![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
কুর’আন হাদীসে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় আঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদেরই জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদেরই জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস’ [সুরা রা'দ/২৫]। মহানবী সা. বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখ’ [সহীহুল জামে/১০৮]। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্ক আর্দ্র রাখ, যদিও তা সালাম দিয়ে হয়’ [সহীহুল জা'মে/২৮৩৮]। মানুষ সামাজীক জীব। আত্মীয়তা ছাড়া বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। যে লোকের সাথে তার আত্মীয় পরিজনদের সম্পর্ক ভালো নেই তাকে আমরা অনায়াসেই একজন দুঃখী মানুষ বলে চিহ্নিত করতে পারি। সে যতই বড়লোক হোক বা বাইরে থেকে যতই সুখী মনে হোক। একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন আত্মীয়দের সাথে যতই ঝগড়া, রাগ করুক না কেন একসময় মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে। বুঝতে পারে ‘আপনে তো আপনে হোতে হে’। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখাতে সুখ তো আছেই তার সাথে আছে আয়ু বৃদ্ধি এবং রুজীতে বর্কত। নবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার রুযী প্রশস্ত হোক এবং আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে’ [বুখারী/মুসলীম]।
যে সব পাপ বা গোনাহের শাস্তি আল্লাহ তা’আলা ইহকালেও দেন তার মধ্যে আত্মীয়তার সম্পুর্ক ছিন্ন করাও অন্যতম। আল্লাহর রাসুল সা. বলেন, ‘জুলুমবাজী ও (রক্তের) আত্মীয়তা ছিন্ন করা ছাড়া এমন উপযুক্ত আর কোন পাপাচার নেই যার শাস্তি পাপাচারীর জন্য দুনিয়াতেই আল্লাহ আবিলম্বে প্রদান করে থাকেন এবং সেই সাথে আখেরাতের জন্যও জমা করে রাখেন’ [আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ/৪২১১, হাকেম, সহীহুল জা'মে/৫৭০৪]। তিনি আরো বলেন ‘আল্লাহর আনুগত্য করা হয় এমন আমলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাড়াতাড়ি যে আমলের সওয়াব পাওয়া যায় তা হল আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা। আর যে বদ আমলের শাস্তি সত্বর দেওয়া অয়, তা হল বিদ্রোহ ও আত্মীয়তার বন্ধন ছেদন করা’ [বাইহাকী, সহীহুল জা'মে/৫৩৯১]। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হল, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী ব্যক্তি জান্নাতে যাবেনা। নবী সা. বলেন, ‘ছিন্নকারী জান্নাতে যাবেনা’। সুফিয়ান বলেন, ‘অর্থাৎ (রক্ত সম্পর্কীয়) আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী’ [বুখারী/৫৯৮৪; মুসলিম/২৫৫৬, তিরমিযী]
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন:
:-& :-&