নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
তৃতীয় লিঙ্গের যার মধ্যে দেখতে পুরুষভাব বেশী সে পুরুষ হিসাবে বিবেচিত হবে এবং যার মধ্যে দেখতে নারী ভাব বেশী সে নারী হিসাবে বিবেচিত হবে। যে পুরুষ হিসাবে বিবেচিত হবে তার নাম ও পোশাক পুরুষের হবে। যে নারী হিসাবে বিবেচিত হবে তার নাম পোশাক নারীর হবে। নামাজের ইমামতি পুরুষের জন্য বরাদ্ধ বিধায় তারা নামাজের ইমাম হবে না। কারণ তারা পুরুষের মত হলেও পুরুষ নয়। এছাড়া অন্য কোন কাজে তাদেরকে অযোগ্য ভাবার মূলত কোন কারণ নাই। তৃতীয় লিঙ্গের যারা নারী বিবেচিত তাদেরকে কোন পুরুষের বিয়ে করায় নিষেধাজ্ঞা নেই। তৃতীয় লিঙ্গের যারা পুরুষ বিবেচিত তাদেরকে কোন নারীর বিয়ে করায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তৃতীয় লিঙ্গের যারা পুরুষ বিবেচিত এবং যারা নারী বিবেচিত তাদের পরস্পরের বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু পুরুষে ও পুরুষে বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা আছে। নারীতে ও নারীতে বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা আছে। সুতরাং তৃতীয় লিঙ্গের যারা পুরুষ বিবেচিত তাদের পরস্পরের বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আবার তৃতীয় যারা নারী বিবেচিত তাদের পরস্পরে বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তৃতীয় লিঙ্গের দেহে বয়ঃপ্রাপ্তির চিহ্ন ফুটে উঠলে তাদেরকে বয়ঃপ্রাপ্ত ধরা হবে। যেমন গোঁপ-দাড়ী এবং স্তন হবে তাদের বয়ঃপ্রাপ্তির চিহ্ন।আয়-রোজগার করে স্বনির্ভর হওয়া বিষয়ে তাদের ক্ষেত্রে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
তৃতীয় লিঙ্গের কেউ চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নারী-পুরুষ হতে চাইলে ইসলাম তাদের এমন ইচ্ছায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। চিকিৎসার মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হয়ে গেলে সে অবশ্যই নামাজের ইমামতি করার সুযোগ পাবে। নারীদের যারা পুরুষ হয়ে যাবে তারাও নামাজের ইমামতি করার সুযোগ পাবে। দেহ মনের বিপরীত হলে চিকিৎসায় দেহ-মন একরকম করার ক্ষেত্রেও ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। যেহেতু তৃতীয় লিঙ্গের লোকেরাও মানুষ সেহেতু মানুষের কোন অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার বিধান ইসলামে নেই। যারা তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত রাখতে তৎপর তাদের মূলত ইসলামের যথেষ্ট জ্ঞান নেই।
তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি মানব মঙ্গলের সক্ষমতা সম্পন্ন হয় তবে ইসলাম তাদের সে যোগ্যতার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথা বলে না। তাদের একঘরে করে রাখার সংস্কৃতি মূলত ইসলামী সংস্কৃতি নয়। কেউ জোর করে এটা ইসলামের ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করলে সেটা তার জাহেলিয়াত হিসাবে গণ্য হবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪০
নতুন বলেছেন: চিকিৎসার মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হয়ে গেলে সে অবশ্যই নামাজের ইমামতি করার সুযোগ পাবে। নারীদের যারা পুরুষ হয়ে যাবে তারাও নামাজের ইমামতি করার সুযোগ পাবে। দেহ মনের বিপরীত হলে চিকিৎসায় দেহ-মন একরকম করার ক্ষেত্রেও ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। যেহেতু তৃতীয় লিঙ্গের লোকেরাও মানুষ সেহেতু মানুষের কোন অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার বিধান ইসলামে নেই। যারা তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত রাখতে তৎপর তাদের মূলত ইসলামের যথেষ্ট জ্ঞান নেই।
এই ফতোয়া এখন পযন্ত শুনিনাই।
তবে এটা ভালো কথা...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ও হাদিস যেভাবে আছে তাতে ফতোয়া এমনই হয়।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার এত জ্ঞান নেই। শুধু জানার ইচ্ছা থেকে জানতে চাচ্ছি, এসবের ব্যাপারে কোরআন হাদিসে কি কিছু বলা আছে?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ও হাদিসে যে গাইড লাইন আছে তাতে এ বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য এমই হয়। রাসূলকে (সা) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি বলেন তাদের যার মাঝে পুরুষ ভাব বেশী তারা পুরুষ বিবেচিত হবে এবং যাদের মধ্যে নারীর ভাব বেশী তারা নারী বিবেচিত হবে। বাকী কথা এটা অনুযায়ী বলা।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রেফারেন্স সহযোগে দিলে ভালো হত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার ফেসবুক পোষ্ট সমূহ দেখে থাকেন। সেখানে আমি সব বিষয়ে রেফারেন্স দিয়ে থাকি। ব্লগে সাধারণত আমি রেফারেন্স দেই না। এ বিষয়ে ফেসবুকে লিখলে তখন রেফারেন্স দেব -ইনশাআল্লাহ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার নিজস্ব মত এবং সুন্দর।কিন্তু যদি ইসলামের পক্ষে বলেন তবে অবশ্যই ইসলামের রেফারেন্স দিতে হবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার মত আমি ইসলামের রেফারেন্সের ভিত্তিতেই বলেছি।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর লেখা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেষের আড়াইলাইন এর রেফারেন্স কি?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ১৭ বনি ইসরাঈল, ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৭। নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।*
