নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
তখন পরকীয়া বঁধু আর ঘরের নারীতে অভিন্ন গন্ধ
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নির্যাসে
২৭ জুন ২০১৩
পাদটীকা
এ লেখাটাকে ধীরে ধীরে পড়ুন। প্রথমেই ধরে নিন যে, এটি একটা এক লাইনের কবিতা, এ রকম:
রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
এরপর, আবার পড়ুন। এবার দ্বিতীয় লাইনটি বাদ দিয়ে পড়ুন:
রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
দ্বিতীয় লাইনটা উপমা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা উপরের লাইনের অর্থকে সম্প্রসারিত বা সাপোর্ট করে।
এরপর পড়ুন কেবল মাঝখানের দুই লাইন :
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
একজন নারীর সাথে তুলনীয় এ লাইনটাতে নারীকে কেবল উপমা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নারীর কথা ভুলে গিয়ে অন্য কিছু ভেবে দেখুন তো!
শেষ দুই লাইন আলাদা ভাবে পড়বার সময় হলো? পড়ুন :
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
এ দু লাইন মাঝখানের দু লাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু মাঝখানের লাইনের সাথে না মিলিয়ে পড়ুন। এখানেও নারী? হ্যাঁ। তবে নারীকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবা যায় কিনা দেখুন।
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
আপনার ভেতরের সবচেয়ে নিরেট, খাঁটি, সৎ ও মহৎ বস্তুটাই হলো অমূল্য নির্যাস। আমরা সেই নির্যাসের মাধুর্যই খুঁজে বেড়াই অপর মানুষের মধ্যে।
এতক্ষণ যে কাজটা করলেন, তার নাম বীক্ষণ, বা গভীর বীক্ষণ, যার নাম হতে পারে অণুবীক্ষণ।
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইরফান আহমেদ বর্ষণ। শুভেচ্ছা।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
কালোপরী বলেছেন:
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: পেচগি লাগান কেনু ?
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ পেচগিটা বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ নিন
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত বিশ্লেষণ।
মনে হল কবিতা লিখার ক্লাস করলাম।
এতো সুন্দর করে ধরে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে দ্বিতীয় লাইনের সাথে তার নিচের বাকি চার লাইনের সামঞ্জস্য খুঁজে পেলাম।
ধন্যবাদ।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনে হলো কবিতা লিখার ক্লাস করলাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আর হাসাইয়েন না আরমান ভাই
যা হোক, এত ধৈর্য্য নিয়ে যে পড়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন আরমান ভাই।
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
শ্রাবণ জল বলেছেন: ধুলো ভাই, আপনিই পারেন কেবল।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মনোযোগ আমাকে মুগ্ধ করে আপু। এটা আমার জন্য আনন্দ ও অনুপ্রেরণার। আমি খুব লজ্জার ভেতর আছি যে খুব স্বার্থপরের মতো আমার ব্লগিং হয়ে গেছে, অন্য কারো ব্লগে কদাচিৎ যাওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই খুব ভালোভাবে ফিরব আশা করছি। ভালো থাকুন আপু।
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সায়েম মুন বলেছেন: এভাবে খুলে ফেললে কবিতার স্বাদটা মিইয়ে যায়। ঠিক যেন বেদানাটি। খুললেই লাল টসটসে
