নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।
সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?
* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.)। তিনিও শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।
* রাসূল (সা.) প্রশিক্ষিত বড় আলেম হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পরস্পর ইসলাহ না করে পরস্পর যুদ্ধ করেন, যাতে হাজার হাজার সাহাবা শহীদ হয়েছেন। খারেজীরা হযরত আলীকে (রা.) কাফের ফতোয়া দিয়ে শহীদ করে ফেলে। শিয়ারা হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) হত্যা করতে না পেরে মোনাফেক আখ্যা দিয়ে দেড় হাজার বছর ধরে লানত প্রদান করছে। শিয়ারা তাদের কন্যার নাম আয়েশা রাখে না। অথচ তিনি উম্মুল মুমিনিন। এদিকে বড় আলেম হযরত মুয়াবিয়া (রা.) প্রশিক্ষিত বড় আলেম ইয়াজিদ বহু অকাজের কাজী। ইয়াজিদ এতটাই বড় আলেম ছিলো যে হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হাজার হাজার সাহাবাকে বাদ দিয়ে ইয়াজিদকে খলিফা মনোনয়ন প্রদান করেন। এদিকে রাসূল (সা.) ও হযরত আলী (রা.) প্রশিক্ষিত বড় আলেম হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ইয়াজিদের খেলাফত অস্বীকার করেন। অবশেষে তিনি ইয়াজিদের পোষা কুকুরদের হাতে কারবালায় স্ব-পরিবারে শহীদ হন। আর যারা আল্লাহ ও রাসূল প্রশিক্ষিত বড় আলেম নয় সেই সব বড় আলেম পরস্পর উল্টা ফতোয়া দিয়ে মুসলিম জাতির পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিষাক্ত করে তুলেছে।
সূরাঃ ৫৯ হাসর, ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২২। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই।তিনি আলেমুল গাইবে ওয়াশ শাহাদা (অদৃশ্য ও দৃশ্যমানের আলেম); তিনি রাহমানুর (মেহেরবান) রাহিম (দয়াময়)।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আল্লাহ বড় আলেম বাদ দিয়ে ওলামা বা আলেমগণকে মানতে বলেছেন। তারা দলাদলি করলে রাসূল (সা.) তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে বলেছেন। সুতরাং বড় আলেমের ফতোয়া বাদ দিয়ে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের আমলের সাথে মুসলিম জাতি সম্পৃক্ত থাকবে। তারা হানাফী সুন্নী যারা তাজিমী সিজদা করে না। তবে তারা মিলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) শবেবরাত ও সম্মিলিত মুনাজাতে যুক্ত। যাকে তথাকতিথ বড় আলেমরা বিদয়াত বলে থাকে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* তথাকতিথ বড় আলেম মুসলিম ঐক্যের বিপক্ষে গিয়ে মিলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) শবেবরাত ও সম্মিলিত মুনাজাতকে বিদয়াত ও গুনাহের কাজ বলে ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। রাসূল (সা.) এদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৩ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৩।হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রা.) রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট ইয়ামন থেকে কিছু মাটি মিশানো স্বর্ণ পাঠান, তিনি তা’ আকাবা ইবনে হাবিস হানযালী (রা.), মুজাশি গোত্রের এক ব্যক্তি, উয়ায়না ইবনে বাদর আল ফাজারী, আলকামা ইবনে উছালা আমিরী এবং বনু কিলাবের এক ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দেন। এরপর তিনি যায়দ খাইলতায়ী এবং নাবহান গোত্রেরএক ব্যক্তিকে দেন।এতে কুরাইশ এবং আনসারী লোক ক্রোধান্বিত হয়। তারা বলে আপনি নজেদের নেতাদের দিলেন, আমাদের দিলেন না। তিনি বলেন যেহেতু তারা নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাদের মন রক্ষার্থে দিলাম। আর তোমরাতো পূর্বে মুসলিম হয়েছ। এমন সময় এক ব্যক্তি আসলো যার চোখ কোটরাগত এবং গলা ফুলা ছিল এবং ঘন দাড়ি বিশিষ্ট মাথা মুড়ানো ছিল। সে বলল হে মোহাম্মদ (সা.)আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বললেন, যদি আমিই আল্লাহর নাফরমানি করি, তবে কে আর তাঁর অনুসরন করবে? আল্লাহ তা’আলা আমাকে বিশ্ববাসীর মধ্যে আমির রূপে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমরা আমার মর্যাদা রক্ষা কর না। এমন সময় লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে হত্যা করতে নিষেধ করেন। যখন সে ব্যক্তি চলে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তার বংশে এমন কিছু লোক জন্ম নিবে, তারা কোরআন পড়বে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে নামবে না, তারা তাদের দীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর জন্তুর শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায়। তারা মুসলিমদেরকে হত্যা করবে এবং মূর্তিপূজকদের ছেড়ে দেবে। আমি যদি তাদেরকে পাই, তবে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করব, যেমন আদ জাতীয় লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।
