নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম! ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম! ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক

শাফিউর রহমান ফারাবী

মুক্তির ১ পথ খিলাফত খিলাফত খিলাফতের দাবিতে নামতে হবে রাজপথে খলিফা বারবার সৈন্য প্রেরন করবেন। আমার Facebook User Name:- shafiur2012

শাফিউর রহমান ফারাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৩





Pearl S. Buck একজন বিখ্যাত মহিলা আমেরিকান উপন্যাসিক যিনি ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। উনার উপন্যাস গুলি ১৯০০ সালের চীনের সামাজিক পটভূমির উপর লিখিত। The Good Earth, East Wind:West Wind, A House divided এই গুলি উনার Best Selling উপন্যাস। pearl s. buck এর উপন্যাসে আমরা ১৯০০ সালে চীনের অনেক ধনী ব্যবসায়ী, বড় বড় আমলা, রাজনীতিবীদরা নিজ স্ত্রী ছাড়াও যে ঘরে আরো অনেক রক্ষিতা রাখতো এই তথ্য পাই। এই রক্ষিতাদের গর্ভে চীনের এইসব ধনী ব্যবসায়ী, বড় বড় আমলা, রাজনীতিবীদদের সন্তানও হত। কিন্তু এই শিশু গুলি কখনই তাদের পিতার পরিচয় পেত না। অনেকটা ঘরের কাজের ছেলের মত তাদের জীবন কাটতো।

পশ্চিম বাংলার একজন জনপ্রিয় উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় উনার “ প্রথম আলো ” উপন্যাসে ব্রিটিশ ভারতের সময়কাল ১৯০০ সালের দিকে ত্রিপুরার মহারাজ বীর চন্দ্র মাণিক্যের স্ত্রী ব্যতীত যে অনেক গুলি রক্ষিতা ছিল এই তথ্যও খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই রক্ষিতাদের ঘরে বীর চন্দ্র মাণিক্যের অনেক গুলি সন্তানও ছিল যাদের কে বলা হয়ত মহারাজের পৌরষত্যের প্রতীক। “প্রথম আলো” উপন্যাসে এই রক্ষিতাদের যখন বয়স ৪০ পেরিয়ে যেত তখন ত্রিপুরার মহারাজ বীর চন্দ্র মাণিক্য লাত্থি মেরে তাদের কে তার রাজপ্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দিত এই তথ্যও উল্লেখ আছে। এই কাহিনীগুলি কিন্তু আমরা শিক্ষিত সমাজের সবাই জানি যে ১৯০০ সালের দিকেও ভারত, চীন, বার্মায় ধনী ব্যক্তিরা স্ত্রী ছাড়াও অনেক রক্ষিতা রাখত যাদের কে ভদ্র ভাষায় উপ-পত্নী বলা হত। কিন্তু এই তথাকথিত উপ-পত্নীদের না ছিল কোন সামাজিক স্বীকৃতি না ছিল কোন সামাজিক নিরাপত্তা। এমনকি এই রক্ষিতা বা তথাকথিত উপ-পত্নীদের সন্তানেরাও কোন পিতৃ পরিচয় ছাড়াই বড় হত। যদি ১৯০০ সালের দিকে যদি সমাজপতিরা বিয়ে বহির্ভূত উপায়ে কোন সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়াই নারীদের কে এইভাবে ভোগ করে তাইলে একটু চিন্তা করে দেখুন ১৮০০, ১৭০০ সালের দিকে ঐসব দেশে মেয়েদের কি অবস্থা ছিল।



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহুবিবাহ নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষীরা অনেকেই অনেক কথা বলেন। সীরাত সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকায় শার্ট প্যান্ট পড়া অনেক মুসলিম যুবকই বিভ্রান্ত হচ্ছে তাদের এইসব কথায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন উপ-পত্নী বা রক্ষিতা ছিল না। সীরাত বিশেষজ্ঞরা সর্ব সাকুল্যে একমত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী ছিলেন মোট ১১ জন আর দাসী ছিলেন মোট ২ জন। অনেকে আবার বলেছেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ২ জন দাসী মিশর বাদশাহ থেকে উপহার হিসাবে প্রেরিত মারিয়া কিবতিয়া এবং বনী কোরাইজা গোত্রের রাইয়ানা বিনতে শামাউন কেও বিয়ে করেছিলেন। তাইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীর সংখ্যা হয় ১৩ জন এবং সেই হিসাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন দাসী ছিল না। মারিয়া কিবতিয়া এর গর্ভে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন পুত্র সন্তান হয়েছিল যার নাম ছিল ইব্রাহিম। ইব্রাহিম কে কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ৩য় পুত্র হিসাবেই ধরা হয়। যদিও মারিয়া কিবতিয়া ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দাসী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীরা হলেন উম্মুল মুমেনিন বা উম্মতের মাতা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকালের পরেও খলিফা হযরত আবুবকর, উমরের সময়েও উনারা ভাতা পেতেন এবং উনাদের মৃত্যুর পর খলিফা হযরত আবুবকর, উমরের ইমামতিতেই উনাদের জানাজা হয়ছিল। অর্থ্যাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কখনই কোন উপপত্নী বা রক্ষিতা ছিল না। কি কারনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বহুবিবাহ তা নিয়ে আমি এই ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করব।



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন একজন নবী। বুখারী মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে একজন নবীর গায়ে মোট ৪০ জন পুরুষের সমান শক্তি থাকে। অনেক নবীর আশ্চর্যজনক শারিরীক শক্তির কথা কোরআন হাদীসে পাওয়া যায়। যেমন দাউদ আলাইহিস সাল্লাম উনার সময়ের কাফের বাদশাহ জালুতকে জিহাদের ময়দানে মাত্র ৩ টা পাথরের টুকরার আঘাতে হত্যা করে ফেলেছিলেন। যদিও বাদশাহ জালুতের পুরা শরীর লোহার বর্ম দ্বারা ঢাকা ছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম বনী ইসরাইল বংশের এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে ফেরাউনের গোত্রের একব্যক্তিকে সামান্য একটা চড় মেরেছিলেন। আর মুসা আলাইহিস সাল্লামের সামান্য একটি চড়ের আঘাতেই ঐ ব্যক্তিটি মারা যায়। খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননের সময় যেই পাথর সকল সাহাবীরা সম্মিলিত ভাবেও ভাঙতে পারছিল না সেই পাথর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাত্র ৩ টা হাতুড়ির আঘাতে চূর্ন বিচূর্ন হয়ে যায়। মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শারিরীক শক্তি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। একজন পুরুষ যদি তার শারিরীক শক্তির তুলনায় একটি বিয়ে করেন তাইলে তো সেই হিসাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরো অনেক গুলি বিয়ে করার কথা।



এখন আমরা দেখবো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনের বিয়ে গুলি জীবনের কোন কোন পর্যায়ে করেছিলেন এবং ঠিক কি কারনে করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ২৫ বছরের যুবক ছিলেন তখন উনি বিয়ে করেছিলেন খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিয়ের সময় খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহার বয়স ছিল ৪০ বছর। খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন একজন বিধবা নারী যার আগে ২ টা বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহার ২ টি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তানও ছিল। খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটানা ২৫ বছর সংসার করেন। এই ২৫ বছর পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর কোন নারী কে বিয়ে করেননি। খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে সংসার জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরের বাইরে কাটাতেন। বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজ ও হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। খাদিযা রাযিয়াল্লাহু আনহার মৃত্যুর সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স ছিল ৫০ বছর। সেই সময়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘরে ৪ জন কন্যা সন্তান ছিল। এই কন্যা সন্তানদের দেখা শুনা করার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিধবা হযরত সাওদা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে বিয়ে করেন। হযরত সাওদার বয়স ছিল তখন ৫০ বছর। হযরত সাওদা রাযিয়াল্লাহু আনহার স্বামী সাফওয়ান ইবনে উমায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহু একটি পুত্র সন্তান রেখে মারা গিয়েছিলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে বিয়ে করেন। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের বয়স নিয়ে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক আছে। মুসনাদে আহমদে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিয়ের সময় আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যুবতী হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি Google এ The Marriage Age of Ayesha লিখে Search দিলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের বয়স বিষয়ে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মতামত পাবেন। এছাড়া এই লিংকে ক্লিক করলেও আপনারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের সময় আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বয়স নিয়ে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্কের কিছু তথ্য পাবেন অনেকেই বলেন আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে বিয়ে করার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাল্যবিবাহ করতে উম্মাত কে উৎসাহ দিয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ। এক আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা ছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সকল স্ত্রীই তো ছিল বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা। তাইলে কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মত কে খালি বিধবা/তালাকপ্রাপ্তা নারীদের কে বিয়ে করতে বলেছিলেন ? কখনই নয় বরং কোন সাহাবী বিধবা নারীকে বিয়ে করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সাহাবীকে জিজ্ঞাস করতেন তুমি কুমারী নারীকে কেন বিয়ে করনি ? আয়েশার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর বিধবা কন্যা হাফসা কে বিয়ে করেন। হযরত হাফসার স্বামী বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। এরপরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিধবা যয়নব বিনতে খুযায়মাকে বিয়ে করেন। যয়নব বিনতে খুযায়মার স্বামী ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। বিয়ের সময় যয়নব বিনতে খুযায়মার বয়স ছিল ৩০ বছর। মাত্র ৩ মাস দাম্পত্য জীবন যাপন করার পর যয়নব বিনতে খুযায়মা ইন্তেকাল করেন। এরপরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মে সালমাকে বিয়ে করেন। উম্মে সালমার স্বামী ১ টি পুত্র সন্তান রেখে ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। বিয়ের সময় উম্মে সালমার বয়স ছিল ৩০ বছর। এরপরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন ফুফাত বোন তালাকপ্রাপ্তা যয়নব কে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যয়নবের বয়স ছিল ৩৭ বছর। যয়নব রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিয়ে নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি এই লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন