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাহলে বুঝুন এবারঃ রহস্য গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
৭| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
মাক্স বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: এভাবে খুলে ফেললে কবিতার স্বাদটা মিইয়ে যায়। ঠিক যেন বেদানাটি। খুললেই লাল টসটসে
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ কথাটা পোস্টের নিচে লিখে দিব ভাবছিলাম। পরে মনে হয়েছিল, কখনো কখনো রহস্যের কিছু হিন্টস পাওয়া গেলে রহস্য খুলে ফেলবার আলাদা একটা আনন্দ পাওয়া যায়। আর পোস্টটাকে একটা কবিতাকে খুলে ফেলবার প্রয়াস না দেখে পুরোটাকেই একটা পোস্ট হিসাবে দেখুন। অবশ্য অনেক আগে অন্যরকম আরেকটা চেষ্টা ছিল
ধন্যবাদ মিস্টার মাক্স, পড়বার জন্য। আর টসটসে বেদানার দানা সাথে সাথে খেয়ে ফেলার মজাটা কিন্তু দারুণ
৮| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মাক্স বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: এভাবে খুলে ফেললে কবিতার স্বাদটা মিইয়ে যায়। ঠিক যেন বেদানাটি। খুললেই লাল টসটসে
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ কান্ডারী
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ভারসাম্য বলেছেন: ফেইসবুকে পড়েছিলাম আপনার এই কবিতা। কেন যে প্যাঁচ লাগিয়ে দিলেন! প্যাঁচ দিয়েই কবিতার প্যাঁচ খুলে ফেলেছেন অবশ্য। কবিতার মাধুর্য কমে গেল।
+++++++++++++++++++++++++++
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, ফেইসবুকেই এ লেখার শুভমুক্তি হয়েছিল হাসান ভাই। আচ্ছা, প্যাঁচ খুলে দিলে কবিতার মাধুর্য কমে যায় এটা কতটুকু সঠিক তা আরেকবার ভেবে দেখুন। ক্লাসপাঠ্য অসংখ্য কবিতার কথা আমরা মনে করতে পারি; কপোতাক্ষ নদ, কবর, জুতা আবিষ্কার, নিমন্ত্রণ, মেঘনাদ বদ- বলুন, এসব কবিতার আবেদন আমাদের কাছে কোনো অংশে কমে গেছে কিনা। সোনার তরী কবিতার গূঢ়ার্থ যখন আমরা জানতে পারি তখন কবিতার অভিনব একটা চমৎকারিত্ব আমাদের সামনে জেগে ওঠে, এবং আমরা বিস্মিত ও মুগ্ধ হই। প্রত্যেকটা পাঠকই কবিতা পাঠমাত্রই তার অনুবাদ করেন; কবিতার ক্ষেত্রে অনুবাদে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, বিশেষ করে আধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে, কবিতা হয় সাংকেতিক, এবং কবিই কেবল এর প্রকৃত রহস্য জানেন; এজন্য রেডিমেড অনুবাদই পাঠককে আনন্দ ও পরিতৃপ্তি দিয়ে থাকেন।
এবার এ লেখার কথা বলি। এটা একটা খেলা। নিচের ব্যাখ্যাটুকু না থাকলে সবাই সবার মতো করে বুঝতো নি:সন্দেহে, কিন্তু আমার ব্যাখ্যাত অর্থের মতো কেউ অর্থ করতেন কিনা তা নিয়ে আমার বেশ সন্দেহ আছে। আমার দেয়া ব্যাখ্যা পাওয়ার পর নিশ্চয়ই পাঠক দেখলেন যে, খালি চোখে আমরা যা দেখি, অণুবীক্ষণে তা ঠিক একই রকম দেখায় না। এটা পাঠকের কাছে একটা সারপ্রাইজ বা চমক হতে পারে।
যা হোক, পুরোটা মিলিয়ে একটা পোস্ট। তবে এটি যদি কখনো কোনো বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে নিশ্চয়ই ব্যাখ্যার অংশটুকু থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য।
এতো কথা লিখলাম এখন ঘুম থেকে উঠবার পর। ব্রেকফাস্ট টেবিলে
ভালো থাকুন হাসান ভাই।
১০| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অণুবীক্ষণ !!