* তথাকতিথ বড় আলেম খারেজীরা রাসূলের (সা.) চেয়ে ইসলাম বেশী বুঝে। খারেজীর ইনসাফ সুসমবন্টন, কিন্তু রাসূলের (সা.) ইনসাফ হলো ইসলামের স্বার্থ।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২২ হাজ্জ, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ
৭৮। আর জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে (জিহাদের জন্য) মনোনীত করেছেন।তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত বা জাতি।তিনি পূর্বে তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করেছেন। আর এতে (এ কোরআনেও তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করা হয়েছে) যেন রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যি হন এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অতএব তোমরা সালাত বা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে যুক্ত থাক। তিনি তোমাদের অভিভাবক। কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোমরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম (আ.)। সে হিসাবে গোটা মুসলিম জাতি তাঁর বংশধর। কোরআন অনুযায়ী ইমামগণ তাঁর সেরা বংশধর। কারণ তাঁরা আল্লাহর নিকট তাঁর প্রার্থনার ফসল। আর অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী সুন্নী বিধায় হানাফী সুন্নী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়া সকল মুসলিম ও মুছল্লীর জন্য ফরজ।আর সঠিকতার সত্যায়ন প্রাপ্ত এসব ইমাম আল্লাহর ঘর মসজিদেই মিলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.), সম্মিলিত মুনাজাত ও শবে বরাত পালন করে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।
হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
* খারেজী আলেমদের ফতোয়া কিভাবে মানা যায়? তারা আমিরুল মুমিনিন আলীকেই (রা.) কাফের ফতোয়া দিয়ে শহীদ করে ফেলেছে। সেই খারেজীরা এখনও উল্টা-পাল্টা ফতোয়া দিয়ে মুসলিম সমাজে ফিতনা জারী রেখেছে। এরা অতিশয় অধম।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* হেদায়াত প্রাপ্ত ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের আমলের বিপরীত ফতোয়া দিয়ে ইসলামে ফিতনা সৃষ্টি করা হারাম। যারা এমন করে তারা ও তাদের অনুসারীদেরকে আল্লাহ জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। তারপর তারা কালিমার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপেলে পাবে।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিছু লোক নিজেকে নিজে বড় আলেম মনে করে। কিছু লোককে তাদের ভক্তগণ বড় আলেম বলে প্রচার করে। এদেরকে স্কলার আখ্যা দিয়ে কিছু লোক আবার মনে করে এদের কথাই ইসলাম। কিন্তু ইসলাম এর অনুসারীদের সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতা সত্যায়ন করে। আপাতত তারা হানাফী সুন্নী, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা করে না। আল্লাহ, রাসূল (সা), সাহাবা (রা) ও স্কলারদের নামে অনেক মিথ্যা প্রচার হওয়ায়, ইসলামের অনুসারীদের সর্ববৃহৎ দলের মাপকাঠি ছাড়া ইসলাম চিনার উপায় নাই।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
নতুন বলেছেন: বড় ডাক্তারের ফিস বেশি।
বড় ডাক্তারের কাছে জেতে আগে ছোট ছোট ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হয়। অর্থ এই সব ছোট ডাক্তারাও বেতন পায়।
তাই পীর, ফকির, মাজার, মানত, বড় আলেম, তৌরি করা হয়েছে মুরিদানেরা এসে তাদের টাকা পয়সা দান করে।
সকল ধর্মীয় স্থানে মুরিদানের টাকা পয়সা বন্ধ করে দিলে ৭ দিন পরেই সব খালী হয়ে যাবে। কোন খাদেম থাকবেনা।
মানুষ দান বন্ধ করে দিলে কোন মাদ্রাসাও চলবেনা। ঔ আলেমরা কেউই অন্য কাজ করে অবসর টাইমে দীনি শিক্ষা দিতে আসবেনা।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেককে বড় বলে প্রচার করার পিছনে আমি অন্য উদ্দেশ্য দেখেছি। সেজন্যই বলছি এসব বড়টড় আসলে কিছুই না।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, একদম ঠিক বলেছেন। আর সেই সাথে বড় বড়, মোটা মোটা অথচ একদম অ-কাজের বইগুলো সব বিলুপ্ত করতে হবে। এই সব বই পড়ে মানুষের বুদ্ধি সুদ্ধি সব লোপ পায় যে কারণে বড় বড় আলেমদের আজ এ দশা, এই সব মোটা মোটা অকাজের বই'ই তাদের আজ এ হাল করেছে।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক বই আছে যা পড়তে পড়তে জীবন শেষ হয়ে গেলেও সেসব বই আসলে কাজের কিছু না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: কে বড় আর কে ছোট চিনবো কেমন করে।