নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।
সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর যারা আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা মনে করে, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত মুক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন হেদায়াতের সরল সহজ পথের সন্ধান দেন।
সূরাঃ ৬১ সাফফ, ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫। স্মরণ কর মুসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ যখন তোমরা জান যে, আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল? অত:পর তারা যখন বক্র পথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। বস্তুত শুধু তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দূর করে দিলাম। তারা কালামকে ওর স্থানসমূহ থেকে বিকৃত করে দেয়। আর তাদেরকে যা কিছু উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তার মধ্য থেকে এক বড় অংশ ভুলে যায়। আর ভবিষ্যতেও তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া তাদের কোন না কোন খেয়ানতের খবর তোমার কাছে আসতে থাকবে।অতএব তুমি তাদেরকে মাফ করতে থাক এবং তাদেরকে উপেক্ষা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচারী লোকদেরকে ভালো বাসেন।
* আল্লাহর পক্ষ নিয়ে পাপ থেকে বিরত থেকে সদাচারে লিপ্ত থাকলে হেদায়াত পাওয়া যায়।
সূরাঃ ১ ফাতিহা, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। সমস্ত প্রশংসা জগৎ সমূহের প্রতি পালক আল্লাহর।
* সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রশংসা করতে হবে কোন ক্ষেত্রে আল্লাহর বদনাম করা যাবে না।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
* আল্লাহর রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সুনাম করতে হবে। তাঁদের কারো কোন বদনাম করা যাবে না।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করবে না এবং একে অপরের গিবত (পশ্চাতে নিন্দা) করবে না। তোমোদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খাওয়া পছন্দ করবে? তোমরা তো এটা অপছন্দ কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী পরম দয়ালূ।
সূরাঃ ১১১ লাহাব, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হস্ত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।
* কোন মুসলিমের গিবত করা যাবে না। তবে কাফেরের গিবত করা যাবে। কারণ আল্লাহ কাফেরদের গিবত করেছেন।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
* মুসলিমদের জাহান্নামী বাহাত্তর দলের গিবত করা যাবে। কোন দল হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল হেদায়াত প্রাপ্ত বিধায় আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী মুসলিমদের গিবত করা যাবে না। রাসূল (সা.) বলেছেন, মান সাতারা মুসলিমান সাতারাল্লাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতে। যে মুসলিমের দোষ গোপন করে আল্লাহ কিয়ামতে তার দোষ গোপন করবেন। সুতরাং আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী মুসলিমদের দোষ গোপন করতে হবে। তাহলে কিয়ামতে আল্লাহ এমন ব্যক্তির দোষ গোপন করে তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে পাঠিয়ে দিবেন।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদে লিপ্ত হওয়া হারাম। সুতরাং আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অভিন্ন ইবাদত পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে। নতুবা জাহান্নামে যেতে হবে। তারপর কালেমার কারণে কেউ মুক্তি পেলে পাবে।
মুসনাদে আহমদ, ২০৩৩৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
২০৩৩৫। হযরত আবু যার গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবির (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি। তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয় করেন? তিনি (সা.) বললেন, পথভ্রষ্ট আলেমগণ।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের বিপরীতে কোন বড় আলেমের অনুসারী হওয়া যাবে না। কারণ এমন আলেম দাজ্জালের চাইতেও বেশী জঘণ্য পথভ্রষ্ট। এরা এলেম হাসিল করেছে সুনামের জন্য। এরা আল্লামা, শায়েখ ইত্যাদি খেতাব পেয়ে তাদের পাওনা পেয়ে গেছে। পরকালে এদের জন্য বরাদ্ধ হলো জাহান্নাম।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল আমিরগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী। তাদের সাথে মতভেদকারী সকল আলেম অহংহারী।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী আলেম হলো ইবলিশ এবং কাফের। এদের অনুসারী হলে জাহান্নাম ছাড়া উপায় নাই।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
* ভুল করে কেউ আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করে থাকলে সে ক্ষমা পাবে। তবে এমন আলেমের অনুসরন করা যাবে না। এভাবে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) পক্ষ অবলম্বন করলে হেদায়াত পাওয়া যাবে- ইনশাআল্লাহ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:১১
অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, আমাদের ঢাকা বাসায় কেয়ার-টেকারের নাম হেদায়াত মিয়া, বয়স আনুমানি ৫০ বছর হবে। খুব ভাল মানুষ। ওর ঘর সংসার নেই, চিরকুমার।
তাহলে আল্লার হেদায়েত দিয়ে কী হবে, বলেন?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর হেদায়াতের মর্ম আপনি বুঝবেন না। সবাই সব কিছু বুঝে না।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, আমি সব সময় আপনার 'দয়াল'!? নবী মোহাম্মদের সমালোচনা করি, এবং যৌক্তিক কারনেই করি।
এখন বলেন আমার শাস্তি, মানে শাতিমে রাসুলের শাস্তি কী?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার এ অবস্থা বজায় থাকলে আপনি হেদায়াত পাবেন না।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুইহাত।নিশ্চয় আল্লাহ মন থেকে চায় নাই।জীবনের শেষ বিন পর্যন্ত আবু লাহাবের কিছুই হয় নাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তার উদ্দেশ্য সফল হয় নাই। শেষতক মোহাম্মদ (সা) তার দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
অহরহ বলেছেন: ভাইয়া আপনার আল্লার চরিত্র অবিকল হিংসুটে মানুষের মত। তিনি রেগেমেগে অক্ষম ক্রোধে বল্লেন, "ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুইহাত...."
