নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নীদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই মুসলিমদের নাজাত প্রাপ্ত দল

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৭




সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। যারা আমাদের উদ্দেশ্যে জিহাদ করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়নদের সঙ্গে থাকেন।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের (আ.) সাথে থাকবে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* হিন্দুস্থান তথা ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমগণ সব সময় জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। এখানকার বড় যুদ্ধ সমূহ হলো ১। মোহাম্মদ বিন কাসিম ও রাজা দাহিরের যুদ্ধ ২। মোহাম্মদ ঘুরী+খাজা মঈনদ্দীন চিশতি (র.) ও পৃথিরাজের যুদ্ধ ৩। আওরঙ্গজেব ও শিবাজীর যুদ্ধ ৪। আমদশাহ আব্দালী ও মারাঠাদের যুদ্ধ ৫। শায়েস্তাখান ও মগদস্যুদের যুদ্ধ ৬। সামসুদ্দীন ইলিয়াছ শাহ+ হযরত শাহ জালাল (র.) ও রাজা গৌরগবিন্দের যুদ্ধ ৭। বখতিয়ার ও লক্ষণসেনের যুদ্ধ। এসব যুদ্ধের ফলে মুসলিম ভারত শাসন করে সাড়ে সাতশত বছর। তারপর ইরেজ ভারত কেড়ে নিয়ে ছেড়ে গেলে এখানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামের দু’টি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বখতিয়ারের ঘোড় সওয়ারের ভয়ে লক্ষণসেন পলায়ন করে। আর পাকিস্তানের রয়েছে পারমানবিক অস্ত্র। মুসলিমদের আর কোন দেশের পারমাণবিক অস্ত্র নেই। এখন এ অস্ত্রই আল্লাহর শত্রুরা সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। সুতরাং ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের সর্ববৃহৎ দলকে সঠিক নয় বলার সুযোগ নেই। আর তারা হলো মীলাদ-কীয়াম ও ঈদে মীলাদুন্নবী পালনকারী সুন্নী। সুতরাং ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নীদের সর্ববৃহৎ দলকে সঠিক নয় বলার কোন সুযোগ নেই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনিই নাজাতের অনুমোদন দিয়ে দিলেন।নবী যে বলেছে ৭২ কাতারের মধ্যে ৭১ কাতার দোজখী।

০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

* যারা জাহান্নামী তাদের হিসাব করে লাভ নাই। যে দল নাজাত প্রাপ্ত আমাদেরকে সে দলের হিসাব করতে হবে। কোরআনে জিহাদে থাকাকে হেদায়াতের কারণ বলা হয়েছে। হাদিসে হিন্দুস্থানের জিহাদে থাকাকে নাজাতের কারণ বলা হয়েছে। হিন্দুস্থানে মুসলিম উত্থানের জিহাদ সমূহ হানাফী সুন্নী পরিচালিত। হাদিস অনুযায়ী তাদের সর্ববৃহৎ দল নাজাত প্রাপ্ত। সুতরাং তাদের বিরোধী পক্ষকে নাজাত প্রাপ্ত বলার সুযোগ নাই। সুন্নীরা ঈদে মীলাদুন্নবী (সা) পালন করে। এমনকি এদিনে তাদের সরকারী ছুটি রয়েছে।

২| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:২৮

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনি তাহলে আল কুরানের শেষ যামানার সব চেয়ে জ্ঞানী -

০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জান্নাতের পথে থাকতে হলে কোনটি জান্নাতের পথ সেটা আমার নিজের প্রয়োজনেই আমাকে জানতে হবে। এতে আমার জ্ঞানের পরিমাপের মূলত কোন প্রয়োজন নাই।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোস্টের শিরোনাম হল ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নীদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই মুসলিমদের নাজাত প্রাপ্ত দল।
পোস্টে বর্ণীত পবিত্র কোরানের আয়াত দুটি হতে কিভাবে বুঝা গেল যে সুন্নীদের বৃহত্তর দলই নাযাতপ্রাপ্ত দল ।

