নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র বিনাশীরা বাংলাদেশে গণসম্মান পাবে না

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



গণসম্মান বলতে জনগণের দুই তৃতীয়াংশের সম্মান বুঝায়। বাকশাল গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু সেটা হারিয়েছেন।নয় বছর জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রেখে এরশাদ গণসম্মান হারিয়েছে। খালেদা জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারেনি তবে জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রাখার চেষ্টা করে গণসম্মান হারিয়েছে।হাসিনা দশ বছর জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রেখে গণসম্মান হারিয়েছে।বঙ্গবন্ধু, এরশাদ, খালেদা ও হাসিনার দলের কারো প্রতিও গণসম্মান নাই। এদের প্রতি যারা গণসম্মানের প্রস্তাব করে তারা আস্ত বেকুব, তারা ডেোডো পাখি, তারা লিলিপুটিয়ান। সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ও মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশে গণসম্মানে আছেন। আগামীতে বাংলাদেশে কেউ গণসম্মান পেতে হলে তাকে সবার আগে গণতন্ত্রী হতে হবে।

বাংলাদেশে অনেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে। তাদের প্রতি আমাদের সাফ কথা হলো, আমরা যেমন হই না কেন যারা গণতন্ত্রী নয় আমাদের গণসম্মান তারা পাবে না।আমাদের কেউ পাকিস্তানী, কেউ ভারতীয়, কেউ নৃ-তাত্ত্বিক। আমাদের গণ হয়ে উঠা মুশকিল।তবে গণতন্ত্র চাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এখনো গণহয়ে আছি। সেজন্য আমাদের এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে গণঅভ্যুত্থান হয়। ২০২৪ সালে সেটা আরেকবার হলো। যাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয় তাদের প্রতি জাতীয় ঘৃণা থাকে।আওয়ামী লীগকে জাতি একবার ক্ষমা করেছে তারা এর মূল্য দেয়নি। ২০২৪ এরপর জামায়াত ও বিএনপি ক্ষমার আশা করছে। কোন দণকে জনগণ ক্ষমা করে সেটা সামনের নির্বাচনে বুঝা যাবে।

ঘৃণিত দল সমূহকে জাতি ক্ষমা করতে চায়। কিন্তু ক্ষমা করলেই তারা গাতির ঘাড়ে চেপে বসে। এরা সবাই হনুমানের পুজারীর বংশধর। হনুমানি পুজারী থেকে এ জাতীর উদ্ভব বিধায় এদের হুনুমান হয়ে উঠায় অবাক হওয়ার মত কিছু নাই। এ জাতি নিয়ে আশা থেকে হতাশাই বেশী। এ জাতি গণতন্ত্র প্রিয় জাতি। এদের ঘাড়ে গণতন্ত্র পরিপন্থী কোন কিছু চাপানো কি দরকার? এদের ঘাড়ে জোর করে অগণতান্ত্রিক কিছু চাপাতে গেলে কি হয় হনুমাণের বংশধরেরা বার বার দেখার পরেও তা’ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না।

আমাদের প্রতিবেশী উল্লুকেরা একদল হনুমানকে মগডালে উঠিয়ে রাখায় জাতির তাদেরকে সেখান থেকে নামাতে কষ্ট হয়েছে। এখন তারা রনে রনে বনে বনে ঘুরে বেড়িয়ে জাতিকে খামচি দিতে প্রতি নিয়ত ভেংচি কাটছে। এখনো পরিস্থিতি ঘোলাটে। দেখা যাক কি হয়। একজন বলছিলো আপনার অসুবিধা কি? জবাবে অন্য জন বলেছে, আপনে সুবিধা দেখলেন কোন জায়গায়? যে জাতির সবটাই অসুবিধা তারা আর সুবিধার কথা কিভাবে ভাবতে পারে? তথাপি কিঞ্চিত আশা সবাই করে। কারণ মানুষ আশায় খাকতে ভালোবাসে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


গণতন্ত্র হলো শিক্ষিত ও ভদ্রলোকের ব্যবস্থা। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ অশিক্ষিত ও বর্বর। তাদের জন্য গণতন্ত্র নয়। তাদের দরকার লাঠিতন্ত্র।

তবে আপনি শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু কখনো ভোট দিতে যান না। আপনার জন্য দরকার ব্লগতন্ত্র।

ভালো থাকুন সনেট কবি।
শুভ কামনা সব সময়।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অশিক্ষিত ও বর্বররা লাঠি হাতে রাস্তায় নামলে গণতন্ত্র বিনাশীদের কি হাল হয় এদেশ সেটা বার বার দেখেছে। লাঠিতন্ত্র সমর্থন করলে লাঠা-লাঠি কখনও থামবে না। লাঠালাঠি বন্ধের হাতিয়ারই হলো গণতন্ত্র।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


যুগে যুগে নুর হোসেন, আবু সাইদ এরা হচ্ছেন বলির পাঠা।
প্রাণ মফিজে। মজা মারে ফজা মিয়া।
একটা সমন্বয়ক কি গুলি খেয়েছে?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা হয়, তারপর জনতার জয় হয়। এবারও সেটা হয়েছে। আমি জীবনের শেষবেলায় একটা ভোট দিতে চাই। বেশ আমার চাওয়া এটুই। যারা আমার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো আমি তাদেরকে ঘৃণা করি।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি ভোট দিলে কি হবে?

গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছের দিন ফিরে আসবে?
এক দানব গেছে।
আরেক দানব আসবে।
মাঝখান থেকে হাজার খানেক মানুষ আর শত শত পুলিশ মেরে ফেলা হল।
এই সব বালঝাল গনতন্ত্র চাই না।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাঝখান থেকে হাজার খানেক মানুষ আর শত শত পুলিশ মেরে ফেলা হল। এটাতো গণতন্ত্র না থাকার রিএ্যাকশন। শাসকের প্রতি গণরোষ এবং জনগণ থামাতে শাসকের গুলি। অবশেষে অগণতান্ত্রিক শাসক পালাতে বাধ্য হলো। কি কারণে কি হয় আপনি কি এর কিছুই বুঝতে পারেন না?

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: গণতন্ত্র কিম্বা যেকোনো তন্ত্র-মন্ত্র চন, জাতির জন্য এটাই শেষ সুযোগ!

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুযোগ কাজে লাগাতে হয় এবং সুযোগ কাজে লাগাতে জানতে হয়।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: জয় হোক জুলাই আগস্ট
স্যালুট জানাই বীর সন্তানদের

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বীরদের স্যালুট জানানো ঘরে বসে থাকাদের অবশ্য কর্তব্য।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

Sayed Kutub বলেছেন: বাংলাদেশের পুরোনো কোন দলের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। কেউ খাম্বা,কেউ যুদ্ধাপরাধী এবং ধর্ম ব্যবসায়ী,কেউ বেইমান,কেউ ফ্যাসিস্ট!এরা কিভাবে দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝবে?যখনই কোন দল ক্ষমতায় যায় তখন তারা মীমাংসিত বিষয় নিয়ে রাজনীতি শুরু করে। অথচ ৫ই আগস্টের পর ধর্ষণ,খুন,সড়ক দুর্ঘটনা,বন্যা মোকাবিলা,কর্মসংস্থান এসব বিষয় নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠার কথা।কিন্তু রাজনীতিবিদ রা আমাদের বিজি রাখতে চায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথার মাধ্যমে। এইভাবে দেশ এগুতে পারে না।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


২০১৮ ও ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন ছিল প্রতারণা ও ছলচাতুরির আন্দোলন।
আসলে ছিল জামাত শিবিরের আন্দোলন।
তারা লোভ দেখিয়ে সাধারণ ছাত্রদেরকে সামিল করেছে।
সরকার সব দাবি মেনে নেবার পর বলেছে - দাবি মেনেছ ঠিক আছে। আমাদের আরো ৯ টা দাবি আছে।
৯ টা দাবি মেনে নেবার পর বলে - আমাদের আরো একটা দাবি আছে- সেটা হচ্ছে আমরা আসলে তোমার পদত্যাগ চাই।

এই আন্দোলনের ফলে যে জিনিস গুলো হয়েছে-
সংবিধানে না থাকলেও যে কোন মানুষ ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে।
হাইকোর্ট ঘেরাও করে বিচারকদের বিদায় করে দেয়া যায়।
সরকারী স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়া যায়।
হাজার হাজার পুলিশ হত্যা করা যায়।

এই গুলো বাংলাদেশ আগে কখনো হয়নি।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এসব হওয়ার পটভূমি তৈরী করেছে। তারা আইনকে মান্যতার স্তরে রাখতে পারেনি বলে তা’ গণ অমান্যের স্তরে চলে গেছে।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

আমি নই বলেছেন: @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আপনি একটা মিথ্যেবাদী। সরকার দাবী মেনে নিলে কিছুই হতনা। সরকার দাবী না মেনে উল্টা ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছিল, ছাত্রদের রক্তাত্ত করেছিল। হামলার আগ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের বাহিরে ছাত্রদের কোনো দাবিই ছিলনা। ৬ জন ছাত্রকে হত্যা এবং নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের অপহরনের পর ছাত্ররা ৯ দফা দেয়। আপনারা ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছিলেন কেন? পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের হত্যা করিয়েছিলেন কেন?

আপনি বলেছেন ৯ টা দাবি মেনে নেবার পর বলে - আমাদের আরো একটা দাবি আছে একটা প্রমান দেখান যে সরকার ৯ দফা মেনেছিল। প্রমান না দেখাতে না পারলে নাকে খত দিয়ে স্বীকার করেন আপনি একজন মিথ্যাবাদী গোয়ার।

৯ দফা --

১. ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
২. ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩. যেসব এলাকায় ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করতে হবে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫. নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৬. ছাত্র হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের আটক ও হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।
৭. দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রসংসদ চালু করতে হবে।
৮. অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হলগুলো খুলে দিতে হবে।
৯. আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী যেন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি সত্য বলেছেন।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি, উহার ডেফিনেশন ও প্রয়োগ দেখেনি, ইহা তাদের জন্য হাতি দেখার সমান।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তথাপি তারা গণতন্ত্র নিয়ে তামাসা পছন্দ করে না। অনেক সহ্যের পর তারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.