নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজ্ঞেয়

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১



হাত ধরো। এই সোজা আলপথ ধরে হাঁটো। দেখো, একটু পরই বাঁকা পথ, উঁচু-নিচু, পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত। ছায়া ছায়া আলো। আমরা অন্ধকারতম গুহার ভেতরে ঢুকে গেলে অকৃত্রিম দুর্বোধ্যতায় এরপর অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকবো।





একটা উলটো মানুষ খুঁজি;

১০ ফুট ৫ ইঞ্চি উঁচু অথচ ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি দেখি না

দাঁড়ালে পা দুটো মাটিতে

হাসলে কাঁদে না, খিদে পেলে খাবেই

সে যদি সম্মুখপানে হাঁটে, দৃষ্টি সম্মুখে

আমি উলটো মানুষ খুঁজি।



সে যদি গান গায়, কণ্ঠে অমৃত ঝরে

সে যদি কথা বলে, বিমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে যাই

সে যদি কাছে ডাকে, সব পাওয়ার বন্যায় ভাসি



সে যদি উলটো হয়ে বসে...উলটো দেখি না কিছুই

এমন একটা উলটো মানুষ খুঁজি।





অদৃশ্য আধার থেকে নেমে আসেন মনস্বী সুপুরুষ

ধীর, শান্ত কদমে

চোখে তার গভীর মনীষা। নিঃস্বার্থ বাৎসল্যে বাড়িয়ে দেন

দিঘল অগৌর হাত। তারপর কাছে এসে ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে

অস্ফুট স্বরে কহেন: চলো।



হ্যামিলনের বাঁশিঅলা! এ এক অনন্য জাদুর নেশা।

আমি তাঁর তাঁর ছায়ার ভেতরে চলি। সহজ অরণ্যপথ বেয়ে অনন্ত গহিনে

যেতে যেতে

-----------যেতে যেতে

----------------------যেতে যেতে সুরম্য দূর্গের দ্বারে পৌঁছে গেলে

খুলে যায় এক লক্ষ চোখ। তাদের শরীরে অফুরন্ত আলো।

বিমূঢ় সন্ন্যাসীরা তার নাম রাখেন ‘সৌখ্য’।





সূর্যডানায় সালঙ্কারা;

কিম্ভূত গুণ্ঠনে

উর্বশী সারমেয় গজচলনসম্ভবা :

সমবেত স্বরঘেউয়ে

প্রসূত পুরীষে হর্ষে আটখানা।



নির্বোধ কহে, ‘অভ্রান্ত বাণ।’

জ্ঞানবান হাসে, মধুর অজ্ঞেয় রসে।







*২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কবিতায় ১ম ভাল লাগা সোনাবীজ ভাই। প্রত্যেকটা ভাল লেগেছে।সব ওলট পালট হলো বোধ হয়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। এক-আধটু উলট-পালট হলে মাঝে-মধ্যে ভালোই লাগে ;)

শুভেচ্ছা।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: পুরোটা বুঝতে পারিনি, পড়তে ভাল লেগেছে ।


ভাললাগা ++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই। পড়তে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

গতবছর এমন সময়ে লিখেছিলাম, তা আবার উদ্ধৃত করছিঃ

সব কবিতারই কিছু মানে হবে
এ ভেবে কখনো কবিতা লিখি নি
সব ইশারায় সাড়া দেবে তুমি
এমন করেও কখনো ভাবি নি

যখন যেভাবে শব্দরা আসে
ক্রোধ ও কান্না, প্রেম ও দ্রোহে
ওভাবেই ওরা ঠাঁই করে নেয়
আপন গুণ ও গন্ধ-আবহে

যা কিছু লিখেছি প্রেমের জন্য
হয়তো সবই তা নিরেট বর্জ্য
অশ্রু ফেলো না, যেদিন বুঝবে
তোমার জন্য এসব অর্ঘ্য।


ভালো থাকুন মামুন ভাই।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমরা অন্ধকারতম গুহার ভেতরে ঢুকে গেলে অকৃত্রিম দুর্বোধ্যতায় এরপর অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকবো খুব চমৎকার ! লাইনটা ভাবাচ্ছে !!

উলটো মানুষই তো সবচেয়ে বেশী মনে হয় ! আমি নিজেই হয়তো অন্য কারো চোখে উলটো !

তৃতীয় টাতে মুগ্ধপাঠ ! হ্যামিলনের বাঁশিঅলার সুর ধরে লক্ষ আলোকিত চোখের নেশাতেই বোধ করি ছুটেচলা !

৪র্থটা বুঝিনাই ! সালঙ্কারা;গুণ্ঠনে, গজচলনসম্ভবা, পুরীষে শব্দকটার মানেই জানিনা !