বনু মোস্তালিক গোত্র মুসলমানদের কাছে হারার পর বনু মুস্তালিক গোত্রের গোত্রপতি হারিসের কন্যা জুয়াইরিয়াকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়ে করেন। জুয়াইরিয়ার স্বামী মুনায়েফ ইবনে সাফোয়ান মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে জুয়াইরিয়াই নিজের ইচ্ছাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বিয়ে করেন। এরপরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবাকে বিয়ে করেন। উম্মে হাবিবার স্বামী উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ মুরতাদ হয়ে যাওয়ার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই তার সাথে উম্মে হাবিবার ছারাছাড়ি হয়ে যায়। বিয়ের সময় উম্মে হাবিবার বয়স ছিল ৩৬ বছর। এরপরে খয়বারের যুদ্ধে ইহুদীরা পরাজিত হওয়ার পর ইহুদী নেতা হুয়াই বিন আখতারের কন্যা সাফিয়া কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়ে করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিয়ের আগে সাফিয়ার আরো ২ বার বিয়ে হয়েছিল। এরপরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সর্বশেষ বিয়ে হয়েছিল মায়মুনার সাথে। মায়মুনাও একজন তালাক প্রাপ্তা নারী ছিলেন। উনার আগের স্বামী ছিলেন আবু রহম ইবনে আব্দুল উজ্জা। বিয়ের সময় মায়মুনার বয়স ছিল ৩২ বছর। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ২ জন দাসী রায়হানা ও মারিয়া কিবতিয়া যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে নীত হন তখন উনাদেরর বয়স ছিল যথাক্রমে ২৮ বছর ও ২৩ বছর।



আমরা এইখানে দেখতে পাই যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র আয়েশা ছাড়া আর সবাই ছিল বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা। অনেকের আবার পূর্বের স্বামীর ছেলে মেয়েও ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি জৈবিক চাহিদার জন্য বিয়ে করতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে অবশ্যই কুমারী নারীদের কে বিয়ে করতেন। আমাদের দেশেও অনেক ধনী ব্যক্তি উনার ৪০ বছর বয়সে গ্রাম থেকে একটা কুমারী মেয়ে ধরে নিয়ে এসে বিয়ে করে। কুমারী মেয়ে বিয়ে করা হচ্ছে একটা মানুষের Basic instinct. আর কুমারী মেয়ে বিয়ে করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য কোন কঠিন কাজ ছিল না। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি জৈবিক চাহিদার জন্যই বিয়ে করতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে কেন উনি বিগতা যৌবণা বিধবা তালাক প্রাপ্তা নারীদের কে বিয়ে করবেন ? মক্কী জীবনে কাফেররা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনেকবারই বলেছিলেন যে আপনি চাইলে আরবের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের কে আপনার সামনে নিয়ে এসে হাজির করি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন- “ আমার এক হাতে সূর্য্য আর এক হাতে চন্দ্র দিলেও আমি ইসলাম প্রচার থেকে পিছপা হব না। ” সুন্দর নারীদের প্রতি যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর লোভই থাকত নাউযুবিল্লাহ তাইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সময়ই মক্কার কাফেরদের কথা মেনে নিয়ে সুন্দরী নারীদের কে হস্তগত করে ইসলাম প্রচার থেকে বিরত হয়ে যেতেন। বুখারী মুসলিম শরীফে অনেক হাদীসে বর্ণিত আছে একটানা ২ মাস উম্মুল মুমেনিনদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না। শুধু খেজুর আর পানি খেয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর উম্মুল মুমেনিনরা জীবন যাপন করতেন।



সেই যুগে আরবের একজন সাধারন ব্যক্তির গৃহেও ৪-৫ টা দাসী ছিল। রাস্তাঘাটে গরু ছাগলের মত দাস-দাসী কেনা বেচা হত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু চাইলেই পারতেন বিয়ে না করেও উনার ইচ্ছামত ৪-৫ টা দাসী ঘরে রাখতে। সেই যুগে আরবে এটা খুব সাধারন একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বৈবাহিক জীবনের মাধ্যমে সমাজের দাসী প্রথাকে বিলুপ্ত করে উম্মত কে বৈবাহিক প্রথার দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশে ও উৎসাহে অনেক সাহাবীও উনাদের অধীনস্থ দাসীদের কে মুক্ত করে দিয়ে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। অনেক বড় বড় তাবেইনদের মা রা কিন্তু উনাদের পূর্ব জীবনে দাসী ছিলেন। আর যৌণতা বা জৈবিক চাহিদা মানব জীবনের কোন অস্বীকার করার জিনিস নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আমাদের মত একজন রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন এবং উনারও জৈবিক চাহিদা ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্ত্রীদের পালাক্রমে সময় দিতেন। অর্থ্যাত্‍ যে স্ত্রীর সাথে উনি ১ম রাতে থাকতেন ২য় রাতে উনি অন্য স্ত্রীর সাথে থাকতেন। যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক স্ত্রীর সাথেই সব সময় থাকতেন তাইলে ঐ স্ত্রীর উপর একটা বিরাট শারিরীক চাপ আসতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালাক্রমে প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে থাকার কারনে কোন স্ত্রীর উপরই বাড়তি কোন শারিরীক চাপ আসে নি।



ইসলাম কোন ধর্ম না ইসলাম হল একটা জীবন ব্যবস্থা। হাদীস সংরক্ষন ও দ্বীনের ইলম শিক্ষার উদ্দেশ্যে ৭০ জন সাহাবী সার্বক্ষনিক ভাবে মসজিদে নব্বীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে থাকতেন। উনাদের কেই আসহাবে সুফফা বলা হত। কিন্তু এই সকল সাহাবীর পক্ষে ইসলামের পর্দা প্রথার কারনে সম্পর্কহীনা নারীদের মাঝে দ্বীন ইসলাম প্রচার করা সম্ভব ছিল না। যেহেতু মাদানী জীবনে ইসলামের প্রচুর বিধিবিধান নাযিল হয়েছিল তাই নারী সমাজের নিকট দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্যও অনুরুপ একদল মহিলা সাহাবীরও প্রয়োজন ছিল যাদেরকে সার্বক্ষনিক ভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহচর্যে থেকে দ্বীন ইসলাম শিখে নারী সমাজের নিকট প্রচার করার প্রয়োজনীয়তা ছিল।



মেয়েদের সম্পর্কিত অনেক মাসলা মাসায়েল গুলি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীগন যারা হলেন উম্মতের মাতা বা উম্মুল মুমেনিন তাদের মাধ্যমে নারী সমাজের কাছে এসেছে। খোদ আয়েশা রাযিয়াল্লহু আনহা ২২১০ টি হাদীস বর্ণনা করেছেন যার মধ্যে মধ্যে মুত্তাফিকুন আলাইহি হচ্ছে ১৭৪ টি । উম্মে সালমা রাযিয়াল্লাহু আনহা ৩৭৮ টি হাদীস বর্ননা করেছেন যার মধ্যে মুত্তাফিকুন আলাইহি হচ্ছে ১৭৪ টি । মেয়েদের এই মাসলা গুলি মেয়েদের মাধ্যমেই আসা সম্ভব ছিল। পুরুষ সাহাবীদের মাধ্যমে এই মেয়েলী মাসলা গুলি আসা কখনই সম্ভব ছিল না আর এটা শোভনও ছিল না। আর মেয়েদের এই মাসলা গুলি বেশির ভাগ মাদানী জীবনেই নাযিল হয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বেশির ভাগ বিয়েই উনার মাদানী জীবনে সংঘটিত হয়েছিল। এখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি এই প্রয়োজন পূর্ণ করার লক্ষ্যে বৈবাহিক সম্পর্কহীনা ২/৪ জন স্ত্রীলোক কে উনার সাথে রাখতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে এর পথ ধরে মুসলিম সমাজের মাঝেও হিন্দুদের মন্দিরের মত সেবাদাসী প্রথা বা খ্রিষ্টানদের গীর্জার মত সন্নাসিনী বা Nun প্রথা চালু হয়ে যেত এবং যার পথ ধরে মুসলিম সমাজের ভিতর অনেক অনৈতিকতার পথ উন্মুক্ত হতে পারতো এবং ইসলামের ভিতর পর্দা প্রথা টি ধ্বংস হয়ে যেত। আর তাই বৈবাহিক বন্ধন ছাড়া আর কোন উপায়ে যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদের কে উনার সাথে রাখতেন তাইলে অদূর ভবিষ্যতে ইসলামের ভিতর মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হয়ে যেত যা ইসলামের পর্দা প্রথার সাথে সাংঘর্ষিক। আর তাই একমাত্র বিয়ের মাধ্যমেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের কাছে এই মাসলা গুলি পৌছিয়ে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি বৈবাহিক সম্পর্কবিহীন একটি মেয়েদের জামাত কে সার্বক্ষনিক ভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রাখতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাস্তিকদের কাছে খুবই চরিত্রবান ব্যক্তিতে পরিনত হয়ে যেতেন। তাই যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ নিয়ে অশ্লীল কথা বলে তারা আসলে চাইছিল ইসলামের ভিতরেও যেন মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হোক। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর

পবিত্র বৈবাহিক জীবনের কারনে ইসলামের ভিতর কখনই কোন ভাবেই মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হতে পারবেনা তাই ইসলাম বিদ্বেষীদের এখন যত রাগ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বৈবাহিক জীবনের উপর।





তথ্যসূত্রঃ

১. মাদারিজুন নবুওয়াত [নবুয়্যতের মর্যাদা], আল্লামা শায়খ আব্দুল হক্ক মুহাদ্দেস দেহলভী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।



২. নবীয়ে রহমত, সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।



৩. প্রিয় নবীর প্রিয় প্রসঙ্গ, মদীনা পাবলিকেশন্স, ৩৮/২, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল



