নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
কবিতার অর্থ
‘কী যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?’
এতদিন তো ভাবতাম আমিই বোধ হয় একমাত্র ব্লগার যে কিনা নিজের লেখার মাথামুণ্ডু নিজেই কিছু বোঝে না; এখন তো দেখি খোদ দুখুমামারও এ আক্ষেপ ছিল।
আসলে কবিতা যে কী বস্তু আমরা মনে হয় কেউই তা বুঝি না। কিংবা কোনটা কবিতা, কোনটা প্রবন্ধ বা গল্প- এটাও বোধ হয় আমরা সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করতে পারি না। এর কারণ কী? কবিতার বর্তমান স্টাইল বা প্যাটার্ন, নাকি আমাদের বোধের অক্ষমতা?
আমার মাঝে মাঝে বোধের অক্ষমতাটাই এর জন্য দায়ী মনে হয়। কিন্তু কবিতার প্যাটার্ন কি এর জন্য কম দায়ী? ব্লগে অনেক মজার ঘটনা ঘটে; হয়তো একটা দীর্ঘ কবিতা লিখলাম- কেউ কেউ বললেন গবেষণা ভালো হয়েছে, কেউ বললেন ভালো প্রবন্ধ, কেউ বা এটাকে গল্প বলতেও দ্বিধা করলেন না; এবং আমি অবাক হলাম এই কারণে যে কোনো ব্লগারই এটাকে কবিতা হিসাবে উল্লেখ করলেন না। এখানে লেখক হিসাবেও আমার দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে মনে হয়। এজন্য কোনো পোস্টকে (যেটাকে আমি মনে মনে কবিতা বলি) আমি সহজে কবিতা বলে উল্লেখ করি না- ছেড়ে দিই পাঠকের বিবেচনার উপর।
কেউ কেউ বলেন, কবিতা অনুভবের বিষয়, কেউ বলেন এটা অনুবাদের বিষয়। আবার যদি কোনো কিছু না বোঝা যায় তাহলে সেটা অনুভবও করা যায় না, তেমনি অনুবাদও করা যায় না। কবি মনে মনে যা ভাবেন, তার পুরোটাই কবিতায় প্রকাশ করতে পারেন বলে আমার মনে হয় না। কবি হয়তো পুরোটাই প্রকাশ করলেন, কিন্তু পাঠক এর মানে দাঁড় করালো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। এটাকেই হয়তো কবিতার বহুমাত্রিকতা বলে। কবিতা অনুভবের বিষয়- এটাই বেশিরভাগ কবি ও পাঠক মনে করেন; তবে কেউ কেউ কবিতার অর্থটাও বুঝে নিতে চান কবিতার নিগূঢ় নির্যাস আস্বাদনের জন্য। এতে আমি দোষ দেখি না- পাঠক হিসাবে এটা যে কেউই দাবি করতে পারেন। এই পাঠকের হাত ধরেই কোনো কোনো কবি শীর্ষে উঠবেন, কেউ উঠতে ব্যর্থ হবেন।
১০ নভেম্বর ২০১৩
কবিতা পাঠ; প্রতিক্রিয়া; জনপ্রিয়তা
ব্লগে একটা কবিতা, গল্প কিংবা যে-কোনো বিষয়ের উপর প্রবন্ধ বা ফিচার পোস্ট প্রকাশ করার পর নিম্নোক্ত কমেন্ট পেলেনঃ
১) ৮০ জনই উচ্ছ্বসিত। লেখার ভূয়সী প্রশংসা করলেন। তাঁদের কমেন্টের সাথে আপনার মত শতভাগ মিলে গেলো। আপনার পোস্টটি লিখে আপনি যেমন তৃপ্তি ও আনন্দ পেয়েছেন, তেমনি কমেন্টও মনের মতোই হলো।
২) ১০ জন ব্লগারের কাছে মোটামুটি ভালো লাগলো; তাঁরা কিছু ভালো ও কিছু নেগেটিভ পয়েন্ট তুলে ধরলেন। নেগেটিভ পয়েন্টগুলোর সাথে আপনার মতের মিল একেবারেই হলো না- আপনি বিরক্ত হলেন এঁদের উপর- ধ্যাৎ- লেখা না বুঝে খামোখা গ্যাঞ্জাম পাকাচ্ছেন এঁরা।
৩) ৫ জন ব্লগারের কাছে লেখাটা ভালো লাগে নি। তাঁরা বাজে কমেন্টে আপনার মেজাজ খারাপ করে দিলেন।
৪) ৫ জন ব্লগার আপনার লেখাটার চুলচেরা বিশ্লেষণ করলেন। এঁদের কেউ কেউ এমনই কঠোর যে লেখাটাকে কোনো ‘লেখা’ বলেই স্বীকৃতি দিতে তাঁদের বাঁধলো।
এ থেকে আপনার অনুভূতি, মতামত বা অনুসিদ্ধান্ত কী হতে পারে? আমার মতামতটা এখানেই দিয়ে রাখি।
১) আপনার জনপ্রিয়তা ৮০% এর কিছুটা উপরে এবং ৯০%-এর কিছুটা নিচে।
২) যে-কোনো মিডিয়ায় বা ব্লগে আপনার লেখাটার উপর মতামতের শতকরা হার মোটামুটি এমনই হবে বলে মনে হয়।
৩) যাঁরা আপনার ফ্যান, অর্থাৎ আপনার লেখা যাঁদের ভালো লেগেছে, তাঁদের সর্বদা সম্মানের চোখে দেখুন। যাঁরা আপনার লেখার সমালোচনা করেছেন তাঁদের পোস্টগুলো পড়ে তাঁদের ব্যাপারে একটা ধারণা পেতে চেষ্টা করুন। তিনি গুণেমানে আপনার চেয়ে শ্রেয়তর না হলেও তাঁদের নেগেটিভ পয়েন্টগুলো ভেবে দেখুন। তাঁদের মতো করেও কেউ না কেউ ভাবতে পারেন- এ সত্যটাকে মূল্য দিন, সম্ভব হলে আপনার লেখাকে তাঁদের মত করে সাজান। কিন্তু তাঁদের উপর আপনি রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন- এটা এক মুহূর্তের জন্যও ভোলা যাবে না।
১২ নভেম্বর ২০১৩
শচীন- এক বিস্ময়কর মহাকাব্যের নাম
শচীনের বিদায়ে কান্না পাচ্ছে। শচীনবিহীন ক্রিকেটবিশ্ব ম্লান হয়ে থাকবে আগামী অনেক দিন।
শচীন রমেশ টেন্ডুলকার- একটা উজ্জ্বল কবিতার নাম- একটা মহাকাব্য।
১৫ নভেম্বর ২০১৩
প্রহসন
মিথ্যাকে সত্যে প্রতিষ্ঠিত করার নামই কি রাজনীতি? জনগণকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোই কি রাজনীতির লক্ষ্য?
