নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা খুব গরীব ছিলাম

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৪

আমার মায়ের একটা টিনের স্যুটকেস ছিল, যার রং ছিল জংপরা সবুজ

কাড়ের এক কোণে ওটা সযত্নে তুলে রাখতো মা, আর মাঝে মাঝে নামিয়ে তা থেকে

বের করতো পাতাবাহারের ছাপাঅলা একটা লাল পলিয়েস্টার শাড়ি;

আমরা ছোটো ছোটো ভাইবোনেরা উৎসুক চোখে দেখতাম স্যুটকেসের ভিতরে

মায়ের মহামূল্য সম্পদগুলো- গোলমতো একটা সিঁদুরের কৌটো ছিল,

আমি এখনো জানি না আমার মুসলমান-জননীর কী প্রয়োজন ছিল ঐ সিঁদুরের।

আর যা যা ছিল, যদ্দূর মনে করতে পারি, কয়েকটা স্বর্ণের বালা, দুল, কিছু চুড়ি;

একটা বহুদিনের পুরোনো তিব্বত স্নো'র কৌটোও ছিল, হয়তোবা।



আমার মায়ের স্যুটকেসটা জীর্ণ হতে হতে ওর আংটা-টা হয়ে গিয়েছিল খুব ঢিলে;

একটা তালাও ছিল তাতে, চাবিটা কোথায় যেন লুকিয়ে রাখতো মা,

কেননা, তার আঁচলের গোছায় কয়েকটা চাবি ঝনাৎ শব্দ করতো, স্যুটকেসের চাবিটা

নিশ্চয়ই ওখানে দেখি নি।



মা যখন ভাঙা স্যুটকেসটা নামাতো, ওটা খুব ঝনঝন বা ঠনঠন শব্দ করতো।



মাঝে মাঝেই মাকে দেখতাম স্যুটকেস নামিয়ে

তা থেকে শাড়িটা বের করতো, আর মলিন মুখে তা পরতো। শাড়ি পরে আমার মা

কোথাও বেড়াতে না গিয়ে রসুই ঘরে ঢুকতো রান্না করতে, কিংবা ধান ভানতে,

কিংবা রাস্তার ওপার হতে নাড়ার আঁটি এনে গুছিয়ে রাখতো দুয়ারে।

তারপর বাবা যেদিন মেঘুলা বাজার থেকে একটা নতুন কাপড় কিনে আনতো

মায়ের জন্য, মা তার পরনের শাড়িটি খুলে, বহু যত্নে ভাঁজ করে ভাঙা স্যুটকেসের

ভিতর সাজিয়ে রাখতো। শৈশব হতে শুরু করে আমার ১৩-১৪ বছর বয়সে মায়ের

মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে শাড়িটি পরতে দেখেছি।

মা আমাকে প্রায়ই বলতো, 'আমার এই শাড়িড্যা তর বউরে দিমু।' মায়ের বালা,

চুড়িগুলোও কোনো একদিন আমার বউয়ের হবে, মা বলতো।

আমি পরিবারের বড় ছেলে, এজন্য এটাই নিয়ম।



আমরা সে-সময় অতিশয় গরীব ছিলাম। আমার বাবা ছিল একজন দরিদ্র চাষা,

যার নিজের কোনো জমি ছিল না; আমার মা সেই দরিদ্র চাষার আহ্লাদী

ও লক্ষ্মী স্ত্রী ছিল, যাকে পরনের কাপড়ের অভাবে প্রায়ই তুলে-রাখা

শাড়ি পরতে হতো। আমরা অতিশয় গরীব ছিলাম, আর আমার বাবা ও

মায়ের ছিল দুরবিন চোখ- তার সন্তানেরা ভবিষ্যত পালটে দেবে।



৩০ কি ৩২ বছর পেরিয়ে গেছে। মায়ের ভাঙা স্যুটকেসটা কোথায় যে হারিয়ে গেছে, জানি না। পাতাবাহারের ছাপাঅলা লাল শাড়িটা আমার চোখে এখনো দিব্যি ভাসে।

ওটার খবরও জানি না।



কাববোর্ডের ভিতর থকে থকে সাজানো স্ত্রীর শাড়িগুলোর দিকে তাকাই-

অকস্মাৎ বেহেশ্‌ত হতে নেমে এসে আমার মা যদি এগুলো দেখতে পেতো,

আনন্দে অজ্ঞান না হয়ে সে যেতোই না- তার গরীবের ঘরে আজ কী

সুন্দর সুন্দর চাঁদ ফুটেছে, একঝাঁক নাতি-নাতনি, যারা জানে না

তার দাদিমা একদিন কত্তো গরীব ছিল, যাকে পরনের কাপড়ের অভাবে

প্রায়ই তুলে-রাখা শাড়ি পরতে হতো।







সর্বত্র আমার মা :



অন্বেষা Click This Link



শৈশবের দুঃখগুলো Click This Link



মাকে আমার পড়ে মনে Click This Link

মন্তব্য ১০৩ টি রেটিং +৩৫/-০

মন্তব্য (১০৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৩

সাইদুর রহমান রাজীব বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । এই ধরনের লেখা পরবার জন্যই আমি ব্লগ -এ আসি।আসলেই খুব ভালো এটা পোস্ট।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাইদুর রহমান রাজীব। খুব আবেগাপ্লুত হলাম। ভালো থাকুন।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, অসাধারণ, অসাধারণ হয়েছে, অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার। হুমায়ুন আজাদের 'আমাদের মা' এর মত অনেকটা। সুরের জায়গা থেকে। তবে সেটা দুর্বলতা বা নেতিবাচক নয়, মিল থাকতেই পারে।


শুভ কামনা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন। আসলে দারিদ্র্যের সুর ও গরীবের ইতিহাস তো একই, তাই না? আমরা খুব গরীব ছিলাম, আর কীরকম ছিলাম, তা একটা শাশ্বত ইতিহাস। হুমায়ুন আজাদের 'আমাদের মা'-এর কথা শুনে তাঁর প্রতি আরো শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো। হয়তোবা তাঁর মায়ের, কিংবা তাঁর কোনো পূর্বপুরুষের ইতিহাস খুব করুণ ছিল। আমি অবশ্য 'আমাদের মা' পড়ি নি, স্যারের পারিবারিক ইতিহাসও আমার জানা নেই, এজন্য কতোটা সঠিক বললাম তা জানি না।

আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকুন।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৪

