। গভর্নর খাড়ার ওপর কোনো উত্তর দিলো না। পরে অর্থমন্ত্রী নিজেই দুই কথা বললো। এরপর জিজ্ঞেস করলো মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে। তখনও একই কাহিনী এ খোজে তারে। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা চোর মসিউর উত্তর দিলো।

তার মানে দেখা যাইতেছে মন্ত্রীর বাজেট দরকার আমলারা তা করে দিছে সেটা কয়েকবার সারাংশ শুনে তা সংসদে গড় বড় করে পেশ করছে। আর বাজেট কেমন হবে সে বিষয়ে রূপরেখা দিছে গওহর আর মসিউর। মন্ত্রীচোরা কিছুই জানে না।

বাংলাদেশের যে অফিশিয়াল ডকুমেন্টেশন এর পুরোটা করে আমলারা। মন্ত্রী মিনিস্টার করে ধান্ধা আর চুরি। উপদেস্টাগুলো তাদেরকে বুদ্ধি দেয় কিভাবে ডকুমেন্টেশন ঠিক রেখে চুরি করা যায় আর ধরা পড়লে সেটাকে কেমনে ট্যাকেল দেয়। আর এসব চুরির সহায়তা ও তার পথ সৃস্টি করে লোয়ার লেভেলের সরকারী কর্মচারী আর তাদের পকেট ভারী করে টেন্ডারবাজরা।

এই যে সিস্টেম এটা দিয়া প্রমানিত হয় সরকার উন্নয়নের নামে যা করে পুরাটাই চুরি, যা কাজ হয় সব বেসরকারী খাতে। সরকারকে ব্যাসিক কিছু যা করতে হয় সেটা এজন্য যে গদি টিকানোর জন্য যাতে কোনো আন্দোলন বা গ্যান্জাম না হয়। তাই দুই টাকার কাজে বরাদ্দ থাকে ২০০০ টাকা।

এখন দেশে মহামারীতে তার ফল হাতে নাতে। ব্যুরোক্রেসি বাইরেও আছে, কিন্তু সব কিছু কত সুন্দর চলতেছে। আমাদের চলে না। কারন আমরা অশিক্ষিত বর্বর জঙ্গি সন্ত্রাসী দুনিয়ার সর্বনিকৃস্ট জাতী।

এটা এমনই সিম্পল একটা সমীকরন... ওভার জেনারালাইজড হলেও এটাই সত্য।

৩৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: গাধাদের দুর্ভিক্ষ কি কি ?

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যুদ্ধ লাগছে, খরা বা অতিবৃস্টিতে ধান তলায় গেছে এসব কারনে যে দুর্ভিক্ষ হয় সেটা মানুষের দুর্ভিক্ষ। আর আপনার ধান চাইল সবই আছে, এত কিছু থাকার পরও যখন মঙ্গা হয় তখন সেইটা হয় গাধাদের দুর্ভিক্ষ

৩৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি গবেষক মানুষ। অনেক পুরানো ব্লগার।
সামু ব্লগের ইতিহাস নিয়ে আপনি লিখলে সেটা অনেক ভাল হবে।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়েল সামুকে নিয়ে অনেক বড় বড় তালেবর অনেক কিছু লেখছে। এখন তারা কি লিখছে সেগুলো না পড়ে কোনো কিছু লেখা বোকামী। আর সেই কথা লিখেই বা লাভ কি যেটা কিনা এর আগে আরো মানুষ বলছে।

আমি নতুন এবং বস্তুনিষ্ঠ ও লজিক্যাল ন্যারেটিভে লেখার পক্ষপাতী

৩৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি লিখলে কি ওদের মতো হবে? আপনি লিখলে ওরা যা যা লিখেছে হুবহু কি তাই লিখবেন। নিশ্চয়ই না।
আপনি লিখলে অনেক নতুন কিছু বেরিয়ে আসবে অবশ্যই। যা আমরা জানিনা, জানতাম না।

তাই লিখুন সামুর ইতিহাস, আজ হোক আর পরে হোক।

১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বই বা সিরিজ লেখার যদি ধৈর্য থাকতো তাহলে এতদিন আমার পিএইচডি শেষ করে পোস্ট ডক শুরু করতাম। আমি এক ধৈর্য্যহীন অস্থির চিত্তের মেটাল হেড ব্যাঙ্গার

৩৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৬

বিজন রয় বলেছেন: আমি এক ধৈর্য্যহীন অস্থির চিত্তের মেটাল হেড ব্যাঙ্গার................. বড় বড় সৃষ্টিশীলরা অমন চিত্তের হয়।
ব্যাপার না।

১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ, এইজন্য মেটালিকা আস্কিং আলেকজান্দ্রিয়া শাই হুলুদ পার্কওয়ে ড্রাইভের সবাই নোবেল পাইছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.