নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতঙ্ক : যেভাবে প্রতিদিন যায়

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৭

অনেক আগে ঝড় হয়েছিল, বিদ্যুৎ নিভে গেছে প্রথম ফুৎকারেই

অন্ধকার আর বীভৎস গরম

ল্যাপটপের দম ফুরোবার আগে হাতড়ে কিছুই না পেয়ে শুধু হতাশার সাথে মল্লযুদ্ধ করি। ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি অগুনতি অস্ফুট রাশি নিউরনে কিলবিল করে; লিখবার মতো

একরত্তি ধৈর্য্য অবশিষ্ট নেই আমাদের তল্লাটে

ধুঁকধুঁক বুক বরাবর তাক-করা অদৃশ্য নলের মুখে ঘুমিয়ে পড়লাম

... ঘুম নয়, ঘুমোবার ভান করি

এমন অসময়ে কেউ কি ঘুমোতে পারে?

দোয়া করবেন, এ অস্বস্তিকর গরমের ভেতরও একটা ভালো ঘুম যেন হয়

ভালো একটা স্বপ্ন যেন দেখি

ঘুমে থাকা সময়ে বিদ্যুৎ চলে আসে

নিগূঢ়তম প্রত্যাশা - ঘুম থেকে যেন আবার জেগে উঠি

জীবনের একটুও নিশ্চয়তা নেই

আমাদের বেঁচে থাকবার নিরাপত্তা কে কবে দিয়েছে?



যে ছেলেটা সকালে ঘর থেকে বের হলো, যে মেয়েটা, যে বাবা, জননী, কর্মজীবী শ্রমিকেরা, তাঁরা কেউ জানেন না ঠিক ঠিক গন্তব্যে পৌঁছুবেন কিনা, নীড়ের পাখির মতো ঠিকঠাক ঘরে ফেরা হবে কিনা সন্ধ্যার আগে-ভাগে



দুরন্ত যৌবনে ছেলেকে কি আটকে রাখা যায় ঘরে? মাঝে মাঝে সবান্ধব উধাও হয়ে যায় ওরা, যৌবনের ধর্মের মতো;

চারদিকে গণপিটুনিতে নিরীহ যুবকের হত্যা,

মানুষকে পিটিয়ে মারার দৃশ্য উপভোগ করতে বর্বর মানুষের কৌতূহলী ভিড়,

নিরপরাধী মেধাবী ছাত্রের সারা গায়ে পুলিশের নির্মম প্রহার,

চাপাতির ঘায়ে কুপিয়ে ফালি ফালি করা পা ও পৃষ্ঠদেশ,

মিথ্যা মামলা, দুর্বিষহ হয়রানি;

যেভাবে খাদে পড়ে ৪৪টি তরতাজা কচি প্রাণ ঘাতক ড্রাইভারের হাতে বলি হয়, ট্র্যাকের চাকায় বিকট শব্দে মাথা ফেটে মগজ ছিটকে পড়ে পিচগলা পথে; যেভাবে তাজরীনের ফেব্রিক্সে ১১১ জন ছাই হয়ে যায়, রানার অহমে ছাতু হয়ে যায় শত শত মানুষ, বাংলাদেশের সমগ্র আত্মাকে কাঁদিয়ে শাহিনা অদৃশ্য হয়ে যায় যেভাবে, যেভাবে আল্লাহ্‌র আরস কেঁপে ওঠে, অথচ দুর্বৃত্তরা অবলীলায় আগুনে কোরান পোড়ায়, আর পোড়ায় মানুষ, হায়, আমার ছেলেটি ঘরে ফিরছে না কেন? কাঁপতে থাকে বুক- হয়তো বেপরোয়া পুলিশ কিংবা নিষ্ঠুর পিকেটারের পাশবিক হাতে ধুঁকতে ধুঁকতে মারা গেছে আমার যক্ষের ধন



