![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন যতই গড়াচ্ছে আমাদের সমাজ ততই অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ বন্ধ না হয়ে দিনদিন এর মাত্রা বেড়েই চলছে। এমনকি শিশু ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ ইদানীং পত্রিকায়, মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। আমাদের সমাজে কোন নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হলে ধর্ষিতার পরিবার বা আত্মীয়স্বজন বা প্রতিপক্ষের চাপের কারণে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার মতো বিষয় অহরহ দেখা যায়। যেখানে শাস্তি অবধারিত, সেখানে চুপচাপ মুখ বুজে সহ্য করে ধর্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। ধর্ষণ আমাদের আইনে খুবই মারাত্মক ধরনের অপরাধ, ধর্মীয় দিক থেকে তো কতটা অপরাধ সেটি তো আপনারাই জানেন। আসুন এবার জেনে নিন আপনার পরিচিতজন বা কোন নারী ধর্ষণের শিকার হলে সাথে সাথে যেসব কাজ অবশ্যই করবেনঃ
১. যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা থানার মাধ্যমে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
২. ‘মেডিক্যাল টেস্ট পরে করলেও হবে’ এই ধারণা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। যতদ্রুত সম্ভব মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। না হলে আলামত নষ্ট হতে পারে বা পরবর্তীতে মামলার ক্ষেত্রে আসামীর অনুকূলে প্রতিবেদন যেতে পারে।
৩. ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি বা আদেশের কোন প্রয়োজন নেই।
৪. লোক জানাজানি হবে এই ভয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা একদম চলবে না, নিজের অত্যাচারের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণে সচেতন হয়ে এগিয়ে যেতে হবে সাহসের সাথে। পুলিশ থানার মতোই, হাসপাতালও রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা করতে দায়বদ্ধ।
৫. ‘আগে এফ আই আর (F.I.R) করে আসুন’ এটা বলার অধিকার হাসপাতালের নেই। আক্রান্ত মেয়েটি হাসপাতালে আগে এলে পুলিশে খবর দেওয়ার দায়িত্ব হাসপাতালের।
৬. ‘মেডিক্যাল টেস্টে যদি ধর্ষণ প্রমাণ না হয়?’ এই ভেবে ঘাবড়াবেন না। ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এ বিষয়ে চরম প্রমাণ নয়। মেয়েটির নিজের বক্তব্য এবং সাক্ষীদের বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় আদালতে।
৭. যে কোনও কারণে শারীরিক, মানসিক ধকল গেলে গোসল করলে অনেকটাই শান্তি পাওয়া যায়, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নয়। মেডিক্যাল টেস্ট না-হওয়া পর্যন্ত গোসল করতে নিষেধ করেন ডাক্তাররা, কারণ তাতে বহু প্রয়োজনীয় প্রমাণ লোপ পেয়ে যায়। নিজেকে শান্ত করতে মাথায়, ঘাড়ে পানি দিয়ে মুছে নিন।
৮. ‘নোংরা কাপড় ধুয়ে ফেলি’: এতেও অনেক প্রমাণ লোপ পেয়ে যায়। জামায় মাটির বা ময়লার দাগ আছে কি না, তা কোথাও ছিঁড়েছে কি না, তাতে দেহরস, রক্ত বা অন্য কিছুর দাগ আছে কি না, তা সবই আইনের চোখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জামা-কাপড়, অন্তর্বাস, কোনও কিছুই কাচবেন না, ভাঁজ করে ঢুকিয়ে রাখুন প্লাস্টিকের প্যাকেটে। পুলিশকে দিন এবং খোঁজ রাখুন, তা ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে পাঠানো হল কি না।
৯. এফআইআর (F.I.R) করার সময় পুলিশের কাছে সব কিছু বণর্ণা করুন। পুলিশকে নিজের ইচ্ছেমত লিখতে দিবেন না, এতে অনেক তথ্য বাদ যেতে পারে। এটা মামলাকে দূর্বল করে। ঘটনার সময়, ঠিক কোথায় ঘটেছে, কী কী ঘটেছে, যেখানে যেখানে আঘাত-চোট লেগেছে, যে সব ধরনের নির্যাতন করেছে, সব কথাই নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট বলতে হবে। অভিযুক্তের নাম জানা থাকলে অবশ্যই লিখুন, নইলে দিতে হবে তার বিবরণ, যতটা সম্ভব। লজ্জা, ভয় ঝেড়ে ফেলে নির্ভেজাল সত্যি কথা লিখুন।
