নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি

ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম

কবি

ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

লে জায়িঙ্গে লে জায়িঙ্গে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

লে জায়িঙ্গে লে জায়িঙ্গে
.
......ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম
.
লে জায়িঙ্গে লে জায়িঙ্গে
রেখা কে লে জায়িঙ্গে!
লে জায়িঙ্গে লে জায়িঙ্গে....( গেটের সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতেছে)
- চুপ! মেরি ইয়ার কোন হো তুম?
- আরে ভাই বাংলায় বলুন হিন্দি- মিন্দি বুঝি না দেখতেছেন তো শারুখ খানের গান বলতেছি!
-আবে,শালা ভণিতা বাদ দিয়ে বল কে তুই?
- ভাইজান আমি আন্নের বোন রেখার বন্ধু ( রেখার ভাই কথাটি শুনতে পারবে না)
- কি বললে?
- কিছু না ভাইজান! বললাম যে
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখা এবং আমি একসাথে পড়েছিলাম তো আপনার বোন নাকি আমায় ছাড়া বাঁচবে না তাই এলাম?(আমতা আমতা করে কথা বোঝা যায় আবার যায় না)
- আরে ভাই শুদ্ধ করে বল রংপুরা মফিজের মত কথা বলিস ক্যান এটা ঢাকা, রংপুর নয় কিছুই তো বুঝলাম না তোর কথা?
- দেখুন ভাই আমায় যা বলেন বলুন, রংপুর কে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বলবেন না, রংপুরের লোক গরীব হতে পারে তবে সুন্দর মনের অধিকারী... যাইহোক, রংপুরের কথা বাদ আসল কথায় আসি!
-আচ্ছা !( হতবিম্ব হয়ে)
- তবে,বলতেছি যে আন্নের বোনের জামাই কে হতে চলেছে ?
- নওশাদ, ব্যাংকের ম্যানেজার
- শুনলাম ওনি নাকি টাকু?
- আমার বন্ধু ওরে তো লাইক করে না
- দেখুন, আপনার সঙ্গে এ্যাত্ত কথা বলতে পারবো না টাকু- মাকু যাইহোক ওনার অনেক টাকা!
বোনে দাওয়াত করেছে দাওয়াত খান! খামোখা বকবক করবেন না?
- দেখুন! আমি ওর জামাই হতে চলেছি.....( ফিস্ ফিস্ করে)
- কি!
-না, ইয়ে মানে কখন বিবাহের কার্যলাপ শুরু হবে?
- এই তো শুরু হবে আর কিছুক্ষণ পর!
- এমন কথা শুনে সাদাফের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল রেখা কে দেওয়া কথা যে রাখতে হবে! রেখা যে আমায় ছাড়া বাঁচবে না ওরে যে বিবাহ করবো বলে পণ করেছি( মনে মনে ভাবতেছে )
- আরে ভাই কি ভাবতেছেন?
-কিছু না, ও আচ্ছা তবে আমি তাহলে ভিতরে যাই দেখি রেখা কেমন আছে?

-মেয়েরা এখান থেকে একটু যাও তো একটু কথা বলি রেখার সঙ্গে
( মুচকি হেসে )
-কেন আমরা বাইরের যাব? রেখা আমাদের বড় বোন( আহ্লাদে বলল)
- আরে যাও না! তোদের দুলাভাই
- কি বললি আপি! আমাদের দুলাভাই তো হবে ব্যাংকার নওশাদ?
- দেখ চুমকি যেতে বলছি তাড়াতাড়ি তোর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে যা পাঁচ মিনিট পড় আসিস!(বলতে বলতে চলে গেল)
- ঐ কাজু বাদাম তোরে তো দারুণ লাগছে
ঐ ব্যাংকার কে তো বিবাহ করতে পারিস (রেখার আদরের নাম কাজু বাদাম)
- দেখ! সাদাফ সব সময় ফাজলামি করবি না আমি তোরে ছাড়া বাঁচব না
বর আসতেছে কিছু একটা কর( কেঁদে কেঁদে )
- আহ্! রেখা এখনো সময় আছে বুঝতে চেষ্টা কর আমি আমার ওয়াদা ফিরিয়ে নিলাম
তোর মা- বাবার বদনাম হবে?
- দেখ! সাদাফ তুই যদি বিবাহ না করিস আজকে! তাহলে
আমায় আর খুজে পাবি না আমি আত্মহত্যা করব?( রেগে )
-আচ্ছা রেখা এমন করে বলিস না! আমিও তোরে ভালবাসি
বর আসার এখনো আধাঘন্টা আছে দেখি কি করা যায় ( ভীতু স্বরে)
- ঠিক আছে যাও তবে!( হাঁটুর উপর পা রেখে রেখা কাঁদতে লাগল)
- আপি! আপি!আপি! কাঁদিস ক্যান মানুষটা তোরে কিছু বলছে
- না চুমকি তোর দুলা ভাই
- আজিব কথা বিবাহ করবি নওশাদ কে ওনি কেমন করে দুলাভাই হবে?
- বুঝবি! বুঝবি! সব পরে বুঝবি
- প্রশ্ন করবি না আর
- ঠিক আছে( চুমকি রেখার শাড়ী ঠিক করে দিতে লাগল)
- বরের গাড়ি গেটে এসে পৌঁছাল
(সাদাফের মনে ভয় আরো বাড়তে লাগল, সে পূূর্বেই শরবতে ঘুমের ঔষধ মিশায়)

