নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
* আল্লাহর সুন্নাত হলো পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ইসলামের ফিকাহ। কারণ আল্লাহ এটা অর্জন করে, এটা অনুযায়ী কওমকে ভয় প্রদর্শন ও সাবধান করতে আদেশ করেছেন। সুতরাং দ্বীন ইসলামের কোন এক অংশের ফিকায় যা থাকে সেইটাকে যারা বিদয়াত বলে তারা ম্যিাবাদী, অহংকারী, ইবলিশ, কাফের ও জাহান্নামী। কারণ এরা বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং এরা অভিন্ন পথ না দেখিয়ে বিভিন্ন পথ দেখায়।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
সূরাঃ ১৮ কাহফ, ৯ নং থেকে ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯। তুমি কি মনে কর যে গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদের্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর।
১০। যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।
১১।অতঃপর আমি উহাদিগকে গুহায় কয়েক বৎসর ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম।
১২। পরে আমি তাদেরকে জাগিয়ে দিলাম এটা জানার জন্য যে, তাদের দু’ দলের মধ্যে কোনটি তাদের অবস্থিতি কাল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে।
১৩। আমি তোমার নিকট তাদের বৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক।তারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল।আর আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম।
১৪। আর আমি তাদের চিত্ত দৃঢ় করে দিলাম। তারা যখন উঠে দাঁড়াল তখন বলল, আমাদের রব, আকাশ সমূহ ও পৃথিবীর রব, আমরা কখনই তাঁর পরিবর্তে অন্য কোন ইলাহকে ডাবক না। যদি আমরা এটা করে বসি তবে এটা খুব অপরাধ হবে।
১৫। আমাদের স্বজাতিগণ তাঁর পরিবর্তে অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে। এরা এসব ইলাহ সম্বন্ধে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তার থেকে অধিক জালিম আর কে?
১৬। তোমরা যখন বিচ্ছিন্ন হলে তাদের থেকে ও তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করে তাদের থেকে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর।তোমাদের রব তোমাদের জন্য তাঁর দয়া বিস্তার করবেন। আর তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা করবেন।
১৭। তুমি দেখতে পেতে তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার দক্ষিণ পার্শ্বে হেলে যায় এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পার্শ্ব দিয়ে, এ সমস্ত আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন সে সৎপৎ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার কোন মুরশিদ ওলী (সৎপথ প্রদর্শক অভিভাবক) পাবে না।
১৮। তুমি মনে করতে তারা জাগ্রত। কিন্তু তারা ঘুমন্ত ছিল। আমি তাদেরকে ডান দিকে ও বাম দিকে পাশ্ব পরিবর্তন করাতাম। আর তাদের কুকুর ছিল সম্মুখের পা দু’টি গুহা দ্বারে প্রসারিত করে। তুমি তাদেরকে তাকিয়ে দেখলে পিছন ফিরে পালিয়ে যেতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্থ্য হয়ে যেতে।
১৯। আর এভাবে আমি তাদেরকে জাগিয়ে দিলাম যাতে তারা পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল, তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ? কেউ কেউ বলল, আমরা অবস্থান করেছি একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ। কেউ কেউ বলল, তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ তা’ তোমাদের রব ভাল জানেন। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এ মুদ্রাসহ নগরে প্রেরণ কর। সে যেন দেখে কোন খাদ্য উত্তম এবং উহা হতে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য। সে যেন বিচক্ষণতার সাথে কাজ করে এবং কিছুতেই যেন তোমাদের বিষয়ে কোন লোকে কিছু জানিয়ে না দেয়।
২০। তারা যদি তোমাদের বিষয়ে জানতে পারে তবে তোমাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নিবে। আর সেক্ষেত্রে তোমরা কখনও সাফল্য লাভ করবে না।