এর পরে পোস্টে উল্লেখিত সহিহ হাদিসের কথামালা সমুহ এ পোস্টে থাকা শিরোনামের কথামালা যৌক্তিকভাবে
প্রমানের বিষয়ে প্রাসঙ্গিকতা খুবই ক্ষীন । উল্লেখিত হাদিসগুলি পোস্টে বলা কোরানের আয়াতে বর্ণিত শক্তি সামর্থ
অর্জন ও তা বিকাশের বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনা দিচ্ছে বলে তেমনভাবে প্রতিয়মান হচ্ছেনা ।
বরং উপরে বর্ণিত কোরানের মুল্যবান আয়াত দুটি একক ভাবেই স্বব্যখ্যাত ও অনেক বেশী অর্থজ্ঞাপক ।
আয়াত দুটি তুলে ধরার বিষয়টিও প্রসংসনীয়, কেননা এই দুটি আয়াত মুসলমানদেরকে বিজ্ঞান শিক্ষা,
গবেষনা ও প্রয়োগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করি ।

পোস্টে উল্লেখিত আন কাবুতের ৬৯ নং আয়াতটির অর্থ হতে বুঝা গেল যে -
আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আমি অবশ্য অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব।
অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।

جهاد ও مجاهدة এর আসল অর্থ দ্বীনের পথে বাধা বিপত্তি দূর করার জন্যে পূর্ণ শক্তি ব্যয় করা। এখানে এ নিশ্চয়তা
দান করা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর পথে আন্তরিকতা সহকারে পূর্ণ শক্তি ব্যয় করবে তাদেরকে মহান আল্লাহ তাদের
অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন না।বরং তিনি তাদেরকে পথ দেখান এবং তাঁর দিকে যাওয়ার পথ তাদের জন্য খুলে দেন।
তারা তাঁর সন্তুষ্টি কিভাবে লাভ করতে পারে তা তিনি প্রতি পদে পদে তাদেরকে জানিয়ে দেন। এই আয়াতের
তফসীরে ফুদাইল ইবন আয়াদ বলেন, যারা বিদ্যার্জনে ব্রতী হয়, আমি তাদের জন্য আমলও সহজ করে দেই।
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার সঙ্গে থাকা দু ধরনের। এক, মুমিন, কাফির নির্বিশেষে সবার সঙ্গে থাকার অর্থ
হচ্ছে তাদের সম্পর্কে পরিপূর্ণ জানা, তাদেরকে পর্যবেক্ষনে রাখা ও নিয়ন্ত্রণ করা। দুই, মুমিন, মুহসিন, মুত্তাকীদের
সাথে থাকা। তাদের সঙ্গে থাকার অর্থ হচ্ছে, তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা, তাদের হেফাযত করা। তাছাড়া
তাদের সম্পর্কে জানা, দেখা, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ তো আছেই। তবে এটা অবশ্যই ঈমান রাখতে হবে যে, মহান
আল্লাহ তাঁর আরশের উপরেই আছেন।

সুরা আনফালের ৬০ নং আয়াতে সমর যুদ্ধোপকরণ, অস্ত্রশস্ত্র, যানবাহন প্রভৃতি এবং শরীরচর্চা ও সমর বিদ্যা
শিক্ষা করাও অন্তর্ভুক্ত। কুরআনুল কারীম এখানে তৎকালে প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রের কোন উল্লেখ করেনি, বরং ব্যাপক
অর্থবোধক শব্দ قُوَّة ‘শক্তি’ ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছে।‘শক্তি’ প্রত্যেক যুগ, দেশ ও স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন রকম
হতে পারে। তৎকালীন সময়ের অস্ত্র ছিল তীর-তলোয়ার, বর্শা প্রভৃতি। তারপর বন্দুক-তোপের যুগ এসেছে।
তারপর এখন চলছে বোমা, রকেট ক্ষেপনাস্রের যুগ। ‘শক্তি’ শব্দটি এসব কিছুতেই ব্যাপক। সুতরাং যে কোন
বিদ্যা ও কৌশল শিক্ষা করার প্রয়োজন হবে সেসবই যদি এই নিয়তে হয় যে, তার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিমদের
শক্রকে প্রতিহত করা এবং কাফেরদের মোকাবেলা করা হবে, তাহলে তাও জিহাদেরই শামিল।