স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী

মাওসেতুং এর সময় চীনা মুসলমানদের দূর্দশতার কথা শুনুন

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২১/-১

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৪

রিজু বলেছেন: হুম একটা জিনিস হয়ত ঠিক, তখনকার প্রেক্ষাপটে হয়ত বিয়ে গুলো ঠিকই ছিল। এখনকার প্রেক্ষাপটে কোনমতেই না, যত লজিকেই দেখান। একটা জিনিস মেনে নিলেই সব দিক থেকে ঝামেলা কমে যায়, ঐ সময় আর এই সময়ের ধ্যানধারণা কোন মতেই এক না।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: +++++

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০০

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Islam bole sob somoyer sarbojonin dhormo! Bibaho prothato porer bapar. Islame dasi sex boidho. Sura al nur : 33 . Namaji hanadar bahini benamaji bangali musolman amar apnar ma bonder goni moter mal hisebe babohar korto etao boido. Soudi amir dasi der sate ja kore tao islame boidho

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২১

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: দাস দাসী প্রথা আর ইসলামে নাই। আমার এই ব্লগে আলোচনা করছি। এইখানে যান Click This Link

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৩

কনিফউজড_েনিটেজন বলেছেন: কোন কমেন্ট করলেই তো আবার বলবেন "অবমাননা" করা হয়েছে।

তাই ..... থা..ক..।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৯

শজীব বলেছেন: +++

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৩

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: দাস দাসী প্রথা আর ইসলামে জায়েজ নাই। আমি এটা এই ব্লগে আলোচনা করছি। এই লিংকে যান Click This Link

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৯

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Pritibite ekhon ar das dasi nei! Islam na sob somoyer dhormo?

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩২

শ্রীঘর বলেছেন: অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের পূর্ব পূরুষেরা নিন্ম বর্ণের হিন্দু ছিল। ভারতে আমাদের উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা অনেক আগেই চলে গিয়েছে যখন আমরা মানে নিন্ম বর্ণের হিন্দুরা মুসলমান হতে থাকি।

আমাদের শরীরে আসলে এখনও হিন্দু জিন বহাল তবিয়তে আছে।
১। এখনো আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় চৌকাঠে পা লাগলে (উসটা খেলে) একটু জিরিয়ে নেই।
২। রাত্রে বেলা ঘর ঝাড়ু দিই না।
৩। খালি পাত্র দেখে ঘর থেকে বের হই না। ইত্যাদি।

হিন্দুদের বহু বিবাহে আগ্রহ কম ছিল তেমনি আমাদেরও।

আরো ৫০/১০০ বছর পর হউক তখন হয়ত আরবদেশের লোকদের মত ২টি,৩টি,
৪টি বিবাহ করতে থাকব।

বাংলাদেশে কোন লোক যদি ২টি বিবাহ করে তবে তাকে ভাল চোখে দেখে না। তার
কোটি টাকা থাকলেও সমাজ তাকে ভাল চোখে দেখে না। এটা আমাদের একটা পজিটিভ দিক।

ব্রো অনেক সময় লাগবে জিন বদলাতে। ততদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।

খালি বিয়া করলেই হল না সমাজ বলে তো কথা আছে।


৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৫

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Islame bohugami boidho . Proman- koran , nobi rasul der jibone bohu nari songo. R somaje bohu gamir fole j varsammohinota , broken family sristi hoi , tar jonne islamo bohulangse dayee.

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৩

Jokiad বলেছেন: সীরাত KI?

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৮

রিমন০০৭ বলেছেন: Apnar post dekhe mona hosse, apni jobabdihi korsen.

Jara Islam biddeshi tader kase amra Muslim ra kano jobabdihi korbo?

Oder lafalafite Islamer kisui hobena.

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু কইতে চাইসিলাম, মাগার...থাউক!

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২২

অনিক আহসান বলেছেন: @ হাসান মাহবুব

কইতে কইতে ক্লান্ত। দুঃখ মাঝে মাঝে ১৩ বিয়া কইরা সুন্নতি হয়া যাইতে মুঞ্চায়।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৩

রকিবুল আলম বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

ইসলাম ৪ টা বিয়ের অনুমতি দেয় বলার থেকে এই বলা উত্তম যে ৪ থেকে বেশী বিয়ে করার অনুমতি দেয় না। মানে, ৪ টা হল ডেঢলাইন।

কারন তখন যে যত খুসি বিয়ে করত। তখন ৪ টা পর্যন্ত একটা লিমিট করে দেয়।

সুতরাং এইটা বলা উত্তম যে, ইসলাম ধর্মে ৪ টা বিয়ে হচ্ছে বিয়ে করার লিমিট বা ডেঢলাইন।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

রিমন০০৭ বলেছেন: হিন্দু রাজারা কয়টা বিয়ে করত?
হিন্দু দেবতারা কার কার সাথে সেক্স করত, আর তারা বহুগামী ছিল কি না, আপনি তাদের জিগান।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৩

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: jokaid@ সীরাত মানে হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৬

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: ইসলামে চাইলেই কেউ ৪ টা বিয়ে করতে পারবেনা। তাকে অবশ্যই ৪ স্ত্রীর মাঝে সমতা রাখতে হবে। মানে ৪ স্ত্রীকে একই সময় দিতে হবে। আর অর্থ বস্ত্রের সমান সুযোগ সুবিধা তো আছেই।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: এই লেখাটা আমি আজকে NOTE আকারে Facebook এও দিছি। এই লিংকে যান Click This Link

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৫

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আপনি কয়টি বিয়ে করতে ইচ্ছুক?কিছু মনে করবেন না ব্যাক্তিগতব্যাপারে প্রশ্ন করলাম।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৫

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: কোন হিন্দু বা খ্রিষ্টান দম্পত্তি এক সাথে মুসলমান হয়ে গেলে আর তাদেরকে নতুন করে বিয়ে পড়াইতে হয় না। এতে বুঝা যায় যে ইসলাম বিয়েকে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছে। Live Together একটা নতুন জিনিস হলেও জিনিসটা খারাপ কিন্তু বিয়ে একটা প্রাচীন প্রথা হলেও জিনিসটা ভালো।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:২৪

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: Live Together কিভাবে খারাপ একটু ব্যাখ্যা করেন।

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৪

বিস্কুট বলেছেন: এখানে বেশকিছু ব্যাখা রয়েছে মূর্খের মতন।

যেমন শক্তির বিচারে উনার একাধিক নিকাহ মুবারক করা। আসলে বিষয়টি হলো উনি যেহেতু সব নবী রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উর্ধ্বে, সেহেতু উনার যতখুশি শাদী মুবারকের অনুমতি ছিল। কারণ পূর্ববর্তী নবী রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ১০০০ শাদী মুবারকের ইতিহাস রয়েছে। আমাদের হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার আযওয়াজুম মুতাহহারাত ছিলেন মাত্র ১৩ জন। এখানে শক্তি বিবেচ্য নয়।

এই বিষয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম। একজন খ্রিস্টান পাদ্রী বলেছিল, যিনি তেরটি বিবাহ করেছেন, উনাকে আমরা শ্রদ্ধা করতে পারিনা(নাউযুবিল্লাহ)। প্রত্যুত্তরে তাকে বলা হয়েছিল, আপনি হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মান করেন, হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনাকে? পাদ্রী বলল, অবশ্যই কারণ তারা বাইবেলের অন্যতম নবী। তখন তাকে বলা হল, হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম একশটি এবং হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম একহাজার শাদী মুবারক করেছেন। তখন খৃস্টানটি লা জওয়াব হয়ে গেল।

শুনুন নাস্তিক আর বিধর্মীদের কাছে আমাদের কৈফিয়ত দেয়ার কিছুই নেই। কারণ তারা হল লেজকাটা শিয়ালের মত। নিজেদের লেজ নেই তাই আরেকজনেরটা নিয়ে ব্যঙ্গ করে।


২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৮

প্রযুক্তি বলেছেন: Anik ahsan..eto dholai er poreo abero asen eikhane...manush er pisone angul dea chara er kichu koren?

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:২৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখন আপনি বলেছেনঃ মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল।

আপনার মাথা ঠিক আছে? আপনি রাসুল (সাঃ) কে কুস্তিগীর বানালেন।

লেখন আপনি বলেছেনঃ আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের বয়স নিয়ে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক আছে। মুসনাদে আহমদে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিয়ের সময় আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যুবতী হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

শরীয়তী আলেমরা আয়শা (রাঃ) বয়স সর্বচ্চ ৯ বছর টেনে টুনে নিয়ে গেছেন। তার পরেও আয়েশা (রাঃ) শিশু ছিলেন।

লেখন আপনি নিজেই বলছেনঃ বুখারী মুসলিম শরীফে অনেক হাদীসে বর্ণিত আছে একটানা ২ মাস উম্মুল মুমেনিনদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না। শুধু খেজুর আর পানি খেয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর উম্মুল মুমেনিনরা জীবন যাপন করতেন।

কথা হচ্ছে উম্মুল মুমেনিনদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না তারা খেজুর খেয়ে জীবন ধারণ করতো। তাহলে ইসলাম বলছে তোমরা যদি ইনিসাফ না করতে পারো সেই ক্ষেত্রেই একটি বিয়ে কর। এত অভাব নিয়ে এতগুলো বিয়ে করে নারীদের কষ্ট দেওয়া ইসলাম সিদ্ধ কি?