১০. ‘বাইরে মিটমাট করে নেওয়াই ভাল’: এই পরামর্শ পুলিশ, পাড়াপড়শি কখনও কখনও দিয়ে থাকে। নানা যুক্তি দেওয়া হয়, যেমন ‘রোজ কোর্টে যেতে হবে, কোনও দিন প্রমাণ হবে না, জানাজানি হয়ে যাবে, মেয়ের বিয়ে হবে না, বরং ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নিন।’ মনে রাখবেন, কোর্টে রোজ যেতে হয় না, সবার সামনে বিচার হয় না, আক্রান্ত মেয়েটি যদি কাউকে সঙ্গে চায় তবে সে-ই থাকে বিচার কক্ষে, নইলে দু-পক্ষের উকিল এবং বিচারক কেবল থাকেন। বিচার হয় বন্ধ ঘরে (‘ইন ক্যামেরা’)। বিপক্ষের উকিল যাতে অশালীন, অস্বস্তিকর প্রশ্ন করতে না পারেন তার জন্য বিচারক রয়েছেন আপনার পাশে।
১১. 'মেয়েটারও দোষ আছে’: অভিযুক্ত অনেক সময়েই দাবি করে, মেয়েটির সম্মতি ছিল। মেয়ের বয়স ১৬-র নীচে হলে তার সম্মতির প্রশ্নই ওঠে না। বালিকার সঙ্গে যে কোনও যৌন সংসর্গই ‘ধর্ষণ’। ভুল বুঝিয়ে, ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে (যেমন বিয়ের প্রতিশ্রুতি) সম্মতি আদায়ও ধর্ষণ। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও, অভিযোগ জানাতে মেয়েটির কথাই শেষ কথা। সম্মতি ছিল কি না, সে বিষয়ে তার বক্তব্যই গণ্য করবে পুলিশ।
-চলুন ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে যাই, সম্মান করি নারীদের, কঠিন শাস্তির বিধান করি ধর্ষণকারীর। ধন্যবাদ।
#StopRapeCulture
(ছবিঃ ইন্টারনেট)
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
ইদানীং যে অবস্থা চলছে তাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্র যদি নিশ্চুপ থাকে এ ব্যাধি দূর করা সহজ হবে না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
আহা রুবন বলেছেন: কেজো পোস্ট। কথাগুলো আমাদের পাশের জনকে জানানোর মধ্য দিয়ে সবাইকে সচেতন করে তুলতে পারি। আপনাকে ধন্যবাদ, অসুন্দর কিন্তু দরকারি একটি বিষয় উপস্থাপনের জন্য।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমাদের প্রয়োজন আরো সচেতন হওয়া, ধর্ষণদের প্রতি আরো কঠোর হওয়া।
এ বিষয়গুলো জানা থাকলে আরো সচেতন হওয়া যাবে।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
আশ্রাফ বাংলা বলেছেন: মেয়ের সম্মতি থাকলেই যে পুরুষটি পার পেয়ে যাবে - এরকম আইন থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। ব্যভিচার কেবল পাপ নয়, এটি একটি আইনের দৃষ্টিতেও অন্যায়। কাজেই মেয়েটির সম্মতিতেও যদি এ ধরণের অন্যায় হয়ে থাকে, তবে ছেলে মেয়ে দুজনকেই শাস্তির মুখোমুখি করা উচিৎ। একজন পুরুষকে নষ্ট করতে বা তাকে একটি ধর্ষণে উৎসাহিত করতে এরকম একটি মেয়ের 'সম্মতি' কম দায়ী নয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনার কথা যুক্তিসংগত। আমাদের আইনে ব্যভিচারের জন্য শুধুমাত্র পুরুষের শাস্তি হয়, মহিলার সম্মতি থাকুক বা না থাকুক সে পার পেয়ে যায়।
তবে ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
মিস্টার খাঁন বলেছেন: আগে সোনার ছেলেদের ঠিক করতে হবে
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২
মার্কো পোলো বলেছেন:
শুধু সোনার ছেলেরা নয়, সমাজের সকল স্তরের লোকদেরই ঠিক হতে হবে।
ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা আসলেই ভাল ছিল! এই ব্যাপারে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ সচেতন হবে সেই প্রত্যাসাই রইলো!
শুভ কামনা!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
চলুন ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে যাই, সম্মান করি নারীদের, কঠিন শাস্তির বিধান করি ধর্ষণকারীর
একমত।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৫
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সু-প্রভাত খুব ভাল একটি বিষয় ব্লগে তুলে এনেছেন ,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । এটা যে কোন সময় যে কার সামনে এসে দাঁড়াতে পারে তাই আজ আমার
লাগছে না এমনটি ভাবার অর্থ হচ্ছে মস্ত বড় ভুল । আসুন আমরা সবাই আর প্রতিবাদ করি ।