নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১
সন্ধ্যা হলেই সারা বাড়ি ভরে লুকোচুরি খেলার ধুম পড়ে যেতো। পিয়ারীবুবু আমার ছোট্ট শরীরের সবটুকু তার বুকের ভেতর লেপ্টে পেলব হাতে আমার চোখ বাঁধতেন। পোলাপানেরা দৌড়ে কোণাকাঞ্চিতে লুকিয়ে চিকন ও লম্বা ‘টুউউউ’ শব্দ করলে বুবু আমাকে কোল থেকে ঠেলে দিয়ে বলতেন- ‘যা, ছু’। হাওয়ার বেগে ভোঁ ভোঁ ছুটে গিয়ে যে কাউকে ছুতে পারলেই সে ‘গাভী’।
পিয়ারীবুবুর বিয়ে হয়ে গেলে অনেকদিন অমন মজা করে লুকোচুরি খেলা হলো না। পিয়ারীবুবুর বিরহে আমার খুব কান্না পেতো।
যুদ্ধের সময়ে পাখিবুবুরা গ্রামে চলে এলেন। আমাদের তখন কী অস্থির সময়; কিছু বুঝি, অনেকখানিই বুঝি না।
কিছুদিন পর আবারও আমাদের সন্ধ্যাগুলো মুখর হলো। আঁধার নামলেই তড়িঘড়ি জড়ো হই। পিয়ারীবুবুদের সেই ঘরের দাওয়ায়, যেখানে বুবু আমাকে খুব ঘনিষ্ঠ করে কোলে চেপে বসতেন, পাখিবুবুও বসেন। বুবুর কাছে দৌড়ে ছুটে যাই 'গাভি' হবো বলে; কিন্তু তাঁর কৃপানজরে পড়ি না, ‘গাভি’ও হতে পারি না; ‘গাভি’ হতে কোনো গর্ব নেই, সবচেয়ে নিঃস্ব, অপারগ ও ছাপোষা পোলাপানই ‘গাভি’ হবার যোগ্যতা রাখে। ‘গাভি’ হবার যন্ত্রণা, কষ্ট ও বিড়ম্বনা সবচেয়ে বেশি; ‘গাভি’র কোনো আনন্দ নেই; ‘গাভি’কে সবাই খাবলে খামচে ঘা করে দেয়; আমি পিয়ারীবুবুর কোল থেকে লাফিয়ে নেমে এক দৌড়ে সবাইকে তাড়া করেও কাউকে ছুতে পারি নি; আমি সারাজীবন খামচিখাওয়া ‘গাভি’ই হতে চেয়েছি।
একদিন ‘গাভি’ হবার বাসনায় পাখিবুবুর কোলে বসতে উদ্যত হতেই বুবু ভর্ত্সনা করে বলেছিলেন, ‘বুইড়া পোলা...., যা সর্।’
পিয়ারীবুবুর জন্য আমি অনেক কেঁদেছি। পাখিবুবুর জন্যও গোপনে গোপনে কেঁদেছি অনেকদিন। আমি ‘বুড়ো’ হতে হতে অনেক বড় হয়ে গেছি, বুবুরা আমাকে মনে রাখেন নি; আমিও তাঁদের ঠিকানা জানি না।
যে মেয়েটি আমাকে জীবনে প্রথম ফুল দিয়েছিল, আর অপূর্ব কিছু হাসি, ভাঙা কয়েকটি শব্দে একটা চিঠি, আর বলেছিল আমাকে তার ভালো লাগে, আমি তাকে সুদীর্ঘ কিছু চিঠি লিখে কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলাম। অনেক অনেক দিন পর ধলেশ্বরী নদীর তীর ধরে ধু-ধু দূরে একটা মেয়েকে হেঁটে যেতে দেখে মনে হয়েছিল- ওর নামই হতে পারে আফরোজা।