একজন নেতা কীভাবে হাসতে হাসতে মিথ্যা কথা বলেন, আর কিছুলোক কীভাবে তা মিথ্যা জেনেও সত্য হিসাবে সানন্দে গ্রহণ করেন তা দেখে মরে যেতে ইচ্ছে করে।
নজরুল এ দেশকে ‘আগুন খেলার সোনার বাংলা’ বলেছিলেন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলায় এখন আগুন জ্বলছে।
ঘরে ঘরে আগুন জ্বলছে।
পথে পথে আগুন জ্বলছে।
বাংলাদেশের আকাশে এখন আগুনের কালো ধোঁয়া আর পোড়া-মানুষের তীব্র গন্ধ। রক্তের বিনিময়ে আমরা যে-গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেই স্বাধীনতার নামে এখন বাংলাদেশ জ্বলছে।
আমি পুড়ে যাচ্ছি, আমরা পুড়ে যাচ্ছি- বিলাসপুরে ৫জন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে মারার পরও সমাবর্তনে মুখ ছাপিয়ে হাসি ঝরে পড়ে- হায়, নিষ্ঠুর বঙ্গভূমিতে নিরীহ মানুষেরা এভাবেই মাটিতে মিশে যেতে থাকবে- তাঁদের জন্য কতিপয় এ্যামেচার কবি জনসমক্ষে ‘মায়াকান্না’ কেঁদে অবশেষে হাসতে হাসতে চায়ের আমন্ত্রণে শামিল হবেন।
৭ জানুয়ারি ২০১৪
পাথর নয়, ফুল
লোভনীয় ফুল। বুকভরা অপার্থিব গন্ধ। ক্রমশ শাণিত হয় ধাঁধানো শরীর। মথিত হওয়ার চেয়ে তীব্র কোনো বাসনা নেই, নেই অন্য কোনো সুখ।
অনাঘ্রাত কস্তুরি জানে কি জীবনের মানে! গভীর মননে মেরিলিন মনরো।
সমগ্র সংগ্রামের মূলে যা তুমি চাও
সে আমার শরীরের ঘ্রাণ।
২৯ জানুয়ারি ২০১৪
For Explosions
এমনিতেই পুরোটা পৃথিবী তোমার পদতলে, এর সাথে সামান্য মেধা যোগ হলেই তোমাকে মাথায় তোলে নাচে তামাম পুরুষ।
তুমি নারী,
এবং
রূপসিনী।
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
অভিলাষ
কখনো পাখি হতে সাধ হয়, কখনো প্রেমিক
আলপথ গুঁড়ো করে শূন্যে আছড়ে পড়ে দুরন্ত মহীরুহ
কখনো বাতাস, কখনো জোয়ারের নদী
কখনো পাহাড় পাঁজরের হাড় খুলে
অধীত অতীতের হতে তুলে ধরে একগুচ্ছ মর্মর ইতিহাস
কখনো প্রেমিক হতে ইচ্ছে হয়, কখনো খুনি
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
(কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার রাইসুল নয়ন- ফেইসবুকে তাঁর কমেন্ট থেকে শেষ পঙ্ক্তিটি নেয়া হয়েছে)
মনুষ্যরূপ
ক্রোধ একদিকে মানুষকে অন্ধ করে, অন্যদিকে মানুষের সত্য ভাবনাটিকে উন্মোচিত করে দেয়। রাগের মাথায় আপনার স্ত্রী আপনাকে যে-নামে ডাকবেন, বা যে ভাষায় গালি দেবেন, আপনার প্রতি তাঁর প্রকৃত মনোভাব সেটিই। শান্তিকালীন সময়ে আবেগের ভেতর সত্য চাপা পড়ে থাকে।
আচমকা আমাকে প্রশ্ন করলেন- আপনার ৩ জন প্রাণপ্রিয় বন্ধুর নাম বলুন। আমি বললাম- নুরু, জসিম ও আবুল। এই যে এতকাল রাষ্ট্র করেছি- করিম, ইমরান, শাহজাহান, জাহিদ ছাড়া আমার আর কোনো বন্ধুই নেই- ওটা যে সত্য নয় তা আমি নিজেও জানতাম না।
স্ত্রীর হাসিমুখ আপনার দহন পানি করে দেবে; আপনি আমার প্রিয়তম বন্ধু নন- এ জ্বালা আপনাকে কুরে কুরে খাবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
পুরুষ-প্রকৃতি
পুরুষদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তোষামোদি করবার ক্ষমতা। এ কাজে কবিরা অদ্বিতীয়।
সত্য নয়?
ম্যাডাম প্রভা রহমানই সঙ্গীতে সেরা- এ কথা কোনো নারী বলেন নি। আপনার সেরাদের তালিকায় সর্বদা নারীরাই এগিয়ে থাকেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
কষ্টের অনুভূতি
সুখ বিলীন হয়ে যেতে পারে, কষ্ট পারে না; সুখ মিলিয়ে যেতে যেতে দুঃখের গর্ভে ডুবে যায়; কষ্ট তার ক্ষত বা দাগ রেখে যায়, গুটিবসন্তের মতো। যে নারী পিলখানায় তার স্বামীকে হারিয়েছেন, যে সন্তান হারিয়েছে তার বাবা বা মাকে- পাহাড়-সমান হাজারটা সুখও তা কোনোদিন চেপে রাখতে পারে না।
সুখ বা দুঃখের অনুভূতি হলো ব্যক্তিক। যিনি জীবনে ‘কষ্ট’ দেখেন নি, তাঁর কাছে কষ্ট হলো মুছে যাওয়া ছবির মতো। কষ্ট মুছে ফেলা যায় না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
(কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার সাবরিনা সিরাজী তিতির। ফেইসবুকে তাঁর একটা স্টেটাসে করা আমার কমেন্টের পরিমার্জিত রূপ)
প্রতিক্রিয়া
এসব পড়ে আয়নাতে কি নিজের সুরত দেখতে পেলে?