ছোটো ভাইটা বাড়ির সামনের রাস্তায় চিহ্নিত খুনির হাতে মুহূর্তে ডেডবডি হয়ে গেলো কিনা, কে জানে কখন বোনের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর বুক ঝাঁঝরা করে উড়ে গেলো সন্ত্রাসের বুলেট; মেয়েটা কি স্কুল থেকে ফিরলো? দশ মিনিট দেরি হলেই দুরুদুরু করে বুক- অপহরণ ও গণধর্ষণের পর নৃশংস শিরোচ্ছেদ- কতো স্বাভাবিক নিয়মে ইদানীং এসব অহরহ ঘটে যায়



গৃহিণী ইলেকট্রিক শক খেলো না তো জরাজীর্ণ ঘরে- ছোটো ছেলে ছাদের কিনারে ঘোরাঘুরি করে- অফিসে মন বসাবো কীভাবে যখন এতোসব অলুক্ষণে ভাবনায় সারা সময় ত্রস্ত থাকি- এ বুঝি আরেকটা দুঃসংবাদ নিয়ে কেউ দৌড়ে এলো



- কাল সকালে চাকরিটা থাকবে তো?



এভাবে নিত্য তাড়া করে দুরন্ত এক ষাঁড়, অলঙ্ঘ্য আতঙ্ক যার নাম;

প্রতিটি পঞ্চবর্ষে মহান উৎসবের ভেতর যাঁদেরকে বরণ করি অতিশয় স্বস্তির আশ্বাসে, তাঁরা এ শ্বাপদ ষাঁড়ের শিং ও পা ভেঙে গুঁড়ো করে আমাদের জীবনে এনে দেবেন আরাধ্য সুখ ও শান্তি-

হায়, তাঁরা গালভরা হাসিতে ‘কম’ সেবনের নসিয়ত বয়ান করেন,

চশমার রঙিন কাঁচে দেখেন এ দেশের জীর্ণ ও ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটও বিলকুল ঠিকঠাক, আইনশৃঙ্খলা আগেকার যে-কোনো সময়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর;

হাজার হাজার প্রাণঘাতের পরও সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাসে বলেন

বেজায় সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা, আর পরীক্ষা ছাড়া ১০ হাজার ঘাতকের হাতে তুলে দেন মানুষ খুনের লাইসেন্স, আরো ২৫ হাজারের জন্য দাবি তোলেন; হায়, তাঁরা নিজেরাই কতো ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম, ভেবে ভেবে অসহায় অন্তরে নিয়ত খুন হতে থাকি!



ভীষণ আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে আরো একটা দিন যদি যায়,

কতোই না ভাগ্য!





২৫ এপ্রিল ২০০৯/ ১৪ আগস্ট ২০১১/০৭ মে ২০১৩

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রতিদিনকার চলাফেরায় আতঙ্ক নিত্য সংগী এখন।
ঘুম থেকে উঠে এখন পত্রিকা আর টিভিতে চোখ রাখতে ভয় করে, দুঃসংবাদ তো নিয়মিত ব্যাপার।

একটা চাকরীর জন্য হন্যে হয়ে ছুটায় আবার ভাবি,
এই দুঃসহ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে দিচ্ছে না আমার ভবিষ্যত?

আজ ঢাকায় ফিরবো, আতঙ্ক মায়ের চোখে মুখে। এখানে কি হচ্ছে এসব? আতঙ্ক যাচ্ছেই না।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিত্য তাড়া করে দুরন্ত এক ষাঁড়, অলঙ্ঘ্য আতঙ্ক যার নাম;


কেমন আছেন আশরাফ ভাই? সব প্রতিকূলতা একদিন অবশ্যই দূর হবে। অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।

২| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৯

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমাদের যাত্রায় যমদূতের আগমন;
তাই ঘরে খিল দিয়ে বসে থাকি।
দূরন্ত পদ যুগলে লোহার শিকল পড়ে
গৃহবন্দী হয়ে থাকি; কিন্তু যমদূত
বসে থাকেন না; যমদূতের পায়ে তো
আর শিকল নেই, তাই তিনি নিজেই
চলে আসেন আমাদের দোর ভেঙ্গে
আমাদের দিকে তাকিয়ে ঘাতকের হাসি হেসে,
বাড়িয় দেন মৃত্যুর লাল নীল অপশন!



