মানির সম্মান : (প্রথম পর্ব) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

[ আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ, এমনি এমনি এই দেশ আসেনি। অনেকের তুলনার অতীত আত্নত্যাগ এর বিনিময়ে এই দেশ। এছাড়াও অনেকের কর্মক্ষেত্রের দৃঢ় পদচারনার উজ্জ্বল হচ্ছে আমাদের দেশের মুখ। কিন্তু তাদের যতটুকু সম্মান পাবার কথা এই তুলনার কতটুকুই বা আমরা দিচ্ছি?
দল-মত এর উর্ধ্বে থেকে এই নিয়ে কিছু লিখার চেষ্টা করলাম ]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পড়াশোনা করা বঙ্গবন্ধু নিজেকে আইন পেশায় সংযুক্ত করতে পারতেন, কিন্তু উনি তা করেননি। তার চিন্তায় ছিল এই দেশ ও মানুষের স্বাধীনতার চিন্তা। ১৯৫৬ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি, এর মাধ্যমে বাঙ্গালী রা যে মাথা তুলে দাড়াতে পারেন তার উদাহরন দেখে পাকিস্তানীরা। তার আগের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগন্য। ১৯৬৬ সালে তিনি ঘোষনা করেন ছয়-দফা। এর মাধ্যমে বাংলা ভূখন্ডের মানুষ সর্বপ্রথম তাদের অধিকার সম্পর্কে সজাগ হয়। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে তিনি নিরঙ্কুশ ভাবে জয়ী হন, কিন্তু পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী তাকে ক্ষমতায় বসতে দেয়নি! এরপরই তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং এরই হাত ধরে পরবর্তীতে আসে স্বাধীনতার ঘোষনা। দেশ স্বাধীন হবার পর প্রথম বাং
লাদেশী হিসেবে "জুলিও কুরী" পদকে ভূষিত হন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে আমাদের দেশে কখনই প্রশ্ন উঠা উচিৎ না! কিন্তু আমরা কি তাকে সেই সম্মান টুকু যথাযথ ভাবে দিচ্ছি? একটা বিশেষ দল বা মতের অনুসারীরা আরেকজন কে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে দিবেন! বর্তমানে আমাদের টাকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, দল পরিবর্তন হলে তা আদৌ থাকবে কি না আমার সন্দেহ আছে!
আমরাই একমাত্র দেশ যারা স্বাধীনতার ঘোষক বা জাতীর পিতা নিয়ে রাজনীতি করি! ভারতে মহাত্না গান্ধীজি প্রশ্নে পুরো দেশ এক! যুক্তরাষ্ট্রে আব্রাহাম লিঙ্কন, জর্জ ওয়াশিংটন কিংবা জন এফ কেনেডির প্রশ্নেও সবাই একমত! কারণ যে যার জায়গা থেকে তাদের দেশকে প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। আমি মনে করি আমাদের মহান নেতাদের প্রশ্নে সকলের এক থাকা উচিত। আমরা তার মৃত্যুদিনে একটা বিশেষ জন্মদিন পালন করি, তা আবার নকল। এরকম ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আমাদের সকলের উচিৎ যার যার স্থান থেকে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের যে সম্মান তা দিয়ে আসা।

কিন্তু মানির সম্মান আমরা দিতে জানিনা! এটা আমাদের জাতীয় দোষ!

০ টি +০/-০