নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধুমাত্র দু’জন লোকের সাথে কথা বলে আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য হাসিল করে ফেললেন

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭




আল্লাহ একটা অকল্পণীয় সুন্দর ও আরম দায়ক স্থান জান্নাত বানালেন। যাতে দশটা পৃথিবীর সমান স্থান পাবেন এক একজন ডেলিগেট। তাতে তাঁর মানুষ ও জিন সংখ্যার ১% সদস্য ডেলিগেট হিসাবে প্রয়োজন। তাতেই কত বিশাল স্থানের প্রয়োজন। জান্নাতের প্রয়োজনীয় ডেলিগেট পাওয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে কোন জিনের সাথে কথা বলেননি। তিনি পৃথিবীর দু’জন মানুষের সাথে কথা বলেছেন। তাঁরা হলেন মুসা (আ) ও মোহাম্মদ (সা)। আরো অনেকের সাথে আল্লাহ সরাসরি কথা না বললেও তাঁদের নিকট তিনি ফেরেশতা মারফত তাঁর কথা পৌঁছে দিয়েছেন। বেশ হয়ে গেল। তিনি পেয়ে যাচ্ছেন জান্নাতের ১% ডেলিগেট।

তারপর অমুক তমুক বলেছে তাদের সাথে কেন আল্লাহ কথা বলেননি? তো তাদের সাথে কথা না বলাতে আল্লাহর কি ক্ষতি হয়েছে? তাদের সাথে কথা না বলাতে আল্লাহর জান্নাতের ১% ডেলিগেট পেতে সমস্যা হচ্ছে কি? যদি তেমন কোন সমস্যা না হয় তাহলে আল্লাহ কেন তাদের সাথে কথা বলবেন? প্রয়োজন ছাড়াতো কেউ আর কোন কাজ করে না।

যারা জান্নাতে যাবে না আল্লাহ বলেছেন তাদের ঠিকানা আল্লাহ জাহান্নামে করে দেবেন? এরমধ্যে অনেকে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য বাক্স-পেটরা গুঁছিয়ে বসে আছে। সেখানে নাকি অনেক বৈচিত্র আছে। আর আল্লাহ বলেছেন, অবশিষ্ট মানুষ ও জিন জাহান্নামে ফেলে দিলেও তাতে জায়গার কোন অভাব হবে না।

একজন বলল জাহান্নামে আমার অবস্থা কেমন হলে ভালো হবে? আমি বললাম জ্যান্ত ফুটবল। যাতে লাথি মারলে জাহান্নামীরা আনন্দ বোধ করবে। আর লাথি খেয়ে খেয়ে তুই বিচিত্র করমের শব্দ করবি। সেটাই হবে তোর জন্য জাহান্নামের অনেক অনেক বৈচিত্র।

কতিপয় বলল, ওসব আমরা বিশ্বাস করি না। আমি বললাম সেখানে যাওয়ার পর ওকথা তোমরা আর অবিশ্বাস করবে না। দু’দিন আগে আর পরে। আল্লাহর কথা সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। তবে এখনকার মত তখনকার বিশ্বাস লাভ জনক হবে না।

তথপি তথাপি তথাপি মুমিনদেরকে অনেকের গাছ বলদ মনে হয়। মুমিন বলে সমস্যা নাই। চালাক হয়ে জাহান্নামে যেতে পারব না। তারচে বরং বলদ হয়ে জান্নাতে যাই সেটাই বরং ভালো। কে বুঝাবে এসব লোককে। এদের অটল ঈমান কিছুতেই টলানো যায় না।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সেই এক পার্সেন্টের সুবিধার জন্য বাঁকি ৯৯% কে যে অসুবিধায় ফেলা হলো তার বেলায় কি কোন বিচার নাই ?

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কারো ক্ষমতা থাকলে বিচার পতির বিচার করবে। কিন্তু তেমন ক্ষমতা কারো হবে কি?

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

নতুন বলেছেন: একজন বলল জাহান্নামে আমার অবস্থা কেমন হলে ভালো হবে? আমি বললাম জ্যান্ত ফুটবল। যাতে লাথি মারলে জাহান্নামীরা আনন্দ বোধ করবে। আর লাথি খেয়ে খেয়ে তুই বিচিত্র করমের শব্দ করবি। সেটাই হবে তোর জন্য জাহান্নামের অনেক অনেক বৈচিত্র।

অবাস্তব কল্পনার একটা বিষয় নিয়ে আপনি সত্য ১০০% একজন মানুষকে ছোট করে দেখছেন তাকে তুই বলে আনন্দ পাচ্ছেন এটা কেমন হয়ে গেলো না?