তা যদি হয়, স্বভাবখানি শুধরে ফেলো।
তোষামোদি, হিপোক্রিসি- এসব ছেড়ে
সত্য বলো
সত্য বলো
বুকের ভেতর সর্বদাই সত্য বলার সাহস রাখো
এবং তুমি আগের মতোই
মিষ্টি হেসে সামনে দাঁড়াও।
আমি আছি
আছি আমি
যেমন ছিলাম, ঠিক তেমনি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজের লেখালেখি নিয়ে আপনার সরল উক্তিগুলো মন ছুঁয়ে গেলো। আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই, এবং একমত পোষণ করি।
ব্লগে ফিরে আসার জন্য নিজের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছি- তাই মাত্র ৪ দিনের মাথায় একটা পোস্ট দিয়ে বসলাম- যা যথাস্বভাবে দীর্ঘাকার ধারণ করেছে এজন্য লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
ভালো থাকুন প্রিয় কবি।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
মুনেম আহমেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে বিশেষ করে মনুষ্যরূপ টা
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মুনেম আহমেদ। ভালো থাকুন।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট ছোট কথায় গভীর কিছু অর্থ! বেশ লাগল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব। শুভেচ্ছা।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২২
সুমন কর বলেছেন: ছোট ছোট কথার বিশাল মানে। ভাল হয়েছে। পড়ে গেলাম, আবার পড়তে হবে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকুন।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: 'কবিতার মানে' অংশটা বেশি ভালো লাগছে ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সকাল দা'র সাথে একমত ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এমনিতেই পুরোটা পৃথিবী তোমার পদতলে, এর সাথে সামান্য মেধা যোগ হলেই তোমাকে মাথায় তোলে নাচে তামাম পুরুষ।
নারী'র সংজ্ঞা এমন দূর্দান্ত চোখে পড়েছে কমই।
বিভিন্ন মাত্রা, মেজাজের পোস্ট ভাল্লাগলো।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে অনেক ভাবার আছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
নারীর দুর্দান্ত সংজ্ঞা!!! খুব ভালো বলেছেন আশরাফুল ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৭
শামীম সুজায়েত বলেছেন: দারুণ বিশ্লেষণধর্মী।
এই ধরণের একটি লেখা বোধ হয় বেশ আগে চতুরমাত্রিকে দিয়ে ছিলেন।
ভাল থাকবেন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক এ ধরনের কিনা তা মনে করতে পারছি না শামীম ভাই। অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।
৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার । তবে দূর্বোধ্য ও বটে
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩
রাইসুল নয়ন বলেছেন:
জটিল বিষয়,।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিকমত পড়েন নি পড়লে একটা জিনিস নজরে পড়তো, আর লাফিয়ে উঠতেন
ধন্যবাদ রাইসুল ভাই। কল দিব সময় করে।
১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৪
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: .সুখ গুলো বড্ড বেশী ক্ষনস্থায়ী
.দুঃখ যেথায় চিরস্থায়ী !!
.এই সুখদুখ নামক অনুভূতি খেলায় জীবন তাই পরাজিত সৈনিক
কস্ট নামক অনুভূতি যার প্রিয়তম বন্ধু
শান্তি কালীন সময়েও যে সংগ ছাড়ে না! !
. তোষামোদি ভালো কথা না তা যার ,যেখানে ,যেভাবেই হউক! !
যাইহোক আসল কথায় আসি , আপনার উপন্যাস ভালো হয়েছে
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আসল কথাটায় অনেক আনন্দিত হলাম আপু। এটিই আমার সেরা উপন্যাস যদি বলি, একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। ভবিষ্যতে সব সময়ই এমন সেরা উপন্যাস লিখতে চেষ্টা করবো।
তোষামোদি ভালো না- কিন্তু এটি আমাদের রক্তে মিশে আছে মনে হয়।
সুখদুঃখের ব্যাপারে আপনার ভাবনা আর আমার ভাবনা অভিন্ন। ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন আপু। আমার পরের উপন্যাস পড়তে আবারও আসবেন, এই প্রত্যাশা থাকলো।
১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১০
উদাস কিশোর বলেছেন: প্রথমং অংশ টা চমত্কার ।
সব মিলিয়ে খারাপ লাগেনি । অনেক কিছুই বোঝার আছে. . . . . .
তবে কখনোই চিন্তা করি না যে , জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌছাবো । নিজের ভুল ভাল আবল তাবল কিছু লিখি নিজের জন্যই । আর এটাই ভাবি যে , যদি কখনো সেরকম কিছু সৃষ্টি করতে পারি তবে জনপ্রিয়তাই আমাকে খুজে নেবে । ওর পিছে আমাকে দৌড়তে হবে না ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবকিছু মিলিয়ে খারাপ লাগে নি জানতে পেরে আনন্দিত হচ্ছি।
বাকি মতামতের প্রতি সহমত।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১
কয়েস সামী বলেছেন: shesher gulo ki kobita?? valo laglo.
