| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
* আল্লাহ হলেন মোয়াল্লেম, সুতরাং রাসূল (সা.) হলেন আলেম। রাসূল (সা.) হলেন মোয়াল্লেম, সুতরাং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) হলেন আলেম।সুতরাং রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম একত্রে ওলামা।সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আলেম হয়ে মোয়াল্লেম না হওয়ায় তাবেয়ীগণ আলেম থেকে ত্বলেবে এলেম।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৩০ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২৩০। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার থেকে একটি হাদিস শুনে অতঃপর তা’ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয় আল্লাহ তাকে হাস্যোজ্জল ও আনন্দময় করে দেবেন। কেননা এমন কতক ফিকাহ বাহক রয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে ফকীহ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী হয়ে থাকে।
* পারসিকদের মধ্যে ফিকাহ অর্জন ও শিক্ষা দিয়েছেন ইমাম আবু হানিফা (র.), সুতরাং তিনি মুয়াল্লিম এবং তাঁর ছাত্রগণ আলেম।সুতরাং ইমাম আবু হানিফা (র.)ও তাঁর ছাত্রগণ একত্রে ওলামা। তাঁর ছাত্রের ছাত্রগণ আলেম থেকে ত্বলেবে এলেম।ইমাম আবু হানিফা (র.) ফকিহ হওয়ার কারণ তাঁর শিক্ষার্থী ইমাম আবু ইউসুফ (র.) তাঁর থেকে অধিকতর জ্ঞানী ছিলেন।কারণ ইমাম আবু হানিফা (র.) প্রধান বিচার পতির যোগ্য হলেও তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেননি। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ (র.)লম্বা সময় প্রধান বিচার পতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (র.) ছাড়া অন্য কেউ ফকিহ নয়, কারণ তাদের শিক্ষার্থী তাদের থেকে অধিতকর জ্ঞানী নয়। রাসূল (সা.) মোয়াল্লিম ছিলেন রাসূল (সা.) হিসাবে এবং ইমাম আবু হানিফা (র.)মোয়াল্লিম ছিলেন ফকিহ হিসাবে। সুতরাং রাসূল (সা.) ও ইমাম আবু হানিফা (র.)শিক্ষার্থী ছাড়া আর কারো ছাত্র আলেম নয়, বরং তারা ত্বলেবে এলেম। এদেরকে আলেম ও আল্লামা খেতাব কিভাবে দেওয়া হয় সেটা বোধগম্য নয়।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* ওলামার সঠিকতার সত্যায়ন করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। সুতরাং রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সম্মিলিত ফতোয়া আল্লাহর সুন্নাত হিসাবে অস্বীকারযোগ্য নয়। সুতরাং ইমাম আবু হানিফা (র.) ও তাঁর ছাত্রদের সম্মিলিত ফতোয়া সুন্নাত হিসাবে অস্বীকারযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে আয়াত মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে।সেজন্য সবচেয়ে পরাক্রান্ত খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফা (র.) ও তাঁর ছাত্রদের সম্মিলিত ফতোয়া ইসলামী আইন হিসাবে অনুমোদন করেছেন।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* আমির অনুমোদীত ইসলামী আইন শুধুই একটি। আমিরের অনুমোদনের পর যারা এটি অমান্য করে তারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাহান্নামে চলে যায়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার কথা কিভাবে সত্য?
২|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট নয়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ২০১৬ সাল থেকে মুমিনগণ আমার পোষ্টের বিরোধীতা করছে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী, আজকের আধুনিক পৃথিবীতে ধর্মের স্থান নেই।
ধর্ম একদম কোনঠাসা হয়ে গেছে।