* তৃতীয় লিঙ্গকে তাদের যোগ্যতার বাস্তবায়নে বাধা দিলে তাদের যোগ্যতার অপচয় হয় বিধায় তাদের যোগ্যতার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ইসলাম হতে পারে না। তবে সেটা অবশ্যই সৎ যোগ্যতা হতে হবে। অসৎ যোগ্যতায় ইসলাম সকলের ক্ষেত্রেই বাধা দেওয়ার কথা বলে।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮
এম ডি মুসা বলেছেন: এই বার ভোটে জিতলে পারলে তাদের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম চলতে নেক্সট আবার ট্রাই করা,, এদের সম্পর্কে আমার এত জানা নেই যা বলছেন দেখছি
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারোউপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
* আল্লাহ বলেছেন তিনি সাধ্যের অতীত কষ্ট কোন লোককে দেন না। সেজন্য আল্লাহ তৃতীয় লিঙ্গের লোকদেরকে মানবেতর জীবনে বাধ্য করা অনুমোদন করেন না। সুতরাং আর সকলের মত তাদেরও সহজ জীবন যাপনের অধিকার আছে।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এসব ধর্মীয় ব্যাপারে আমার জ্ঞান কম। ধর্মে যদি এরকম বলা থাকে তাহলে তো বেশ ভালই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?
* তৃতীয় লিঙ্গের লোক আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং তাঁর পক্ষে তাদের অধিকার অস্বীকার করা সম্ভব নয়। সুতরাং তারাও সহজ জীবন কামনা করতে পারে।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
এগুলো মেডিক্যাল সমস্যা, যারা চিকিৎসা পাচ্ছে, তারা পাচ্ছে; ইসলাম যখন এসেছিলো, তখন এসব চিকিৎসা ছিলো না।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনের বিধান সকল কালের জন্য।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩১
সোনাগাজী বলেছেন:
আল্লাহের মাথায় কেন বেকুবী বুদ্ধি আসবে? কেন তিনি ৩য় লিংগের মানুষ বানাবেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি যে সেই রকমও বানাতে পারেন সেটা দেখানোর জন্য তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বানিয়েছেন। তিনি যাদেরকে কষ্টে ফেলেন তারা ধৈর্য অবলম্বন করলে তিনি আবার তাদেরকে পুষিয়ে দেন। সেটা বুঝার কারণেই তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে অনেক মুসলিম আছে।
১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১১
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি আল্লাহের রাস্তায় থেকে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন, তা ঘটেনি; কম্প্যুটারের জ্ঞান ( কোরিয়ানদের দেয়া ) আপনার পরিবারের জন্য অন্ন যোগাতে সাহায্য করেছে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হালাল পন্থায় যে কোন উপায়ে জীবিকা অর্জন ইসলামে নিষিদ্ধ নয়।
১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি কুরআনের যে আয়াতের দলিল দিলেন সেটা এই পোষ্টের মূল বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
হাল আমলের অনেক কিছুই কোরআনে পাওয়া যায় না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনে সকল বিষয়ের সমস্যার সমাধানের কথা বলা আছে। কোরআনে সরল পথের কথা বলা আছে। জিনে নারী দেহতে পুরুষ হলে সরল পথের বিধান হলো পারলে দু’টো এক করে নেওয়া। তবে না পারলে সে বিষয়ে আল্লাহ কঠোরত প্রয়োগ করেন না। সুতরাং সরল পথের বিধান অনুযায়ী ট্রান্স জেন্ডার সমস্যা না। তবে কথা হলে নারী পুরুষ হলে সে পুরুষের বিধানে জীবন যাপন করবে এবং পুরুষ নারী হলে সে নারীর বিধানে চলবে। তবে দেহগত পরিবর্তন না ঘটিয়ে বিধানের পরিবর্তন চলবে না। পুরুষ দেহ বজায় রেখে পুরুষকে বিয়ে করলে সমকামের অপরাধ হবে। কিন্তু পুরুষ দেহকে নারী দেহে পরিণত করে পুরুষকে বিয়ে করলে সমকাম হবে না।
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪০
বিজন রয় বলেছেন: ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যা আর ব্যাখ্যা। রেফারেন্স আর রেফারেন্স, কিন্তু সবশেষে কিছু মেলে না।
বড়ই জটিল জবিনের হিসাব-নিকাশ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামে সমলিঙ্গে বিবাহ নিষেধ। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর সমলিঙ্গ থাকলো কই?