খুব ভালো লাগলো আপনার কাব্য পেয়ে !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

প্রিয় অভি ভাই,

বরাবরের মতোই পঙ্‌ক্তি ধরে ধরে আপনার বিশদ কমেন্ট। আমার খুব ভালো লাগে।

আপনি দেখবেন, যাকে আপনি ভালোবাসেন তার সবকিছুই আপনার ভালো লাগে। যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।


সে যদি উলটো হয়ে বসে...উলটো দেখি না কিছুই
এমন একটা উলটো মানুষ খুঁজি।


আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজি, আমার প্রতি যার অপরিসীম মুগ্ধতা আমার যে-কোনো কর্ম ও রঙ্গে। আমার সাত খুনও তার কাছে বেকসুর মাফ হয়ে যায়। এটা কিন্তু দ্বিপাক্ষিক হওয়া খুব জরুরি। তখন তাকেও মনে হবে সকলের মধ্যে অনন্যসাধারণা।

৩ নম্বর সিকোয়েলটা পুরোই ইল্যুশন। আর কিছু ভেঙে দিতে চাই না। ‘রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই।‘ ;)

৪ নম্বরটা একটা ধাঁধা বলা যেতে পারে। এ ধাঁধার পাঞ্চলাইন হলো লাস্ট ২ পঙ্‌ক্তি ;)

স+অলঙ্কার>সালঙ্কার> সালঙ্কারা (স্ত্রী)
গজ>হাতি ;)
পুরীষ> এটার অর্থ বলতে চাইছি না ;)

***

একদিন সন্ধ্যায় আমরা সুগম পাহাড়ের দিকে হাঁটতে থাকলাম। যতদূর হাঁটি, পাহাড় ততটাই উলটো পথে দূরে সরে যেতে থাকে। আমরা অবশেষে পাহাড়ের দুর্গম পথে হারিয়ে গেলাম।

***

আমার প্রেমিকাকে সহজ থেকে ধীরে ধীরে দুর্বোধ্য হয়ে উঠতে দেখলাম।

***

আমাদের সরলরৈখিক জীবনও একদিন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।

***

আমি প্রথমে সরল কিছু কথা বলবো; মনোযোগী হও, কারণ পরের কথাগুলো ক্রমাগত জটিল হতে থাকবে; কিছুই না বুঝে তুমি কেবল অন্ধকারে পথ হাতড়াতে থাকবে।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: কবিতায় +++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নুসরাত সুলতানা। কেমন আছেন?

আমি বলি কী, আপনি ইচ্ছে করেই নিকনেইমটা সংশোধন করে নিতে পারেন। অবশ্য আমার ধারণা ভুল হওয়াও সম্ভব- হয়তো আপনি সজ্ঞানেই নিকনেইমটা এভাবে নিয়েছেন।

ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভিন্ন রকম।
কিন্তু ভালোলাগা আপনার সব পোস্টের মতই।
ভালো থাকুন খুব।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। আপনার সর্বশেষ কবিতা ‘একটা ছোট্ট গল্প’ এখনো আমার মনে অনুরণিত হচ্ছে। আর চোখে ভাসছে ‘পথের পাঁচালি’ ছবির এক বৃদ্ধাকে, যে গান গাইত- ‘হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে।’ এ গানের লিরিক দেখতে পারেন এখানে।

আপনার এ কবিতাটা আপনার সেরা কবিতাগুলোর একটি।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: চারটে লেখা চার স্বাদের...........

আমরা অন্ধকারতম গুহার ভেতরে ঢুকে গেলে অকৃত্রিম দুর্বোধ্যতায় এরপর অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকবো

অদৃশ্য আধার থেকে নেমে আসেন মনস্বী সুপুরুষ
ধীর, শান্ত কদমে
চোখে তার গভীর মনীষা। নিঃস্বার্থ বাৎসল্যে বাড়িয়ে দেন
দিঘল অগৌর হাত। তারপর কাছে এসে ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে
অস্ফুট স্বরে কহেন: চলো


কবির জন্য শুভকামনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমার ব্লগে। এই ফাঁকে আপনে ব্লগেও ঘুরে এলুম। ভালো লেখেন আপনি।

চারটে লেখা চার রকমের- একদম ঠিক। কিন্তু এ চারটের মধ্যে একটা সুক্ষ্ম যোগসূত্র রয়েছে, যা কেবল আমিই জানি ;)

শুভেচ্ছা।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

তুষার কাব্য বলেছেন: খুব ভালো লাগলো +++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য। অনেক দিন পর আপনাকে দেখছি। আশা করি ভালো আছেন।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


২ নংটা কিছুই বুঝিনি।

৪ নংটা চমৎকার লাগছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছুই না বুঝতে পারা সম্পূর্ণ আমার ব্যর্থতা। সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ৪ নম্বরটা চমৎকার লেগেছে জেনে সেই দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব হচ্ছে।

ভালো থাকুন কাণ্ডারি।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

সানড্যান্স বলেছেন: একটু বেশী কঠিন লাগতেছে, এত কঠিন কবিতা বুঝিনা। আপনার ভোকাবুলারী তো সেইইই!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ব্লগও ঘুরে এলাম। আপনি ভালো কবিতা লেখেন। ব্লগে আছেন আপনি ২০১০ থেকে, অথচ এতোদিন আপনার কবিতা পড়া হলো না কেন তা ভেবে অবাক হচ্ছি।

আমার ফেইসবুকে আপনি এনলিস্টেড। আশা করি যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চারটা চার রকম হয়েছে।
ভাললাগা থাকল +++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে ব্লগে এর আগে মাত্র একবার মত বিনিময় হয়েছে- আমার গত পোস্টে। আমার ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। আপনাকে অনুসরণে নিয়েছি।

কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

রাইসুল নয়ন বলেছেন:
আস-সালামু-আলাইকুম,

সব বুঝছি!!