নষ্ট কবি বলেছেন: কান্না পেল খুব


আমি ও অনেক গরীব ছিলাম


বাবা খুব অল্প রোজগার করতেন

তাতেই সংসার চলত

আমি কোন দিন খেলনা দিয়ে খেলতে পারিনি

কোনদিন বলিনি যে আমাকে কিনে দাও


ছোট বেলা হয়ত বুঝতাম
আমরা অনেক গরীব :(

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা কীরকম গরীব ছিলাম, কোনো কোনো একাকী সময়ে তা যখন ভাবি, কান্নায় আমার বুক ফেটে যেতে চায়। আমার অবস্থা যে বর্তমানে খুব সচ্ছল তা নয়, কিন্তু আল্লাহ্‌ আমাকে যা দিয়েছেন সেজন্য তাঁর কাছে ক্বতজ্ঞতার কোনো ভাষা নেই। শুধু কষ্ট একটাই, আমাদের মা আমাদের সুখ দেখে যেতে পারেন নি।

অনেক অনেক সমবেদনা থাকলো। দোয়া করবেন। ভালো থাকুন।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৬

৭১বাংলা বলেছেন: Valo laglo.
Sundor post er jonno donnobad.

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ৭১বাংলা।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট ভাই , খুব ভাল লাগল ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রবিন মিলফোর্ড। ভালো থাকবেন সব সময়।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৩

আশিক মাসুম বলেছেন: জিবনের সবচে বড় কষ্ট .... যখন টাকাটা খোব বেশি দরকার হয়.... তখন কেনোযে আমরা গরিব থাকি..... মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে মৃত স্বজনদের কবর থেকে তুলে এনে একটু সুখি করি.....

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের কথাটাই বলেছেন। যাঁরা চলে গেছেন, অনেক দুঃখ ও কষ্ট মাথায় লয়ে, তাঁরা সত্যিই চলে গেছেন যেখান থেকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না।

ভালো থাকুন।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৫

শায়মা বলেছেন: এমন করে তুমি ছাড়া আর কে লিখতে পারবে ভাইয়া?

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছুদিন ধরে মনটা খুব ভালো নেই বুবু। সময়টাও আমার খুব ভালো যাচ্ছে না। কষ্টের সময় পার করছি। কষ্টের সময়ে কষ্টের কথাগুলোই মনের ভেতর বেশি ঘুরপাক খায়।

চেষ্টা করি আরেকটু হাসিখুশি হতে/থাকতে। মাঝে মাঝে পারি, মাঝে মাঝে পারি না।

ভালো থাকুন বুবু।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ভালো লাগলো++++++++

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কর্ণেল সামুরাই।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগল লেখাটা আবহমান বাংলার চিত্র।
জংধরা টিনের স্যুটকেসের কথায় আমার উপনাস্যের একটা অংশ মনে হয়ে গেলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু পড়বার জন্য। লক্ষ করুন, আমি লিখেছি 'জংপরা।'

আপনার কোন্‌ উপন্যাসের কথা বললেন?

ভালো থাকুন সবসময়।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪১

প্রশান্ত মহাসাগর বলেছেন: পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো আমারও! প্রকাশে দূর্বলতা আছে কিন্তু বিষয়ে, দারুণ।ধন্যবাদ হূদয় ছোঁয়া লেখার জন্য।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রশান্ত মহাসাগর। হ্যাঁ, প্রকাশে অবশ্যই দুর্বলতা আছে। নিরন্তর ভালো থাকুন।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫

বিরোধী দল বলেছেন: লেখাটা অনেক ভালো লাগলো+++++++

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিরোধী দল এতোগুলো প্লাসের জন্য। ভালো থাকুন।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৫

হেমায়েতপুরী বলেছেন:
কি অদ্ভুত সরল করে লিখেছেন! নস্টালজিয়া, নস্টালজিয়া!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার নজরুল-নজরুল-এ্যারন পড়ে মনটা আরো বিষণ্ণ হয়ে গেলো।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৮

আন্ধা পোলা বলেছেন: চমৎকার লেখছেন! বুকের ভিতরে কই জানি কষ্টের একটা দলা গলা বায়া উইঠা আসতে চাইতেছে!! সত্যি বলতে কি আমরা খুব একটা গরীব ছিলাম না! মধ্য বিত্ত আর গরীবের মাঝামাঝি বলা যায়! তারপরও কষ্টের দলাটা কই থাইকা আইতাছে বুঝতে পারতাছি না!!

একমাত্র শক্তিশালী লেখাই পারে পাঠকের মধ্যে লেখকের আবেগ টা ট্রান্সফার করতে!! আপনি তা পারছেন!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের মতো এতো গরীব অবশ্য খুব কম মানুষই ছিল গ্রামে। এই আবেগমাখানো লেখাটা যে আপনার ভিতরেও কিছু আবেগের সৃষ্টি করতে পেরেছে, সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১

আমি ছড়াকার বলেছেন:
মাঝে মাঝে এমন পোস্ট আসে বলেই সামুকে এত কিছুর পরেও এত ভালবাসি।
নিরন্তর ভাল থাকুন,এমন কিছু আরো লিখুন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ লেখাটা পড়বার জন্য ও উৎসাহব্যঞ্জক কথাগুলোর জন্য। ভালো থাকুন আপনিও।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: মনখারাপের পোষ্ট। :| :| :|

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে আমার মনটাও খুব ভালো নেই। তাই কষ্টের কথাগুলোই লিখে ফেলেছি। ভালো থাকুন।

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০

জুন বলেছেন:
অসাধারণ লিখেছেন ছাই ভাই বুকের ভেতর কেমন করে জানি উঠলো।
সত্যি তো এখন আমাদের ওয়ার্ডড্রোব ভরা কাপড় চোপড় আর টাকা পয়সাও সেই সুখ দিতে পারে না তারা যেমন সুখী ছিল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমার সংসারে এখন প্রচুর সচ্ছলতা, যা আমার মাকে দিত পারতো অনির্বচনীয় সুখ ও আনন্দ। মা নেই, তাই আমার এই সচ্ছলতা খুব কষ্টদায়কও, শুধু মায়ের জন্য।

ভালো থাকুন।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: জংপরা আর জংধরা আমাদের একান্ত অনুভুতিই প্রকাশ করে.......এক সময়ের বাঙালির ঘরে ঘরে ওমন টিনের স্যুটকেস খুব পরিচিত............তাই না?
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