পোষ্টে ++
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি। শুভেচ্ছা।
১১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: সুন্দর
++++++++
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতোগুলো প্লাস!!!!!!!!!! ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
১২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের মতো কবিতা কম বুঝাদের জন্য অসাধারণ একটা কবিতা বুঝার দারুন শিক্ষণীয় পোষ্ট। অসাধারণ ও অনন্য।
আপনাকে আবার ব্লগে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই। চেষ্টা করছি নিয়মিত হতে।
শুভেচ্ছা থাকলো।
১৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মায়াবী ছায়া বলেছেন: বাহ্ ।। ভালো লিখেছেন তো ।।
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'ভালো' লিখেছি- এ সার্টিফিকেট পেয়ে খুব আহ্লাদিত বোধ করছি অনেক ধন্যবাদ মায়াবী ছায়া। শুভেচ্ছা।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
সোহাগ সকাল বলেছেন: রাত দুপুরে মাথাটা ঠান্ডা করে ঘুমাবো কি, দিলেন তো প্যাচ লাগিয়ে। ধুর্মিয়া!
+
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হা: হা: হা: প্যাঁচ তো খুলেও দেয়া হলো সকাল ভাই ঘুম ভেঙেছে?
ভালো থাকুন।
১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন: মাক্স বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: এভাবে খুলে ফেললে কবিতার স্বাদটা মিইয়ে যায়। ঠিক যেন বেদানাটি। খুললেই লাল টসটসে ।
চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন! যেন সোনাবীজকে ধুলো, বালি ও ছাই আকারে প্রকাশ করলেন।
+++++++++++++++++++++
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাস্ট লাইন পড়ে খুব হাসছি
অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন। শুভেচ্ছা।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভালো লাগলো
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের পদার্পণে আমার ব্লগ ধন্য হয়ে গেল মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২১
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: যাক! ! তাহলে অনুবীক্ষন যন্ত্র ছাড়াও অনুবীক্ষন করা সম্ভব??!!
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেখলেন তো !!!!! ধূলির ধরায় সবকিছুই সম্ভব
ধন্যবাদ বটবৃক্ষ~
১৮| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
চাঁদ ~ মামা বলেছেন: বাহ, দারুনতো!
ব্যাখ্যাটা চমতকার করে দিয়েছেন
++
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চাঁদ মামা। শুভেচ্ছা থাকলো।
১৯| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কবিতা ও ব্যাখ্যা দুই এর তুলনা দুই।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী। শুভেচ্ছা।