প্রতিবার আপনার লেখা যেরকম আমার মাথার উপর দিয়া যায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি!

তবে পড়তে ভালো লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ব্লগে আপনার সাথে আমার মোলাকাত হয়েছিল ‘সনেট’ সম্পর্কিত কিছু আলোচনার মাধ্যমে- ব্লগার শ্রাবণ জল আপনার একটা সনেটের লিংক আমার এক পোস্টে দিয়ে বলেন- দেখেন তো এটা সনেট হয়েছে নাকি? ;) বোঝেন এবার ব্যাপারটা ;)

যাক, আপনার কমেন্টগুলো আমি খুব উপভোগ করছি। আপনার কমেন্টের ভেতর দিয়ে আপনার ‘মনস্বী’ হদয়টাকে অনুভব করছি। নাহ, শব্দটার অর্থ বলা যাবে না ;)

ভালো থাকুন।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: থাকুন শরৎ ভাই। আপনার ফটোগ্রাফির মতো কবিতাগুলোও অসাধারণ।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

এম মশিউর বলেছেন: পড়তে ভালো লাগায় পুরোটা পড়লাম। কি বুঝলাম জানি না। কিন্তু পড়তে অনেক ভালো লেগেছে।

তবে উল্টো মানুষটা যদি আমি হতে পারতাম।। খুব ইচ্ছে, আপনার বর্ণনার মত উল্টো মানুষ হওয়ার!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


১০ ফুট ৫ ইঞ্চি উঁচু অথচ ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি দেখি না


আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দু রকম হতে পারে - পজিটিভ, অথবা নেগেটিভ। পজিটিভ দৃষ্টিতে মানুষের সদ্‌গুণসমূহ পরিদৃষ্ট হয়- অর্থাৎ যার উচ্চতা ১০ ফুট ৫ ইঞ্চি তাকে ১০ ফুট ৫ ইঞ্চিই দেখবেন। বড় মানুষকে আপনি বড়ই দেখবেন, কখনো খাঁটো দেখবেন না বা অবজ্ঞা করবেন না।

আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজি, যার সাথে আমার মনের মিল এমন হবে যে তাকে কোনোদিন কোনো অবস্থায়ই সহজাত সদগুণাবলির বিপরীতে দেখা যাবে না।

আমার ভালো লাগছে যে এমন একটা ক্যারেক্টার আপনি কামনা করছেন।

শুভ কামনা।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

সায়েম মুন বলেছেন: দুই আর তিনটা বেশ লেগেছে।
চারটা পড়তে দাঁত ভেংগে গেল। #:-S
তবে চারটাও ভাল লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবি সায়েম মুনের উপস্থিতি খুব আনন্দদায়ক। আপনি পড়েছেন এতেই আমি ধন্য।
শুভ কামনা।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ৪ নম্বর ছাড়া বাকিগুলা ভালা লাগছে

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম ৩টা যে ভালো লেগেছে সেটা জেনেই আমি খুব আনন্দিত। ধন্যবাদ মাসুম ভাই পড়ার জন্য।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ভালো লেগেছে, সোনাবীজ ভাই। অভিনব।

কিছু জায়গায় কঠিন লেগেছে।
তবু যেন একেকটি ভাবনার হীরক খণ্ড! +

“জ্ঞানবান হাসে, ...অজ্ঞেয় রসে”.... ;)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


জ্ঞানবান হাসে, অজ্ঞেয় রসে
;) মোক্ষম একটা পয়েন্টে আপনার চোখ পড়েছে মইনুল ভাই ;)

যতটুকু ভালো লেগেছে সেটুকুই আমার, বাকিটা আমার প্রার্থনা।

***

এ কমেন্ট লিখবার সময়ে একটা টিভি অনুষ্ঠানে একজন মেয়েশিল্পী গান গাইছিলেন- অঙ্গ যায় জ্বলিয়া রে ভ্রমর কইয়ো গিয়া---- মেয়েটার এক্সপ্রেশন থেকে আমার মনে হচ্ছিল ঐ মুহূর্তে মেয়েটির হৃদয়ে জ্বলছিল অঙ্গার। কী কারণে হৃদয়-মন এভাবে পুড়ে ছারখার হতে পারে একটি মেয়ের? কোনো এক যুবক একদা তাঁকে ভালোবেসেছিল, এরপর আর বাসে নি- এ বিচ্ছেদ তাঁকে অবর্ণনীয় জ্বালা দিবে নিঃসন্দেহে, কিন্তু ভাবুন, অন্য একটি মেয়ের হাত ধরে সে প্রেমিক চলে গেছে- যাদের সুখ আর প্রাপ্তি আকাশ ছুঁয়েছে, আর এ মেয়েটির জীবন ধীরে ধীরে নিভে আসতে থাকে, বেদনা, হতাশা আর যন্ত্রণায়।

