নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তার পাঠশালা

আমাদের চিন্তাই আমাদের সংজ্ঞায়িত করে

ফাহিম আনজুম

আমার সম্পর্কে বলার কিছুই নাই

ফাহিম আনজুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু থামুন ! একটু ভাবুন !!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭

আসল কথা শুরু করার আগে একটা গল্প বলতে খুব ইচ্ছে করছে। আগেভাগে গল্পটা বলে নেই, কারন এই লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ার সম্ভাবনা কম ।



একদা এক অজপাড়ায় বাস করিতো এক বৃদ্ধ । তাহার ছিলো দুই ছেলে । ঝন্টু আর মন্টু । দুই জন ভাই ভাই হইলেও তাদের মধ্যে ছিলো আকাশ পাতাল তফাত । মন্টু হইলো ইতর আর অসভ্য । সে গালি না দিয়া কাহারো সাথে কথা বলিতে পারিত না ।তাহার অত্যাচারে পাড়া কাঁপিয়া উঠিত । তাহার বাবা ইহা মেনে নিতে পারিলো না ।

সে তাহার আরেক ছেলে ঝন্টু কে বলিলঃ বাপ ! মন্টু তো তাহার সীমা ছাড়াইয়া যাইতেছে । তুমি গিয়া তাহাকে বুঝাও । তোমাকে দেখিয়া সে নিশ্চয় শুধরাইবে ।

বলা বাহুল্য ঝন্টু ছিলো নম্র , বিনয়ী আর সংযত ।

ঝন্টু বাবার কথামত মন্টুকে গিয়া বলিলঃ ভ্রাতা ! অদ্য হইতে তুমি আর খারাপ কথা বলিও না । ইহা কাহারো জন্নেই ভালো নহে ।

মন্টু জবাব দিলোঃ ওহে অলম্বুষ ! আমার জবান আমি লাগাম দিবো কি না তা তুই বলার কে ? ভালো চাস ত মানে মানে ভাগ ।

ঝঃ সাবধান ! তোমাকে আমি কথা সংযত করিতে বলিয়াছি। আর তুমি এসব কি বলিতেছ ?

মঃ একে বলে বাক স্বাধীনতা বুঝেছো শু োরের বাচ্চা?

ঝঃ অহে পাষণ্ড ! বেশী ফাল পারিওনা । নইলে কিন্তু এমন োদন দিবো যে খোঁড়া হইয়া যাইবা । ইতর কোথাকার !

মঃ আরে আরে ! তুই নিজেই দেখি গালি দিতেছিস রে ছাগু !

ঝঃ চোপ শাা ! …….

বৃদ্ধ অবাক নয়নে চাহিয়া রইলো আর দুই ভ্রাতা আপন মনে খিস্তি করিতে লাগিল ।



গল্পটা উচ্চমানের হল না । কিন্তু কাজ চলে যাবে । যাই হোক এবার আসল কথায় আসা যাক ।

মনে করা যাক আপনি কাউকে শুধরাইবেন । তাকে ব্যবহার শিখাবেন ।কিংবা ভুল ধারনা ভাংবেন । কি ভাবে কি করা দরকার? প্রথমেই আবারো গল্পের দিকে একটু নযর দেই । বোঝাই যাচ্ছে যেভাবে দেখানো হয়েছে এভাবে জীবনেও কাজ হবে না । যাকে আপনি ভালো কিছু শিখাবেন তার সাথে অসভ্য আচরন করলে সে আপনার কাছ থেকে আর কী শিখবে ? কিছু শিখতে হলে আগে সম্মান অর্জন করতে হয় যাতে সে বিনয়ী হয় কিছুটা হলেও । কোন কিছু প্রতিস্থাপন করতে হলে তার থেকে ভালো কিছু উপস্থাপন করতে হয় । ব্যাপারটা খুবই তো সরল , তাই না ?