আমার উপন্যাস টার নাম 'আলোর যাত্রা' এবার বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে বিস্তারিত আছে আমার ব্লগে ফেব্রুয়ারীর পোষ্টে ...মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, একসময় প্রায় ঘরেই এরকম জংধরা টিনের স্যুটকেস থাকতো। আধুনিক আসবাবপত্র তখন ছিল না একদিকে, অন্যদিকে মানুষের গড়পড়তা জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে। ফলে গ্রাম বা শহুরে ঘরে ঘরে টিনের স্যুটকেসের জায়গায় এসে পড়েছে কাববোর্ড, ওয়ার্ড্রোব।

সুযোগ পেলে আগামী বইমেলায় 'আলোর যাত্রা' কিনবো।

শুভকামনা আপু।

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২০

শফিক আসাদ বলেছেন: আমার আম্মার কথা মনে পড়লো। এখনতো রাত, কাল সকালে অফিস থেকে বাসায় যাবার পখে ফোন দেব। ঈদে বাড়ি গিয়ে আম্মাকে দেখবো।

ভাই আপনি ভালো থাকবেন।।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আম্মার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম থাকলো। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

ভালো থাকুন আপনিও।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৩

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
অসাধারন।

আপনার মাকে আমি দেখতে পাচ্ছি .......
বেঁচে আছেন আপনার সবুজ মনের মধ্যে
ঐতো সেই টিনের সুটকেস , পলিয়েষ্টারের শাড়িটা , সিদুরের কৌটা , স্বর্ণের বালা, দুল, চুড়ি,তিব্বত স্নো'র কৌটো
সবই আছে ঠিক আগের মতই
আর আছে মায়ের মমতা ............

শুভকামনা আপনার জন্য.....

০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ জিসান শা ইকরাম। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমার মা বেঁচে আছেন এবং জেগে আছেন আমার মনের ভেতর। আমি তার 'বাজান' ডাক শুনি। সে আমাকে মধুর ভর্ৎসনা করে, আদর করে। সবকিছু ছবির মতো চোখের সামনে ভাসে। মা যে আমার কাছেই আছে, বুড়ো খুকি, হেসে-খেলে ঘুরছে চারিপাশে।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মেহবুবা বলেছেন: খুব যেন বড়াই শিরোনামে ।বড়াই করে বলছেন , দেখো কেমন মানুষ হয়ে বড় হয়েছি । এ অহংকার কি শুধু আপনার ? আপনার পরিবারের সবারই ।

"৩০ কি ৩২ বছর পেরিয়ে গেছে। মায়ের ভাঙা স্যুটকেসটা কোথায় যে হারিয়ে গেছে, জানি না " মিথ্যে কথা বলে দিলেন অবলীলায় ! জানেন না তো আমরা কি করে দেখতে পাচ্ছি সেই বিশাল ধারনক্ষম স্যুটকেস থেকে সভ্যতা বেরিয়ে এসেছে । হারানো সে জিনিস সেই যে মাথায় তুলে রেখেছেন যেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঠিক অবস্থানে থাকে ।
জীবন এক রঙীন তামাশা, কোথায় কোন শব্দ বসে যায় আগে ভাগে কিছু বোঝা যায় না ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর কথা বলেছেন নানি। হ্যাঁ, গভীরে ঢুকলেই বোঝা যায় শিরোনামে একটা 'বড়াই' বা অহংকার ভাব রয়েছে প্রচ্ছন্নভাবে। আমার মায়ের একটা স্যুটকেস ছিল, যা ছিল ভাঙা, গায়ের সবুজ রঙের উপর জংয়ের আস্তরণ পড়ে গিয়েছিল, ভিতরটা ছিল খয়েরি- এখনো স্ফটিক তা মনে পড়ে। গাঁয়ের শেষমাথায় ছিল 'বড়বাড়ির' টিউবওয়েল, মাটির কলস কাঁখে মাকে দেখতাম তিনবেলা সেই কল থেকে পানি আনতে, সেই পানি খাওয়ার জন্য লাগতো। গাঁয়ের অন্য মাথায় ছিল আরেক 'বড়বাড়ির' বড় দিঘি- সেখান থেকেও মাটির কলসে পানি আনতো মা, যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হতো। আমার মা ও বাবা খুব কষ্ট করতো, শুধু আমাদের জন্য, আমরা যেন 'বড়' হতে পারি। .... আমরা খোদার ফজলে কম 'বড়' হই নি, মা-বাবা যা চেয়েছিল তার চেয়েও অনেক বেশি 'বড়'- সবই আছে, মা-ই শুধু নেই।

ধন্যবাদ নানি।

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
কত যে গরীব ছিলাম বুঝতে কষ্ট হয় না। অস্থিসার এক তরুণটিকে মনেই পড়ে না কারো । যদিও অযত্নে তোলা ছবি দেয়ালে ঝোলে।

খুব বেশী বছর আগের নয়। এক চিলতে জমিনের ভূমিদাস, লাঙ্গলের সাদা প্যাক লেগে থাকত তার গোড়ালিতে। রোদে পুড়ে এক বস্ত্রে সেই চাষাই সন্তানকে জাগিয়ে ধরেছেন দুই হাতে। এতটুকু জল স্পর্শ করে নি, কাদা নাগাল পায় নি শরীরে কোথাও।

বাবার পায়ের তলা মাটি খেয়েছিল। কাঁধে জোয়ালের দাগ বসে গিয়েছিল আফ্রিকার ক্রিতদাসের মত। ফ্লাশব্যাকে দেখতে পাই রেলগাড়ি থামছে হুইসেল দিয়ে। আমাদের পিতা বাদামী ঘোলা চোখে পুত্রের ব্যাগ তুলে দিয়ে যাচ্ছে । সন্তানকে চাকুরী খুঁজতে দেখে গেছেন, আর আসেন নি।

কিন্তু তিনি হয়তো স্বর্গ থেকে দেখছেন তার সন্তান নানান ভাষায় কথা বলতে জানে।হাতে সোনালী ঘড়ি সময় দিচ্ছে টিক টিক। সময় অনুযায়ী লুচি পরোটা, ভাত গোশত আসছে । জন্মদিন হচ্ছে। ফোন বাজছে, নেট পুড়িয়ে আদান প্রদান করছি সবাই। এই গরমশীত বাড়ি, উপরে ঝরণার মত জল ভিজিয়ে দেয় শরীর, আর অলস বিড়ালের মত টিভি দেখে ঘুমিয়ে যাওয়া।