অনেকদিন পর আপনার কবিতা পড়লাম সোনা ভাই। আশাকরি ভালো আছে।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আমাদের যাত্রায় যমদূতের আগমন;
তাই ঘরে খিল দিয়ে বসে থাকি।


দারুণ বলেছেন সরকার ভাই। এ থেকে কবে পরিত্রাণ পাবো?

ভালো থাকুন।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
* আশাকরি ভালো আছেন।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতে চোখে পড়ে নি ;) এখন ‘ন’ মিসিং দেখলাম ;) ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৬

অণুষ বলেছেন: একটু এইদিকে নজর দিন, পর্দার আড়ালে কি হচ্ছে।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১

ভারসাম্য বলেছেন: মনে হয়না চাকরি থাকবে! ;)

এই কবিতার লেখাশুরুর সময়টা ২০০৯ এর জায়গায় আরো ৩/৪ বছর পিছিয়ে দিয়ে দেখতে পারেন।

আমার অবশ্য চাকরি-বাকরির টেনশন নাই। বাঁইচ্চা থাকা নিয়াই একটু টেনশিত। এজন্যই আরো বেশি চুপ এখন।

++++

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। একেকটা নতুন আতঙ্কের অভ্যুদয়ে এ লেখায় নবতর সংযোজন ও পরিমার্জন ঘটেছে। প্রতিবারই ভয়াবহতার স্কেল আগেরগুলোকে ছাপিয়ে যায়।

কোন গ্রহে নিরাপদ বাস হবে?

৬| ০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: বেশ।



কেমন আছেন?

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো আছি। আপনি কেমন? শুভেচ্ছা থাকলো।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: ভীষণ আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে আরো একটা দিন যদি যায়,
কতোই না ভাগ্য!

আবসোস হয় কবি। দেশটা আর দেশ নেই। রসাতল হয়ে গেছে যেন।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সর্বান্তকরণে এর অবসান চাই। হবে?

শুভেচ্ছা থাকলো কবি।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আসলেই আতংক, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা .....এর মধ্যে ভাল কিছু কি হবে!!

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রতিটি পঞ্চবর্ষে মহান উৎসবের ভেতর যাঁদেরকে বরণ করি অতিশয় স্বস্তির আশ্বাসে, তাঁরা এ শ্বাপদ ষাঁড়ের শিং ও পা ভেঙে গুঁড়ো করে আমাদের জীবনে এনে দেবেন আরাধ্য সুখ ও শান্তি-
হায়, তাঁরা গালভরা হাসিতে ‘কম’ সেবনের নসিয়ত বয়ান করেন,
চশমার রঙিন কাঁচে দেখেন এ দেশের জীর্ণ ও ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটও বিলকুল ঠিকঠাক, আইনশৃঙ্খলা আগেকার যে-কোনো সময়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর;
হাজার হাজার প্রাণঘাতের পরও সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাসে বলেন
বেজায় সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা



সর্বজনীন প্রশ্নটা আমারও - এর মধ্যে কি ভালো একটা কিছু হয়?

ধন্যবাদ আপু।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

কয়েস সামী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে খুজে পেলাম। ধন্যবাদ। কবিতা আমার মোটেও ভাল্লাগে না। তবু.. তবু কেন জানি না আপনার কবিতা অসাধারন লাগে!

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকদিন পরই বলা যায়। কিছুটা ব্যস্ত অন্যখানে। সেটিই অধিক সুখের ও জনকল্যাণের ;)

ভালো থাকুন।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম ভাই। আশা করি ভালো আছেন।

আতংক, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা নিয়ে চলছি। জানি না শেষ কোথায়।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আমি ভালো আছি। কেমন আছেন আপনি?