****

মইনুল ভাই ভালো থাকুন।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ৪ নংটা বুঝি নাই। :| :|
না বোঝাটাই হয়তো আপনার ক্রেডিট ;)


ডিকশনারী নিয়া পিসির সামনে বসতে ভাল্লাগে না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


৪ নংটা বুঝি নাই।
না বোঝাটাই হয়তো আপনার ক্রেডিট

ডিকশনারী নিয়া পিসির সামনে বসতে ভাল্লাগে না।


এ বিশাল ব্লগসমক্ষে চরমভাবে অভিশংসিত বোধ করছি :( তথাপি জেনে রাখবেন, আপনার প্রতি আমার রয়েছে এক অদম্য অভিরতি ;)

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বোকামন বলেছেন:
লগিন করেই আপনার পোস্টে এলুম !

কী দারুণ লিখেছেন !

“৪” অ সা ধা র ণ ...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় বোকামন,

লগিন করেই আমার পোস্টে আসায় সম্মানিত বোধ করছি। ‘দারুণ’, ‘অসাধারণ’, ইত্যাদি শব্দমালায় আমি অভিপ্লুত। অন্তরের অন্থঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

ভালো থাকুন।

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দাঁড়ালে পা দুটো মাটিতে
হাসলে কাঁদে না, খিদে পেলে খাবেই
সে যদি সম্মুখপানে হাঁটে, দৃষ্টি সম্মুখে
আমি উলটো মানুষ খুঁজি


দূর্দান্ত ভালো লাগা! শুধু এইটুকু নিয়ে একটা ভাবনা কল্প দাঁড় করিয়ে মজা লাগলো! কিন্তু আপনি আমাকে জিতে নিয়েছেন এই অংশটাতে-

......বাঁশিঅলা! এ এক অনন্য জাদুর নেশা।
আমি তাঁর তাঁর ছায়ার ভেতরে চলি। সহজ অরণ্যপথ বেয়ে অনন্ত গহিনে
যেতে যেতে
-----------যেতে যেতে
----------------------যেতে যেতে সুরম্য দূর্গের দ্বারে পৌঁছে গেলে
খুলে যায় এক লক্ষ চোখ। তাদের শরীরে অফুরন্ত আলো।
বিমূঢ় সন্ন্যাসীরা তার নাম রাখেন ‘সৌখ্য’


বাঁশি,- এ এক অনন্য জাদুর নেশা! বহুদিন ধরে ঘুরছি এই বাঁশির পিছে পিছে, তার ছায়ায়, তার মায়ায়, তার সুরে! বাঁশি নিয়ে তাই ভালো লাগাটা অন্যরকম!

নতুন একটা সুন্দর শব্দ শিখলাম- সৌখ্য ! পোস্ট প্রিয়তে অবশ্যই, নাহলে আবার সব ভুলে যাব!


শুভকামনা সোনাবীজ ভাই!



আমি প্রথমে সরল কিছু কথা বলবো; মনোযোগী হও, কারণ পরের কথাগুলো ক্রমাগত জটিল হতে থাকবে; কিছুই না বুঝে তুমি কেবল অন্ধকারে পথ হাতড়াতে থাকবে।


- এই কথাটুকুও দারুণ লাগলো!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় খণ্ডিত ত-কে দেখছি বেশ কিছুদিন পর। কেমন আছেন? মাঝখানে ফেইসবুকে আপনার সাথে যোগাযোগ হলো- ভালো লাগছিল।

আমার কালায় দুপুর বেলায় বটের তলায় বসি
আপন মনে নিঠুর সুরে বাজায় গো আড়বাঁশি
সে যে আমার হৃদয় নিল হরি
এখন আমি কী যে করি, আহা মরি মরি


সেই কিশোরবেলা থেকেই আড়বাঁশির প্রতি আমার তীব্র ঝোঁক ছিল। অনেক চেষ্টা করেছি শিখবার, কিন্তু পারি নি। নিজেকে কতো কল্পনা করেছি এক জাদুকর বংশীবাদক রূপে- অদূরে, কোনো এক গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে ধান উড়ানো যৌবনবতী মেয়ে বাঁকা চোখে ফিরে ফিরে চায়, আমার বাঁশির সুরে সে কুলত্যাগিনী হয়, তার অন্তরের ছটফটানি আমার প্রাণে ঢেউ তুলে যায়- কতো ভেবেছি!