আপনি যে বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছেন সেটা সত্য হবার সম্ভবনা ৫০% - ৫০%

কিন্তু আপনি যে মানুষকে নিয়ে তামাসা করছেন তিনি আপনার মতন ১০০% সত্য একজন মানুষ্য।

আর উপরে যেই জান্নাতের কথা বলেছেন সেগুলি বর্তমানে মানুষের কাছে কাহিনির মতন মনে হয়। প্রতিদিন এর বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ। এখন এই রকমের কল্পকাহিনিতে মানুষের বিশ্বাস কম।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ আমাকে নিয়ে তামাসা করলে আমি তাকে নিয়ে তামাসা করা অপরাধ নয়। কথায় বলে টিট ফর টেট। কে কি বিশ্বাস করবে এবং করবে না সেটা তার বিষয়। কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া কারো দায়িত্ব নয়। কিছু লোকের আব্দার এমন যে মুমিন ঈমান না ছাড়লে তাদের মহা ভারত অশুদ্ধ হয়। তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলে এ সময়টুকু আয় উৎপাদনে ব্যয় করলে সবার লাভ। আরে আমি সবার লাভের কথা ভেবে নিজের লাভ বাদ দেব নাকি?

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ১টি নতুন ও সুন্দর "ইসলাম ধর্ম" সম্পর্কে লিখছেন। সব ধর্মের জন্ম হয়েছে এভাবেই।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মগুলো শুরুতে ছোট থাকে, তারপর প্রত্যকে ১টা, ২টা করে বাক্য, নিয়ম, ব্যাখ্যা যোগ করেতে থাকে; ক্রমেই ধর্ম বড় হয়।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু ইসলামের কোরআন অন্য রকম। কোটি মানুষ এটা মুখস্ত করে বসে আছে। সেজন্য নকুল কুমার বিশ্বাস বলেছে, পৃথিবীর সব কোরআন পোড়ালেও কোরআনের বিনাশ নেই। আল্লাহর মতই আল্লাহর কিতাব অবিনাশী।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কথায় কথা বাড়ে,তবে আল্লাহ তা বাড়াতে চায়নি।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ অল্পে তুষ্ট।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



কোরান মুখস্হ করে ভালো করেছে।

আপনি পোষ্ট লিখছেন, কোরান তো লিখছেন না; আপনার পোষ্টের ব্যাখ্যা তো ইসলামের পক্ষে ব্যাখ্যা হচ্ছে; ফলে, ইসলাম বড় হচ্ছে।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনের পাঠ সংখ্যা এমনিতেই সর্বাধিক। সুতরাং কোরআন লেখা খুব বেশী দরকারী বিষয় নয়। যার দরকা সে কোরআন পড়ে মানার চেষ্টা করে। আর যার দরকার নাই সে কোরআন পড়ে না এবং পড়লেও মানে না।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বলেন, কি লিখেন আমার বুঝে আসে না।
তালগাছ আপনার।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু অন্যদের তো বুঝতে সমস্যা হয়নি।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: কতো সংখ্যা থেকে ১%।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মোট সংখ্যা।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি বুঝাবেন।আপনাকেই আল্লাহ এই দায়িত্ব দিয়েছেন।মুমিনের দায়িত্ব হলো মানুষকে বুঝানে।সেটা পালন না করলে খবর আছে?মানুষ বুঝুক আর না বুঝুক আপনার কাজ হলো মানুষকে বুঝানো।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাকদীর – আমার এ বিবরণে কারো মতভেদ থাকলে বলুন

সূরাঃ ৮৭ আলা, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। যিনি তাকদীর নির্ধারণ করেছেন, তারপর হেদায়াত প্রদান করেছেন।

সূরাঃ ৯৭ কাদর, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। নিশ্চয়ই আমরা কোরআন নাযিল করেছি কদরের রাত্রিতে।

* প্রত্যেকের তাকদীরের একাংশ একত্রে কদরের রাতে নির্ধারিত হয়েছে। এ তাকদীরের পরিবর্তন নেই।এটা কে কার সন্তান হিসাবে কেমন রূপ-আকারে জন্মাবে সেই সংক্রান্ত তাকদীর।