লেখন আপনি নিজেই বলছেনঃ কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বৈবাহিক জীবনের কারনে ইসলামের ভিতর কখনই কোন ভাবেই মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হতে পারবেনা।


শাফিউর রহমান ফারাবী ইসলামে দাশদাসী নাই আপনাকে কে বলেছে? আপনি জানেনকি এখনো কোরআনে জলজল করছে দাশদাসী প্রথার কথা! পারলে আগে কোরআন পড়েন।



২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৪৩

হাবিবুল্লাহ শোয়েব বলেছেন: ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট কিখলেন । জাযাকাল্লাহ ।

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৪৬

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর@ দাস দাসী প্রথা আর ইসলামে জায়েজ নাই এটা আমি উপরের একটা কমেন্টেই বলে দিয়েছি। ঐখানে এই ব্যাপারে সামুতে আমার লেখা একটা লিংকও দিছি। আর সেলিম জাহাঙ্গীর লোকটা খ্রিষ্টান। সে মিশনারী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা খেয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে।

২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২৬

অশুথ বলেছেন: আমি সমালোচনা করছি না শুধু জানতে চাছছি যে
বাকি দুইজন দাসিকে কেন বিয়ে করলেন না তার কনো কারন কি আপনার জানা আছে?

২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৬

রুপবান বলেছেন: আল কোরান : ৩৩/৫০ ;

[50] হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


এ বিষয়ে লেখকের বক্তব্য কি??

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর ভাই,
আপনি বলেছেন,
মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল।

আপনার মাথা ঠিক আছে? আপনি রাসুল (সাঃ) কে কুস্তিগীর বানালেন।

>>> যদি আপনি মুসলমান হন তবে অবশ্যই আপনি বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ তায়ালার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব এবং উনি তৎক্ষনার এই মুজাজাটি হুজুর স.-এর দ্বারা করিয়েছিলেন।

আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের বয়স নিয়ে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক আছে। মুসনাদে আহমদে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিয়ের সময় আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যুবতী হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনি বলেছেন,
শরীয়তী আলেমরা আয়শা (রাঃ) বয়স সর্বচ্চ ৯ বছর টেনে টুনে নিয়ে গেছেন। তার পরেও আয়েশা (রাঃ) শিশু ছিলেন।

>>> আপনি হযরত আয়শা রা.-এর একটা উক্তি দেখান যেখানে উনি বলেছেন যে, ঐ বয়সে বিয়ে হওয়ার কারনে আমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
যদি উনি এই জাতীয় উক্তি করে না থাকেন তবে আপনার হঠাত তার জন্য এত দরদ ওঠার হেতু জানতে পারি কি ???

লেখন আপনি নিজেই বলছেনঃ বুখারী মুসলিম শরীফে অনেক হাদীসে বর্ণিত আছে একটানা ২ মাস উম্মুল মুমেনিনদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না। শুধু খেজুর আর পানি খেয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর উম্মুল মুমেনিনরা জীবন যাপন করতেন।

আপনি বলেছেন,
কথা হচ্ছে উম্মুল মুমেনিনদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না তারা খেজুর খেয়ে জীবন ধারণ করতো। তাহলে ইসলাম বলছে তোমরা যদি ইনিসাফ না করতে পারো সেই ক্ষেত্রেই একটি বিয়ে কর। এত অভাব নিয়ে এতগুলো বিয়ে করে নারীদের কষ্ট দেওয়া ইসলাম সিদ্ধ কি?

>>>
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :—
إني لأعلمكم بالله، وأشدّكم له خشية .
আল্লাহ সম্পর্কে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি অবগত এবং আল্লাহকে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি।

আপনি এখন হুজুর স.-এর উপর ইসলাম পরিপূর্ণরূপে মেনেছেন কিনা সেই অভিযোগ করছেন !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

হুজুর স. গরীব ছিলেন না। কিন্তু তার কাছে যে সম্পদ আসত তা দান করে দিতেন।
আর এক সময় ধনী আবার আর এক সময় গরীব এটা তো যে কোন মানুষের জীবনেই হতে পারে।

কোন গরীব ব্যক্তি পারে এভাবে দান করতে ???

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাওয়া হলে তিনি না বলতেন না।
আনাছ বিন মালেক (রা:) বলেন :-
ما سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم شيئا إلا أعطاه، فسأله رجل فأعطاه غنماً بين جبلين، فأتى الرجل قومه، فقال لهم: يا قوم أسلموا، فإن محمداً يعطي عطاء من لا يخاف الفاقة. رواه مسلم: 4275
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু চাওয়া হলে তিনি দিয়ে দিতেন। এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট চাইল, তিনি তাকে দুই পাল ছাগলের মধ্য থেকে এক পাল দিয়ে দিলেন, সে লোক নিজ গোত্রে এসে বলল, হে গোত্রের লোকেরা! তোমরা মুসলমান হয়ে যাও, কেননা “মোহাম্মদ এমন ব্যক্তির ন্যায় দান করে যে দারিদ্র্যের ভয় করে না”

আপনি বলেছেন,
কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বৈবাহিক জীবনের কারনে ইসলামের ভিতর কখনই কোন ভাবেই মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হতে পারবেনা।


শাফিউর রহমান ফারাবী ইসলামে দাশদাসী নাই আপনাকে কে বলেছে? আপনি জানেনকি এখনো কোরআনে জলজল করছে দাশদাসী প্রথার কথা! পারলে আগে কোরআন পড়েন।

>>> জনাব দাসপ্রথা আর সন্ন্যাসি এই দুটির ভেতরে যদি পার্থক্য করতে না পারেন তবে আসলেই এই ব্যাপারে বলার আমার বলার কিছুই নেই !!!

৩০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: অনেক নারীই আমাদের নবীর কাছে এসে নিজেকে হেবা করতো। কিন্তু নবীজি কোন নারীকেই গ্রহন করেননি। এই সকল নারীদের কে সাহাবীদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতেন

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার শুনেছিলেন যে হযরত আলী ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহা জীবিত থাকতে আরেকটা বিয়ে করতে চাইছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন - " যে ফাতেমাকে কষ্ট দেয় সে যেন আমাকে কষ্ট দিল।" যেহেতু ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহার ছেলে মেয়ে ছিল তাই সন্তান হয় না এই অছিলায়ও কিন্তু হযরত আলীর ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহা জীবিত থাকতে আরেকটা বিয়ে করার অযুহাত ছিল না। হযরত আলী তাই ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহা জীবিত থাকতে আর বিয়ে করেননি। তবে ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহার মৃত্যুর পর হযরত আলী আবার বিয়ে করেছিলেন। অনেক বড় বড় সাহাবী এক স্ত্রী দ্বারাই সন্তুষ্ট ছিল সারাজীবন। অনেক সাহাবী আবার তাঁর অধীনস্থ দাসীকেই বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। এই ঘটনা দ্বারা বুঝা যায় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ইসলাম নিজ স্ত্রী জীবিত থাকতে বহুবিবাহ করতে নিরুত্‍সাহিত করেছে।

৩২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২

ত্রিশোনকু বলেছেন: হজরত মোহাম্মদ সাল্লালাহি ওয়াসাল্লাম বিয়ে করতে চেয়েছিলেন আল্লাহ অনুমতি দিয়েছেন। উনি বিয়ে করেছেন। ব্যাস শেষ।

এর মধ্যে এত খোঁড়া, হাস্যকর যুক্তি আনছেন কেন?

৩৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোঃআমজাদুর রহমান রুবেল বলেছেন: AHSAN NAMER AI BLOGER KI MUSOLMAN

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৯

দংশন বলেছেন: অনেক কথাই বলা যায়.........।একটা কথাই বলতে চাই ৬ বছর বয়সি একটা মেয়েকে ৬০ বছরের একজন বৃদ্ধ কিভাবে বিয়ে করে...!!?? আপনি কি পারবেন আপনার ছোট্ট মেয়েকে বা আপনার ছোট্ট বোনকে ৬০ বছর বয়সি কারো সাথে বিয়ে দিতে...????
ভাই বিশবাস আর যুক্তি আলাদা জিনিস। আমিও অনেক কিছুই বিশবাস করি কিন্তু যুক্তিতে ফেলাই না ...।।

৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩১

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকায় প্রত্যেকটা পুরুষই বিবাহ বহির্ভূত উপায়ে Girl Friend, বন্ধুর স্ত্রী, সহকর্মী এরকম ভাবে জীবনে মোট ৮ থেকে ১০ জন মেয়ের সাথে ব্যভিচার করে। এই সব ব্যভিচার করার চেয়ে বিয়ে করা কি উত্তম না ? আপনি কি আপনার বোনকে বিয়ে ছাড়া অন্য কোন পুরুষের সাথে বিছানায় শুইতে দিবেন ? অবশ্যই বিয়ে হল একটা মেয়ের সামাজিক স্বীকৃতি ও একটা সামাজিক নিরাপত্তা। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকার অনেক আইনবিদও বহুবিবাহের পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। এমনকি পোপও বলছেন যে গীর্জার ফাদার দের বিয়ে হওয়া উচিত।

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩২

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: আপনি যদি এক স্ত্রী দ্বারা তৃপ্ত না হতে পারেন এবং আপনার যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে তাইলে তো আপনি ঠিকই আরেকটা বিয়ে করবেন। তবে আপনি ঐ বিয়েটা করবেন কোন গরীব ঘরের কুমারী মেয়ে কে। আপনি কখনোই সমাজের কোন অসহায় তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীকে বিয়ে করবেন না। আর যদি বিয়ে না করতে পারেন তাইলে একটা ফ্ল্যাটে ঐ মেয়েটাকে রক্ষিতা হিসাবে রেখে ভোগ করবেন। আর ঐ মেয়েটার বয়স যখন ৪০ বছর হবে তখন আপনি ঐ মেয়েটাকে লাত্থি মেরে আপনার ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেবেন। ঢাকা শহরে এখন অনেক ধনী ব্যক্তিই রক্ষিতা পুসছে তার ভাড়া করা একটা ফ্ল্যাটে। এগুলি এখন সমাজে Open Secret

৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩৪

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: নাস্তিকদের রাজনৈতিক গুরু চীনের মাওসেতুং এর ৪ টা রক্ষিতা ছিল যদিও খাতায় কলমে মাওসেতুং এর স্ত্রী ছিল ১ জন। রুশ কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট স্টালিনেরও অনেক গুলি রক্ষিতা ছিল। এই রক্ষিতাদের গর্ভে মাওসেতুং আর স্টালিনের বাচ্চা কাচ্চাও হইছে। কিন্তু এই শিশু গুলি কখনোই পিতৃ পরিচয় পায় নি। মাও সেতুং এর ব্যক্তিগত ইউরোপীয় চিকিত্‍সকের মাধ্যমে পরে এইসব কুকীর্তির কথা জানা যায়। তাছাড়া Pearl S. Buck এর উপন্যাস গুলি পড়লেই চীনের ধনী ব্যক্তিদের অধীনস্থ রক্ষিতাদের করুন কাহিনী চোখের সামনে ফুটে উঠে। বানর প্রজাতির নাস্তিকরা এইসব কথা জেনেও না জানার ভান করে।

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে অনেক কুমারী নারীই নিজেকে হেবা বা উত্‍সর্গ করতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সকল কুমারী নারীর কাউকেই গ্রহন করেননি। বরং সাহাবী রাযিআল্লাহু আনহুদের সাথে ঐসকল কুমারী নারীদের বিয়ে দিয়ে দিতেন। ১৪০০ বছর আগে আরবের একজন সাধারন মানুষের গৃহেও ৫-৬ টা দাসী থাকতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ২ জন ছাড়া আর কোন দাসী ছিল না। বরং মারিয়া কিবতিয়া ও রায়হ্যানা কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মানিত স্ত্রী হিসাবে ধরলে তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘরে আর কোন দাসীই থাকে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাইলেই পারতেন হেবাকৃত কুমারী নারীদের কে নিজের কাছে রাখতে। খয়বরের যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরাট এক রাজ্যের মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু পানি ও খেজুর খেয়েই উম্মুল মুমেনীনরা তাদের জীবনের বেশীর ভাগ অংশ কাটিয়েছেন। খিলাফতের সময়কালেও উম্মুল মুমেনীনরা সাধারন জীবন যাপন করেছেন। এমনও হয়েছে খোদ আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহা সাওম পালন করা অবস্থায় এক দিনেই ১ লাখ স্বর্ণমুদ্রা দান করে দিয়েছেন কিন্তু ইফতার এর সময় উম্মুল মুমেনীনদের ঘরে শুধু খেজুর আর পানি ছাড়া আর কিছু ছিল না। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু উনারা যে সবাই রোযা ছিলেন এই কথাটা স্বর্ণমুদ্রা গুলি দান করার সময় উনাদের একবারও মনে হয় নি। শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হতেই উনারা নিজ ইচ্ছায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে অনেক কুমারী নারীই নিজেকে হেবা বা উত্‍সর্গ করতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সকল কুমারী নারীর কাউকেই গ্রহন করেননি। বরং সাহাবী রাযিআল্লাহু আনহুদের সাথে ঐসকল কুমারী নারীদের বিয়ে দিয়ে দিতেন। ১৪০০ বছর আগে আরবের একজন সাধারন মানুষের গৃহেও ৫-৬ টা দাসী থাকতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ২ জন ছাড়া আর কোন দাসী ছিল না। বরং মারিয়া কিবতিয়া ও রায়হ্যানা কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মানিত স্ত্রী হিসাবে ধরলে তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘরে আর কোন দাসীই থাকে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাইলেই পারতেন হেবাকৃত কুমারী নারীদের কে নিজের কাছে রাখতে। খয়বরের যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরাট এক রাজ্যের মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু পানি ও খেজুর খেয়েই উম্মুল মুমেনীনরা তাদের জীবনের বেশীর ভাগ অংশ কাটিয়েছেন। খিলাফতের সময়কালেও উম্মুল মুমেনীনরা সাধারন জীবন যাপন করেছেন। এমনও হয়েছে খোদ আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহা সাওম পালন করা অবস্থায় এক দিনেই ১ লাখ স্বর্ণমুদ্রা দান করে দিয়েছেন কিন্তু ইফতার এর সময় উম্মুল মুমেনীনদের ঘরে শুধু খেজুর আর পানি ছাড়া আর কিছু ছিল না। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু উনারা যে সবাই রোযা ছিলেন এই কথাটা স্বর্ণমুদ্রা গুলি দান করার সময় উনাদের একবারও মনে হয় নি। শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হতেই উনারা নিজ ইচ্ছায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: ভাইয়েরা আপনারা দয়া করে সবাই আমার এই লেখাটা Facebook এ Share করুন

৪১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫২

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: শুরুটা দুর্দান্ত ছিলো! কিন্তু একটা কথা আছে না? "লেবু" অতিরিক্ত কচলাইলে তিতা হয়া যায়! তাই হৈছে.... :-|

৪২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৩

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Boidho bohugami somajer dongser jonne dayee eta manen? Vai eto lekha lekhi na kore gorib manusder jonne kichu koren . Allah besi khusi hoben.

৪৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৩

ইউনিকর্নের পুনর্জন্ম বলেছেন: এই সময় আর সেই সময় আবার কি জিনিস?

ইসলাম না সব সময়ের ধর্ম । অগাধ সাইন্সে ঠাসা ।



আমরা করলে ভীমরতি, আর উনি করলে সুন্নত !!!! নাউজুবিল্লাহ B:-)

৪৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৭

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Unicorn hok kotha koilen

৪৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৬

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: বিস্কুটের কমেন্ট ভাল লেগেছে, লেখককে লেখাটি আরো সমৃদ্ধ করতে বলব বিস্কুটের কমেন্ট মাথায় রাইখা।

আর সেলিম জাহাঙ্গীর একজন ইতর। প্রথম কোরআনকে নির্ভুল হিসেবে দাবী করতো আর হাদিসকে একেবারে পাত্তা দিত না। পরে একদিন দেখলাম লিখেছে, কোরআন সংকলনের সময়ে নির্ভুলভাবে সংকলিত হয়নি। কারণ কোরআনে ৬৬৬৬ টি আয়াত ছিলো এখন আয়াত আছে আরো কম। আমি জিঙ্গাসা করেছিলাম ৬৬৬৬ আয়াত ছিল এটি কে বলেছে কোথায় আছে?? তখন সঠিক কোন উত্তর না দিতে পেরে বলেছিলো ইতিহাস পড়তে। ঐ খৃষ্টান নাকি নাস্তিকটা ব্লগে সুই হয়ে ঢুকে সাবল হয়ে বের হতে চেয়েছিলো, কিন্তু ল্যান্জা ঢেকে রাখতে পারেনি। ওরা নিজেরা নিজেদের অজান্তেই ইসলামকে সমালোচনার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করছে।

সুরা সাফ (৬১) এর ৮, ৯ নং আয়াত ওদের জন্য। ওরা অপছন্দ করে তারপরেও ইসলামকে আল্লাহ উপরে তুলবেন প্রজ্জলিত করবেন।

৪৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৮

মেলবোর্ন বলেছেন: রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় আয়শা (রাঃ) র বয়স ৬ বছর ছিল এটা এক বিরাট ঐতিহাসিক ভ্রান্তি।
লিখেছেন গুপী গায়েন ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩০

Click This Link

সম্পদের লালসা ও বিবাহ Vs মুহম্মদ (সা).. সামুরাইয়ের যুক্তিখন্ডন
Click This Link

আর ফারাবি নিচের এই প্যরার সাবগুলো ঘটনা আপনি সঠিক রেফারেন্স দিয়ে উপস্থাপন করুন নাইলে বাদ দেন শক্তির জণ্য নবী রাসুলরা কখনো বিয়ে করেন নাই বিয়ে গুলো ছিল সামাজিক পরিবর্তন আনতে তাই ইসলামকে প্রচার করতে গিয়ে ইসলামকে যেন ভুল উপস্থাপন না করেন সে ব্যপারে যত্নবান হবে আশা করি।


"বুখারী মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে একজন নবীর গায়ে মোট ৪০ জন পুরুষের সমান শক্তি থাকে। অনেক নবীর আশ্চর্যজনক শারিরীক শক্তির কথা কোরআন হাদীসে পাওয়া যায়। যেমন দাউদ আলাইহিস সাল্লাম উনার সময়ের কাফের বাদশাহ জালুতকে জিহাদের ময়দানে মাত্র ৩ টা পাথরের টুকরার আঘাতে হত্যা করে ফেলেছিলেন। যদিও বাদশাহ জালুতের পুরা শরীর লোহার বর্ম দ্বারা ঢাকা ছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম বনী ইসরাইল বংশের এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে ফেরাউনের গোত্রের একব্যক্তিকে সামান্য একটা চড় মেরেছিলেন। আর মুসা আলাইহিস সাল্লামের সামান্য একটি চড়ের আঘাতেই ঐ ব্যক্তিটি মারা যায়। খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননের সময় যেই পাথর সকল সাহাবীরা সম্মিলিত ভাবেও ভাঙতে পারছিল না সেই পাথর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাত্র ৩ টা হাতুড়ির আঘাতে চূর্ন বিচূর্ন হয়ে যায়। মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শারিরীক শক্তি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। একজন পুরুষ যদি তার শারিরীক শক্তির তুলনায় একটি বিয়ে করেন তাইলে তো সেই হিসাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরো অনেক গুলি বিয়ে করার কথা। "

৪৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪০

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: গোত্রপতিদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বহু বিবাহ করেছিলেন এই ধারনাটা পুরাপুরি ভুল। এই জাতীয় কথা বলে অনেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মোঘল বাদশাহ আকবরের পর্যায়ে নিয়ে যায় নাউযুবিল্লাহ। মূলত মাদানী জীবনেই ইসলামের সবচেয়ে বেশী মেয়েলী মাসলা গুলি নাযিল হয়েছিল। এই মেয়েলী মাসলা গুলি সংরক্ষণ করতে ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শারিরীক শক্তির বিবেচনায় এই বহু বিবাহ গুলি করেছিলেন। মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মত কে সেই যুগে ঘরের ভিতর দাসী রাখার প্রথা থেকে বের করে বৈবাহিক জীবনের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশে অনেক বড় বড় সাহাবীও তাদের অধীনস্থ দাসীদের কে মুক্ত করে বিয়ে করেছিলেন।