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রশ্নটা খুব ভালো লাগলো। অতীব গুরুত্বপূর্ণ
গদ্য না কবিতা- তা নির্ণয়ের ভার পাঠকের উপরই থাক
ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।
১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: কবিতা পাঠ; প্রতিক্রিয়া; জনপ্রিয়তা অংশটা বেশি ভাল লেগেছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। ভালো থাকুন।
১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
রমিত বলেছেন: বিশ্লেষণধর্মী লেখা। ভালো লেগেছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রমিত ভাই। শুভেচ্ছা।
১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্রায় দুর্বোধ্য লেখা। তবে ভাল লেগেছে। আমিও সকাল রয়ের মত। তাও লিখি। ভাল লাগে তাই লিখি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে আমরা সবাই তো নিজের আনন্দেই লিখি, তাই না। এভাবেই কেউ কেউ একদিন নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন।
ধন্যবাদ বশর ভাই। ভালো থাকুন।
১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
এম মশিউর বলেছেন: আমি তেমন কিছুই লিখতে পারি না। না কবিতা, না গল্প। তবুও ব্লগে কেন জানি ভালো লাগে।
অনেকের সুন্দর লেখা দেখে মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চাইলেই আরেক জনের মত লেখা যায় না।
তবে বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ লিখতে পারি। কেন জানি প্রবন্ধটাই বেশি টানে।
#অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখন থেকে ব্লগে নিয়মিত হবার ইচ্ছে আছে।
ধন্যবাদ মশিউর ভাই। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
অদৃশ্য বলেছেন:
আপনি দারুন লিখেন কবি... আর আপনার রসবোধ দুর্দান্ত... আমি আপনার লিখাগুলো সবসময়ই পড়বার চেষ্টা করি... কারন আমি জানি মজা আমি পাবোই... আর অনেকটা শিক্ষাও লাভ করা যাবে...
শুভকামনা...
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অদৃশ্য’র কমেন্ট সর্বদাই উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে থাকে। কবিতার বিচারে আপনি শীর্ষস্থানীয়। আপনার এহেন মন্তব্যে বিগলিত হই। অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।
১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
বোকামন বলেছেন:
বাহ্ !
ফেসবুক আর ব্লগ মিলেমিশে একাকার !
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সম্মানিত ব্লগার প্রিয় বোকামনকে দেখে খুব ভালো লাগছে। হ্যাঁ, আজকাল যে-কোনো লেখার জন্মস্থা ফেইসবুকে হয়ে থাকে; ওগুলোকে কিছুটা পরিমার্জিত রূপ দিয়ে এখানে রেখে দিলাম।
ভালো থাকুন।
২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: লেখনী কবি মনের ভাবনা
এতে কার ভাল লাগলো আর কার লাগলো না সেটা বিবেচ্য নয়।
নিজের কথা নিজে বলতে পারলেই খুশি।
মনের অনুভূতিই আসল।
ফারিহান ভাই বই মেলায় কবে আসছেন বললেন না আজো।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতের সাথে কোনো দ্বিমত নেই।
অনেকদিন পর এই উইক-এন্ডটা ফ্রি ছিল। ঢাকায় আসার প্ল্যান করছিলাম। ছোটো ছেলে হাত ভেঙ্গে প্লাস্টার লাগিয়ে বসে আছে ৪ সপ্তাহ ধরে। সামনে রবিবারে ওর প্লাস্টার কাটা হবে। দেখি, পরের শুক্রবারে হয়তো চলে আসতে পারি।
ভালো থাকুন আরমান ভাই।
২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
সানড্যান্স বলেছেন: আচ্ছা বস, আমি খুব ফালতু কবিতা লিখি, কিন্তু আমার কবিতা কখনোই নির্বাচিত পাতায় আসেনা, অনেকে আরো নিম্ন মানের লেখা লেখে, তারা ঠুশঠাশ নির্বাচিত পাতায় চলে যায়।
সাড়ে তিন বছর ধরে এই অপমান সহ্য করেই যাচ্ছি!!
এজন্য আপনার স্টাইল ধরেছি
লিখে রেখেছি
নিজের আনন্দে লিখি!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা সবাই মূলত নিজের আনন্দেই লিখি। সেই সাথে ব্লগে সেটা অন্যান্যদের সাথেও শেয়ার করি। ব্যাপারটা এর বাইরে আর কী হতে পারে?
কোনো লেখা ‘নির্বাচিত পাতায়’ যাবার ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেন। একজন ব্লগারকে শুধু নিজের ভালো লেখা পাবলিশ করলেই হবে না, তাঁকে অন্যান্যদের পোস্টেও যেতে হবে, মত বিনিময় করতে হবে। অর্থাৎ, অন্য ব্লগারদের পোস্টে আপনার কমেন্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর ব্যতিক্রম থাকাও সম্ভব বলে মনে করি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘অনুসারিত তালিকায়’ বেশি সময় দিয়ে থাকি। আপনি এটা ফলো করে দেখুন। ফলাফল- আপনার লেখা ‘নির্বাচিত পাতায়’ গেলো কিনা তা নিয়ে আর ভাবতে হবে না
শুভ কামনা।
২২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৭
সকাল রয় বলেছেন:
দাদা
আমি বুঝতে পারলাম নাআপনি কেন লজ্জিত হলেন।
ক্ষমাপ্রার্থীর কথা বলে আমাকে ভাবিয়ে দিলেন
পহেলা ফালগুণের শুভেচ্ছা
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার পোস্টগুলো দীর্ঘাকার হয়ে থাকে- এটা কেউ পছন্দ করেন না। আমি সেজন্য লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করেছি।
আশা করি এবার আপনার ভাবনা দূর হলো
আপনাকেও ফাল্গুনের শুভেচ্ছা।
২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৭
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
কবি মনে মনে যা ভাবেন, তার পুরোটাই কবিতায় প্রকাশ করতে পারেন বলে আমার মনে হয় না। কবি হয়তো পুরোটাই প্রকাশ করলেন, কিন্তু পাঠক এর মানে দাঁড় করালো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। এটাকেই হয়তো কবিতার বহুমাত্রিকতা বলে।
কষ্ট তার ক্ষত বা দাগ রেখে যায়, গুটিবসন্তের মতো।
সহমত,অনেক ভালোলাগা !
