নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
# আল্লাহ কিভাবে সকল সৃষ্টির তাকদীর বা ভাগ্য লিখলেন?
# শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য উপস্থাপিত। অবিশ্বাসীদের এটি পাঠ ও এতে মন্তব্যের দরকার নেই
সূরাঃ ৮৭ আলা, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। যিনি তাকদীর নির্ধারণ করেছেন, তারপর হেদায়াত প্রদান করেছেন।
* সৃষ্টির তাকদীর নির্ধারণ করা ছিল সৃষ্টির জন্য আল্লাহর প্রথম কাজ।
সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?
* তাকদীর নির্ধারণের ক্ষেত্রে আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রত্যেক সদস্যের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ন ছিলেন।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। যিকিরের পর আমি কিতাব লিখে দিয়েছি, যেন আমার সালেহ বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হয়।
* তাকদীরের কিতাব লেখা হয়েছে যিকিরের পর।
সূরাঃ ৭২ জিন, ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। যা দ্বারা আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করতাম। যে তার রবের যিকির হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন দুঃসহ আযাবে।
* সৃষ্টির জন্য আল্লাহর প্রথম কাজ তাকদীর নির্ধারনের জন্য বান্দার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত প্রথম কাজ ছিলো যিকির। এতে যারা বিমুখ হবে তাদের জন্য আল্লাহ আযাব প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। আর যারা এতে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে আল্লাহ তাদেরকে তাঁর নেয়ামত প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।
সূরাঃ ২২ হাজ্জ্ব, ৭০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। তুমি কি জাননা যে আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? এসব এক কিতাবে আছে। এটা আল্লাহর নিকট সহজ।
সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ভূ-পৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ূ মন্ডলে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি। আমি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখিনি। তারপর তাদের সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্রিত করা হবে।
* আল্লাহ সৃষ্টিকে যিকিরের দায়িত্ব প্রদান করে কে কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করছে তা’ কিতাবে লিপিবদ্ধ করতে থাকলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখেননি। তারপর কিতাবের বিবরণ অনুযায়ী আল্লাহ প্রত্যেক সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করে দিলেন। ভাগ্য বরাদ্ধ সাপেক্ষ্যে আল্লাহ তাঁর সকল সৃষ্টিকে আঠার হাজার মাখলুকাতে বিভক্ত করে দিলেন। এরমধ্যে যারা সবচেয়ে বেশীভাগ্যবান এবং যারা সবচেয়ে বেশী হতভাগ্য তারা মানুষ হলো। মানুষের মধ্যে যারা জান্নাতি তারা আশরাফুল মাখলুকাত এবং যারা জাহান্নামী তারা আল্লাহর সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩৮ নং ও ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ওটা এই যে কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না।
৩৯। আর এই যে মানুষ যা করে তাই সে পায়।
* কারো মন্দ ভাগ্যের দায় আল্লাহর নয়। আল্লাহ জোর করে কোন মন্দভাগ্য কারো উপর চাপিয়ে দেননি। প্রত্যেকে নিজেই নিজের অর্জীত মন্দ ভাগ্যের বোঝা বহন করে। আর মানুষের জন্য নির্ধারিত সব কিছুই তার কর্মফল।
কেউ যে ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে সেটা তার পূর্বকাজের ফল। যেমন সে কারো সন্তান, সে নারী অথবা পুরুষ, সে দেখতে যেমন হয়েছে সেটা এসব তার পরকাজের ফল নয়। পরকাজের ফল অনুযায়ী ভাগ্যের দ্বিতীয় অংশ নির্ধারিত হয়েছে। যা দোয়ায় পরিবর্তন যোগ্য। সুতরাং ভাগ্যের দু’টি অংশের প্রথমটি পরিবর্তন অযোগ্য, কিন্তু এর পরের অংশ পরিবর্তন যোগ্য। তো পরিবর্তন যোগ্য ভাগ্যের পরিবর্তন যেন কারো পক্ষ্যে থাকে সেজন্য সবার চেষ্টা থাকতে হবে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যিনি প্রবল পরাক্রান্ত তাঁর বিপক্ষে বুক চেতিয়ে দাঁড়ানো বোকামী।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই বইয়ের সাফল্য কামনা করছি। আশা করি পাঠকরা উপকৃত হবে আপনার বই পড়ে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ২০১৬ সাল থেকে ফেসবুকে লিখছি। সেখানে কেউ আমার পোষ্টের বিরোধীতা করে না। আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন-আমিন।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এই পোস্টের সারর্মম ২ লাইনে বলুন তো।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়। কারণ তিনি ন্যায় বিচারী।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
