নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্বল ঈমানের মুমিন ব্লগ থেকে দূরে থাকে

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২১




কোরআনের সাথে বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীর মতের অমিল দেখলে আমি চিন্তা করি আমার চিন্তার দৈন্যতা কোথায়? যেমন কোরআন বলছে আল্লাহ আছে, কোন কোন বিজ্ঞানী বলছে নাই। আমি তখন বলি বিজ্ঞানী আল্লাহকে খুঁজে পায় নাই বলে বলছে, আল্লাহ নাই। কোন কোন বিজ্ঞান মনস্ক বলছে আল্লাহ অংকে কাঁচা। আমি বলছি ওটাই বিধান। চব্বিশের সাতাশ অংক ফল হলে প্রাপকদের সবার অংশ কিঞ্চিত কম হবে। সুতরাং এমন অংক ফলে আল্লাহকে অংকে কাঁচা বলা কারো বোধগত ত্রুটি ছাড়া কিছুই নয়। কেউ যদি বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলে আদম (আ.) নয় বানর থেকে মানুষ হয়েছে। তাকে আমি বলি সেই মানুষ এখন বিলুপ্ত, আদম (আ.) সন্তান মানুষই এখন দুনিয়া জুড়ে বিস্তারিত।আমার এমন বলার কারণ আমি কখনই বলব না যে, কোরআনে ভুল আছে। কারণ আমার বিশ্বাস কোরআন ১০০% সঠিক। কিন্তু নোয়াখাইল্লা ভাষায় যার ঈমান ডেগা কোরআনের ভুল ধরা হলে সে বিব্রত হয়। কচু পাতার পানির মত তার টলটলায়মান ঈমান তখন পড়ে যেতে চায়। সেজন্য এমন মুমিন ব্লগ থেকে দূরে থাকে। এমন বহু মুমিনকে ব্লগে যুক্ত করতে চেষ্টা করে আমি সফল হতে পারিনি।

কেউ যদি বলে আদমের (আ.) নব্বই ফুট হওয়া অসম্ভব। আমি বলি এ ক্ষেত্রে হাদিস ভুল হলে বুঝতে হবে হাদিসটি নবির (সা.) নয়। কারণ নবির (সা.) নামে অনেক মিথ্যা হাদিস বানানো হয়েছে। কেউ যদি বলে, কোরআন নবির (সা.) লিখিত। আমি তাকে বলি ঠিক আছে তুমি সেরকম অন্য কিতাব আন তাহলে আমি দেখব সে কিতাব মানা যায় কিনা। তারা বলে এক কিতাব অন্য কিতাবের মত হয় না। আমি বলি তা’ লাগবে না সে কিতাব কোরআন থেকে উন্নত হলেই চলবে। তুমি বা কেউ সে কিতাব তেলাওয়াত করে শুনাবে তার তেলাওয়াত কোরআন তেলাওয়াত থেকে উন্নত হলেই আমার চলবে। তারা যদি বলে তোমার বিবেচনাটাই যদি ভুল হয় তখন কি হবে? আমি বলিএ ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই, কারণ মানুষ মাত্রই ভুল আছে।

কিছু লোক অযথা তর্ক করে মানুষের কাজের সময় নষ্ট করে। খ্রিস্টানরা মহানবির (সা.) সাথে তর্ক জুড়ে দিলে মহানবি (সা.) বললেন, তর্ক বাদ দাও, চলো মোবাহালা করি। তারমানে আমার পরিবার আমি নিয়ে আসি তোমাদের পরিবার তোমরা নিয়ে আস এরপর পরস্পর অভিশাপের দোয়া করি দেখি কারটা ফলে। একজনের সাথে আমি ঝগড়া থামাতে পারছিলাম না। পরে আমি বললাম, তুমি অপরাধী হলে আল্লাহ তোমার বিচার করলে আমি দশ ফান্ডে একশত টাকা দেব। আল্লাহ তার বিচার করেছে। আমি দশফান্ডে একশত টাকা দিয়ে দিয়েছি।

নাস্তিকের সাথে তর্ক থামাতে ঈমাম শাফেঈ (র.) বললেন, তুমি ঠিক থাকলে আমার আফসুস নাই। কারণ মাটির সাথে মিশেগেলে অযথা ইবাদতের জন্য আমাকে আফসুস করতে হবে না। কিন্তু আমি সঠিক হলে তোমার খবর আছে।