এসব দেখে এই প্রজন্মের শিশুগুলো ভাবতেই পারবে না। এই সুখী গাছের শেকড়ে নিচু জাতের গরীব মানুষেরা ছবির মতন। হাল ঠেলছে, বিলে জাল ঠেলছে, বৃষ্টির জন্য উল্টো নামাজ পড়ছে। আর রূপহীন কালো রমনীরা বসে আছে স্বামীদের বেঁচে যাওয়া খাদ্যের জন্য।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আপনার মধ্যেও দেখি। আপনার মন্তব্যগুলো আমাকে আরো বেশি আবেগাপ্লুত করে তোলে। একটা ক্ষুদ্র গল্পের কথা বলি। আমি মাঝে-মাঝেই ছেলেমেয়েদের সাথে আড্ডা দেয়ার কালে কৌশলে আমার অতীতের কষ্টের কথা বলি, কীভাবে বড় হয়েছি তা বর্ণনা করি, যাতে জীবনের রূঢ় বাস্তবতার কিছু পরিচয় ওরা জানতে পারে। আজ স্ত্রীর কাছে শুনলাম, একবার ছেলে তাকে বলেছিল আমি কেন আমার দুঃখী জীবনের কথা ওদেরকে বলি? এসব বলে কি ওদেরকেও কষ্টের ভিতর দিয়ে বড় হতে বলি? ছেলে বলে, তার বাবা-মা খুব গরীব ছিল বলে আব্বুকে কষ্ট করতে হয়েছে, কিন্তু আমাদের আব্বু তো আর গরীব নয়, আমরা কষ্ট করবো কেন? স্ত্রীর কথা শুনে হাসলাম। বাবার জীবনের কষ্টগুলোকে সম্বল করে আমি বয়সের দিকে দৌড়ে যাচ্ছি, আর আমার ছেলেরা সেই গল্পগুলোও শুনতে চায় না। এটাও জীবনের বাস্তবতা।

দারিদ্র্য আমাকে মহান করেছে, আমার দারিদ্র্য আমার অতীত, আমার গর্বের ইতিহাস এবং আমার অস্তিত্ত্ব। অতীতকে ভোলা যায় না।

ভালো থাকুন। ঈদ মোবারক।

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

মেহবুবা বলেছেন: @ স্বদেশ হাসনাইন, আপনার মন্তব্যে আটকে গেলাম । নড়তে পারছি না ।

এই প্রজন্মের শিশুরা অনেক কিছু ভাবতেই পারবে না, পারে না । আমরা কি তাদের সুযোগ বা অবকাশ কিছু দিচ্ছি ভাববার ? কত ধরনের কোচিং, কত রকমের ফ্যাশন, কত অহমিকাময় আয়োজন , কত শত ভুল নিয়ে দৌড়ুচ্ছি । নিজেরাই জানি না যে প্রত্যক্ষভাবে 'বড় বড়' কিছু পেতে গিয়ে আমরা পরোক্ষভাবে 'আসল বড়' থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ।
কয়েকদিন আগে আমার কয়েকজন সহকর্মী বসে বর্তমান টিনএজ ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন ক্ষতিকর ভূমিকার কথা বলছিল , সাথে ছিল হাহাকার । এক সময় আমি বলেছি, " আমাদের ভূমিকা কি খুব গ্রহনযোগ্য, তাদের এহেন আচরনের পেছনে?"

কত কথা বলে ফেলছি হঠাত করে ; কিছু মনে করবেন না ।
যে বোধ নিয়ে আপনি লিখছেন, এই ব্লগের ব্লগার লিখছে অথবা আমি বা আমরা লিখছি সে বোধ অর্জনের জন্য যে জমি ছিল সেই জমি এখন অপব্যবহৃত ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যে বোধ নিয়ে আপনি লিখছেন, এই ব্লগের ব্লগার লিখছে অথবা আমি বা আমরা লিখছি সে বোধ অর্জনের জন্য যে জমি ছিল সেই জমি এখন অপব্যবহৃত।


আপনার কথা অস্বীকার করার উপায় খুব একটা নেই। তবে কোনো বাবা-মাই তাঁর সন্তানদের উচ্ছন্নে যাওয়া দেখতে চান না বা কামনা করেন না; সেজন্য তাঁরা সন্তানদের প্রয়োজনীয় প্রেষণা বা মোটিভেশন দিয়ে থাকেন। তবে আমার মনে হয় যে, এ্যাডভান্সড টেকনোলজি সেই মোটিভেশন গ্রহণের জন্য বিরাট অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। অনেক বাচ্চা অকালে মোবাইল, আই-ফোন, ভিডিও গেইমস, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদিতে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। অগুনতি টিভি-চ্যানেলও এজন্য কম দায়ী নয়। মা-বাবা এদেরকে শাসন করলেও ২৪ ঘণ্টাতো আর নজরে রাখতে পারেন না, আর তা করলে হিতে বিপরীত হবারও সমূহ সম্ভাবনা থাকে। গত কয়েকদিন ধরে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, আমাদের আগের দিন গ্রাম আজ আর নেই, বস্তুত শহর আর গ্রামিণ পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্য। আমার শহুরে ছেলেমেয়ের চলাচল, আচরণ, স্মার্টনেস, নলেজ যতোটুকু, গ্রামের বাড়িতে আমার ভাতিজা-ভাতিজি, ভাগ্নে-ভাগ্নেদের মধ্যে কোনো অংশেই তা কম দেখি না।

আমাদের সন্তানরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি 'ফাস্ট' এন্ড 'মডার্ন।' আমি যে আবেগ বুকে ধারণ করি, ওদের মধ্যে তা নিয়ে। ওদের চিন্তা-চেতনাও অন্য রকম। আমার মায়ের ভাঙা স্যুটকেস নিয়ে আবেগ প্রকাশ করা নিয়ে ওরা হয়তো 'পাঁচালি' মনে করবে, বার বার অতীতকে নিয়ে আঁকড়ে পড়ে থাকি, ওরা হয়তো ভাববে। হয়তো এমনও হতে পারে, ওদের আধুনিক চিন্তাভাবনা দিয়ে সমাজকে বা জীবনকে আরো ভালোভাবে পালটে ফেলতে পারবে, কিংবা, জীবন ও সমাজকে পালটাবার জন্য হয়তো ওদের আধুনিক চিন্তাচেতনারই প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

যাই হোক, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর হোক, ওদের জন্য এই কামনা।