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের নিয়ম কানুন মানুষ আর মানছে কৈ?
মানুষ চলছে তার ইচ্ছে মতো। এযুগের মানুষ ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীন মানুষ সব কালেই আছে। ধার্মিক মানুষও সব কালে আছে। সুতরাং ধর্মকে কোনঠাসা করার গল্প অবান্তর গল্প।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর আলোচনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা আত্যাচারীত ও যারা তাদের অত্যাচার করে তারা কেউ এ বিষয়ে পুরোপুরি ধর্মীয় জ্ঞান রাখেনা বিধায় সমস্যা হচ্ছে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনে কি আছে মানুষ সেটা বুঝার চেষ্টা না করেই কোরআনের নাম দিয়ে মানুষ তার নিজের কথা চালিয়ে দিয়ে সমস্যা তৈরী করে।
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহজভাবে আমারও মনে হয়, অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গ-দের যে কোন এক সাইড নিয়ে নিলে ভাল হয়। তবে বিতর্ক তৃতীয় লিঙ্গদের নিয়ে নয়। বিতর্ক হচ্ছে স্বাভাবিক মানুষের লিঙ্গ পরিবর্তন নিয়ে। ইসলামে পুরুষ হয়ে নারীর মত থাকা, নারী হয়ে পুরুষের মত থাকা নিষেধ। ৭ম শ্রেণীর বইতে আছে হিজড়া নিয়ে কথা। কিন্তু, কিছু বক্তব্যে মনে হচ্ছে লিঙ্গ পরিবর্তন বা ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে বলা হয়েছে। ফোকাসটা বারবারই একটার সাথে আরেকটা মিশে যাচ্ছে...
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যাদেরকে স্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে তারা আসলে স্বাভাবিক নয়। তাদের জিন এক রকম দেহ আরেক রকম তারা আর স্বাভাবিক থাকলো কই। যারা সব দিক দিয়ে পুরুষ ও নারী শুধু মাত্র তাদের উপর পুরুষ ও নারীর বিধান বর্তাবে। যাদের ভিতর-বাহির ভিন্ন করম তারা সরল পথের বিধান অনুযায়ী ভিতর বাহির এক রকম করতে পারলে সমস্যা কি? তবে বিধান বাহির অনুযায়ী হবে। বাহিরটা ভিতরের মত না করে ভিতরের মত আচরণ চলবে না।
১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কেন জন্মগ্রহণ করে এ ব্যাপারে ইসলামে ধারণা আছে?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা ভাগ্যের বিষয়। ভাগ্যের কারণে যারা সমস্যায় থাকে আল্লাহ তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন।
১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
আলামিন১০৪ বলেছেন: রেফারেন্স দিলে ভালো হয়
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন তাঁর পথ সরল পথ। কিন্তু বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা হলো জটিল বিষয়। এ জটিল বিষয়কে সরল করার জন্য যদি কেউ চেষ্টা করে তবে সরল পথের বিবেচনায় তা’ নিষিদ্ধ হতে পারে না।
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
আলামিন১০৪ বলেছেন: নূর আলম, অনেক কঠিন প্রশ্ন...মানুষের জন্মগত disorder এর কোন ব্যাখ্যা ইসলামে সরাসরি নাই, এটা মা-বাবার জন পরিক্ষা স্বরূপ এরকমটা কোথায় যেন দেখেছি। তবে যিনি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মালেন তার ক্ষেত্রে justification কি? গরীবের ঘরে জন্ম নেওয়াও তো অনেকটা এরকম ব্যাপার। দরিদ্রদের বিষয়ে হাদিসে বলা আছে যে তারা ধনীদের চেয়ে বিচার দিবসে অসেষ Privilege পাবে, যেমন তারা অব্স্থাপন্নদের চেয়ে অনেক আগে বেহেস্তে প্রবেশ করবেন। আশা করা যায়, Congenital Disorder নিয়ে জন্মানো মানুষদের আল্লাহ হয়তো এরকম কিছু সুবিধা দিবেন পরকালে।
আল্লাহ বলেন, ”তুমি বল, ‘আমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছা তার রুযী বর্ধিত করেন অথবা তা সীমিত করেন কিন্তু অধিকাংশ লোক তা বোঝে না।’” ৩৪:৩৬
তিনিই মাতৃগর্ভে তোমাদেরকে আকৃতি দান করেন যেভাবে তিনি চান। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। ৩:০৬
...“আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান “ ২:১০৬
হতে পারে, এর বাইরেও কিছু বিষয় আছে, যা আল্লাহ ভূলিয়ে দিয়েছেন, বা গোপন রেখেছেন