হ্যামিলনের বাঁশিঅলার কথা মনে পড়লেই করুণ বেদনায় মন আচ্ছন্ন হয়। হায়, সেই যে মোহাবিষ্ট শিশুগুলো বংশীবাদকের পিছে পিছে পাহাড়ের আড়ালে চলে গেলো, আর ফিরে এলো না কোনদিনই। কী পরিণতি ঘটেছিল শিশুগুলোর জীবনে? এ কথা ভাবতে ভাবতে মন কেঁদে ওঠে।

অনেক ধন্যবাদ ইফতি ভাই। ভালো থাকুন।

২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আহেম আহেম! এই জেনে খুশি হচ্ছি যে এই কবিতাগুলো আমি ছাড়া আগে কেউ পড়েন নাই!

সোনাভাই,

এর আগে একবার কমেন্টে বলছিলাম কবিতার বিষয় বস্তু ধরার জ্ঞান আমার নেই, তবে আজ আবার পড়ে বলছি কবিতা বোঝার ক্ষমতা না থাকলেও পড়ে যে ভাল্লাগছে তা বলতে দ্বিধা নেই।


ভালো থাকবেন সোনাভাই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার অর্থ জরুরি হয়ে পড়ে তখনই যখন এটা কোনো পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে ;) প্রশ্নের উত্তর একইরূপ হবার জন্য এটা প্রয়োজন। এরকম বিড়ম্বনায় আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথকেই বেশি পড়তে হয়েছিল, যেহেতু তাঁর লেখাই তাঁর জীবদ্দশায় বেশি পাঠ্যবইভুক্ত হয়েছিল বলে আমার ধারণা। ‘শেষের কবিতা‘ থেকে ‘নির্ঝরিনী‘ কবিতা বিশ্লিষ্ট করে ‘মহুয়া‘ কাব্যে অন্তর্ভুক্ত করা হলে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন বিশ্লিষ্ট কবিতাটির একটা সাধারণ অর্থ খুঁজে বের করা দরকার। ‘সোনার তরী‘ কবিতার অর্থ নিয়েও অনেক বিতর্কের সূত্রপাত হলে রবীন্দ্রনাথকে এ কবিতার অর্থ লিখে দিতে হয়েছিল ;) এরকম আরও অনেক ঘটনা থাকতে পারে। টি এস এলিয়টের একটা কথা আছে- কবিতা এমন এক বস্তু যা বুঝে উঠবার আগেই আপনার মনকে আন্দোলিত করবে। আমি এসব মহান ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবান্বিত। উপরে একবার লিখেছি, আবারও দেখুনঃ

সব কবিতারই কিছু মানে হবে
এ ভেবে কখনো কবিতা লিখি নি
সব ইশারায় সাড়া দেবে তুমি
এমন করেও কখনো ভাবি নি

যখন যেভাবে শব্দরা আসে
ক্রোধ ও কান্না, প্রেম ও দ্রোহে
ওভাবেই ওরা ঠাঁই করে নেয়
আপন গুণ ও গন্ধ-আবহে

যা কিছু লিখেছি প্রেমের জন্য
হয়তো সবই তা নিরেট বর্জ্য
অশ্রু ফেলো না, যেদিন বুঝবে
তোমার জন্য এসব অর্ঘ্য।


কীসের অর্থ কীসের কী, মনের ভেতর যে আবেগ খলবল খলবল করে, একবার বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে গেলে ওদের তীব্র ছোটাছুটিতে আর কোনো শৃঙ্খলা থাকা সম্ভব নয়।

অনেক বোদ্ধা বলে থাকেন, কবিতার কোনো অর্থ হয় না, হয় অনুবাদ। আমরা পড়ে যা হৃদয়ঙ্গম করি তা কবিমনের ভাবানুবাদ। কবিতায় কী বলা হচ্ছে, স্বয়ং কবির পক্ষেও হয়তো অনেক সময় সুস্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়, কারণ তিনি যে আবেগের ভেতর থেকে কবিতাটির জন্ম দিয়েছেন, সেই ঘোর কেটে গেলে ঐ কবিতার সূত্র পাওয়াটাও দুস্কর হতে পারে।

ভালো থাকুন সরকার ভাই।

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আবারো কৃতজ্ঞতা।
আপনার ভালোলাগা, পাঠ আমার কাছে অনেক কিছু।

হরি দিন তো গেল... গানটি আমার কাছে ফিমেল ভয়েসে আছে।
খুব ভালো লাগে, কিন্তু মনে করতে পারছিলাম না আগে কই শুনেছি। এখন মনে পড়ছে পথের প্যাচালির কথা।

এই লিংকটি অবশ্য কাজ করে নাই।
ভিন্ন শিল্পী যেহেতু আপনার কাছে থাকলে পাবো আশা আছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা ডাকি হে তোমারে

যাদের পথ-সম্বল আছে সাধন-বল
তারাই গেলো পারে
আমি সাধনহীন রইলাম অকূল পারাবারে
হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে

আমি শুনি, কড়ি নাই যার তুমি তারেও করো পার
তুমি আমায় কি পার করবে নাহে
আমি দীন ভিখারি নাইতো কড়ি দেখো ঝোলা ঝেড়ে
হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে

আমার পারের সম্বল দয়াল নামটি কেবল
দয়া করো মোরে
যারে পাছে এলো আগে গেলো আমি রইলাম পড়ে
হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে

আমার কাছে কিরণ চন্দ্র রায়ের কণ্ঠে খুব দারুণ লাগে। ওটি এখানে


এবার দেখুন সেই কালজয়ী ‘পথের পাঁচালী‘ থেকে সেই গানটিঃ


২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

রাইসুল নয়ন বলেছেন: অ টঃ

শ্রাবণ জলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ!!
ভদ্রমহিলাকে ইদানীং দেখা যাচ্ছে না,তাকে অনুরোধ করতাম সে যেন আমার সব পোষ্টের লিংক আপনাকে দেয় :) :)

আমার ৬/৭ মাসের ব্লগিয় সময়ে যাদের মহা শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছি আপনি তাদের মধ্যে একজন!!

আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার এই সম্মানে খুব গর্বিত বোধ করছি রাইসুল ভাই। এই সম্মান ধরে রাখার জন্য আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবো না, এটুকু কথা দিলাম।

আপনাদের জন্যও অনেক শুভ কামনা থাকলো।

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাকা হাতের কবিতা পড়তে ভালো লাগে।

কবিতা নিয়ে ধারণা খুব কম, তাই কেন ভালো লাগে- এই জিনিসটা ব্যাখ্যা করতে পারিনি কখনো। চুপিচুপি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

শুভকামনা, কবি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন পাকা গল্পকারের এমন মন্তব্যে অহঙ্কারী হয়ে উঠি। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, নিজের প্রতি নিজেকে খুব দায়বদ্ধ মনে হয়।

প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর রায়ের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপিত হলো। শুভ কামনা।

২৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আপনার লেখা তো সবসময় উপভোগ্য, তবে
৪ নম্বরের তুলনা নেই!!

শুভকামনা রইল........

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার লেখা তো সবসময় উপভোগ্য। এমন কথায়ও বুক ফুলে ওঠে ;)

শুভ কামনা, কবি।

২৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১ আর ৩ নাম্বারের "হ্যামিলনের বাঁশিঅলা!" এই অংশটুকু ভালো লাগলো।

ভাইয়া পুরনো লেখা পোস্ট দিচ্ছেন, নতুন বা কাছাকাছি সময়ে কিছু লেখেননি? যদিও এই পুরনো লেখাগুলোও আমাদের জন্য নতুনই।

শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পুরোনোগুলোই জাবর কাটছি আর কী ;) ঘটনা হলো, পুরোনোগুলো এডিট করছি আর এখানে পোস্ট করছি ;)

তবে নতুনগুলো আর নতুন থাকে না ;) কোথাও না কোথাও ওটা পুরাতন হয়ে গেছে ;) এ ব্লগের জন্য নিচেরগুলো নতুন, কিন্তু আপনার জন্য এগুলোও পুরাতন হবার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে ;)

****

এ শহর ছেড়ে যে চলে যাবে, তার পায়ে নেই কোনো বেড়ি;
তবু সে একদিন তার কবির জন্য কেঁদেছিল, অভিমানে
তারপর পাহাড়ের রহস্য থেকে ছিঁড়ে এনে বহুদিন লুকিয়ে রেখেছিল অজর একটি ফুল

গভীর কূয়ো খুড়ে আমিও তার জন্য একটি অক্ষয় শব্দ কুড়িয়ে পেলাম
সে হাত পাততেই খা-খা করে যে-শব্দটি জ্বলে উঠলো, তার নাম ‘শূন্য’

***
সে এক ক্ষণজন্মা পাখি, প্রতিটা গোপন সাঁঝে অরূপ পাথারে নেমে এসে
অলৌকিক সুর তোলে গানে। তারপর রাত্রি শেষে
ফিরে যায়, পেছনে রেখে যায় একগুচ্ছ পদছাপ, ও কয়েকটা পালক

মাটিতে করুণ দাগ কেটে একধ্যানে চেয়ে থাকে বিবাগী বালক

***

যতবার হেলিকপ্টারে লো-অলটিচুডে উড়েছি, উপর থেকে দেখেছি, সরুমুখ ডগা ও সবুজ পাতারা লকলকিয়ে উঠে আসছে আকাশের দিকে। গাছের তলায় দাঁড়িয়ে কেবল নিম্নমুখি জীর্ণ পাতাগুলো দেখেছি - বিষণ্ণ করুণ ও শুষ্ক চোখে মাটির দিকে ঝুঁকে আছে।

***

সাহসীরা তাকায় চোখে। আমি সাহসী নই। তোমার সামনে যতোবার দাঁড়িয়েছি, দিগন্তখোলা ওষ্ঠযুগলে যেখানে রোদ আর হাসি রংধনু হয়ে ফুটে থাকে, সেখানে আমার দৃষ্টি শান্ত ফলার মতো স্থির গেঁথে থাকতো।

