নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া সঠিক হয় না

১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১৪



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

* আল্লাহ আমিরের আনুগত্য ফরজ করলেন। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রা.) আমিরুল মুমিনিন আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফতোয়া জারী করলেন। তাতে একদল সাহাবা (রা.) আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন। পরে উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রা.)আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাটা ভুল বললেন। তিনি কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে ফতোয়া দিলেন বলেই সাহাবায়ে কেরামের (রা.) একদল সেই ফতোয়া অনুযায়ী আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করায় এটা স্পষ্ট হলো যে তিনি কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া প্রদান করেছেন বিধায় সেটা সঠিক হয়নি।

হযরত মুয়াবিয়াও (রা.)আমিরুল মুমিনিন আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফতোয়া জারী করলেন। তাতে একদল সাহাবা (রা.) আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন। তিনি কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে ফতোয়া দিলেন বলেই সাহাবায়ে কেরামের (রা.) একদল সেই ফতোয়া অনুযায়ী আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রা.) আমিরুল মুমিনিন আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফতোয়া ভুল সাব্যস্ত করায় এটা স্পষ্ট হলো যে হযরত মুয়াবিয়া (রা.)কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া প্রদান করেছেন বিধায় সেটা সঠিক হয়নি।

হযরত আবু বাকরা (রা.) আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) পক্ষে যুদ্ধ না করার ফতোয়া জারী করলেন।তিনি কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে ফতোয়া দিলেন বলেই সাহাবায়ে কেরামের (রা.) একদল সেই ফতোয়া অনুযায়ী আমিরুল মুমিমিনিন হযরত আলীর (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করলেন না। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রা.) আমিরুল মুমিনিন আলীর (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করা সঠিক সাব্যস্ত করায় এটা স্পষ্ট হলো যে হযরত আবু বাকরা (রা.)কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া প্রদান করেছেন বিধায় সেটা সঠিক হয়নি।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

* ইসলামের অতি জ্ঞানী ইবাদী বা খারেজীরা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীকে (রা.) কাফের ফতোয়া প্রদান করে হত্যা করে ফেলে। তারা বলেছে তারা তাদের এ ফতোয়া কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে প্রদান করেছে। কারবালায় একদল মোহাদ্দিস ও ফকিহ কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) হত্যাকরা জায়েজ ফতোয়া দিয়ে তারা হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য সহ শহীদ করে ফেলেছে। এভাবে কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে ফতোয়া প্রদান করে মুসলিম জাতি তিহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে। সুতরাং কারো কোরআন হাদিসের কথা শুনেই দিশেহারা হওয়ার দরকার নাই। দেখতে হবে সে কোরআন ও হাদিসের সঠিক নাকি ভুল ভিত্তিতে ফতোয়া প্রদান করেছে? কোরআন ও হাদিসের সঠিক ভিত্তি এবং ভুলভিত্তি বুঝতে না পারলে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন পথ ছেড়ে অভিন্ন পথে চলা যাবে না।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭৮ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭৮। হযরত যুবায়ের ইবনে আদী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট আগমন করে আমাদের উপর হাজ্জাজের পক্ষ হতে যা হচ্ছে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য অবলম্বন কর। কেননা তোমাদের পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগ হতেও নিকৃষ্ট হবে। যখন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হও। আমি নবি করিমকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি।

* কোরআন ও হাদিসের সঠিক ভিত্তি অনুযায়ী। সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দল সুনিশ্চিতভাবে সঠিক। তাঁদের চারটি সর্ববৃহৎ দল হলো ১। হযরত আবু বকর (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ২। হযরত ওমর (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ৩। হযরত ওসমান (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ৪। হযরত আলী (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল। তাঁদের পূর্ববর্তী দল পরবর্তী দলের উপর প্রাধান্য পাবে। এ বিষয়টি খেয়াল না করায় আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং তাঁর পক্ষে যুদ্ধ না করার ফতোয়া সঠিক হয়নি। একইভাবে হযরত ইমাম হোসেনকে পরিবারের সদস্য সহ শহীদ করার ফতোয়া সঠিক হয়নি। একইভাবে জামায়াতে বিশ রাকাত তারাবিহ নামাজ এবং তিন রাকাত বিতির নামাজের বিরোধীতা সঠিক নয়। এখন সঠিক ফঠতোয়ার ভিত্তি কি?

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

* রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দলের পর তাঁর ওয়ারিশ আলেমগণের সর্ববৃহৎদল ইসলামে মাননীয় হবেন। কারা রাসূলের ওয়ারিশ আলেম?

