মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০১৫

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তারদের ভূমিকা থাকা উচিত সবচেয়ে বেশি। তা আছেও, সৎ ডাক্তার রা তাদের কর্ম নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে।
অনেক মানুষ ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন নিয়ে বড় হয় তারা একদিন ডাক্তার হবে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োযিত করবে। তারা তাদের সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার জন্য বলতে গেলে ছোট বেলা থেকেই পরিশ্রম করে, ভাল ফলাফল করতে থাকে। আবার কিছু লোক থাকেও, যাদের মা বাবার স্বপ্ন থাকে ছেলে হবে ডাক্তার, কিন্তু কিভাবে হবে সে ব্যাপারে কোন খেয়াল থাকে না। তাদের ছেলেদের ও ঘুম ভাঙ্গে ইন্টার পরীক্ষা দেবার পর, তখন আর রাস্তা থাকে না পড়াশোনার মাধ্যমে ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার, কিন্তু দেশটা যেহেতু বাংলাদেশ, তাই একটা রাস্তা থেকেই যায়। অতঃপর সেইসব ছাত্ররা মা বাবার হাত থেকে টাকা নিয়ে কেনা প্রশ্ন নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টিকে যায়। এবং যেই ছাত্ররা ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন নিয়ে বড় হচ্ছিল তাদের স্বপ্ন টা স্বপ্নই থেকে যায়।

তারা তাদের স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নামে, এবং দায়ীত্বশীল মহল জানিয়ে দেয় কোন ধরনের প্রশ্ন ফাস হয়নি। সেইসমস্ত স্বপ্নবাজ লোকেরা তাও মাঠে থাকে, কিন্তু ছাত্র-আন্দোলনের ইতিহাসে ঠেসে থাকা জাতী সেইসমস্ত ছাত্রদের পুলিশ দিয়ে উতপাত করায়। এবং বলেই দেয় যে কোন প্রকারেই আবার পরীক্ষা নেয়া হবে না, তদন্ত করে দোষীদের বের করা হবে।

আরেকবার তা হয়ত অনেক ঝামেলার ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বর্তমানে যতজন মেডিকেল এ চান্স পেয়েছেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ জন-ই তো প্রশ্ন পেয়ে চান্স পেয়েছেন। তার মানে আগামি ৫/৬ বছর পর যখন তারা ডাক্তার হয়ে বের হবেন তাদের মধ্যে ৯০% ই হবে হাতুড়ে ডাক্তার!!!!!! সোজা কথায় বলা যায়, একটা ব্যাচ এর আমাদের দেশে ডাক্তার বলতে কিছু থাকবে না!!!

এই সমস্যা দুর্ভিক্ষের চেয়ে কম কিছু না আমাদের দেশের জন্য!
তাই আমি ব্যাক্তিগতভাবে আবারো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নেবার দাবি জানাই।

০ টি +০/-০