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গ্রান্ডমা। শুভেচ্ছা।
২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: এক পোস্টে বহু আলোচনা করলেন। আপনার চিন্তাভাবনার ক্ষমতার প্রশংসা করতে হয়।
চিন্তাভাবনা চলতে থাকুক। পরিচ্ছন্ন বিতর্ক, প্রাণবন্ত ব্লগিং এবং লেখালেখিকে উৎসাহিত করুক।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার। শুভেচ্ছা।
২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মজার বিষয়! আপনার লেখা সবসময়ই আমি গোগ্রাসে গিলি।
আপনার জন্য একটা ‘কনফেশন’ করছি আমি। যথা-
আমি যে কেন ব্লগ লিখি, তাই আমি নিজেই জানি না। দয়া করে ভুল বুঝবেন না - ঠিক এতটুকুই বুঝাচ্ছি। কবি অথবা গল্পকারদের বেলায় এটি হবে না, আমি নিশ্চিত। তবু বোনাস হিসেবে ভাব প্রকাশের আনন্দটুকু পাই।
তবে কেউ আমার ‘বেহুদা’ লেখাগুলোর মূল্যায়ন করলে, ইতিবাচক বা নেতিবাচক যা-ই হোক, ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
যা হোক। ব্লগ লেখার উদ্দেশ্য খুব জোড়ালো না হলেও, ব্লগ পড়ার উদ্দেশ্য একটিই। তা হলো: পড়া!
মন্তব্য নিয়ে আপনার ‘সরলিকরণ’ ভালো লেগেছে। পুরোটাই ব্লগ লেখকের পক্ষে গিয়েছে। ধরুন: ব্লগের ১০০ ‘সচল’ ব্লগারের মধ্যে মাত্র ১০ জন একটি লেখায় মতামত দিলেন। সেখান থেকে ৮জন (৮০%) পাঠক ইতিবাচক মন্তব্য দিলেন। তবে কি জনপ্রিয়তার সমীকরণটি টিকবে?
অনেক শুভেচ্ছা সোনাবীজ ভাইয়ের জন্য
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টে বিগলিত হলাম প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই
কী কারণে আপনি ব্লগ লেখেন, সেটা না জানার কারণই বলে দিচ্ছে আপনি নিজের গরজে এবং মনের সুখে ব্লগ লেখেন। নিশ্চিত।
‘জনপ্রিয়ত’ বিষয়ক শতকরা আসলেই সরলীকৃত। এ ধরনের যে-কোনো জরিপই কি সরলীকৃত নয়? প্রথম আলোর জনপ্রিয়ত যদি ধরি ৪১%, এ দ্বারা কিন্তু বোঝায় না যে বাংলাদেশের ৪১% মানুষের কাছে এটি জনপ্রিয় তারপর ওভাবেও যদি চিন্তা করি, ব্যাপারটা মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে বলেই আমার ধারণা। ব্লগে রেজিস্ট্রিকৃত ব্লগারের সংখ্যা ধরি ১ লাখ। একটা পোস্টে ১০০টি কমেন্ট পড়লো। ১০০ কমেন্টে যদি ৮০ জনে একটা পোস্টকে ‘উচ্চমার্গীয়’ বলে, এটা ধরে নেয়া যেতে পারে যে ১ লাখ ব্লগার ঐ পোস্টে কমেন্ট করলে ৮০,০০০ কমেন্টের ফলাফলও অনুরূপ হতো হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তা ছিল, ধরুন, ৮০%। Random Sampling করা ছাড়া তো আর এই ফিগার বের করা সম্ভব না, তাই না? এজন্যই এটা সরল হিসাবে বের করাই বোধ হয় শ্রেয়
অনেক ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন ভাই।
২৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
বেলা শেষে বলেছেন: ‘কী যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?’
....not only you ...but i too- even my ownsilf i donot understand...
beautiful writing.
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কী যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?
হাত উঁচু আর হলো না তো ভাই, তাই লিখি করে ঘাড় নিচু!
বন্ধু! তোমরা দিলে না ক’ দাম,
রাজ-সরকার রেখেছেন নাম!
যাহা কিছু লিখি অমূল্য বলে অ-মূল্যে নেন! আর কিছু
শুনেছ কি, হুঁ হুঁ, ফিরিছে রাজার প্রহরী সদাই কার পিছু?
বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা,
তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা,
বড় কথা বড় ভাব আসে না কো মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছো সুখে!
পরোয়া করি না, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
মাথায় উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।
প্রার্থনা করো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস,
যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ!
- ‘আমার কৈফিয়ত’ থেকে অংশ বিশেষ, নজরুল
***
…কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রাসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনে; কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের কিছু ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো’ যাবে না।
– ‘কবিতার দুর্বোধ্যতা’: বুদ্ধদেব বসু
***
“রাজনীতিবিদদের পর আমি কবিদের কাছে গেলাম; বিয়োগান্তক, মহোল্লাসপূর্ণ, এবং সব রকমই। আমি নিজের মনে বলেছিলাম যে, 'তুমি তাৎক্ষণিকভাবেই সনাক্ত হবে; এবং তুমি আবিষ্কার করবে যে, তুমি তাদের চাইতে অনেক বেশি অজ্ঞ।' এইভাবে, আমি তাদের স্বলিখিত কিছু বড় অনুচ্ছেদ তাদের কাছে নিয়ে গেলাম এবং সেগুলোর সঠিক অর্থ তাদের কাছে জানতে চাইলাম - ভেবেছিলাম তারা আমাকে কিছু শিখাবেন। আপনারা কি আমাকে বিশ্বাস করবেন? সত্যিকথাটা স্বীকার করতে আমার লজ্জ্বা হচ্ছে, তারপরেও বলতে হচ্ছে, সেখানে অন্ততপক্ষে একজনকেও খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিলো যিনি তাদের লেখা কবিতা একটু ভালো করে বোঝাবেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে কবিগণ প্রজ্ঞা দ্বারা কবিতা লেখেন না, বরং তারা সৃজনী ক্ষমতা এবং অনুপ্রেরণা দ্বারাই কবিতা লেখেন, তারা জ্যোতিষী ও দৈবজ্ঞদের মতো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে থাকেন, কিন্তু এর অর্থ কিছুই বোঝেন না। কবিদেরকে আমার তেমনই মনে হয়েছে, আরো লক্ষ্য করলাম যে তাদের কবিতার গুনে তারা নিজেদেরকে সকলের চাইতে জ্ঞানী বলে মনে করে অন্যসব বিষয়েও যেগুলো সম্পর্কে আসলে তারা জ্ঞান রাখেনা। সুতরাং আমি প্রস্থান করলাম, নিজেকে তাদের চাইতে উচ্চতর মনে করে ঐ একই কারণে, যে কারণে আমি নিজেকে রাজনীতিবিদদের চাইতে শ্রেয় মনে করেছিলাম।”
- সক্রেটিসের এ্যাপোলজি-৩, রমিত
২৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
রাইসুল নয়ন বলেছেন:
ঠিকমতোই তো পড়েছিলাম অভিলাষ দেখেছি,শেষ থেকে শুরু করেছেন নাকি শুরুতে শেষ ভালোবাসা মিশিয়ে দিয়েছেন তা বুঝিনি তবে উৎস খুঁজে হেরে গেছি তাই টাইমিং অভাবে লাফ দিতে পারিনি
অযোগ্যতা এবং সাহিত্য জ্ঞানহীনতার পরেও কয়েকজন অকারণ ভালোবাসার, অচেনা প্রিয় মানুষের পোস্টে মন্তব্য লেখার জন্য কী বোর্ডে হাত রাখলেই কি লিখবো ভাবতে ভাবতে এলোমেলো করে ফেলি!! আর আপনার এই পোস্ট তো আজব জিনিস বিদ্যুৎ চমকায় শিকারপুর আর বৃষ্টি হয় সিঙ্গাপুর কি কারণে শুরু হল কি কারণেই শেষ হয়ে গেল এ পাঠোদ্ধার কি আর আমার কাজ !
শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখ একফোঁটা দিলাম শিশির ।।
ঐ লাইনটা উপহার স্বরূপ রইলো, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দরকার নেই।
ভালবাসেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারিনি তবে বিরক্ত বোধ করেন না যে এটা বুঝি ।।
চাটুকারিতা আর মিথ্যাবাদিতা সমার্থক। এই লাইন মাথায় রেখেই মন্তব্যটা লিখছি ।।
ব্যস্ততাহীন খেয়াল দিলে দেখবেন যে, আমি এ মন্তব্যটাও গুলিয়ে ফেলেছি তাই উপরে গুলিয়ে যাবার ভয়ে শুধুমাত্র "জটিল বিষয়" লিখে উপস্থিতি আর ভালোবাসার বাতাস একইসাথে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছি।।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে তো আমারই লাফ দেবার যোগাড় হলো যাই হোক, লাফ দিয়ে ফেললে ছেলেমেয়েরা লজ্জা পাবে বলে জায়গায় স্থির থাকলাম
আমিও অনেক ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। কৃতজ্ঞতা আবারও।
২৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
বেলা শেষে বলেছেন: Thenk you very much!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বেলা শেষে।
২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুরুষদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তোষামোদি করবার ক্ষমতা। এ কাজে কবিরা অদ্বিতীয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সেলিম ভাই, জবর সূক্ষ্ম ও শক্তিশালী চোখ আপনার রানি ভানুসিংহীর ব্লগে আপনার দাওয়াত থাকলো
৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ২১ নাম্বার মন্তব্যের জবাবে লেখক বলেছেন: আমরা সবাই মূলত নিজের আনন্দেই লিখি। সেই সাথে ব্লগে সেটা অন্যান্যদের সাথেও শেয়ার করি। ব্যাপারটা এর বাইরে আর কি হতে পারে?
সহমত
কোনো লেখা ‘নির্বাচিত পাতায়’ যাবার ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেন। একজন ব্লগারকে শুধু নিজের ভালো লেখা পাবলিশ করলেই হবে না, তাঁকে অন্যান্যদের পোস্টেও যেতে হবে, মত বিনিময় করতে হবে। অর্থাৎ, অন্য ব্লগারদের পোস্টে আপনার কমেন্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর ব্যতিক্রম থাকাও সম্ভব বলে মনে করি।
পরিপূর্ণ ভাবে সহমত নই । নির্বাচিত পাতায় পরিচিত ব্লগারদের পোস্ট বেশি নির্বাচিত হলেও ভালো লেখা গুলোকে মূল্যায়ন করা হয়। যেমন আমার এখন পর্যন্ত লেখা ৬ টি পোস্টের মধ্য থেকে ১ টি পোস্ট ছাড়া বাকি ৫ টি পোস্ট নির্বাচিত হয়েছে। তবে এটাও সত্য যে মডুর অনুপস্থিতি অথবা অন্য যে কোন কারণে অনেক ভালো পোস্ট নির্বাচিত হয়না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘অনুসারিত তালিকায়’ বেশি সময় দিয়ে থাকি। আপনি এটা ফলো করে দেখুন। ফলাফল- আপনার লেখা ‘নির্বাচিত পাতায়’ গেলো কিনা তা নিয়ে আর ভাবতে হবে না ।
১০০ বার সহমত
পোস্টে চতুর্থ ভালো লাগা ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহমত, আংশিক সহমত, ১০০ বার সহমতসহ বিশ্লেষণমূলক বিস্তারিত কমেন্টের জন্য বিরাট একটা ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ভালো থাকুন।
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৮
এহসান সাবির বলেছেন: কবি হয়তো পুরোটাই প্রকাশ করলেন, কিন্তু পাঠক এর মানে দাঁড় করালো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। এটাকেই হয়তো কবিতার বহুমাত্রিকতা বলে। কবিতা অনুভবের বিষয়- এটাই বেশিরভাগ কবি ও পাঠক মনে করেন; তবে কেউ কেউ কবিতার অর্থটাও বুঝে নিতে চান কবিতার নিগূঢ় নির্যাস আস্বাদনের জন্য। এতে আমি দোষ দেখি না-
আমিও দোষ দেখি না.... কারন আপনি আগেই লিখেছেন, কবি হয়তো লিখল কবির মতন করে কিন্তু পাঠক এর মানে দাঁড় করালো তার নিজের মতন করে..
আমি সব কবিতা্ই আমার মতন করে মানে দাঁড় করাই.....
যেমন
''এসব পড়ে আয়নাতে কি নিজের সুরত দেখতে পেলে?''
এই লাইনটা পড়ে মনে হল....
''মধ্যরাতে মদের গ্লাস হতে নিয়ে চিৎকার করে বলি... মাইরি এইবার আমি ভালো হবো...