২১। এভাবে আমি মানুষকে তাদের বিষয় জানিয়ে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামতে কোন সন্দেহ নেই।যখন তারা তাদের কর্তব্য বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করতেছিল তখন অনেকে বলল, তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর। তাদের রব তাদের বিষয়ে ভাল জানেন।তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হলো তারা বলল, আমরা তো তাদের উপর মসজিদ নির্মাণ করব।
২২। কেউ কেউ বলবে তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর। আর কেউ কেউ বলবে তারা ছিল পাঁচ জন তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর, অজানা বিষয়ে অনুমানের উপর নির্ভর করে।আবার কেউ কেউ বলবে তারা ছিল সাতজন, তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বল আমার প্রতিপালকই তাদের সংখ্যা ভাল জানেন। তাদের সংখ্যা অল্প কয়েক জনই জানে। সাধারণ আলোচনা ব্যতীত তুমি তাদের বিষয়ে বিতর্ক করবে না। আর তাদের কাউকে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।
২৩। তখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, আমি উহা আগামী কাল করব।
২৪। আল্লাহ ইচ্ছা করলে এ কথা না বলে, যদি ভুলে যাও তবে তোমার রবকে স্মরণ করবে এবং বলবে, সম্ভবত আমার রব আমাকে এর থেকে সত্যের নিকটতর পথ নির্দেশ করবেন।
২৫। তারা তাদের গুহায় ছিল তিন শত বৎসর আরও নয় বৎসর।
২৬। তুমি বল, তারা কতকাল ছিল তা’ আল্লাহেই ভাল জানেন। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও স্রোতা। তিনি ব্যতীত তাদের কোন ওলী নাই। তিনি কাকেও নিজে কর্তৃত্বের শরীক করেন না।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহি প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
* আল্লাহ, রাসূল (সা.), আমির, সাহাবা (রা.), মুরশিদ ওলী, আহলে যিকর, ওলামা ও মুত্তাকীদের ইমামের সুন্নাত সংক্রান্ত ফিকাহ আল্লাহর সুন্নাত। রাসূল (সা.) ও সাহাবার (রা.) সুন্নাত আল্লাহর সুন্নাতের অংশ। সুন্নাতের সমগ্রে থাকার পরেও যারা অংশে না থাকার কারণে কোন কিছুকে বিদয়াত বলে তারা ম্যিাবাদী অহংকারী ইবলিশ কাফের জাহান্নামী। যেমন ওলামা ইমামের সুন্নাতে থাকা মীলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) ও সম্মিলিত মুনাজাতকে মিথ্যাবাদীরা বিদয়াত বলে। ফিকাহ বিহীন আয়াত ও হাদিসে মানসুখ থাকে। সেজন্য আল্লাহ ফিকাহের পরিবর্তে আয়াত ও হাদিস বাতিল করেছেন। মিত্যাবাদীরা মানুষকে ধোকা দিতে মানসুখ আয়াত ও হাদিসের রেফারেন্স প্রদান করে। ফিকাহ কি?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং থেকে ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
৮। কিন্তু যার পাল্লাহ হালকা হবে
৯। তার স্থান হবে হাবিয়া।
* আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী পাল্লাভারী জামায়াত নাজাতের কারণ। ওলামা ইমামের শুদ্ধতায় আল্লাহর স্বীকৃতি থাকায় তাদের পাল্লাভারী জামায়াত নাজাতের কারণ। রাসূলের (সা.) এসব ওয়ারিশগণের সুন্নাতে যা থাকবে সেইটাকে বিদয়াত বলার কোন সুযোগ নাই।অথচ ম্যিাবাদী অহংকারী ইবলিশ কাফের জাহান্নামীরা রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামা ইমামের সুন্নাতকে বিদয়াত বলে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এসব রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম জঘণ্যতম প্রাণী। এরা রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামা ইমামের পাল্লাভারী জামায়াতের সুন্নাত মীলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) ও সম্মিলিত মুনাজাতকে বিদয়াত বলে মুসলিম জাতিকে বিব্রত করে। এরা জনগণকে বুঝাতে চায় এরা বিশাল বড় আলেম। অথচ এদের মাঝে ইসলামের গভির জ্ঞান ফিকাহ নাই।এরা এবং এদের অনুসারীরা হলো খারেজী।