পারুলআপা একদিন এ্যালবাম ঘেঁটে আমার সবচেয়ে ফুটফুটে ছবিটা হাতে নিয়ে বললেন, ‘এটা আমি নিলাম। ঘরে ঝুলিয়ে রাখবো, বুঝলে খোকা?’ আর আদর করে আমার নাক টিপেছিলেন। আমি তিনদিন চুরি করে পারুল আপার ঘরে ঢুকেছিলাম। আমার বুক আজও পুড়ে যায়। পারুল আপা আমায় ফাঁকি দিয়েছিলেন।
আরও একটা ঘটনা জীবনে প্রথম ঘটলো, এই সেদিন, এই অর্ধ প্রৌঢ়ে এসে। মহীয়সী বললেন, ‘আপনি চিরকালই আমার মন জুড়ে থাকবেন।’ ........... তারপর তিনিও তাঁর কথা রাখতে পারেন নি।
২
নূরপুর মাঠে পৌষসংক্রান্তির মেলা। সারা বছরের সমস্ত সাধ জমা করে রাখি, কবে আসবে পৌষসংক্রান্তির দিন। তুমুল ঘোড়দৌড়, পাগলা ষাঁড়ের তেঁজ, মুরলি-চানাচুর- কী যে নেশা।
মেলার দিন ভোর হতেই অস্থির হয়ে উঠি। পাড়ার সাথীরা মিলে জটলা করি, সময় কাটে না কখন বিকেল হবে।
আবুল, নুরু, জসিম, আরও অনেকে। আমি দুপুর হতে না হতেই প্রস্তুত হয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করি।
‘নু, যাবি না?’ আমি, আবুল আর নুরুকে তাড়া দিই।
নুরুদের গরুগুলো তখনও চকের ক্ষেতে ঘাস খায়; আবুলেরও দেরি হয়ে যায় কী কারণে জানি না। আমি ওদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। দুয়ারে অস্থির পায়চারি।
আবুল আর নুরু, ... ওরা কখন আমাকে ফেলে মেলায় চলে যায়, আমাকে ডাকেও না।
৩
ছোটো খালা আমাকে খুব আদর করতো ছোট্টবেলায়। কোঁচড়ভর্তি মোয়া আর রঙ্গিন নেবুনচুষ নিয়ে আসতো আমার জন্য, প্রতিবারই আমাদের বাড়িতে আসবার কালে। নানাবাড়িতে গেলে সারাদিন আমাকে নিয়েই মেতে থাকতো ছোটো খালা। আমি ছোটো খালার কলজের টুকরো ছিলাম।
ছোটো খালার বিয়ে হয়ে গেলে বেশি সময় আমি খালাদের বাসায়ই থাকতাম। খালা আমাকে কতো আদর করতো!
আমার খালাতো ভাইবোনেরা বড় হতে হতে খালার আদর কমতে থাকলো না।
একদিন খালা আমাকে খুব কষ্ট দিল। আমার চোখ বেয়ে পানি পড়ে গেলো। খালা তা বুঝলো না বলে আমার বুক ফেটে যেতে থাকলো। খালু সেদিন বাজার থেকে অনেক বড় একটা ইলিশ মাছ এনেছিল। ইলিশটার পেট ভর্তি ছিল ডিমে। ডিম আমার অনেক ভালো লাগে। সব ভাইবোন মিলে খেতে বসলাম। খালা দু টুকরো ডিম দু খালাতো ভাইবোনের পাতে তুলে দিয়ে আমাকে দিল পিঠের কাঁটাঅলা মাছটা। আমি মনে মনে খুব কেঁদেছিলাম। আমি তো খালার হাতের ডিমের টুকরো চাই নি, খালা আমার কথা আর আগের মতো ভাবে না- কেবল এটাই আমার বুকে তোলপাড় ঢেউ তুলতে লাগলো।
এরপর খালার আদর ভুলে যেতে থাকলাম।
৪