নিজের সুরত আয়নাতে দেখে মনে হয় ঐ 'ভালো হবো' বলা টুকুনই আমার ভালো হওয়া....!''
আপনি বলুন.....
আপনি লিখেছেন ''এসব পড়ে...''
আর আমি ''এসব পড়ে'' বাদ দিয়ে~ ''আয়নাতে কি নিজের সুরত দেখতে পেলে'' এর মানে দাঁড় করিয়েছি আমার মতন করে......
খুব কি দোষের হয়েছে?
শুভকামনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এসব পড়ে আয়নাতে কি নিজের সুরত দেখতে পেলে?
উদ্ধৃত লাইনটার উপর উদাহরণ যোগে যেভাবে আলোকপাত করলেন, তাতে আমি মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। অসাধারণ।
আপনার ব্যাখ্যা আমার একটা উপকারও করলো। এই পোস্টে ‘প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক কবিতাটার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, যা পুরো পোস্টের সারাংশ কিংবা উপসংহারও বলা যায়; কিন্তু এটি যখন এককভাবে দাঁড়িয়ে যাবে, তখন ‘এসব পড়ে’ অংশটুকুও ছাটাই হয়ে যাবে
অনেক ভালো লাগলো এহসান ভাই। ভালো থাকুন।
৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
রাসেলহাসান বলেছেন: কখনো পাখি হতে সাধ হয়, কখনো প্রেমিক
আলপথ গুঁড়ো করে শূন্যে আছড়ে পড়ে দুরন্ত মহীরুহ
কখনো বাতাস, কখনো জোয়ারের নদী
কখনো পাহাড় পাঁজরের হাড় খুলে
অধীত অতীতের হতে তুলে ধরে একগুচ্ছ মর্মর ইতিহাস
কখনো প্রেমিক হতে ইচ্ছে হয়, কখনো খুনি
ভালো খুব ভালো।।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রাসেল হাসান। শুভ কামনা।
৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
এহসান সাবির বলেছেন: ৫নং ভালোলাগা টা কিন্তু আমার দেওয়া..........!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৫ নম্বর ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।
৩৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
এরিস বলেছেন: এমনিতেই পুরোটা পৃথিবী তোমার পদতলে, এর সাথে সামান্য মেধা যোগ হলেই তোমাকে মাথায় তোলে নাচে তামাম পুরুষ।[/sb
আপনার ভাবনার পরিধি দেখে আমি বিস্মিত! কি করে ভাবলেন সেটা আমি ভাবছি না, ভাবছি এইসব নিয়ে ভাবার ভাবনা আপনার মাথায় এলো কি করে!!
অধিকাংশ পাঠককে দেখলাম প্রথম দুইটি অংশ নিয়ে মন্তব্য করতে। এর দুইটি বিশেষ কারণ বের করেছি। ১. আপনি ব্লগে এই লেখাটি দিয়েছেন বলেই ব্লগ সম্বন্ধীয় কিছু বিষয়ের তর্জমা ও তফসির হয়েছে। ২. কষ্টদায়ক হলেও সত্য যে বড়জোর ৩-৪% পাঠক সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। ধৃষ্টতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন; লেখক পাঠক উভয়ের ক্ষেত্রে এই দরখাস্ত প্রযোজ্য।
কবিতার অর্থ
কবি মনে মনে যা ভাবেন, তার পুরোটাই কবিতায় প্রকাশ করতে পারেন বলে আমার মনে হয় না। কবি হয়তো পুরোটাই প্রকাশ করলেন, কিন্তু পাঠক এর মানে দাঁড় করালো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে।
সহমত। যুগে যুগে সুখ্যাতি কামাই করে আসা কবিদের কবিতাগুলোকে আমরা যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বসি, আমি শিওর যে কবি লেখার সময় হয়তো তার অর্ধেকটাও মাথায় রেখে লিখেননি। পাঠকই প্রকারান্তে কবি, যখন তারাই কবিতার ব্যাখ্যা দেন; কবি কবিতা লিখে যান, ব্যাখ্যা লিখেন না।
কবিতা পাঠ; প্রতিক্রিয়া; জনপ্রিয়তা
ব্লগের ভাল মন্তব্যের ব্যাপারটিকে আমি সেভাবে দেখি না। আপনি খেয়াল করে থাকবেন অধিকাংশ পাঠক ভাল্লাগছে, ভাল হয়েছে, সুন্দর হয়েছে এই টাইপ মন্তব্য করেই চলে যান। আমি বলছি না সবাই একরকম। এমন অনেকেই আছেন যারা এখানে ভাল লেগেছে টাইপ কথা বলে চলে যান ঠিকই তবে পরে তাদেরকে দেখি সেই লেখা নিয়ে কথা বলছেন এবং বুঝতে পারি তারা বেশ ভাল্ভাবেই পড়েছেন। (আমার ব্লগ লাইফে যা দেখেছি)। আসলে ব্লগে মূল্যায়নের ব্যাপারটি এখনো পর্যন্ত আমার কাছে অস্পষ্ট।
শচিন এক মহাকাব্য বা তার চেয়েও বেশি কিছু যাকে ব্যাখ্যা করা যায় না!
অনাঘ্রাত কস্তুরি এর মানে কি!!