কিন্তু এই অতীব সরল ব্যাপার গুলাই আসলে জটিল হয়ে যায় বাস্তব জীবনে ।চিন্তা করে বা বানিয়ে বলছি না । আমি নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি । সরল চিন্তা গুলো তখন আর কারো মনে উকি দেয় না । আর সে জন্যই এই লেখাটি লেখা ।



অনেকেই হয়তো ভাবছেনঃ “ হু বাবা, তাতো বুঝলাম । কিন্তু তুমি একথা গুলো কি জন্য বলছো ?” ভনিতা না করে সরাসরি বলছি । আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করলে দেখবেন সমাজে কিছু লোক বাস করে যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা । আবার কিছু মানুষ দেখবেন যারা ধর্মকে ঠিক সেই ভাবে মূল্যায়নই করে না । তেমন একটা বুঝেও না । এরা দেখা যায় নিজের অজান্তেই অনেক সময় অনেক উপায়ে অনেক অন্যায় করে থাকেন । এদের “কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না” । তারা মনে করছে তারাই ঠিক কাজ করে যাচ্ছে ।

বর্তমানে বিশেষ করে ইসলাম কে নিয়ে পুরো দুনিয়াতেই এই কাজ গুলা হচ্ছে বেশী। অবশ্য এর একটা কারন হচ্ছে অন্য ধর্ম গুলোকে আঘাত করা সহজ । যেমন খ্রিষ্টান ধর্ম এখন অনেক দেশে তামাশার বস্তু । যা হোক আসল কথায় ফিরে আসি । এখন ধরে নেই আপনি মোটা মুটি সচেতন মুসলিম । আপনার পক্ষে ইসলাম নিয়ে এসব সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না । আপনার কর্তব্য হচ্ছে তাদের ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেয়া । কিন্তু কিভাবে ? এখানেই শুরু হয় বিপত্তি । আমি প্রথমে সাধারনত কি করি তার বর্ণনা দেই । এর পর কি করা উচিৎ তা নিয়ে একটু পরে ভাবি ।



আমাদের কাজ গুল হয় হুবহু উপরের গল্পটির মত । প্রথমে আমরা ঠাণ্ডা মাথায় বোঝানো শুরু করি । ভুল গুলো ভাঙ্গার চেষ্টা করি । কিন্তু যখন দেখি কাজ হচ্চে না বরং আরো বেশী করে ভুল বুঝছে ইচ্ছে করে কথা ঘোরাচ্ছে তখন মাথায় ধরে আগুন । আমরা যে তাকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি তা আর মাথায় থাকে না । “প্রতিপক্ষ কে দমন করাই যুদ্ধক্ষেত্রে কর্তব্য “ । আমরা তখন চেষ্টা করি যুক্তি দিয়ে বসিয়ে দিতে । এমন ভাবে এদের মুখ বন্ধ করতে যাতে এরা আর কথা বলতে না পারে । সে ইসলাম এর দাওয়াত পেলো কি না এসব ভাবার আর সময় নাই ।সময় থাকলেও আমাদের মনে হয়ঃ “নাহ । এই বদমাইশ রে দিয়া আবার ইসলাম । অসম্ভব” আমরাই বিচার করে ফেলি সে ভবিষ্যতে ইসলামকে গ্রহন করবে কি না । (এই অধিকার কি আছে আমাদের ? ) এতো গেলো চিন্তা শুধু । এর পর শুরু হয় কাজ । আমরা এমন সব কথা দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করি যাতে সে চুপ করতে বাধ্য হয় । বিভিন্ন ভাবে অপমান করার চেষ্টা করি । এভাবে অনেক সময় তাদের চাইতেও খারাপ কথাও বলে ফেলি । “ইসলাম নিয়া বাজে কথা বলছে ওরে যে জিন্দা কথা বলতে দিতেছি এটাই তো বেশী” । কিন্তু দেখা যায় তাকে ঠিক মত ইসলাম এর দাওয়াত ই দেয়া হয় নাই ।



এর ফলে কি হয় ? সে ইসলামকে বুঝতে পারে? নাকি দেখে যে যারা মুসলিম তারা কত egotistical ? ইসলাম সম্পকে কি ধারনা সে পায় আমাদের দেখে ? আমাদের লক্ষ্য কি ? মানুষ কে কথায় অপমান করে যুক্তি দিয়ে বসিয়ে দেয়া নাকি তাদের ইসলামের দাওয়াত দেয়া? আমরা কি এসব ভেবে দেখেছি?