বিশুদ্ধ হাদীসসমূহে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধোপকরণ সংগ্রহ করা এবং সেগুলো ব্যবহার করার
কায়দা-কৌশল অনুশীলন করাকে বিরাট ইবাদাত ও মহাপূণ্য লাভের উপায় বলে সাব্যস্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তেলাওয়াত করে বললেনঃ জেনে রাখ, শক্তি হল, তীরন্দাযী। শক্তি
হলো তিরন্দাযী। [সহীহ মুসলিমঃ ১৯১৭]
এখানে তৈরী রাখার অর্থ, যুদ্ধের যাবতীয় সাজ-সরঞ্জাম ও এক স্থায়ী সৈন্যবাহিনী সব সময়ই মওজুদ ও প্রস্তুত
করে রাখা। যেন যথা সময়ে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। বিপদ মাথার উপর ঘনীভূত হয়ে আসার পর
ঘাবড়িয়ে গিয়ে ও তাড়াহুড়া করে স্বেচ্ছাসেবী, অস্ত্র-শস্ত্র ও রসদ সংগ্রহ করার চেষ্টা অর্থহীন। কেননা যতদিনে
এ প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবে ততদিনে শক্রপক্ষ তাদের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলবে।

প্রতিরক্ষার বিষয়টি সর্বযুগে ও সব জাতিতে আলাদা রকম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
‘মুশরিকদের বিরুদ্ধে জান-মাল ও মুখ এবং হাতের মাধ্যমে জিহাদ কর’। এ কথার দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, জিহাদ ও
প্রতিরোধ যেমন অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে হয়ে থাকে, তেমনি কোন কোন সময় মুখেও হয়ে থাকে। তাছাড়া কলমও
মুখেরই পর্যায়ভুক্ত। ইসলাম ও কুরআনের বিরুদ্ধে কাফের ও মুলহেদদের আক্রমণ এবং তার বিকৃতি সাধনের
প্রতিরোধ মুখে কিংবা কলমের দ্বারা করাও এই সুস্পষ্ট নির্দেশের ভিত্তিতে জিহাদের অন্তর্ভুক্ত।

দ্বিতীয়ত যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে যাদেরকে প্রভাবিত করা উদ্দেশ্য তাদের অনেককে মুসলিমরা জানে। সেসব
লোকদের সাথে মুসলিমদের মোকাবেলা চলছে। এছাড়াও কিছু লোক রয়েছে যাদেরকে এখনো মুসলিমরা জানে না।
এর মর্ম হল সারা দুনিয়ার কাফের ও মুশরিক, যারা এখনো মুসলিমদের মোকাবেলায় আসেনি কিন্তু ভবিষ্যতে
তাদের সাথেও সংঘর্ষ বাধতে পারে। কোন কোন মুফাসসির এটাকে বনু কুরাইযা আবার কেউবা পারস্যবাসী
বলে মত ব্যক্ত করেছেন। তবে এখানে সুনির্দিষ্ট করে না বলে কিয়ামত পর্যন্ত যত শক্রই মুসলিমদের মুকাবিলা
করবে তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য নেয়া যেতে পারে।

তৃতীয়ত, যুদ্ধোপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য অর্থেরও প্রয়োজন হয়। সে জন্যই আয়াতের
শেষাংশে আল্লাহর রাহে মাল বা অর্থ-সম্পদ ব্যয় করার ফযীলত এবং তার মহা-প্রতিদানের বিষয়টি এভাবে বলা
হয়েছে যে, এ পথে তোমরা যাই কিছু ব্যয় করবে তার বদলা পুরোপুরিভাবে তোমাদেরকে দেয়া হবে। কোন কোন
সময় দুনিয়াতেই গনীমতের মালের আকারে এ বদলা মিলে যায়, না হয় আখেরাতের বদলা তো নির্ধারিত রয়েছেই।
বলাবাহুল্য, সেটিই অধিকতর মূল্যবান। সেটি সাতশত গুণ ও আরও বেশী পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

