| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দ্বীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দ্বীনের দিকে পরিচালিত করেন।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
* আল্লাহ দ্বীন কায়েম করতে বলেছেন।দ্বীন হলো ইসলাম। এ ইসলাম কায়েম করতে হলে ইসলামী আইন জানা প্রয়োজন।একেক জন ইসলামী আইন একেক রকম বলে। কোন ইসলামী আইনে দেশ চালানোর জন্য লোকেরা ইসলাম কায়েম করতে চায় এটা ইসলামী ভোটারদের প্রধান জিজ্ঞাসা। এ প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন গঠন করে, বেসরকারী ইসলামী সংসদ গঠন করে, ইসলামী আইন প্রণয়ন করে তারপর ইসলাম কায়েম করার চেষ্টা করতে হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
* আল্লাহ ঐক্যের কথা বলেছেন। ঐক্যের আহবায়ক মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর। তিনি সকল ইসলামী দলের নেতা/প্রতিনিধি নিয়ে একটি ইসলামী সম্মেলন আয়োজন করবেন। সকলের মতামত নিয়ে মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।সেই বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন ইসলামী ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন।উক্ত নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিবেন।প্রত্যেক দল তিনশত আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল করবে। ইসলামী ভোটারগণের ভোটে তিনশত জন ইসলামী সাংসদ নির্বাচিত হবেন। ইসলামী সাংসদে গঠিত ইসলামী সংসদ ইসলামী আইন প্রণয়ন করবেন। তারপর সেই আইন কায়েমের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করার চেষ্টা করতে হবে। ইসলামী ভোটার কারা?
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি থেকে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, আমলে সালেহ করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের মধ্যে গণ্য।
# সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। এ আয়াত দ্বারা মুয়াজ্জিনকে বুঝানো হয়েছে। যিনি সৎকর্মশীলও বটে। সহিহ মুসলিমে রয়েছে, কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনগণ সমস্ত লোকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চ গলা বিশিষ্ট হবেন।
* ইসলামী ভোটার হওয়ার জন্য শুদ্ধ ইসলামী লোক হওয়া দরকার। কোরআন অনুযায়ী এমন লোক ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ। তাঁদের ভোটে বেসরকারী ইসলামী সংসদের সাংসদ নির্বাচিত হবেন। বেসরকারী সাংসদগণের ভোটে বেসরকারী ইসলামী সংসদের নেতা নির্বাচিত হবেন। তিনি হবেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা।তাঁর নেতৃত্বে বেসরকারী ইসলামী সংসদের সকল সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সাংসদ নির্বাচিত হলে তাঁরা ইসলামী আইন অনুযায়ী জাতীয় সংবিধান সংশোধন সংশোধন করে ইসলামী আইনে দেশ প্ররিচালনা করে ইসলাম কায়েম করতে পারবেন।
# ইসলামী বিপ্লব কিভাবে করবেন?
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
* দেশের ৩৪% জনগণকে ইসলামী অনুশাসন পালনকারী হিসাবে গড়ে তুলুন। তাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করুন, যেন যুদ্ধে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে। নিজের ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র সংগ্রহে রাখুন। তারপর বিপ্লবের ঘোষণা প্রদান করুন। বিদ্যমাণ ক্ষমতাসীন যুদ্ধে লিপ্ত হলে আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে জান। ইসলাম কায়েম হয়ে গেলে ইসলাম কায়েম রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
©somewhere in net ltd.