আতংক, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা নিয়ে চলছি। জানি না শেষ কোথায়। এর জবাব কার জানা আছে?

১১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫১

সোহাগ সকাল বলেছেন: লেখায় একটাও দাঁড়ি নাই।
অনেকের কবিতাতেই এই ব্যাপারটা খেয়াল করা যায়।
এর কি কোনো বিশেষ কারন আছে প্রিয় কবি?

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকে অনেক কারণে দাড়ি-কমা বর্জন করেন। কোনো এক সাইটে এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক করেছিলাম। আমি এগুলো বর্জনের পক্ষে নই। আমার লেখায় এগুলো উপস্থিতি আছে, খেয়াল করে দেখুন।

আমি যেসব জায়গায় এগুলো দিই না তা হলো, বাক্যের শেষ যদি পঙক্তির শেষ হয়, সেখানে দাড়ি হলে তা দিই না, তবে ‘?’ বা ‘!’ প্রযোজ্য হলে তা অবশ্যই দিয়ে থাকি। সাধারণ নিয়মেই পাঠক বুঝতে সক্ষম কোথায় বাক্যটি শেষ হচ্ছে- আমি সচরাচর বাক্যটি এভাবেই নির্মাণ করার চেষ্টা করে থাকি। তবে অনেকে, বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গের অনেক কবি, এমনকি বাক্যের মাঝখানেও কোনোরূপ যতিচিহ্নই ব্যবহার করতে চান না। তাঁরা পাঠকের উপর এ দায়িত্ব ছেড়ে দেন বুঝে নেবার জন্য কোথায় এটি শেষ হতে পারে। ফলে বাক্যটি পড়ার সময় বিরক্তির উদ্রেক হওয়া স্বাভাবিক।

যাই হোক, আমার এ লেখাটি যদি প্রাঞ্জল হয় নি মনে করেন, তাহলে আমাকে ধরিয়ে দিতে পারেন, সেখানে যথাযথ চিহ্ন বসিয়ে দিব।

ধন্যবাদ দোহারের মানুষ। ভালো থাকুন। অনেক শুভ কামনা।

১২| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: এভাবে নিত্য তাড়া করে দুরন্ত এক ষাঁড়, অলঙ্ঘ্য আতঙ্ক যার নাম;
প্রতিটি পঞ্চবর্ষে মহান উৎসবের ভেতর যাঁদেরকে বরণ করি অতিশয় স্বস্তির আশ্বাসে, তাঁরা এ শ্বাপদ ষাঁড়ের শিং ও পা ভেঙে গুঁড়ো করে আমাদের জীবনে এনে দেবেন আরাধ্য সুখ ও শান্তি-


প্রতিটি পঞ্চবর্ষে মহান উৎসবের ভেতর যাঁদেরকে বরণ করি অতিশয় স্বস্তির আশ্বাসে, অলঙ্ঘ্য আতন্ক ধারী এক দুরন্ত ষাড়ের তাড়া দিয়ে তারাই কেড়ে নেন আমাদের জীবনের আরাধ্য সুখ ও শান্তি ।


একটু ঘুরিয়ে দিলাম কবি ।

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘুরিয়ে খুব সুন্দর প্রকাশই করেছেন মামুন ভাই।

এ অতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে খুব ছটফট করছি। জানি না এর শেষ কোথায়।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনিশ্চিত জীবন !
আজ খুব বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। দুই দিন বেড়িয়ে খালার বাড়ি থেকে ( ঢাকা থেকে ) আজ সরাসরি অফিসে এসেছিলাম। আমি আর আমার কাজিন ছিলাম রিকশায় । গাধা টাইপ একজনের রিকশায় উঠেছিলাম যে কিনা ঢালু জায়গা থেকে নামার সময় ব্রেক করে নি এবং মুখোমুখি হয়েছি এক প্রাইভেত কারের সঙ্গে। জানি না কি করে আমরা অক্ষত আছি এবং সুস্থ আছি ! ঐ প্রচণ্ড বাজে অবস্থাতেও আমি হাসতে হাসতে শেষ !