ভালো থাকুন। ঈদ মোবারক।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:

@মেহবুবা, আমরা কালের তরঙ্গে ভেসে যাই। যে তরঙ্গের যে বৈঠা সেটা পূঁজি আর অর্থের বড় বড় প্রভাবক এসে দুলিয়ে যায়। অনেকটা হতাশাবাদী একমূখী তার গতি। ছিঁড়ে যাচ্ছে নীতি, মা, বাবা, এই যে সম্পর্কের গভীরতা। শস্যকণাও তালাবদ্ধ। অর্থ না ফেললে হাইব্রীড বীজ আর শেকড় ছড়াবে না।

এরই মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের নষ্ট নিয়মগুলো আমরা গিলে ফেলছি। গেম থিউরীর নিকষ কালো নিয়ম বিষাদ ভরায়, বিশ্বাসঘাতক যদি থাকে সরলদের ভিতর সে জয়ী হয়।

আশাহত হই না এজন্য এই তো ব্লগের ভিড়, মারা মারি, লেলানো পশুরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সেসব এড়িয়ে মেহবুবা স্বদেশ উদ্বিগ্ন । আর ছোট পরিবর্তন করতে আমরা ইচ্ছুক। হয়তো ছোট পলিমাটিগুলো দ্বীপ হয়ে কালো নদীকে ঠেকিয়ে দেবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একমত।

২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমারা এমন কষ্ট না করলেও আমার বাবা-দাদী করেছেন। দাদী এক/দুই কাপড়ে বছর পার করেছেন।
দাদা শেষ বয়সে মারা যাবার আগে তার ছেলেদের কাছে একটা নতুন পান্জাবী চেয়েছিলেন। বড়-মেঝো চাচা কামাই করতেন আব্বা-ছোট চাচা বেকার ছিলেন। বড় দুই চাচা নাকি বলেছিলেন বুড়ো বয়সে ভিমরতী, পেটে ভাত নাই কাপড় চায়।

আব্বা মাঝে মাঝেই পান্জাবীর কথা বলেন। সামর্থ্য হয়েছে অথচ দেখতে পারলেন না। এই ব্যাপারটা খুব কষ্ট দেয়।

ভাল লাগল লেখাটা

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার দাদার পাঞ্জাবির ঘটনায় আমিও খুব কষ্ট পেলাম। মাঝে মাঝে কিছু ন্যাচারাল রিভেঞ্জের কথা শোনা যায়। আপনার বড় ও মেঝ চাচার জীবনেও হয়তো এরকম একটা করুণ পরিণতি ঘটে যেতে পারে। আল্লাহ্‌ যেন তাঁদেরকে ওরকম কিছু না করান, তবে, তাঁদের মনে এই বোধোদয় হোক, তাঁরা যেন বুঝতে পারেন বাবাকে একটা পাঞ্জাবি না দিয়ে, এবং ওরকম কিছু কটু কথা বলে অনেক বড় অন্যায় করেছিলেন। আল্লাহ্‌র কাছে তাঁরা ক্ষমা চাইবেন একদিন, এ কামনা করছি।

ভালো থাকুন। ঈদ মুবারক।

২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৯

khairun বলেছেন: চোখে পানি এনে দিলেন

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সমবেদনার জন্য। ভালো থাকুন। ঈদ মুবারক।

২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
শুভকামনা সবসময়ের জন্য ........

ঈদ মুবারক.......

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যও ঈদের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে লেখাটি। অনেক কঠোর হয়ে গেছি দুনিয়ার মিথ্যা, লোভ, দুর্ণীতি, নিস্ঠুরতা, আবোল তাবোল জিনিষ দেখতে দেখতে। চোখে পানি আসতে চায়না, তারপরেও হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আপনার এখনকার অবস্থা জানি না, বলেছেন মোটামুটি ভাল।

আপনার শৈশব এমন ছিলো বলেই এই মোটামুটি সচ্ছলজীবন নিয়েও অনেক সুখী মনে হয় নিজেকে। অনেকে আছে কোটি টাকার মালিক, মনের মাঝে শান্তি নেই। কোটি টাকার পরেও আরো টাকা ইনকামের কি কি পন্থা আছে খুজে মরছে। ৭০ বছর বয়সে কোটি টাকা রেখে মারা যাবে, হয়তো সন্তানদের জন্য রেখে যাবে, কিন্তু আসলে সন্তানদের জন্য যদি ১০ লাখ টাকাও রেখে যেতো তাতেও তাদের চলতো। কিন্তু কোটি টাকা রেখে যেয়ে বরং সন্তানদের নষ্ট হওয়ার পথটি সুগম করে গেলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। সঞ্চয়ই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া ঠিক নয়। কিছু সঞ্চয় থাকবে, বাকিটা দিয়ে পরোবারের সবাইকে নিয়ে শান্তিতে থাকবার চেষ্টা করতে হবে। আমি ভাই সত্যিই বর্তমানে বেশ সচ্ছল জীবন যাপন করছি, তবে আমার অঢেল অর্থ নেই। আল্লাহ্‌ যা দিচ্ছেন তাই নিয়ে সন্তুষ্ট আমি। এভাবে যেন জীবনটা পার করে দিতে পারি, আল্লাহ্‌র কাছে সেই প্রার্থনা করি।

ভালো থাকুন। ঈদ মুবারক।

২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪২

বিনবি বলেছেন: অনুভূতি নিংড়ানো অদ্ভূত ভালো লাগা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিনবি। ভালো থাকুন। ঈদ মুবারক।

২৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩২

রাফা বলেছেন: কিূছু কিছু মায়েরা খুবই দুর্ভাগ্যবতী , যখন সন্তানরা কিছু করার জন্য সক্ষম হয় ; ঠিক তখনই তাদের কোনো রকম সেবা করার সুযোগ না দিয়ে চিরতরে বিদায় নেয়। বিচিত্র পৃথিবির আরো বৈচিত্রময় খেলা।।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই সত্য কথা বলেছেন। আসলে, এই বৈচিত্র আমাদের জীবনের একটা বড় বাস্তবতা। আমিতো যাই হোক, মাকে সুখ দিতে পারি নি, তবে আল্লাহ্‌র রহমতে বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পারছি। অনেকের এ সৌভাগ্যও জোটে না কপালে।