২০| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: বাহ, নিজের কবিতায় নিজেই বিশ্লেষণ !
কবিতা আর বিশ্লেষণ দুটোই ভালো হয়েছে ।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন রশিদ। শুভেচ্ছা থাকলো।
২১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: "কবিতা" এবং "কবিতা কিভাবে বুঝতে হয়" দুইটাই অসাধারণ হইছে।
রবীন্দ্রনাথ নাকি বলেছিলেন, পাঠকদের কবিতা বুঝায় দেওয়া কবির কাজ না।
আমার মনে হয় উনি আলিস্য জনিত কারনে বলেছিলেন। আসলে কবিতার বড় প্রতবন্ধকতা হচ্ছে পাঠকভাব। অনেকেই কবিতা ভয় পায়, দূর্বধ্যতা ভয় পায়। কিন্তু কিভাবে দূর্বধ্যতা ঘুচবে এটা যদি জানা থাকে তাহলে কিছু হলেও পাঠক বাড়বে। আপনি সেই কাজটিই করলেন। আপনি দেখিয়ে দিলেন কিভাবে কবিতা পড়তে হয়।
বে-লাইনে গিয়ে মনে বেশি বলে ফেললাম। :!>
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রবি কাকা তো দেখছি জ্ঞানের কথাই বলেছেন তবে এটা ঠিক যে, কবিতার অর্থ বুঝিয়ে দেয়া কবির কম্ম নহে এর কারণ হতে পারেঃ ১) কবির অত সময় নেই নিজের কবিতার ব্যাখ্যা লিখবার ২) কবিতার বহুমাত্রিকতা লোপ পাবে কিছু ৩) অনেকে না বুঝেই লেখেন অতএব তাঁর পক্ষে নিজের কবিতা আর পরের কবিতার মধ্যে কোনো তফাত নেই- দুটোই কাছে দুর্বোধ্য (ফান করলাম আর কী )
অনেক আগে ইয়াহু গ্রুপ মেইলে কামরুন নাহার নামক এক কবির কবিতা পড়তাম। তাঁর একটা স্টাইল ছিল। প্রতিটা কবিতার শেষে তিনি ব্যাখ্যা বা সারাংশ বা সারমর্ম নামে আলাদা হেডিঙে কবিতার অর্থ বুঝিয়ে লিখতেন। আমি অর্থগুলো পড়ে খুব অবাক হতাম এ কারণে যে, ওগুলো পড়ার পর কবিতাগুলো নতুন স্বাদে আমার আবির্ভূত হতো এবং কবিতাগুলো আমি আরেকবার পড়তে বাধ্য হতাম। নিচে তাঁর অমন একটা কবিতা দিলাম, এবং কিছুদিন পর এর ব্যাখ্যাটাও নিচে দিয়ে দিব।
****
হয়তো আর বলা হবে না, ভালোবাসি, ভালোবাসি,
সবাক কণ্ঠকে নির্বাক করে দেবে সামান্য কাগজের ফাঁসি।
অন্যের আবেগহীন হাত ধরে
গুয়ানতানামো বন্দরে
ভেড়াবো আমার বহু পথ ঘুরে আসা পরিশ্রান্ত তরী
সারা পৃথিবীর সঙ্গে হবে চেনা-সম্পর্কের ছাড়াছাড়ি।
তখন পেছন থেকে ডেকে
কপালে লাল স্বস্তিক এঁকে
বলো না যেন, ফিরে এসো উজানে,
ম্যাপলে আগুন লেগেছে নিউইয়র্কের উদ্যানে।
বড় বেশি দেরিতে এসেছিল তোমার হিরন্ময় ডাক
আমার ফেরার পথে এখন পাহারা দিচ্ছে চিল-শকুনের ঝাঁক।
আমাকে না হয় নির্বাসনে
সহবাসী হতে দাও শ্বাপদ প্রাণীর সনে।
নরম গালিচাপাতা হোয়াইট হাউস আমার নয়,
প্রার্থনা করো, এ ভীষণ জীবনে হোক
আমার নরম নগ্ন পায়ের ক্ষত-বিক্ষত যাত্রার জয়।
-প্রার্থনা করো, কামরুন নাহার
২২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০১
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: কিছু কবিতায় কবির নিজের ব্যাখ্যা অপরিহার্য হয়ে পড়ে
যা পাঠককে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়ক হয়...