আর আল্লাহ ভালো জানেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনে সকল বিষয়ে গাইড লাইন দেওয়া আছে। সেই গাইড লাইন অনুযায়ী সব কিছু সহজভাবে বুঝে নিতে হবে।
২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৭৫/ কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
পরিচ্ছেদঃ ২৮৫২. গুনাহগার ও হিজড়াদের নির্বাসিত করা
৬৩৭৩। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন নারীরূপী পুরুষ ও পুরুষরূপী নারীদের উপর এবং বলেছেনঃ তাদেরকে বের করে দাও তোমাদের ঘর হতে এবং তিনি অমুক অমুককে বের করে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৭৫/ কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
পরিচ্ছেদঃ ২৮৫২. গুনাহগার ও হিজড়াদের নির্বাসিত করা
৬৩৭৩। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন নারীরূপী পুরুষ ও পুরুষরূপী নারীদের উপর এবং বলেছেনঃ তাদেরকে বের করে দাও তোমাদের ঘর হতে এবং তিনি অমুক অমুককে বের করে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোজা পুরুষ এবং পুরুষসুলভ আচরণ-কারিণী নারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তোমাদের গৃহ হতে ওদেরকে বের করে দাও। তিনি স্বয়ং এক খোজাকে বহিষ্কার করেছেন এবং উমার (রাঃ) এক হিজড়ে নারীকে গৃহ হতে বহিষ্কার করেছেন।
(আহমাদ ২০০৬, ২১২৩, বুখারী ৫৮৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান)
পরিচ্ছেদঃ ২২২০. তায়েফের যুদ্ধ। মুসা ইবন উকবা (রাঃ) এর মতে এ যুদ্ধ অষ্টম হিজরীর শাওয়াল মাসে সংগটিত হয়েছে
৩৯৮৮। হুমাইদী (রহঃ) … উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমার কাছে এক হিজড়া ব্যাক্তি বসা ছিল, এমন সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি শুনলাম, সে (হিজড়া ব্যাক্তি) আবদুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়া (রাঃ)-কে বলছে, হে আবদুল্লাহ! কি বলো, আগামীকাল যদি আল্লাহ্ তোমাদেরকে তায়েফের উপর বিজয় দান করেন তা হলে গায়লানের কন্যাকে অবশ্যই তুমি লুফে নেবে। কেননা সে (এতই স্থুলদেহ ও কোমল যে), সামনের দিকে আসার সময়ে তার পিঠে চারটি ভাঁজ পড়ে আবার পিঠ ফিরালে সেখানে আটটি ভাঁজ পড়ে। (উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন) তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এদেরকে (হিজড়াদেরকে) তোমাদের কাছে প্রবেশ করতে দিও না। ইবনু উয়াইনা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, ইবনু জুরায়জ (রাঃ) বলেছেন, হিজড়া লোকটির নাম ছিলো হীত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ৬১. হিজড়া সম্পর্কে বিধান
৪৯২৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। কোনো একদিন এক হিজড়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলো। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর এ অবস্থা কেন? বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সে নারীর বেশ ধরেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আন-নকী নামক স্থানে নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বললেনঃ সালাত আদায়কারীকে হত্যা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আবূ উসামাহ (রহঃ) বলেন, আন-নাফী‘ হলো মদীনার প্রান্তবর্তী একটি জনপদ, এটা বাকী নয়।(1)
সহীহ।
(1). দারাকুতনী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে পুরুষ বিবেচিত হবে সে নারীর ভেস ধারণ করবে না এবং যে নারী বিবেচিত হবে সে পুরুষের ভেস ধারণ করবে না। এটাই ইসলামের বিধান। আর হাদিসের নামে অনেক মিথ্যা কথা প্রচার হওয়ায় হাদীস দিয়ে বিধান সাবক্যস্ত করতে কোরআনের সাথে মিলিয়ে নিতে হয়। আপনি মুসলিম নন বিধায় ইসলামের বিধান সাব্যস্ত করাতে আপনার মত গৃহিত হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪
কার্জন বাবু বলেছেন: বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। প্রীত হলাম। এরকম পোস্ট সমাজ সচেতনতার জন্য বিশেষ জরুরী। শুভেচ্ছা নিরন্তর।