গালিমপুরে আমার এক ধর্মবোন থাকতো। পাখির মতো তার কণ্ঠে ‘ভাইয়া’ ডাকটি কী যে ভালো লাগতো! আমার জন্য সে জান দিত।
একদিন বিকেলে না বলে-কয়ে হীরাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি মহাধুমধাম। হীরার ছেলের মুসলমানি। অনেক আত্মীয়স্বজন। আমাকে দেখে হীরা যে বেজার হলো তা নয়, তবে আন্দাজ করলাম সে বিব্রত হয়েছে; এমন একটা উপলক্ষে আমাকে দাওয়াত করে নি, হয়তো সেজন্য।
খেতে বসে আমাকে দেখে কেউ একজন ‘এই কুটুমকে ঠিক চিনতে পারলাম না’ বললে হীরা শুকনো স্বরে যখন জানালো, ‘উনাদের বাড়ি পদ্মার পাড়ে’, আমি তখন খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম সে এখনই বলবে, ‘উনি আমার অতি প্রিয় বড় ভাইয়া’। আমি আরও ভাবছিলাম, এই বুঝি হীরা অন্তত ‘ভাইয়া’টুকু সম্বোধনে ডেকে উঠে সবাইকে বুঝিয়ে দেবে, আমি এ বাড়িতে অতি সম্মানীয় একজন, নিদেনপক্ষে অপ্রত্যাশিত কেউ নই।
ধর্মবোনের কথাও আমাকে ভুলে যেতে হয়েছে।
৫
ছায়ার ও-পাশে আরেকটা ছায়ার ভেতর গোপন উদ্ভাস
অনায়াস অদূরে নিশ্বাসের ঘ্রাণ
অদিতির এক ফুল অপরূপ কলা হয়ে ফোটে
কবিতার মতো
কবিতাকে মনে পড়ে
কবিতাকে মনে পড়ে ঠিক তার কবিতার মতো
কবিতার কী জানি কী হয়েছিল কোনো এক শরতের ভোরে
আকাশ ছিল না মেঘলা, তার বুকে প্রেমিকের গন্ধ ছিল না
চোখ দুটো উদাস ছিল না, কী জানি কী হয়েছিল কেউ তা জানে না
কবিতাকে মনে পড়ে
তারপর কবিতাকে ছুঁতে গিয়ে ভিখারি হয়েছি, আঙুলগুলো একে একে খসে গেছে,
বর্ণমালারা বিকলাঙ্গ পিঁপড়ের মতো মুষড়ে পড়ে ক্রন্দন করেছে
দূরবর্তিনী প্রেমিকার মতো কবিতা ক্রমশ লাস্যময়ী হয়ে উঠেছে
কবিতা, সত্যিকারেই তুমি জানো না, কখন কবিতা হয়ে ওঠো;
অবশ্য আমারও অনেক অজানা থেকে যায়, কীভাবে তোমার পায়ের ছাপ
থোকা থোকা ফুল হয়ে হেসে ওঠে, তোমার বাহুস্পর্শ শরীরে আগুন জ্বালে,
কীভাবে নীরবে আমার চারপাশে কবিতার বীজ বুনে যাও, মনোরম বৃক্ষের মতো
তারপর সুদৃশ্য কবিতা হয়ে ওঠো!
৬
‘অদ্ভুত সুন্দর লেখো তুমি’। আমার বক্ষে বারুদ উসকে দিয়ে
ঘুড়ির মতো আকাশে উড়তো কবিতা। রাতভর কবিতা লিখে পাতার উপর
অদৃশ্য ছবি আঁকতাম - তারপর ঘোরের মতো ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে আমিও শূন্যে উড়াল দিতাম।
একদিন শাহনাজকে বলেই ফেললো কবিতা, ‘এসব কী লেখে ও? কিচ্ছু হয় না; কবিতা খুব অন্য জিনিস’!