- আসেন! আসেন দুলা ভাই শরবত খাবেন টাকা দিবেন দশ হাজার গেট ভাড়া
- তাই! শালিরা আমার
( মেয়েদের কলকন্ঠে আকাশ- বাতাস মুখরিত বেশি ঝামেলা না করে ব্যাংকার নওশাদ তাদের চাহিদা পূরণ করল এবং ঢক ঢক করে শরবত খেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে লাগল দুলতে দুলতে)
-বাহ্!কাজ হয়েছে রেখার ভাইরে জানাই সে মদখোর মাতাল(সাদাফ একটু খুশি)
- ভাইজান শোনেন শোনেন!
-আরে ভাই, সময় নেই যা বলার বল
- আপনি কি আপনার বোনের মঙ্গল চান না ভাল চান
- হঠাৎ এই কথা আচ্ছা বল কি হয়েছে!
- কিছু মনে করবেন না তো( মাথা চুলকিয়ে)
- ন্যাকামি বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বল
- বলতেছি যে নওশাত মদখোর,মাতাল!
- কি যা তা বল
-বিশ্বাস না হয় দেখুন
বরকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে বলুন( রেখার ভাই দ্রুত বরের কাছে গেল দেখতে পেল নওশাদ দুলতেছে )
- বাঁচা গেল রেখাকে পাব অবশেষে ( মনে মনে )
- এ বিয়ে হবে না!( বিবাহের বাড়ির সবাই হতবিম্ব)
- কেন কেন?( বরপক্ষ)
- আপনাদের নওশাদ মাতাল,মদ খোর দেখে শুনে আমার বোনের ক্ষতি করতে পারি না?
-দেখুন নওশাদ কে?( বলতে বলতেই)
- নওশাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ( বর পক্ষ নওশাদ কে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে গেল বিবাহ পন্ড হয়ে গেল)

-বাঁচালি বাবা বাঁচালি রেখার জীবনটা বেঁচে গেল,,,
যদি বিবাহ হতো কি না লেখা থাকত আমাদের রেখার ভাগ্যে( রেখার মা -বাবা)
- তা মা, রেখা তো বধূ বেশে বসে আছে ওর কি হবে( বিষাদ ভাব)
- মা আমার বিবাহ ভেঙ্গে গেছে খুশিতে বেড়িয়ে পড়ল
- কি বলছিস হাসিস কেন!( মা- বাবা)
-আমি এটাই চেয়েছিলাম মা আমার একটা কথা রাখ আমি সাদাফ কে বিবাহ করবো( পায়ে পড়ে কেঁদে কেঁদে)
- কোন সাদাফ ?
- আমি আন্টি? (এই আন্টি বলছ কেন মা বল রেখা)
- তুমি! তুমি না রেখার ফ্রেন্ড( মাকে কথা বলতে দিল না তার ভাই বলল)
- হ্যাঁ! তবে আমরা একে- অপর কে ভালবাসি?
- রেখা তোমার ফ্রেন্ড কি বলছে সত্যি
-হুম ভাইয়া আমি ওরে ডেকেছি তোমাদের ভয়ে খুলে কিছু বলতে পারি নি আমি সাদাফ কে ভালবাসি( কেঁদে কেঁদে)
-আচ্ছা, ছোটকি (বলে রেখার হাত সাদাফের হাতে তুলে দিল)
-আসলে ভাইজান একটা সত্য কথা বলি আসলে নওশাদ টাকু মাতাল নয় শরবতে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়েছিলাম?
- এ্যাত্ত কিছু করার কি ছিল সব তো খুল বলতে পারতে আজিব প্রেম( হেসে)
-হঠাৎ পুলিশ সাদাফ কে গ্রেপ্তার করল( শরবতে ঘুমের ঔষধ মিশানোর দায়ে)
- কেন গ্রেপ্তার করছেন সাদাফ কে?( রেখার ভাই প্রশ্ন করল)
- ব্যাংকার নওশাদ মারা গেছে!
আমাদের কাছে তথ্য আছে সাদাফ শরবতে ঘুমের ঔষধ দিয়েছে যার ফলে নওশাদ মারা গেছে?
- রেখা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে লাগল
- পুলিশ টেনে- হেঁচড়ে নিয়ে লাগল( রেখা রেখা করে ডাকতে লাগল সাদাফ)
- রেখার মা- বাবা - ভাই সবাই হতবিম্ব হয়ে দেখতে লাগল........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.