৪৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ +

৪৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমার নীচের পোষ্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে লেখকের কথা বুঝতে কিছু সুবিধা হবে।

খালি নারী অধিকার লইয়্যা চেচাচেচি কইরা তো নারীদের বারোটা বাজাচ্ছেন। তাদের স্বামীদেরকে পরকীয়ায় জড়িয়ে যেতে বাধ্য করে, তাদের সংসার ভাঙ্গছেন, তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, স্বামী স্ত্রীকে খুনাখুনির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর কত মেয়ের সংসার ভাঙতে চান আপনারা। অবুঝ আবেগকে এবার থামান, সমাধানে আসেন। ভালো মন্দের মাপকাঠিতে হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩

৫০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
লেখায় অনেক অসঙ্গতি আছে, সেইগুলা তুলে ধরলে অনেক লম্বা হবে বলে বিশেষ কিছু লিখলাম না। সেইসব কথা লেখা হলে আপ্নেরাই বলবেন যে আমি না-জেনে কথা বলছি। অথচ স্পষ্ট হাদিসও আছে, আপ্নেও জানে ভালো করে।

শুধু এইটুকু বলি, ইসলামের আইনে দাস-দাসী প্রথা বজায় আছে। যদি বলেন যে নাই বা অস্বীকার করেন, তা হলে কুর'আন থেকে "ডান-হাতের অধীন" (নাউজুবিল্লাহ) মুছে দিয়ে আসুন।

আশ্চর্য লেগেছে লেখার শুরুর তুলনাগুলো পড়ে! সেগুলো সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে খাটে। আর সেই তুলনা দিয়ে তো আপনি মহানবীকে আমাদের মত ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা মানুষের কাতারে নামিয়ে আনলেন, যেটা জামাতিরা করে থাকে। এইটা ঠিক করেন নাই।

বাস্তবতা হচ্ছে, ১৪০০ বছর আগে অনেক কিছুই সে সময়ে আঙ্গিকে সঠিক থাকতে পারে, কিন্তু আজকের এই যুগে অনেক নিময়-বিধি-আদেশ অচল। এইটা স্বীকার করুন। ইসলাম অনেক এগিয়ে যাবে।

৫১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

ফিদা২০১২ বলেছেন: অসাধারণ এক লেখা। Thanks Farabi ভাই

৫২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: بسم الله الرحمن الرحيم
সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।
১ম পর্ব

২য় পর্ব

যারা প্রথম দুই পর্ব পড়েননি, তারা এই পর্ব পড়ে যে একেবারে বুঝবেন না এমন নয়। তবে সমালোচনামূলক মন্তব্য করতে চাইলে আমার অনুরোধ আগে প্রথম দুই পর্ব পড়ে নিন।
কেন আবার এই পুরানো বিষয়ে লিখলাম সেটা যারা সিরিজটি ভালো করে পড়বেন তাদের আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এই আঙ্গিকে কোন আলোচনা আমার নজরে পড়েনি। এছাড়া চিন্তা করে এই সিরিজ পড়লে নবী সাহবীদের একাধিক বিবাহ, নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বালিকা বিবাহ,ইসলামের দাসপ্রথা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মনে কেন খটকা লাগে এবং এই খটকা লাগাটা যে একেবারে অযৌক্তিক তা বুঝতে পারবেন আশা করি।

এখানে হুমায়ুনকে আনা হয়েছে শুধুমাত্র উদাহরণ হিসাবে। আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যদি সত্যিই প্রয়োজন হয় তাহলে ২য় বিবাহ করা যে একজন পুরুষের বৈধ অধিকার, সেটা দেখানো এবং এই অধিকার তাদেরকে না দেয়ার কারণে সমাজে কিরকম অশান্তি হচ্ছে সেটা দেখানো। যারা নিছক আবেগ নিয়ে চলেন, সমাজের প্রথাকেই যারা খোদার আসনে বসিয়েছেন তারা জানি শত যুক্তি দিলেও এটা মানবেন না।ভাবার কোন কারণ নেই যে আমি একাধিক বিবাহকে উৎসাহিত করছি। ১৪ নং মন্তব্যটি পড়ুন, তাহলেই বুঝবেন।

এবার আসেন আমরা ভালো খারাপের মানদণ্ড নিয়ে আমার এই দুই পর্বের লেখায় যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে বিচার করে দেখি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বিবাহকে, এবং ইতিহাসের আরো যারা ২য় বা আরো বেশী বিবাহ করেছে তাদেরকে। ১ম পর্বে যা বলেছিলাম সেটার সারাংশ যা দাঁড়ায় তা এই যে আমরা মোটামুটি তিন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে কোন কাজকে ভালো খারাপ বলি বা ভালো খারাপ হিসাবে নির্ধারণ করি।

১- ধর্ম দিয়ে নির্ধারণ
২- সামাজিক প্রথা দিয়ে নির্ধারণ
৩- নাস্তিকদের নির্ধারণ (হতে পারে সেটা যুক্তি দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে)

তো যারা মুসলমান তারা তো তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও করতে পারেন না। কেননা খোদ আসমান জমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্‌ই শর্ত সাপেক্ষে চারটি বিবাহের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন পূর্বের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই। ভালো করে বুঝে নিন শর্তসাপেক্ষে শুধু অনুমতি আছে কিন্তু কোন উৎসাহ দেয়া হয়নি। মুসলমানের কাছে সেটাই বৈধ যেটা আল্লাহ্‌ বৈধ করেছেন; সেটাই ভালো যেটা আল্লাহ্‌ ভালো বলেছেন। তার নিজের মন কি বললো, তার সমাজ কি বললো ; আল্লাহ্‌র ফায়সালার পর এসবের পাই পরিমাণ কোন মূল্য নেই।

আর নাস্তিকদের এ ব্যাপারে কথা বলা তো চরম হাস্যকর ব্যাপার। হুমায়ূন তো কারো কোন ক্ষতি করেন নি।নাস্তিকদের মতে তো যে কেউ যে কোন কাজ করতে পারে, যদি অপরের কোন ক্ষতি না হয়। নাস্তিকদের কাছে তো লিভ টুগেদার, সমকাম সব বৈধ, আর হুমায়ূন তো এগুলো করেননি, উনি তো বিয়ে করে নিয়েছেন।চালুনি বলে সুঁই তর পিছে কেন ছিদ্র। আসলে তাদের ভাব দেখে যা মনে হয় সেটা হলো, তারা বিয়ে করার বিরুদ্ধে লেগেছে। কেউ একাধিক বিয়ে করে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাতে গেলে তাকে তারা নারীলোভী, কামুক বলে গালি দেয়, পক্ষান্তরে লিভ টুগেদার করলে , সমকাম করলে এটাকে লম্পটরা ব্যাক্তি স্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদি বলে প্রচার করে। ঐ যেমন নাকি মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী; আর খ্রিষ্টানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা স্বাধীনতাকামী, এদের স্বাধীনতা দেয়া হোক। তারা সমকামকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে বলে, আর ২য় বিবাহের মত একটি চিরবৈধ ও শালীন কাজকে কামুকতা বলে প্রচার করে। অথচ কোন পুরুষের যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে ২য় বিবাহ করা তার অধিকার। এখানে কোন লম্পটের নাক গলানোর কোন অবকাশ নেই।

উপরের দুই ভিত্তিতে পাস করার পর রইলো সামাজিক প্রথার ভিত্তি। কিছুদিন আগেও তো এই উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা একাধিক বিবাহের প্রথা ছিলো।। এখনো তো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় নি।আর সামাজিক প্রথা রক্ষা করতে হবে এটা কে বললো? তাহলে তো যারা আগের হাজার বছরের প্রথাকে ভেঙ্গে এই নতুন প্রথা চালু করেছেন তারাই চরম অন্যায় করেছেন । তাই বলতে পারি হয়তো হুমায়ূন এই অন্যায় প্রথাকে দূর করে আগের ভালো প্রথাকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই কাজ করেছেন। কত মানুষ কত লাইনে সামাজিক প্রথা ভাঙছে তার কোন খবর নাই, সবাই লাগছে এই বিবাহের পিছনে। অথচ এটাকে ১ম স্ত্রী ও সমাজ স্বাভাবিকভাবে, উদারচিত্ততার সাথে মেনে নিলে কত পারিবারিক অশান্তি শেষ হয়ে যেত, সেটা কেউ চিন্তা করে না। তার উপর কথা হলো বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী, সন্ত্রাসী সমাজের কোন প্রথারতো কানা কড়ি মূল্যও নাই, মানারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। এই সমাজের প্রথাইতো আমাদের মা বোনদেরকে শেষ করে দিচ্ছে, ধর্ষিতা বানাচ্ছে, বেশ্যা বানাচ্ছে, রাস্তার মজদুর বানাচ্ছে। শত ধিক আর থুতু মারি এই সমাজকে আর তার প্রথাকে। (হুমায়ূনতো সমাজের মাপকাঠিতে পাস করেননি, যদিও তাতে কিছু যায় আসেনা; কিন্তু নবীরা ও সাহাবীরা কিন্তু এই তিন মাপকাঠিতেই ১০০ ভাগ পাস।কারণ তাদের সমাজে বহু বিবাহ মোটেই কোন খারাপ কিছু ছিলোনা।এখান থেকেই বুঝে নিন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর ১০০ জন স্ত্রী ছিলো শুনলে যে আপনার মনটা কেমন কেমন করে, মুখের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে; এটা নিছক মূর্খতা আর সমাজের পূজা করার কারণে হয়।নবীরা কামুক নয়, যারা তাদের সমালোচনা করে তারাই সব বিশ্ব লম্পট ও কামুক; এবং তারা পুরা সমাজকে লম্পট বানাতে চায় এজন্য তারা কোমর বেঁধে এই চির বৈধ ও শালীন বিয়ে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেগেছে। ) এখানে ক্লিক করে দেখুন। সোলায়মান (আঃ) এর ব্যাপারটি আরো ক্লিয়ার হবে এই পোষ্টের শেষের দিকের আলোচনা দ্বারা।