***

তোমার চোখে জল ছিল না
আমার ছিল না কান্না
আমরা দুজন পুড়ছিলাম

আমরা দুজন ছাই হয়ে যাই
আমরা দুজন উদাস পথে নিথর হাওয়ায়
নাই হয়ে যাই

***

দুর্বোধ্য বিষয়, তা যদি সারবত্তাহীনও হয়, বেশি মূল্য পেয়ে থাকে।

***

আমি আজ সারারাত ঘুমাবো না
আঁধার-নিগীর্ণ রাতে খুঁজিতেছি আলোকের কণা

************************

এগুলো হয়তো ফেইসবুকে দেখেছিলেন ;)

২৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আরজু পনি বলেছেন:

কী লিখছেন এই সব ! :||

সে যদি কাছে ডাকে, সব পাওয়ার বন্যায় ভাসি...এই লাইনের অঅশপাশ পড়েতো রোমান্টিকতায় ডুবে গিয়েছিলাম !

তারপর আর হুশ নেই ।

পড়তে পড়তে বেহুশ হয়ে গেছি ! :|

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হায় হায় কী বলেন, বেহুঁশই হয়ে গেলেন ;) আপনার জ্ঞান ফেরাবার জন্য কিছু রোমান্টিক লাইন জুড়ে দেয়া যাক ;)

***

মরে গেলেও মরে যাওয়া যায় না
যেমন বেঁচে থেকেও বাঁচবার স্বাদ পায় না অনেকে
আগুনে ঝাঁপ দেয়া যায় না ইচ্ছে হলেই
সহজেই পালিয়ে যাওয়া যায় না ঘর বা জীবন থেকে

প্রতি রাতে ঘুমোবার আগে নিয়ম করে ভেবেছি- এইতো, ভুলে গেছি
ক’টা দিন বাদেই আদিগন্ত অক্ষত ভূমি
কয়েকটা পাহাড় পুড়ে গেছে। বৃদ্ধা বিটপীর বিরহে কয়েকটা নদী
বুক খুলে দেখালো কঙ্কালের দুঃখ। হায়, সেখানেও তুমি!

***

ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।

২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

সোমহেপি বলেছেন: সূর্যডানায় সালঙ্কারা;
কিম্ভূত গুণ্ঠনে
উর্বশী সারমেয় গজচলনসম্ভবা :
সমবেত স্বরঘেউয়ে
প্রসূত পুরীষে হর্ষে আটখানা।

নির্বোধ কহে, ‘অভ্রান্ত বাণ।’
জ্ঞানবান হাসে, মধুর অজ্ঞেয় রসে।

কি সব শব্দ! বেছে বেছে দূবোর্ধ্য করার প্রয়াস!



তোমার চোখে জল ছিল না
আমার ছিল না কান্না
আমরা দুজন পুড়ছিলাম

আমরা দুজন ছাই হয়ে যাই
আমরা দুজন উদাস পথে নিথর হাওয়ায়
নাই হয়ে যাই!!!

এই সব ভালো লাগে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


কি সব শব্দ! বেছে বেছে দূবোর্ধ্য করার প্রয়াস!
ঠিকই ধরেছেন দেখি ;) দুর্ভেদ্য বস্তু, তা যদি সারবত্তাহীনও হয়, অধিক মূল্য পেয়ে থাকে ;) কিন্তু ব্যাপারটা এখানে ভিন্নতর।

তোমায় আমার সব দিয়েছি
তোমার জন্য নহে
তোমার জীবন তোমায় নহে,
আমায় নিয়ে বহে।


ধন্যবাদ ইমন ভাই পড়ার জন্য।

২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন, সজ্ঞানেই নিকনেইমটা এভাবে নিয়েছি।সম্ভবত এ নামে আরও একটি নিকনেইম দেখে। এত কমন নাম , আনকমন ভাবেই নাহয় লেখা থাক।ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সজ্ঞানে নিয়ে থাকলে তো কথাই নেই ;) তাহলে আনকমন স্টাইলেই নিকনেইমটা থাক, আমার কোনো সমস্যা নেই ;)

শুভ কামনা।

২৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

=p~ =p~

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

যারা ভুলে যায়
তারা যায় ভুলে সব
যেজন ভোলে না
সেজন ভোলে না কিছুই
নদীর বুকেও
জেগে ওঠে বালুচর
চরের গহিনে
চিরদিন কাঁদে নদীই।


:( :( :(

৩০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

জুন বলেছেন: ছাই ভাই দুর্ভেদ্য কবিতা লিখে আপনি কি আনন্দ পান বুঝিনা, তবে আমাদের পাঠকদের পাজলে ফেলে আপনি যে আনন্দ পান সেটা কনফার্ম :||

