নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? – এ বিষয়ে আল্লাহ কি বলেন?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:১৬




সূরাঃ ৫৯ হাসর, ২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৪। তিনিই আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁর। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘেষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?

সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

* আল্লাহ সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? মানুষ এমন প্রশ্ন করবে বলে রাসূল (সা.) বলেছেন। প্রশ্নটি আল্লাহ সংক্রান্ত। সুতরাং এর উত্তর আল্লাহ প্রদান করার কথা। তো এমন প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ কি বললেন?

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।

* আল্লাহ বলেছেন, তিনি এক। তারমানে তিনি স্বীকার করলেন তাঁর পূর্বে শূণ্য ছিল। কারণ আল্লাহ যে আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছেন সে আরবী ভাষা; এমনকি অন্য সব ভাষাতেও শূণ্যের অবস্থান একের পূর্বে। আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করতে হলে তাকে আল্লাহর পূর্বে থাকতে হবে। আল্লাহর পূর্বে শূণ্য থাকায় এটা সাব্যস্ত হলো যে শূণ্য আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে। শূণ্য আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে তাহলে শূণ্যকে কে সৃষ্টি করেছে?

শূণ্য মানে কিছুই না হওয়ায় এর সৃষ্টিকর্তা থাকার দরকার নেই। সুতরাং একথা সাব্যস্ত হলো যে শূণ্য আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে এবং আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আর শূণ্য আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে; একথার মানে হলো আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারণ শূণ্য মানে কিছুই না। আমরা কথার মানের দিকে না গিয়ে স্বাভাবিক কথায় থাকছি। এখন প্রশ্ন হলো শূণ্য আল্লাহকে সৃষ্টি করলে অন্য সব কিছু শূণ্য সৃষ্টি করলো না কেন? সেসব আবার আল্লাহকে সৃষ্টি করতে হলো কেন?

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* আল্লাহ বলেছেন, তাতে সব বিলিন হয়। আল্লাহ তাতে বলার কারণ উহা শূণ্য। আর শূণ্য মানে কিছুই না। কিছুই না এর আবার কি নাম? সেজন্য আল্লাহ কোন নাম না বলে তাতে বলেছেন। তবে মানুষ কিছুই না এর নাম দিয়েছে শূণ্য।

অন্য কোন কারণ না থাকলে কোন কিছু স্থানের দিকে ধাবিত হয়। অথবা স্থান এর কাছাকাছি কোন জিনিসকে নিজের দিকে টানে। স্থান যদি এক দিকে থাকে তাহলে স্থান কোন কিছুকে এক দিকে টানে এবং তাতে কোন কিছু অক্ষত থাকে। কিন্তু স্থান যদি সব দিকে থাকে এবং উহা যদি কোন কিছুকে সব দিকে টানে তাহলে এমন স্থানে কোন কিছু অক্ষত না থেকে ভেঙ্গে যায়। অত:পর তা ভেঙ্গে যেতে যেতে বিলিন হয়।শূণ্যর স্থান এক দিকে নয়। শূণ্যের স্থান সব দিকে। সেজন্য তাতে সব কিছু ভেঙ্গে গিয়ে বিলিন হয়। ভেঙ্গে বিলিন হতে গিয়ে পদার্থ এর পরমাণু থেকে ভেঙ্গে ইলেক্ট্রন পোট্রন ও নিউট্রন নামক শক্তিতে পরিণত হয়। এভাবে শূণ্যতে সব কিছু শক্তিতে পরিণত হয়ে সর্ব শক্তিমাণ হওয়ায় সব কিছু বিলিন হয়ে তিনি বাকি থাকলেন।

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ নিরভাব।

* শূণ্যের সীমা নেই বিধায় শূণ্যের সৃষ্টি আল্লাহ অসীম হলেন। সুতরাং আল্লাহর সত্তায় সব কিছু অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ। তাঁর সত্তায় সকল পদার্থ শক্তি রূপে অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ এবং তাঁর সত্তায় সকল শক্তি অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ। সেজন্য তিনি নিরভাব।

সূরাঃ ৩৬ ইয়াসীন, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। সূর্য়ের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া। রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা। আর নভ:মন্ডলে প্রত্যেতে নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।

