নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* আল্লাহর সুন্নতে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই। এটি অভিন্ন পথ দেখায়। পৃথকভাবে আয়াত থেকে এটি পাওয়া যায় না। কারণ আয়াতের নাসেখ ও মানসুখ বিভিন্ন পথ দেখায়। এর জন্য ফিকাহ আবশ্যক। সেজন্য আল্লাহ ফিকাহকে ভয় প্রদর্শন ও সাবধান করার মাধ্যম বলেছেন। ফিকাহ একত্রিত করে শিক্ষা দান ও শিক্ষাগ্রহণ ছিলো আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর এ ইচ্ছা পূরণে বিলম্ব জনিক কারণে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়। অবশেষে পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) তাঁর ছাত্রদেরকে শিক্ষা প্রদানের জন্য চার হাজার তাবেঈ থেকে ফিকাহ সংগ্রহ করে একত্রিত করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
* রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) ফিকাহ শিক্ষা প্রদান করেছেন। তিনি এটা একত্রিত করার সময় পাননি।সুতরাং রাসূলের (রা.) ওয়ারিশ ওলামার মাধ্যমে এটা একত্রিত করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছিলো আমিরের দায়িত্ব। পারসিক ইমাম তাবেঈ ইমাম আবু হানিফা (র.) এবং আব্বাসীয় আমির হারুনুর রশিদের পূর্বে ফিকাহ সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রতিপালিত না হওয়ায় ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়। অবশেষে ইমাম আবু হানিফা (র.) ও আমির হারুনুর রশিদের মাধ্যমে ফিকাহ সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রতিপালিত হলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে এবং ইসলাম পরিশোধীত হয়।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
সহিহ আল বোখারী, ১৭৪৫ নং হাদিসের (কিতাবুল হজ্জ)-
১৭৪৫। হযরত ওসামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি (সা.) মদীনার একটি উচ্চ দূর্গপ্রাসাদে চড়ে বললেন, আমি যা দেখছি তা’ কি তোমরা দেখতে পাচ্ছ? আমি বৃষ্টিবিন্দু পতিত স্থানের ন্যায় তোমাদের গৃহসমূহে ফেতনার স্থান দেখতে পাচ্ছি।
* আমির হযরত আবু বকর (রা.) ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনা তাঁর ঘর থেকে বের হয়। সে ছিল তাঁর পুত্র মোহাম্মদ। সে তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের (রা.) দাঁড়ি ধরে টানমারে এবং তার সাথীরা তৃতীয় খলিফাকে হত্যা করে। আমির হযরত ওমর (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনাবাজ আবু লুলু তাঁকে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে। পরে তিনি শহীদ হন। তৃতীয় আমির হযরত ওসমান (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনাবাজরা তাঁকে কোরআন তেলাওয়াত অবস্থায় হত্যা করে। চতুর্থ আমির হযরত আলী (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। খারেজী আব্দুর রহমান ইবনে মোলজেম তাঁকে নামাজ রত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে। পরে তিনি শহীদ হন। পঞ্চম আমির হযরত ইমাম হাসান (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। তিনি তাঁর খেলাফতের দায়িত্ব অ্যাহত রাখতে পারেন নাই। ষষ্ঠ আমির হযরত ইমাম হোসেন (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে সে দায়িত্ব ইয়াজিদ ছিনতাই করে এবং ইয়াজিদের লোকেরা কারবালায় তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠায়। মক্কা ও মদীনাবাসী ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ইয়াজিদ ও মারওয়ান পুত্র তাদেরকে লাঞ্চিত করে। মারওয়ান পুত্র আব্দুল মালেকের বাহিনী মক্কার খলিফা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরকে (রা.) হত্যা করে তাঁর লাশ মক্কার রাজপথে টাঙ্গিয়ে রাখে। এরপর বনু মারওয়ান ও মোনাফেক তাদের বানানো হাদিস দিয়ে ইসলাম বিনষ্ট করে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* কারবালায় ষষ্ঠ আমির হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) হত্যাকান্ডের পর ইসলাম অরক্ষিত হয়ে পড়ে। তখন মোনাফেকরা ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হাদিস বানিয়ে প্রচার করে। সেজন্য আল্লাহ যাবতীয় হাদিস বাতিল করে ফিকাহ অনুমোদন করেন। সেটা হানাফী মাযহাব নামে আত্মপ্রকাশ করলে মোনাফেকরা এর বিরোধীতায় লিপ্ত হয়।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* আমির অনুমোদীত হানাফী মাযহাব অভিন্ন পথ দেখালেও এর বিরোধীরা বিভিন্ন পথ দেখিয়ে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। তাদের বিভেদের কাজ কোন আমির অনুমোদীত নয়। আমিরের অনুমোদন বিহীন বিষয়ের অনুসারী হয়ে হানাফী বিরোধীরা মুমিনদের পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে পাঠক উপকৃত হবে- ইনশাআল্লাহ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪
আহরণ বলেছেন: তরককারী খারেজী : কী জিনিস? মাছ, আলু, ঝোলের তরকারি না তো, ভাইয়া??
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টটি মুমিনদের জন্য। তাঁদের একজন প্রথম মন্তব্যটি করেছেন।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী অনেক দিন ধরে সনেট লিখছেন না।
সুনীলের কেউ কথা রাখেনি কবিতা টা কি সনেট আকারে লেখা যাবে?
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কবিতার পাঠক খুবই কম।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
মিয়াবাই তো দেহি ভালাই ওয়াছ করবার লাগছেন!