মুমিন-অমুমিন তর্ক একটি চলমান প্রক্রিয়া। অমুমিনরা গেয়ানে টইটুম্বুর থাকে। তারা মুমিনদেরকে ছাগু বলে। যা শুনতে অনেক মুমিনের ভালো লাগে না বলে তারা ব্লগ থেকে দূরে থাকে। আমি গেয়ানী অমুমিনদের কথা গায়ে মাখি না। যার সাথে তর্ক করা বৃথা মনে করি তার সাথে তর্ক এড়িয়ে চলি এবং ব্লগের অন্য বিষয় উপভোগ করি। আর সেজন্যই আমি এখনো ব্লগে আছি। মাঝে মাঝে ভাবি ব্লগে আসার চেয়ে না আসাটাই ভালো। তথাপি নেশা ছাড়তে পারি না বলে ব্লগে আসি এবং ঈমান বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করি। আল্লাহই হেফাজত কারী। কারণ ঈমান খোয়া গেলে যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এভাবেই অনেক মুমিন ঈমানের ঝুঁকি নিয়ে ব্লগে আসেন। আল্লাহ তাঁদের ঈমানের হেফাজত করুন- আমিন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা ব্যাপার পরিষ্কার থাকা জরুরী বিজ্ঞান ও কোরান দুইটা আলাদা বিষয়। যারা কোরানে বিজ্ঞান খোজে তারা মোটেও সাধু নয়। কোরান হলো সংবিধান কিন্তু কোরান সংবিধান নয়।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অমুমিনরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলতে চায় কোরআনে ভুল আছে। অথচ মানুষ মাত্রই ভুল আছে এটা তারা জানে। কাজেই মানুষের আবিষ্কৃত বিজ্ঞানেও ভুল থাকতে পারে, কিন্তু এটা তারা মানতে চায় না। সেজন্য তাদের সাথে অবিরাম তর্ক চলে। যাতে জরুরী কাজের ক্ষতি হয়।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: ** কিন্তু বিজ্ঞান সংবিধান নয়

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক বিজ্ঞান ভক্ত বিজ্ঞান ছাড়া কিছুই মানতে চায় না।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি নিজেই ভুল করলেন বিজ্ঞান মানুষ আবিষ্কার করে নাই। মানুষ প্রকৃতি থেকে বিজ্ঞানের জ্ঞ্যান কে আহরণ করেছে। মহাবিশ্বের সৃষ্টির সাথে সাথে বিজ্ঞানের সৃষ্টি। এটা মানুষের সৃষ্টি না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের আবিষ্কার হলো বিজ্ঞান; এটাই এযাবৎ শুনে আসছি। আপনার কথাটা নতুন মনে হচ্ছে।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

বিটপি বলেছেন: মুমিনেরা ব্লগ থেকে দূরে থাকবেনা কেন? কামাল১৮ বা রাজীব নুরের মত অশিক্ষিত মূর্খ শ্রেণীর লোকেরা হযরত উমর (রা) সম্পর্কে, এমনকি মুহাম্মদ (স) সম্পর্কেও বাজে কথা বলবে। এরকম মন্তব্য দেখলে তো আমি মনে করি একটা যোগ্য উত্তর দেওয়া বা রিপোর্ট করা ফরজ হয়ে যায়। এরকম মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়াও পাপ কাজ। কার এত আলগা সময় আছে, ব্লগ ভিজিট করে পাপের ভাগী হতে?

তাছাড়া হাসান কালবৈশাখীরা সুযোগ পেলেই মহাকাশ বিদ্যা বা বিবর্তন বিদ্যাকে হাতিয়ার বানিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানকে লাগিয়ে দেয়। দূর্বল ঈমানধারীদেরকে টাইট দেয়ার একটা সুযোগ তো সেখানেই পাওয়া যায়।