সব সন্তান যেন বাবা-মাকে সুখে রাখতে পারেন, এই কামনা করছি।

ভালো থাকুন। ঈদ মুবারক।

৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫০

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
আপনার লেখাটি পড়ে জ্যঁক লন্ডন কে মনে পড়ে যায়। আর একটি শব্দ মনের আবডালে উকিঁ দিয়ে যায় - ‍‍লড়াকু

মনে পড়ে যায় দরিদ্র চাচীর কথা যে কি না প্রায়ই আঁচলে বাটি লুকিয়ে তরকারী ধার করতেন প্রতিবেশীর কাছ থেকে - বাচ্চাদের জন্য।

তবে এখন চাচীদের ফেলনা জায়গার উপর দিয়ে আচানক সদর সড়ক গিয়েছে, ৫ লক্ষ টাকা দাম শতাংশের। চাচীরা এখন অনেক অর্শের মালিক। মাসে ১৮ হাজার মত ঘর ভাড়া পান।

কিন্তু, চাচীর ধার করা তরকারী খাওয়া সোনার ছেলেরা এখন ফেন্সিডিল খায়, চাচা-চাচীকে অর্থের জন্য অনর্থের মধ্যে ফেলে দ্যায় প্রায়ই!

চাচী তখনো কাদতেন আর এখনো কাঁদেন। চাচীর জীবনে আল্লাহ তাআলা সুখ যে দিল না!!!!

সবশেষে, এই গানটা আপনার জন্য। আশা করি ভাল লাগবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাচির জীবনে আল্লাহ সুখ যে দিল না... খুবই করুণ এসব চাচা ও চাচির কাহিনি। করুণা ও ক্ষোভ হয় তাঁদের সন্তানদের জন্য, যারা মানুষ হলো না, মা-বাবার কষ্টও বুঝলো না।

গানটা সুন্দর।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অদ্ভূত ভালোলাগা!
চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, তবুও কি এক শান্তি।
আমাদের মা, আমার মা কতোটা নিবেদন রাখেন আমাদের জন্য।
ভাবলেই চোখে জল আসে।
কত অল্পতেই না তারা খুশি থাকেন।

আমার মা আছেন, বাবা নেই।
আমি এখনো কিছুই করছিনা।
দোয়া রাখবেন, আমার মা কে যেন অনেক সুখী দেখতে পাই।
অনেক অনেকদিন যেন আমাকে আগলে রাখেন।
শত দূর্ভোগে ও মা সন্তানের হাতটি ছাড়েন না, মা ছাড়া এ নির্ভরতা পৃথিবীতে কোথাও হয়না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য প্রার্থনা, তিনি যেন আরো বহু বছর বেঁচে থেকে আপনাকে সুখী দেখে যেতে পারেন, আর আল্লাহ্‌ যেন আপনাকেও মাকে সুখী করার তৌফিক দান করেন।

ভালো থাকুন।

৩২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১২

নেক্সাস বলেছেন: ৩০ কি ৩২ বছর পেরিয়ে গেছে। মায়ের ভাঙা স্যুটকেসটা কোথায় যে হারিয়ে গেছে, জানি না। পাতাবাহারের ছাপাঅলা লাল শাড়িটা আমার চোখে এখনো দিব্যি ভাসে।


চোখে পানি এসে গেছে ভাই।

১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাতাবাহারের ছাপাঅলা লাল শাড়িটা আমার চোখে এখনো দিব্যি ভাসে।


ভালো থাকুন নেক্সাস। লেখাটা পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৮

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: আমি এই পোস্ট পড়বার পর কিছুক্ষন অঝোরে কেঁদে আসলাম। একা একা থাকছি, তাই পারলাম। বাসায় থাকলে হয়তো বুকের জমে থাকা অনেক কিছু উগড়ে দিতে পারতামনা। আমাদের সময়গুলোও অনেক কস্টের ছিল। এখন খুব বেশীরকম ভালো আছি। আম্মুকে চেষ্টা করি যতটুকু সাধ্য আছে সবটুকু দিয়ে করবার। কিন্তু আব্বুকে তো ফিরে পাবনা।

এখন আম্মুর থেকে অনেক দূরে আছি, এজন্য আরো বেশী কস্ট লাগছে। আমি জানি আমার জন্য এখন প্রতি রাতে আমার মা একা একা কাঁদে। :(

১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি জানি আমার জন্য এখন প্রতি রাতে আমার মা একা একা কাঁদে।

আমিও এমন করে মাঝে মাঝে ভেবে খুব সুখ পেতে চাই, ভাবতে ভাবতে ক্রমশ বুক ভারী হতে থাকে- এমন করে ভাববার জন্য তো মা বেঁচে নেই।

জেনে ভালো লাগছে আপনার মা বেঁচে আছেন, এবং তাঁকে সুখী রাখতে আপনি সচেষ্ট। আপনার বাবার জন্য দোয়া থাকলো, নিশ্চয়ই তিনি বেহেশতবাসী হবেন।

৩৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫০

আলকাতরা বলেছেন: পড়ে খুব খারাফ লাগ্লো :(

১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সমব্যথী হবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৮

শিপু ভাই বলেছেন: শুভকামনা ভাই।

খুব ভাল লাগল লেখাটা-----খারাপ লেগেছে ঘটনাটা।



গরিবী দেখেছে আমার বাবা চাচারা। আমরা পাই নাই।

১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটা পড়বার জন্য। আল্লাহ্‌ আপনাকে ভাগ্য দিয়েছেন বাবা-চাচাদের গরীবী না দেখার। আপনার পরের প্রজন্মও আপনার মতো ভাগ্যবান হবেন, এ কামনা থাকলো।

৩৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২২

শিপু ভাই বলেছেন: ওনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম এই পোসটে। কিনতু এই মূহুরতে বাংলা টাইপ করতে সমসসা হচছে।




ঢাকা এসে বলবো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি ঢাকা এসে অনেক কথা বলবেন। অপেক্ষায় থাকলাম। যাত্রা নিরাপদ হোক।

৩৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন ভাবে নিজের কথা কজন বলতে পারে? নিজের অতীত যারা এভাবে মনে রাখে, জীবন যুদ্ধের তারই জয়ী হয়, আর তারই প্রকৃত সুখি মানুষ----

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার অতীতই আমার অনুপ্রেরণার উৎস। অতীত দিনের কথা কেউ কেউ হয়তো ভোলে, অনেকেই ভোলে না। আমি ভুলতে পারি না।

