নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
ইসরাইলী জাতির রাষ্ট্র ছিলো না। আমালিকা জাতিকে পরাজিত করে তারা প্রথম তাদের রাষ্ট্র দখল করে ছিলো। তাদের সেই রাষ্ট্র একদা আরবরা দখল করে ফিলিস্তিন বা প্যালেষ্টাইন রাষ্ট্র গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্যালেষ্টাইন পরাজিত হলে মিত্রশক্তি সেখানে ইসরায়িলীদেরকে আমদানী করে। তারপর ইসরাইলীরা প্যালেষ্টাইন বা ফিলিস্তিন দখল করে ইসরায়েলী রাষ্ট্র গঠন করে।তারপর থেকে ফিলিস্তিনিরা তাদের হারানো রাষ্ট্র ফিরেপেতে লড়াই করছে। কিন্তু ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনীদের থেকে কেড়ে নেওয়া রাষ্ট্র তাদেরকে ফেরত দিয়ে তারা যাবে কোথায়? সেজন্য তারা ফিলিস্তিনীদেরকে একবারে শেষ করে দিয়ে তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া রাষ্ট্রে পাকাপোক্তভাবে থাকতে চায়। এদিকে ফিলিস্তিনীরাও যে কোন মূল্যে তাদের অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখতে চায়। তারাও তাদের রাষ্ট্র ফিরে পেতে হলে ইহুদী বিনাশের বিকল্প নেই। আর সেজন্যই ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে না। কারণ এখনো তাদের উভয় জাতির অস্তিত্ব টিকে আছে।
ইসরাইলের শত্রু শুধু ফিলিস্তিনিরা নয়। মুসলিম জাতির একটা বিরাট অংশ তাদের শত্রু। হাদিসে আছে ফিলিস্তিনের বাইরের মুসলিমরা ইমাম মাহদীর (আ.) নেতৃত্বে ইহুদী বিনাশ করবে। তারমানে ফিলিস্তিনীদেরকে বিনাশ করেই ইসরাইলী ইহুদীজাতি রক্ষা পাচ্ছে না। তারপরও তাদেরকে শতকোটি মুসলিম শত্রুর অপেক্ষায় থাকতে হবে।
মুসলিম জাতি কারো দয়ায় পৃথিবীতে আছে ঘটনা এমন নয়। তারা এখন বিশ্ব বিস্তৃত একটা জাতি। তাদের রাষ্ট্র আছে সাতান্নটি। অথচ তিনটি রাষ্ট্র থাকা হিন্দু যখন মুসলিম জাতির বিনাশের কথা বলে তখন অবাক হতে হয়। অথচ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রটি মুসলিমরা শাসন করেছে শত শত বছর।
ইসলাম ধর্মের শুরুতে যে মুসলিম জাতি যুদ্ধে জড়িয়েছে এখনো তারা সেই যুদ্ধের মধ্যেই আছে। সুতরাং যুদ্ধ হচ্ছে মুসলিম জাতির নিত্যনৈর্মিত্তিক ঘটনা। সেজন্য হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে আমি উত্তেজিত হইনি। কারণ যে ঘটনা নিতান্ত চলমান ঘটনা তা’ নিয়ে আসলে উত্তেজিত হওয়ার মত কিছু নাই। আর যুদ্ধে মানুষ মরছে এ নিয়েও আমি ভাবি না। কারণ যুদ্ধ হলে মানুষ মরেই।সেটা ইউক্রেনেও মরে, ফিলিস্তিনেও মরে। তবে আমি চাই যুদ্ধ না হোক। কিন্তু যুদ্ধ নিজে এসে গায়ের উপর পড়লে না করে কি উপায় থাকে?