* শূণ্য স্থানের সব দিকের টানের কারণে বিলিন হওয়ায় সৃষ্টির জন্য আল্লাহ এক দিকের টানের ব্যবস্থা করলেন। সেটা হলো চক্রাকার কক্ষপথ। নভ:মন্ডণের সকল সদস্য নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে অস্তিত্ব রক্ষা করছে। কেয়ামতে আল্লাহ এ কক্ষপথ ভেঙ্গে দিবেন বলে সব কিছু আবার বিলিন হয়ে আল্লাহ একা বাকী থাকবেন। তারপর তিনি তাঁর সৃষ্টি জগৎ আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তাঁর অনুগত ও অবাধ্যদের কাজের প্রতিদান প্রদান করবেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ বললেন, তিনি চির বিদ্যমাণ। যারা এখনো জন্মগ্রহণ করেনি তারা অতীতে ছিল না। যারা এখন আছে তারা ভবিষ্যতে থাকবে না। এমন ক্ষণস্থায়ী অবস্খার কারণে সকল ক্ষণস্থায়ী বিলিন হয়, কিন্তু চিরস্থায়ী আল্লাহ বিলিন হন না। অন্যরা চিরস্থায়ী হলো না, আল্লাহ চিরস্থায়ী হলেন কেমন করে? এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ কি বললেন?

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ নিরভাব।
* অন্য সবার মাঝে কোন একটা কিছু আছে তো অনেক কিছুই নেই। কিন্তু আল্লাহর মাঝে সকল কিছু আছে অসীম মাত্রায়। অসীম কখনো ফুরিয়ে যায় না বিধায় আল্লাহ চিরস্থায়ী হয়ে গেলেন। আল্লাহ অসীম হলেন কেমন করে? এ প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ কি বললেন?

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ২০ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। বল, পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং অনুধাবন কর কিভাবে তিনি সৃাষ্ট শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পূনর্বার সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি। আল্লাহ তো সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমাণ।

* আল্লাহ সর্বশক্তি সহযোগে অসীম হয়ে গেলেন অন্য আর কারো মাঝে সর্বশক্তি না থাকায় তাদের কেউ অসীম হতে পারেনি। এটা হলো যোগ্যতমের জয়। এই অসীম হওয়ার কারণেই আল্লাহ এক। কারণ অসীমের সীমা নেই। আর অসীমকে সীমা দিলে তা’ আর অসীম থাকে না। সুতরাং আল্লাহর একাধীক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর বিলিন হওয়া সূত্রে সকল পদার্থ ইলেক্ট্রন, পোট্রন ও নিউট্রন ইত্যাদি শক্তিতে বিভাজিত হয়ে আল্লাহর সর্বশক্তির সত্ত্বায় একিভূত হওয়ায় আল্লাহর সত্ত্বায় কোন পদার্থ ও শক্তির কোন অভাব না থাকায় তিনি নিরভাব হয়েছেন। তিনি কিভাবে সৃষ্টি শুরু করলেন, এটা তিনি অনুধাবন করতে বলেছেন। সুতরাং অনুধাবন করলেই বুঝা যাবে আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি শুরু করলেন।

আল্লাহ তাঁর সত্ত্বায় বিদ্যমান পদার্থের শক্তি কনিকাকে শক্তি তাড়িত করে পদার্থ কনিকা সৃষ্টি করলেন। এভাবে তিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কনিকা সৃষ্টি করলেন। এরপর তিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কণিকাকে একিভূত করে পানির কনিকা সৃষ্টি করলেন। পানির কনিকা দিয়ে তিনি জলীয় বাস্প সৃষ্টি করলেন। জলীয় বাস্পকে তরল পানি করার জন্য তাঁর জমিন সৃষ্টির প্রয়োজন হলো। এরপর তিনি জমিন সৃষ্টি করে তাতে বড় বড় জলাধার তৈরী করে তাতে তরল পানি সৃষ্টি করে সঞ্চয় করে রাখলেন। এরপর তিনি আকাশ সৃষ্টি করলেন। আর এভাবে তিনি তাঁর সৃষ্টি সম্প্রসারিত করতে থাকলেন।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



শুন্য ( জিরো ) হচ্ছে অবশ্যই মানুষের "নাম্বার আবিস্কারের অংশ"; মানুষ গণনার সিষ্টেমকে লজিক্যালী প্রকাশ জন্য শুন্যকে ব্যবহার করেছে, গণনার দিক থেকে ইহা বুঝায় যে, সংখ্যা নেই।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংখ্যা নেই মানে, ব্যক্তি/বস্তুর সংখ্যা নেই। মানে অসীম শূণ্যতা আছে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

বিটপি বলেছেন: আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন - এটা একটা গাধার মত প্রশ্ন। যারা মনে করে যে সৃষ্টিজগত এবং প্রাণীকুলের কোন স্রষ্টা নেই, এগুলো নিজে নিজেই অস্তিত্বে এসেছে - তাদেরকে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোন অর্থ নেই।