যাহোক মোদ্দা কথা হল قُوَّة (শক্তি) শব্দের ব্যাখ্যা নবী (সাঃ) হতে প্রমাণিত আছে। তিনি বলেছেন, শক্তি হল,
(তীর) নিক্ষেপ। কেননা, সে যুগে তীরই ছিল যুদ্ধের বড় অস্ত্র এবং তীর মারায় দক্ষতা অর্জন ছিল একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যা। (যেহেতু তাতে দূর থেকেই শত্রু নিপাত করা যায়।) যেমন যুদ্ধের জন্য ঘোড়া ছিল অপরিহার্য
ও অতীব প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম, যে কথা আলোচ্য আয়াতে ফুটে উঠেছে। কিন্তু বর্তমান যুগে যুদ্ধে তীর নিক্ষেপ
ও ঘোড়ার সেই গুরুত্ব এবং উপকারিতা আর নেই। এখানে তীরকে দুর পাল্লার শক্তিশালী ক্ষেপনাস্র আর অশ্বকে
অত্যাধুনিক ট্যাংক , সাজোয়া যান , যুদ্ধবিমান অস্রবাহী সাবমেরিন প্রভৃতি হিসাবে বুঝে নিতে হবে । তাই তাদের
বিরুদ্ধে সাধ্যমত শক্তি প্রস্তুত কর’ এই নির্দেশ পালনে অধুনা যুগের যুদ্ধাস্ত্র (যেমন, ক্ষেপণাস্ত্র; রকেট, মিসাইল, ট্যাঙ্ক,
কামান, বোমারু বিমান এবং সামুদ্রিক যুদ্ধের জন্য সাবমেরিন প্রভৃতি) এর প্রস্তুতি অত্যাবশ্যক। ঐ লক্ষ্যে আধুনিক
জ্ঞান বিজ্ঞান জানা, সাধনা, গবেষনা , উদ্বাবন ও প্রয়োগ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা একান্ত প্রয়োজন ।

এর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য জাকাত ও রাস্ট্রীয় কর ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন ।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও বিশ্বমানের পর্যায়ে নেয়ার জন্য যা যা করনীয় তার সকলি
যথাযথভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে ।

এখানে পোস্টে পবিত্র আল কোরানের আয়াতের সহজ সরল কথামালা সকলের কাছেই অতি সহজেই বোধগম্য ।
তাই এখানে সহিহ সুনানে নাসাঈ , সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থে থাকা কথামালা টেনে এনে
কিংবা ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের যুদ্ধ বিগ্রহের কথামালার অবতারনা করে এ উপমহাদেশের
সুন্নী মুসলিমদের বৃহত্তম দলকে এককভাবে নাযাত প্রাপ্ত দল হিসাবে চিহ্নিত করার প্রয়াসের চেয়ে,
কোরানের আয়াত আনুযায়ী একটি কিংবা অন্য প্রতিটি মুসলিম দেশে বসবাসকারী সকল মুসলিমদের
পবিত্র দায়িত্ব হিসাবে তুলে ধরাই অধিক বেহেতর হবে বলে মনে করছি।ধর্মীয় বিশ্বাসের মুল আকিদায়
কোন বিবেধ বা মত পার্থক্য থাকলে তা দুর করে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পবিত্র
কোরানের বানী অনুসরণ করে শক্তিশালী হওয়াইতো এ সময়ে বেশী কাম্য।

যাহোক পোস্টটি দিয়ে কিছু আলোচনার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল



০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একটি আয়াতে জিহাদে থাকার কথা বলা আছে, অন্য আয়াতে শত্রু ভয়পায় এমন অস্ত্র সঞ্চয়ের কথা বলা আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে একাজ যারা করেছে বা করছে তাদের সর্ববৃহৎ দল সুন্নী। যারা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করে এবং যাদের রাষ্ট্রে এ দিনে সরকারী ছুটিও রয়েছে। সুতরাং আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী তাদের প্রতিপক্ষকে সঠিক বলার সুযোগ নাই।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

ঢাকার লোক বলেছেন: "নাজাত প্রাপ্ত দল বলতে মিলাদ কিয়াম মিলাদুন্নবী পালনকারীগণ" আপনার এই মত অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় ! ভারত উপমহাদেশ ব্যাতিত আরব বিশ্ব সহ অন্য কোথাও এর প্রচলন নেই।