দুঃখের ভেতর কবিতাকে মনে পড়ে
কবিতাকে অহরহ মনে পড়ে
কবিতাকে ভুলে যেতে যেতে মনে পড়ে
৭
পউষের শেষে প্রথম পাতারা ঝরে যায় যেমনি, তেমনি সরে গেছে পুরোনো বন্ধুরা
নতুন বছরের আগের রাতে
ওরা কতো সুগন্ধি ছড়াতো, হর্ষনদীর ফোয়ারা ফোটাতো
শংসাকাহিনী শোনাতো মুখর সকালদুপুরে
তারপর হেসেখেলে যেতে যেতে বলেছে কেবল ওদের কথাই
আমার কথাটি মনেও পড়ে নি
আমার কথাটি মনেও রাখে নি
২৮ এপ্রিল ২০১০/ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০/১ জানুয়ারি ২০১০ রাত ৮:৩১/৯ জুন ২০১৩
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ঠিক বলেছেন আশরাফুল ভাই। স্মৃতি খুব কষ্ট দেয়, যেমন দেয় সুখও। স্মৃতির নাম বিলাসী কুসুম; গন্ধবিধূর ঘুম আর ঘুম
ভালো থাকুন।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঝিম ধরে বসে রইলাম।
একই কাহিনী।
কোথাও পারুলে স্থানে শিরিন। বুবুরাতো চিরকালের বুবু, মালতি বৌদি।
অঞ্জনা, কবিতা, গীতা, রীতা...
স্থান আর সময়ের উনিশ বিশ.
একই চিত্রকল্প যে বিশ্বের কত স্থানে অবিনীত হচ্ছে কে তার ইয়াত্তা রাখে.....
সবশেষে..
তারপর হেসেখেলে যেতে যেতে বলেছে কেবল ওদের কথাই
আমার কথাটি মনেও পড়ে নি
আমার কথাটি মনেও রাখে নি... রাখেনা কেউ।
আমিও কি পেরেছি!?
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও ঝিম ধরে বসে থাকলাম। খুব সুন্দর বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু। দারুণ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ।
বিচ্ছেদের রং একটাই - বেদনা। পৃথিবীর সব ট্র্যাজেডির ইফেক্ট এজন্য একরমই হয় - দীর্ঘশ্বাস ও হৃদয়-ক্ষরণ। পারুল, শিরিণ, আফরোজা, সীতা, গীতা, পার্বতী, সাবিত্রী, রাজলক্ষ্মী- একাধারে মিশে যায়।
ভালো থাকুন ভৃগু।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক নস্টালজিক হইলাম ভাইয়া ! খুব সুন্দর কিছু ঘটনা, বর্ণনা আর এক কিশোরের অভিমান যেন দেখলাম এই লেখায় ! প্রিয়তে নিলাম
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজস্ব এমন একটা বৈশিষ্ট্য থাকা চাই যা তোমাকে আজীবন তোমার কাছে বড় করে রাখবে। ... আমি তাকে সযত্নে লালন করি... আমার অভিমান।
রাগ নয়, অনুরাগও নয়। সময় শ্যেন পাখি। গর্তে ঢুকে যাচ্ছি, কিংবা গহ্বরে। কেউ দেখে না, জানে না, বোঝে না। অভিমান... আমার সম্পদ।
পড়ার জন্য এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: কবিতা পড়তেই আসি আপনার ব্লগে, তাইতো পড়ছি । কিন্তু এ কী !! এ তো কবিতা নয়, গল্প । মনে মনে খুশি হয়েই বুবুদের গল্প পড়ছি, আবার দেখি এটা কবিতা হয়ে গেলো !!