সূরাঃ ৪৪ দুখান, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
৩। আমরা তো এটা নাজিল করেছি এক মোবারক রাতে; আমরাতো সতর্ককারী।
৪। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরিকৃত হয়।

* তাকদীরের অন্য অংশ প্রত্যেক মোবারক রাতে (লাইলাতু ফি নেসফি শাবান) বার্ষিক কিস্তিতে নির্ধারিত হয়। দোয়া দ্বারা এ তাকদীর পরিবর্তন হয়। এরমধ্যে রিযিক এবং আয়ুকালও রয়েছে।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৪৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৫। হে মুমিনগণ! তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখিন হবে তখন অবিচলিত থাকবে। আর অধিক আল্লাহর যিকির করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সূরাঃ ৭২ জিন, ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। যা দ্বারা আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করতাম। যে তার রবের যিকির হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন দুঃসহ আযাবে।

সূরাঃ ৯৫ তীন, ৪ নং ও ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা মানুষকে সৃষ্টিকরেছি সুন্দরতম গঠনে।
৫। অতঃপর আমি তাকে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিণত করি।

* আল্লাহ সৃষ্টির আত্মাকে যিকিরের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে যারা তাঁকে সবচেয়ে বেশী খুশী করেছে তিনি তাদের তাকদীরে জান্নাত লিখলেন। আর এতে যারা তাঁকে খুববেশী অসন্তুষ্ট করেছে তাদের তাকদীরে আল্লাহ জাহান্নাম লিখলেন।মাঝামাঝি অবস্থানে যারা ছিল তাদের তাকদীরে আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই লিখলেন না।জান্নাতিদের মধ্যে যারা আল্লাহকে খুব বেশী খুশী ও অখুশী করলো তারা মানুষ হলো এবং যারা আল্লাহকে মানুষের চেয়ে কম খুশী ও অখুশী করলো তারা জিন হলো।

সূরাঃ ৫১ যারিয়াত, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমারই ইবাদত করবে।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার (নেকের)পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৮ নং ও ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। কিন্তু যার (নেকের) পাল্লা হালকা হবে
৯। তার মা হবে হাবিয়া

* জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারনের পর আল্লাহ মানুষ ও জিনের জন্য ইবাদতের ব্যবস্থা করলেন। ইবাদত অনুযায়ী যার নেকের পাল্লা হালকা হবে তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। পাপ অনুযায়ী শাস্তি ভোগের পর সে জান্নাতে যাবে।

যাদের তাকদীরে আল্লাহ চিরস্থায়ী জাহান্নাম লিখে দিয়েছেন; তাদেরকে আল্লাহ মোহর করে দিয়েছেন যে তারা কিছুতেই ঈমান আনবে না। কিন্তু যাদেরকে আল্লাহ মোহর করে দেননি তারা ঈমান আনবে, তবে ইবাদত ঘাটতির কারণে সাময়িক তাদের অনেককে জাহান্নামে যেতে হবে।

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩৮ নং ও ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ওটা এই যে কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না।
৩৯। আর এই যে মানুষ যা করে তাই সে পায়।

* তাকদীর হিসাবে মানুষ ও জিন নিজেদের বোঝা বহন করে। তারা কেউ আল্লাহর চাপিয়ে দেওয়া বোঝা বহন করে না। কারণ তাদের তাকদীরের একাং লিখিত হয়েছে রুহের জগতে তাদের যিকিরের ফল অনুযায়ী এবং তাদের তাকদীরের অন্য অংশ লিখিত হয়েছে দুনিয়াতে তাদের ইবাদত অনুযায়ী। ভালো সকল কাজ হলো ইবাদত আর মন্দ সকল কাজ আল্লাহর অবাধ্যতা। ইবাদত ও অবাদ্যতার ভিত্তিতে জান্নাত ও জাহান্নামের শ্রেণী নির্ধারিত হলো। এতে দুনিয়ার সুবিধা ও অসুবিধাও লিখিত হলো।

সূরাঃ ২২ হাজ্জ্ব, ৭০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। তুমি কি জাননা যে আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? এসব এক কিতাবে আছে। এটা আল্লাহর নিকট সহজ।

সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ভূ-পৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ূ মন্ডলে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি। আমি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখিনি। তারপর তাদের সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্রিত করা হবে।