সৃষ্টিকর্তা কোন ইঞ্জিনিয়ার বা স্কাল্পটর নন। তিনি পরিকল্পনা করেন, ডিজাইন করেন, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রোগ্রাম লেখেন এবং সময় মত তা রান করেন। তিনি একজন প্রোগ্রামার।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রশ্ন যার মতই হোক, মানুষ এমন প্রশ্ন করে, কথাটি হাদিসে এসেছে। রাসূলকে (সা) অনেক প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি সেসব প্রশ্নের উত্তর প্রদানও করেছেন। সুতরাং কেউ প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেওয়া দোষনীয় নয়।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: সংখ্যা নেই মানে, ব্যক্তি/বস্তুর সংখ্যা নেই। মানে অসীম শূণ্যতা আছে।

-আপনি বললেন, নেই মানে, ব্যক্তি/বস্তুর সংখ্যা নেই; এটুকু শুদ্ধ , বস্তুর বেলায় শুন্য মানে বস্তু নেই; "অসীম সুন্যতা বুঝানো হয় "স্পেস"এর বেলায়; ২টি একই দঃরণের "একক" নয়।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফাঁকা স্থান মানে শূণ্যস্থান। তারমানে কিছু নেই। আর শূণ্য মানেও কিছু নেই। কিছু নেই থেকে ‘এক’ কি করে হলো? এটা হলো বিবেবচ্য বিষয়। এখানে সেই হিসাব দেওয়া হয়েছে।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



@বিটপি,

আপনি বলেছেন, "... তিনি পরিকল্পনা করেন, ডিজাইন করেন, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রোগ্রাম লেখেন এবং সময় মত তা রান করেন। তিনি একজন প্রোগ্রামার। "

-মনে হয়, তিনি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন, সিআইস গ্রেজুয়েট।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য বুয়েটের ছাত্র হওয়ার দরকার নেই। সকল প্রোগ্রামারকে প্রাতিষ্ঠানিক হতে হবে এর কোন মানে নেই।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: আব্রাহামিক ধর্মে আল্লাহ শব্দটি নাই।ইসলাম ধর্মে এই শব্দটি আসলো কোথা থেকে।
কোরানের কোন সুরার কোন আয়াতে আছে দুইটা হাইড্রোজেন ও একটা অক্সিজেন কনা যুক্ত করে পানি বানালেন।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যৌগিক পদার্থ পানি যেভাবে সৃষ্টি যা বিজ্ঞান জেনেছে। সৃষ্টিকর্তা হিসাবে সেটা অবশ্যই আল্লাহর কাজ। আপনার যদি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি এমনি এমনি পানি সৃষ্টি হওয়ার বিবরণ প্রদান করুন, যা যেনে আমাদের অন্তর শীতল হতে পারে। আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে এলো এটা আলোচ্য বিষয় হতে পারে না। ঈশ্বর, গড বলতে যা বুঝায় আরবীতে তাঁকে আল্লাহ বলা হয়। এখানে আরবী ভাষার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে সকল ভাষার এ সংক্রান্ত সকল শব্দ ব্যবহার করা জরুরী নয়।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০

এভো বলেছেন: আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? – এ বিষয়ে আল্লাহ কি বলেন?

এই কথা গুলো যে আল্লাহ বলেছেন ---- একটু তথ্য গত প্রমাণ দিন ,, বিশ্বাষ সংক্রান্ত কোন কথা নিয়ে আসবেন না । এবার প্রমাণ করুন এই সব কথা আল্লাহ তালা বলেছেন ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর কথা হিসাবে মোহাম্মদ (সা) যা প্রচার করেছেন। এখানে সেটা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার কেরা হয়েছে। কোন বিবরণে রেফারেন্সের প্রমাণ দিতে দেখিনি। সবাই যদি রেফারেন্সের প্রমাণ না দিয়েই বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে রেফারেন্সের প্রমাণ না দিয়ে আমার বেলায় বক্তব্য উপস্থাপনে সমস্যা কি? আপনি যে আব্দার করেছেন সেটি নিতান্তই একটি অহেতুক আব্দার এবং এটি পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হতে পারে না।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

চারাগাছ বলেছেন:
এই পোস্ট কাদের জন্য ?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা? এটা যারা জানতে চায়, এ পোষ্ট তাদের জন্য।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে মানুষ, তবে ঠিক কবে কখন সর্বপ্রথম মানুষ আল্লাহকে কল্পনা করা শুরু করেছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে ধারনা করা হয়, মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চালাক লোকটি যখন প্রথম বোকা এক লোকের সাক্ষাত পেলো সেদিন থেকেই আল্লাহর ধরণা আবিষ্কৃত হলো।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে রেফারেন্স নিয়ে কথা হচ্ছে আপনার মন্তব্য তার সাথে গরমিল।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে মানুষ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার অনেক মন্তব্য অর্থহীন হয়ে থাকে।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩০