এ তো গেল আমার কাহিনী কিন্তু আপনার পোস্টে উল্লেখিত যে সব অনিয়ম সেগুলোর কি হবে জানি না । তবে জবাবদিহিতা নাই বলেই অপরাধ প্রবনতা বাড়ে, কোথাও না কোথাও কারো না কারো ক্ষমতাবান লোক বসে থাকে যে কারণে হাজার হাজার বা শয়ে শয়ে লোক খুন করার পরেও তারা দিব্যি অন্যদের চেয়ে ভালো অবস্থায় সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকে। আর মার খাই আমরা গরীবেরা।

লেখালেখিতে নিয়মিত হচ্ছেন না কেন ভাইয়া ?

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, প্রথমেই আল্লাহকে শুকরিয়া জানাচ্ছি একটা ফাঁড়া থেকে অক্ষত অবস্থায় জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন সেজন্য। আল্লাহ সুমহান।

অবশ্য লেখার পয়েন্টগুলোকে 'অনিয়ম' বললে এগুলোকে খুব ছোটো করেই দেখা হয়। 'অনিয়ম' সচরাচর সেগুলো যেগুলো দাপ্তরিক, বা যার ফলাফলে কোনো প্রাণহানি নেই, অর্থনৈতিক জোচ্চুরি ছাড়া। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়ংকর প্রতিকূল, নিয়ন্ত্রণবিহীন একেবারেই। এতো অপরাধ, আর খুনাখুনি- স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো নিশ্চয়তা নেই। না জানি কোথায় কখন কোন্‌ দুর্ঘটনায় পড়ে গেলো ছেলেমেয়েস্ত্রী, মা-বাবা-ভাই-বোন-বন্ধুরা, কিংবা আমি নিজেই। এর নাম আতংক।

ভালো থাকুন আপু।

১৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

শাহেদ খান বলেছেন: কেমন আছেন?

প্রোফাইলের লেখাটা পড়লাম। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অবশ্যই জরুরী, তাই বলে লেখা ছেড়ে দিতে হবে কেন? যা করছেন, তা আপনার বর্তমানের জন্যে; কিন্তু যা লিখছেন - তা কিন্তু রেখে যাচ্ছেন ভবিষ্যৎ পাঠকদের জন্যেও। লেখা'র ফলাফল শেষ হয়ে যায় না, লেখা রয়ে যায়।

আমার মত অনিয়মিতভাবে হলেও লিখতে আসুন মাঝে মাঝে। ভাল লাগবে।

ভাল থাকবেন, সবসময়।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শাহেদ ভাই। আপনার কথা মতোই ব্লগে মনোযোগী হতে চেষ্টা করছি। পেরে উঠছি না, এই আর কী।

ভালো থাকবেন শাহেদ ভাই।

১৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার জন্য শুভ কামনা থাকবে

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী।

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২২

~মাইনাচ~ বলেছেন: 10m bhalo laga

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাইনাচ ;)

১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২৫

~মাইনাচ~ বলেছেন: e bhabei cholbe jibon, tai bole ki poth chola thamiye beya jabe????

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এভাবেই জীবন চলবে, পথ চলা থামবে না।

১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৯

বৃষ্টিধারা বলেছেন: সব কিছু কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে দিন দিন :| :|

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কে দায়ী এর জন্য?

২০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৬

বৃষ্টিধারা বলেছেন: জানি না । মাঝে মাঝে তো নিজেকেই দায়ী মনে হয় :(

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের গোটা সমাজ বা সমাজব্যবস্থাই দায়ী- আমরা সমাজের অংশ, কিংবা আমরাই সমাজ গঠন করি। অতএব, দায়ী আমরাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.