* আল্লাহ কিতাবে কারো যিকিরের হিসাব বাদ রাখেননি। যারা যিকির অনুযায়ী জান্নাত ও জাহান্নামের বরাদ্ধ পায়নি তাদেরকে আল্লাহ তাদের যিকিরের ফল অনুযায়ী আঠার হাজার মাখলুকাতে বিভক্ত করে দিলেন। এরমধ্যে যারা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেল তারা নিকৃষ্ট প্রাণী হলো এবং যারা জান্নাত থেকে বঞ্চিত হলো তারা উৎকৃষ্ট প্রাণী হলো। সেজন্যই আল্লাহ বললেন কেউ কারো বোঝা বহন করে না।মানুষ ও জ্বীন ব্যতীত অন্যদের ইবাদত না থাকায় তাদের কাজ হিসাবে যিকির অব্যাহত থাকলো। তাদের আরেকটা কাজ হলো পারস্পরিক আচরণ। এর ভিত্তিতে তাদের দুনিয়ায় সুবিধা ও অসুবিধা লিখিত হলো।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৭২ থেকে ১৭৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭২। যখন তোমার রব আদম সন্তানদের পিঠ হতে তাদের বংশধরদেরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের থেকে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তারা বলে, ‘হ্যাঁ’ আমরা সাক্ষী থাকলাম। এটা এজন্য যে তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বল যে, আমরাতো এ বিষয়ে গাফির ছিলাম।
১৭৩। কিংবা তোমরা যেন না বল, আমাদের পূর্বপুরুষগণই তো আমাদের পূর্বে শিরক করেছে, আর আমরা তো তাদের পরবর্তী বংশধর; তবে কি পথভ্রষ্টদের কৃতকর্মের জন্য তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবে?

* আল্লাহ প্রত্যেক আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের বংশধরদেরকে বের করে তাদের থেকে তাঁর প্রভুত্বের সাক্ষী নিয়ে নিলেন, যেন তারা তাদের কাজের জন্য তাদের বাপ-দাদাকে দায়ী না করতে পারে। কিন্তু মন্দ বাপদাদার বংশধর হওয়া কারো দূর্ভাগ্যের কারণ নয়। কারণ যার ভাগ্যে জান্নাত লিখিত হয়েছে সে মন্দ বাপদাদার বংশধর হলেও অবশেষে সে জান্নাতের পথে চলেই পৃথিবী থেকে গত হবে। আর যার ভাগ্যে জাহান্নাম লেখা আছে সে ভালো বাপ-দাদার বংশধর হলেও অবশেষে সে জাহান্নামের কাজ করেই পৃথিবী থেকে গত হবে।

# এটি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছি। ব্লগে শুধুমাত্র আপনাকে জানালাম। এটি আমার পুস্তকে লিখতে চাই। ভুল-ত্রুটি ঠিক করার জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছি। কারণ আমার বন্ধু তালিকায় আমার শিক্ষকগণও আছেন।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২২

কামাল১৮ বলেছেন: ওটাই আপনার জন্য ঠিক জায়গা।আপনি ভুল যায়গায় মুক্তা ছড়াচ্ছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ব্লগেও কিছু মুমিন আছে। একেবারেই যে নেই তা’ কিন্তু না।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বিজ্ঞান বা তার সমমনারা বা নাস্তিকরা হাজারটা যুক্তি দিয়েও আমার বিশ্বাসকে টলাতে পারবেনা।

কোন যু্ক্তি তর্ক ছাড়াই আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়।


আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ হাসরের দিন টুটিচেপে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে আল্লাহ বিরোধী প্রমাণ কি কাজে লাগবে? মুমিন এটা বুঝে। সেজন্য আল্লাহ বিরোধী কোন যুক্তি প্রমাণ কোনভাবেই মুমিনের ঈমান টলাতে পারে না। এদেশে হঠাৎ কিছু নাস্তিক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তারা মনে করেছিল রাতারাতি বাংলাদেশটাকে ধর্মহীন রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলবে। কিন্তু তাদের সে আশায় যে গুড়ে বালি আমি তাদেরকে সেটাই বুঝাতে চেষ্টা করছি। ধর্মহীনদের এ দলটি চিরকাল নিজেদেরকে বিশাল জ্ঞানী মনে করে সাধারণ মানুষকে তাদের দলে আনার টেষ্টা করে। বেলা শেষে দেখা যায় তাদের দলে স্বল্প সংখ্যক লোক।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আল্লাহ, জান্নাত-জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব এগুলোকে বৈজ্ঞানিক ভাবে আকট্য প্রমান করা যাবে না। এগুলো সবই বিশ্বাসের ব্যাপার। কোন প্রকার যুক্তি-তর্ক ছাড়াই এগুলো বিশ্বাস করি।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রত্যেক মুমিন এটাই করবে। তারাতো আগে বিশ্বাস করে নিবে। তারপর তাদের বিশ্বাসের পক্ষ্যে যুক্তি প্রমাণ পেলে তারা ‍খুশী হয়। তবে বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি প্রমাণ না পেলেও এটা নিয়ে তাদের কোন ভাবান্তর নেই।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুসলিম হয়ে যা বিশ্বাস করা দরকার তাই করি।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিম হিসাবে বজায় থাকতে হলে এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:২১