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। নিশ্চয়ই আমরা তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম; তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো। নবিগণ, যারা আল্লাহর অনুগত ছিল তারা ইয়াহুদীদিগকে তদনুসারে বিধান দিত, আরো বিধান দিত রব্বানীগণ, এবং বিদ্বানগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল। আর তারা ছিল উহার সাক্ষী।সুতরাং মানুষকে ভয় করবে না। আমাকেই ভয় কর। আর আমার আয়াতসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করবে না। আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা হুকুম প্রদান করে না তারাই কাফির।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
* কোরআনের দু’টি আয়াতের ভিত্তিতে খারেজীরা আমির হযরত আলীকে (রা.) কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করেছে। অথচ দু’টি আয়াতের সাথে তৃতীয় আয়াত যোগ হলে ফিকাহ হয়ে তিনি মুসলিহ সাব্যস্ত হন।রাসূল (সা.) কাফেরের সাথে হুদায়বিয়ার ইসলাহ করে রাসূল থাকলে আমির হযরত আলী (রা.) সিফফিনে মুসলিমের সাথে ইসলাহ করে কেন কাফের হবেন? ফিকাহ হলো ফিতনার সাথে ইসলাহ সম্ভব হলে যুদ্ধ না করে ইসলাহ করতে হবে। আর ফিতনার সাথে ইসলাহ সম্ভব না হলে যুদ্ধ করতে হবে। খারেজী ইসলামকে কেমন কি বুঝলো? সুতরাং খারেজীর কোরআন ও হাদিসের বুঝ হলো ইসলামের উল্টা বুঝ। তাদের এমন বুঝ ওলামা ইমামের পাল্লভারী জামায়াত কর্তৃক কখনই গৃহিত হয় না। আর তারাও ওলামা ইমামের পাল্লভারী জামায়াতের ইসলামের বুঝ গ্রহণ না করে তাদের সাথে ঝগড়া এমনকি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যেমন সেকালে খারেজী আমির হযরত আলীর (রা.) সাথে এমন জঘণ্য কাজ করেছে।এমনকি শেষমেস তারা তাঁকে হত্যা করেছে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শতভাগ সঠিক কথা।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল্লাহর সুন্নাহ মানে কি? নতুন শুনলাম!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরা ৩৫ ফাতির এর ৪৩ নং আয়াত পড়লে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করবেন। আর পোষ্ট সম্পূর্ণ পড়লে এ বিষয়ে আরো বেশী জানতে পারবেন। আল্লাহ, রাসূল (সা), আমির, সাহাবা (রা), আওলিয়া, মুরশিদ, আহলে যিকর, ওলামা ও ইমামের সুন্নাতের সমষ্টি দ্বারা অর্জিত ফিকাহ আল্লাহর সুন্নাত।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এটা লিখতে কত সময় নিয়েছেন?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফয়জর নামাজ পড়ে শুরু করেছি।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় ঘ্যানঘ্যানানী আর ভালো লাগে না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মীয় পোষ্ট আপনার জন্য না।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: কবিতাইতো ভালো লিখছিলেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়ের বৈচিত্র আমি দরকারী মনে করি।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধর্মীয় ঘ্যানঘ্যানানিতে রাজীবের জ্বালা ধরে
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেটা তার বিষয় না সে বিষয়ে সে রিএ্যাক্ট না দেখালেও পারে।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:১৩
আলবদর বলেছেন: একমাত্র আল্লাহু তায়া’লা ভাল জানেন কে মিথ্যাবাদী অহংকারী ইবলিশ কাফের জাহান্নামি, কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে সেটা তিনিই ফয়সালা করবেন
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেইটা আমরা না জানলে আমরা সঠিক পথে চলব কেমন করে?
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আপনি কবিতা ভালো লিখেন। কিন্তু ধর্মীয় বিষয় ভালো লিখেন না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ে লিখতে আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা রসূলের সুন্নাহকে বিদআত বলে বা সমালোচনা করে এরা মুসলমান না। এরা মুনাফেক।