এতে কবিতার লেখার সৌন্দর্য কমে না বরং বাড়ায়।
শুভকামনা নিরন্তর।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আমি আপনার সাথে একমত।
‘সোনার তরী’ পড়ে এর যে সারফেস মিনিংটা আমরা পাই, এর গভীরে যে আরেকটা অর্থ আছে তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের করা। ‘সোনার তরী’র ব্যাপারে এরকম একটা গল্প শুনেছি। এ কবিতাটা প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন পণ্ডিত ও সাহিত্যানুরাগীগণ এর একটা অর্থ দাঁড় করালেন। এতে বর্ষা ও ঝড়বাদলের একটা ছমৎকার বর্ণনা পাওয়া যায়। একদিন পণ্ডিতগণের সাথে রবিবাবুর আড্ডা হলে এ কবিতার অর্থ নিয়ে আলোচনা হলো। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন ও কবিতার একেকটা মনোজ্ঞ সারমর্মের জন্য তাঁদের প্রশংসা করলেন। তারপর বিনয় বিগলিত স্বরে রবি বাবু বললেন যে, তিনি যে-ভাব মাথায় রেখে কবিতাটা লিখেছেন তা অন্যরকম সেই অন্যরকম অর্থটা তখন ভাস্বর হয়ে উঠলো।
তবে আমরা শুধু কবিতার অর্থ বুঝবার জন্যই কবিতা পড়ি না। কিছু না বুঝে কবিতা লেখা যায়, কিছু না বুঝে কবিতা পাঠও করা যায়। এজন্য এর নাম কবিতা- যার অর্থ হলো ‘সৌন্দর্য’।
শুভ কামনা।
২৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৭
নীরব 009 বলেছেন: ১৭ তম ভাললাগা
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীরব ০০৯। ভালো থাকুন।
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
সোমহেপি বলেছেন: রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
তখন পরকীয়া বঁধু আর ঘরের নারীতে অভিন্ন গন্ধ
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নির্যাসে
রহস্য ঘুচে পরকীয়া আর ঘরের নারীতে ভিন্ন গন্ধ হওয়ার কথা।বসন আর ভূষণ খুলে ফেলার পর রহস্য আর কি থাকে?তখন পথ ঘুরিয়ে আপন ঠিকানায় ফেরার ইচ্ছা জাগে।যাই েহাক আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ার সাথে আমার মিলে নাই।
আর আপনার ধারামতে পড়তে গিয়ে আম কাঁঠাল কত কিছু চোখের সামনে চলে এলো দেখি সবগুলোর মধ্যেই ফরমালিন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই যে আপনাকে পাওয়া গেছে এতোদিন কোথায় ছিলেন? ছিলেন তো কুশলে এবং ভালো?
আচ্ছা, সাদা চোখে যা দেখি এবং সরল মনে যা বুঝি তাই নিয়েই কথা বলি। প্রেম বা ভালোবাসায় রহস্যময়তা আছে বলেই তা এতো মাধুর্যময়, তাই না? একটা কৌতুকপ্রদ প্রবাদ হলো বিয়ের মাধ্যমে একটা সফলতম প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। কেন? এতোদিন যে উত্তেজনা ও রহস্যের জগতে ছিলেন, তা মনে হয় বিয়ের পর আর থাকে না ;( এটা হয়তো নিছক কৌতুকই।
প্রেমের সবচেয়ে উত্তেজনার সময় কখন? একটা মেয়ের মন জয় করবার জন্য আপনার কী যে প্রাণান্ত কষ্ট। যেদিন মেয়েটি আপনার হাতে নিজেকে ধরা দিল, সেদিন থেকেই প্রেমটা পানসে হতে শুরু করলো। যাকে চান, কিন্তু কোনোদিনই পান না, তাকে পাবার জন্যই আপনার বাসনা ক্রমশ উদগ্র হতে থাকবে।
ঢাকা বস্তুর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি; নিষিদ্ধ গন্দমের মতো।
এবার মূল কথায় আসা যাক।
সারফেস মিনিংয়েই যাওয়া যাক। যার সাথে আপনার পরকীয়া প্রেম হচ্ছে, সে হয়তো আপনার স্ত্রীর দশ ভাগের এক ভাগও না। কিন্তু পরকীয়া প্রেমের ধর্ম মতে প্রেমিকার প্রতি আপনার ক্ষুধা স্ত্রীর চেয়ে দশ গুণ বেশি এরপর ঘটনাক্রমে এ নারীকে বিয়ে করে ফেললেন। আমার এরূপ অভিজ্ঞতা নেই, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া জ্ঞান থেকে জানা যায়, এ প্রেমিকার প্রতি তখন আর আকর্ষণ থাকে না। এ স্ত্রী আর আগের স্ত্রীতে তখন মূলত কোনো তফাতই পাওয়া যায় না। এর কারণ হলো রহস্য ফুরিয়ে যাওয়া
রহস্যময়তাই নারীর সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য, যার প্রতি পুরুষ আকৃষ্ট হয়। নগ্নতার মধ্যেও যে নারী মধুরতম রহস্য লুকিয়ে রাখে, সেটি অমৃতসম। এর চেয়ে বেশি বলা গুরুর নিষেধ
পাঠপ্রতিক্রিয়া না মেলাটাই স্বাভাবিক, কবিতার মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য তো এখানেই। যা লেখা হয়েছে তার সাদামাটা অর্থটাই বরং বেশি উপভোগ্য। অন্যদিকে, এর মূল মর্ম আমি যেভাবে দেখালাম এ অর্থেই আরো আকর্ষণীয় ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব, ঠিক কিনা?