নজসু বলেছেন:



কেউ যদি প্রশ্ন করেন আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন তখন তর্কের খাতিরে আমরা যদি ধরেও নিই মহান আল্লাহতায়ালাকে অন্য কোন একজন সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছে। তখন প্রশ্নকারী আবারে বলবেঃ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এরপর আবার সে জিজ্ঞাসা করবে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করলো? এভাবে এ প্রশ্ন আজীবন চলতে থাকবে। প্রশ্নকারীর প্রশ্ন শেষ হবেনা। সুতরাং এটি অগ্রাহ্য।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ কাউকে সৃষ্টি করতে হলে তাকে তার সৃষ্টির পূর্বে বিদ্যমাণ থাকতে হয়। আল্লাহ এক, আল্লাহ প্রথম। এক ও প্রথমের আগে আছে শূণ্য। সুতরাং আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা হলো শূণ্য। শূণ্য মানে কিছুই না। সুতরাং আল্লাহকে কিছুই না সৃষ্টি করেছে। সুতরাং আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারণ কিছুই না বলতে কিছুই নয় বুঝায়।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ইমানদার মানুষ এই বিষয়ে প্রশ্ন বা আলোচনা করার কথা না।
এই ব্যাপারে নিষেধ করা আছে। কারন আমাদের perception এর একটা লিমিট আছে।
সূরা আন-আমের ১০৩ নং আয়াত দেখুন (لَّا تُدۡرِكُهُ ٱلۡأَبۡصَٰرُ وَهُوَ يُدۡرِكُ ٱلۡأَبۡصَٰرَۖ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلۡخَبِيرُ)
"No vision can take Him in, but He takes in all vision. He is the All Subtle, the All Aware."

এই ধরনের পোষ্ট করলে শুধুই ক্যাচাল বাড়বে, কিছু নির্বোধ অহংকারী মানুষ আজে বাজে মন্তব্য করবে, ইত্যাদি...।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৬ আনআম, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তাঁকে তো কারো চোখ দেখতে পায় না, আর তিনি সকল চোখকে দেখতে পান। আর তিনি অতীব সুক্ষ্মদর্শী এবং সব বিষয়ের খবর রাখেন।

* আল্লাহ সব বিষয়ের খবর রাখেন বিধায় মানব মনের জটিল প্রশ্নের জবাব তিনি কোরআনে দিয়ে রেখেছেন। আমরা কোরআন থেকে সেসব বিবরণ লিখে পোষ্ট দিয়েছি। সুতরাং এটা কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কোরআন বিষয়ে যাদের জ্ঞান স্বল্প তারা ইসলামের সব বিষয়েই এলোমেলো কথা বলে। তাই বলে ইসলামের কোন কথার বিবরণ দেওয়া যাবে না ঘটনা এমন নয়। যে যা বলে বলুক। আমরা যে সত্য জেনেছি তা’ প্রকাশ না করলে আমাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। সেজন্যই আমরা আমাদের জানা জ্ঞান প্রচার করছি।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি জন্মের আগে কোটি কোটি মানুষ জন্মেছিলেন। তখন কোরআন বা হাদীস ছিলো না। অর্থ্যাত ধর্ম ছাড়া মানুষ দিব্যি বেঁচে ছিলো।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ও হাদিস না থাকলেও আল্লাহর ইবাদতের বিধান চিরকাল ছিল। সে বিধান যারা পালন করেনি তাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রয়েছে।

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করলে আল্লাহ তো আর সৃষ্টিকর্তা থাকবেন না। আল্লাহতায়ালার সংজ্ঞাই হোল তিনি এমন এক সত্তা যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতেও এটা সম্ভব না। কারণ তাহলে প্রশ্ন আসবে আল্লাহকে যে সৃষ্টি করেছে তাকে কে সৃষ্টি করেছে। এইভাবে অনন্তকাল যাবত এই প্রশ্ন চলতে থাকবে।

বিজ্ঞান যদি বলে সব কিছু বিগ ব্যাঙ্গের ফলে সময় এবং স্পেস সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন করা যায় বিগ ব্যাঙ্গের আগে কি ছিল।

মূল বিষয় এগুলি মানুষের মগজে ঢোকার মত জিনিস না। মানুষের তৈরি অনেক আবিষ্কার মানুষ বোঝে না। সেখানে স্রষ্টার সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা মানবের পক্ষে সম্ভব না। সম্ভব হলে স্রষ্টা সেটা ব্যাখ্যা করে বলে দিতেন।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ ব্যখ্যা করে না বললেও, বিষয়টা মানুষের বুঝার ব্যবস্থা তিনি কোরআনে রেখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.