০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এদের কারণেই ব্লগের প্রতি জনগণের বিরূপ ধারণা। আমি যখন জনগণকে বল্লাম আমি ব্লগিং করি। তখন জনগণের অনেকে আমাকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে দিলো। অনেকে ব্লগকে নাস্তিকের আখড়া মনে করে।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: দুই ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেন এই মিলে পানি। তো এই পানির অস্তিত্ব পৃথিবীর সৃষ্টির পরে ধিরে ধিরে পৃথিবীতে প্রকট হয়েছে আর যখনই হয়েছে তা ওই ফর্মুলা মেনেই হয়েছে। ইহাই বিজ্ঞান। আর মানুষ তা কে অনুসন্ধান করে আবিষ্কার করেছেন। মানুষের আবিস্কারের আগে নিশ্চয়ই পানির ফর্মুলা ভিন্ন কিছু ছিলো না। আপনার জানায় কিছুটা ভুল আছে বা আপনি আমাকে দিয়ে অন্য কিছু বলাতে চান বলে এমন বলছেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পানি আগেও যৌগিক পদার্থ ছিল এবং এখনও যৌগিক পদার্থই আছে। তবে পানি যে যৌগিক পদার্থ সেটা এককালে মানুষ জানতো না এখন জানে। পানির এ নতুন পরিচয় অর্থাৎ এর যৌগিক পদার্থ হওয়ার বিষয়, এটা মানুষের আবিষ্কার। বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান, পানির যৌগিক পদার্থ হওয়ার বিষয় একটা বিশেষ জ্ঞান। এ জ্ঞান মানুষ আবিস্কারের মাধ্যমে পেয়েছে। সুতরাং বিজ্ঞান মানুষের আবিস্কার এটা পরম এবং চরম সত্য।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম আছে।ছোট বেলায় পড়েছি পনির ধর্ম আছে।আপনারা পড়েছেন কিনা জানি না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্ম হলো যার অন্যথা হয় না। সুতরাং ধার্মিক তার বিশ্বাসের বাইরে যাবে না। যদি ধার্মিক তার বিশ্বাসের বাইরে যায় তবে সে আর ধর্মের বাঁধনে আবদ্ধ থাকবে না। তখন সে ধর্মহীন হয়ে যাবে।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নাহ্ আপনি ব্লগে থাকেন, আপনার ঈমান কেউ টালাতে পাড়বে না। আর ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে এত যাচাই বছাই করতে হবে কেন একটু শুনি? ধর্মের কোন অংশ বিজ্ঞানের সাথে না মিললে এত কষ্ট করে জোড়াতালি দিয়ে তা বিজ্ঞানের সাথে মিলাতে হবে কেন? বিজ্ঞানের কোন বিষয় অবিশ্বাস করলে আপনাকে কেউ শ্বাস্তি দিতে না, সুতরাং আপনার ভয়ের কিছু নেই জোড় করে এসব বিবর্তন ফিবর্তন বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু বিজ্ঞান মনস্কদের নিকট বিজ্ঞানই সব কিছু। ধর্ম ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে হলেও তাদের দাবী বিজ্ঞান মানতেই হবে। বিজ্ঞান না মেনে ধর্ম মানলেই তারা বলে ধর্মন্ধ। তারা আবার একটা নতুন শব্দ আবিষ্কার করেছে ‘ছাগু’ নামে। তারা সেটা কায়দা করে ধার্মিকদেরকে জব্ধ করতে ইউজ করে। এত্ত অনাচার সহ্য করে ধার্মিকরা কি করে আর ব্লগে টিকে থাকে।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: শক্তিশালী ইমানওলারা সমাজের জন্য কি কি ভূমিকা রেখেছেন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা সমাজের জন্য অনেক অনেক অবদান রেখেছেন তাদের সবাই কি অমুমিন?

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাসের বিষয় আর বিজ্ঞান যুক্তি-তর্ক-প্রমানে।

আল্লাহ, মৃত্যুপরবর্তী জীবন, কেয়ামত, হাসর, দোযখ-বেহেস্ত এই সবকিছুই বিশ্বাসের বিষয়। বিজ্ঞানের কোন জ্ঞান দিয়েই এগুলো খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিজ্ঞান মানুষের কল্যানে নতুন নতুন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে নৈতিকতার মানদন্ডে করছে অনন্য মানুষ।

তাই, ধর্ম-বিজ্ঞানে সংঘর্ষ অহেতুক।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাস্তবিক বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের সব কিছু বিশ্লেষণ করা অসম্ভব।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐদিন এক বিদেশী ইসলামি ব্ক্তা বলছিলেন, তাকে কোন এক বিধর্মী জিজ্ঞেস করেছিল, শুকরের মাংস কেন হারাম? বক্তা বলছিলেন, অনেক মুসলমান এ প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞান খুঁজে, শুকরের মাংসে এটা আছে, ঐটা আছে এসব বলে উত্তর দিতে চায়। অথচ সিম্পল উত্তর হল, আল্লাহ নিষেধ করেছে তাই হারাম। কাজেই, মুসলমানের কাছে বিবর্তনবাদ, মেরাজ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ১০০% সঠিক কথা বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.