ইংরেজরা ছিলো অতি ধুরন্ধর। তাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের মন মানসিকতা, চিন্তাধারা খুব ভালো করে স্টাডি করেছিলো। তারা বুঝেছিলো যে বেশীরভাগ মানুষই সমাজ যেটাকে ভালো বলে সেটাকে ভালো বলবে এবং সমাজ যেটাকে খারাপ বলে সেটাকে অন্ধভাবে খারাপ বলবে। বেশিরভাগ মানুষই তলিয়ে দেখবে না যে, সমাজ যেটাকে নিন্দনীয় বা খারাপ বলছে সেটা কি আসলেই খারাপ কিনা বা সমাজের মানুষ এটাকে কিসের ভিত্তিতে খারাপ বলছে। আর দু'একজন তলিয়ে দেখলেও সে সমাজের নিন্দার ভয়ে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। তাই তারা পরিকল্পনা করলো যে একাধিক বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিকে মুসলিম সমাজে যেভাবেই হোক ধীরে খারাপ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এরপর এটা যখন মানুষের মনে গেঁথে যাবে তখন এক সময় তারা নবীদেরকেও একাধিক বিবাহের কারনে খারাপ বলা শুরু করবে। এই সুচতুর সুগভীর ষড়যন্ত্রে যে তারা সফল হয়েছে তার প্রমাণ আজকের যুগের মানুষদের নবীদের ব্যাপারে এসব প্রশ্ন করা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন।

মোটকথা ভালো খারাপ নির্ধারণের কোন মাপকাঠিতেই আপনি তার এই ২য় বিবাহকে খারাপ বলতে পারেন না, নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা।(ঠিক তেমনি ইতিহাসের আরো যারা বহু বিবাহ করেছেন ) কিন্তু অর্বাচীন, মূর্খ , অসভ্য আর বদ্ধ মানসিকতার লোকেরা কোন কিছু না বুঝেই, কেউ ২য় বিবাহ করলে তার নিন্দা শুরু করে দেয়। ঐ চিলে কান নেয়ার মত ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছে মূর্খ সমাজের মূর্খ লোকের প্রচারণা যে, একাধিক বিবাহ খারাপ; ব্যস, খারাপ। কেন খারাপ? কে বললো খারাপ? কিসের ভিত্তিতে বললো খারাপ? ইত্যাদি কোন কিছু চিন্তা না করে তারা সেটাকে মেনে নিলো। বাড়তি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য ২য় বিবাহের মত একটা চির শালীন ও বৈধ পন্থার কথা কেউ অবলম্বন করেছে শুনলে এদের মাথায় যেন একটা অন্ধ ও বয়ড়া ভূত চেপে বসে, আর সভ্যতা ও ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে আর একজন মানুষের নির্দোষ ব্যাক্তি জীবন নিয়ে নোংরা সমালোচনা করতে থাকে। অথচ সমাজে যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কত মানুষ যে কত লাম্পট্য করছে সেখানে সব ভেজা বেড়াল। একদিকে ২য় বিবাহের নিন্দা করে মানুষকে তা থেকে আটকে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে অশ্লীল সিনেমা , নাটক দেখিয়ে; অশ্লীল বই, পত্রিকার বিস্তার ঘটিয়ে এবং প্রগতির নামে , নারী অধিকারের নামে সুন্দরী নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে মানুষের যৌনতাকে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তখন অটোমেটিক মানুষ তার যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য চুপি চুপি লাম্পট্যময় কাজের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছে। ফলে তারা এখন প্রায় প্রকাশ্যেই লাম্পট্য শুরু করেছে। প্রাইমারীর ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন এরা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে, বা বলে যে, আরে এই যুগের ছেলে মেয়েরা এগুলো একটু করবেই। এই নাস্তিকরা হলো শয়তানের দোসর। এরা চায় সমাজ থেকে লজ্জা শালীনতা উঠিয়ে দিয়ে সমাজে অশ্লিলতা, ব্যাভিচার আর লাম্পট্য ছড়িয়ে দিতে।বাড়তি যৌন চাহিদা পুরণের বৈধ ও শালীন পন্থাকে সামাজিক চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, আর সর্ব দিকে থেকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে সে অবৈধ পন্থায় , লাম্পট্য করে তার যৌন চাহিদা মিটায়। আল্লাহ আমাদের এদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।

এবার আসুন দেখি ২য় পর্বে আমরা যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে হুমায়ূনের ২য় বিবাহকে বিচার করি।২য় পর্ব না পড়ে থাকলে , আমার অনুরোধ তা একবার পড়ে দেখুন। কথা দিচ্ছি আপনার সময় নষ্ট হবেনা। তো ২য় পর্বে আমরা দেখেছি যে আমরা কারো সমালোচনা করতে গিয়ে মোটামুটি চারটি ভুল করি। আসুন দেখি আমরা হুমায়ূনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই চারটি ভুলের কয়টি করলাম।

১নং ভুলঃ হুমায়ূন ২য় বিয়ে করেছেন, এটা হলো তার একটা কাজ। এখন কথা হলো এই কাজের পিছনে উদ্দেশ্য কি ছিলো তার? ভালো উদ্দেশ্য যেমন থাকতে পারে, তেমনি খারাপ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।কিন্তু আমার আপনার সেটা নিশ্চিতভাবে বুঝার কোন উপায় আছে কি? নেই; একদম নেই। আমরা শুধু তার সার্বিক অবস্থা দেখে আন্দাজ করতে পারি। কারো মনের কথা নিশ্চিত করে বলা কোনদিন কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সমালোচনাকারীরা সম্পূর্ণ বিনা প্রমাণে এটাই নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন যে, হুমায়ূন তার যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করেছেন।

ভালো করে খেয়াল করুন, আমি আপাতত এখানে সমালোচনাকারীদের একথা ঠিক ধরে নিয়ে তাদের ভুল ধরলাম যে, যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ। একটু পরে আমি দেখাচ্ছি যে , আসলে যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করাকে খারাপ বলাও নিছক মূর্খতা। যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ হলে একটা বিবাহও করতে পারবেন না। সবাই বিবাহ সাদী বাদ দিয়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকেন। আরে মিয়া কারো যৌন ক্ষমতা যত বেশীই থাকনা কেন, সে যদি বৈধ পন্থায় তা পূরণ করে, তাহলে কখনো বলা যাবেনা যে সে তার লালসা চরিতার্থ করেছে, বরং বলতে হবে, সে তার অনিবার্য প্রয়োজনকে শালীন ও বৈধ পন্থায় পূরণ করেছে। কেউ যদি তার যৌন চাহিদা অবৈধ পন্থায় পূরণ করে (ব্যাভিচার করে, সমকাম করে ইত্যাদি), তখন সেটা লালসা চরিতার্থকরন বা কামুকতা হবে। কারো যদি যৌনশক্তি অন্য কারো থেকে বেশী থাকে, কিন্তু এটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সে কোন ব্যাভিচার বা ধর্ষণ না করে, তাহলে এটা তার একটা বিশেষ গুণ বলেই মানব ইতিহাসে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটাকে কোন দোষ ভাবা , চরম মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। এটা যদি গুণ না হতো তাহলে সবাই যৌনশক্তি কমানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যেতো, বাড়ানোর জন্য যেতোনা। এছাড়া পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকলে তার স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, বিপদে অবিচলতা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুই তার বেশী থাকবে। না জানলে নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নেন।

২নং ভুলঃ হতে পারে হুমায়ূন কোন ঠেকায় পড়ে অপারগ হয়ে এই বিয়ে করেছেন, কিন্তু কোন বিশেষ কারণে তার অপারগতাটি কি ছিলো,তা তিনি প্রকাশ করেননি।

৩নং ভুলঃ হতে পারে ২য় বিবাহের ব্যাপারে হুমায়ূন আমাদের এই ফালতু সামাজিক প্রথার সাথে একমত ছিলেন না, সোজা কথায় তিনি এটাকে কোন খারাপ কাজ মনে করতেন না। আর কোন ব্যাপারে যে কেউ যে কোন মত রাখতে পারে । এটা প্রত্যেক মানুষের অধিকার। সুতরাং এ ব্যাপারে তাকে নিন্দা করা একেবারে সংকীর্ণ, গোঁরা আর বদ্ধ মানসিকতার পরিচয়। আর আগেই বলেছি মানব ইতিহাসের কোন সভ্য সমাজেই এটা খারাপ ভাবা হতোনা। বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী , সন্ত্রাসী সমাজের এটাকে খারাপ ভাবার দ্বারা কিছুই যায় আসেনা।

৪নং ভুলঃ (এই পয়েন্টটি বুঝতে হলে ২য় পর্ব থেকে এই জায়গাটা পড়ে আসতে হবে)এই ঘটনার অন্তরালে হয়তো এমন ঘটনা রয়ে গেছে, যা জানলে আমরাও বুঝতে পারবো যে, হুমায়ূন আসলে কোন অন্যায় কাজ করেন নি। কিন্তু সেটা এখন আর কি জানা সম্ভব। আচ্ছা হুমায়ূন বেঁচে থাকতে কি তাকে এই ব্যপারে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলো? আমার জানা নেই।

আরেকটা কথা হলো, এই যে আপনি কারো কোন কাজ দেখে তার উদ্দেশ্য আন্দাজ করবেন, এটা কিন্তু আপনি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করবেন, নিজের জীবনের ঘটনাবলীর আলোকে আন্দাজ করবেন। যদি এমন হয় যে আপনিও এই কাজটি উনি যেই উদ্দেশ্যে করেছেন সেই উদ্দেশ্যেই কোনদিন করেছিলেন, তাহলে হয়তো আপনার আন্দাজ আপনার অজান্তেই ঠিক হতে পারে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, উনি যে উদ্দেশ্যে কাজটি করেছেন সেটা আপনার অভিজ্ঞতা থেকে দূরে তাহলে কিন্তু আপনি কোনদিনও সঠিক আন্দাজ করতে পারবেন না। যে ক্যাল্কুলেটর ১০০০ পর্যন্ত হিসাব করতে পারে আপনি যদি সেটা দিয়ে আরো বড় সংখ্যা হিসাব করতে চান তাহলে তা কখনো সম্ভব নয়।