কিন্তু তাতে আবু লাহাবের কচুও ক্ষতি হয় নি। ঐ সূরা নাজিলের অনেক পরে আবু লাহাব অন্য আর দশজন মানুষের মতো অসুখ হয়ে মারা যান। এতে কি প্রমান হয় না যে আপনার আল্লা আসলে ভুয়া, ভাইয়া?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তার উদ্দেশ্য সফল হয় নাই। শেষতক মোহাম্মদ (সা) তার দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: কোন মুসলিমে গিবত করা যাবে না, কাফেরদের গিবত করা যাবে! আল্লাহ তালা কাফেরদের গিবত করেছেন!
এই লাইন টি কোন বইয়ের বা কারো মুখের কথা নাকি এটা আপনার বানানো?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ কোরআনে কাফেরদের বদনাম করেছেন, কোন মুসলিমের বদনাম করেননি।
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি আমার প্রশ্নের জবাব দিলেন না । লাইনটা কি আপনি কোন বই থেকে নিয়েছেন নাকি কোন আলেমের কাছ থেকে শুনেছেন নাকি আপনি নিজে লাইনটা বললেন?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন অনুযায়ী আমি নিজে লাইনটা বললাম।
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি কী বলেন সেটা আপনি নিজে কি জানেন? কোন মুসলিম যদি চুরি করে অন্য মুসলিমের কি সেটা গোপন করবে নাকি সেটা প্রকাশ করবে?
উদাহরন দিই, ধরেন আপনি আপনার অফিস থেকে টাকা চুরি করলেন । এখন অন্য একজন মুসলিম যদি সেই চুরির প্রকাশ করে তাহলে সেটা কি অন্যায় হবে ? যেহেতু আপনি নিজেও মুসলিম । আপনার বর্নিত হাসিসে তো আপনার চুরিকে প্রকাশ করলেই অন্যজনের পাপ হবে । বিষয়টা কি এমন?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিসে বলছে চোর যখন চুরি করে তখন সে মুমিন থাকে না। সুতরাং চোরের মুমিন না থাকাকালিন অবস্থা প্রকাশ করলে সমস্যা নাই।
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি তো মুমিন বলেন নাই । আপনি বলেছেন সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী মুসলিম ! শব্দটা মুসলিম। এখন চুরি করলে আপনি কি আর মুসলিম থাকবেন না?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রকৃত মুসলিম থাকার জন্য মুমিন থাকার শর্ত যুক্ত আছে। অপ্রকৃত মুসলিমদের নিন্দা করা যাবে। তবে কেউ কোন কাজ আগে করতো এখন করে না তাকে হেয় করতে সেই কাজের কথা বলে বেড়ানো যাবে না। কেউ আগে চুরি করতো এখন করে না। তাহলে তার অতিত চুরির কথা বলে তাকে হেয় করা যাবে না।
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫
এম ডি মুসা বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?
০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। যা আছি ভালো আছি। তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
অহরহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তার উদ্দেশ্য সফল হয় নাই। শেষতক মোহাম্মদ (সা) তার দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।[/si
এটা আমার প্রশ্নের উত্তর হল না ভাইয়া...........