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুমিন-মুছলমানরা ওয়াজ পছন্দ করে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আল্লাহর সুন্নত তরককারী এবং খারেজী ইসলামী চিন্তাধারার মধ্যে সম্পর্কটি ইসলামী ইতিহাস, দর্শন ও আকীদাহের
(বিশ্বাসমুলক) আলোচনার অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে বেশ কিছু বিষয়ের উপর
আলোকপাত করতে হবে, যা নিম্নে কিছুটা আলোচনা করা হলো।
খারেজী ইসলামের উদ্ভব ও মূল চিন্তাধারা
খারেজী সম্প্রদায়ের উৎপত্তি ইসলামের শুরুর যুগে। হযরত আলী (রা) এবং হযরত মুয়াবিয়ার (রা) মধ্যকার
সংঘর্ষের পর তাদের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, যাদেরকে পরে "খারেজী" নামে অভিহিত করা হয়।
মূলত খারেজীরা বিশ্বাস করত যে, কুরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো ধর্মীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়,
এমনকি মুসলিম শাসকদেরও তারা কঠোরভাবে এ নিয়মের আওতায় রাখতে চেয়েছিল। তারা এমন কোনো
ব্যক্তিকে বিশ্বাস করত না, যে ইসলামের প্রতিটি বিধানের প্রতি কঠোর আনুগত্য দেখায় না।
খারেজীরা মূলত চরমপন্থী ছিল এবং ইসলামের মূল শিক্ষার অপব্যাখ্যা করে জিহাদের ধারণাকে উগ্রতায় রূপ
দিয়েছিল। তারা ‘তাকফির’-এর অর্থাৎ, মুসলিমদের অবিশ্বাসী ঘোষণা করার প্রবণতা গ্রহণ করে।
সুন্নাহ তরক ও আল্লাহর সুন্নাহ
ইসলামে 'আল্লাহর সুন্নাহ' বলতে বোঝায় সৃষ্টির উপর তাঁর স্থিরকৃত নিয়মাবলী, যা অপরিবর্তনীয় এবং সমস্ত পৃথিবী
এবং মানুষ এগুলো পালন করতে বাধ্য। আর রাসূল (সা) এর সুন্নাহ হল রাসূলের জীবনের সেই আমল, নির্দেশনা
ও অনুশীলন, যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীকে অনুসরণ করতে আদেশ দিয়েছেন। কোনো ব্যক্তি যদি রাসূলের
সুন্নাহ পরিত্যাগ করে, তবে তা ইসলামী জীবনযাপনের মূল থেকে বিচ্যুত হওয়ার প্রমাণ বহন করে।
খারেজীরা তাদের চরমপন্থী অবস্থানের কারণে অনেকক্ষেত্রে মূল সুন্নাহর চেয়ে নিজেদের ব্যাখ্যাকে অধিক গুরুত্ব
দিয়েছে, যা আল্লাহর সুন্নাহর প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ। খারেজী মতবাদের মূল প্রবণতা হচ্ছে ইসলামের কিছু মূলনীতিকে
কঠোরভাবে তাদের চরমপন্থী চিন্তার ভিত্তিতে প্রয়োগ করা।
সুন্নাহ পরিত্যাগ করা ও এর পরিণাম
সুন্নাহ তরক করা মানে হলো রাসূল (সা)-এর নির্দেশনা ও আমল থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা। ইসলামে সুন্নাহ
তরক করা মারাত্মক একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এটি মুসলিমদের জন্য বিপদজনক একটি কাজ।
সুন্নাহ পরিত্যাগকারীদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাধারা এবং আমলের মধ্যে অনেক ধরণের বিপর্যয় দেখা দেয়।
সুন্নাহর সাথে যুক্ত না থাকার কারণে তারা সহজেই খারেজীদের মত বিভ্রান্তিকর চিন্তায় পড়ে যেতে পারে
এবং তাদের জীবনাচরণে বিভিন্ন স্থানে অপব্যাখ্যা ও চরমপন্থা প্রকাশ পায়।
ইসলামের আসল শিক্ষা ও খারেজী মতবাদের বিরোধ
খারেজীরা সুন্নাহর আলোকে ইসলামের ব্যাখ্যা না করে নিজেদের মতো করে চরমপন্থী তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
তারা মনে করত যে, যারা ইসলামের মূলনীতিকে ভিন্নভাবে পালন করে বা চরম আনুগত্য প্রদর্শন করতে সক্ষম
নয়, তারা প্রকৃত মুসলিম নয়। কিন্তু আসলে ইসলামে সহনশীলতা, ক্ষমা এবং একে অপরকে সহমর্মিতার সাথে
গ্রহণ করার নির্দেশনা রয়েছে। খারেজী মতবাদ মূলত এ সহনশীলতার বিপরীতে অবস্থান করে।
উপসংহার
খারেজীদের মত চরমপন্থী দলের কাছে সুন্নাহর প্রকৃত অর্থ ও গুরুত্ব অনেকাংশেই বিকৃত হয়েছে। সুন্নাহ তরককারী
মানে প্রকৃত ইসলামী জীবনযাপন থেকে দূরে সরে যাওয়া। ইসলামে আল্লাহর ও রাসূলের নির্দেশিত পথে চলাই
একমাত্র সঠিক পথ। খারেজী মতবাদের চরমপন্থী আচরণ ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য ও শান্তির ভাবকে বাধাগ্রস্ত
করে এবং মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। ইসলামের মূল শিক্ষাকে ধারণ করতে হলে রাসূলের সুন্নাহ যথাযথভাবে
পালন করা এবং সকল প্রকার চরমপন্থা থেকে দূরে থাকা জরুরি।