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

* রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ আলেম হলেন আহলে যিকর। কারা আহলে যিকর?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়।এখন জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর হবেন সঠিক ফতোয়া প্রদানের সঠিক ভিত্তি। সুতরাং তাঁদের আমলের গরমিল ফতোয়া ইসলামে বাতিল সাব্যস্ত হবে। সেসব ফতোয়ার ভিত্তি কোরআন ও হাদিস বলা হলেও অনুসন্ধানে দেখা যাবে তা’ আসলে কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া। বিশাল বিড় আলেম এমন ফতোয়া দিলেও তা’ ইসলামে গৃহিত হবে না। কারণ বিশাল বড় আলেমও শয়তানের ধোকায় পড়তে পারে।

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.)। তিনিও শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। রাসূল (সা.) প্রশিক্ষিত বড় আলেম তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ভুল ফতোয়ার কারণে পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হাজারে হাজারে শহীদ হয়েছেন। সংগত কারণে আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দলের আমলের গরমিল ফতোয়া কিছুতেই ইসলামে গৃহিত হতে পারে না। এবার আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দলের বাইরে সেই ফতোয়া যার হোক তা’ বাতিল সাব্যস্ত হবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৪৭

মামুinসামু বলেছেন: ক্বওমী, আলিয়া, দেওবন্দি, বেরলভি, চরমোনাই, ছারছীনা, ফুলতলী, ফুরফুরা, জৈনপুর, হাটহাজারী, সোনাকান্দা ... আপনার বর্ণিত "সর্ববৃহৎ দলের" মধ্যে কারা অন্তর্ভূক্ত?

১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১নং হাদিসের [রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।

রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।


* সঠিক হলো জৈনপুরী এবং তাদের সাথে যারা আছে তারা। কারণ তাদের রাজত্ব শেষ হলেও তাদের খেলাফত শেষ হয় নাই। রাসূল (সা) বলেছেন তাঁর কন্যা ফাতেমার (রা) বংশে খলিফা হবেন মাহদী (আ)। এ ছাড়া খোলাফায়ে রাশেদার পর তাঁর চাচার বংশে খেলাফত ও রাজত্ব থাকার কথা তিনি বলেছেন। তো তাঁর চাচা হযরত আব্বাসের (রা) বংশে খলিফা ও রাজা হয়েছেন ছাপ্পান্ন জন। তারপর তাদের রাজত্ব শেষ হলেও মহানবির (সা।) দ্বীনি খেলাফত চালিয়ে যাচ্ছে জৈনপুরী আব্বাসীয়গণ। যাদের প্রতিনিধি ড এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। এরা মীলাদ, কীয়াম ও ঈদে মীলাদুন্নবী (সা) পালনকারী। বিশ্বের মুসলিমদের সর্ব বৃহৎ দলও মীলাদ, কিয়াম ও ঈদে মীলাদুন্নবী (সা) পালনকারী। বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে ঈদে মীলাদুন্নবী (সা) উলক্ষে সরকারী ছুটি পালন করা হয়। সুতরাং জৈনপুর ও তাদের অনুসারীদলই এখন বিশ্ব মুসলিমের সর্ববৃহৎ দল। আর জৈনপুরীরা আহলে বাইতেরও সদস্য।

২| ১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫০

অহন৭১ বলেছেন: কোরআন ও হাদিসের ভুল ভিত্তিতে প্রদত্ত ফতোয়া সঠিক হয় না

আপনি বলেন ওদের ভিত্তি ভুল, ওরা বলে আপনার ভিত্তি ভুল। তা হলে এর সমাধান কী @ জাগতিক ভাইয়া??

আর রাসুলেের সাহাবায়ে "কেরাম" মানে কী? কেরাম বোর্ড?! নাহ, এমনি এমনি ফাল করে বললাম ভাইয়া।

১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সমাধান পোষ্টে আছে।

৩| ১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫২

অহন৭১ বলেছেন: ফান(Fun)...............

১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু কেন এই ফান?

৪| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




ইহা অনেক নিম্নমানের একটি পুস্তক।
ইহা পাঠ করা না করা সমান।

১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইহা আপনার ভুল ধারণা।

৫| ১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনার গবেষণা তাহলে চলছে।

১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমারো তেমনটাই মনে হয়।

৬| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আর বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা কোনই ইচ্ছা করতে পার না। [1]

সুরা তাকবির ,আয়াত-২৯

১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর ইচ্ছার পিছনে যথাযথ কারণ থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.