কামাল১৮ বলেছেন: ব্লগে যে কয়জন মুমিন আছে তাদের কাছে মুক্তার বস্তা আছে।তারা আপনার মুক্তা কুড়াবে না।আপনি বরং মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছে যান।তাদের কাছে আপনার মুক্তার অনেক কদর।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ব্লগে অনেক মাদ্রাসার ছাত্রও আছে।

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

নতুন বলেছেন: নেপালের নামচি বাজার থেকে এভারেস্ট দেখা যায়।

লাখ লাখ মানুষ ঐটা দেখবে কিন্তু খুবই অল্প কয়েকজনই এভাবেস্টের চুড়ায় পা রাখতে যাত্রা শুরু করবে।

বেশির ভাগ মানুষই এই র্দগম পথে বিপদের ভয়ে যেতে চাইবেনা।



তেমনি বিশ্বের প্রায় ৪০০০ ধর্মের অনুসারীরাও ভয়,আলসী বা অন্য কোন না কোন কারনে ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করবেনা,

যেটা সহজ সেটা হলো তারা একটা ধর্মে বিশ্বাস করে নেবে।

আপনি যেমন জানেন বাকি ৩৯৯৯ ধর্মের মানুষ বিপথে আছে, তারাও কিন্তু তাদের ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করে আপনার ধর্মে যোগ দিতে পারেনাই। বিশ্বাস করে নিয়েছে তাদের বাবা দাদার ধর্মকে।

তেমনি আমি আমার যুক্তি দিয়ে, পড়াশুনা দিয়ে বুঝতে পেরেছি যে কিছু মানুষ ৪০০০ ধর্মের অনুসারী এবং তারাও বাকী ৩৯৯৯ অনুসারীর মতনই কোন না কোন কারনে একটা ধর্মে বিশ্বাস করে নিয়েছে মাত্র।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাদের ও আমাদের মাঝে একটা পার্থক্য তো আছেই। তাদের নিকট আমাদের কোরআনের মত কিতাব নাই। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী অনেক কিতাব লিখেছে, কিন্তু কোরআনের মত কিতাব লিখতে পারেনি। যদি সে একাজে সফল হতো তাহলে সে বলেই দিতো যে তার কিতাবই শেষ কিতাব। আমি দেখলাম কোরআন কোটি লোকের মুখস্ত, কিন্তু অন্য কোন কিতাব লোকেরা মুখস্ত করে না। সুতরাং অনেক বুঝে শুনেই আমি কোরআনের অনুসারী হয়েছি। আপনি কোরআন বিশ্বাস করেন না সেটা আপানার বিষয়, সেটা আমার বিষয় নয়। কোরআনের উপর আমার ১০০% বিশ্বাস রয়েছে। সগত রাতেও আমি অনেকক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করেছি। এর অর্থ পড়েছি। এ কিতাব অন্য কোন কিতাবের মত নয়। এর মানই বলে দেয় এটা আল্লাহর কিতাব।

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

নতুন বলেছেন: কোরানে আয়াতের সংখ্যা কত?

আর কোরান যারা মুখস্ত করে হাফেজ হয় তারা তার অর্থ জানে?

আরব দেশে মুখস্ত করলে অর্থ বুঝতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে বা ইন্দনেশিয়াতে মুখস্থ করে কি লাভ হচ্ছে মানব সমাজের?

মানুষ ইচ্ছা করলে অবশ্যই এর চেয়ে বড় কিছু মুখস্থ করতে পারে। এটা কোন অলৌকিক ঘটনা না।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ছাড়া অন্য কোন কিতাব কেউ মুখস্ত করতে ইচ্ছা করে না, বিষয়টা এখানে। যেহেতু আপনি মুমিন হবেন না সেহেতু বিষয়টা আপনার বিবেচনায় আসে না। আমি মুমিন হব সেজন্য বিষয়টা আমার বিবে চনায় আসে।

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বলেছেন: আর কোরান যারা মুখস্ত করে হাফেজ হয় তারা তার অর্থ জানে?