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আবু লাহাবের ক্ষতি হলো না কেমন করে? তার দেশ তো তার শত্রু মোহাম্মদ (সা) দখল করে নিয়ে গেলেন। তার দুই হাত ধ্বংস হলো বলেই তো সে শত্রুর হাত থেকে তার দেশ রক্ষা করতে পারলো না। আর তার খোদাদেরকে তো মোহাম্মদ (সা।) কাবা থেকে উৎখাত করলেন।
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
করুণাধারা বলেছেন: সুরা আনআমের এই আয়াতটি তাৎপর্যপূর্ণ।
০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একজন মুসলিম মাত্রই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল স: এর পক্ষে নিবেন। তবে দু:খের বিষয় হইল আমাদের দেশে ইসলামি দল গুলোর প্রাই প্রতিটিই ইহুদিদের কেউ হার মানায়। জামায়াত বলে কওমি খারাপ, কওমিরা বলে সুন্নিরা খারাপ, পীর ও মাজারীরা বলে ওরা ছাড়া অন্য সব দল কাফের। দুনিয়ার যত হিংসা গীবত ঈর্ষা নিন্দা আছে সব কিন্তু এই সব ভন্ড ইসলামি দল গুলো করে।
আজকে জোহরের নামাজ পড়তে গেছি চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত শাহ রহ: এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে। তীব্র রোদে সানগ্লাস ছাড়া মুভ করা যায়না। ওযু করার সময় জাস্ট সানগ্লাসটি খুলে পাশের সিটে রাখছে। চোখের পলকে চুরি করে ফেলছে ভন্ড মাজার ব্যবসায়ী দের কোন মুরিদ। অথচ সেটা একজন আল্লাহর অলির মাজার।
তাই বলতে চাই, আমাদের দেশে যেসব দল আল্লাহ রাসুল এর পক্ষ নেয় তাদের চেয়ে খারাপ এই পৃথিবীতে আর নেই। এই সব ভনফরা তো আল্লাহ ও রাসুল স: পক্ষ নেয়, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিলেন না কেন?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।
সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর যারা আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা মনে করে, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত মুক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন হেদায়াতের সরল সহজ পথের সন্ধান দেন।
সূরাঃ ৬১ সাফফ, ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫। স্মরণ কর মুসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ যখন তোমরা জান যে, আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল? অত:পর তারা যখন বক্র পথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। বস্তুত শুধু তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দূর করে দিলাম। তারা কালামকে ওর স্থানসমূহ থেকে বিকৃত করে দেয়। আর তাদেরকে যা কিছু উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তার মধ্য থেকে এক বড় অংশ ভুলে যায়। আর ভবিষ্যতেও তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া তাদের কোন না কোন খেয়ানতের খবর তোমার কাছে আসতে থাকবে।অতএব তুমি তাদেরকে মাফ করতে থাক এবং তাদেরকে উপেক্ষা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচারী লোকদেরকে ভালো বাসেন।
* আল্লাহর পক্ষ নিয়ে পাপ থেকে বিরত থেকে সদাচারে লিপ্ত থাকলে হেদায়াত পাওয়া যায়।
১৪| ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত নছিব করে যেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
রাত্র নিশিতে কোরাআন তেলাওয়াত ও নবির
পরে দুরুদ পাঠান্তে ঘুমে যাওয়ার পুর্বে
সামুতে শেষ বারের মত চোখ রাখতে
গিয়ে এই মুল্যবান পোষ্টটি ভেসে উঠতে
দেখলাম। খুবই মুল্যবান লেখা রয়েছে এতে।
লেখাটি পাঠের সময় মনের ভিতর জেগে উঠা আল্লাহর
কালাম ও রাসুলের উপর কিছু দুরুদ পাঠ করে গেলাম ।
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِیۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۵۶﴾
ইন্না রাহমাতাল্লাহে কারিবুম মিনাল মোহছিনিন ( সুরা আরাফ আয়াত ৫৬)
নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
ওয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন ( সুরা আম্বিয়া -আয়াত ১০৭)
হে নবী আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি
مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنۡ رِّجَالِکُمۡ وَ لٰکِنۡ رَّسُوۡلَ اللّٰهِ وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا ﴿۴۰﴾
মাকানা মুহাম্মাদান (স.) আব আহাদিম মের – রা-_ জালিকুম ওয়ালাকিন রাছুলাল্লাহে ওয়া
খাতামান নাবীইন, ওয়া কানাল্লাহু বি কুল্লে শাইয়িন আলিমা (সুরা আহযাব আয়াত ৪০)।
মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী।
আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِی۵۶﴾
ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি। ইয়া আইয়ু হাল্লাজীনা আমানু ছাল্লু আলাইহে
ওয়াছাল্লেমু তাসলিমা। ( সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ )
নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর
জন্য দো‘আ করেন। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে
সালাম জানাও।
বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম
সাল্লেয়ালা নাবিয়েনা, সাল্লেয়ালা মোহাম্মাদান
সাল্লেয়ালা শাফিয়েনা সাল্লেয়ালা মোহাম্মাদান
আহমেদ পিয়ারে মোস্তফা নামে মোহাম্মদ মোস্তফা
খাস হাবিবে কিবরিয়া এই নামের পর দুরুদ পড়ি
সাল্লেয়ালা নাবিয়েনা, সাল্লেয়ালা মোহাম্মাদান
সাল্লেয়ালা শাফিয়েনা সাল্লেয়ালা মোহাম্মাদান।
দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁর সৃষ্ট সমগ্র মানবকুলকে হিদায়াত দান করে
সঠিক অনুভবে এসে সহজ সরল সত্য তৌহিদিপথে চলার তৌফিক দেন।
আমীন ।