দোয়া করবেন আপু।

৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: এই পোস্ট তুলে রেখেছি অনেকদিন আগে। সেফ হয়ে ভাললাগা রেখে যেতে এলাম আবার। ভাল থাকুন সবসময়। :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ফারজুল আরেফিন। আপনিও অনেক ভালো থাকুন, সব সময়।

৩৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাই নি তাই হয়ত আপনার মত করে
বুঝতে পারি না , তবে আপনাকে টের পাচ্ছি আমার সীমিত উপলদ্ধিতে ।

আমার মেয়ে জীবনের শুরু থেকে আমার থেকে অনেক ভাল জীবনযাপন
করছে, তাকে আমি আমার গল্প বলি না । যে অনুভবে সে যায়নি তা তাকে আমি জোর করে বোঝাতে চাই না ।
তবে তাকে সুকুমার রায় পড়তে দিয়েছি এবং তা সে পড়ে ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই লজ্জা প্রকাশ করছি মন্তব্যের জবাব দিতে বিলম্ব করার জন্য। আমি কোনো মন্তব্যই উত্তরবিহীন রাখতে পারি না, যেহেতু মন্তব্যের সংখ্যা খুব কম। তারপরও যদি দৈবাৎ বাদ পড়ে যায়, সেটা ভুলবশত।

আপনি একজন আদর্শ বাবা, তাই আপনার মেয়েকে খুব কৌশলে নিজের জীপনের গল্প বলা থেকে বিরত থাকেন, একই সঙ্গে সুকুমার রায়ও পড়তে দিয়েছেন। এ থেকেই সে জীবনের বাস্তবতা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারবে বলে ধারণা করছি।

আমার সন্তানদের আমার জীবনের গল্প বলি যাতে তারা বুঝতে পারে তার দাদা বিরাট ধনী লোক ছিলেন না, তার বাবা কঠিন সংগ্রাম করে বড় হয়েছে। এতে তারা বিনয়ী হতে শিখবে, আমার কারণে যদি তাদের মধ্যে অহংকার জন্মাবার আশংকা দেখা দেয়, তা নিভে যাবে।

তবে এখন থেকে আপনার পথ ফলো করবো কিনা ভাবছি।

ভালো থাকুন।

৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪০

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আমাকেও আপনি লজ্জায় ফেলে দিচ্ছেন ।
আসলে আমি মন্তব্য করি অনেক কম ,
কিন্তু উত্তর লোভী আমাকে আপনি বলতে পারেন।
আমি উত্তর চাই ই । এটা এমন হতে পারে আমি সবার উত্তর
দেই । আবার আমার পোষ্ট থাকলে আমি আগে আমার উত্তর
দেই তারপর অন্যদের । দেরি হলে বলে আসি পরে লিখব ।
আমি লক্ষ্য করছিলাম আপনি অন্যের লেখায় মন্তব্যের পর
মন্তব্য করে যাচ্ছেন কিন্তু আমার উত্তর পাচ্ছি না , তখন আবার
বললাম, তাতেও যখন আপনি বুঝলেন না তখন বুঝতে পারলাম
আপনার চোখ এড়িয়েছে , তখন সরাসরি পদ্ধতি ব্যবহার করলাম
এই প্রথম বার ।

আমি চাই আমার মেয়ের চোখ খোলা থাকুক যাতে স্বাধীনভাবে
নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে । কিছুই চাপিয়ে দিতে চাই ই না ।
আর কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাইনি আমি বা আমার বাবা,
উচ্চবিত্ত নই আবার কষ্টেও থাকিনি , সাধারন সুস্থ নিয়মতান্ত্রিক
জীবন আমাদের ।

বেশি বেশি কথা বলি ,
বয়সের দোষ ?
আপনার কি মনে হয় ?


আপনার অনেক পোষ্ট পরীক্ষা করে আপনার উত্তর দেয়ার
প্যাটার্ন লক্ষ্য করেও অসঙ্গতি না পেয়ে নিশ্চিত হলাম
আসলেই খেয়াল করেন নি।
অতএব নো লজ্জা ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: থাক, নিজের উপর জোর করছি- মনরে, তুই লজ্জা পাসনে:(:(

দয়া করে এ পোস্টটা দেখুন।

বয়সের কোনো দোষ নেই, আপনি যৌক্তিক কথাই বলেছেন।

মেয়ের জন্য শুভ কামনা থাকলো।

৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫১

রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ভাললাগা ভাললাগা ভাললাগা

আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাশেদ হাসান নোবেল।

৪২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আমাকে সময় দিতেই হবে ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে অবশ্যই অফুরন্ত সময় দেবার সময় আমার হাতে আছে:):) দিলাম:)

৪৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১

নিমচাঁদ বলেছেন: আমার বলতে চাওয়া কথাগুলো উপরের অনেকেই বলে দিয়েছন, আমার আর বলার মতন কিছুই অবশিষ্ট নেই ।

এটা বুক ধু ধু করা একটা লেখা ------ শুধু এটাই বলতে পারলাম

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নিমচাঁদ। অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫২

আরমিন বলেছেন: লেখাটা পড়ে চোখে পানি চলে আসলো! আপনার মা নিশ্চয় বেহেশ্ত থেকে দেখছেন...........

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দোয়া করবেন আমার মায়ের জন্য- যেন তিনি বেহেশ্‌তবাসিনী হতে পারেন। ধন্যবাদ।

৪৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৪৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

এই সকালে এই পোস্টের কথা মনে পড়লো।
এখন ফেবুর কয়েক বন্ধুকে ও শেয়ার দেই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় কবি।

৪৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৩

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: " আমরা অতিশয় গরীব ছিলাম, আর আমার বাবা ও
মায়ের ছিল দুরবিন চোখ- তার সন্তানেরা ভবিষ্যত পালটে দেবে "
আর্থিকভাবে দৈন্যতা ছিল,কিন্তু গরীব ছিলেন না,কখনোই ছিলেন না।
সেই গরীব যে তার এরকম অতীতকে ভুলে যায়,যে মানুষ তথাকথিত 'গরীব অবস্থাটা' না ভুলে সযত্নে মনে রাখে,তার গর্ব ঐ "গরীব " থাকাটা।

ভবিষ্যত পাল্টেছে কিন্তু আফসোস সেই বদলে যাওয়া দিনগুলোয় আপনার মায়ের সরব উপস্থিতি নেই।
কে জানে হয়ত তিনি অন্য দুনিয়া থেকে ঠিকই দেখছেন অনেক অনেক বছর আগে তার দূরবীন চোখদিয়ে দেখা ভবিষ্যত আজ সত্যি বর্তমান!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কে জানে হয়ত তিনি অন্য দুনিয়া থেকে ঠিকই দেখছেন অনেক অনেক বছর আগে তার দূরবীন চোখদিয়ে দেখা ভবিষ্যত আজ সত্যি বর্তমান!


