![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনাজপুর শহরে পুনর্ভবা নদীর অববাহিকা অবস্থিত। বর্তমানে মৃত ঘাঘরা, গাবুরা, কাঁচাই প্রভৃতি নদী এক সময় পুনর্ভবারই উপনদী ছিল। নদীর গতিপথ উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত। আত্রাই থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে পুনর্ভবার উচ্চতর গতিপথ। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর পুনর্ভবা ঢেপা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী। দিনাজপুর শহরের ঠিক দক্ষিণে নদীটি পশ্চিম এবং পশ্চিম-কেন্দ্রীয় বরেন্দ্রভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর নদীবিস্তৃত ভূমির প্রশস্ততা ৩ থেকে ৮ কিলোমিটার। প্রতিনিয়ত এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় জায়গায় জায়গায় কুয়ার মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর এ নদীতে ডুবে মানুষের মৃত্যু সংবাদ শোনা যায় । একটিও বছর নেই যে বছরে এ নদীতে ডুবে মৃত্যু খবর জানা যায় নি। এ নদীটি এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় ধর্মভিরু লোকেদের ধারণা অনুযায়ী পূর্বে এ নদীর তীরে দেবতাদের মন্দির ছিলো কিন্তু কালের প্রবাহে সে মন্দির বন্যায়, কিংবা জোয়ার-ভাটার কারণে নদীতে ডুবে যায় । এমনকি তাদেরকে স্বপ্নযোগে বলা হয়েছে যে সেখানে একটি মন্দির নির্মান করলে আর এমনটি হবে না। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলতে গেলে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নদীর অসংখ্য স্থানে বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে স্রোত অনেক প্রখর এবং সেখানে ফেঁসে গেলে বাঁচার কোন উপায় নেই। প্রতি বছর কত মায়ের কোল শুন্য হচ্ছে, এমনকি সন্তানের মৃত্যু সংবাদ এর ধাক্কায় মা নিজেই মৃত্যু বরণ করছে। বিপজ্জনক জায়গা গুলোতে কোন নিষেধাজ্ঞার সংকেত ও নেই।। প্রশ্ন হলো আর কতো জীবন কেড়ে নিবে এই নদী? আর কত মা এর হৃদয়ে আঘাত হানবে সন্তান হারানোর তীব্র অসহ্য বেদনা!!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। অবশ্যই যোগাযোগ করবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ---------------------- প্রশ্ন হলো আর কতো জীবন কেড়ে নিবে এই নদী???
আপনি যদি স্থানীয় হন, তাহলে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে জেলা নদী প্রশাসনে যোগযোগ করে ( মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নদীর অসংখ্য স্থানে বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে স্রোত অনেক প্রখর এবং সেখানে ফেঁসে গেলে বাঁচার কোন উপায় নেই), উক্ত স্থানগুলোতে সুরক্ষা চিহ্ন দিয়ে সবাই কে সর্তক করে দিনে পারেন। ধন্যবাদ সচেতনমূলক পোস্ট লেখার জন্য।