কবিতা-গল্পের গোলক ধাঁধার চক্করে বেশ লাগলো ++
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আইডিয়াটা ঠিক। নিচে শাহেদ ভাইও এটা উল্লেখ করেছেন। একটা গল্পকে কবিতার আদলে উপস্থাপন নয়, কিংবা কবিতাধর্মী গল্পও নয়- এটা একটা গল্পই। গল্পটাকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এই যা। এরপর যদি লক্ষ করেন 'কবিতা'র সাথে অভিমানের কথাগুলো- লেখকের মনোবাঞ্ছা কবিত্বের প্রতিই। শেষমেষ লেখক নিজেও ধন্দের মধ্যে পড়ে বিপাকগ্রস্থ- পুরোটাই একটা কবিতা নয় তো! এবার ট্যাগ দেখুন
অনেক ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই।
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
শাহেদ খান বলেছেন: অবহেলা-অভিমানের এমন গল্পগুলো সবার জীবনেই বোধহয় এমন অসংখ্য টুকরো স্মৃতি হয়ে ছড়িয়ে থাকে ! আপনার লেখায় আপনার গল্পের সাথে সাথে অনুভূতিগুলোও টের পাওয়া যায় !
কবিতার শুরুতে ওই গল্পগুলো বলে কবিতা পড়ার একটা আবহ পর্যন্ত তৈরি করে দিলেন ! অভিনব উপস্থাপন !
+
আরেকটা কথা। এমন লেখনী নিয়েও আপনি ক'দিন আগে লেখালেখি বন্ধ করার কথা বলছিলেন ! কেমনটা লাগে !!!
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহেদ ভাই, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমাকে ব্লগে পুনর্প্রবেশে উৎসাহিত করেছেন, আপনি তাঁদের একজন।
অনুভূতি! অবহেলা, অপ্রাপ্তির পরিণতি ঠেকে গিয়ে অভিমানে। কিংবা এর উলটোটা। কাঠখড়-পোড়া জীবনে এসব অভিমান ও বেদনানুভূতি থাকবেই। তা মেনে নিয়ে জীবনকে এতো ভালোবাসি।
ভালো থাকুন শাহেদ ভাই।
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সুন্দর এবং বিষণ্ণ কিছু স্মৃতি।
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব। ভালো থাকুন।
৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: মুগ্ধ হলাম আপনার স্মৃতিকথন আর কবিতায়। গালিমপুরের মানুষ এমনিতেই একটু হিংসুটে! দোহারীদের মতো এত মিশুক নয়।
আর আপনার পোস্ট প্রিয়তে।
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হা: হা: হা: গালিমপুরীদের ব্যাপারে খুব মজার কথা বলেছেন। ছোটোবেলায় গালিমপুরের (বা আগলায়) সিদ্ধী পীর সাহেবের বাড়িতে ৭ দিন ব্যাপী ওরস হতো। এখন সেই ওরস হয় কিনা জানি না। খুব মজা করেছি। তা নিয়ে স্মরণীয় কিছু ঘটনাও আছে। এই লিংকের ২৫ নং কমেন্ট দেখুন
ভালো থাকুন সোহাগ ভাই।
৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মুনসী১৬১২ বলেছেন: কি ঘোর কি ঘোর......................................
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকদিন পর যোগাযোগ হলো মুনসী ভাই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৬
বোকামানুষ বলেছেন: হুম কেউ মনে রাখে না হয়তো মনে রাখার মতো যোগ্য নই বলে
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এটাই মনে হয় চিরকালীন ট্র্যাজেডি।
১০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭
বোকামন বলেছেন:
অদ্ভুত সুন্দর লেখনী !!
হারায়ে যায় হারায়ে যায়
নদীর জ্বলে হারায়ে যায়
বয়ে যায় ধুয়ে যায়
স্মৃতিচিহ্ন করে হায় হায়
মায়ার জালে জড়ায়ে যায় ....