৪ নংটা মনে হয় হাতীর মত চলা কুকুরের কথা বলেছেন :!>
আপনার কবিতা আপনার মতই ভিন্ন মাত্রার
শুভেচ্ছা জানবেন সকালের ....।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, কবিতা মাঝে মাঝে খেলাও হতে পারে ;) এ কবিতাটার রচনাকাল ২০০৮, কবিতামঞ্চ নামক একটা ওয়েবসাইটে, যে-সময়ে কবিতাসংক্রান্ত নানান বিতণ্ডায় খুব মজা পেতুম ;)

৪ নম্বরটা আপনি তো দেখি ঠিকই ধরেছেন, তাহলে আমাকে আবার অপবাদ কেন দিচ্ছেন ;)

ভালো থাকুন আপু।

৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

অদৃশ্য বলেছেন:





কবি

প্রথম দু'টি কবিতায় প্রকাশ্যে ভাবনাগুলো রেখে দিলেন আর ৩য় লিখাটি নিয়ে আপাতত মাথা দৌড়াচ্ছেনা...

আর চতুর্থ কবিতা পাঠ ও তার অর্থ জানিয়া আমার খুব হাসি আসিলেও আমি হাসিতে পারিলাম না, আমি যে জ্ঞানবান নই তাই...

''কিম্ভূত গুণ্ঠনে
উর্বশী সারমেয় গজচলনসম্ভবা :
সমবেত স্বরঘেউয়ে
প্রসূত পুরীষে হর্ষে আটখানা।______ বলুন হাসি আসিলে আমার দোস!


অত্যন্ত চমৎকার সব কবিতা পাঠে পুলকিত হয়েছি...

শুভকামনা...

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কবি,

আপনার মন্তব্যে আমি মুগ্ধ। উদ্ধৃত অংশটুকু আসলে হাস্যরস সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই লিখিত হয়েছিল- সেই সাথে কিছুটা খোঁচাও ;) মুক্তমঞ্চ নামক কবিতা সাইটে কবিতার উপর অনেক রসজ্ঞ আলোচনা যেমন হতো, বিতণ্ডাও কম হতো না ;) এ কবিতাটার পেছনে সেরকম কিছু ইতিহাস আছে।

অদৃশ্য’র জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

৩২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

নস্টালজিক বলেছেন: সে যদি গান গায়, কণ্ঠে অমৃত ঝরে
সে যদি কথা বলে, বিমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে যাই
সে যদি কাছে ডাকে, সব পাওয়ার বন্যায় ভাসি

সে যদি উলটো হয়ে বসে...উলটো দেখি না কিছুই
এমন একটা উলটো মানুষ খুঁজি।





সুন্দর!


শুভেচ্ছা নিরন্তর!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নস্টালজিক ভাই, আপনার উপস্থিতির জন্য। ভালো থাকুন।

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

আফসিন তৃষা বলেছেন: ২ আর ৩ অনেক ভালো লেগেছে। উলটো মানুষ খোঁজার ব্যপারটা সবচে' অন্যরকম :)
৪ নম্বর কি রাগ করে লিখেছেন? প্রসূত *** হর্ষে আটখানা!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লাস্ট লাইন পড়ে খুব হাসতে হলো ;) ;) ঠিক রাগ নয়, মনে হয় জেদ করে লিখেছিলাম ;)

অনেক ধন্যবাদ আফসিন তৃষা।




আপনার কমেন্টে চমৎকৃত হয়েছি কিন্তু।

৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আমার প্রেমিকাকে সহজ থেকে ধীরে ধীরে দুর্বোধ্য হয়ে উঠতে দেখলাম।

***

আমাদের সরলরৈখিক জীবনও একদিন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।

***

আমি প্রথমে সরল কিছু কথা বলবো; মনোযোগী হও, কারণ পরের কথাগুলো ক্রমাগত জটিল হতে থাকবে; কিছুই না বুঝে তুমি কেবল অন্ধকারে পথ হাতড়াতে থাকবে।

আপনি তো দেখছি জাদুকর ভীষণ...
শব্দমালায় আকছেন সুরেলা কূষণ...।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এই মূল্যবান কমেন্টের জবাব দিতে এতো দেরি হলো বলে খুব দুঃখিত।

কবিতার মূলভাব উঠে এসেছে আপনার কমেন্টে। খুব ভালো লাগলো।

শুভ কামনা।

৩৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:


মন্তব্য করার জন্যেও যোগ্যতা লাগে...বিশ্বাস করি এমন...যদিও তার যোগ্য এখনো হয়ে উঠিনি ... তবুও এলাম, সংকোচের সাথে...




এতো ভালো কি করে লিখেন ভাই!
কাঠখোট্টা জীবন যাপনে ...
কঠিন লাগে আমার কাছে!
আপনি তাই সহজ করে দেখিয়ে দিলেন!





শুভেচ্ছা জানবেন :)



১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কথা ধরেই বলতে হয়- কমেন্ট করতে হলেও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা লাগে। এতো সুন্দর কমেন্ট করেন কীভাবে? আমার খুব ভালো লাগলো এই চমৎকার কমেন্টটি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.