ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় ৪০জন শিক্ষক আহত।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর আজ শনিবার বেলা ১২.০০ টার দিকে ছাত্রলীগের সশস্র ক্যডার বাহিনী হামলা চালায়। এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতিহ প্রায় ৪০জন শিক্ষক আহত হয়। এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক জানান আজ শনিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রপেসর ড. নজিবুল হকের নেতৃত্বে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ইবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রপেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকারের সাথে সাক্ষাত শেষে অনুষদ ভবনে ফেরার সময় ছাত্রলীগের সশস্র ক্যডাররা শিক্ষকদের ধওয়া করলে শিক্ষরা দৌড়ে অনুষদ ভবনে শিক্ষক লাউন্জে আশ্রয় নেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সেক্রেটারী তুহনিরে নেতৃত্বে কয়েকশত সশস্র ক্যডার বাহিনী শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্বক আহত কর। আহত শিক্ষকরা হলেন প্রফেসর ড.এম ইয়াকুব আলী, প্রফেসর ড.নজিবুল হক, প্রফেসর ড.ইকবাল হুসাইন, প্রফেসর ড. আবদুল মালেক, প্রফেসর ড.ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রফেসর ড.তোজাম্মেল হোসাইন, প্রফেসর ড. সফিকুর রহমান, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. আকতার হোসেন, ড. কামরুল হাসান, ড. গোলাম মাওলা প্রমুখ। উল্লেখ্য এ সময় কুষ্টিয়া এসপি মফিজুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও শিক্ষকদের রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর আগে ছাত্রলীগ দলীয় কর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। বিকেল চারটার দিকে যান চলাচল সাভাবিক হয়। নিয়োগ বানিজ্য, আত্নীয়করণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অপসারনের দাবিতে শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিমকে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পনের দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন দূর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রশাসনিক দায়িত্বরতদের অপসারন না করায় শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে।

৪ টি +০/-০