নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাতি ঘরের আলোয় সবাই আলোকিত হউক

ফানার

ফানার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেত্রার কিছু ছবি .....................................

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

পেত্রা একটি প্রাচীন আরব শহর। বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রাম ওয়াদি মুসা-র ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। এটি তৈরি হয়েছে গুহার মধ্যে যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া, মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথরের দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই প্রাচীন দালানগুলো যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। আরো রয়েছে একটি অর্ধগোলাকৃতির একটি নাট্যশালা যেখানে প্রায় ৩০০০ দর্শক একসাথে বসতে পারে।

পেত্রা নগরী ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। পেত্রার চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি অফুরন্ত ঝরনাধারা। পশ্চিমের গাজা, উত্তরের বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস এবং মরুভূমির উপর দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার প্রধান সব বানিজ্যিক পথগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতো পেত্রা।

রোমান শাসনের সময় সমুদ্রকেন্দ্রিক বানিজ্য পুরোদমে শুরু হলে পেত্রা দ্রুত ধ্বংস হতে থাকে। ১০৬ এডি তে রোমানরা এটিকে দখল করে তাদের ‘আরব পেত্রাইয়া’ প্রদেশের অংশীভূত করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে শহরটির প্রভুত উন্নতি হলেও পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দী শহর ‘পামিরা’ পেত্রার অধিকাংশ বানিজ্যই দখল করে নিলে তখন পেত্রার গুরুত্ব কমে যায়। মুসলমানেরা এটিকে তাদের দখলে নেয় সপ্তম শতকে এবং পরবর্তীতে দ্বাদশ শতকে আবার ক্রুসেডাররা এটিকে দখল করলে ক্রমেক্রমে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া ৩৬৩ সালে এক ভূমিকম্প ধ্বংস করে দেয় এর দালানগুলো, নষ্ট করে দেয় এর পানি সঞ্চালন ব্যবস্থাকে। মধ্যযুগে পেত্রার ধ্বংসাবশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, ত্রয়োদশ শতকের দিকে পেত্রা দেখতে যান ইজিপ্টের সুলতান বাইবারস।




বহু বছর অজানা থাকার পর এই প্রাচীন শহরটিকে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে উন্মোচন করেন সুইস পরিব্রাজক জোহান লুডিগ বুর্খার্দত, ১৮১২ সালে। জন উইলিয়াম বার্গন তার নিউডিগেট পুরস্কার বিজয়ী বিখ্যাত এক সনেটে একে বর্ননা করেছেন “a rose-red city half as old as time” বলে। বার্গন কিন্তু পেত্রাতে যাননি। বলা যেতে পারে যেতে পারেননি। কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পর্যন্ত শুধুমাত্র ইউরোপীয়ানরাই সেখানে যেতে পারতেন। স্থানীয় লোক আর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যেতে হত সেখানে। ইউনেস্কো এটিকে ‘বৈশ্বিক ঐতিহ্যবাহী স্থান’ ঘোষনা করে ১৯৮৫ সালে। ঘোষনায় পেত্রাকে বলা হয় “one of the most precious cultural properties of man's cultural heritage”। পেত্রা সংস্কৃতি, সম্পদ আর ক্ষমতায় একসময় যে কত সমৃদ্ধ ছিল তা প্রমাণ করতে পেত্রার ধ্বংসাবশেষই যথেষ্ট।


পেত্রা সম্পর্কে আমার পূর্বের পোষ্ট

ছবি সংগৃহিত

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-) সুন্দর এবং তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

ফানার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাহ!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

ফানার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালোলাগে আবার কষ্টও লাগে.......এমন চমৎকার সব জায়গা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে, আর নিজে যেতে না পারায় কষ্টটাও বুকে বেশ বাজে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

ফানার বলেছেন: সেই ২০১২ সাল থেকে চেষ্টা করতেছি যাওয়ার কিন্তু এখনও যেতে পারলাম না
বড়ই আফসোস ....................................

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা । ভাল লেগেছে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

ফানার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

আখেনাটেন বলেছেন: এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো অপার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছরের ধরে। সুন্দর পোষ্ট। জানা হল অনেক কিছু।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

ফানার বলেছেন: সহমত।।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

ফানার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইতিহাস !

অতীতের সাথে বর্তমানকে স্মরণ করিয়ে দেয়- চরম বাস্তবতা!!!

পোষ্টে ভাললাগা ++++

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪

ফানার বলেছেন: ++++ জন্য অনেক ধন্যবাদ।।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সুমন কর বলেছেন: পেত্রার কাহিনী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ছবিগুলোও ভালো এসেছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪

ফানার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পেত্রা র সাথে গ্রীসের স্থাপত্যশৈলীর মিল দেখতে পাচ্ছি ।
ইউরোপের স্থাপত্যশৈলী আরবে ঢুকল কেম্নে ??

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

ফানার বলেছেন: :( :( :(

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা।
সুন্দর সব ছবি দেখে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে বাস্তবে, কখনো যেতে পারবো কিনা জানিনা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৭

ফানার বলেছেন: বাস্তবে আপনার দেখার সৌভাগ্য হউক ---- এই কামনায়

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

সিগনেচার নসিব বলেছেন: সুন্দর সব ছবি সাথে বর্ণনা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৮

ফানার বলেছেন: ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.