আরব দেশে মুখস্ত করলে অর্থ বুঝতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে বা ইন্দনেশিয়াতে মুখস্থ করে কি লাভ হচ্ছে মানব সমাজের? এমন কি নিজেরই কারন সে বলতে পারে কিন্তু অর্থ জানেনা যে সে কি বলছে!!!

আরব দেশে মুখস্ত করলে অর্থ বুঝতে পারে, হয়তো সে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী চলবে, কিন্তু আমাদের দেশে একজন মিখস্থ করে বসে আছে কিন্তু সে কিছুই বোঝে না!

এটা কি কুসংস্কার নয়?

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন তিনি কোরআন সংরক্ষণ করবেন। তিনি হাফেজে কোরআনের মাধ্যমে কোরআন সংরক্ষণ করেন। এটাকে আপনি যা বলে শান্তি পান বলতে পারেন। এ কাজ কেউ থামাতে পারবে না। রাশিয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়েছিল, তারা মাটির নীচে কুঠুরী বানিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা চালিয়ে গেছে। কারো নিকট যা কুসংস্কার, কারো নিকট সেটাই সংস্কার। এভাবেই চলছে দুনিয়া। ধর্ম হীনরা হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মানুসারীদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, বেলা শেষে তারা দেখছে ধার্মিক আছে তাদের স্থানে ঠিকঠাক মত। ধর্মহীনদের একেক জন ওরে গেয়ানী। সব তাদের নিজেদের বিবেচনায়। আর ধার্মিকেরা তাদের বিবেচনায় বলদ। তবে এ বলদেরা কোন কালেই ধর্মহীন গেয়ানীদেরকে কেয়ার করে না।

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: এ কাজ কেউ থামাতে পারবে না। রাশিয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়েছিল, তারা মাটির নীচে কুঠুরী বানিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা চালিয়ে গেছে। কারো নিকট যা কুসংস্কার, কারো নিকট সেটাই সংস্কার। এভাবেই চলছে দুনিয়া।

অবশ্যই এই কাজ কেউই থামাইয়া রাখতে পারবেনা।

বাংলাদেশে, পাকিস্তানে কয়েক লক্ষ মানুষ একটা জিনিস মুখস্ত করে বসে আছে যেটার অর্থ তারা জানেনা। :|

আমার এক পরিচিত তার স্ত্রী হাত মোজা পড়ার মতন পর্দা করে, ছেলেকে হাফেজ বানাচ্ছে। স্বামী ৫ তারা হোটেলের বারের ম্যানেজার, নিজে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে।

মাসে লক্ষ টাকা আয়ের টাকা আসছে বারের মদ বিক্রির থেকে। কিন্তু ছেলেকে হাফেজ বানাচ্ছে আল্লাহের সন্টুস্টির জন্য।

সামনে এক হাইব্রিড কিউট ধার্মিক প্রযন্ম দেখবো আমরা। B-))

০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিছু লোক আছে যারা ভালো-মন্দ সব ধরণের কাজ করে।যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে ভালো কাজে নিরুৎসাহিত করা ঠিক নয়। তারা ভালো কাজ করতে করতে এক সময় মন্দ কাজ ছেড়েও দিতে পারে। ফুজাইল ইবনে আয়াজ ডাকাতিও করতেন এবং কোরআন তেলাওয়াতও করতেন। একসময় কোরআনের প্রভাবে তিনি ডাকাতি ছেড়ে ভালো মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন।

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

নতুন বলেছেন: * মাসে লক্ষ টাকা বেতনের টাকা আসছে বারের মদ বিক্রির থেকে। ( উনি চাকুরি করছেন নিজের ব্যবসা না)

০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অকাজ এবং সুকাজ একত্রে চলার পর এক সময় কেউ অকাজ ছাড়ে এবং কেউ সুকাজ। তারপর তারা এক মুখী হয়ে যায়। অকাজ ছাড়তে পারে এ আশায় কারো সুকাজে উৎসাহিত করা যায়। তবে সুকাজ যদি মোনাফেকি হয় তাহলে তাতে উৎসাহিত করা যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.