নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* পাল্লাভারি জামায়াত আল্লাহর সঠিকতার মাপকাঠি। সুতরাং যারা এর বাইরে তারা মতভেদকারী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধী।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
* মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সহচরদের (রা.) সুকাজের পাল্লাভারী বিধায় আল্লাহ তাঁদের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁদের বদনাম না করায় তাঁদের বিন্দু পরিমাণ বদনাম করা জায়েজ নাই।যারা তাঁদের বিন্দু পরিমাণ বদনাম করে সাহাবা না হলে তাদের কুফুরীতে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাহাবা (রা.) সাহাবার (রা.) বদনাম করলে তাঁদের জন্য রয়েছে ক্ষমা। তাঁদের যাঁরা এমন কাজে লিপ্ত হয়েছেন তাঁরা এর সাজা ইহ জীবনে পেয়ে গেছেন। যারা সাহাবা (রা.) নয় তাঁদের ক্ষমার ঘোষণা না থাকায় আল্লাহর উল্টা কাজ করায় তাদের কাফের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মুসলিম এমন কোন ব্যাক্তির কথা শুনবে না।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
মুসনাদে আহমদ, ২০৩৩৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
২০৩৩৫। হযরত আবু যার গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবির (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি। তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয় করেন? তিনি (সা.) বললেন, পথভ্রষ্ট আলেমগণ।
* নামাজে নিরবে ‘আমিন’ বলা ও শব্দ করে ‘আমিন’ বলার ক্ষেত্রে নামাজে নিরবে ‘আমিন’ বলায় পাল্লা ভারী, সুতরাং যারা নামাজে শব্দ করে ‘আমিন’ বলে তারা মতভেদের কঠিন গুনাহের শাস্তি পাবে এবং তাদের এমন সকল নামাজ বাতিল হবে। মতভেদ করা হারাম এবং নামাজে হারাম কাজ করায় তাদের নামাজ গৃহিত হবে না।এভাবে মুসলিমদের মতভেদের সকল কাজে পাল্লাভারী আল্লাহর সঠিক বিবেচনার মাপকাঠি। মহানবি (সা.) বলেছেন, তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। পাল্লাভারীর বিপরীত ফতোয়া প্রদানকারী আলেম পভ্রষ্ট। এরা দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয়ংকর। শেষ বিচারে আল্লাহ এদেরকে সোজা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। কোভাবেই এদের ফতোয়া মানা যাবে না।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
সহিহ বোখারী ৬৯ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৯। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হযরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিন করে তুলও না এবং সুখবর দাও। বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করও না।
* আল্লাহ সহজ পদ্ধতিতে কাজ করেন। মানব রচিত তাফসির, হাদিস ও ফিকাহের তিনি অমুখাপেক্ষী। সুতরাং কোরআন অনুযায়ী তিনি পাল্লাভারী আমল সঠিক হিসাবে গ্রহণ করবেন এবং পাল্লাভারীর বিপক্ষে যারা ফতোয়া প্রদান করেছে তাদেরকে ও তাদের অনুসারীদেরকে আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার ফতুয়া অনুযায়ী।