নতুন বলেছেন: * কারো মন্দ ভাগ্যের দায় আল্লাহর নয়। আল্লাহ জোর করে কোন মন্দভাগ্য কারো উপর চাপিয়ে দেননি। প্রত্যেকে নিজেই নিজের অর্জীত মন্দ ভাগ্যের বোঝা বহন করে। আর মানুষের জন্য নির্ধারিত সব কিছুই তার কর্মফল।
কেউ যে ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে সেটা তার পূর্বকাজের ফল। যেমন সে কারো সন্তান, সে নারী অথবা পুরুষ, সে দেখতে যেমন হয়েছে সেটা এসব তার পরকাজের ফল নয়। পরকাজের ফল অনুযায়ী ভাগ্যের দ্বিতীয় অংশ নির্ধারিত হয়েছে। যা দোয়ায় পরিবর্তন যোগ্য। সুতরাং ভাগ্যের দু’টি অংশের প্রথমটি পরিবর্তন অযোগ্য, কিন্তু এর পরের অংশ পরিবর্তন যোগ্য। তো পরিবর্তন যোগ্য ভাগ্যের পরিবর্তন যেন কারো পক্ষ্যে থাকে সেজন্য সবার চেষ্টা থাকতে হবে।
সিনারিও:- ১০০% একজন ভালো মানুষ ( ১০০% অর্থ ১০০% ) তার ৩টা সন্তান মারা যায় তাদের বয়স ছিলো ১,২,৩ বছর।
আপনার থিউরি অনুযাযী এই ৩ সন্তানের পূর্বকাজের ফল হিসেবে সাজা পেয়েছে? ১,২,৩ বছরের বাচ্চারা কেন এই বয়সে এতো সাজা পেলো?
আরেকটা বিষয় হইলো কেন বাবা/মা কে এই ৩ জন সন্তান হারানোর কস্ট পেতে হইলো? ৩ টা গর্ভ ধারন কম কস্টের না এবং সন্তান হারানোর কস্ট শুধুই সেই বাবা/মা ই বোঝে যার সন্তান হারিয়েছে।
ধরুন আপনার বাপ-বেটা ৪ জনের ব্যাংকের একাউন্ট ইসলামী ব্যাংকে।
এখন আপনার ছেলের পূর্বকাজের ফল হিসেবে যদি আপনার একাউন্টের সব টাকা ইসলামী ব্যাংক কেটে নেয় আপনি মেনে নেবেন?
আপনার সন্তানের অপরাধে আপনার কোটি টাকার একাউন্ট বন্ধ করেছে এটা তো বাবা হিসেবে আপনি মেনে নিতেই পারেন তাইনা?
যদি সন্তানের মৃত্যু আপনি আল্লাহার পক্ষ থেকে বাবা/মায়ের উপরে পরিক্ষা হিসেবে মেনে নিতে পারেন তবে ব্যাংকের এই কাজ আপনি কেন মেনে নিবেন না?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ উদোার পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপান না। শেষ বিচারে তিনি নিজেই আপনাকে বুঝিয়ে দিবেন তিনি কিভাবে ন্যায় বিচারী। আর তদখন আপনি ঠিক ঠিক বুঝবেন তিনি কিভাবে ন্যায় বিচারী। আল্লাহ মহাজগৎ সাজিয়েছেন তিনলক্ষ বছরে এবং তিনি এর সদস্যদের কাজের হিসাব নিবেন পঞ্চাশ হাজার বছরে। তখন তিনি সবার অভিযোগের জবাব দিবেন। আর অপরাধীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেই জাহান্নামে যাবে। তখন আর তারা নিজেদেরকে নির্দোস বলবে না। আমি মূলত পুস্তকখানি মুমিনদের জন্য লিখেছি। তারা এর প্রতিকুল কথা বলে না।
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় বই লেখা সহজ। বিজ্ঞানের বই লেখা সহজ না।
কোরআন আর হাদীস থেকেই লাখ লাখ ধর্মীয় বইয়ের জন্ম। পারলে একটা বিজ্ঞান নিয়ে বই লিখুন। হ্যাঁ লিখতে পারবেন। এজন্য আপনার টানা ১০ বছর শুধু পড়াশোনা করতে হবে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানের বই ছাড়া আর কোন বই লেখা যাবে না এ কথা মনুষ্য সংবিধানে লেখা নেই। মুমিনগণ ধর্মীয় বই আগ্রহ সহকারে পড়ে। আমি তাদের চাহিদার ভিত্তিতে কোন বই লিখতেই পারি।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: গাজী সাহেব কোন কমেন্ট করেছে কিনা দেখতে এলাম
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সম্ভবত এ পোষ্টে মন্তব্য করার মত কোন কথা তিনি খুঁজে পাননি।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯
বিষাদ সময় বলেছেন: ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী জন্মের পূর্বে ভাল মন্দ কাজ করার সুযোগ কোথায়?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জন্মের পূর্বে আত্মার জগত বলে একটা জগত ছিলো। সেই স্মৃতি রিমোভ করে জন্মদান করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৮
অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, আপনি কীসব লিখেন! অন্ধ বিশ্বাস......