এ তো গেলো আমরা কি করি । এখন আসা যাক কি করা উচিৎ । এ ব্যাপারে আমার মতবাদ দেয়া সম্ভব না । কারন আমি অজ্ঞ । আমার এ ব্যাপারে জ্ঞান সীমিত । কিন্তু আল্লাহর রাসুল (সা) ছিলেন মানব জাতির আদর্শ ।তাই এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা) এর কিছু হাদিস শুধু বলে যাইঃ





হযরত ইবন উমর (রা) বলেনঃ নবী করিম (সা) বলেছেনঃ যে ইমানদার ব্যক্তি মানুষের সাথে মেলামেশা করে এবং তাদের দেয়া কষ্ট সহ্য করে , সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তি হতে উত্তম যে মানুষের সাথে মেলামেশা করে না , তাদের দেয়া কষ্ট সহ্যও করে না ।[১]



হযরত আবূ মুসা (রা) বলেনঃ আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেনঃ কষ্টদায়ক কিছু শুনেও ধৈর্য ধারনের ব্যাপারে মহান আল্লাহর চাইতে অধিকতর ধৈর্যশীল আর কেউ নাই । লোক তাঁর সন্তান আছে বলে দাবী করে তারপরো তিনি তাদের সুখে সাচ্ছন্দ্যে রাখেন এবং আহার প্রদান করেন । [২]



হযরত ইবন আব্বাস (রা) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল (সা) এর যুগে দুই ব্যক্তির মধ্যে গালির আদান প্রদান হয়ে গেলো । প্রথমে একজন গালি দিলো । অপরজন নিরুত্তর থাকলো । নবী করিম (সা) সাম্নেই বসা ছিলেন । এরপর অপরজনও ১ম জনকে গালি দিলো । নবী করিম (সা) উঠে দাঁড়ালেন । তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনি উঠে গেলেন? তিনি বললেনঃ যাহেতু ফেরেশতাগণ মজলিস থেকে উঠে গেলেন আমিও উঠে গেলাম । যতক্ষন ঐ ব্যক্তি নিরুত্তর ছিলো ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তার পক্ষ থেকে যে গালি দিচ্ছিলো তার উত্তর দিচ্ছিলো । যখন সে নিজেই গালি দিলো ফেরেশতা গন উঠে গেলেন । [৩]



হযরত ইয়ায ইবন হিমার (রা) বলেনঃ আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা আমাকে এই মর্মে প্রত্যাদেশ করেছেন যে , পরস্পরে বিনয়ী হও , কেউ কারো সাথে বাড়াবাড়ি কোর না , একে অপরকে গর্ব প্রদর্শন কোর না । আমি বললামঃ ইয়া রাসুল্লাল্লাহ ! যদি কোন ব্যক্তি আমাকে আমার চাইতেকম মর্যাদাসম্পন্ন লোকের সামনে আমাকে গালি দেয় আর আমি উত্তরে গালি দেই , এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন? আমার কি পাপ হবে ? তিনি বলেনঃ যারা একে অপরকে গালি দেয় তারা উভয়েই শয়তান । [৪]





হযরত আবুদ্দারদা (রা) বলেনঃ আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেনঃ যার স্বভাবে নম্রতা প্রদান করা হয়েছে তাঁকে সমুদয় কল্যাণই প্রদান করা হয়েছে । আর যাকে স্বভাবের নম্রতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সে সমুদয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে ।

কিয়ামতের দিন মু’মীনের পাল্লায় সব থেকে ভারি হবে উত্তম আচরন। পক্ষান্তরে আল্লাহ অশ্লীল ভাষী বাচাল কে পছন্দ করেন না [৫]



হযরত আয়েশা (রা )বলেনঃ একবার কয়েকজন ইহুদি এশে আল্লাহর রাসুল(সা)কে বলল, আস সামু আলাইকুম (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষিত হোক) আমি জবাব দিলামঃ ওয়া আলাইকুমুস সামু ওয়া লানাতু (তোমাদের উপর মৃত্যু আপতিত হোক সাথে সাথে অভিসম্পাতও) নবী করিম (সা)বললেনঃ ধীরে আয়েশা ধীরে । আল্লাহ সর্বব্যাপারেই নম্রতা পছন্দ করেন ।….আমি তো ওদের “ওয়া আলাইকুম” বলেছি । [৬]



আমরা তো সবাই রাসুলুল্লাহ(সা) এর জীবন সম্পর্কে জানি । তিনি কিভাবে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ? যুক্তি দিয়ে বসিয়ে দিয়ে ? উত্তেজিত ভাবে কথা বলে ? অপমান করে ? আঘাত দিয়ে কথা বলে ?



আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে আল্লাহর রাসূল(সা) কে বলেনঃ

….. আর যদি তুমি রুক্ষ ও কঠোর হৃদয় হতে তবে নিঃসন্দেহে তারা তোমার চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত । অতএব তাদের অপরাধ মার্জনা কর আর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর । আর তাদের সাথে কাজে কর্মে পরামর্শ কর । (আলে ইমরানঃ ১৫৯)



সীরাত ইবনে হিশাম থেকে জানা যায়, যখন কুরাইশ রা দেখতে পেলো আল্লাহর রাসুল (সা) এর ইমানদার এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তখন উতবা ইবনে রবী’আ কুরাইশ দের অনুমতিক্রমে তাঁর সাথে দেখা করলো । তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) কে আক্ক্রমন করে বলল “যে তরীকা আর দীন তুমি এনেছো তাঁর পেছনে তোমার উদ্দেশ্য যদি হয় ধন সম্পদ তোমাকে আমাদের মধ্যে সব থেকে ধনবান করা হবে...” তার প্রস্তাব গ্রহন করলে দাওয়াত থেকে বিরত হতে হবে । উতবার কথা শেষ হলে আল্লাহর রাসুল(সা) বললেনঃ যা কিছু বলার তা কি বলেছো ? সে বললঃ হ্যাঁ । তিনি বললেনঃ তাহলে এবার আমার কথা শোন ।

এরপর তিনি সূরা ফুসসিলাত এর কিছু আয়াত সিজদার অবধি তিলাওয়াত করলেন আর তারপর সিজদা করলেন ।

উতবা যখন কুরাইশ দের কাছে ফিরে গেলো তখন সবাই দেখলো তার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে । সবাই জেঁকে ধরলে তিনি তাদের বললেনঃ “আমি তার মুখে এমন এক কালাম শুনেছি যা এর আগে কখনো শুনিনি । ….এ কালাম কোন যাদু নয় গননাবিদ্যা নয় , জ্যোতির্বিদ্যা নয় । আমার কথা শোন এবং অই লোকটাকে তার অবস্থার উপর ছেড়ে দাও” বলা বাহুল্য তিনি একথা বলার সময় ইসলাম গ্রহন করেন নি ।



আল্লাহর রাসুল (সা) জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে । তাঁকে অপমান কম করা হয় নাই । এখন কার অবস্থার সাথে ঐ সময়ের তুলনাই চলে না । কিন্তু এর পরো তিনি আল্লাহর উপর ভরসা করে দাওয়াত দিয়ে গেছেন । তারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেন নি বা কারো দোষ খুঁজে বের করে বলেন নিঃ তুমি আবার কথা বলতে আসছ ?



কিন্তু বর্তমানে আমরা এটাই করি । কেউ কিছু বললেই মনে করি তাকে বধ করতে হবে । সে চরম দুশমন । তার খারপ দোষগুলো বের করে প্রকাশে অপমান করে দেখিয়ে দেই আমরা কত মহান । আল্লাহর রাসুল (সা) কি আমাদের এই শিক্ষাই দেয় ? নাকি আমাদের উচিৎ আরো নম্র হয়ে ভালো আদর্শ দেখিয়ে তাদের মুগ্ধ করা ?

আমরাই ত প্রমান করে দিতে পারি যে সমাজের জন্য কোন সুশীল সমাজের দর্শন মানতে হয় না । কারো অন্ধ ভক্ত হতে হয় না । ইসলাম কে আঁকড়ে ধরলেই সমাধান হয় । ইসলামের চাইতে বড় আদর্শ কি হতে পারে ?





কিন্তু সেটা শুধু মুখে বললেই হবে না; হাতে কলমে করে দেখিয়ে বলতে হবে । তা না হলে কথা গুলো অন্তঃসারশূন্য হয়ে যাবে । আল্লাহ বলেনঃ



তোমরা কি বিবেচনা করছো তোমরা বেহসতে প্রবেশ করবে অথচ আল্লাহ এখনো অবধারন করেন নি তোমাদের মধ্যে কারা সংগ্রাম করেছে আর যাচাই করেন নি কারা ধৈযশীল? (আলে ইমরান ১৪২)



তথ্যসূত্রঃ

[১]~[৬] আল-আদাবুল মুফরাদঃ হাদিস নং ৩৯০,৩৯১,৪২১,৪৩০,৪৬৬,৪৬৫

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

আধারের কবি বলেছেন: প্রকৃত মুসলিম গালি দেয় না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.