আপনার মন্তব্যটা খুব দরদিয়া। খুব ভালো থাকুন আপু।

৪৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

মেহেরুন বলেছেন: অনেক আবেগী একটা লিখা। পড়ে চোখে পানি চলে আসলো।আপনার মা এর জন্য অনেক দোয়া রইলো। লেখায় ভালো লাগা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাড মেহেরুন আপু।

৪৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩২

রাইসুল সাগর বলেছেন: ভাইয়া কোন কিছু বলার ভাষা আমার নাই। বলতে পারেন মাকে নিয়ে কোন লিখায় মন্তব্য করার মত সাহস আমার নেই। মা শব্দটা শুনলেই আমি শিশু হয়ে যাই। যে শিশু কথা বলতে পারে না শুধু মায়ের আঁচলে লুকিয়ে থাকতে পারে। সে রকম শিশু।

আপনার লিখায় শুধুই কেবল ++++++++++++++এর বন্যা।


শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাইসুল ভাই।

৪৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৯

েমঘবালকিস বলেছেন: Khub valo laglo post ta, amio eksomoy ei rokom chilam...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মেঘ বিলকিস (আপনার নামটা এভাবেই পড়লাম)। শুভ কামনা।

৫০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

শাহেদ খান বলেছেন: দারুণ স্পর্শকাতর একটা লেখা...

প্রকাশের ভাষা খুঁজতে যাওয়াটা মাঝে মাঝে হয়তো অনর্থক, কারণ আবেগ 'টের পাওয়া' যায়।

অনেক ভাল লাগা জানবেন, কবি। লেখাটা তাহলে শেয়ার করলাম?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শাহেদ ভাই।

৫১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

করুণাধারা বলেছেন: কি সুন্দর করে মায়ের কথা লিখেছেন!!

মাকে নিয়ে লেখা আপনার চারটি স্মৃতিকথা পড়লাম, প্রথম দিন স্কুলে যাবার স্মৃতি কথাটা সহ। চমৎকার লেখনি আপনার। মায়ের ছবি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

ঠিক এমনই মাকে নিয়ে স্মৃতি কথা পড়েছিলাম কবি জসিম উদ্দিনের লেখনীতে। একটা গল্প মনে আছে, অতি দরিদ্র মা গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত ক্ষুধার সময় খাবার জন্য কিছু চাল লুকিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু শিশু জসীমউদ্দীন সেই চাল গুলো খেয়ে ফেলেছিলেন। খেতে গিয়ে মারা চাল না পেয়ে কেঁদেছিলেন। সেই কথাটা পরিণত বয়স পর্যন্ত কবির মনে ছিল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টটা দুপুরেই পড়েছিলাম। জসীমউদ্‌দীনের ঘটনাটা পড়ে খুবই খারাপ লেগেছিল। আমার মাকে নিয়েও এমন অনেক করুণ ঘটনা আছে, যেগুলো মনে পড়লে খুব অস্থির লাগে, বুক ফেটে যেতে চায়।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খুঁজে খুঁজে আমার এই অন্তরনিঙ্‌ড়ানো পোস্টগুলো পড়ার জন্য।

৫২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত আবেগ বিহ্বল হয়ে পরলাম। কবিতাটি পাঠের সঙ্গে সঙ্গে অদ্ভুত আবেশে দম আটকে যাওয়ার ভালোলাগা অনুভব করলাম। আমার শৈশবের এক্কেবারে হুবহু চিত্র আপনি পোস্টে তুলে ধরেছেন। সেই টিনের ভাঙা তোরঙ যার কব্জা গুলি আমার জন্মেরও আগে মাকে বিদায় জানিয়ে ছিল । দুয়ারে ফেরি করতে আসা হকারদের কাছ থেকে কেনা পুরানো ফুটোফাটা শাড়িই ছিল আমার মায়ের পরিধেয় বস্ত্র । কম ফুটোফাটার শাড়ি কেনার সামর্থ্য আমার বাবার ছিল না। কাজেই বাধ্য হয়ে একটু বেশি ফুটোফাটা যুক্ত শাড়ি কিনে পরপর কয়েকদিন সুচ- সুতো দিয়ে সেলাই করে তবেই পরিধানের যোগ্য করে তুলত মা। যদি এক জোড়া কেন সম্ভব হয় তবে একটিকে বহুদিন না পড়ে ওই টিনের তোরঙে যত্ন করে গুছিয়ে রাখত । যে তোরঙটি আবার বাঁধা থাকত শাড়ির পাড় দিয়ে চারদিকে বাঁধাই করা অবস্থায়। গ্রামের পাতি মাস্টার মশাই বাবার বেতন ছিল সরকার কিংবা অভিভাবকদের (টিউশনির) দয়া দাক্ষিণ্যে নির্ভরশীল। মাস্টারদের পরিবারের লোকেদের খাবার লাগে না, সংসার চালাতে খরচও হয় না। তারা হাওয়া খেয়ে থাকে কেউ এমন ভাবে থাকায় দস্তুর। কাজেই তাদের বেতন নিয়েও সরকারের কোন গাত্রদাহ থাকত না। দিন রাতে সর্বক্ষণ ঘর থেকে আকাশে তারা দেখা যেত। আর বৃষ্টি পড়লে মা সবার আগে ছাতা নিয়ে ট্যাংক টাকা আগে ঢাকা দিত । আর আমরা খুঁজতাম কোথায় পুরনো পলিথিন আছে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে।

প্রথম বেতন কাঠামো চালু করেছিল বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর। শুরুটা ছিল যতসামান্য। ফলে এরকম মাস্টারমশাই পরিবার ছিল সকলের দয়া-দাক্ষিণ্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা গার্হস্থ্য পরিবার। আমার একদম শুরুতে কিছু পোস্ট ছিল ভোরের আলো শিরোনামে। সেখানে আপনার কমেন্টগুলো পড়ে আজ আমার এবং আপনার শৈশবের সাদৃশ্যের পরিচয় পেলাম।

উপরওয়ালা যেন উনাকে বেহেস্ত নসিব করেন এবং আপনার পরিবারের উপর রহমত বর্ষিত হোক-কামনা করি ‌




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.