সম্মানিত লেখক,
আপনার লেখার সাথে পরিচিত হচ্ছি
এ নিয়ে দুটি লেখা পড়লাম।
সাধারণ পাঠকের শুভকামনা জানবেন :-)
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বোকামানুষ! বোকামন! আমি প্রথমে খেয়ালই করি নি যে এখানে নিক দুটো। আমি খুব গর্বিত বোধ করছি যে আপনি আমার লেখার সাথে পরিচিত হচ্ছেন এবং অলরেডি দুটি লেখা পড়েও ফেলেছেন। অনেক ধন্যবাদ সেজন্য। আপনার কবিতাটাও খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো থাকুন।
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার গদ্য বরাবরই খুব উপভোগ্য, এর আগে দুটো অধিভৌতিক গল্প লিখেছিলেন বেশ আগে! মনে হয় ২০১০ বা ১১ তে, আমার এখনও ডিটেইলস বর্ননা মনে আছে...
এটাও খুব ভাল লেগেছে!
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার স্মৃতিশক্তি খুব ভালো, আপু। পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মোবাইল থেকে পড়েছিলাম। কমেন্ট করা যায় নি তাই। খুব ভালো লেগেছে।
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য আমার এক টুকরো পুরোনো লেখা এখানে কপি-পেস্ট করলাম
****
আজ তুমি কোথাও যাবে না। আজ কোনো কাজকর্ম নয়
আজ তুমি আমার প্রতীক্ষায়
সারাদিন ঘরে বসে একা একা কাটাবে সময়।
আজ শুধু সুখ করবার দিন
আজ সারাদিন তুমি ধ্যানমগ্নতায় হবে আমাতে বিলীন।
নিরালা গৃহের মাঝে আজ তুমি জীবনকে পাবে
বেদনার্ত অতীতের ভুলে গিয়ে সব
সারাঘর তুমি আজ সুবাস ছড়াবে, বুকে ধরে প্রিয় অনুভব।
আজ তুমি কোথাও যাবে না। আজ কোনো কাজকর্ম নয়
নীল-আসমানী শাড়ি পরে আজ তুমি আমার প্রতীক্ষায়
সারাদিন ঘরে বসে একা একা কাটাবে সময়।
১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
কয়েস সামী বলেছেন: ‘অদ্ভুত সুন্দর লেখো তুমি’। আমার বক্ষে বারুদ উসকে দিয়ে ...
কিভাবে লেখেন?
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আর লজ্জা দিয়েন না আশা করি ভালো আছেন।
ধন্যবাদ পড়বার জন্য।
১৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০১
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে পড়ে গেলাম এই কবিতা কবিতা গল্প বা গল্প গল্প কবিতা। অনেক বর্ণিল একটা শৈশব ছিল আপনার
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। শৈশবটা খুবই যে বর্ণিল ছিল তা নয়, বেদনাময়ও ছিল
ভালো থাকুন।
১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
পড়লাম অনেকক্ষণ হলো কিন্তু কী কমেন্ট করমু বুঝতে পারছি না। কৈশোরের দুঃখ অভিমানগুলো নতুন করে সামনে নিয়ে আসলেন।
গ্রেট ওয়ান সোনা ভাই।
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই। কেমন আছেন?
১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৯
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: নস্টালজিক! খুব সুন্দর বর্ণনা।
এক কিশোরের বুক ভরা অভিমান
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এক কিশোরের বুকভরা অভিমান। ঠিক তাই।
নিজস্ব এমন একটা বৈশিষ্ট্য থাকা চাই যা তোমাকে আজীবন তোমার কাছে বড় করে রাখবে। ... আমি তাকে সযত্নে লালন করি... আমার অভিমান।
রাগ নয়, অনুরাগও নয়। সময় শ্যেন পাখি। গর্তে ঢুকে যাচ্ছি, কিংবা গহ্বরে। কেউ দেখে না, জানে না, বোঝে না। অভিমান... আমার সম্পদ।
অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নাতুর আহসান ভাই। শুভ কামনা।
১৭| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
এতো পুরাই অভিমান মাখা স্মৃতিচারণ !