০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।


* আরবরা ইসলাম নষ্ট করার পর পারসিকরা নষ্ট ইসলাম মেরামত করার কথা। ভারতীয় উপমহাদেশ পারসিক ভাবাপন্ন। এখানে ইসলামের পারসিক পরিভাষা প্রচলিত। সুতরাং আরবরা কি করে এখন আর সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

* রাসূল (সা.) যা রেখে গেছেন তাঁর সাহাবা যুগের সাথে তার প্রায় সবটা শেষ হয়ে যাবে জেনে তাদের অন্যান্যের জন্য পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ বিকল্প ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থের বিভিন্ন হাদিস থেকে সে ব্যবস্থা জানা যায়।


# সহিহ আল-বোখারী

সহিহ আল বোখারী, ৪৫৩২ নং ৪৫৩৩ নং হাদিসের (তাফসীর অধ্যায় – ৬২. সূরা আল জুমুআ) অনুবাদ
৪৫৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হল – যাতে এও আছে ‘আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’। তিনি বলেন, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল! তিনবার একথা জিজ্ঞেস করার পরও তিনি এ কথার কোন জবাবই দিলেন না। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) হাজির ছিলেন। নবি করিম (সা.) তার উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছূরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও অনেক ব্যক্তিই কিংবা যে কোন একজন তা’ পেয়ে যাবে।
৪৫৩৩। আবু হুরায়রা (রা.) নবি (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন, এদের কিছু লোক তা’অবশ্যই পেয়ে যাবে।

# সহিহ মুসলিম

সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।

সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।

# সহিহ তিরমিযী

সহিহ তিরমিযী, ৩৮৬৮ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৮৬৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সূরা আল-জুমুআ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন। তিনি ‘ওয়া আখারিনা মিসহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম- আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এসমস্ত লোক কারা, যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন না। সালমান আল –ফারসী আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের হাতখানা সালমানের (রা.) উপর রেখে বললেন সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান সুরাইয়া তারকায় থাকলেও এদের কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।

সহিহ তিরমিযী, ৩২৪৮ নং হাদিসের (তাফসীরুল কোরআন – সূরা আল-জুমুয়া) অনুবাদ-
৩২৪৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা আল-জুমুয়া অবতীর্ণ হওয়াকালে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকটেই ছিলাম।তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন।তিনি ‘আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ (৬২,৩) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি তারা কারা? নবি করিম (সা.) তার কথায় চুপ রইলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সালমান (রা.) আমাদের সাথেই ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সালমানের (রা.) উপর হাত রেখে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! ঈমান যদি সুরাইয়্যা নক্ষত্রেও থাকে তবুও তাদের মধ্য হতে কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।


* দীন ও ঈমান যদি চলে যায় সুরাইয়া নক্ষত্রে তবে রাসূল (সা.) ও তাঁর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকি আর স্বস্থানে বসে থাকে? সংগত কারণে দীন ও ঈমানের সাথে রাসূল (সা.) ও তাঁর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাত চলে গিয়ে ছিল সুরাইয়া নক্ষত্রে। এরপর যারা সুরাইয়া নক্ষত্র থেকে দীন ও ঈমান ফিরিয়ে আনলো রাসূল (সা.) ও তাঁর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাত তাদের নিকটই পাওয়ার কথা। তাদের নিকট ছাড়া অন্য কোথাও রাসূল (সা.) ও তাঁর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাত পাওয়ার কথা নয়।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ভাই, নবী মোহাম্মদ (স) সুন্নী ছিলেন? না হলে কোন তরিকার ছিলেন?
এগুলো প্রমোট করা বন্ধ করেন। এগুলো বিবেদ বাড়ায়। শুধু ইসলাম বলেন, শুধুই মুসলমান বলেন। এসব সুন্নী ফুন্নী এখন রাখেন।

০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

*রাসূল (সা) ও তাঁর সাহাবীদের অনুসারীদেরকে সুন্নী বলে। নবির (সা) সুন্নত থেকে সুন্নী আসায় তিনি সুন্নী ছিলেন না এটা বলা সম্ভব নয়।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, এই ব্লগে আপনি যা বলবেন সেটাই হচ্ছে আসল ইসলামের কথা, আর বাকিরা তো সব গরু খাওয়া মুসলিম।

০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আর আপনি বিড়ি খাওয়া ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.