অভিলাষ আর মনুষ্যরূপ ভাল লেগেছে।
ক্রোধ একদিকে মানুষকে অন্ধ করে, অন্যদিকে মানুষের সত্য ভাবনাটিকে উন্মোচিত করে দেয়। রাগের মাথায় আপনার স্ত্রী আপনাকে যে-নামে ডাকবেন, বা যে ভাষায় গালি দেবেন, আপনার প্রতি তাঁর প্রকৃত মনোভাব সেটিই। শান্তিকালীন সময়ে আবেগের ভেতর সত্য চাপা পড়ে থাকে। সহমত।
পুরুষ-প্রকৃতি বুঝতে পারিনি। আপনার লেখাও না, পুরুষ-প্রকৃতিও না।
সুখ বা দুঃখের অনুভূতি হলো ব্যক্তিক। যিনি জীবনে ‘কষ্ট’ দেখেন নি, তাঁর কাছে কষ্ট হলো মুছে যাওয়া ছবির মতো। কষ্ট মুছে ফেলা যায় না।
পরিশেষে ভাল লাগা।
আপনার ভাবনার ব্যপ্তিতে বিস্ময় রেখে গেলাম।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার পোস্টে করা কারো কমেন্ট পড়ে বাকরুদ্ধ হয়েছি, আমার জন্য এমন ঘটনা কালেভদ্রে ঘটে আপনার কমেন্ট পড়ে আমার সেই দশা হলো অতি আনন্দের দশা আর কী এমন বুদ্ধিদীপ্ত, চুলচেরা বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ, স্পষ্টভাষ্য কমেন্ট আমি খুব পছন্দ করি।
আপনার ভাবনার পরিধি দেখে আমি বিস্মিত! কি করে ভাবলেন সেটা আমি ভাবছি না, ভাবছি এইসব নিয়ে ভাবার ভাবনা আপনার মাথায় এলো কি করে!! আমিও বুঝতে পারছি না কী করে, কেন এমন ভাবনা আমার মাথায় ঢুকলো! আপনার বিস্ময়ে যেমন তীব্র আনন্দিত হচ্ছি, এ কথার তেমনি উলটো অর্থও থাকতে পারে তবে, আমি পজিটিভ মিনিংটাই নিচ্ছি নিজের স্বার্থে
যুগে যুগে সুখ্যাতি কামাই করে আসা কবিদের কবিতাগুলোকে আমরা যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বসি, আমি শিওর যে কবি লেখার সময় হয়তো তার অর্ধেকটাও মাথায় রেখে লিখেননি। পাঠকই প্রকারান্তে কবি, যখন তারাই কবিতার ব্যাখ্যা দেন; কবি কবিতা লিখে যান, ব্যাখ্যা লিখেন না।
আমার কথার পিঠে চমৎকার কিছু কথা বলে ফেললেন। সময় থাকলে কোনো এক সময় এ পোস্টে পদধূলি দেবেন - শব্দকবিতা - শব্দেই দৃশ্যানুভূতি।
কমেন্টে ‘ভালো লাগা’ সম্পর্কিত আপনার মূল্যায়ন বুঝতে পারলাম।
‘অনাঘ্রাত কস্তুরী’ রূপকার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম কস্তুরি হলো সুগন্ধিযুক্ত মৃগনাভি। যে মৃগনাভি ব্যবহৃত হলো না, বা যে সুগন্ধি ফুলের ঘ্রাণ নেয়া হলো না, তার ঘ্রাণ থাকা বা না থাকায় কী তফাৎ? এখানে ‘অনাঘ্রাত কস্তুরী’-কে অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।
‘অভিলাষ’ আর ‘মনুষ্যরূপ’ ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
পুরুষ-প্রকৃতি বুঝতে না পারার দায়ভার কার উপর বর্তায় সেটা ভাবছি। ঠিক, পুরুষের উপরই আর আমার লেখা না বুঝতে পারার দায়ভার সম্পূর্ণ আমার
ইমোর ব্যবহার খুব বেশি হয়ে গেলো নাকি? আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনি আমাকে অনেকগুলো প্লাস উপহার দিয়েছেন, আমি বিশ্বাস করলাম।
এরিসের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
৩৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
এরিস বলেছেন: কি যন্ত্রণা!! প্লাস দেয়া যায় না কেন!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি আমাকে অনেকগুলো প্লাস উপহার দিয়েছেন, আমি বিশ্বাস করলাম।
এরিসের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
একলা ফড়িং বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট ছোট কথায় গভীর কিছু অর্থ! আসলেই তাই
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একলা ফড়িং। শুভ কামনা।
৩৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হুম!!! কত্ত কিছু যে জানলাম! ভালো লাগলো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, অনেকদিন পর এসে অনেক কিছুই জানতে পারলেন তাহলে!!! ভালো লাগলো আপু আপনাকে দেখে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
৩৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আসলে কবিতা যে কী বস্তু আমরা মনে হয় কেউই তা বুঝি না। কিংবা কোনটা কবিতা, কোনটা প্রবন্ধ বা গল্প- এটাও বোধ হয় আমরা সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করতে পারি না। এর কারণ কী? কবিতার বর্তমান স্টাইল বা প্যাটার্ন, নাকি আমাদের বোধের অক্ষমতা?
এতোগুলো পয়েন্ট, কোনটার মন্তব্য যে করি !
অনেক কিছুতেই সহমত !
কেমন আছেন ?
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ভালো আছি স্বপ্নচারী। আশা করি আপনিও।
অনেক কিছুতেই সহমত জানানোয় ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
সকাল রয় বলেছেন:
প্রথমটা ভালোই ঠেকতে ছিল কিন্ত পরে দেখি পুরো প্যাকেজ দিয়ে দিয়েছেন। আমার জনপ্রিয়তা ৯৯ এর নিচে ১% এর উপরে তারপরও কিন্তু আমি লিখি। আমি অবসরে লিখি। যা মনে আসে লিখি ভাবিনা। ভাবনার সময়ও নাই। কালজয়ী হবার মতো কোন সাহিত্য লিখিনা। কেউ হয়তো বলবে কার লেখা কখন কালজয়ী হয়ে যাবে কেউ জানেনা আমি মানতে রাজী নই। চরম খারাপ খারাপ কুসাহিত্য লিখে কালজয়ী হবার কোন সম্ভবনা নেই।
জাহাজ চাইলে নৌকা পাবার সম্ভবনা থাকে তবে আমি কিছু চাইনা তাই কোন সম্ভবনার আশাও করিনা। আমি নিজের জন্য লিখিনা আমি পাঠকের জন্য লিখি। পাঠকরা যেমন চায় তেমন লিখি তবে সাধারন পাঠকদের জন্য। আমিআবার অসাধারণ পাঠকদেন জন্য লিখতে পারিনা আমার ভেতর থেকে আসেনা। যতদিন পর্যন্ত আমার একজন পাঠকও থাকবে ততদিন লিখব। না থাকলেও লিখব। লিখা ছাড়া আমার ভেতর আরো দুটো জিনিস আছে তারপরও লিখতে মন্দ লাগে না।