দারুণ লাগলো প্রতিটা ছোট ছোট ঘটনা পড়তে।।
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, অভিমানগুলো বুঝবার জন্য।
নিজস্ব এমন একটা বৈশিষ্ট্য থাকা চাই যা তোমাকে আজীবন তোমার কাছে বড় করে রাখবে। ... আমি তাকে সযত্নে লালন করি... আমার অভিমান।
রাগ নয়, অনুরাগও নয়। সময় শ্যেন পাখি। গর্তে ঢুকে যাচ্ছি, কিংবা গহ্বরে। কেউ দেখে না, জানে না, বোঝে না। অভিমান... আমার সম্পদ।
শুভ কামনা।
১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
কি সুন্দর করে মন খারাপ করা স্মৃতিচারন করলেন। অন্যরকম হতে পারতো এই মানুষগুলো ভালোবাসা যদি সবসময় একই রকম বা সেই মানুষগুলো থাকলে । এই ভাবনাগুলো নস্টালজিক করে দেয় আর কষ্ট দেয়। আমার নিজের কিছু স্মৃতি মনে হয়ে গেল
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই। শুভেচ্ছা থাকলো।
১৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: স্মৃতি থেকে তুলে আনা অভিমান.।.।
শৈশব-কৈশরের অভিমানগুলো যে দূরত্ব তৈরী করে তা হয়ত বড় হয়েও আর কমানো যায় না।অবশ্য বড়বেলায়ও তো আর কম অভিমান হয়না!!
"পউষের শেষে প্রথম পাতারা ঝরে যায় যেমনি, তেমনি সরে গেছে পুরোনো বন্ধুরা
নতুন বছরের আগের রাতে
ওরা কতো সুগন্ধি ছড়াতো, হর্ষনদীর ফোয়ারা ফোটাতো
শংসাকাহিনী শোনাতো মুখর সকালদুপুরে
তারপর হেসেখেলে যেতে যেতে বলেছে কেবল ওদের কথাই
আমার কথাটি মনেও পড়ে নি
আমার কথাটি মনেও রাখে নি"
ভুলে যায় অনেকে,ভুলে যেতে দিতে হয়,কখনও বা ভুলিয়ে দিতে হয় নিজেকে.....
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় মানুষেরা যখন ভুলে যায়, তা খুব কষ্ট দেয়। প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্টের বেদনা অপরিসীম।
অনেকদিন পর আমাদের দেখা হলো আপু। আশা করি কুশলেই ছিলেন।
শুভেচ্ছা।
২০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
রোমেন রুমি বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভীষণ মনে পড়ছে ফেলে আসা পথের কত কথা -
কত অতৃপ্ত বাসনা সাজি চলিয়াছে জীবন পথে পথে ;
এতদূর চলিয়াও যেন জীবন স্পর্শে রাঙ্গা হয়নি পথের ধূলি
তবুও বহিয়া চলিয়াছে জীবন আপনার মনে
ফিরাইবে তারে এই সাধ্য কি আছে জীবনের ।।
মুগ্ধতা ;
সোনাবীজ ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কত অতৃপ্ত বাসনা সাজি চলিয়াছে জীবন পথে পথে ;
এতদূর চলিয়াও যেন জীবন স্পর্শে রাঙ্গা হয়নি পথের ধূলি
তবুও বহিয়া চলিয়াছে জীবন আপনার মনে
ফিরাইবে তারে এই সাধ্য কি আছে জীবনের ।।
বাহ, খুব সুন্দর কথাগুলো। মন্তব্যে এবার আমার মুগ্ধতা। শুভেচ্ছা থাকলো।
২১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০১
সাগর রহমান বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে ঢুকে আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
খুব ভাল লাগল কবি।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি স্বপ্ন দেখছি না তো! বহু বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখছি। এতোদিন কোথায় ছিলেন? ভালো ছিলেন তো মতিউর ভাই।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
স্মৃতিকাতরতা বড্ড খারাপ জিনিস।
অনুভূতির নরম জায়গাগুলোয় আঘাত করে।