ইসরায়েলের প্রতি আমার নসিহত হলো, ফিলিস্তিনীরা শেষ হলেও তোমাদের যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্য জাতির মুসলিমরা তারপর তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসবে।সুতরাং ফিলিস্তিনীদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে কিভাবে ভালো থাকা যায় তোমাদেরকে সেই পথ খুঁজতে হবে। তোমরা যদি ফিলিস্তিনীদের রাষ্ট্রের সবটা চাও তবে তোমাদেরকে সেই রাষ্ট্রের সবটাই হারাতে হবে। তোমাদের সাময়িক সাফল্যে উত্তেজিত হয়ে লাভ নাই। কারণ মুসলিম ফিরে ফিরে আসে। মোহাম্মদ ঘুরী তরাইনের প্রথম যুদ্ধে হেরে, দ্বিতীয় যুদ্ধ জিতে শত শত বছরের জন্য ভারতে মুসলিম শাসন পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা করেছে। তারপর বৃটিশ ভারত নিয়ে ছেড়ে গেলে এখানে মুসলিমরা দু’টি রাষ্ট্র পেয়েছে। এখন ভারত এ দু’টি রাষ্ট্র ফিরে পেতে চিন্তা করছে। এ দু’টি রাষ্ট্র নিতে গিয়ে তাদের নিজের রাষ্ট্রটাই হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং বেশী লোভ করা ভালো নয়। বেশী লোভ কারো জন্যই মঙ্গল জনক নয়। তারচেয়ে কম লোভ করে শান্তিতে থাকা ভালো। সেটা ইসরাইলীদের জন্য ভালো এবং ফিলিস্তিনীদের জন্যও ভালো। শান্তির জন্য দুই রাষ্ট্র মানো এবং শান্তিতে থাক। নতুবা যুদ্ধ চলতেই থাকবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আরব-অনারব সবাই যুদ্ধ করে। তবে অকারণে যুদ্ধ করা ঠিক না।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: হাদিস দেখে বিশ্ব চলে না।যুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ মরছে তা দেখে আপনার কোন ভাবনা নাই।আপনি মানুষ না অন্য কিছু।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছি।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: দেখুন আমি ফিলিস্তিনি এবং ইহুদিদের একই মর্যাদায় দেখি । বরং নিত্য নতুন আবিস্কারে ইহুদিদের আমি আলাদা স্যালিউট দেই । ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধ করতেই জন্মেছে এবং তারা যুদ্ধ করেই মরবে । আরবদের এই বেদুইন ইম্প্রেশন ছেড়ে দিয়ে আধুনিক হতে হবে । তাদের ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নিয়ে ওদের জন্য কামলা দিতে হবে । এখনো হাজার ফিলিস্তিনি ইহুদিদের জন্য কামলা খাটছে , তারা স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন দেখে না দেখে রুটি আর দুম্বার মাংসের । হামাস যেন এবারই বিলুপ্ত হয় ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দেখা যাক কি হয়?
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি বলছেন যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধে প্যালেষ্টাইন পরাজিত হলে মিত্রশক্তি সেখানে ইসরাইলীদের আমদানী করে। এমন জ্ঞান নিয়ে আপনি কিভাবে পোষ্ট লিখেছেন?
আপনি তো বিশ্বের ইতিহাস বদলায়ে দিচ্ছেন; বেশীরভাগ বাংালীর অবস্হা আপনার মতো।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যা জানি আমি তা’ লিখেছি। আপনি যা জানেন সেটা আপনি মন্তব্যে লিখলে পাঠক তা’ জানতে পারতো।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমি যা জানি আমি তা’ লিখেছি। আপনি যা জানেন সেটা আপনি মন্তব্যে লিখলে পাঠক তা’ জানতে পারতো।
-অটোম্যান সাম্রাজ্যের ৬০০ বছর রাজত্বের বেশীরভাগ সময়ে ফিলিস্তিন একটি এলাকা/প্রদেশ হিসেবে ছিলো; ১ম বিশ্বযুদ্ধে (১৯১৪ -১৯১৮ ) অবিশ্বটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন হয়, বৃটিশ ফিলিস্তিন দখল করে; তখন মুসলমানদের সাথে সেখানে কিছু পরিমাণ ইহুদী ছিলো। বৃটিশের উপস্হিিতে ইউরোপ থেকে ইহুদীরা মাইগ্রেট করে আসতে থাকে। ২য় যুদ্ধের সময় হিটলারের ভয়ে সবচেয়ে বেশী ইহুদী আসে, এবং ২য় বিশ্বযুুদ্ধের পরও ইহুদীরা ইউরোপ ছেড়ে ফিলিস্তিনে আসে।
আপনি ইতিহাস না'জেনে, এই ধরণের পোষ্ট দিয়ে কমজ্ঞানী ব্লগারদের বিভ্রান্ত করছেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মিত্র শক্তি তাদেরকে এনেছে অথবা মিত্র শক্তির জয়ের কারণে তারা এসেছে ঘটনা মোটামুটি কাছাকাছি রকম।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সারা দুনিয়া থেকে তথা ইউরোপ থেকে তাড়া খেয়ে কিংবা বাধ্য হয়ে এবং বৃটিশদের বিটিশ(কুট) বুদ্ধিতে ইহুদিদের জায়গা হয়েছে আরবদেশে তথা ফিলিস্তিনে। ইউরোপ-আমেরিকা আর যাই হোক তাদের আর ফেরত নিবেনা এবং তাদের আর যাওয়ার যায়গাও নাই ।
কাজেই ইহুদিরা কোথাও যাবেনা ফিলিস্তিন ছেড়ে তবে যেতে হবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ছেড়ে হিযরতে( অন্যদেশে রিফিউযি হয়ে)।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তারা ইসরাইলের নাগরিকত্য মেনে বসবাস করলে হয়ত তারা সেখানেই থাকতে পারে। কিন্তু তারা তাদের রাষ্ট্রের জন্য মরিয়া।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০১
অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, গাজা আর থাকবে না। সত্যি বলছি, দেইখেন..........
১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গাজা যাবে কোথায়। হয়ত হামাস থেকে ইসরায়েলের দখলে যাবে।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মানবতার পক্ষে। আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে। আমি নিরপরাধ শিশুদের পক্ষে। আমি যুদ্ধের বিপক্ষে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আরবরা যুদ্ধ করতেই তো জন্মেছে।