এই সংক্ষিপ্ত কথা থেকে বুঝে নিন যারা বলে যে, হুমায়ূন আহমেদ শেষ বয়সে কিশোরী নারীর প্রতি যৌন লালসায় পড়ে শাওনকে বিবাহ করেছেন, তারা কত অন্যায় কথা বলেন। হুমায়ূন বিয়ে করেছেন এই কাজটি প্রকাশমান, কিন্তু বিয়েটা উনি কেন করলেন সেটা উনার মনে রয়েছে। আর কারো মনের ভিতর কি আছে সেটা আমি আপনি কখনোই বলতে পারবো না। যে নিজে লম্পট বা লম্পট সমাজে যে বাস করে সে হয়তো নিজের উপর অনুমান করে চরম অবিবেচকের মত হুমায়ুনকেও লম্পট বলতে পারে, কিন্তু সামান্য বিবেচনা বোধ যার আছে এমন কেউ তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন না শুধু এই হিসাবে যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, তাও একজন কিশোরীকে।এতটুকু পড়েও যদি কেউ নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) এর বিবাহের ব্যাপারে নাস্তিকদের আপত্তির জবাব বের করতে না পারে তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

এবার আসেন আসল কথায়।ধরেন কেউ যৌন চাহিদা বা লালসা মিটানোর জন্যই বিবাহ করলো। তো এতে কি হয়েছে? এজন্য কি আপনি তাকে নারী লোলুপ বলতে পারেন? কখনোই পারেন না। আরে ভাই লোভ কাকে বলে এটা আমাকে বলেন।
কারো দুই রুটি খেয়ে পেট ভরে না, কারো ভরে যায়। এখন যে দুই রুটি খায় সে কি যে চার রুটি খায় তাকে পেটুক বলতে পারে?খাদ্য লোভী বলতে পারে?না। পারে না।
ভালো করে খেয়াল করুন,

১-যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খায় সে হলো পেটুক।

২-যে পেট ভরে যাবার পরেও শুধু জিহ্বার মজার জন্য খায়,প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বেশী খায়, নিজেরটা খেয়ে আবার অপরের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে সে হচ্ছে লোভী, ছোঁচা।

৩-যে অপরের খাদ্য না কিনে,না বলে খেয়ে ফেলে সে হচ্ছে চোর।

৪-আর যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা ও খাবার থাকা সত্ত্বেও খাবার কিনে না খেয়ে উপোস থাকে সে হচ্ছে নির্বোধ।

এ কথা যদি বুঝে থাকেন তাহলে শুনুন,

পেটের ক্ষুধার মত যৌন ক্ষুধাও একটি ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার মত এটাও স্বাভাবিক একটি শারীরিক চাহিদা। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন আল্লাহ পাক খাদ্যের ব্যবস্থা রেখেছেন, তেমনি নারী ও পুরুষের যৌন ক্ষুধা মিটানোর জন্যও আল্লাহ ব্যবস্থা রেখেছেন। সব মানুষের খাবারের চাহিদা এক সমান হয় না। একজন চারফুট লম্বা মানুষের যতটুকু খাবারের চাহিদা , একজন ছয় ফুট লম্বা বিশালদেহী মানুষের চাহিদা নিশ্চয়ই বেশী হবে।ঠিক এরকম মানুষের যৌন চাহিদাও একেক জনের একেক রকম। এটা শারীরিক গঠন, বংশগতি, আবহাওয়া, দেশ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

এখন কারো যদি শরীরের যৌন চাহিদা বেশী থাকে,তাহলে আপনি আমাকে বলেন এতে কি তার নিজের কোন হাত আছে?নেই, কোন হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ খোদা প্রদত্ত বা নাস্তিকদের ভাষায় প্রকৃতি প্রদত্ত।আর একটু আগে দেখিয়েছি এটা তার একটা বাড়তি গুণ।

এবার আগের খাবারের উদাহরণের সাথে নীচের কথাগুলো মিলান

১-আপনার শরীরের যৌন চাহিদা কম বলে আপনার হয়তো এক স্ত্রীতেই কাজ চলে যায়, তাই বলে যার যৌন চাহিদা বেশী সে যদি দুই বা তিন বা চারটি বিবাহ করে তাহলে আপনি তাকে নারী লোভী বলতে পারেন না। যেমন নাকি আপনার দুই রুটিতে ক্ষুধা মিটে গেলেও যার চার রুটি খাওয়া প্রয়োজন তাকে খাদ্য লোভী বলতে পারেন না।

২-যে, এক স্ত্রী দ্বারাই তার শরীরের যৌন চাহিদা মিটে যাবার পরও আরো বিবাহ করে তাকে হয়তো কোন ক্ষেত্রে আপনি লোভী বলতে পারেন,কিন্তু এটা তো শুধু সেই জানতে পারে আসলে তার প্রয়োজন আছে নাকি নাই? এখানে আপনি আমি হাত দেয়ার কে? এর উপর আগের কথা তো খেয়াল রাখতে হবেই যে, যৌন চাহিদা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যেও সে বিবাহ করতে পারে, যেটা শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানা সম্ভব।

৩-আর যে বিবাহ না করে যৌন চাহিদা মিটায় সে হচ্ছে লম্পট, ব্যাভিচারী বা ধর্ষক, যেমন নাকি যে অপরের খাবার খায় না কিনে সে হচ্ছে চোর বা অন্যকিছু। এখন ব্যপার হয়ে গেছে উল্টা। লম্পটরাই এখন যারা বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাচ্ছে তাদেরকে লম্পট, কামুক বলে নিন্দা করছে।

৪-আর যে তার শরীরে যৌন চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এবং বিয়ে করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজন পরিমাণ বিয়ে না করে একজন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত চরম বোকা যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুই রুটি খেয়ে বাকী ক্ষুধা পেটে নিয়ে বসে থাকে আর মানুষের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে।

৫-আর যে সমাজ হুমায়ুনকে নিন্দা করলো তারা হচ্ছে চরম অর্বাচীন, পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনকারী, শিশু হত্যাকারী। এই নিন্দার ফলে কি হবে? অন্য নামকরা লেখকরা, সাধারণ মানুষরা, এমনকি এই নিন্দাকারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লোকনিন্দার ভয়ে বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো পেটে ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকবে, মরণ পর্যন্ত কষ্ট করবে। কিন্তু অনেকেই যাদের চাহিদা বেশী সে কিন্তু ঠিকই গোপনে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে, নিচ্ছে।পুরুষ মানুষের যৌন চাহিদার এই বাস্তব বিষয়টি অযথা গোঁড়ামি করে মেনে না নেয়ার কারণে সমাজে কত অন্যায় হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। হচ্ছে পরকীয়া, হচ্ছে ব্যাভিচার, হচ্ছে ধর্ষণ।বাড়ছে পারিবারিক কোন্দল, ভাঙছে সংসার, হচ্ছে আত্মহত্যা। ছোটবেলা থেকে নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দেখে আসছি এই পারিবারিক কোন্দল। গত এক বছরের পেপার ঘাটলে দেখা যাবে কত অজস্র প্রাণ ঝরে গেছে এই কোন্দলে। অথচ স্ত্রী ও সমাজ যদি স্বামীর ২য় বিবাহকে বা প্রয়োজনে আরো বেশী বিবাহকে মেনে নিত তাহলে এই ঝগড়া বিবাদ, কোন্দল কিছুই তেমন হত না। ২য় বিবাহকে মেনে না নিয়ে আমাদের কি লাভ হয়েছে? সেইতো পরকীয়া করতে গিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছেই, সেইতো সংসার ভাঙছেই।সেইতো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুন করছেই,সেইতো মা তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করছেই। হচ্ছে আরো শত নিদারুণ ঘটনা। এরচেয়ে ভালো কি এই নয় যে আমরা সংকীর্ণতা পরিহার করে পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক বিবাহের এই বৈধ , শালীন ও নিয়ন্ত্রিত বাস্তব চাহিদাকে মেনে নেই? এই শালীন ও বৈধ জিনিস মেনে না নেয়ার কারণে কিন্তু আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে লাম্পট্য, বিচ্ছেদ, অশান্তি, আত্মহত্যা ইত্যাদি কত কি। যার ক্ষুধা বেশি লেগেছে তাকে যদি খাবার দেয়া না হয় তাহলে তো সে একসময় অসহ্য হয়ে চুরি ছিনতাই করবেই। একটা বুড়া মানুষ ধর্ষণ করেছে এই খবরে আমরা নিন্দার ঝড় বইয়ে দেই, কিন্তু চিন্তা করি না যে আমরাইতো তাকে এই কাজে বাধ্য করেছি।একদিকে লোকনিন্দার ভয়ে সে বিয়ে করতে পারেনি, যৌন চাহিদাকে দমিত করে রেখেছে অনেক দিন মূর্খ সমাজের নিন্দার ভয়ে, আরেকদিকে এই লম্পট সমাজ সুন্দরী ললনাদেরকে তার চোখের সামনে নাচিয়েছে,হাসিয়েছে; তো কত আর সহ্য করা যায়, অবশেষে ভেঙ্গে যায় ধৈর্যের বাধ কোন এক নির্জনতায়, কোন এক দুর্বল মুহূর্তে।

আমি মনের ভাবটি হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারলাম না। কিন্তু চিন্তাশীল পাঠক আশা করি বুঝে নিবেন।কমপক্ষে ১নং কমেন্ট ও তার জবাব পড়ুন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন

৫৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.