| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে। কারণ সাতচল্লিশে অধীকাংশ নাগরিক পাকিস্তান ভূক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বলেছে পাকিস্তান ভূক্তির পর আমাদের দেশ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেজন্য অধীকাংশ নাগরিক পাকিস্তান ভূক্তির ভোট প্রত্যাহার করেছে, সুতরাং বৈষম্য মুক্তির জন্য স্বাধীনতা চাই। দেশের একাংশ রক্ষায় পাকিস্তান আমাদেরকে একাত্তরে আক্রমণ করে।ভারত তখন আমাদের পক্ষে যুদ্ধ করে। তখন আমাদের দেশ তিন পক্ষ হয়। একপক্ষ পাকিস্তানের পক্ষে স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকে। সাতচল্লিশে যারা ভারত ভূক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা ভারত ভুক্তির পক্ষে থাকে। একপক্ষ স্বাধীনতার পক্ষে যায়। ভারত ভূক্তির পক্ষের লোক আওয়ামী পক্ষে যায়। পাকিস্তান পক্ষের লোক জামায়াত পক্ষে যায়। স্বাধীনতার পক্ষের লোক নতুন দল বিএনপি গঠন করে।তবে তারা পাকিস্তান পক্ষকে সাথে নেয়। নিজ কাজের পক্ষে তাদের বিস্তর যুক্তি। ভারত পক্ষের লোক নিজপক্ষে টানার বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিস্তর যুক্তি। পাকিস্তান পক্ষের মুখেতো যুক্তির খই ফুটে।ভারত মিত্রতা, ভারত শত্রুতা, পাকিস্তান মিত্রতা, পাকিস্তান শত্রুতা, স্বাধীনতা-এ পাঁচ পদে আমরা পঞ্চমুখী কচুতে পরিণত হয়েছি। তাতে আমাদের সবার শুধু চুলকায়। আমার নীতি ভারত শত্রুতাও নয়, তাদের প্রভুত্বও নয়।আর দেশের উপকার হয় মত মিত্রতাও পাকিস্তানের সাথে বজায় রাখা। এপক্ষে কত পারসেন্ট লোক আছে সেটা অবশ্য আমার জানা নাই।সব কিছু যোগ-বিয়োগ করে আমি আপাতত বিএনপি পক্ষে।জামায়াত এখানে আবার ধর্মকে টেনে এনে লাভবান হতে চায়। কোরআন অনুযায়ী আমি বলছি তাদের ধর্মীয় ইচ্ছা পূরণ হতে একতৃতীয়াংশ নাগরিকের ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে। তাহলে তারা অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের একাংশ ঝাঁকিয়ে পক্ষে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতা লাভের আশা করতে পারবে। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি হতে পারে ভারত।এখন বিবিধ জটিল হিসাবে জাতির মাথা নষ্ট। আর মাথা নষ্ট জাতির কপালে শনি থাকে। ভারতের পেটে থাকা আমাদের দেশ কখন তাদের পেটে হজম হয় সেই আশংকা আমাদের অনেকের। এর থেকে আত্মরক্ষায় আমাদের জাতীয় ঐক্য অতীব জরুরী। কিন্তু সেটা সহজ নয়। সেইজন্য আমি অগ্নিকুন্ডে বসে কবিতা লিখি অথবা ইহকাল ছেড়ে পরকালের কথা বলি।সেইটা নিয়াও বিস্তর অশান্তি। দেশের বাইরের লোকেরা বিভিন্ন পক্ষের পক্ষ নিয়ে তাদেরকে উসকিয়ে একটা মহাযুদ্ধ পাকাতে চায়। এরা হলো দুষ্টলোক। আমি এদের কারো পক্ষে নই। যারা ইসলাম নিয়ে উত্তেজিত তাদেরকে বলি ফয়জরের নামাজে ১৭% লোক হাজির কর তারপর ইসলামের কথা বল। তার আগে ইসলামের কথা বলে মূলত কোন লাভ নাই। কিন্তু এখানে কেউ কারো কথা শুনে না। সবাই সবার কথা সবাইকে শুনায়। পঞ্চপক্ষের পঞ্চ কথায় কান ঝালাপালা।আওয়ামী বিরোধী পক্ষ তাদেরকে মসনদ থেকে নামিয়ে নিজেরা বিভিন্ন পক্ষে বিভক্ত হয়ে মসনদ দখলে তৎপর, এদিকে আওয়ামী লীগ হারানো মসনদে ফিরে আসতে মরিয়া। বিবিধ পক্ষ আবার গালাগালিও করে। সব মিলিয়ে শান্তি উদাও। চাচা একদা বলেছেন, শান্তি ভারত গিয়ে চিন্তা রেখে গেছে। মানে গ্রামের শান্তি বর্ধন চিরস্থায়ী ভারত চলে গেছেন।আমি মনে করি শান্তিরা যেন ভারত না যায় তার একটা ব্যবস্থা থাকা দরকার। তবে এ দেশে আপনি যে কথাই বলেন না কেন আপনি দেখবেন এর পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক শুরু হয়ে গেছে।এর পর আপনি নিরপেক্ষ হলেও দোষের মধ্যেই থাকবেন। এ পক্ষে গেলে চার পক্ষ আপনাকে দোষী করবে। এ এক বিরাট শনি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আত্মরক্ষায় আমাদের জাতীয় ঐক্য অতীব জরুরী।
.......................................................................................
একবার সুযোগ হারালে বারেবারে আসে না ।
আমরা অভাগা জাতি, তাই ৫৪ বৎসরে এসেও
ঘুরপাক খাচ্ছি ।
আমাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, মানবতা হারায়ে গেছে
আমরা আজ পথভ্রষ্ট !!!