যাই হোক, অনেক গান গাওয়া হলো। এবার ইতি টানা যাক ভালো থাকুন ইমন ভাই।
২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১১
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: ওরে ভাই মাথা টা তো ১৮০ দিগ্রি কোনে ঘুরিয়ে দিলেন!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
যাই হোক, শুভ কামনা থাকলো।
২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুনে একটা ব্যাপার। চমৎকার বিশ্লেষন করে দেখিয়ে দিয়েছেন একটা সুন্দর কবিতা কিভাবে লিখতে হয়। কবিতা মানেই শুধু অশ্লিলবাক্যলাপ নয় বরং দৈহিক শিল্পকে সুন্দর এবং কবিতার মেটাফোরে পরিনত করা।
অনেক ভালো লাগল সোনা বীজ ভাই!!
ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই। আপনার ভালো লাগার উচ্ছ্বাস আমাকে অশেষ আনন্দ দিল। ভালো থাকুন।
২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পরীক্ষার প্যাচে ফেলে গেছিলাম।
দারুন।
বরাবরের মতই আপনার চমৎকার পোস্ট।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। পরীক্ষা কেমন হলো? আশা করি ভালো।
শুভ কামনা থাকলো পরীক্ষার জন্য।
২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতা খুব ভালো লাগলো ! খালি চোখে অনেক কিছুই আমরা দেখি না বা দেখতে চাই না বা বুঝতেও চাই না। কিন্তু নির্যাস যেটা সেটা অস্বীকারের উপায় নাই। সময়ের আবর্তে অনেক কিছুই গুরত্ব হারায় বা কিছুটা ফিকে হয়ে যায় !
আপনি আবার ডুব দিয়েছেন ব্লগ থেকে ! ব্যস্ততা ?
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না আপু, ডুব দিই নি। তবে একটা কন্ট্রোলের মধ্যে রাখছি নিজেকে আমরা কর্মজীবনে কমবেশি সবাই ব্যস্ত, তবে ক্রিয়েটিভিটির জন্য কর্মব্যস্ততা কোনো প্রতিবন্ধক না।
গতকাল আলাউদ্দিন ভাইয়ের পোস্ট থেকে কয়েক লাইন পেলাম, কিন্তু রাতে ঘুমোবার সময় আবার অন্য কয়েকটা ছত্র হারিয়েও ফেললাম। কী যে যন্ত্রণা
**
পাঁজর ফুঁড়ে তীব্র বেরিয়ে পড়ে জ্বলন্ত আগুন, টগবগে বাঘ। তোমার বুক খুঁড়ে হন্যে হয়ে খুঁজি, গহিন অরণ্যে গেঁথেছ কার নাম!
২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই !
বড় খাটি কথা বলেছেন।
মাথার মধ্যে সুনামি শুরু হয়ে গেছে।আধা ঘন্টা ধরে কবিতা আর মন্তব্যগুলা পড়ছি!একটু একটু বুঝতে পারছি।
শুভ কামনা রইল।
+++++
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোনশেদ শুভ্র। আসলে কবিতার অর্থ ‘অনাবিষ্কৃত’ থাকাটাই সবচেয়ে বড় রহস্য, মাধুর্যও সেখানেই। অনেকের মতে কবিতার কোনো অর্থ হয় না, হয় অনুবাদ। এ অনুবাদের কাজটা নিভৃতে ঘটে পাঠকের মনের ভেতরে। একেক পাঠকের অনুবাদ একেক রকম। সেখানেই কবিতার মূল মাহাত্ম্য। তবে, আমি কোনো কোনো কবিতা না বুঝেও অনেকবার পড়ে ফেলি। পড়তে ভালো লাগে, মনের ভেতরে এক ধরনের আনন্দের সৃষ্টি হয়। অতএব, আপনি একটু একটু বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা এরকম না হয়ে হতে পারে যে, পড়বার পর আপনার কাছে কবিতাটার অর্থ যা মনে হয়েছিল তার সাথে আপনার মিল হয় নি। মিলে না যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুতরাং, চিয়ার্স। কবিতা আপনি ঠিকই বুঝেছেন।
৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
এমন ক্লাশ কিন্তু নিয়মিত করতে চাই।
কবিতা অসাধারণ লেগেছে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ক্লাস না আলাউদ্দিন ভাই, পোস্টটা একটু অন্যভাবে দিলাম এই আর কী। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩১
ফারিয়া বলেছেন: বিশ্লেষনী লেখায় অভিভুত হলাম, এমনি কিছু ভাবছিলাম লেখব, আপনার লেখায় খুব সামগ্রিকতা দেখে খুশি হলাম। অনেকদিন পর এসেছি, কেমন আছেন জানাবেন আশা করছি! কবিতাটি হয়ত নিজের কাছে অন্য অর্থবহন করতে পারে, প্র্ত্যেকের জন্য!
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি আপু। আশা করি সুস্থ ছিলেন, সুখে ও আনন্দে ছিলেন।
হ্যাঁ, লেখাটার অন্য কোনো অর্থ তো থাকতেই পারে, যে যেভাবে অর্থ করেন।
ধন্যবাদ আপু পড়বার জন্য। শুভ কামনা থাকলো।
৩২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এ শহর ছেড়ে তোর চলে যাওয়ার কথা শুনে !!
কে শহর ছেড়ে চলে গেছে না গেছে তার জন্য আপ্নি আমাদের শাস্তি দিবেন! ! এইটা কি ঠিক !?
প্রথমে মনে হল বাহ! দারুনত
২য় বার মনে হল কিছুটা বুঝেফেলেছি
৩য় বার মনে হল আগেরবার যেটা বুঝেছিলাম তাতে ভুল ছিলো ,এবার অন্য কিছু বুঝিলাম
৪য় বার :-<
বিক্ষন অনুবিক্ষন পর্যবেক্ষণ
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হা: হা: হা: আপনি তো আমার মাথাটায় প্যাঁচ লাগিয়ে দিলেন আপু তবে, কমেন্ট খুব মজার হয়েছে- ১ম, ২য়, ৪য় বার .... হাসতেই আছি
এ শহর থেকে যে চলে যাবার, তার পায়ে কোনো বেড়ি নেই;
সে তার ঘর বেঁধেছে আকাশে, এবং বাঁচে সে আকাশেই।
গভীর কূয়ো খুড়ে তার জন্য কুড়িয়ে আনলাম একটি শব্দ
হাত পাততেই খা-খা করে যে-শব্দটি জ্বলে উঠলো, তার নাম ‘শূন্য’
৩৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
রোমেন রুমি বলেছেন: আবার ও মজা পেলাম ।
ভল লাগল ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভেচ্ছা।ধন্যবাদ রোমেন রুমি।
৩৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
রাইসুল নয়ন বলেছেন:
আপনার সাথে পরিচয় মাধ্যম আমার," সনেট লেখার অপচেষ্টা",
আর শ্রাবণ জল এর দেয়া লিংক ধরে আপনি এসেছিলেন, যার জন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
আমি যা লিখি তা কবিতা হয় কিনা সে ব্যপারে আমি সন্ধিহান।
সময় পেলে এসে কিছু বলে যাবেন অনুরোধ রইলো।
অপেক্ষায় থাকবো।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাই, আমিও আপনার মতোই একজন। যা খুশি তা লিখি, তার কতটুকু কী হয় তা কে জানে।
আপনার ব্লগে যাই তো!
শুভেচ্ছা।
৩৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুক
(কিন্তু) রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই (অর্থাৎ অমৃত পানের পরে রহস্য শেষ মাধুর্যও শেষ)
আমার মনে হল এই উপসংহারটুকুই আপনি ইচ্ছা করে প্রথমে দিয়েছেন।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণী ক্ষমতা অসাধারণ। আদিতে এটা একটা এক লাইনের কবিতাঃ রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই। এ লাইনটাকে এ্যামপ্লিফাই করার জন্যই পরের লাইনগুলোর অবতারণা।
৩৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ওহ, কবিতাটা কিন্তু অসাধারণ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম। ইদের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।
৩৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
বোকামন বলেছেন:
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নির্যাসে
দারুণ !
ভালোলাগা জানালুম :-)
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন। ভালো থাকুন। ইদ মুবারক।
৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
ডট কম ০০৯ বলেছেন: কিরাম জানি আউলাইয়া গেলাম।এত বুদ্ধি আমার মাথায় নাই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হঠাৎ করে এখানে এলেন কী করে?
৩৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: ঘুরতে ঘুরতে আপনার বাড়ির পাশ দিয়াই যাইতাছিলাম হঠাৎ কইরা কেডায় জানি কক্টেল ফুটাইলো।
দৌড় দিয়া ভিতরে হান্দাইলাম।হান্দাইয়া পুরাই আউলাইয়া গেলাম।
এক গ্লাস শরবত ও খাওয়াইলেন না।
এইডা কিছু হইল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হায় হায় বলেন কী। আমার বাড়িতে ককটেল মারলো কে? আমি অনাহত আছি তো?
যাই হোক, আসুন, বাসায় বসুন, চা-নাস্তা খান দেখি
৪০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
এম মশিউর বলেছেন: এখনো রহস্যের মধ্যেই আছি। কবে ঘুচবে, কে জানে।।
কবিতা পাঠে মুগ্ধ! একেকটা লাইন, একেকটা কবিতা!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মশিউর ভাই। কীভাবে যেন কমেন্টটা আগে চোখ এড়িয়ে গেছে- এত সুন্দর কমেন্ট।
ভালো থাকুন।
৪১| ২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//আপনার ভেতরের সবচেয়ে নিরেট, খাঁটি, সৎ ও মহৎ বস্তুটাই হলো অমূল্য নির্যাস।//
লেখাটি কীভাবে দৃষ্টি আড়ালে চলে গেলো!
আমার মনে পড়ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা...
“তোমরা জামা-কাপড় আর বাইরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এত ব্যস্ত হও যেন ভেতরের সবই পবিত্র। তোমরা আসলে চুনকালি করা কবর। ওপরে শুভ্রতা, ভেতরে পঁচন। শোন, বাইরে থেকে যা আসে, তা মানুষকে অপবিত্র করে না; বরং ভেতর থেকে যা আসে তা-ই মানুষকে অপবিত্র করে। জিঘাংসা, লালসা, খুন করার ইচ্ছা, ঘৃণা, লোভ, কুপ্রবৃত্তি, প্রতিহিংসা - এসব ভেতর থেকে বাইরে এসে সমাজ সম্পর্ক পরিবার ও রাষ্ট্রকে করে কলুষিত, পঁচা ও দুর্গন্ধময়।” (সংগৃহীত)
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটাও কীভাবে যেন মিস হয়ে গিয়েছিল। খুব সুন্দর কমেন্ট প্রিয় মইনুল ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++++
ভাল লাগলো